নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।
ব্লগ ডে ম্যাগাজিনে প্রকাশিত গল্প, পৃষ্ঠা ১৩৭
ফাতেমা শারমিন অলস ভঙ্গিতে দ্বিতীয় কাপ চায়ে চুমুক দিচ্ছে। আজকে লিস্টের সব রুগী দেখা অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। অন্যসময় হলে অনেক আগেই ও বাসায় চলে যেত। কিন্তু ঝামেলা পাঁকিয়েছে রুমা। একঘন্টা আগে ফোন করে রুমা ফাতেমা'কে অপেক্ষা করতে বলে নিজের এক পেশেন্টকে ওর কাছে পাঠিয়েছে।
চা শেষ হবার আরও দশ মিনিট পরে এক ভদ্রলোক ফাতেমার চেম্বারে এসে ঢুকলো।
-রুমা ম্যাডাম এই ফাইলটা আপনাকে দেখতে বলেছেন। উনি নিজেই সবকিছু এখানে গুছিয়ে দিয়েছেন।
ফাতেমা বেশ বড়সাইজের ফাইলটা খুলে দেখে রুমা প্রথমেই একটা নোটে সংক্ষেপে সমস্যাটা লিখে দিয়েছে। ভিতরে সব রির্পোট খুব সুন্দর করে আলাদা আলাদা করে গুছিয়ে রাখা। রুমা সবসময়ই খুব গুছানো স্বভাবের মেয়ে। মেডিক্যালে পড়ার সময় কোন ক্ল্যাসের লেকচার মিস হলে সবসময়ই সেটা রুমার কাছে পাওয়া যেত।
-পেশেন্ট কোথায়?
-আমার স্ত্রী একটু অসুস্থ। আমি নিজেই এইজন্য আপনার কাছে এসেছি।
-এতবড় ফাইল দেখতে আমার যথেষ্ঠ সময় লাগবে। ভালোভাবে দেখার পর আমি নিজেই আবার আসতে বলবো। কতদিন ধরে এই সমস্যা হচ্ছে?
-প্রায় পাঁচবছর। রুমা ম্যাডাম দেখছেন তাও প্রায় একবছর হবে।
ফাতেমা আর কোন কথা বলছে না দেখে কিছুক্ষন পরে ভদ্রলোক উঠে চলে আসলেন। ফাতেমা এখন নামকরা একজন গাইনকোলজিস্ট এবং ইনফার্টিলিটিতে বিশেষজ্ঞ। এই বিষয়ের উপরই এফ.আর.সি.এস করে এসেছে লন্ডন থেকে। কোনরকম এপয়ন্টমেন্ট ছাড়াই উনি আজকে যে দেখা করেছেন এটাই অনেক! উনার সিরিয়াল নিতে গেলে প্রায় একমাস লেগে যেত। যেহেতু ফাইল উনি একবার নিয়েছেন, এখন আর চিন্তা করার কিছুই নেই!
এক
পরেরদিন ফাতেমা চেম্বারে বেশ আগে এসেই সেই পেশেন্ট ফাইল খুলে পড়তে বসলো। রুমা নিজেও এই বিষয়ে খুব ভালো একজন ডাক্তার। তারপরও কেন নিজের পেশেন্ট ওর কাছে পাঠালো?
পেশেন্ট কোনভাবেই কনসিভ করতে পারছে না। সব রকমের চেস্টার পরও না। পুরো পেশেন্ট ফাইল বেশ কয়েকবার ভালোভাবে পড়ার পর ফাতেমা অবাক হলো। ইতিমধ্যেই অনেকগুলি ডাক্তারকে দেখিয়েছে। রুমাও সর্ব্বোচ্চ চেস্টা করেছে কিন্তু কোন প্রব্লেম খুঁজে পায়নি। মহিলার ফিজিক্যাল কোন প্রব্লেমই নেই। বয়স মাত্রই ২৮, ওভারীতে কোন সমস্যা নেই, ওভুলেশন পিরিয়ড ঠিক আছে, ইউটেরাস এবং ফ্যালোপ্পিয়ান টিউব পারফেক্ট কন্ডিশনে আছে, হরমোন জনিত কোনই সমস্যা নেই। মহিলার প্রতিটা টেস্ট রুমা ঢাকার ২টা ভালো ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে করার পর ক্রস চেক করিয়েছে। গত দুইবছরের মিন্সট্রুয়াল সাইকেলের লিস্ট দেখে ফাতেমার মনে হলো ঠিকই তো আছে।
পেশেন্টের এই পর্যন্ত কি কি ট্রীটমেন্ট করা হয়েছে দেখে আরও অবাক হলো ফাতেমা। আগেরগুলি বাদ দিলেও রুমা কিছুদিন আগেই হিস্টেরোসাল্পিনোগ্রাফি এবং ল্যাপ্রোস্কোপি নিজেই করিয়েছে। কি আশ্চর্যের বিষয়, এখানেও কিছু পাই নি রুমা?
আচ্ছা এর হ্যাজবেন্ডের কন্ডিশন কি? স্পার্ম কাউন্ট, মোবিলিটি, সাইজ এবং শেপ সব ঠিক আছে। ওর কাছে পাঠানোর আগে ভালোভাবে এইগুলি টেস্ট করিয়েছে রুমা। ডাক্তারের কথামতো রেগুলার ইন্টারকোর্স করে। সেক্সের সময় এদের ফিজিক্যাল কোন সমস্যাই নেই ।
নাহ, রুমাকে ফোন দিতেই হবে, এছাড়া রিপোর্ট দেখে ব্যাপারটা স্পষ্ট হচ্ছে না।
পরবর্তি ১০ মিনিট রুমার সাথে কথা বলার পর ফাতেমা সাথে সাথেই ওর রিসেপশনিস্টকে ফোন দিয়ে কালকেই এই পেশেন্টকে ডাকতে বললো।
দুই
বাথরুম থেকে হাত ধুয়ে ফাতেমা চেম্বারে ফিরে দেখে সেই ভদ্রলোক ইন্সট্রাকশন মোতাবেক আজকে পেশেন্ট নিয়ে এসেছে। রুমা যেই বয়স লিখেছে তারচেয়ে দেখতে কমই লাগছে। ফাতেমা ওর সব পেশেন্টের ফ্যামিলি হিস্ট্রি ভালোভাবে নোট করে। যথারীতি মহিলাকে জিজ্ঞেস করে সবকিছু লিখে নিলো। সবশেষে মহিলার বাবার নাম শুনে বানান জিজ্ঞেস করলো, বেশ অদ্ভুত নাম। বানান বলার পর পেশেন্ট বললো-
-বাবার নাম আসলে জমিরত আখুঞ্জী। জাতীয় পরিচয় পত্র করার সময় ভুলে “জ” এর জায়গায় “স” লেখা হয়েছে।
-কি বললেন আপনি? আবার বলুন?
দ্বিতীয়বার একই কথা শোনার পর ফাতেমা অস্বস্তিঃ নিয়েই জিজ্ঞেস করলো-
-আপনার ডাক নাম বলুন তো?
-জী, আমার ডাক নাম সুর্বনা। তবে আমাকে বাসায় সবু বলেও ডাকে।
হাতের পেন টেবিলের উপর রেখে ফাতেমা কিছুক্ষণ পেশেন্টের দিকে তাকিয়ে রইল।
-আপনারা কয় ভাইবোন সুর্বনা?
-জী, একভাই এক বোন। তবে আমিই ছোট।
-আপনার বাসা কোথায়? গ্রামের বাড়ি কোথায়?
-আমার বাবার বাড়ি বরিশাল শহরেই। তবে বিয়ের পর থেকে অনেকদিন হলো ঢাকাতেই আছি।
ঝট করেই বেশ পুরনো দিনের একটা স্মৃতি মনে পরে গেল ফাতেমার-
পড়াশুনা শেষ করে ফাতেমা ইন্টার্নী করে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। একবার নাইট শিফটে ডিউটির সময় রাত বারোটার দিকে হঠাৎই ইমারজেন্সী থেকে কল আসলে ও যেয়ে দেখে একটা অল্পবয়সী মেয়ে প্রসব বেদনায় প্রচন্ড ছটফট করেছে। মেয়েটাকে পরীক্ষা করে এখনই ওটি’তে ঢুকাতে বলে ফাতেমা তাড়াতাড়ি গেল রেজিস্টার স্যারকে খুঁজে আনতে। ওটিতে ঢুকানোর আগে মেয়ের বাবা কাগজে সাইন করে দিলে সবাই পেশেন্টকে নিয়ে ওটিতে ঢুকে গেল। মাত্র দশমিনিট পরেই ফাতেমার হাতেই ওর ডাক্তারী জীবনে প্রথমবারের মতো একটা শিশু নরমাল ডেলিভারীতে জন্ম নিল। গভীর আবেগে ফাতেমার চোখে জল চলে আসলো! চোখের জল মুছতে মুছতেই খুশিতে ওর মনটা নেচে উঠলো। দুইজনই সুস্থ আছে দেখে বাচ্চা সহ মা’কে কিছুক্ষণ পরে বেডে ফিরে যেতে দেয়া হলো। এরপর বাকি পুরো শিফটেই ফাতেমা কিছুক্ষণ পর পর এসে বাচ্চাটাকে দেখে যেতে লাগলো। বাচ্চাটা ফাতেমা কোলে নিলেই কিভাবে যেন একটা শব্দ করে উঠতো। আর সেই শব্দ শুনার লোভেই বারবার ফিরে আসতো ফাতেমা!
পরেরদিন নাইট শিফটের ডিউটিতে এসে ফাতেমা যেয়ে দেখে বাচ্চা বা মা কেউ নেই। মন কিছুটা খারাপ হয়ে গেল ওর। খোঁজ নিয়ে জানলো মাত্র কিছুক্ষন আগেই হাস্পাতাল থেকে এরা চলে গেছে। মধ্যরাতের দিকে হঠাৎ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মোদাচ্ছের আলী ওর কাছে একটা নবজাতক বাচ্চা নিয়ে এসে হাউমাউ করে কেঁদে ফেললো। একটু আগেই পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা হাসপাতালের পশ্চিম পাশে সেন্ট্রাল পানির ট্যাঙ্কের পাশে থাকা ডাস্টবিনের ময়লার মধ্যে ওড়না দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় এই সদ্য নাড়ীকাটা কন্যাটিকে খুঁজে পায়। বাচ্চাটার শরীরের নীচের দিকের বেশ কয়েক জায়গায় মাংস নেই। কিছু কুকুর শরীরের মাংস কামড়ে খেয়ে ফেলেছে। বাচ্চাটাকে দেখেই ফাতেমা সাথে সাথেই চিনতে পারলো, ভুল করার প্রশ্নই উঠে না। তখনও বাচ্চাটা জীবিত কিন্তু দেহে প্রাণের স্পন্দন খুব ক্ষীণ। একে কোলে নিয়ে ফাতেমা একদৌড়ে বাকি সব ডাক্তারদের কাছে নিয়ে এলো। শিশুটা কেন যেন একটুও কান্নাও করছে না, শুধুই অবাক চোখে সবার দিকে তাকিয়ে আছে। এই নিষ্ঠুর আর নির্মম পৃথিবীতে কেন আর কিভাবে ও চলে এসেছে সেটা ওর ছোট্ট মাথায় ঢুকছে না! দ্রুতই ওটিতে নিয়ে যাওয়া হলো একে। পরবর্তি দুইঘন্টা হাসপাতালের ডাক্তাররা যমে মানুষে যুদ্ধই করে গেল, যতটুকু সম্ভব! কিন্তু সবার সবরকম চেস্টা বৃথা করে দিয়ে ফজরের আজান দেয়ার সাথে সাথেই ফাতেমার চোখের সামনেই বাচ্চাটা মারা গেল। এই ভয়ংকর করুণ দৃশ্য দেখে উপস্থিত সবার চোখই ভিজে উঠলো।
পরেরদিন ফাতেমা মৃত বাচ্চাটাকে মর্গে রেখে মোদাচ্ছেরকে পাঠালো এদের হাসপাতালে ভর্তি হবার সময় দেয়া ঠিকানায়, অন্তত যেন মৃতদেহটা নিয়ে যেয়ে ভালোভাবে গোছল দিয়ে ধর্মীয় ভাবে দাফনের ব্যবস্থা করে। কিন্তু মোদাচ্ছের ফিরে এসে আরও কিছু ভয়ংকর তথ্যের সাথে জানালো এরা মৃতদেহ নিবেও না। মর্গ থেকে একটা দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে মৃত বাচ্চাটাকে দাফন করার জন্য দেবার সময় ফাতেমা নিঃস্তব্ধ নির্বাক হয়ে বসেছিল। যেখানে বাচ্চাটার মায়ের বুকের মাঝে ওমের গন্ধে মিশে পরম আদরে থাকার কথা, উল্টো সেখানে বাচ্চাটা ডাস্টবিনের ময়লার ভাগাড়ের স্তূপে কুকুরের খাবারে পরিণত হয়েছে, এই দুঃসহ শোক ফাতেমার পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে প্রায় তিনমাস সময় লেগেছিল। সেইসময়ে চোখ বন্ধ করলেই মোদাচ্ছেরের হাতে ময়লা ওড়নায় পেঁচানো সেই অর্ধমৃত বাচ্চাটাকে দেখতে পেত ও! রাতেরবেলা ঘুমালেই দেখতে পেত আরও ভয়ংকর দুঃস্বপ্ন- বাচ্চাটা ময়লার ভাগাড়ের স্তূপে অসহায় ক্রন্দনরত অবস্থায় পরে আছে আর চারটা কুকুর ধীরে ধীরে চারপাশ থেকে বাচ্চাটাকে ঘিরে ফেলছে। হঠাৎই কুকুরগুলি চারদিক দিয়ে বাচ্চাটাকে আক্রমণ করছে...সাথে সাথেই প্রাণপন চিৎকার দিয়ে ফাতেমা ঘুম ভেঙ্গে উঠে বসতো!
-ম্যাডাম, আপনি কিছু বলছেন না যে?
চকিতে বাস্তবে ফিরে এলো ফাতেমা। ওর ভুল হচ্ছে না কোথাও? ভালোমতো পরীক্ষা করে দেখতে অসুবিধা কোথায়? পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে। ভদ্রলোককে রুমের বাইরে যেতে বলে ফাতেমা সুবর্নাকে বেডে যেয়ে শুয়ে পরতে বললো।
গায়ের কাপড় সরানোর পর সুবর্নার নাভীর বেশ নীচে বামপাশে কালো বড় তিলটা চিনতে ফাতেমার একদমই ভুল হলো না। সুতীব্র ঘৃণায় ফাতেমা সাথে সাথেই সুবর্নাকে তখনই চেম্বার থেকে বের করে দিলো। সারাদেহ প্রচন্ড ক্রোধে কাঁপছে এখন ওর। ওর দুইচোখের সামনে এখন সেই অর্ধমৃত বাচ্চার রক্তাক্ত ছবিটা ভাসছে। এই বাচ্চাটার জন্য একটা নামও ঠিক করেছিল ও মনে মনে!
তিন
সাতদিন পরে ফাতেমা সুবর্নাকে আবার চেম্বারে ডেকে পাঠালো।
-সুর্বনা সবার কাছে তুমি মিথ্যা কথা কেন বলেছ? আগে তোমার একটা বাচ্চা হয়েছিল এই চরম সত্যটা কেন গোপন করেছ?
-এই ভয়ংকর কথা বলে বেড়ানো আমার পক্ষে সম্ভব না।
-এখন কেন লজ্জা লাগে বলতে? দৈহিক সুখ আর ক্ষণিকের উচ্ছ্বাসের মোহে পাশের বাসার একজন বিবাহিত লোকের সাথে অবৈধ মেলামেশার সময় তো লজ্জা লাগেনি? তোমাদের জঘন্য পাপের দায় কেন সেই অবুঝ বাচ্চাটাকে নিতে হয়েছিল? কি ছিল ওর অপরাধ?
-আমার কোন উপায় ছিল না। এই বাচ্চাটা নিয়ে আমি বাসায় ফিরলে সেখানে আমাদের থাকতে দিত না।
- নিজের হাতে ময়লার ভাগাড়ের মধ্যে বাচ্চাটা ফেলে দেবার সময় তোমার কি নয়মাসের গর্ভধারণের কষ্টটাও একবারের জন্যও মনে আসলো না? সদ্য জন্মানো অবুঝ বাচ্চাটার জন্য একবার হাত কাঁপলোও না তোমার? তুমি তো পশুদের চেয়েও অধম! এরাও তো এত ছোট বাচ্চা ফেলে দেয় না!
সুর্বনাকে মাথা নীচু করে চুপ করে থাকতে দেখে ফাতেমা আবেগে বিস্ফোরিত হলো।
-তুমি একটা পাপিষ্ঠা আর বিকৃত রুচির মেয়ে সুবর্না। কোনভাবেই তুমি মা হবার উপযুক্ত নও। কখনই না। আমি কেন? পৃথিবীর কোন ডাক্তারই চিকিৎসা করে তোমাকে মা বানাতে পারবে না। এটা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত শাস্তি। এটা তোমাকে ভোগ করতেই হবে। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত মাতৃত্বের অপূর্ণতার জন্য আক্ষেপ আর অনুশোচনা করেই যেতে হবে তোমাকে। এই মুহুর্তেই দূর হয়ে যাও আমার সামনে থেকে, আর কখনই এখানে আসবে না।
সুবর্না চলে যেতেই ফাতেমা জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বিস্তৃত খোলা আকাশের দিকে তাকালো। বুকের ভিতর সুতীব্র কালবৈশাখীর ঝড় বয়ে যাচ্ছে এখন ওর। মাত্র সাতবছর বয়সে হুট করেই একরাতে ওর ছোটবোন আয়েশা ঘুমের মাঝেই মারা যায়। আয়েশার স্মৃতি কখনই ভুলে যায়নি ও। শিশুটা প্রথমবার যখন কোলে নিয়েছিল ও, ঠিক তখনই মনে মনে বাচ্চাটার নাম আয়েশা ঠিক করেছিল ও। জানালার গ্রীলটা শক্ত করে আঁকড়ে ধরে অস্ফুটস্বরে ফাতেমা কাকে যেন বললোঃ
-আবার ফিরে আসার পরও যে তোকে বাঁচাতে পারিনি এই ভয়ংকর যন্ত্রণা আমাকে সারাজীবনই বইয়ে বেড়াতে হবে। এভাবেই এইসব নিষ্পাপ বাচ্চারা কি হারিয়ে যাবে কালের অতলে দূঃসহ সব স্মৃতিতে?
(পূনশ্চঃ সত্যঘটনা অবলম্বনে গল্পটা লেখা হয়েছে)
উৎসর্গঃ শ্রদ্ধেয়া জুন আপুকে, যিনি আমাকে সত্যঘটনা নিয়ে লেখার সময় নিজের মতো করে লেখার উপদেশ দিয়েছিলেন।
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, জানুয়ারী ২০২০
১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৮
নীল আকাশ বলেছেন: হানিফ ভাই,
বিবেকের কাছে পরাজিত মনুষত্য আর মাতৃত্যবোধ। দারুন বলেছেন। আমরা দিন দিন মানুষ থেকে কি হয়ে যাচ্ছি জানি না।
প্রথম মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।
একই বিষয়ের উপর আমার আগের পোস্টটাও পড়ে দেখবেন।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো।
২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৫
করুণাধারা বলেছেন: গল্পটা পড়তে পড়তেই বিষাদগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছিলাম, শেষে এসে যখন দেখলাম সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা তখন প্রচন্ড ধাক্কা খেলাম! জানিনা এই ধরনের মায়েরা কিভাবে এমন অপকর্ম করার পরও হাসি আনন্দে জীবন কাটাতে পারে!
১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫১
নীল আকাশ বলেছেন: আপু,
এই সব মেয়েদের মা বলবেন না। এদের মা বললে সমগ্র মা'জাতিকে অপমান করা হয়।
প্রায় প্রতিদিনই এইসব জঘন্য নিউজ পড়তে হয় পত্র পত্রিকাতে।
দেশটা একদম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আপু, মানুষ আর মানুষ নাই।
ধন্যবাদ।
৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সত্য ঘটনা যেহেতু বলেছেন, ঘটনাটা হৃদয়বিদারক। এই সব মায়েরা আসলেই পিশাচ গোত্রের। বাচ্চা সাথে না নিতে চাইলে না নিবে, হাসপাতালেই ফেলে রেখে চলে যেতে পারতো! ডাস্টবিনে এভাবে ফেলে কষ্ট দিয়ে মারার কারন কি?
ডাঃ ফাতেমা ঠিকই বলেছে। এসব হারামী মেয়েদের সেক্স করার সময় হুশ থাকে না। শয়তান মেয়েটার শাস্তি কমই হয়েছে, আরো কঠিনতর শাস্তি হওয়া উচিত ছিল।
গল্পাকারে চমৎকারভাবে লিখেছেন।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৩
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
এটা তো আমারও প্রশ্ন। কত দম্পতি বাচ্চা পায় না। এদের দত্তক দিলেই তো হয়।
ডাস্টবিনে এভাবে ফেলে কষ্ট দিয়ে মারার কারন কি?
নিজের পাপ গোপন করা বেশি প্রয়োজন এদের। এরা আজন্ম পাপি।
আকাম করার সময় খেয়াল থাকলে কি আর বাচ্চা জন্ম নিতো?
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রকৃতির প্রতিশোধ এমনই হয়।
দারুন গল্পে ভাললাগা ।
+++
১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৪
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
পাপের শাস্তি এভাবে হওয়া উচিত। কিছু পাপির এভাবে শাস্তি হলে বাকিরাও সাবধান হয়ে যাবে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গল্পটি আগেই গলঃধকরণ করেছি
তাই এবার আর পা্ঠে মনোনিবেশ
করলামনা। গল্প উপভোগ্য হয়েছে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৭
নীল আকাশ বলেছেন: নূর ভাই,
বাস্তব গল্পটা পড়ার এবং খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ নিবেন।
শুভ কামনা রইলো।
৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: বাস্তবতার ছোঁয়া নিয়ে ঝরঝরে গল্প হয়েছে। গেল বছরেই বোধহয় এ ধরনের একটা নিউজ এসেছিলো জাতীয় দৈনিকগুলোতে। আল্লাহর অশেষ রহমতে সে বাচ্চাটা বেঁচে গিয়েছেলো। আপনার গল্প পড়তে গিয়ে সে কথাটাই মনে আসছিলো।
বাই দ্য ওয়ে, আপনি কি ডাক্তারি পেশায় আছেন?
আরেকটা বিষয়, কর্তৃপক্ষ যদি বইটার পিডিএফ লটকে দিতো তো ভালো হতো বলে আমার মনে হয়।
ভালো থাকবেন। শুভ ব্লগিং।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১০
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ অপরাহ্ন ভাই,
না আমি ডাক্তার নই। আমি প্রকৌশলী।
তবে লেখাটা ইচ্ছে করেই ডাক্তারদের মতো ভাষায় লিখেছি বাস্তবতার ছোয়া আনার জন্য।
দৈনিক পত্র পত্রিকাতে এই নিউজটা এসেছিল। আমি সেটা দেখেই লিখেছিলাম।
মাঝে মাঝেই এই ধরনের নিউজ আসে।
একই বিষয়ের উপর আমার আগের পোস্টটাও (কবিতা) পড়ে দেখবেন।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২০
নীল আকাশ বলেছেন: কর্তৃপক্ষ যদি বইটার পিডিএফ লটকে দিতো তো ভালো হতো বলে আমার মনে হয়।
সম্ভবত বইমেলাতে এই বই বিক্রির কথা। সেখান থেকে যোগাড় করে নেয়া যায়। তবে আপনার কথা আলাদা। দেশে না আসলে তো আর আপনি পাবেন না। খোঁজ নিয়ে দেখি কেউ পিডিএফ করেছে নাকি? জাদিদ ভাইয়ের পারমিশনও লাগবে।
ধন্যবাদ।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩২
নীল আকাশ বলেছেন: এই পোস্ট দেখুন -
https://www.somewhereinblog.net/blog/HABIB321/30287954#nogo
৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩২
শিখা রহমান বলেছেন: নীল সত্যঘটনা অবলম্বনে লিখেছেন বলেই বলছি আপনার গল্পে মেয়েটার পরিবারের ভূমিকা লেখেননি কেন? মেয়েটা নিশ্চয়ই পরিবারের অজান্তে বাচ্চাটা ফেলে দেয়নি। আর বাচ্চাটার বাবার উল্লেখও যে দেখলাম না কোথাও। মেয়েটা দোষী সন্দেহ নেই কিন্তু বাকী দোষীদের কথাও গল্পে আসা উচিত ছিলো।
আরেকটা ব্যাপারে অবাক হয়েছি। একজন ডাক্তারের এতোখানি আবেগ থাকলে তো অনেক ব্যাপারেই চিকিৎসা করা কঠিন হয়ে যাবে তাই না? এটা অবশ্যই আমার ব্যক্তিগত মতামত।
গল্পটা ভালো লেগেছে। তবে একপেশে মনে হয়েছে। সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গীর ব্যাপারটা একদমই অনুপস্থিত মনে হয়েছে লেখায়।
শুভকামনা প্রিয় ব্লগার।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৬
নীল আকাশ বলেছেন: আপু,
প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি বেশ কয়েকটা বিষয় নিয়ে আসার জন্য।
এই গল্পটা ব্লগডে ম্যগাজিনে লেখার সময় ১৫০০ শব্দের লিমিটেশন ছিল। আমি সাধারণত এত ছোট গল্প লিখি না। তার উপর আবার সত্য ঘটনা। আন্দাজে উল্টা পাল্টা লেখাও সম্ভব ছিল না।
মেয়ের বাবা কিন্তু ওটিতে ঢুকানো আগে কাগজে সাইন করে দিয়েছে। অর্থাৎ এর পরিবার সবই জানে। পরেরদিন ফাতেমা যখন এই মেয়ের বাসায় লোক পাঠালো সে কিন্তু বাসার মতামত নিয়েই এসেছিল। সবাই জেনে শুনেই এই জঘন্য অপরাধ করেছে।
আপু একটা ব্যাপার কি জানেন? আমরা ভুলে যাই ডাক্তাররাও মানুষ। এদেরও মানবিক অনুভূতি আছে হয়তো পেশার কারণে ভোতা হয়ে আসে। ফাতেমার এই বাচ্চাটার সাথে একান্তই ব্যক্তিগত বিষয় জড়িত ছিল দেখেই আর সহ্য করতে পারে নি।
সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির অংশ লেখার জায়গা ছিল না দেখেই আমি সেই অংশ টুকু নিয়ে লেখাঝোকায় এবং এখানে একটা কবিতা লিখেছিলাম। আমার আগের পোস্টে সেই কবিতাটা পড়ার জন্য অনুরোধ করছি।
ভালো থাকুন আপু, বই মেলায় কি এবার আপনার আসা হচ্ছে? বই বের হচ্ছে আপনার?
আমারটাতে ভূমিকাতে আপনার নাম কৃতজ্ঞতা সহ লিখে দিয়েছি।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো প্রিয় আপু।
৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯
শের শায়রী বলেছেন: নীল ভাই এই ধরনের কিছু ঘটনা বিভিন্ন সময়ে পেপারে আসে, এক সুতীব্র ঘৃনা অনুভব করি বাচ্চাকে পৃথিবীতে আনার জন্য দায়ী পিতা মাতা দুজনের জন্য। সামান্য কিছু সময়ের জৈবিক চাহিদা তাদের আদিম যুগে নিয়ে যায় যেখানে আবার আধুনিক লোক লজ্জার ভয়ে নিজ বাচ্চাকে হত্যা করতে হাত কাপে না।
লেখার মুন্সিয়ানায় ই এই ঘৃনা বা ভালোবাসা চলে আসে। লেখা স্বার্থক।
শুভেচ্ছা প্রিয় ভাই।।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৯
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
কি যে বলবো আপনাকে?
কত করুন ঘটনা এখন অহরহ ঘটে চলছে আপনি বিশ্বাসও করবেন না।
কয়েকদিন আগে এক মা তার সদ্য জন্মানো বাচ্চাকে চার তলার জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।
রাস্তায় মাথা ফেটে....পুলিশ যেয়ে ধরে নিয়ে আসলে মেয়ে জানায় আপন চাচার সাথে পরকীয়ার ফসল!
ইচ্ছে হয় পেট্রোল ঢেলে....
ধন্যবাদ।
৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৮
শিখা রহমান বলেছেন: নীল শব্দের সীমাবদ্ধতার কথা জানতাম না। বুঝতে পেরেছি যে আপনি কেন অনেক খুঁটিনাটি এড়িয়ে গেছেন।
দুই দশকের ওপরে দেশের বাইরে। আসলে এখানে ডাক্তারেরা কোন রুগীর সাথে এমন ব্যবহার করবেন না। ব্যাপারটা প্রফেশনাল নয়। আবেগের উর্ধে না উঠতে পারলে কিছু কিছু প্রফেশনাল দ্বায়িত্ব পালন করা কঠিন হয়ে পড়ে।
লেখাজোকায় আপনার কবিতাটা পড়েছি। সময়ের অভাবে মন্তব্য করা হয়ে ওঠেনি। চমৎকার লিখেছেন।
এবার বই বের হচ্ছে না আর বইমেলাতেও আসা হচ্ছে না।
আপনার বইয়ের পাঠক প্রিয় হোক সেই শুভকামনা রইলো।
আমার নাম কেন? খুব লজ্জায় ফেললেন।
আমি কৃতজ্ঞতা পাওয়ার মতো কিছু করেছি বলে মনে পড়ছে না।
আপনার বই সংগ্রহ করার ইচ্ছে আছে।
শুভকামনা নিরন্তর প্রিয় ব্লগার।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫০
নীল আকাশ বলেছেন: শিখা আপু,
শব্দের সীমাবদ্ধতার জন্য অনেক খুঁটিনাটি এড়িয়ে যেয়ে লিখতে হয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি মূল থীম যেন পাঠকের কাছে পৌঁছে যায়।
এবার ভেবেছিলাম বইমেলায় দেখা হতে পারে যদি আপনি দেশে আসেন। যাই হোক, দেখা নিশ্চয়ই একদিন হবে, হুট করেই।
কৃতজ্ঞতায় অবশ্যই আপনার নাম থাকবে, বই ছাপানোর বুদ্ধি তো আপনিই দিয়েছিলেন। তাছাড়া শবনম সিরিজের প্রথম গল্প প্রায়শ্চিত্ত তে আপনি কিছু বিষয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন যেটা আমি এখনও মেনে চলি। খুব খুশি হতাম নিজের হাতে আমার এই বইটা আপনাকে হাতে দিতে পারলে!
ভালো থাকুন আপু, সব সময়।
শুভ কামনা রইলো।
১০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: সূর্বনা নামটা দেখে বুকের মধ্যে যেন কেমন করে উঠলো।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৬
নীল আকাশ বলেছেন: কেন রাজীব ভাই? সূর্বণা নামে কাউকে চেনে নাকি?
আমি তো জানি আমাদের শ্রদ্ধেয়া ভাবীর নাম সুরভী।
তাহলে ঘটনা কি?
১১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: গল্পটা চমৎকার হয়েছে।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬
নীল আকাশ বলেছেন: রাজীব ভাই,
দারুন একটা মন্তব্য করার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভ কামনা রইলো।
১২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্লগ'ডে ম্যাগাজিনটা দেখছি অনেক গার্বেজ ধারণ করেছে।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৬
নীল আকাশ বলেছেন: ব্লগ'ডে ম্যাগাজিনটাতে কোন গার্বেজ নেই। তবে অবশ্যই একটা গার্বেজ আছে এই ব্লগে।
এই গার্বেজটা পিগমী পর্যায়ের বুদ্ধিসুদ্ধি নিয়ে সারা ব্লগে প্রতিনিয়তই নিজেকে আহাম্মক আর নির্বোধ প্রমাণ করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যায়।
গার্বেজটা মন্তব্য করার সময় দেখেও নি এই পোস্টে প্রথম লাইক কে দিয়েছে?
১৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: গল্পে ++++++।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
আপনাকে দেখে খুব ভালো লাগছে।
কিছুদিন ধরেই ঠিক করেছি সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে লিখে যাবো।
দেশে এই অবুঝ শিশু হত্যা হঠাৎ করেই অনেক বেড়ে গেছে।
আমাদের সবার সচেতনতা তৈরির জন্য কাজ করতে হবে।
ধন্যবাদ।
১৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮
ফয়সাল রকি বলেছেন: প্রকৃতির প্রতিশোধ!
গল্পে +++
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১১
নীল আকাশ বলেছেন: ফয়সাল ভাই,
পাপ বেশি হয়ে গেলে তো প্রকৃতি বা সৃষ্টা যাই বলুন শাস্তি দিবেই।
কারও সীমা অতিক্রম করা উচিৎ নয়।
শুভ রাত্রী।
১৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৩
জুন বলেছেন: নীল আকাশ এত করুন একটি গল্প এত সুন্দর করে লিখেছেন তাতে আবার আমাকে উৎসর্গ সত্যি আমি অভিভূত। জানি শব্দের বাধ্যবাধকতা ছিল তাই গল্পের বিস্তার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। কিন্ত মনকে স্পর্শ করে গেছে তেমনি করেই যতটা আবেগ নিয়ে আপনি লিখেছেন।
আরেকটি বিষয় সেটা হলো ডাক্তার ফাতেমাকে আপনি অনেক মানবিকভাবে তুলে ধরেছেন যা আজকাল দেখা মেলা ভার। অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো সাথে শুভকামনা।
প্রিয়তে
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১১
নীল আকাশ বলেছেন: জুন আপু,
কিছুদিন আগে আপনি আমার ভৌতিক একটা গল্প পড়ার পর বলেছিলেন সত্য ঘটনা নিয়ে যেন আমি একদম নিজের মতো করেই লিখি। এবার আমি ঠিক তাই করেছি। গল্পটা ভালো হয়েছে, আপনার উপদেশ কাজে লেগেছে। এটা লেখার সময় আপনার কথাই মনে হচ্ছিল। সুতরাং লেখাতো আপনার নামে দেবোই। আপনার পছন্দ হয়েছে মানে আমার কষ্ট কাজে লেগেছে।
সব ডাক্তাররাই কসাই নয়। আমি এইজীবনে কিছু খুব দরদী ডাক্তার দেখেছি যারা আমাদের মতোই রক্ত মাংশের মানুষ। আবেগ তাদের' হৃদয়কেও স্পর্শ করে দেখেছি।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো।
১৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০
ঢাবিয়ান বলেছেন: গল্পটা সুন্দর হয়েছে।ডাক্তারটির আবেগের সুন্দর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
তবে বাস্তব পরিস্থিতি আমার কাছে কিছুটা ভিন্ন মনে হয়। এই ইস্যূতে জরিত অধিকাংশ মেয়েরা উচ্চ বা মধ্যবিত্ত ঘরের নয়। এরা সবাই দরিদ্র শ্রেনীর, যে শ্রেনীর মেয়েদের কোন প্রকার নিরাপত্তা, সচেতনতা, বা অধিকার বলে কিছু নাই আমাদের সমাজে। নিতান্ত বাধ্য হয়েই তাদের এই পথ বেছে নিতে হয় বলে আমার মনে হয়।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩২
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
ডাক্তারের বহিঃপ্রকাশ অংশটা আমি লিখেছি গল্পে পার্ট হিসেবে। আমি কিন্তু এইজীবনে বেশ কিছু খুব দরদী ডাক্তার দেখেছি যারা আমাদের মতোই রক্ত মাংশের মানুষ। আবেগ তাদের'কেও স্পর্শ করে।
যা বলেছেন সব ক্ষেত্রে নয়। উচ্চ বিত্তশালীরা টাকাপয়সার সাহায্যে ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে ফেলে, লোকচক্ষুর আড়াল করে ফেলে কিংবা এম আর/এবোরশন করে ফেলে। তবে মধ্যবিত্ত এবং নিন্ম বিত্তের মহাবিপদ। এরা আকাম কুকাম করলে লুকাতে পারে না সহজে। ধরা পরে যায়।
হুট করেই এই দেশটা এত দ্রুতই এত খারাপ হয়ে যাচ্ছে কিভাবে? কই যাচ্ছি আমরা? কোথায় গন্তব্য আমাদের?
শুভ রাত্রী।
১৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চাঁদগাজী বলেছেন: ব্লগ'ডে ম্যাগাজিনটা দেখছি অনেক গার্বেজ ধারণ করেছে।
আপনার সব কিছুতেই অরুচি !!
ক্ষুদা মন্দা হলে ডাক্তার দেখান।
আপনার কিছুতেই মন ভরেনা কেন?
১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৪
নীল আকাশ বলেছেন: নূর ভাই,
সারমেয়'দের লেজ আপনি যতই টেনে সোজা করে দিন না কেন? ছেড়ে দিলে আবার......
মুখের কথায় কোন কাজ হবে না, লাগবে হচ্ছে গদাম! কষে লাগাবেন এক বা দুইটা, দেখবেন কুই কুই করে লেজ সোজা করে দৌড়!
১৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপন । ভালো থাকুন। আরো লিখুন।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০২
নীল আকাশ বলেছেন: নেওয়াজ ভাই,
আমার ব্লগ বাড়িতে সুস্বাগতম।
গল্পটা পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ রইলো।
১৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: "আপনার সব কিছুতেই অরুচি !! ক্ষুদা মন্দা হলে ডাক্তার দেখান। "
-এর আগে "ভুয়া মফিজ" উনার ভুতের গল্প প্রকাশ করেছেন, যা "ব্লগ'ডে ম্যাগাজিনে" স্হান পেয়েছে; এরপর ইনার গল্প দেখলাম; তাই ভাবছি, ম্যাগাজিনটাতে আসলে কি প্রকাশ পেয়েছে!
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫৪
নীল আকাশ বলেছেন: ব্লগের সবচেয়ে সেরা সিনিয়র কিছু ব্লগারস এবং মডারেটর সম্পাদক ছিল এখানে। এদের জ্ঞানের পর্যায়ে যেতে আপনাকে আরও ৫০০ বছর সাহিত্য চর্চা করতে হবে।
মাথার এন্টিনা নষ্ট কিংবা খাট হলে শুধু গল্প না সবকিছুই উপর দিয়ে চলে যায়।
২০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২১
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,
বাস্তব ঘটনা নিয়ে লেখা হলেও তেমন জুৎসই হয়নি।
একবার কেউ বাচ্চার জন্ম দিয়ে বাচ্চাকে নর্দমায় ফেলে দিলে তার যে আর জিন্দেগীতেও বাচ্চা হবেনা, মেডিক্যাল সাইন্স কিন্তু তা বলেনা, যদি না কোনও শারীরিক বা ফিজিওলোজিক্যাল ত্রুটি থাকে। গল্পে দম্পতিটি কিন্তু সবদিক দিয়েই স্বাভাবিক। এটা গেলো একদিক।
অন্যদিকে একজন চিকিৎসকের তার রোগীর প্রতি অমন তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখানোর কথা নয়, যতোই ব্যক্তিগত ঘটনা জড়িত থাকুক না কেন। একবার চেম্বার থেকে বের করে দেয়ার পরে আর চেম্বারে ডাকার কথা নয়।
এ দু'টো বিষয় গল্পটাকে প্রশ্নের আওতায় ফেলে দিয়ে নাজুক করেছে। শব্দ সংখ্যার সীমাবদ্ধতা থাকলেও একটু হিসেব করে লেখা যেতো।
যাই-ই হোক, গল্প তো গল্পই। লেখা যথারীতি সাবলীল।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪০
নীল আকাশ বলেছেন: শ্রদ্ধেয় গুরুজী,
কালকে রাতেই আপনার জন্য প্রতি উত্তর লিখেছিলাম। আজকে দেখি ভিপিএন এর লাইন কেটেচ্যাবার কারণে সেটা পোস্ট হয় নি। দেরি করে ফিরে আসার জন্য লজ্জিত। হাতে সময় নিয়ে বসেছি এবার।
আমি এবার ব্লগ ডে এসেছিলাম সেই চট্টগ্রাম থেকে। এসেই সর্বপ্রথম আমার গুরুজী খুঁজেছি, না পেয়ে জাদিদ ভাই সহ ঢাকার অনেক'কেই জিজ্ঞেস করলাম আপনার কথা। কে যেন বললো আপ্নি অসুস্থ সেইজন্য আসতে পারেন নি। এখন কি সুস্থ আপনি? দেখা হলে খুব খুশি হতাম। আমার খুব ইচ্ছে ছিল সামনা সামনি আপনার সাথে পরিচিত হবার। ইনশা-আল্লাহ বইমেলাতে দেখা হবে আপ্নার সাথে। আপনার কাছে আমি লেখার অনেক ব্যাপারে কিছু শিখেছি। সাধে গুরুজী বলি!
মেডিক্যাল সায়েন্স এ কি বলে আমি জানি না তবে আমার পরিচিত একজন মহিলার এই অদ্ভুত কান্ড হয়েছিল লেট এবরশন করার পরে। উনি আর কোনদিনও কনসিভ করতে পারেন নি। অনেক চেষ্টা, এমন কী বিদেশেও দেখানো হয়েছিল। ডাক্তাররা কোন সমস্যাই পায় নি। কেন আমি জানি না! বাস্তব দেখা জীবন থেকেই এই অংশটুকু লিখেছি।
ইঞ্জিনিয়ারদের ডাক্তারদের প্রশংসা করা রেয়ার ঘটনা হলেও আমি এইজীবনে কিছু ডাক্তার নিজের চোখে দেখেছি যাদের মানবিক আচরণ আমার হৃদয় ছুয়ে গিয়েছিল। কোনদিন এদের আমি ভুলবো না। লেখার সময় এই মানবিক ব্যাপারটাই হয়তো চলে এসেছে। গল্পকার হিসেবে এতটুকু স্বাধীনতা নিয়েই আমি লিখেছি। আপনি ডাক্তারদের নিয়ে যা যা উপদেশ দিয়েছেন সেটা ভালোভাবে মনে রাখবো এদের নিয়ে পরের লেখা গুলির সময়ে। এইজন্যই আমি আপনাকে এত পছন্দ করি। ভুল গুলি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেন। কৃতজ্ঞতা নিরন্তর।
ভালো থাকুন আপনি, সুস্থ ভাবে।
শুভ কামনা এবং শুভ রাত্রী।
২১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত গল্প ভালো লেগেছে। বিয়ের আগে প্রেম, শারীরিক মিলন ও বাচ্চার জন্ম দান-এখন তো হরহামেশাই ঘটছে। বহুক্ষেত্রে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ইস্যুর ঠিকানা হয় রাস্তার পার্শ্ববর্তী ঝোপগুলোতে। গল্প তো একরকম হয়েছে, আমি ভাবছিলাম বুয়েটের অ্যালুমিনিতে কি এখন গাইনোকলজিস্ট পাঠ দেওয়া হচ্ছে? বিষয়টি এক্কেবারে পাকা গাইনোকলজিস্টের মতো লাগলো।
উৎসর্গে ভালোলাগা ও শ্রদ্ধা।
শুভেচ্ছা অফুরান ডাক্তার বাবুকে।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২৮
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ রাত্রী,
এটা একটা এক্সপেরিমেন্ট। নতুন একটা ক্যারেক্টার তৈরি করলাম। অনেকটা নাবিলার মতো।
যখন এইসব বিষয়ে লিখতে ইচ্ছে করবে ধাম করে লিখে ফেলতে পারবো। কাউকে আর নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে না।
বুয়েটে আর মেডিক্যালের পোলাপান নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি করেই স্টুডেন্ট লাইফ শেষ করে। এদের হল কিন্তু আমাদের ঠিক পাশেই। ফলাফল কি হতে পারে চিন্তা করুন?
ভালো থাকুন, সব সময়।
ধন্যবাদ।
২২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৬
সুমন কর বলেছেন: সকল পাপের শাস্তি যদি এমনটাই হত .....
+।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৪
নীল আকাশ বলেছেন: সুমন ভাই,
আমার ব্লগ বাড়িতে সুস্বাগতম।
সকল পাপের শাস্তি হয়। প্রশ্ন হচ্ছে কখন? অনেক সময় শাস্তি ঠিকই হয় কিন্তু সেটা হয়
লোকচক্ষুর আড়ালে। এই জন্য মনে হয় বোধয় এর পাপের শাস্তি হয় নি।
দুর্দান্ত মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভ রাত্রী।
২৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৪৪
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: এই বিষয়ে কলম ধরতে যাচ্ছিলাম তখনই আপনার এই লেখাটা চোখে পড়লো....
গল্পের নির্লজ্জ মায়ের মতো অবস্থা সত্যি করে হয় না বোধ হয় ! হলে ভালো হতো...
লেখাটির জন্য ধন্যবাদ .....
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০৫
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই আপনি পড়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
সব ক্ষেত্রে সরাসরি শাস্তি তাড়াতাড়ি হয় না। তবে আমি লাস্ট স্টেজে এম আর করার পর একজন মহিলার বারোটা বাজার কাহিনী জানি যার আর বাচ্চাই হয় নি।
পাপ বেশি হয়ে গেলে তো প্রকৃতি বা সৃষ্টা যাই বলুন শাস্তি দিবেই। কারও সীমা অতিক্রম করা উচিৎ নয়।
এই বিষয়ের উপর লেখা আমার যাস্ট আগের কবিতাটা পড়েছেন?
ধন্যবাদ।
২৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১১
খাঁজা বাবা বলেছেন: বাস্তব
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৫
নীল আকাশ বলেছেন: ঘটনা কিন্তু আসলেও বাস্তব ভাই। দৈনিক পত্রিকার একটা নিউজ থেকেই এটা লিখেছি।
২৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
গল্প কে গল্পই মনে করি।
সত্য ঘটনা মনে হয় না।
বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশে একজন গাইনি স্পেসালিষ্ট ডাক্তার যে পরিমান ব্যাস্ত থাকে এতোখানি আবেগ থাকার প্রশ্নই আসে না।
একজন পেশাদার চিকিৎসক, চিকিৎসা ছাড়া অন্য কিছু ভাবার টাইম কোথায়?
তার রোগীর প্রতি এমন তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখানোর কথা নয়, যতোই ঘটনা জড়িত থাকুক না কেন।
লন্ডন থেকে এফআরসিএস অতচ ডাক্তারি ইথিকস জানে না।
উন্নত দেশে রোগিকে শোয়ানোর পর চিকিৎসা করতে অস্বীকৃতি জানালে তার ডাক্তারি লাইসেন্স চীরতরে বাতিল হোত।
জেল জরিমানা হওয়ারও সম্ভাবনা যদি রোগি মানসিক-শারিরিক আঘাতের মামলা করে।
যাক গল্প গল্পই। সুলিখিত। ভাল লেগেছে।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৫
নীল আকাশ বলেছেন: হাসান ভাই,
আমি একদম হেডিং এ লিখে দিয়েছি এটা গল্প। গল্প হিসেবে এটা ভালো লেগেছে আপনার, এটাই আমার গল্পকার হিসেবে স্বার্থকতা। বাচ্চা জন্মের পরই ডাস্টবিনে ফেলে দেয়ার ঘটনা কিন্তু একদম সত্যি। যেখানে বলেছি সেখানেই ঘটছে। দৈনিক পত্রিকাতেই এসেছে। মূল ঘটনা এখান থেকেই নিয়েছি।
তবে আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি এইসব নির্লজ্জদের এইরকম কঠিনতর শাস্তিই হওয়া দরকার। দৃষ্টান্তমূলক, যেন বাকিরা দেখে ভয় পেয়ে এইসব অপকর্ম করার সাহস না পায়।
ডাক্তারদের নিয়ে আমার এত ভালো ধারনা নেই। মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে এটা লিখেছি। তবে ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ। ডাক্তারদের নিয়ে লেখার সময় এর পরের বার সাবধানে থাকবো।
শুভ কামনা রইলো।
২৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৩
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ম্যাগাজিনের এই গল্পটা অনেক ভালো লেগেছে।
বাস্তব ঘটনাকে উপস্থাপন করেছেন বেশ নিখুঁত ভাবে।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০১
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ সৌরভ ভাই। খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
২৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৮
মুক্তা নীল বলেছেন:
নীল আকাশ ভাই ,
বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে বিষাদময় গল্পের প্লট চমৎকার হয়েছে সবদিক মিলিয়ে বলছি।
সব ডাক্তাররা সমান নয় আপনি কিন্তু একেবারেই ভুল লেখেননি
আপনি যে ইনফার্টিলিটি ডাক্তারদের কথা বলেছেন তা একদম সঠিক । একজন মানুষ যখন বাচ্চার চিকিৎসার জন্য যান
কোন ইনফার্টিলিটি ডাক্তারের কাছে তিনি তার মানসিক অবস্থা অবশ্যই বিবেচনা করেন।
কারণ আমি এ সম্পর্কে কিছু জানি বলেই বলছি। সে ক্ষেত্রে বলবো আপনি একদম ভুল লিখেন নি ।
আমার কাজিন কনসিভ করেন না বলে , ইনফার্টিলিটির বাংলাদেশের বেশ কয়েকজনকে দেখিয়েছেন । তাদের মধ্যে স্যার
টি এ চৌধুরী এবং কেয়ার হাসপাতালে ডাক্তার পারভীন ফাতেমা ধানমন্ডি ল্যাবএইড শাখার ডাক্তার মরিয়ম ফারুকী স্বাতী , স্কয়ার হসপিটালের ডাক্তার জাকির , অ্যাপোলো হাসপাতালের ডাক্তার মৃণাল কান্তি । উনারা গাইনী এবং ইনফার্টিলিটি ডাক্তার এবং ব্যবহার অমায়িক । এ ক'জন এর ব্যবহার সম্পর্কে জানি বলেই বলছি খুবই ভালো ব্যবহার উনাদের। তাই আপনি একদম ভুল লিখেন নি।
ভাই আমার মন্তব্য যদি আপনার ভালো না লাগে তবে ডিলিট করে ফেলতে পারেন । সব ডাক্তারদের মধ্যে এখনো মানবিকতা হারিয়ে যায় নাই ।
আর গল্পের সার্থকতার ক্ষেত্রে একজন লেখক ডাক্তারের মানসিক অবস্থা এভাবে লেখাটা আমি ভুলের কিছু দেখিনা ।
ধন্যবাদ ও হ্যাপি নিউ ইয়ার।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৫
নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকে আমি সময় নিয়ে পরে প্রতি মন্তব্য করবো।
শুভ রাত্রী।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৬
নীল আকাশ বলেছেন: মুক্তা আপু,
দেরি করে ফিরে আসার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমার এর পরের পোস্টে বিশাল ক্যাচাল লেগে গেছে। সামলাতে যেয়ে দেরি হয়ে গেছে।
আমি একদম বাস্তব একটা ঘটনা দৈনিক পত্রিকা থেকে পেয়ে নিজের মনের মতো করে লিখেছি। লেখার সময় এই মানবিক ব্যাপারটাই ইচ্ছে করেই নিয়ে এসেছি। গল্পকার হিসেবে এতটুকু স্বাধীনতা আমার আছে। তাছাড়া আপনি যা যা বলেছেন তার সাথে আমিও বলতে চাই, সব ডাক্তার এক রকম নয়। ইঞ্জিনিয়ার হয়েও কোন ডাক্তার'কে প্রশংসা করা রেয়ার ঘটনা হলেও আমি এইজীবনে কিছু ডাক্তার নিজের চোখে দেখেছি যাদের মানবিক আচরণ আমার হৃদয় ছুয়ে গিয়েছিল। কোনদিন এদের আমি ভুলবো না। অবশ্যই সব ডাক্তারদের মানবিকতা এখনও হারিয়ে যায় নি।
একটা সুখবর আছে। এই বইমেলায় আপনার প্রিয় চরিত্র, শবনম'কে নিয়ে আস্ত একটা উপন্যাস বের হচ্ছে। ব্লগ ছাড়াও নতুন কিছু পর্ব আছে এটাতে। এক রঙ্গা এক ঘুড়ির স্টলে বইটা পাওয়া যাবে। বইটা পড়ার অগ্রীম দাওয়াত দিয়ে গেলাম। আমি নিজেও বই মেলাতে থাকবো। কবে থাকবো সেটা ব্লগে পোস্টে জানিয়ে দেবো। ইনশা আল্লাহ বই মেলায় দেখা হবে আপনার সাথে।
শুভ কামনা রইলো।
২৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ২০ নম্বরে আমার মন্তব্যে আপনার করা জবাবটিতে। যে সম্মানের জায়গাটিতে আপনি আমাকে বসিয়েছেন আমি তার যোগ্য কিনা তা জানিনে তবে চেষ্টা থাকে আপনাদের সকলের মনের কাছাকাছি যেতে ।
ব্লগ-ডে'তে আপনাদের অনেকের সাথে ( কথার কথা নয়, আপনার মতো ভেবেছি আমিও) দেখা হবার আকাঙ্খা থাকলেও তা হয়ে ওঠেনি। এ অক্ষমতা আমারই। না, অসুস্থ্য ছিলুম না। পারিবারিক কাজে আটকে ছিলুম। অনেক নতুন মুখ বিশেষ করে আপনার সাথে দেখা না হওয়ার দুঃখবোধ আমার থেকেই গেলো!
আবার কখনও কোথাও দেখা হয়ে যাবে হয়তো........................
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩৯
নীল আকাশ বলেছেন: এই ব্লগে মাত্র একজন'কেই আমি গুরুজী বলি। এবং সেটা শুধু শুধু নয়! কারও প্রতি শ্রদ্ধা কখনই এমনিতে আসে না।
যে সম্মানের জায়গাটিতে আপনাকে আমি বসিয়েছি সেটা আপনার নায্য পাওনা।
আমার একদম প্রথমদিকের লেখাতে আপনি যেয়ে সাহস দিয়েছিলেন দেখেই আজ আমি এতদূর আসতে পেরেছি ব্লগে।
আমিও খুব করে আশা করেছিলাম এবার অন্ততঃ আপনার সাথে দেখা হবে। সেই আশাতে চট্টগ্রাম থেকে অনুষ্ঠানে এসেছিলাম। যাই হোক, সব কিছুর ভিতরেই আল্লাহ ভালো কিছুই রেখে দেন শেষমেষ। এবারের বই মেলায় ২০২০তে নিশ্চয় আসবেন? আমি এবারের বইমেলায় বেশ কিছু সময় থাকার চেষ্টা করবো। ইনশা আল্লা তখন আপনার সাথে আমার দেখা হবে। আমি কখন থাকবো সেটা আমি জানিয়ে দেবো।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো।
২৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আসলে বাস্তব ঘটনা হলেও গল্পের খাতিরেই ঘটনাকে কিছুটা নাটকীয় করে তুলতে হয়। তা না হলে গল্প গল্পোর মত হয় না।
আর এটাকে বাস্তবতার সাথে মিলাতে গেলেই বাধে বিপত্তি।
আর কোন নবাগতকে যেন সইতে না হয় এমন মৃত্যু।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১২
নীল আকাশ বলেছেন: মাইদুল ভাই,
একদম পারফেক্ট কথা বলেছেন। প্রতিদিন কত কত না এইসব ঘটনা আমাদের নিউজ পেপারে পড়তে হয়। এইসব নিউজ খুব বোরিং হয়। মনোযোগ দিয়ে পড়েও না। আর তাই গল্পের আকারে যখন প্রকাশ করলাম ব্লগের প্রায় সবাই পড়েছে। আমার মেসেজ সবাইকে পৌছে দিতে পেরেছি। গল্পের খাতিরেই ঘটনাকে কিছুটা নাটকীয়তা না দিলে এটাও একটা বিরস লেখা মনে হতো।
দুর্দান্ত একটা মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো প্রিয় ভাই।
৩০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,
বইমেলায় তো যেতেই হয়! মানুষ দেখতে , মানুষের কলধ্বনি শুনতে, নতুন বইয়ের গন্ধ নিতে। একা একা ঘুরি মেলাতে নিজের মতো করে। হঠাৎ কারো সাথে দেখা হয়ে গেলে ভালো নইলে একান্তই নিভৃতচারী।
শুভেচ্ছান্তে।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৭
নীল আকাশ বলেছেন: গুরুজী,
এইবারের বইমেলাতে আমার একটা বই বের হবার কথা! আমি যদি ততদিন বেঁচে থাকি তাহলে বইমেলাতে সেই বইয়ের ষ্টলে আপনার সাথে দেখা হবে। এক রঙ্গা এক ঘুড়ির ষ্টলে ইনশা আল্লাহ দেখা হবে আপনার সাথে। ছোটখাট কিছু কাজ বাকি আছে দেখে এখনও বইয়ের জন্য ব্লগে পোস্ট দেই নি।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো।
৩১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৮
জোছনাস্নাত রাত্রি বলেছেন: এই গল্পটা আপনার লেখা সেরা গল্প।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৩
নীল আকাশ বলেছেন: শব্দের সীমাবদ্ধতা না থাকলে আরও সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলে পারা যেত খুটিনাটি বিষয়গুলি।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।
৩২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমার নামে গল্প । পড়ি নাই এখনো আজ পড়বো ইনশাআল্লাহ
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:২২
নীল আকাশ বলেছেন: হায় হায় এখনও পড়েন নি এই গল্পটা? ব্লগ ডে ম্যাগাজিনেই তো এটা প্রকাশিত হয়েছে!
পড়ার পর আপনি জানাবেন কেমন লেগেছে?
ফাতেমা আমার পছন্দের একটা নাম। উনি বেহেস্তবাসী সকল নারীদের শ্রেষ্ঠা হবেন।
৩৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৪
নিভৃতা বলেছেন: পড়লাম গল্পটা। এ ধরণের ঘটনা এখন অহরহ ঘটছে সমাজে। সত্য ঘটনাটাকে অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আল্লাহ আপনাকে আরো ভালো লেখার তৌফিক দান করুন।
শুভ কামনা রইল।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৬
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি সবসময় এইসব সামাজিক সমস্যা নিয়েই লিখি। এই গল্পটা আমাদের ব্লগ ডে ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছিল।
আপনি এই ধরণের লেখা পড়তে চাইলে আমার নাবিলা সিরিজ পড়ুন। বিশেষ করে এটা পড়ে আসুন -
গল্পঃ নাবিলা কাহিনী ৪ - অচেনা হৃদয় (প্রথম পর্ব)
ব্লগের নির্বাচিত পোস্টেও এটা আছে। এটা পড়ার পর আপনি নাবিলার ভক্ত হয়ে যাবেন।
শুভ কামনা রইলো।
৩৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০০
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: গল্পটা ম্যাগাজিনেই পড়েছি, আমি গল্পকে গল্প হিসেবেই দেখি,সুন্দর সাবলীল উপস্থাপনা, আমার কাছে ভাল লেগেছে।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫৩
নীল আকাশ বলেছেন: তারেক ভাই,
দেরি করে ফেরার জন্য লজ্জিত। ইদানিং অফিসে খুব ব্যস্ত থাকতে হয়।
এই গল্পটা খুব মনোযোগ দিয়ে লিখেছিলাম। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হয়েছি।
ধন্যবাদ।
৩৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৫
নিভৃতা বলেছেন: আমিও সামাজিক সমস্যা নিয়ে লেখার চেষ্টা করি। কিন্তু এভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারি না। অবশ্য আমার বিশ্বাস একদিন আমি ভালোলিখতে পারবো।
পড়বো। আপনার সব গল্পই ধীরে ধীরে পড়ার চেষ্টা করবো।
আর মাস্টারমশাই, নিজের ঢোল নিজে পিটায় না
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৪
নীল আকাশ বলেছেন: কিন্তু এভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারি না। অবশ্য আমার বিশ্বাস একদিন আমি ভালো লিখতে পারবো।
আপনি অবশ্যই ভালো লিখেন। লেখা কিছুটা ষ্ট্র্যাকচারড ফ্রেমিং এর মধ্যে নিয়ে আসলে আপনার আর কোন কিছু নিয়েই চিন্তা করতে হবে না। ব্লগে এখন ভালো গল্প লেখক নেই। আমি চাইছি আপনি পারফেকশনের কাছে চলে যান।
আমি আমি মাস্টারমশাই না। সারা জীবনে শিক্ষকদের কাছ থেকে যত দূরে থাকা যায় ততটাই দূরে থেকেছি। এই নামে আরেকবার ডাকবেন তো আপনার ব্লগ থেকে শত হস্ত দূরে থাকবো ।
আমি ঢোল পিটাই নি। কেন বল্লাম এই গল্পটা পড়লেই বুঝবেন। আমার একটা গল্পের রের্কড - ২১৮২ বার পঠিত
৩ প্রিয় ১৭ লাইক। এটাও আপনাকে দেই নি। এইরকম/এরচেয়ে বেশিও আমার অনেক গল্প আছে সেটার কোনটাই দেই নি। আমি চাইছি আপনি এটা পড়ে দেখুন। আমি বার বার যেটা আপনার বিভিন্ন লেখায় বলছি সেটা একবারে বুঝে যাবেন।
ধন্যবাদ।
৩৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪
নিভৃতা বলেছেন: এইবার একটু সাহস পাইলাম। আবার লেখালেখি শুরু করবো তাহলে।
আচ্ছা উস্তাদজী, আর মাস্টারমশাই ডাকবো না। আপনি যদি আমার ব্লগে না আসেন তবে আমার সমস্যাগুলো কে ধরিয়ে দেবে।
ঢোল পেটানোর কথাটা মজা করে বলেছি। সিরিয়াসলি নিবেন না। নাবিলা কাহিনী অবশ্যই পড়বো আমি।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:২৯
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
কিছুদিন ধরে গল্প লিখতে ইচ্ছে করছে না। তাই ব্লগে সবার গল্প পড়ে বেড়াই। একটা উপন্যাস লেখার এই বইমেলায় বের করার পর মাথা থেকে গল্প লেখার ভূত পালিয়ে চলে গেছে। ব্যাটা'কে কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না। না পাওয়া পর্যন্ত আমার গল্প লেখা বন্ধ।
ভালো গল্প লিখুন, সহ ব্লগার হিসেবে আমাকে পাবেন মন্তব্যে।
শুভ কামনা রইলো।
৩৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩১
নিভৃতা বলেছেন: ভূত ব্যাটাকে তাড়াতাড়ি খুঁজে বের করুন। আপনার কড়কড়ে নতুন গল্প পড়ার প্রতিক্ষায় আছি।
আমিও এক বছর ধরে কিছুই লিখছি না। মাথায় গল্প তৈরি হয় এলেবেলে হাঁটে তারপর হারিয়ে যায়। সেগুলোকে আর লেখা হয় না।
কিছু কারণও আছে না লেখার।
যাই হোক। ভালো থাকুন। অনেক অনেক ভালো গল্প লিখুন। অফুরান শুভ কামনা।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২০
নীল আকাশ বলেছেন: ১।
আমিও এক বছর ধরে কিছুই লিখছি না। মাথায় গল্প তৈরি হয় এলেবেলে হাঁটে তারপর হারিয়ে যায়। সেগুলোকে আর লেখা হয় না। মোবাইলে ছোটকরে থীমটা লিখে রাখুন যেটা আমি করি। পরে সেটা ইলাস্ট্রেট করবেন।
২।
ছবি লাগলে এখান থেকে ধার করতে পারেনঃ
https://www.saatchiart.com/art-collection/Artush-Voskanyan/966944/276954/view
সামান্য উপহার দিলাম।
আমার শবনম পড়েছেন? বইমেলা ২০২০ এ ২১ তারিখে এক রঙ্গা এক ঘুড়ি স্টল ৫৮৭ তে বিকাল বেলা আসুন। ব্লগের অনেকেই আসবে আমি আসবো দেখে। জম্পেস আড্ডা হবে।
৩৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪১
নিভৃতা বলেছেন: এই কাজটা করি মাঝে মাঝে। থিমটা লিখে রাখি। কিন্তু প্রায় সময়ই লিখা হয় না।
লিংকটার জন্য অশোক ধন্যবাদ। ছবি নিয়ে খুবই সমস্যা আমার।
শবনম পড়া হয়নি। তবে পড়ার ইচ্ছা আছে। নামটা শবনম কেন? এই নামে তো সৈয়দ মুজতবা আলীর একটা বিখ্যাত উপন্যাস আছে।
আমি তো অনেক দূরে থাকি। তার উপর সংসারের মধুর বেড়াজাল। আসতে চাইলেও আসার উপায় নাই।
মিলনমেলা সফল হোক। দোয়া রইল।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১০
নীল আকাশ বলেছেন: থীমের জন্য এই নাম রাখা হয়েছে। শবনম মানে হলো ভোরের শিশির যা সূর্যের প্রথম আলোর প্রভাবেই ফুরিয়ে যায়। মানুষের জীবন এইরকমই ক্ষণস্থায়ী। আর এই ক্ষণস্থায়ী মানুষের জীবন নিয়েই এই বইয়ের পটভূমি। ফেসবুকে এই নিয়ে একটা আমার পেজে পোস্ট আছে, দেখে আসতে পারেন। আজকে পদাতিক দা একটা পোস্ট দিয়েছে 'শবনম'কে নিয়ে সেটাও দেখে আসতে পারেন।
ধন্যবাদ।
৩৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩০
নিভৃতা বলেছেন: পদাতিক দার পোস্ট দেখে মন্তব্য করে এসেছি অনেক আগেই।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪২
নীল আকাশ বলেছেন: জী, আমিও দেখে আসলাম।
আচ্ছা আপনি কী পেন্সিল বা লেখাঝোকায় লিখতেন? কিংবা অন্যকোন ফেসবুক গ্রুপে? এত আগের এত লেখা কোথায় ছিল তাহলে? লেখা পড়ে মনে হলো অনেকদিন হলো লিখছেন! লেখাঝোকায় তো শিখা আপু, জেসন ভাই আছেন এখন।
৪০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬
নিভৃতা বলেছেন: পেন্সিলে এড হওয়ার পর থেকেই আমার লেখালেখির আগ্রহ শুরু হয়। ওখানেই আমার সব লেখা প্রথম পোস্ট করতাম। ২০১৭ সাল থেকে লিখছি। এর আগে শুধু পড়তাম। লেখালেখি সাহস করে উঠতে পারিনি। পরে ক্যানভাসেও কিছুদিন লেখালেখি করি। লেখাঝোকা গ্রুপে আমি যুক্ত না। আপনি কি পেন্সিলে আছেন? ফেবুতে আমার আসল নাম Rumana Akter Jhumu
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৫৩
নীল আকাশ বলেছেন: দেরি করে ফিরে আসার জন্য লজ্জিত। আমি ইতিমধ্যেই আপনাকে আমাদের সামু গ্রুপে এ্যাড করার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, এবং নিরাপদে থাকুন।
৪১| ০১ লা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১
অধীতি বলেছেন: ব্লগ ডে ম্যাগাজিন কি বাহিরে পাওয়া যাবে?
০৩ রা মে, ২০২০ রাত ১২:৫৫
নীল আকাশ বলেছেন: আপনি কী সেটা কিনতে চান? তাহলে সেটা একরঙ্গা এক ঘুড়ি প্রকাশনীর সাথে যোগাযোগ করুন। বইমেলায় আমি এটা এখানেই বিক্রি করতে দেখেছিলাম।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩২
এম এ হানিফ বলেছেন: পাপের সময় লোক লজ্জার ভয় আমাদের নেই, স্রষ্টার ভয় তো নেই । দিনকে দিন বাড়ছে এসব ঘটনা। বিবেকের কাছে পরাজিত মনুষত্য আর মাতৃত্যবোধ ।