নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালাতে সবাই ছাত্র-ছাত্রী, \nনিত্য নতুন শিখছি মোরা সদাই দিবা-রাত্রী!

নীল আকাশ

এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

নীল আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নষ্ট সমাজ ব্যবস্থা ৪ঃ কতটা বেহায়া হলে কাউকে নির্লজ্জ বলা যায়!!! (প্রেক্ষাপট # বাংলাদেশের ফুটবল)

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৫



অব্যাহত পতনের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলের খেলার মান যেন হাস্যকর অবস্থায় পরিণত হয়েছে। বাফুফে সভাপতির অব্যাহত কথার ফুলঝুড়ির মাঝে পাড়ার ক্লাবের সঙ্গেও ইদানিং হারতে শুরু করেছে জাতীয় দল। বিশ শতকের শেষ আর একুশ শতকের শুরু থেকেই দেশের ফুটবলের পতনের শুরু হয়। সেই সঙ্গে শুরু হয় একের পর এক কোচ বদল। বাংলাদেশের ফুটবলে কোচের টিকে থাকা আর রাশিয়া বিশ্বকাপে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়া একই বিষয়।

ঠিক এই মুহূর্তে বিশ্ব ফুটবলের মানদন্ডে ১৮৭ নম্বর র‍্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। এই বছর ভুটানের কাছে দুবার হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তবু ২০১৯ সালকে সফল মনে করছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। ২০১৯ সালটা কেমন গেল দেশের ফুটবলের? কোনো তর্ক-বিতর্কে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। র‍্যাঙ্কিংকে ফুটবলের চূড়ান্ত মানদণ্ড ধরা যায় না, তবু একটি দেশের নিকট অতীতের সাফল্য-ব্যর্থতার একটি চেহারা ফুটে ওঠে তাতে। সে হিসাবে ১৮৭ র‍্যাঙ্কিং নিয়ে বছর শেষ করছে বাংলাদেশ, এতেই বোঝা যাচ্ছে দেশের ফুটবলের অবস্থা। তবু ২০১৯ সালকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের জন্য সফল বলছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।

এমন অবস্থায় কীভাবে সফল বলা যায় ২০১৯ সালকে এই প্রশ্ন যখন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কোচ গোলাম সারওয়ার টিপুর কাছে করা হলো, তিনি বললেনঃ
‘এটা কীভাবে সফল বছর হয়, বুঝলাম না। বলার জন্যই হয়তো বলা। পুরুষ ফুটবল ১৮৭ র‍্যাঙ্কিং। হারার ভয়ে নারী দলকে এসএ গেমসে পাঠানো হয় না। এরপরও যখন সফল, তখন বুঝতে হবে দেশের ফুটবলের অবস্থা। ভারতের বিপক্ষে একটা ড্র (বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাই) ছাড়া আমার চোখে ভালো কিছুই চোখে পড়েনি।’

বছর শেষের টুর্নামেন্ট দিয়েই শুরু করা যাক। চলতি মাসে কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত ভারতবিহীন দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে পাঁচ দলের টুর্নামেন্টে তৃতীয় হয়েছে বাংলাদেশ। ৪ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের একমাত্র জয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। গেমসের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভুটানের কাছে হারের স্বাদও মিলেছে। অনূর্ধ্ব-২৩ দলের মোড়কে প্রায় মূল জাতীয় দল খেলেছে গেমসে। তবু এমন পারফরম্যান্সে দলের করুণ ছবিই ফুটে উঠেছে কাঠমান্ডুতে। এই টুর্নামেন্টের আগে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ বাছাইপর্বেও প্রথমবারের মতো ভুটানের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। এমন ধারাবাহিক ব্যর্থতার পরও ২০১৯ সালকে সফল বলছেন বাফুফে সভাপতি, ‘২০১৯ সালকে আমি মনে করি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের জন্য একটি সফল বছর।’

২০১৯ সালে মোট ৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ৯ ম্যাচে ৪ জয়, ২ ড্র, ৩ হার। এর মধ্যে দুটি জয় এসেছে ঘরের মাঠে জাতীয় দলের মোড়কে খেলতে আসা ভুটান যুব দলের বিপক্ষে। ফুটবলের সবচেয়ে সফলতা যেটিকে ধরা হচ্ছে, সেটি বিশ্বকাপের মূল বাছাইপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন। কিন্তু এটি মন্দের ভালো ছাড়া কিছু নয়। শেষ রাশিয়া বিশ্বকাপে প্রাক্-বাছাইপর্বে খেলতে হয়নি বাংলাদেশকে। এবার তলানিতে নেমে যাওয়া খেলতে হয়েছে প্রাক্-বাছাইয়ে। সেই তলানি থেকে দুই লেগ মিলিয়ে ১-০ গোলের জয়ে লাওস-বাধা পার হওয়া ছিল অন্ধকারে একেবারেই হারিয়ে না যাওয়ার স্বস্তি।

মূল বাছাইয়ে এসে ৪ ম্যাচে তিনটি হার, এক ড্র। জয় নেই। তবে স্বস্তি এটাই, খেলার মানে উন্নতির লক্ষণ। যদিও বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে ৪-০ গোলের হার ও এসএ গেমসে ৫ দলের মধ্যে তৃতীয় হওয়ায় সেই উন্নতি নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। বাফুফে ভবনে বসে এসব কিছুকেই ফুটবলের অংশ বলে জানিয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন, ‘অবশ্যই ফুটবলে উত্থান-পতন আছে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভারত ও কাতারের বিপক্ষে পারফরমেন্স যেমন ভালো ছিল, আবার এসএ গেমসে নেমে গিয়েছে। সবকিছু মিলিয়েই ফুটবল। সফলতা থেকে শেখার আছে, ব্যর্থতা থেকেও শেখার আছে।’

বয়সভিত্তিক ফুটবলেও নেই কোনো সাফল্য। অনূর্ধ্ব-১৫ কিশোর সাফ ফুটবলের শিরোপা খোয়াতে হয়েছে। পুরুষ ফুটবলের যখন ত্রাহি অবস্থা, নারী জাতীয় দলের অবস্থা আরও খারাপ। ২০১৭ সালে ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ১০০-তে উঠে এলেও এই বছর ডিসেম্বরে এসে সেটা ১৩০-এ। ২০১৮ সালে সাফে রানার্সআপ হওয়া বাংলাদেশ এই বছর সাফে নেপালের কাছে ৩-০ ও ভারতের কাছে ৪-০ গোলে হেরেছে। জয় শুধু ভুটানের বিপক্ষে ২-০ গোলে। বাজে ফলাফলের শঙ্কায় এসএ গেমসে দলই পাঠায়নি বাফুফে।

সাফল্য অবশ্য কিছুটা আছে। ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৬ এএফসি টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ডে রানারআপ হয়ে চূড়ান্ত পর্বে ওঠে। অবশ্য বছরের প্রথমভাগেই একমাত্র শিরোপাটি জেতে মেয়েরা। সেটি এপ্রিলে ঢাকায় বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে। সেবারও ঝড়বৃষ্টিকে কারণ দেখিয়ে ফাইনাল ম্যাচ আয়োজন করেনি বাফুফে। ফলে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ ও লাওস।

সুত্রঃ

এই দেশের ফুটবল ইতিহাস কি বলে?


গেল শতাব্দীর শেষ দশক ছিল বাংলাদেশের ফুটবলের সেরা সময়। র‍্যাঙ্কিংয়ে দেখায় ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১৬ নম্বরে।

যেটা ২০০০ নাগাদ ১৫১ নম্বরে আসে। এরপর বাংলাদেশ ফুটবল দল ফিফার এই তালিকায় উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে যায়।

২০০৮ সালে বাংলাদেশ ছিল ১৭৪ নম্বর অবস্থানে, সেখান থেকে এক বছরের ব্যবধানে ১৪৯ নম্বরে উঠে আসে বাংলাদেশ।

কিন্তু এরপর নামতে নামতে ২০০ এর কাছাকাছি পৌঁছায়, অল্পের জন্য ২০০ না ছুঁলেও বাংলাদেশ ১৯৭ নম্বরে নেমে আসে ২০১৭ সালে।

এই ধারাবাহিক পতনের প্রায় পুরোটা সময় ধরেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
একটা দেশের ফুটবল’কে ধংশের শেষ সীমায় নিয়ে উনি এখন দাবী করছেন সাফল্যের কথা। বেহায়াপণার একটা সীমা তো থাকা উচিত!!!

দূর্নীতির আখরায় পরিনত হয়েছে বাফুফে


দুদকের কাঠগড়ায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। তার সাথে আরও ফেঁসে যাচ্ছেন বাফুফে সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরন ও প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবু হোসেন। বাফুফেকে দুর্নীতি দমন কমিশনের চিঠির বিষয়টি নাড়া দিয়েছে ফুটবল সংশ্লিষ্টদের। জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার ও সাবেক বাফুফে সদস্য হাসানুজ্জামান খান বাবলু বলেন, ‘সাবেক ফুটবলার হিসেবে এটা আমাদের জন্য লজ্জার। বাংলাদেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার কর্মকর্তাদের কাছে এমন চিঠি আমাদের জন্য বিব্রতকর।’

বাফুফের হিসাব-নিকাশ বরাবরই ধোঁয়াশাচ্ছন্ন। ২০০৮-১২ মেয়াদের নির্বাহী সদস্য বাবলু পরে বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ছিলেন। বাফুফের হিসাব সংক্রান্ত বিষয়ে তার মন্তব্য, ‘সাধারণ সদস্যরা হিসাব-নিকাশ নিয়ে কোনো তথ্য জানতে পারত না। নির্বাহী সদস্যরা যেখানে জানতে পারত না, সেখানে কাউন্সিলরদের জানাটা দুরূহ। গত ১০ বছরে মাত্র দুটি এজিএম ও দুটি ইজিএম হয়েছে। যেটা গণতান্ত্রিক ধারার বিরুদ্ধে।’

সাবেক কৃতী ক্রীড়াবিদ, মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুন নাহার ডানা বলেন, ‘ফুটবল ফেডারেশন ও তাদের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অনেকদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল। দুর্নীতি দমন কমিশন চিঠি দেয়ায় গুঞ্জন সত্যি হল। দেশের ফুটবলের স্বার্থে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’

বাফুফের সাবেক সদস্য আবদুল গাফফার এমন ঘটনায় ব্যথিত, ‘একজন সাবেক ফুটবলার হিসেবে আমি খুবই মর্মাহত। সামগ্রিকভাবে ফুটবলের জন্য বিষয়টি নেতিবাচক। ফুটবলে পৃষ্ঠপোষকতা এমনিতেই হয় না। এ ঘটনায় পৃষ্ঠপোষকরা আগ্রহী হবেন না। সংকট আরও বাড়বে।’

২০১৬ সালে ১৮ ডিসেম্বর যুগান্তরে একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল। বাফুফের ব্যাপক দুর্নীতি, নেতৃত্বের ব্যর্থতা এবং ফুটবলকে আবার টেনে তোলার ব্যাপারে করণীয় সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল সংস্থাটি। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক ফরিদ আহমেদের স্বাক্ষরিত চিঠি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করার উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু সেই উদ্যোগ থামিয়ে দেয়া হয়।
গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, একসময় ফুটবল ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। আজ বাংলাদেশের ফুটবলের অবস্থা শোচনীয়। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, ফুটবলের রুগ্ন অবস্থার জন্য বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন দায়ী। বর্তমানে ক্রিকেটসহ অন্যান্য ক্রীড়া আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। অথচ ফুটবল বাংলাদেশের জন্য অপমান বয়ে নিয়ে আসছে। যার কোনো কারণ থাকা উচিত নয়।

প্রতিবেদনে ফুটবলের বর্তমান শোচনীয় অবস্থার জন্য একাধিক কারণ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে বাফুফে সভাপতির চারিত্রিক দুর্বলতা, ফুটবল ফেডারেশনের ঋণ করা টাকায় জুয়ার আসর বসানো, সভাপতির অদূরদর্শিতায় বাংলাদেশের জরিমানা, বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ সরাসরি সম্প্রচারে টেলিকাস্টিংয়ের যন্ত্রপাতি ভাড়া করার নামে দুর্নীতি, প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের নাম ভাঙিয়ে ইউরো ফুটবল টুর্নামেন্টের টিকিট-দুর্নীতি, বাফুফে সভাপতি ও মাহফুজা আক্তার কিরনের যৌথ দুর্নীতি, সভার কার্যবিবরণী নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি, বাফুফের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা ও উত্তোলনে অনিয়ম, সিলেট বিকেএসপি ক্যাম্পাসে ফুটবল একাডেমির নামে দুর্নীতি, ফিফার প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর সংক্রান্ত আর্থিক দুর্নীতি, রাজনৈতিক আস্ফালন উল্লেখযোগ্য।

এসব দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার জেরে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে শিগগিরই প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে সরকারের ভাবমূর্তি ও ফুটবলের সার্বিক উন্নয়নের জন্য মঙ্গলজনক হবে বলে প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়। সেই সঙ্গে একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদ্ঘাটন করে সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিবাজদের অর্জিত সম্পদের সঠিক হিসাব নির্ণয় করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছিল।

কিন্তু যেই লাউ সেই কদু। কাজের কাজ কিছু হয় নি। কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয় নি। যার ফলে ক্রমাগত ভাবে ফুটবলের অধঃপতন চলছেই। সীমাহীন দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার ফলাফল এখন সবার কাছেই সুস্পষ্ট।
সুত্রঃ

বর্তমান সরকারের মতো এখানেও চলেছে স্বৈরাচারী ক্ষমতা দখলের রাজনীতি



ক্রীড়াঙ্গনের বৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের আরেকটি নির্বাচন দ্বারপ্রান্তে। ১৯৯৮ সাল থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে বাফুফের কমিটি গঠন হচ্ছে। ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল বাফুফের শেষ নির্বাচন হয়। চার বছরের মেয়াদ শেষের দিকে। নতুন নির্বাচন হতে বড়জোর চার মাস সময় আছে। বড় পদ সভাপতি হতে কারা নির্বাচন করবেন তা অনেকটাই স্পষ্ট। বাফুফে বর্তমান সভাপতি লোভী ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন এবং চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবল চেয়ারম্যান এবং সাইফ পাওয়ার টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যদিও দুজন চূড়ান্তভাবে ঘোষণা দেননি, তারপরও তাদের কার্যক্রমই বলে দিচ্ছে সভাপতি পদে তারা লড়বেন।

এর আগে তিনবার সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ফুটবলে নতুন রেকর্ড গড়েন সালাউদ্দিন। গত নির্বাচনী প্রচারের সময় সালাউদ্দিন মিডিয়াকে বলেছিলেন, এটিই তার শেষ নির্বাচন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেছেন। এখনই নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ক্রীড়াঙ্গন। দুজনই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সংগঠকদের নিয়ে। আজ গাজীপুরের একটি রিসোর্টে অনুষ্ঠিত হবে বর্তমান কমিটির অধীনে প্রথম সাধারণ সভা। আর এ সভায় তোপের মধ্যে পড়তে পারেন সালাউদ্দিন। গতবার তারই প্যানেলে পাস করা সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহি অডিট রিপোর্ট নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। আরেক সভাপতি বাদল রায়ও ফেডারেশনের কার্যক্রমে ক্ষুব্ধ। বিভিন্ন ক্লাব অংশগ্রহণকারী অর্থ ঠিকমতো না পাওয়ায় তারাও হতাশ। বাফুফে হিসাব নিয়ে কাজী সালাউদ্দিনকে দুদকও তলব করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করার অভিযোগের মামলায় মহিলা সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ জেলও খেটেছেন। মহি ও বাদল যেমন অডিট রিপোর্ট নিয়ে ক্ষুব্ধ, তেমনি নির্বাহী কমিটির বেশ কজন সদস্য সভাপতির কর্মকান্ডে সন্তুষ্ট নন। একজন সদস্য বলেন, বাফুফে যেভাবে চলছে তাতে তিন সদস্যের কমিটিই বলা যায়। তারাই নিজেদের খুশিমতো ফেডারেশন চালাচ্ছেন। বাকিদের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন মনে করেন না। অনেকে আজকের সাধারণ সভাকে নির্বাচনী শোডাউন মনে করছেন।
সুত্রঃ Click This Link

ফুটবলের কোচ নিয়োগ নিয়েও চলছে ভানুমতির খেলা



উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ থেকে চলতি ২০১৮ সাল পর্যন্ত ২০ জন কোচ এসেছেন এবং গিয়েছেন! এর আগে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত কোচের তথ্য পাওয়া যায়। ১৯৭৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ৩২ বছরে কোচ ছিলেন মাত্র ১২ জন। আর সর্বশেষ ১০ বছরের হিসেবে দেখা যায়, বছরপ্রতি ২জন করে কোচ এনেছে এবং বিদায় করেছে বাফুফে!

২০০৮ সালের মে মাস পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন দেশিয় কোচ সৈয়দ হাসান কানন। তারপর ২ মাসের জন্য আবু ইউসুফকে কোচ করা হয়। সাবেক তারকা শফিকুল ইসলাম মানিক ওই বছরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় দলের দায়িত্ব নেন ব্রাজিলের কোচ ডিডো। তিনি একটু বেশি সময় নভেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালনে সক্ষম হন। ওই বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২ মাস দায়িত্ব পালন করেন দেশিয় কোচ রিজওয়ান আলী জাহেদ।

২০১০ সালের জানুয়ারিতে আনা হয় সার্বিয়ান কোচ জোরান জর্জেভিচকে। উনি ফ্রেব্রুয়ারিতেই বিদায় হন। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন সাইফুল বারী টিটু। সেপ্টেম্বর থেকে ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত বেশ কয়েকমাস কাটিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ান কোচ রবার্ট রুবচিচ। ওই বছর জুনে এসেই বিদায় হন মেসিডোনিয়ান কোচ জর্জ ইভানোভস্কি। ওই মাসেই নতুন কোচ হিসেবে আসেন নিকোলা ইলিয়ভস্কি। টিকে যান ডিসেম্বর পর্যন্ত।

২০১২ সালের শুরু থেকে কোচহীন জাতীয় ফুটবল দল। সেপ্টেম্বরে পুনরায় দায়িত্ব পান সাইফুল বারী টিটু। কাটিয়ে দেন ডিসেম্বর পর্যন্ত। জানুয়ারি ২০১৩ সালে আসেন নেদাল্যান্ডের কোচ লডউইক ডি ক্রুইপ। গত ১০ বছরে তিনিই সম্ভবত বেশি সময় টিকে থাকা কোচ। টিকে যান ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ওই মাসেই নতুন কোচ হিসেবে আসেন ইতালিয়ান ফাবিও লোপেজ। নভেম্বরেই বিদায় নেন তিনি।

২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন দেশিয় কোচ মারুফুল হক। ফেব্রুয়ারিতে আসেন গঞ্জালো সানচেজ মরেনো। মে মাস পর্যন্ত টিকেছিলেন এই স্প্যনিশ কোচ। মে মাসে দায়িত্ব নিয়ে জুন মাসেই বিদায় হন নেদারল্যান্ডসের কোচ লুডউইক ডি ক্রুইফ। ২০১৬ সালের জুনে আসেন টম সেইন্টফিট। এই বেলজিয়ান কোচ টিকে যান অক্টোবর পর্যন্ত। তারপর আবারও কোচহীন বাংলাদেশ।

২০১৭ সালের মে মাসে নতুন কোচ হিসেবে আসেন ইংলিশ-অস্ট্রেলিয়ান অ্যান্ডু ওর্ড। চলতি বছরের এপ্রিলে তিনি যোগ দেন থাইল্যান্ডে ক্লাব এয়ারফোর্স সেন্ট্রাল এফসিতে। একটি জাতীয় দলের দায়িত্ব ছেড়ে অচেনা ক্লাবের দায়িত্ব নেওয়া মানে আমাদের ফুটবলের মান কতটা নীচে বুঝতে পারছেন? চলতি বছরের মে মাসে নতুন কোচ হিসেবে এসেছেন ইংল্যান্ডের জেমি ডে। কতদিন টিকতে পারেন দেখা যাক।
সুত্রঃ Click This Link

বাংলাদেশের ফুটবলের অতীত ইতিহাস:

বাংলাদেশের ফুটবলের অতীত ইতিহাস অত্যন্ত চমৎকার। এ ইতিহাস মাঝপথে সীমাহীন দূর্নীতিতে গতি হারিয়েছে। বাংলার ফুটবল গৌরবের জাদুকর সামাদের নামটি চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। বলা হয়, বল তাঁর পায়ে আঠার মতো লেখে থাকত। বল নিয়ে তিনি যা খুশি তাই করতে পারতেন। কৌশলে, চাতুর্যে, ভোজবাজিতে, তীক্ষ্ণবুদ্ধিতে তাঁর পা-শরীর-মাথা ও বল যেসব পরিস্থিতি ও দৃশ্যের অবতারণা করত, বিপক্ষ দলের কাছে তা ছিল অভাবনীয়। বল নিয়ে অদ্ভুত অবিশ্বাস্য কাণ্ড করার জন্যই তিনি হয়ে উঠেছিলেন ফুটবলের প্রবাদপুরুষ, অতুলনীয় জাদুকর। খুব মজা পেতেন বলে লাথি না দিয়ে গোল করতে। গোলকিপারকে যেন সম্মোহিত করে বল নিয়ে ঢুকে যেতেন গোলপোস্টের ভেতরে। কখনো কখনো সব খেলোয়াড়কে কাটিয়ে নিয়ে গোলকিপারকে একা পেয়েও করুণা করে গোল না দিয়ে বল নিয়ে ফিরে আসতেন মাঠের একপ্রান্তে। শুরু করতেন গ্যালারি শো। দর্শক মাতানোর তাঁর এই কৌশল তাঁকে কিংবদন্তিতে পরিণত করে।



১৯৫০-এর দশকে ঢাকা স্টেডিয়াম নির্মিত হওয়ার পরে ফুটবল খেলা বেশ জমাটি হয়ে ওঠে। মোহামেডান, ওয়ান্ডারার্স, ওয়ারী ক্লাব, আজাদ স্পোর্টিং বেশ জনপ্রিয় দল তখন। মোডামেডান ও ওয়ান্ডারার্সের মধ্যে সে সময় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতো। দর্শকেরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুই দলকে সমর্থন করত। আজাদ স্পোর্টিং ছিল ছিমছাম ও নান্দনিক ফুটবলের দল। ছন্দময় ফুটবল অনুরাগীদের অনেকেই ছিলেন এই দলের সমর্থক। এই চারটি দলকে নিয়েও ফুটবল উন্মাদনা কম ছিল না। কৈশোরত্তীর্ণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একসময় ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ফুটবলার ছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে শেখ কামাল প্রতিষ্ঠা করেন আবাহনী ক্রীড়াচক্র । এই দলের নান্দনিক কৌশলময় খেলা বিপুল দর্শকের চিত্তজয় ও উন্মাদনায় বিশাল ভূমিকা রাখে। মোহামেডান আর আবাহনীর খেলার দিনটি তখন হয়ে উঠত দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ।

এককালের দেশসেরা দুই ক্লাবের খেলা মনে করিয়ে দেয় ছোটবেলার ফুটবল উন্মাদনার এক ভুলে যাওয়া অধ্যায়ের কথা। ৮০র দশকের শেষ দু’এক বছর থেকে ৯০দশকের মাঝামাঝি সময়ের কথা। ফুটবল তখন এক মহা উন্মাদনার নাম। তখন আমরা স্কুলে পড়ি। দেশে তখন ফুটবলের পরাক্রমশালী দুটি ক্লাব ছিল, প্রথমটি ঐতিহ্যবাহী ঢাকার মোহামেডান স্পোটিং ক্লাব আর অন্যটি আবাহনী লিমিটেড। সারা দেশে সমর্থক দুই দলে বিভক্ত ছিল। আমি ছিলাম মোহামেডানের কট্টর সমর্থক। সত্যি কথা বলতে কি সেসময়ে মোহামেডান ও আবহনী এ দুটি প্রধান দলের পেছনেই ছিল শতকরা ৯০ ভাগ সমর্থক। তাদের লড়াই ছিল খুব মর্যাদাপূর্ণ। দু’দলের সাফল্যের মূল নিয়ামক ছিল মর্যাদাপূর্ণ এই লড়াইয়ের ফলাফল। কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান অবস্থা। তখনকার ফুটবলারদের মানও ছিল অনেক উন্নত। মোহামেডান দলে তখন খেলতেন কায়সার হামিদ, বাংলার ম্যারাডোনা খ্যাত সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালী সাব্বির, কানন, নকিব, জনি, জুয়েল রানা, মানিক, পনির সহ দেশবিখ্যাত সব খেলোয়ার। বিদেশী খেলোয়ারদের মধ্যে ছিল এমেকা, নালজেগার, নাসের হেজাজী, রাশিয়ান রহিমভ, ইরানিয়ান আর এক সুপারস্টার ভিজেন তাহিরি। এসব কুশলী প্লেয়ারদের ক্রীড়া নৈপুণ্য ছিল সত্যিই দেখার মত। ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত পরপর তিনবার অপরাজিত চ্যাম্পিয়ান হয়ে ”আনবিটেন হ্যাটট্রিক” করার অনন্য রেকর্ড স্খাপন করে সাদা-কালো জার্সিধারীরা। ফুটবলের লড়াই মাঝে মাঝে গ্যালারিতেও নেমে আসত। গ্যালারি তখন হয়ে উঠত উন্মত্ত, রণক্ষেত্র। নিজ দলের পরাজয় হলে স্টেডিয়াম এলাকায় প্রায়ই প্রলয় ঘটে যেত। মারামারি, দৌড়ানিতে গোটা এলাকা রণক্ষেত্র হয়ে উঠত। সেই সময়ে ঢাকায় একটা গল্প প্রচলিত ছিল। গল্পটি হলো, কোন এক নতুন দর্শক-সমর্থক গ্যালারিতে বসে আরামসে খেলা দেখছেন। হঠাৎ প্রিয় দলের গোলে গলা ছেড়ে ‘গোওওওল’ বলে চিতকার করে পড়ে গেলেন মহাবিপদে। আসলে না জেনেই তিনি বিপক্ষ দলের গ্যালারিতে বসেছিলেন। ও হ্যা একটা কথা বলাই হয়নি, গ্যালারিও তখন দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগ সাদা কালোর দখলে অন্য ভাগে আকাশীর দৌরাত্ব। ভুলক্রমে এর অন্যথা হলে বড়ই বিপদের ব্যাপার ছিল! শুধু কি তাই? তখন এই দুদলের দ্বৈরথ অন্য এক মাত্রা পেয়েছিল। যার প্রমাণ “আবাহনী আবাহনী মোহামেডান, কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমান সমান” গানটি। বাংলা সিনেমায়ও জায়গা করে নিয়েছিল এই দুলের প্রাণবন্ত, তুমুল উত্তেজনাময় খেলা।
বিশ শতকের শুরু থেকেই পূর্ববাংলার গ্রামেগঞ্জে ফুটবল বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। সেই ধারাবাহিকতায় টেলিভিশনের যুগে বাংলাদেশে এল বিশ্ব ফুটবলের এক মনমাতানো উপহার। বিশ্বকাপ এলে বোঝা যায় বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের কী উন্মাদনা! বাংলাদেশ দল খেলছে না, তাতে কী? এইদেশের মানুষের রক্তে আছে ফুটবলের নেশা। অতএব সমর্থন করো নান্দনিক ফুটবলের কারিগর ব্রাজিল, না হয় আর্জেন্টিনাকে। এ দুই দলের ভক্তে বিভক্ত সারা বাংলাদেশের ফুটবল-পাগল দর্শক। কিছু কিছু সমর্থক জার্মানি, ইটালি, ফ্রান্স বা আফ্রিকার কোনো কোনো দলের। শুধু কি সমর্থন, বিভিন্ন দেশের পতাকায় পতাকায় ছেয়ে যায় বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ফুটবলপ্রিয় মানুষের ঘরবাড়ি, দোকানপাট, উঁচু গাছ, বা দালানকোঠার। কোনো কোনো দর্শক চমক দেওয়ার জন্য সর্ববৃহৎ পতাকা উড়িয়েও বাজিমাত করতে চায়। তিরিশ বা চল্লিশ ফুট বা আরও লম্বা পতাকাও তৈরির গোপন প্রতিযোগিতা চলে।


শেষ কথাঃ


দুঃখের বিষয় হচ্ছে প্রায় অর্ধশত বছর ধরে খেলে আসা ফুটবলে এখন আমাদের অবস্থান সত্যি প্রচন্ড হতাশাজনক। প্রতিবার বিশ্বকাপ আসলে সারা দেশেই ফুটবল নিয়ে উন্মাদন সৃষ্টি হয় সেটা দেখেও এর সাথে সংশ্লিট ব্যক্তিদের বোধদয় হয় না। ফুটবলে এই দেশকে এগিয়ে নিতে হলে তৃণমূল পর্যায় থেকেই খেলোয়াড়দের সৃষ্টি করতে হবে। তৃণমূল পর্যায় থেকে আরও প্রতিভা অন্বেষণে বেশি বেশি করে বিভিন্ন ধরণের টুর্নামেন্টের আয়োজন করলে অনেক মেধাবী খেলোয়াড়রা উঠে আসতে পারবেন। আমাদের তৃনমূল পর্যায়ে যারা মেধাবী খেলোয়াড় রয়েছেন তাদের নিবিড় প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই তাদের প্রতিভা বিকশিত হবে। এটাই একমাত্র রাস্তা।

কোথায় হারিয়ে গেলো বাংলাদেশের ফুটবলের সেই দাপট? পুরোনো এই প্রশ্নটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে বারবার। কিছুদিন আগেও র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৯৭তে নেমে গিয়েছিল যেটা সর্বনিন্ম র‍্যাঙ্কিংয়ের ইতিহাস, অতীতে কখনোই র‍্যাঙ্কিংয়ের এতোটা নিচে নামেনি বাংলাদেশ। একটা সময় প্রতিবেশি দেশ ভারত র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের কাছাকাছি অবস্থানে থাকতো। কিন্তু এখন র‍্যাঙ্কিংয়ে ভারত তড়তড় করে এগুচ্ছে আর বাংলাদেশ নামতে নামতে সর্বনিম্ন অবস্থানে চলে গেছে। ১৯৯৬ সালে ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ১১০ নম্বর অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। সেই ফুটবল পাগল দেশটা এখন কিনা র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৯৭ নম্বরে! ভাবা যায় কোথায় এখন আমরা?

এশিয়া কাপ বাছাই পর্বের প্লে-অফের ফিরতি পর্বে ভুটানের কাছে ৩-১ ব্যবধানে পরাজয়কে মনে করা হচ্ছিল বাংলাদেশের ফুটবলের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেয়ার মত। লজ্জাজনক ওই পরাজয়ের পর অনেক কথাই উঠছে। বাফুফে কর্মকর্তাদের পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে সচেতন মহল থেকে। যদিও তারা ঠিকই নির্লজ্জভাবে গদি আঁকড়ে পড়ে রয়েছেন, নতুন নতুন পরিকল্পনা দিচ্ছেন, হাস্যকর সব ক্যালেন্ডার ঘোষণা করছেন।

কিন্তু ভুটানের কাছে সেই পরাজয়ের ঢেউ যে কোথায় গিয়ে আছড়ে পড়তে পারে, তা হয়তো কারও কল্পনাতেই ছিল না। সেই প্রভাবটা খুব বাজেভাবেই পড়েছে ফিফা র‍্যাংকিংয়ের ওপর। ফিফা র‍্যাংকিংয়ের বলছে ইতিহাসের সবচেয়ে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে বাংলাদেশের ফুটবল। ফিফার সদস্য মোট ২০৫টি দেশ। সর্বনিম্ন ২০৫তম স্থানে রয়েছে টোঙ্গা। এভাবেই যদি চলতে থাকে বাংলাদেশও একসময় র‍্যাংকিয়ে ডাবল সেঞ্চুরি করবে আর আমাকে এসে সেই দুঃখে পোস্ট দিতে হবে।

এই দেশের ফুটবল খেলা গ্যালারীতে যেয়ে দেখা হয় না প্রায় বহুদিন হয়ে গেল। তারপরও দেশের ফুটবল নিয়ে যেকোন খবর মনোযোগ দিয়ে পড়ি আর মনে মনে স্বপ্ন দেখি ঠিক ঠিক একদিন আমরা বিশ্বকাপে খেলতে পারবো। না চাইতেও মনে পড়ে যায় ফেলে আসা সেই সব ফুটবলের সোনালী দিনগুলির কথা!

সময়ের কালস্রোতে, দূর্নীতির আখড়ায় আর বাস্তবতার জঘন্য নির্লজ্জতায় আমরা ভরাক্রান্ত।

কেউ কি আমায় ফিরিয়ে দিতে পারবেন মোহামেডান আর আবাহনীর খেলার দিনগুলির মতো দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ সেই মুহূর্তগুলি আবার!

একই বিষয়ে আমার আগের পোস্টঃ [link|https://www.somewhereinblog.net/blog/nilakas39/30245840|নষ্ট সমাজ ব্যবস্থা ১ঃ ফুটবল, বাংলাদ্শে আর বাস্তবতা


সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@ নীল আকাশ, ডিসেম্বর ২০১৯

মন্তব্য ৬৫ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৬৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সেই হিসেবে বাংলাদেশ মহিলা ফুলবল দল উজ্জ্বল। ভবিষ্যতে আরও ভাল করবে।

পুরুষ ও নারী ফুটবল দল আরও উন্নত হোক সেই কামনা কির।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩১

নীল আকাশ বলেছেন: এটা আমরা সবাই চাই কিন্তু যারা চাইলে আসলে উন্নতি হতে পারতো তারা ডুবে আছে সীমাহীন দুর্নীতির মাঝে। আমাদের আবেগ এদের কাছে এখন শুধুই ব্যবসা আর লুটপাট করার জায়গা।
ধন্যবাদ।

২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩১

জুন বলেছেন: আবাহনী মোহামেডান যখন খেলা হতো তখন পাড়ায় পাড়ায় তাদের সমর্থকদের বাড়ির ছাদে দুই দলের পতাকা উড়তো এখন যেমন ব্রাজিল আর্জেন্টিনার পতাকা উড়ে বিশ্বকাপের সময় নীল আকাশ। বাসায় দুই দলে বিভক্ত পরিবারের সদস্যরা। এখন ফুটবল ব্রাত্য হয়ে পরেছে এলিট খেলা ক্রিকেটের কাছে। গ্রাম বাংলায় জাম্বুরা নিয়ে আর ছেলেপুলেদের দল ফুটবল খেলে না, খেলে আমাদের দেশের সর্বোচ্চ পৃষ্ঠপোকতা ধন্য খেলা ক্রিকেট। যদি কোনক্রমে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পায় এই লোভে হয়তো বা, জানিনা ঠিক।
বড়ই দুর্ভাগ্য আমাদের।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৯

নীল আকাশ বলেছেন: আপু আমরা বড়ই দুর্ভাগা এই জাতী। নতুন কিছু তো পাওয়া যায় না, আগের সাফল্যগুলিও ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে। আজকে একটা মন্তব্য পড়ে খুব মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এতটা বেহায়া কিভাবে হয় মানুষ?

এবারের ব্লগ ডে ম্যাগাজিনে আপনার উপদেশ মতো গল্প লিখেছি, একদম নিজের মতো করে। এটা ছাপা হয়েছে। জন্মই আজন্ম পাপ। ব্লগে পোস্ট দিবো।
ধন্যবাদ।

৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪২

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: দারুণ একটি বিশ্লেষণধর্মী পোস্ট বলে মনে হচ্ছে। এখনো পড়িনি।

। আমি একজন খেলাপ্রিয় মানুষ। বিশেষ করে ফুটবল।

বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখি।
আবার আসব লেখাটি পড়ে মন্তব্য মতামত জানানোর জন্য।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৫

নীল আকাশ বলেছেন: আমি আপনার ফিরে এসে দারুন একটা মন্তব্য দেয়ার জন্য অপেক্ষা করবো।
ধন্যবাদ।

৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ফুটবলের এই অধঃপতন খুবই দুঃখজনক, ফুটবলকে জাগিয়ে তোলার কোন উদ্যোগ চোখে পড়ে না, যার পরিনতি আজকের এই র‍্যাংকিং।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৮

নীল আকাশ বলেছেন: তারেক ভাই,
শুধুই যদি খেলার জন্য এই অধঃপতন হতো তাহলেই মেনে নিতাম। কিন্তু অল্প কিছু স্বার্থপর লোকজন এটাকে লুটপাটের আখড়া বানিয়ে ফেলেছে। ক্যাসিনো তেও নাকি কেউ কেউ জড়িত বলে পেপারে নিউজ এসেছে। এভাবে তো ফুটবল চলতে পারে না।
ধন্যবাদ।

৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: দক্ষ এবং যোগ্য লোকের অভাবে আজ ফুটবলের এই অবস্থা।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৫

নীল আকাশ বলেছেন: একদম আমার মনের কথাটাই বলে দিয়েছেন। ধন্যবাদ।

৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শুধু ঢাকা ভিত্তিক ক্লাব ফুটবল আর জাতীয় দল নিয়ে বসে থাকলে আরো অধপতন নিশ্চিত।

বিকেসপি থেকে সামান্য খেলোয়াড় তৈরি হচ্ছে। কিন্তু মেধাবী খেলোয়াড় পেতে হলে তৃনমুলে হাত দিতে হবে।
যে দেশে স্কুলে কোন ফুটবল খেলা হয়না, বার্ষিক প্রতিযোগিতা হয় না, সেখানে নতুন ফুটবলার তৈরি হবে কিভাবে?
বয়স ভিত্তিক ইন স্কুল ও ইন্টার স্কুল ফুটবল বাধ্যতামুলক ভাবে চালু করা দরকার। প্রতি বছর শেষে নিয়মিত টুর্নামেন্ট হতে হবে।
উন্নত দেশে স্কুল প্রতিযোগিতা থেকেই বাস্কেটবল, বেসবল, সকার (ফুটবল), আমেরিকান ফুটবল সহ সকল স্টার খেলোয়ার বের হয়ে আসে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২২

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই এটাই তো আসল সমস্যা। সালাহউদ্দিন শুধু গ্যালারি শো করতে চায়। আজকে মেসি কে আনে তো কালকে আনে ম্যারাডোনা কে! এদের কে নিয়ে আসলে কি আমাদের দেশে খেলার মান উন্নতি হবে। সব লুটপাটের রাজত্ব। অথচ মাত্র কয়েক বছর আগেও যেই দেশ গুলি আমাদের সাথে হারতো সেইগুকির সাথে এখন আমরা নিয়মিত হেরে যাচ্ছি। (ভূটান, নেপাল ...)
বয়স ভিত্তিক কিংবা জেলা ভিত্তিক কোন আয়োজন নেই।
ফিফার দেয়া সব সাহায্যের হরিলুট হয়েছে গত এক দশক ধরে।
ভালো খেলোয়ার আসবে কোথা থেকে? দেশে নেই দেখে জামালরা আসে বিদেশ থেকে । কি লজ্জা বলুন?
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটা রিলেভেন্ট মন্তব্য করার জন্য।

৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: কর্তাব্যক্তিদের অবহেলা, দুর্নীতি আর অযোগ্যতার ফলে বাংলাদেশের খেলা নিয়ে মানুষের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। এবারের বিপিএলে দর্শকের সংখ্যা দেখলে মায়া লাগে। একজন ফেইসবুকে পোস্ট দিয়েছে "আমার এক্স গার্লফ্রেন্ডের 'জাস্ট ফ্রেন্ডের' সংখ্যাও বিপিএল এর দর্শকসংখ্যার চেয়ে বেশি"।

হয়তো মজা করে বলেছে, কিন্তু চিত্র এ রকমই। নব্বুই দশকের মাঝামাঝি সময়ে পল্টনে স্টেডিয়ামে গিয়ে লিগের ফুটবল খেলা দেখতে গিয়ে আমি নিজে দেখেছি এ দেশের ফুটবল নিয়ে মানুষের উত্তেজনা..... আজ কোথায় সে সব হারালো কে জানে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

নীল আকাশ বলেছেন: পুরো ব্যাপারটা ইচ্ছেকৃত। দেশের ফুটবলের আজকে এই বারোটা বাজানোর জন্য শুধুমাত্র একজন দায়ী। দিনের পর দিন মানহীন খেলা দেখতে দেখতে আজ সারা দেশের মানুষ ফুটবল থেকে মাথা ঘুরিয়ে নিয়েছে।
আমার বড় ভয় হয় আর কোন দিনও কি আমরা সেই আগের জায়গায় ফিরে যেতে পারবো?

৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৪

ইমরান আশফাক বলেছেন: ফুটবল খেলবেন কোথায়? মাঠ কই? সালাহউদ্দীন গং বলেন বা অন্য যে কেউ এসে হাল ধরুক, বাফুফের খোলনলচে বদলে না ফেলা পর্যন্ত আমাদের ফুটবলের কোন উন্নতি হবে না। কারন ফুটবল খেলতে হবে গোটা বাংলাদেশ জুড়ে, স্কুল ও বয়সভিত্তিক খেলগুলো জরুরীভিত্তিতে চালু করতে হবে। বাংলাদেশব্যাপী প্রথম ও প্রিমিয়াম লীগ চালু করতে হবে যেগুলির খেলোয়াড় সাপ্লাই লাইন হবে স্হানীয় টূর্নামেন্ট থেকে উঠে আসা প্লেয়ার।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০০

নীল আকাশ বলেছেন: পারফেক্ট কথা বলেছেন।
দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দরকার। আর তার জন্য দরকার কিছু নিবেদিত প্রাণ যারা আবার
শুকিয়ে যাওয়া নদীতে জোয়ার এনে দেবে।
এইসব জঘণ্য লোভী আর দূর্নীতিবাজদের দিয়ে কোন ভাবেই দেশের ফুটবলের উন্নতি করা সম্ভব না।
শুভ রাত্রী।

৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫

ফয়সাল রকি বলেছেন: ক্রিকেটের জোয়ারে একদিকে যেমন ফুটবল ভেসে গেছে তেমনি আবার ব্যক্তি স্বার্থের কিছু ঘটনাও ঘটে, আবার তৃণমূল পর্যায় থেকে খেলোয়ার খোঁজার কাজটাও থমকে গেছে.... সব মিলিয়ে স্বপ্ন দেখাই একমাত্র ভরসা।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: অথচ একসময় আমরা ফুটবল খেলায় কতই না ভালো করছিলাম। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল আরেকটু চেষ্টা করলেই বিশ্বকাপে চান্স পেয়ে যাবো।

আমি ইচ্ছে করেই অপকর্মের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছি যেন সবাই বুঝতে পারে শুধু মাত্র একজন লোভী মানুষের জন্যই দেশের ফুটবলের আজকে এই অবস্থা!
শুভ রাত্রী।

১০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



ফুটবলারদের দক্ষতা বাড়ানোর ব্যাপারে কোন আয়াত টায়াত নেই?

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪১

নীল আকাশ বলেছেন: এইসব আয়াত টায়াত তো আপনার নেত্রী উনার সাগরেদ মাঝে নিয়মিত বিতরণ করেন। এতদিন ধরে নির্লজ্জ দালালী করে এইগুলির উচ্ছিষ্টও কিছু জোটে নি?
এত দিন ধরে বেহুদাই ফাও ফাও প্যাঁচাল পেড়ে যাচ্ছেন?

১১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


মেয়েরা হাফপ্যান্ট পরে ফুটবল খেলে, সেই খেলা আপনি চুরি করে দেখেন দেখেন নাকি?

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩২

নীল আকাশ বলেছেন: কিছু মানুষের বৃদ্ধ বয়সে রূচির বিকৃতি ঘটে। মেয়ে দেখলেই লালা ঝরে। নিজের পুরুষত্বের ঘাটতি আচার আচরণে প্রকাশ পায়। আমার ধারণা ছিল আপনার অবস্থা এতটা খারাপ অবস্থায় পৌছায় নি এখন। কিন্তু আজকে এই মন্তব্য দিয়ে আপনি আমাকে ভুল প্রমাণ করে একেবারেই হতভম্ব করে দিলেন।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৭

নীল আকাশ বলেছেন: ইচ্ছে করলে আমি এটা রির্পোট করতে পারতাম।
কিন্তু আপনার রূচি আসলে কতটা বিকৃত সেটার প্রমাণ থাকা দরকার।
এই পোস্ট যে মডারেটর পড়ে এটাকে নির্বাচিত পোস্টের জন্য সিলেক্ট করেছেন সেটা জানেন?
এবার কি মডারেটর'কেও জিজ্ঞেস করবেন উনি এই কাজ করেন নাকি?

১২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


বুড়ো মানুষদের সমস্যার শেষ নেই; মেয়েদের হাফপ্যান্ট পরে ফুটবল খেলা নিয়ে আপনার মতামত লেখেন; তাদেরকে কি শাড়ী বা পায়জামা পরে খেলতে হবে? এই ব্যাপারে কোন আয়াত টায়াত?

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮

নীল আকাশ বলেছেন: নির্বোধের মতো মন্তব্য না লিখে উপরে যা যা বলেছেন সেটার সাথে পোস্টের কি সর্ম্পক আছে সেটা বলুন?

আপনি না সবাই কে উপদেশ দিয়ে বেড়ান পোস্ট সর্ম্পকিত মন্তব্য করার জন্য?

হিসাব করেছেন কখনও দিনে কয়টা আপনার মন্তব্য মডারেটর ডিলিট করে দেয়?
এই রেটে অন্যকোন ব্লগারের মন্তব্য ডিলিট করলে সেই ব্লগার এতদিনে নিশ্চিত অপমানে কলাগাছে যেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পরতো!



১৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


চারিদিকে কথা না বলে, মেয়েদের হাফপ্যান্ট পরে ফুটবল খেলার সমাধান দেন; ইসলামে নিশ্চয় মেয়েদেরকে হাফপ্যান্ট পরে খেলার অনুমতি দেয়নি; ভুতের মতো বকবক না করে, ইসলামী সমাধান দেন।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০২

নীল আকাশ বলেছেন: আমার এই পোস্টে আমি মেয়েদের ফুটবল খেলা নিয়ে কি কিছু লিখেছি?
এইসব গার্বেজের মতো মন্তব্য করে যাচ্ছেন কেন?
.....বেশি উঠে গেছে নাকি?

১৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ওকে, বিদ্যার জোর বুঝা গেলো!

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১০

নীল আকাশ বলেছেন: আমার বিদ্যার দৌড় আছে দেখেই এই পোস্ট দিয়েছি। পারলে এই রকম একটা পোস্ট দিয়ে দেখান।
আর আপনার বিদ্যার দৌড় কতখানি সেটাও বুঝা গেছে, ৫টা মন্তব্য করেছেন যার একটা পোস্টে সাথে সর্ম্পকীত নয়।
আপনাকে একজন ব্লগার ভাবাই চরম বোকামী। আপনার মন্তব্যগুলির উত্তর দেয়া মানেই আসলে অহেতুক সময় নষ্ট।

১৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,




বাংলাদেশের ফুটবল এখন ক্রিকেট ব্যাটের ছক্কায় মাঠের বাইরে। ফুটবল মাঠে এখন দূর্নীতির ঘাস চাষ হয়। জাম্বুরা দিয়েও মাঠে আজকাল কেউ "ফুটবল- ফুটবল" খেলাও খেলেনা। অবশ্য ফুটবল মাঠ এখন আছে কিনা সন্দেহ।

সহব্লগার "জুন"ও পুরোনো সেই দিনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। ফুটবলের মতো ক্রিকেটও একদিন মাঠ থেকে হাওয়া হয়ে যাবে। কারন তৃনমূল থেকে খেলোয়ার তৈরী করা বাদ দিয়ে আত্মীয়স্বজনকে জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা সব কর্মকতা রয়েছে যে প্রতিটি ক্রীড়া পর্ষদে। এ জন্যে আপনার গ্রাফের মতোই সব খেলা নিম্নগামী হতে আর বেশি দিন বাকী নেই।
বাংলাদেশের খেলা নিয়ে আমি আশাবাদী নই। বাস্তবতা বুঝেও যারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা নিজেদেরকেই চোখ ঠাওড়ান।

লেখা ভালো হয়েছে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৬

নীল আকাশ বলেছেন: গুরুজী,
এখন ভাবতেও অবাক লাগে একদিন আমরা এই উপমহাদেশের সবচেয়ে ভালো ফূটবল খেলতাম।
এই দেশ থেকে প্লেয়ার'রা ভারতে হায়ারে খেলতে যেত!
বছর বললে কম হবে, প্রায় একযুগের কাছাকাছি সময় ধরে একটা মানুষ পুরো জাতীর ইচ্ছা আর ভালোবাসাকে গলা টিপে ধরে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করে যাচ্ছে। সীমাহীন দূর্নীতি'তে বাফুফে একদম ডুবিয়ে দিয়েছেন।
এই সালাহউদ্দিন খেলোয়াড় হিসাবে যতোটা ভালো ছিল, প্রশাসক হিসাবে ততোটাই জঘন্য।

বাফুফের এখন দূর্নীতিতে যেই অবস্থা, এর পুরো খোলনলচে বদলে না ফেলা পর্যন্ত আমাদের ফুটবলের কোন উন্নতি হবে না। কারন ফুটবল খেলতে হবে গোটা বাংলাদেশ জুড়ে, স্কুল ও বয়সভিত্তিক খেলগুলো জরুরীভিত্তিতে চালু করতে হবে। বাংলাদেশব্যাপী খেলোয়াড় সাপ্লাই লাইন হতে হবে, প্লেয়ার'রা হবে স্হানীয় বিভিন্ন টূর্নামেন্ট থেকে উঠে আসা।
উপরে ৬ নাম্বার মন্তব্যতে হাসান কালবৈশাখী ভাই যা বলেছেন সেটা ছাড়া আর কোন উপায়ই নেই।

ফুটবলের এই অধঃপতন খুবই দুঃখজনক, ফুটবলকে জাগিয়ে তোলার এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। শুধুই যদি খেলার জন্য এই অধঃপতন হতো তাহলেই হতো। কিছু স্বার্থপর লোকজন এটাকে লুটপাটের আখড়া বানিয়ে ফেলেছে। ক্যাসিনোতেও নাকি কেউ কেউ জড়িত বলে পেপারে নিউজ এসেছে। এভাবে তো ফুটবল চলতে পারে না, অসম্ভব!!!!

সারাদেশে ব্যাপক গন-সচেতনতা সৃষ্টি করতেই হবে। শুধু মুখে মুখে আশাবাদ ব্যক্ত করে গেলেই হবে না।
বাস্তবতা নিয়ে সুন্দর মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।

১৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সালাহউদ্দিন তো দেশের ফুটবলকে পুরো কবর দিয়ে তবেই যাবে। এটা নিয়ে চিন্তার তেমন কিছু নাই। ছাগলটা খেলোয়াড় হিসাবে যতোটা ভালো ছিল, প্রশাসক হিসাবে ততোটাই খারাপ। তবে, ছেলেদের তুলনায় সময়ের হিসাবে মেয়েদের ফুটবল অনেক উন্নতি করেছে। দেশে ছেলেদের ফুটবল বন্ধ করে শুধু মেয়েদের ফুটবল চালু রাখলে কেমন হয়, মাহফুজা আখতার কিরনকে বাফুফের সভানেত্রী বানায়ে দ্যান। :P

আপনার একটা পোষ্টে মন্তব্য করেছি বেশ অনেকদিন আগে, রেসপন্স করেন নাই এখনও। ঘটনা কি?? X((

০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৫

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
সমস্ত সমস্যা এই একজন সৃষ্টি করেছে। জোর করে ক্ষমতা দখল করে বছরের পর বছর ধরে বাফুফের টাকা পয়সা সহ ফিফা'র সমস্ত সাহায্য হরিলুট করে যাচ্ছে। আর এর আছে চাপাবাজ গলা ঠিক বর্তমান সরকারের মতো।
দিনের পর দিন ধরে এই অবৈধ সরকারের দাপটে ফুটবল'কে খাদের একদম কিনারায় নিয়ে গেছে।
অথচ সরকারের কোন বিকারই নাই।
খুব খারাপ লাগে রে ভাই! কি থেকে কি হয়ে গেল?
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।


১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১২

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার একটা পোষ্টে মন্তব্য করেছি বেশ অনেকদিন আগে, রেসপন্স করেন নাই এখনও। ঘটনা কি??
ব্লগের নোটিফিকেশনের সমস্যার কথা তো আপনি নিজেই জানেন। নতুন করে আর কী বলবো?

১৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনেক ভয় টয় দেখালেন, রিপোর্ট করবেন, মিপোর্ট করবেন; এই হলো আপনার ব্লগিং। ইসলামে মেয়েদের ফুটবলখেলা মেনে নেয়ার কথা নয়; করেন ম্যাঁওপ্যাঁও ব্লগিং

০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫০

নীল আকাশ বলেছেন:
আপনার মতো এত বড় ধাপ্পাবাজ সারা ব্লগে আর কেউ নেই। একজনের ব্লগে যেয়ে আদম হাওয়া নেই বলে চাপাবাজি করে এসে আমার কাছে আয়াত টায়াত চাচ্ছেন?
ধাপ্পাবাজদের জন্য আমার কাছে কোন আয়াত নেই।
আয়াত টায়াত বেশি দরকার পরলে ইলেকশন আসলেই জনগনের সাথে ধাপ্পাবাজি করার জন্য যেই নেত্রী মাথায় কালো হিজাব বেঁধে তসবী হাতে টিভিতে কান্নাকাটি করে তার কাছে যান। উনি একদম ফ্রী ফ্রী বাকশালী আয়াত টায়াতের সাথে স্পেশাল ভারতীয় পানি পড়াও দিয়ে দেবে।
ঠিক জায়গায় অতি সত্ত্বর যোগাযোগ করুন!


১৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৪

মলাসইলমুইনা বলেছেন: হাহাহা --

১৯৭-এই আটকে রাখতে চান ! ডাবল সেঞ্চুরিটা করতে দিতে চাচ্ছেন না ? আপনিতো খুব দেশ প্রেমিকের মতো কথা বলছেন না দেখি !

হাসান কালবৈশাখীর মন্তব্যটা সালাহউদ্দিনকে বলতে হবে । ফুটবলের উন্নতি চাইলে প্রাইমারি স্কুল থেকেই খেলোয়াড় বানাবার চিন্তা করতে হবে। ক্লাস ফাইভ, এইট, টেন, কলেজ লেভেল পর্যন্ত ক্লাস ভিত্তিক/বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতা থাকতেই হবে উন্নতি চাইলে । দেশের এতো ছেলের মধ্যে থেকে বেছে বিশ বাইশ জনের একটা ভালো জাতীয় দল বানানো কঠিন না বলেই আমি মনে করি। হাইস্কুল বা ক্লাস এইট থেকে বিকেএসপির জন্য খেলোয়াড় বাছাই করা যেতে পারে স্কুল পর্যায়ের প্রতিযোগিতার ভিতিত্তে (মেসির প্রতিভা ছিল সব সময়ই কিন্তু তার প্রতিভা বিকাশের কাৰণ কিন্তু লা মেসিয়ায় তার পরিচর্চা । জাভি, ইনিস্টিয়া সবাই কিন্তু লা মেসিয়ারই প্রোডাক্ট । সেটা মনে রাখতেই হবে আমাদের ফুটবল কর্মকর্তাদের )

শুধু প্রতিযোগিতা থাকলেই চলবে না এর প্রচারও থাকতে হবে। মোটিভেশনাল ইনসেনটিভ দিতে হবে এই প্লেয়ারদের, টিমের সাথে জড়িতদের । প্রতিটা খেলায় স্কুলগুলোর জন্যও ইন্সেন্টিভের ব্যবস্থা করতে হবে তাহলে স্কুলগুলো মনোযোগী হয়ে তাদের দলগুলো করবে। সম্ভব হলে স্কুলগুলোর সরকারিকরণ বা শিক্ষকদের সরকারি পে স্কেল নিশ্চিত করণের বিষয়গুলোও খেলায় অংশগ্রহণের সাথে ট্যাগ করতে হযে । একটা নির্দিষ্ট পর্যায় থেকে (জেলা পর্যায় থেকে হতে পারে স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলোর সাহায্য নিয়ে) স্কুলগুলোকে কোচ দিতে হবে যাতে খেলার বেসিকগুলো ছেলেরা ছোট থেকেই শিখতে পারে । ক্রিকেটের জন্য ফুটবলের পেছনে ইনভেস্টমেন্টও মনে হয় কমে গেছে । একটা নির্দিষ্ট পর্যায় থেকে এই প্রতিযোগিতাগুলো যেভাবেই হোক টিভিতে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে । দর্শকদের আগ্রহ বাড়াতে হবে খেলার ব্যাপারে । দর্শকদের জন্যও ইনসেনটিভ থাকতে হবে । তাহলে দর্শক বাড়বে আর সেই সাথে বিজ্ঞাপনও আসবে।

ফুটবল খেলার জন্য বড় ইনভেস্টমেন্টের দরকার হয়না ক্রিকেটের মতো ।একটা বল হলেই খেলা যায় । আর অবকাঠামো তৈরির ব্যাপারও গ্রাম/থানা পর্যায়ে তেমন নেই । মাঠ কম হলেও আছে । শুধু দরকার আকর্ষণীয় মোটিভেশন আর ইন্সেন্টিভগুলো দেবার ব্যবস্থা রাখা আর স্টেকহোল্ডারদের এতে সাক্সেসফুলি ইনগেজ্ড করা। আমার ধারণা বাংলাদেশ জুড়ে স্কুলভিত্তিক এই প্রতিযোগিতাগুলো করতে অনেক খরচ হবে না । কিন্তু এটা সফল করে করতে পারলে এর সামাজিক ইম্প্যাক্ট হবে বিড়াট । এই পজিটিভ সোশ্যাল ইম্প্যাক্ট তৈরির জন্য কিছু টাকা খরচ করা যেতেই পারে ।

লেখা ভালো হয়েছে । ধন্যবাদ নিন ।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: নাইমুল ভাই,
প্রথমেই ধন্যবাদ দিতে চাই এত সুন্দর করে এক জায়গায় সব গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আসার জন্য।
যে হারে অধ:পতন হচ্ছে তাতে আমি বা কেউ চেষ্টা করেও ডাবল সেঞ্চুরিটা আটকাতে পারবো না। তবে আমার ভয় হচ্ছে তলানীটা কতদূর যাবে সেটা নিয়ে।
হাসান কালবৈশাখী ভাই যা বলেছেন সেটা যেকোন সভ্য দেশে ফুটবলের উন্নতির জন্য করা উচিত।
খেলা ভালো হতে লাগলে এমনতেই প্রচুর দর্শক মাঠে যেতে লাগবে। তখন স্পন্সর যোগার করতেও বেশি কষ্ট করতে হবে না। পুরোটাই একটা চক্রকার ব্যপার। শুধু প্রসেস শুরু করতে হবে। খেলা ভালো করে সবার আকর্ষণ এদিকে ফেরাতে হবে।

এর পরের পোস্টে অনেক মন্তব্যের উত্তর দিতে যেয়ে এখানে ফিরতে দেরি হয়ে গেল। আশা করছি সেটা আপ্নি বুঝতে পারবেন।
সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

১৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৭

সুপারডুপার বলেছেন: @চাঁদগাজী সাহেব,

কোরআনে স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে “হে ঈমানদার গন! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না। নিশ্চিত রূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। [ সুরা বাকারা ২০৮] ; ফুটবল খেলাটি বিধর্মী শয়তানদের আবিস্কার। বিধর্মীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে এই ধরণের খেলা একজন মুসলিমের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় কিভাবে?

হাদীছেও আছে, "মু’মিনের শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণ হচ্ছে সাতার কাটা,আর নারীর শ্রেষ্ঠ কাজ হচ্ছে সূতা কাটা।’‘প্রতিযোগিতা বৈধ কেবল তীরন্দাজিতে, উট ও ঘোড় দৌড়ে। [তিরমিযী : ১৭০০; নাসাঈ : ৩৬০০] তাই, ইসলাম ধর্মে ফুটবল /ক্রিকেট খেলা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই হারাম। শুধুমাত্র ব্যায়ামের জন্যও বিধর্মী দ্বারা প্রবর্তিত ক্রিকেট বা ফুটবল,অলিম্পিক খেলা ও জায়িয হতে পারে না।

২০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



@সুপারডুপার ,

এই ব্লগার "হালাল কবিতা, হালাল গল্প" লেখেন; এবার ফুটবল নিয়ে লেগে গেলো কেন? মেয়েদের ফুটবল তো "হালাল খেলা" হওয়ার কথা নয়।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

নীল আকাশ বলেছেন: দিন দিন উদ্ভট মন্তব্য করা শুরু করেছেন। এই পোস্টে মেয়েদের ফুটবল নিয়ে আমি কী কিছু বলেছি? কোথায় পেলেন সেটা?

২১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫২

আমি তুমি আমরা বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশ, আপনাকে একবার উইনস্টন চার্চিলের একটা উদ্ধৃতি বলেছিলাম বিশেষ এক শ্রেণীর ব্লগারের ব্যাপারে। মনে আছে নিশ্চয়ই।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: হুম খুব ভালো মনে আছে।
মনে রাখবেন, সারমেয়দের লেজ যতই টেনে সোজা করে দিন না কেন, ছেড়ে দিলে আবার আগের অবস্থায় চলে যায়। এইসব সারমেয়দের লেজ কিভাবে টেনে বেঁধে রাখতে হয় সেটা আমি খুব ভালো করে জানি।
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ রইল।

২২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৫

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: সালাম জানবেন।
এবছর অবশ্য ভালো কিছু তরুণ খেলোয়াড় উঠে এসেছেন। ভারত বা কাতারের সাথে খেলায়(বিশেষত ভারতের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে জিততে জিততে ড্র) বাংলাদেশের পারফরম্যান্স আশাজাগানিয়া ছিল।
এসএ গেমস-এর ঠিক আগে আগে কোচ অনেকটা অসন্তুষ্ট হয়ে একবার দেশে চলে গিয়েছিলেন। কারণ বিশেষ একটি ক্লাব তাদের খেলোয়াড়দের ক্যাম্পের জন্য তখনো ছাড়ে নি। দলের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক খেলোয়াড়ই ঐ ক্লাবের। ঘরোয়া লিগের একটা ক্লাবের উপর এতটুকু জোর খাটানোর মুরোদ বাফুফের নেই?? প্রভাবশালী ক্লাবগুলোর বেপরোয়া হালচালই প্রমাণ করে ফেডারেশন দুর্নীতিতে কতটা জড়িয়ে গেছে,দেশের ফুটবলটাকে কিভাবে বেচে দিয়েছে সালাউদ্দিন এন্ড কোং।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৭

নীল আকাশ বলেছেন: রূপম,
ফুটবলের এই অধঃপতন একদিনে হয় নি।
যে কোন খেলায় জাতীয় পর্যায়ে উন্নতি করতে হলে সবচেয়ে বেশি দরকার হলো পরিকল্পনা, দীর্ঘমেয়াদী এবং ভবিষ্যতের কথা ভেবে যতটা সম্ভব রূট লেভেল থেকে প্লেয়ারদেরকে বেছে বের করে নিয়ে আসা।
আমার ক্ষোভ এখানেই, এই এতটা বছর ধরে এই সালাউদ্দিন তার দলবল নিয়ে শুধুই লুটপাট আর দূর্নীতিই করে গেছে। অথচ কাজের কাজ কিছুই করে নি।

একটা দুইটা বিক্ষিপ্ত সাফল্য দিয়ে কিছু হবে না। দেশের ফুটবলের সামগ্রিক উন্নতি দরকার।
শুভ সন্ধ্যা এবং ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

২৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩২

সুপারডুপার বলেছেন: @চাঁদগাজী সাহেব,

এই ব্লগার ঠিকমত ধর্ম মেনে না চললেও, ধর্মানুভূতি অতি প্রবল। অতি ধর্মানুভূতির চোটে / ওয়াহাবী-মউদুদীবাদের টান থেকে একটা পোস্টে শিয়া -সুন্নীর দ্বন্দ্ব এলরেডি লাগিয়েও ফেলেছেন। হালাল কবিতা, হালাল গল্প লেখার পাশাপাশি একটু হারাম ফুটবল / ক্রিকেট খেলা দেখেও মজা নিতে চান।

দেখেন না কেন, আরব দেশ গুলোতে মেয়েদের অনেক কিছু করা হারাম ও পর্দা করা ফরজ; কিন্তু বেলী ডান্স করা ও দেখা হালাল।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৮

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি ব্লগার নামের কলংংক।
যারা পোস্টের বিষয়ের বাইরে যেয়ে ফালতু মন্তব্য করে তাদের ব্লগার মনে করার কোন কারণই নেই!

আপনাকে আমি আগের একটা লেখায় সর্তক করেছিলাম পোস্টের সাথে সর্ম্পকহীন, ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং অপ্রয়োজনীয় অতিকথন মূলক কোন মন্তব্য আমার কোন পোস্টে না করার জন্য।
যেহেতু আবার একই কাজ করেছেন আমি বাধ্য হলাম আপনাকে ব্লক করার জন্য। এই দুঃখজনক ঘটনার জন্য একমাত্র আপনি দায়ী। পুরো ব্লগে মাত্র একজন ব্লগারকেই আমার ব্লক করতে হয়েছে আলতু ফালতু মন্তব্য করার জন্য।

২৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৮

শের শায়রী বলেছেন: অনেক আগের কথা সম্ভবতঃ প্রেসিডেন্ট গোল্ড কাপ বা এই জাতীয় নাম হবে, সেখানে বাংলাদেশ লাল এবং বাংলাদেশ সবুজ(!) (যদি স্মৃতি প্রতারনা না করে) নামে দুটো ন্যাশনাল টীম খেলছিল। সেখানে দক্ষিন কোরিয়া ন্যাশনাল টীম আসছিলো। বাংলাদেশ লাল রানার্স আপ হয়েছিল। কি যে খুশী হয়েছিলাম সে সময়ের পারফর্মেন্সে (যদিও তখন অনেক ছোট ছিলাম) এরপর যখন একটু বড় হলাম আবাহনী আর মোহামেডানের খেলায় যে উতেজনা তার রেশ এখনকার ক্রিকেটেও নাই। তখন থেকে কেন জানি আবাহনীকে সমর্থন করতাম। আকাশী রং এর জার্সি আর সাদা কালো ষ্ট্রেইপের মোহামেডান এর খেলা মানে দু দলের পতাকা ফেষ্টুনে সারা দেশে এক অজানা উত্তেজনা। কত যে ঝগড়া করছি মোহামেডানের সাপোর্টারদের সাথে তার ইয়াত্তা নেই।

সাফ কান্ট্রি গুলোতো পাত্তাই পেত না আমাদের কাছে। সাব্বির, আসলাম, কায়সার হামিদ, সালাম, জনি এদের খেলা আমার ছোট বেলাকে নষ্টালজিক করে দিল। এখনকার ফুটবল নামে যা চলে তা তখনকার তুলনায় কংকাল ও বলা চলে না। এখানে মাঝে মাঝে পেপারে দেখি এদেশে এখনো ফুটবল নামে একটা খেলা চলে। কি আর বলার আছে?

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৩

নীল আকাশ বলেছেন: সম্ভবত আমরা কাছাকাছি সময়ের হবো। আমি ছিলাম মোহামেডানের সাপোর্টার। কি যে দারুন সময় ছিল ফুটবলের তখন। উপমহাদেশের সেরা দল ছিল বাংলাদেশ। এই সব টুর্নামেন্টে আমাদের লাল এবং সবুজ ২টা দল খেলতো। আমাদের ২য় দলের সাথেও আশেপাশের দেশগুলি পারতো না।
সাব্বির, আসলাম কিংবা কায়সার হামিদ ছিল আমাদের হিরো।

অথচ দেখুন, কিভাবে বছরের পর বছর ধরে লুটপাট আর দূর্নীতি করে আজকে দেশের ফুটবল'কে কোথায় আর কত নীচে নামিয়েছে! লজ্জায় জাতীয় দলের খেলাও দেখতে বসি না।
ধন্যবাদ।

২৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: একদম আমার মনের কথাটাই বলে দিয়েছেন। ধন্যবাদ।

অল্প কিছু মানুষের জন্য এই দেশ চোখের সামনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। খুব দুঃখ হয়।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪২

নীল আকাশ বলেছেন: রাজীব ভাই,
এই অল্প কিছু মানুষ এত দূর স্পর্ধা দেখাতে পেরেছে শুধুমাত্র একজন মহিলার নোংরা ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়নে সর্মথন করার জন্য। এই মহিলার প্রশ্রয় না দিলে এরা এত কিছু করার কোনদিনও সাহস পেতেও না।
ধন্যবাদ।

২৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০২

মা.হাসান বলেছেন: আপনের ধৈর্য এক্কেরে কম। ২০৪১ পরযন্ত অপেক্ষা করবেন তো নাকি ? ২০৪১ এর মইদ্দ্যেই বস্তাউদ্দিন আর হ্যার বেটি জামাই সামনের দিক দিয়া হউক আর পিছের দিক দিয়া হউক দ্যাশেরে চ্যাম্পিয়ন বানাইবো। জয় ২০৪১।

লেখা বড় একপেশে হইসে। যড়যন্ত্রের কথা কিন্তু কন নাই। বড় বড় চামপিয়নদের দেইখা ফুটবলাররা হোটেল রুমে বইসা যদি একটু তাসতুস খ্যালে আর একটু রঙিন পানি খায় , এইটা লইয়া পত্রিকা ওয়ালাগো রিপোর্ট করনের দরকার আছিলো? খেলোয়াড়গো উরপে মেন্টাল পেরেসার পড়ে না? সব বিএনপি -জামাতের ষড়যন্ত্র।

যাদুকর সালামের কথা কইলেন, জুতা বাবাদের কথা কইলেন না, হেতারা কিন্তু এক এক শটে তিন-চার খান কইরা গোল করতো, এখন ইয়েতে বুট জুতা আটকানের পর আগের লাখান আর পারে না। খোয়াব দ্যাখতে আছে, বাকশাল কায়েম হইলে আবার খেল দ্যাখাইবো।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৭

নীল আকাশ বলেছেন: হাসান ভাই,
আপনার কথা শুনে যদি সত্যই ২০৪১ সাল পর্যন্ত সবাই এভাবে চলতে দেয় তাহলে ততদিনে ফিফা বাংলাদেশ'কে ফিফা থেকে ঘাড় ধরে বের করে দেবে সর্বনিন্ম র‍্যাংকিং এর জন্য।
লেখা বড় একপেশে হইসে। - তাতো বলবেনই। দেশের জন্য কোন কথা বললেই আমরা হয়ে যাই রাজাকার।
সালাহ উদ্দিন কিন্তু আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রীর খুবই পছন্দের লোক। এইজন্যি তো জনগনের টাকায় রঙিন পানি, হোটেল রুম এইসবের সুন্দর সুব্যবস্থা করে দিয়েছে।

যা কইবার এখনই কইয়া নেই। বাকশাল ফাকসাল হয়ে গেলে আবার কথা বলা চিরতরে বন্ধ হইয়া যাইবেক! যেই খেল একবার দেখাইয়ে গেছে উনার বাপ,তাতে বড়ই ডরাইছি।

২৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৪

শাহিদা খানম তানিয়া বলেছেন: তোমার বাস্তবিক লেখাগুলো মনে খুব দাগ একে দিল। মাথার মধ্যে শত প্রশ্নের উদয় হল এই ফুটবলের বাংলাদেশ আবার কবে ফিরে আসবে কে জনে।
এমন ভাল লেখা আরো পড়তে চাই।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: আমি সব সময় অড টপিক নিয়ে লিখি যা সাধারণত কেউ নিয়ে লিখতে চায় না।
দেশের ফুটবলে এখন নিকৃষ্টতম সময় পার করছে।
পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
শুভ রাত্রী।

২৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ফুটবলটা আর আগের জায়গায় নেই । ক্রিকেটের উত্থান এর ভূমিকা অস্বীকার করা যাবে না। তবে ম্যানলি গেম কিন্তু ফুটবল । এখনো বিশ্বে জনপ্রিয়তম খেলা ফুটবল । আর গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ হলো বিশ্বকাপ ফুটবল। উন্নত বিশ্বে ১ নম্বর খেলাও। আমাদের ফুটবল ক্রম নিম্নমুখি অদক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে । তারকা বলতে এখনো সেই আগের সাব্বির আসলাম সালাউদ্দিন কায়সার হামিদ এরা । যাদুকর সামাদের যাদু নিয়ে কেউ আর আসলো না এই বঙ্গদেশে ।

০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৮

নীল আকাশ বলেছেন: আমাদের ফুটবল ক্রম নিম্নমুখি অদক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে ।
একদম ঠিক বলেছেন। এর সাথে আবার যোগ হয়েছে দূর্নীতি আর জঘন্য আত্মীয় স্বজন প্রীতি।
দেশে ক্রিকেটের উত্থান হয়েছে ঠিক যখন ফুটবলের অধ:পতন শুরু হয়েছে।
সাব্বির, আসলাম, কায়সার হামিদ, যাদুকর সামাদের যাদু নিয়ে আবার কেউ না কেউ ফিরে আসবে তবে সেটার জন্য চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

২৯| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২১

ইসিয়াক বলেছেন: নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো প্রিয় ভাইয়া।
আগামী প্রতিটি দিন আপনার ভালো কাটুক এই কামনা রইলো

০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ ইসিয়াক ভাই। আপ্নাকেও নব বর্ষের শুভেচ্ছা রইল।

৩০| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দারুন জম্পেশ একটা পোস্ট দিয়েছেন প্রিয় নীল আকাশ ভাই। রেখাচিত্র অনুযায়ী ফুটবলপ্রেমীদের হতাশ হওয়ারই কথা। তবে আমার ব্যক্তিগত অভিমত উপমহাদেশের ফুটবল নিয়ে আসা না করারই কথা। কেবল হতাশাই বাড়বে। তবে মন্তব্য প্রতিমন্তব্যটা ফুটবল খেলার মতই রীতিমতো জমে উঠেছে। মা.হাসান ভাইয়ের মন্তব্যটি ভালো লাগলো।
নতুন বছরের প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৪

নীল আকাশ বলেছেন: হতাশা নিয়ে বসে থাকলে তো চলবে না। উপমহাদেশের বাকি দেশগুলির সাথে তুলনামূলক রেখাচিত্র দেখলে ক্রমশঃ অধঃপতনের চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠে। আমি চেষ্টা করে পারছি না আর দূর্নীত করে ভরাডুবি করছি এক হতে পারে না। আমার লেখার মূল থীম এটাই।
পড়ার এবং ভালো মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৩১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
চমৎকার বিশ্লেষণধর্মী পোস্ট। ভালো লাগলো।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: খুব দূঃখ করে লিখেছিলাম। এখনকার দেশে ফুটবল খেলা দেখলে লজ্জায় মাথা কাটা যায়। নিজের দেশ ভাবতেই ঘৃণা চলে আসে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

৩২| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০৮

আমি সাজিদ বলেছেন: বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের প্রেম ছিলো ফুটবলের সাথে, জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে ক্রিকেটের সাথে। ফুটবলের প্রতি এখনও যে কি টান মানুষের তা গ্রাম গঞ্জের মাঠে একটা সাধারণ ফুটবল মাঠে আসা দর্শকের বিস্ফোরণ দেখলেই বুঝা যায়। সালাউদ্দিনের উচিত ছিলো সরে যাওয়া। একসময়ের বাংলাদেশে ফুটবলের ইতিহাস সালাউদ্দিনকে নিয়ে গর্ব করতো। এখন সে একটা কলঙ্কের নাম। আমি বুঝলাম না, সালাউদ্দিনের কি এতো পাওয়ার যে শেষ পর্যন্ত তরফদার রুহুল আমিন সরে গেলো? বেচারা বাদল রায় আমাদের নষ্ট মিডিয়ায় কাভারেজও পান না৷

০৫ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০

নীল আকাশ বলেছেন: কারণ খুব সোজা। সালাউদ্দিন নৌকার কান্ডারি। উনাকে দেশের ১ম নাম্বার মহিলা এই পোস্টে রেখেছেন। সারা দেশের মানুষ কী বলে, কী চায় তাতে উনার কোন কালেই কোন কিছু যায় আসে না। এই দেশ রসাতলে গেলেই বা উনার কী? উনার ছেলে বা মেয়ে তো এইদেশে থাকে না!
গত এক দশকে সালাহউদ্দিন ফুটবল থেকে যত টাকা লোপাট করেছে সেটা কী উনি একাই হজম করেছেন বলে আপনার মনে হয়? ভালোভাবে চিন্তা করুন, নিজেই উত্তর পেয়ে যাবেন।
আমার ব্লগ বাড়িতে সুস্বাগতম।
ধন্যবাদ এই লেখা পড়ার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.