নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাংলাকে ভালবাসি
--------------------------> বিয়ে ও পারিবারিক জীবন।
আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি জগতে প্রথম মানব হিসেবে হযরত আদম আ: কে সৃষ্টি করলেন তারপর তার সংগীনি হিসেবে হাওয়া কে সৃষ্টি করলেন। অত:পর তাদের পরস্পরকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে দিলেন। এভাবেই আল্লাহ বিবাহের রীতি প্রবর্তন করে এক মধুর প্রেমময় পারিবারিক জীবনের সুচনা করলেন। স্বামী স্ত্রী সন্তান দের নিয়ে পারিবারিক জীবন কেমন হওয়া উচিত তার নিদের্শনা আমরা কোরআনের অসংখ্য আয়াতে ও হাদিসে পেয়েছি।
আল্লাহা তায়ালা বলছেন: ‘প্রত্যেকটি জিনিসকেই আমি জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি।’{সূরা ৫১ যারিয়াত, আয়াত-৪৯}
‘হে আদম, তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে একত্রে বসবাস কর এবং যেখান থেকে মন চায় তোমরা দু’জনে অবাধে পানাহার কর। কিন্তু এই বৃক্ষের নিকটবর্তী হবে না; তাহলে তোমরা অন্যায়কারীদের অন্তর্ভূক্ত হবে।’{সূরা বাকারা, আয়াত-৩৫}
রাসুল সা: বলেছেন ‘তোমরা বিবাহ অনুষ্ঠানের ব্যাপক প্রচার কর এবং সাধারণত এর অনুষ্ঠান মসজিদে সম্পন্ন কর।’ {তিরমিযী শরীফ, হাদীস-১০০৯}
কুরআনুল কারীমে ইরশাদ হয়েছে- ‘তোমরা স্ত্রীদের প্রাপ্য মহরানা আদায় করে দাও আন্তরিক খুশির সাথে ও তাদের অধিকার মনে করে। {সূরা ৪ নিসা, আয়াত-৪}
হাদীস শরীফে হুজুর সা ইরশাদ করেন, ‘সবচেয়ে উত্তম বিবাহ যাতে খরচ কম ও সহজসাধ্য।’ {আবু দাউদ শরীফ, হাদীস-১৮০৮}
রাসূল সা ইরশাদ করেন, ‘চারটি গুণের কারণে একটি মেয়েকে বিবাহ করার কথা বিবেচনা করা হয়। তার ধন-সম্পদ, তার বংশ গৌরব-সামাজিক মান-মর্যাদা, তার রূপ-সৌন্দর্য এবং দ্বীনদারী। কিন্তু তোমরা দ্বীনদার মেয়েকে বিবাহ করে সফলতা অর্জন কর।’ {বুখারী শরীফ, হাদীস-৪৭০০}
‘তোমরা মেয়েদের কেবল তাদের রূপ-সৌন্দর্য দেখেই বিয়ে করো না। কেননা, এ রূপ-সৌন্দর্য অনেক সময় তাদের ধ্বংসের কারণ হতে পারে। তাদের ধন-সম্পদের লোভে পড়েও বিয়ে করবে না। কেননা এ ধন-সম্পদ তাদের বিদ্রোহী ও অনমনীয় বানাতে পারে। বরং তাদের দ্বীনদারীর গুণ দেখেই তবে বিয়ে করবে। বস্তুত একজন দ্বীনদার কৃষ্ণাঙ্গ দাসীও অনেক ভাল। {ইবনে মাযাহ শরীফ, হাদীস-১৮৪৯}
পবিত্র কুরআনে আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা স্ত্রীদের সাথে খুব ভাল ব্যবহার ও সৎভাবে বসবাস করো। তোমরা যদি তাদের অপছন্দ কর, তাহলে হতে পারে যে, তোমরা একটা জিনিসকে অপছন্দ করছ, অথচ আল্লাহ তার মধ্যে বিপুল কল্যাণ নিহিত রেখেছেন। {সূরা ৪ নিসা, আয়াত-১৯}
‘এবং আল্লাহর একটি বড় নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের মধ্য থেকে সঙ্গীনি গ্রহণের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, যেন তোমরা সে সঙ্গীনির কাছ থেকে পরম পরিতৃপ্তি লাভ করতে পার। আর তোমাদের মাঝে তিনি প্রেম-ভালবাসা, দরদ-মায়া ও প্রীতি-প্রণয় সৃষ্টি করে দিয়েছেন। {সূরা রূম, আয়াত-২১}
উপরোল্লিখিত কুরআনের আয়াত সমূহ ও হাদীসের বর্ণনায় এটা প্রতীয়মান হয় যে, নারী ও পুরুষের সবচেয়ে পবিত্র সম্পর্কটুকু মানবসৃষ্টির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ধর্মীয় ভাবে স্বীকৃত। এবং ইসলাম এই সম্পর্কটুকুর ব্যাপারে কিছু দিক নিদের্শনা ও বিধি নিষেদ আরোপ করে দিয়েছে।
এখানে বলতে চাই , নাস্তিকরা যেহেতু ধর্ম মানেনা, সুতরাং ধর্মীয় বিধান বিয়ে ও পারিবারিক জীবনও তাদের মানার কথা নয়। সুতরাং তারা এর বাইরে কোন বিধান পালন করছে বা বিয়ের বিপরীতে কোন নিয়ম তারা মানব সমাজে চালু করতে চায় তা জানার বড়ই আগ্রহ রইল।
২৫ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২
জিয়া চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল।
২| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:০৩
নিষ্কর্মা বলেছেন: অধুনা ইসলামপন্থী আলেম, আল্লামা ফরহাদ মাজহার নাকি মোছাম্মত ফরিদা বেগমের সহিত দীর্ঘদিন যাবত, বিবাহ সম্পাদন ব্যতীত, জীবনযাপন করিতেছেন বলিয়া জানা যাইতেছে। এই ব্যাপারে এই ব্লগে উদ্ধৃত আয়াত ও হাদিসসমূহ পড়িলে উনাকে ইসলামি চিন্তাবিদ হিসাবে গ্রহন করা উচিৎ হইবে কি?
এই রকমের লোকের মুখে ইসলামের কথা শোনা ও তাদের সাহায্য লইয়া ইসলামি আন্দোলন করা উচিৎ হইবে কি?
২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:০৮
জিয়া চৌধুরী বলেছেন: ইসলামী চিন্তাবিদ হিসেবে কাকে গ্রহণ করা হইবে কিংবা কার মুখে ইসলামী কথা শুনে ইসলামী আন্দোলন করা উচিত হইবে সেটা এই পোষ্টের আলোচ্য বিষয় নহে।
কথা হইলো ইসলামী ধর্মীয় বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখাইয়া যেসব নাস্তিকগণ বান্দর হইতে মানুষ হইতেসে তারা বিবাহের পরিবর্তে কোন রসম অনুসরণ করিবে?
৩| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:০৯
সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: নিষ্কর্মা বলেছেন: অধুনা ইসলামপন্থী আলেম, আল্লামা ফরহাদ মাজহার নাকি মোছাম্মত ফরিদা বেগমের সহিত দীর্ঘদিন যাবত, বিবাহ সম্পাদন ব্যতীত, জীবনযাপন করিতেছেন বলিয়া জানা যাইতেছে।
আমার ধারণা উহা যুদ্ধলদ্ধ নারী। গাণিমতের মাল, সুতরাং জায়েজ।
২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:১০
জিয়া চৌধুরী বলেছেন: বরবাদীয় মজাহার একটা বাতিল মাল। সে কিছুক্ষন নাস্তিক সাজে কতক্ষন ইসলামিক সাজে। সে আসলে সুবিধাভোগী প্রতারক। তার কথা বাদ দিয়ে বলেন প্রকৃত নাস্তিকরা বিবাহের সম্পর্কটি নিজেদের সিস্টেমে কিভাবে বিবর্তন ঘটাইবে?
৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২৪
সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: আদালতে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট । সুন্দর হাদিস কোরআন এর উদ্ধৃতি দিয়েছেন। ভাল হয়েছে।