নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালাতে সবাই ছাত্র-ছাত্রী, \nনিত্য নতুন শিখছি মোরা সদাই দিবা-রাত্রী!

নীল আকাশ

এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

নীল আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমার স্ত্রী, তোমার অনুপমা সঙ্গী!

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:১১



ইমাম আহমদ ইবনে হানবাল (রহমাতুল্লাহ আলাইহি) নিজের ছেলেকে বিয়ের পর তার নব বিবাহিতা স্ত্রীর প্রতি কি কি ধরনের আচরন করতে হবে, সেটা ১০টা অসম্ভব সুন্দর আর পান্ডিত্যপূর্ণ উপদেশে বলে গিয়েছিলেন। ব্লগের পাঠকদের জন্য আমি সেটা বঙ্গানুবাদ করে নীচে দিলাম। সব অবিবাহিত আর বিবাহিত পুরুষদের জন্যই এই উপদেশগুলি জানা উচিৎ!

১. নারীরা সাধারণত রোমান্টিকতা পছন্দ করে। তারা খুনসুঁটি আর রসিকতা পছন্দ করে। নখরা আর ন্যাকামি তাদের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। তারা ভালোবাসার স্পষ্ট প্রকাশকে পছন্দ করে। তুমি একান্তে তোমার স্ত্রীর কাছে এসব প্রকাশে কখনোই কার্পণ্য করবে না।

২. নারীদের বেশি বেশি করে ভালোবাসার কথা বলবে। যদি ভালোবাসা প্রকাশে কখনো কার্পণ্য করো, তাহলে দেখবে কিছুদিন পরই তোমার আর তার মাঝে একটা অদৃশ্য দেয়াল বা পর্দা ঝুলে গেছে। এরপর দিন দিন তোমাদের পরস্পরের সম্পর্কে মাঝে শুষ্কতা আসতে শুরু করবে। আর ভালোবাসা জানালা দিয়ে পালাবার পথ খুঁজা শুরু করবে!

৩. নারীরা কঠোর, কর্কশ, রূঢ়, আর রুক্ষ স্বভাবের পুরুষকে একদম পছন্দ করে না। তোমার মধ্যে এমন কিছু থেকে থাকলে এখনই সেই গুলি পরিত্যাগ করে ফেলে দাও। কারণ তারা শুশিল, ভদ্র, উদার মনের মানুষ পছন্দ করে। তুমি তার ভালোবাসা অর্জনের জন্যে, এমনকি তাকে আশ্বস্ত করার জন্যে হলেও এই গুণ গুলো অর্জন করার চেস্টা কর!

৪. এটা খুব ভালো করে মনে রাখবে যে, তুমি তোমার স্ত্রীকে যেমন পরিচ্ছন্ন, সুন্দর, পরিপাটি, গুছালো, সুরুচি পূর্ণ আর সুগন্ধিময় দেখতে চাও; তোমার স্ত্রীও কিন্তু তোমাকে ঠিক তেমনটাই দেখতে চায়। তাই সাবধান থাকবে, তার চাহিদা পূরণে যেন, কোনও অবস্থাতেই, তোমার পক্ষ থেকে বিন্দু মাত্র অবহেলাও যেন না হয়।

৫. ঘর হলো নারীদের একান্তই নিজেদের রাজ্য। একজন নারী নিজেকে সবসময়ই সেই নিজের রাজ্যের সিংহাসনে নিজেকেই আসীন দেখতে খুবই পছন্দ করে। সে কল্পনায়, স্বপ্নে, বাস্তবে এই রাজ্য নিয়ে ভাবে, সাজায়, প্রেমের ঘর রচনা করে। খুবই সাবধানে থাকবে! কখনোই তোমার স্ত্রীর এই সুখময় রাজত্বকে ভেঙে দিতে যেও না। এমনকি তাকে সিংহাসন থেকে নামিয়ে দেয়ার চেস্টাও করবে না।

৬. নারীরা তার স্বামীকে মনে প্রাণে, সর্বান্তঃকরণে ভালোবাসে আর প্রবলভাবে শুধু স্বামীকেই পেতে চায়। তবে পাশাপাশি নিজের বাপের বাড়িকেও হারাতে চায় না। হুঁশিয়ার থেকো বাবা! তুমি ভুলেও নিজেকে আর স্ত্রীর পরিবারকে এক পাল্লায় তুলে মাপতে শুরু করে দিও না। তুমি এ অন্যায় দাবি কখনোই করে বসো না, হয় আমাকে বেছে নাও, নাহলে তোমার বাবা-মাকে? তুমি এ বিষয়টা চিন্তাতেও আসতে দিও না। তুমি তাকে এমনটা করতে বাধ্য করলে, সে হয়তো তোমার চাপে পড়ে এটা মেনে নিবে। কিন্তু তার মনের গহীনে কোথাও একটা চাপা আর বোবা কান্না গুমরে গুমরে মরতে থাকবে। তোমার প্রতি এক ধরনের সুপ্ত অশ্রদ্ধাও তার কোমল মনে জেগে উঠবে। সুতরাং সাবধান!

৭. তুমি জানো এবং পড়েছ নারীদের সৃষ্টি করা হয়েছে পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে। এই বক্রতা কিন্তু তার দোষ নয়, তার সৌন্দর্যই এই বক্রতায়। বক্রতাই ভ্রুকে সুন্দর করে তোলে। ভ্রুটা যদি সোজা হতো, দেখতে এত সুন্দর লাগতো? যদি তোমার স্ত্রী কোনও ভুল করে ফেলে, তুমি অস্থির হয়ে রেগেমেগে ঝগড়া শুরু করে বসো না। উত্তেজিত অবস্থায় তাকে সোজা করতে যেও না, তাহলে অতিরিক্ত চাপে সে ভেঙে যাবে। আর ভাঙা মানে বুঝই তো, বিচ্ছেদ। আবার সে অনবরত ভুল করে যেতে থাকলে, ভেঙে যাওয়ার ভয়ে কিছু না বলে লাগামহীন ভাবেও তাকে ছেড়ে দিও না। তাহলে এই বক্রতা আর উদ্ধত আচরন আরও বেড়ে যাবে। তোমার প্রতি আচরনও উদ্ধত হয়ে যাবে। তুমি সব সময় এই দুইটার মাঝামাঝি অবস্থানে থাকবে।

৮. নারীদের সৃষ্টি করা হয়েছে এইভাবে যে, তাদের কৃতজ্ঞতা বোধ কম থাকে। তার প্রতি অতীতে কৃত সব সদ্ব্যবহার আর সদাচার তারা প্রায়শই ভুলে যায়। তুমি যদি তার প্রতি যুগ যুগান্তরও সুন্দর আচরণ করো, হঠাৎ একদিন কোনক্রমে একটু রূঢ় আচরণ করে ফেলেছো; ব্যাস, অমনিই সে নাকের জল, চোখের জল সব এক করে বলবে আমি তোমার কাছ থেকে কখনোই ভালো কিছু পাইনি। দেখো বাবা! তার এই আচরণে রুষ্ট হবে না। তার এই চপল স্বভাবের প্রতিক্রিয়ায় তার প্রতি বিতৃষ্ণা মনে এনো না। তার এই স্বভাবকে তুমি অপছন্দ করলেও, তার মধ্যে তুমি অনেক এমন কিছুই পাবে, যা তুমি শুধু পছন্দই করবে না, বরং তোমার নিজের জীবন তার জন্য উৎর্সগ করতে এক ফোটা দ্বিধাও করবে না!

৯. নারীদের শরীর ও মনের অবস্থা সবসময় এক রকম থাকে না। প্রতি মাসের প্রায় নির্দিষ্ট একটা সময় তাদের শারীরিক দুর্বলতা থাকে। সেই সময় কিছুটা মানসিক অস্থিরতাও বিরাজ করে। তাদের এই দুর্বলতা, অসহায় অবস্থার কথা বিবেচনা করে আল্লাহ তা'আলা তাদের নির্দিষ্ট সময়ের নামায মাফ করে দিয়েছেন, রোযাকে পিছিয়ে দিয়েছেন তার স্বাস্থ্য ও মেজাজ ঠিক হওয়া পর্যন্ত। তুমি তো এই রাব্বুল আলামীনেরই বান্দা। তুমিও তোমার রবের গুণে গুণান্বিত হও। তুমি তোমার স্ত্রীর দুর্বল মুহূর্তগুলোতে তার প্রতি কোমল থাকবে! এই সময়ে তুমি তোমার আবদার আর আবেগ শরমে রেখ। এতে তোমার রাব্বুল আলামীন অবশ্যই খুশি হবেন!

১০. সবসময় মনে রাখবে, তোমার স্ত্রী তোমার কাছে অনেকটাই দায়বদ্ধ, বিভিন্ন ভাবে তোমার নিকট মুখাপেক্ষী। তোমার সুন্দর আচরণের কাঙাল। তুমি তার প্রতি অবশ্যই যত্নবান হবে। তার প্রতি অনেক বেশি মনোযোগ দিবে। তাকে হৃদয়ে আপন করে নিবে।

তাহলেই সে তোমার জন্যে শ্রেষ্ঠ সম্পদে পরিণত হবে। তাহলেই তুমি তোমার স্ত্রীকে তোমার অনুপমা সঙ্গী হিসেবে পাবে!

*(মূল আরবী লেখাটা থেকে আবদুল রহিম অনুবাদ করেছেন এবং মাওলানা আবদুস সুবহান এটার সম্পাদনা করেছেন।)
পুরো লেখাটা বাংলায় অনুবাদ করার সময় আমি অনেকটাই ভাবানুবাদ করেছি। মূল লেখাটা আরবী ভাষায় লেখা হলেও এর অনেক রকম ইংরেজি ভার্সন আমি পেয়েছি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরও বাংলা অনুবাদের সাহায্যও নিয়ে সবগুলি মিলিয়ে খুব সুন্দর করে অরিজিনাল লেখার মুল থীমটা তুলে ধরার চেস্টা করেছি।

অনেকেই হয়ত এর সনদ বা সূত্র দেবার জন্য অনুরোধ করবেন। মনে রাখবেন, কুরআন ও হাদিসের জন্য রেফারেন্স প্রয়োজন। কিন্তু উপরের ১০ টা হচ্ছে সালাফের মতামত, যা উপদেশ, তাতে রেফারেন্সের কোন প্রয়োজন নেই!

সবার জানার জন্য বলছি, ইমাম আহমদ ইবনে হানবাল (রহমাতুল্লাহ আলাইহি) একজন মহান ইসলামিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ইসলামী ফিকাহ বা মাযহাব এর চার মহান ইমামদের একজন। তিনি হানবলী মাযহাবের প্রবক্তা! তার মাযহাবের অনুসারী এই মুহূর্তে পৃথিবীতে অনেকেই আছেন। তাঁর গবেষনা আর পুস্তক গুলি ইসলামিক দেশগুলিতে অনেকেই গ্রহণযোগ্য, নির্ভরযোগ্য সূত্র হিসেবে অনুসরণ করেন।

এই অনুপম লেখাটা আমার প্রিয়তমা স্ত্রী প্রথম আমাকে দেখায়। ইংরেজিতে অনুবাদ করা লেখাটা দেখার আর পড়ার সাথে সাথেই আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। লেখাটার সর্ম্পকে বিস্তারিত জানার জন্য ইন্টারনেটে ব্যাপক খুঁজাখুজি শুরু করি। এত সুন্দর একটা লেখার অবশ্যই রেফারেন্স থাকবে! কিন্তু আসল সমস্যা ছিল ভাষা! দীর্ঘদিন উপযুক্ত চর্চার অভাবে আরবী ভাষা, বাংলা বা ইংরেজি ভাষার মতো জানতাম না। এই বিপদ উদ্ধারে এগিয়ে আসল গুগল ট্রান্সলেশন। দিনের পর দিন ইংরেজি ও আরবী ভাষায় লেখা বিভিন্ন ওয়েব পেজগুলি থেকে শেষ পর্যন্ত যা উদ্ধার হলো, তা রীতিমতো চমকপ্রদ!

অনেক কষ্ট করার পর এই চমৎকার লেখাটার আসল সূত্র আমি খুঁজে পেলাম। এটা আরবী ভাষায় লেখা। ব্লগের পাঠকদের জন্য এটা এখানে দেয়া হলো http://www.saaid.net/Doat/brigawi/69.htm অরিজিনাল লেখাটা লিখেছেন আবদুল লতিফ মুহাম্মদ আল-ব্রিগাউই।

ব্যাপক অনুসন্ধানের পর পাওয়া গেল যে, সর্বপ্রথম এই লেখাটা কর্ডোবা একাডেমির টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে পোষ্ট দেয়া হয়েছিল। অনেকেই তাদের কাছে এর সূত্র চেয়ে অনুরোধ করলে অবশেষে তারা নিজেরাও এটার সত্যতা জানার জন্য অনুসন্ধান চালায়। এবং তারপর তারা এটার সত্যতা এবং সূত্র উল্লেখ করে পোষ্ট দেয়। অরিজিনাল এই পোষ্ট আমি নীচে তুলে দিলাম।

As salam mu alaikum alaikum wa rahmat Ullah wa barakataHu

Esteemed colleagues in seeking the Sacred Sciences,

It with a heavy heart, that I would like to state that the above advice ascribed to Imam Ahmed ibn Hanbal (RA) is incorrectly ascribed to him. I have researched through many traditional works and have not been able to find this advice in any of them.

For the transmission of the story, I relied solely on the source of the translated story which was the website of Shaikh al-Muhaddith Abdur Raheem al-Limbada, a famous teacher of Hadith in the UK. I saw that both he and another scholar had transmitted it and as the advice was sound and not a hadith of our beloved prophet (Salahu alayhi wasalam) I made the mistake of posting it without checking the source in Arabic. Upon checking the language and expressions used in the Arabic source (which can be found on websites of other scholars who made the same mistake), I have come to the conclusion that it is not correct to ascribe it to the Imam and that it has probably been fabricated by someone who has good intentions in the same way that other anecdotes have also been fabricated and ascribed to Imam Ahmed ibn Hanbal (RA).

Jazak Allah khairan for your understanding in this affair, and I beg Allah to ennoble us with humility so that we are able to admit our mistakes as well as enabling us to remain on the path of Haq.

Was-Salam
Mohammed Daniel


এবার চলুন দেখি আসি ঠিক এই বিষয়ে শ্রেষ্ঠ নবী রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের স্ত্রীর প্রতি ব্যবহার নিয়ে কি কি বলেছেন-
১. হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
خَيْرُكُمْ خَيْرُكُمْ لأَهْلِهِ وَأَنَا خَيْرُكُمْ لأَهْلِي
তোমাদের মাঝে সে সবচেয়ে ভালো, যে তার পরিবারের জন্য ভালো। আর আমি আমার পরিবারের জন্য সবার চেয়ে ভালো।
(সূত্রঃ জামে তিরমিযী ২/২২৮, হাদীস ৩৮৯৫; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৪২)

২. হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
أَكْمَلُ الْمُؤْمِنِينَ إِيمَانًا أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا، وَخَيْرُكُمْ خَيْرُكُمْ لِنِسَائِهِمْ.
সবচেয়ে কামিল মুমিন সে, যার স্বভাব ও আচরণ সবচেয়ে ভালো। আর তোমাদের মাঝে শ্রেষ্ঠ সে, যে তার স্ত্রীর জন্য শ্রেষ্ঠ।
(সূত্রঃ জামে তিরমিযী ১/২১৯, হাদীস ১১৬২)

৩. রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “হে মানব জাতি! স্ত্রীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার ব্যাপারে আমার হুকুম মান্য কর। পাঁজরের হাড় থেকে তাদের সৃষ্টি করা হয়েছে, স্বভাবতই তারা বাঁকা। যদি তুমি বাঁকা হাড়কে শক্তির দ্বারা সোজা করতে যাও, তবে তা ভেঙে যাবে। তাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ছেড়ে দাও, সব সময় বাঁকাই থাকবে। এজন্য এটা আমার শেষ নির্দেশ হিসেবে কবুল কর, স্ত্রীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার কর”- [সূত্রঃ বোখারী ও মুসলিম]

৪. হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) আক্কাফ রা. কে বললেন, হে আক্কাফ! তোমার স্ত্রী আছে? তিনি বললেন, না। রাসুলুল্লাহ(সা.) বললেন, তোমার কি সম্পদ ও স্বচ্ছলতা আছে? তিনি বললেন, আছে। রাসুলুল্লাহ সা. বললেন, তুমি এখন শয়তানের ভাইদের দলভূক্ত। যদি তুমি খ্রিস্টান হতে তবে তাদের রাহেব (ধর্ম গুরু) হতে। নিঃসন্দেহে বিয়ে করা আমাদের ধর্মের রীতি। তোমরা কি শয়তানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাও? শয়তানের কাছে নারী হলো অস্ত্র। সবাই নারী সংক্রান্ত ফেৎনায় জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু যারা বিয়ে করেছে তারা নারীর ফেৎনা থেকে পবিত্র। নোংড়ামি থেকে মুক্ত। তারপর বলেন, আক্কাফ! তোমার ধ্বংস হোক। তুমি বিয়ে কর, নতুবা তুমি পশ্চাৎপদ মানুষের মধ্যে থেকে যাবে। [মুসনাদে আহমদ, জমউল ফাওয়ায়েদ, ইমদাদুল ফাতওয়া :২/২৫৯]।

লেখাটা শেষ করব আমার খুব পছন্দের একটা শায়ের দিয়ে: আওর‌্যাত কী ডোলী যাহা উত্যরাতী হ্যয়, উসকী আর্থী ওহীঁ সে উঠতি হ্যায়।
- এর অর্থ হলো মেয়েদের পালকি যেখানে গিয়ে নামে, সেখান থেকেই তার জানাযা ওঠে। এটাই সবচেয়ে বড় নির্মম সত্য! তোমার স্ত্রীরূপে তোমার ঘরে আসা এই মেয়েটির দিলে তাসাল্লির মরহম তোমাকেই রাখতে হবে। এক মাটি থেকে উপড়ে এনে আরেক মাটিতে রোপণ করা একটি চারাগাছ থেকে দুই দিন পরেই ফল দাবী করা কতটা নিষ্ঠুরতা সেটা তোমাকে বুঝতে হবে! ফল পেতে হলে তোমাকে ধৈর্য ধরতে হবে। চারাগাছটির পরিচর্যা করতে হবে, সকাল-সন্ধ্যা তার গোড়ায় পানি দিতে হবে। ধীরে ধীরে শিকড় যখন মাটিতে বসবে এবং মাটি থেকে রস সংগ্রহ করার উপযুক্ত হবে, তখন আর তোমাকে ফল চাইতে হবে না। সজীব বৃক্ষ নিজে থেকেই ফল দিতে শুরু করবে।

মনে রাখবেন, একা একা জান্নাতে যাওয়া অনেক কঠিন। আপনার এবং আপনার স্ত্রীর জীবনতো একসময় আলাদাই ছিলো। একজন তো অপরজনকে চিনতেনও না। আল্লাহ আপনাদের একত্র করেছেন কেন জানেন? আল্লাহ একত্র করেছেন,আপনাদের একসঙ্গে জান্নাতের পথে চলার জন্য। যদি আপনি পিছিয়ে পড়েন, আপনার স্ত্রী আপনাকে টেনে নিয়ে যাবে। আপনার স্ত্রী যদি পিছিয়ে পড়েন, আপনি তাকে টেনে নিয়ে যাবেন। আপনি সতর্ক থাকবেন, আপনার স্ত্রী দ্বারা যেন কারো হক নষ্ট না হয়। আপনার স্ত্রী সতর্ক থাকবেন, আপনার দ্বারা যেন কারো হক নষ্ট না হয়।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে সীরাতুল মুস্তাকীমের পথে চলার তৌফিক দান করুন।

উৎসর্গ: আমার প্রিয় কবি হাবিব ভাইকে। উনার একটা পোষ্ট "একসাথে পথ চলার ৫ম বর্ষে আমরা" Click This Link পড়ার পর মনে হলো এই নিয়ে আরও লেখা উচিৎ। উনার এই লেখাটাই আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে এটা লেখার.......

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪৩

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ভাই নীল আকাশ,

বহুত উপকারী পোস্ট করেছেন ভায়া। এটাকে প্রিয়তে রেখেদিলাম, কাজে দিবে নিশ্চিত।

আরেকটা কথা, যদি একজন পুরুষ তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট রাখতে একাজগুলো করে তাহলে তো শুধু ঐ পরিবারই না আশপাশের পরিবার ও সমাজ এর থেকে উপকার পেতে শুরু করবে। মোট কথা দাঁড়ালো, একজন মহিলা চাইলে তার স্বামীকে পুরোপুরিভাবেই সুন্দর জীবন দিতে পারে।


অনেক ধন্যবাদ প্রিয়।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৮

নীল আকাশ বলেছেন: সালাম ভাই,
ইসলামি জীবন ব্যবস্থা একটা সামগ্রিক সমাজকে চিন্তা করেই প্রনয়ন করা হয়েছে। যেই সমাজে আজকের সকল হানাহানি বিদ্বেস আর হিংসা কিছুই থাকবে। পরকীয়া নোংরামী থাকবে না.....

একজন স্বামী যখন তার স্ত্রীর সাথে ঠিক এই রকম আচরন করবেন তখন তার স্ত্রীর পক্ষে একই ব্যবহার ছাড়া অন্য কিছুই করার থাকবে না। সবাই যখন এই ভাবে সংসার ধর্ম পালন করবেন তখন দেখবেন পুরো সমাজটাই চমৎকার হয়ে উঠবে। আর তখনই প্রত্যেকেই পুরোপুরিভাবেই সুন্দর জীবন কাটাতে পারবে........

প্রথম এবং সুন্দর একাট মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা রইল।

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ভিন্নধর্মী পোস্ট।

নারীর মন বদলায় কারণে অকারণে।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:১৭

নীল আকাশ বলেছেন: সালাম ভাই,
ব্লগে নাকি প্রবন্ধ জাতীয় পোষ্ট আসে না। তাই এই ধরনের লেখা শুরু করলাম।
নারীর মন বদলায় কারণে অকারণে। কারন আমরা যখন তার নূন্যতম চাহিদাও পূরন করি না। সমাজে অনাচার আর নোংরামি ছড়িয়ে দেই। নিজেরা ভালো না হয়ে শুধুই নারীদের দোষ দিয়ে কি লাভ বলুন?
আগে আমরা নিজেরা ভালো হই। আল্লাহ নিদের্শিত পথে চলি। তারপর দেখুন সব কিছু কতই চমৎকার না হয়ে উঠবে.......

সুন্দর একাট মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা রইল।

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪১

ইসিয়াক বলেছেন: ভালো লাগলো

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪৫

নীল আকাশ বলেছেন: সালাম ভাই,
প্রথমেই আমার ব্লগ বাড়িতে স্বাগতম।
কষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য শুভেচ্ছা রইল।

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪১

ইয়াসিনুর রহমান ফাহিম বলেছেন: অবিবাহিত, বিবাহিত সকল শ্রেণীর পুরুষের এ পোস্টটা অন্তত একবার হলেও উচিত। প্রিয়তে রাখলাম।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪৮

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় ফাহিম ভাই সালাম,
চমৎকার একটা মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অবিবাহিত, বিবাহিত সকল শ্রেণীর পুরুষের এ পোস্টটা অন্তত একবার হলেও উচিত। আমি এটা নিজে বিশ্বাস করি দেখেই বলেছি। আপনিও সহমত দেখে খুব ভালো লাগলো।
প্রিয়তে রাখলাম। - কৃতগ্গতা রইল।

আপনাকে অসংখ্য শুভেচ্ছা আর শুভ কামনা রইল।

৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৫২

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: পোস্টে ভালোলাগা। আংশিক পড়েছি, পরিশ্রমী লেখা। ছেলেদের জন্য কাজে আসবে। প্রিয়তে রাখালাম সময় নিয়ে পড়বো। (বিয়ের পর আর ঝামেলা হবে না)



পুনশ্চঃ
[আপনার ধর্মীয় ভাবনাগুলো আমার ভালোলাগে, আপনি যে সুস্থ রাজনীতির পক্ষে সেটাও জানি। তবে বেশ কিছু কমেন্টে বাকশাল নিয়ে কটাক্ষ করায় আমি কষ্ট পাই। তাই কয়েকটা লিংক দিলাম। আশা করি বিষয়টা পরিষ্কার হবে...
১. কালের ধুলায় ঢেকে যাওয়া বঙ্গবন্ধুর জীবনের শেষ ভাষণ (এ ভাষণ নয়, বাংলার ইতিহাস) - মেঘনা পাড়ের ছেলে এর বাংলা ব্লগ ।(Click This Link)
২. বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ‘অযোগ্যতাই’ আমাদের অভিভাবকহীন করেছিল(Click This Link)

আপাতত দুটো দিলাম। বাঁকিগুলো আমি পড়ার পর দেব। লিংকে সমস্যা হলে বলবেন। আমি একটু বাইরে যাব। কথা হবে...

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:০৭

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় ভাই,
আমার এই লেখা নিয়ে এত দারুন মূল্যায়ন করার জন্য ধন্যবাদ। খুব কষ্ট করে লেখাটা লিখেছি। ব্লগার সামুরা কমপ্লেইন করেছে, ব্লগে নাকি ভালো প্রবন্ধ জাতীয় পোষ্ট আসে না। তাই এই ধরনের লেখা শুরু করলাম। আমি যখন কিছু লিখি সেটা শত ভাগ পরিশ্রম করে লিখি। আমি কোন কাজে হাত দিলে আমার একাগ্রতা থাকে সেখানে শত ভাগ।

টপিকটা নিয়ে লিখেছি সেটা খুবই ভালো। আশা করি সবার খুব করে উপকার হবে.........

আপনার লেখা গুলি আমি অবশ্যই পড়ব, ভালো করে পড়ব। আমি সময় চেয়ে নিচ্ছি আপনার কাছ থেকে।

ব্লগের মিথস্ক্রিয়ার আশা করি নিয়মিতই কথা হবে আপনার সাথে।

আপনাকে অসংখ্য শুভেচ্ছা আর শুভ কামনা রইল।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩৮

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার দেয়া ২ নাম্বার লেখা টা পড়লাম। এটা পুরাপুরি ভুয়া লেখা। এটা সূত্র হচ্ছে জনকন্ঠ আর ভোরের ডাক। এবার বুঝুন তাহলে? এটা বাদ। এটার কোন বিশ্বাষ যোগ্যতা নেই। এই সব পত্রিকা ছাগলকে খেতে দিলেও খাবে না........

১ নাম্বার লেখা টাও পড়লাম। উনার অনেক অনেক ভুল ছিল। দেশ স্বাধীন হবার পর উনার পরিবারের লোকজন যা করে বেড়াত সেটা এখানে আর বললাম না। নিজের পরিবারের লোকজনকেই উনি কন্ট্রোল করতে পারেন নি। বাকশাল যত কথাই বলুক একটা জঘন্য পন্থা। বাকস্বাধীনতা টিটু চেপে ধরা কে কেউ সুস্ঠ মাথায় সমর্থন করতে পারে না শুধু দলকানারা ছাড়া.........।

আমি আপনাকে একটা লেখা পড়ার জন্য অনুরোধ করব Click This Link
এটা পড়ার পর বলবেন আপনার মত কি?

আপনার বাকি লেখা গুলিও পড়ছি।

ধন্যবাদ।

৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩৭

হাবিব বলেছেন: আপ্লুত আমি... আপাতত প্রিয়তে নিয়ে ঊপস্থিতি জানান দিলাম প্রিয় ভাই

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৪

নীল আকাশ বলেছেন: হাবিব ভাই,
গত কয়েকদিন আপনার জন্যই এত কষ্ট করে এটা লিখেছি।
ব্লগার সামুরা কমপ্লেইন করেছে, ব্লগে নাকি ভালো প্রবন্ধ জাতীয় পোষ্ট আসে না। তাই এই ধরনের লেখা শুরু করলাম। আমি যখন কিছু লিখি সেটা শত ভাগ পরিশ্রম করে লিখি। আমি কোন কাজে হাত দিলে আমার একাগ্রতা থাকে সেখানে শত ভাগ।
আপনাকে অসংখ্য শুভেচ্ছা আর শুভ কামনা রইল।

৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বিয়ের পরে দেখা যাবে B-))

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০০

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
বিয়ের পরে দেখার জন্যই তো এটা এখন দিয়েছি। জেনে রাখা ভালো।
টপিকটা নিয়ে লিখেছি সেটা খুবই ভালো। আশা করি সবার খুব করে উপকার হবে.........
আপনাকে অসংখ্য শুভেচ্ছা আর শুভ কামনা রইল।

৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০১

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: অনেক ভালো লেগেছে প্রিয় ভাই

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৩

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ অপরাহ্ন,
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল।

৯| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১৪

মুক্তা নীল বলেছেন: ভাই, just now আমি এই পোস্ট দেখলাম।
দেখে লোভ সামলাতে পারিনি, পরে আসছি এবং আরও ভালো করে পড়বো। আসছি পরে.......

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৪

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ অপরাহ্ন,
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যের জন্য অপেক্ষায় থাকব।
শুভ কামনা রইল।

১০| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৩

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ অপরাহ্ন,
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল।

১১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: এ যুগের স্ত্রী লোকেরা তো ঘরে থাকতেই চায় না।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৫

নীল আকাশ বলেছেন: ইসলামি জীবন ব্যবস্থা একটা সামগ্রিক সমাজকে চিন্তা করেই প্রনয়ন করা হয়েছে। যেই সমাজে আজকের সকল হানাহানি, বিদ্বেস আর হিংসা কিছুই থাকবে। পরকীয়া আর কোন নোংরামী থাকবে না.....

একজন স্বামী যখন তার স্ত্রীর সাথে ঠিক এই রকম আচরন করবেন তখন তার স্ত্রীর পক্ষে একই ব্যবহার ছাড়া অন্য কিছুই করার থাকবে না। সবাই যখন এই ভাবে সংসার ধর্ম পালন করবেন তখন দেখবেন পুরো সমাজটাই চমৎকার হয়ে উঠবে। আর তখনই প্রত্যেকেই পুরোপুরিভাবেই সুন্দর জীবন কাটাতে পারবে........

১২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮

মুক্তা নীল বলেছেন: এতো সুন্দর করে একটা লিখা লিখে গেছেন সারাজীবন মনে রাখার মতো। আল্লাহ আপনাকে অনেক সম্মান দান করুক।
ভাই, একটা সংসারে দু'জন কেউ মানিয়ে চলতে হয়। সেক্ষেত্রে কোন দম্পতির একে অপরের প্রতি বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থাকে,তারাই ভালো করে বাচতে পারে।
আর আপনি যে পোস্ট দিয়েছেন তা যদি কেউ মানে, তাহলেতো অনেক নারীর জীবনে সৌভাগ্যের দেখা মিলবেই।
শুভ কামনা ও দোয়া রইলো।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৩

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় আপু,
ইসলামের এই তথ্য গুলি আমরা অনেকেই জানি না। আর নাস্তিক্যবাদীরা সেটাকে বিকৃত করে প্রচার করে। আমি সুন্দর করে, সহজ করে লিখে দিয়েছি যেন সবাই খুব ভালো ভাবে বুঝতে পারে। অবিবাহিত, বিবাহিত সকল শ্রেণীর পুরুষের এ পোস্টটা অন্তত একবার হলেও পড়া উচিত। স্ত্রীর প্রতি তার কর্তব্য যেন সে ভালো ভাবে জানতে পারে।

দাম্পত্য সম্পর্ক কখনই শুধুই একজনের চেস্টায় মধুর হয়ে উঠতে পারে না। আপনি খুব সুন্দর করে বলেছেন যে, একটা সংসারে দু'জন কেউ মানিয়ে চলতে হয়। সেক্ষেত্রে কোন দম্পতির একে অপরের প্রতি বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থাকে,তারাই ভালো করে বাঁচতে পারে। আমিও সেটাই বিশ্বাস করি। এই লেখার মুল থীমই এটা।

দারুন একটা মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল, আপু।

১৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০

বলেছেন: ইসলাম নিছক কোন ধর্ম নয়। কতকগুলো বিশ্বাস কিংবা আচার-আচরণের নামও ইসলমান নয়
মানুষের পুরো জীবনের জন্য আল্লাহর দেয়া একটি ব্যবস্থা হলো ইসলাম।
পুরো জীবন অর্থঃ তার ব্যক্তি জীবন, সামাজিক জীবন, আর্থিক জীবন, রাজনৈতিক জীবন-সবকিছু।
তাই ইসলামের আলোকে একটি জীবন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। আমরা সংক্ষেপে এই জীবন ব্যবস্থার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করছেন ।
এতো সুন্দর প্রবন্ধের মাধ্যমে সবার ইসলামের পুরো জীবন ব্যবস্থা সম্পর্কে জানার আগ্রহ সৃষ্টি হোক এটাই কাম্য।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

নীল আকাশ বলেছেন: সালাম ভাই,
আপনি যা বলেছেন আমি ঠিক এটাই এই লেখা দিয়ে বুঝাতে চেয়েছি। আপনি আমার লেখার শানে নযুল বলে দিয়েছেন।
ইসলামের এই তথ্য গুলি আমরা অনেকেই জানি না। আর নাস্তিক্যবাদীরা সেটাকে বিকৃত করে প্রচার করে। আমি সুন্দর করে, সহজ করে লিখে দিয়েছি যেন সবাই খুব ভালো ভাবে বুঝতে পারে। অবিবাহিত, বিবাহিত সকল শ্রেণীর পুরুষের এ পোস্টটা অন্তত একবার হলেও পড়া উচিত। স্ত্রীর প্রতি তার কর্তব্য যেন সে ভালো ভাবে জানতে পারে।

এই পোষ্টটা পড়ার এবং চমৎকার একটা মন্তব্য করার জন্য মন থেকে দেয়া ধন্যবাদ নেবেন ভাই।

১৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০০

নীলপরি বলেছেন: ভালো লাগলো । ++

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৯

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সন্ধ্যা,
আপনাদের জন্যই তো লিখেছি। আপনার ভালো লেগেছে শুনে খুব ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

১৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৮

হাবিব বলেছেন:





কত ভালো লেখা এটা বুঝবার বাকি নাই,
সাতটা প্রিয়তে ব্লগে এসে দেখি তাই!
১২টা লাইকে মন ভরে গেল!!

একজনও লোক যদি আপনার লেখাতে,
সুখপাখি ফিরে পায় তাহাদের বিয়েতে!
মনে করি তব লেখা স্বার্থক হলো!!

উৎসর্গ করে তুমি করে গেলে ঋণী,
ব্লগে তুমি গুণীজন তোমাকেই মানী!

সুন্দর সাজানো তব লেখা যত্নে,
ব্লগটাই যেন আজ ভরে আছে রত্নে!


১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫৫

নীল আকাশ বলেছেন: সালাম হাবিব ভাই,
আপনার, ভাবীকে নিয়ে ঐ লেখাটা সত্যই আমার খুব ভালো লেগেছিল। মনে মনে তখনই ঠিক করেছিলাম এর একটা প্রতি পোষ্ট দেব। যেহেতু আপনাকে উৎসর্গ করব আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম, আর আপনি আমার এতই কাছের মানুষ, ভাবলাম উৎসর্গটা স্মরনীয় করে রাখব।

এই লেখাটা খুব যত্ন করে লিখেছি। অনেক ষ্ট্যাডি করতে হয়েছে এর জন্য। এটাই আমার প্রথম ধর্মীয় পোষ্ট। অনেক দিন থেকেই আপনার লেখা গুলি দেখে ইচ্ছে করছিল এই রকমের একটা লেখা দেবার। সত্যই লেখাটা অনবদ্য হয়েছে। যাক আমার উৎসর্গটা স্মরনীয় হয়ে থাকল।

পাশে সব সময় থাকার জন্য খুব করে ধন্যবাদ রইল।

১৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সুলিখিত পোস্ট !
চমৎকার লেখায় ভালোলাগা রাখলাম।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩২

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সন্ধ্যা,
এই পোষ্টটা পড়ার এবং চমৎকার একটা মন্তব্য করার জন্য মন থেকে দেয়া ধন্যবাদ নেবেন।
শুভ কামনা রইল!

১৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৮

রাকু হাসান বলেছেন:


অনেক মহার্ঘ লেখা । সাম্প্রতিক মন্তব্য ধরে এসে মূল্যবান লেখাটি পড়তে পারলাম । দারুণ শেয়ার । অশেষ কৃতজ্ঞতা । কিছুটা মেয়ে পটানোর টিপস পেলাম ;) :P । নেভার মাইন্ড :)

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৬

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় ভাই,
আসলেও অনেক কষ্ট করে লিখেছি। হুট করে প্রবন্ধ লিখলাম শুধুই ব্লগার সামুরার জন্য। উনি নাকি ব্লগে ভালো প্রবন্ধ পান না পড়ার জন্য। এত সুন্দর একটা পোষ্ট দিলাম, অথচ কোন খোঁজ নেই। বলুন এখন কেমন লাগে?

কিছুটা মেয়ে পটানোর টিপস পেলাম ;) :P । নেভার মাইন্ড :) আমার এই লেখার ডান দিকের ছবিতে কি বলা আছে দেখুন। সারা জীবন ধরে পটান.....

এই পোষ্টটা পড়ার এবং চমৎকার একটা মন্তব্য করার জন্য মন থেকে দেয়া ধন্যবাদ নেবেন।
শুভ কামনা রইল!

১৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এই জায়গাটা আমি একেবারে স্বাচ্ছন্দ নয়। এমনকি পোস্ট পড়ার পর কমেন্ট করতে কেমন যেন আরষ্টতা লাগে। সেখানে আপনার এমন সুন্দর একটি পোস্ট নিঃসন্দেহে জ্ঞানের পরিধির ব্যাপকতার পরিচয় দেয়। সমগ্র পোস্টটি যে খুব মন দিয়ে পড়েছি এ কথা বলবো না ; মাঝে মাঝে কিছুটা ছেড়েছি ঠিকই তবুও মোটের উপর অত্যন্ত সুন্দর লাগলো । পরিশ্রমী পোস্টটিতে প্লাস ++
যদি সময় পাই তাহলে পরে আবার আসবো।


শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় নীল আকাশভাইকে।


১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩২

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ রাত্রী,
হুট করে প্রবন্ধ লিখলাম শুধুই ব্লগার সামুরার জন্য। উনি নাকি ব্লগে ভালো প্রবন্ধ পান না পড়ার জন্য। এত সুন্দর একটা পোষ্ট দিলাম, অথচ কোন খোঁজ নেই। বলুন এখন কেমন লাগে?

দাদা, প্রবন্ধ লিখে তো ব্যাপক সাড়া পেলাম। আরও লিখব নাকি? সব মিলিয়ে কেমন লিখেছি? আপনি হলেন আমার লেখার কনস্যালটেন্ট। আপনি যদি গো এহেড বলেন তাহলেই এই লাইনে আবার যাব।
এই পোষ্টটা পড়ার এবং চমৎকার একটা মন্তব্য করার জন্য মন থেকে দেয়া ধন্যবাদ নেবেন।
শুভ কামনা রইল!

১৯| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি অন্য একটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে এসে পোস্টটিও পড়ে ফেললাম। আগে কথাটি বলি। আমি নানা পোস্টে আপনার মন্তব্য দেখেছি। আপনি অসাধারণ সব টিপস দেন সহব্লগারদের লেখনী উন্নত করার জন্যে। কিছু গল্পকারকে এত ভালো সব উপদেশ দিয়েছেন! আপনার এই আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়েছি এবং অভিনন্দন জানাতে এসেছি আপনার ব্লগবাড়িতে।

আর এই পোস্টটি নিয়ে কি বলব? সব মানুষ এভাবে সুন্দর করে ভাবতে শুরু করলে সংসারে বা সম্পর্কে আর অশান্তি থাকত না। জাস্ট অসাধারণ!

পোস্টে লাইক।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৬

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ রাত্রী,
মুগ্ধতা নিয়ে চার বার পড়লাম আপনার মন্তব্য। আসলে ব্লগে অনেক নতুন গল্পকার আসেন, যারা সামান্য একটু সাহায্য প্রথম দিকে পেলেই শিঘ্রই দুর্দান্ত লেখক হয়ে উঠবেন। আমরা যারা পুরানো ব্লগার আছি, তাদের হাতে সময় থাকলে এই কাজটা সবারই করা উচিৎ। আমি যতটুকু জানি, সেইটুকু সাহায্য করে আসি, অনেকটাই গায়ে পড়ে বলতে পারেন। ব্লগিং করার সময় এটা আমার দায়িত্ব হিসেবে নিয়েছি। শুধুই সময় লাগে আর টাইপ করতে হয়। এতে অনেককেই খুব ভাল পরবর্তিতে করতে দেখেছি। নিজের মনটা তখন অনেক অনেক বড় লাগে। অনেকেই সাহায্যের জন্য আমার ব্লগে এসে পোষ্ট দেয়। এই সম্মান টুকুও বা কম কি? কয়জন এই সম্মান পায় বলুন?

আপনি খুবই ভাল সংবেদনশীল একজন ব্লগার। এত কষ্ট করে এসেছেন শুধুই এটা বলার জন্য! কৃতজ্ঞতায় তো বেঁধে ফেললেন দেখছি আমাকে!

নিন আপনার জন্য দুর্দান্ত একটা লেখা দিলাম। ব্লগে এই ধরনের লেখা আপনি আগে পড়েন নি। চোখে পানি চলে আসবে Click This Link শুধুই অনুরোধ রইল মুক্তচিন্তা আর বিবেক নিয়ে পড়বেন। বেদনার আর কষ্টের সত্য ইতিহাসে জানুন। আশা করি ঐখানে আপনার দুর্দান্ত একটা মন্তব্য পাব।

এই লেখাটা আপনাদের নিয়েই লিখেছি। ইসলাম মেয়েদের কতটুকু সম্মান করে সেটাই বুঝাতে চেয়েছি।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হয়েছি।

এই পোষ্টটা পড়ার এবং চমৎকার একটা মন্তব্য করার জন্য মন থেকে দেয়া ধন্যবাদ নেবেন, আপু।
শুভ কামনা রইল!

২০| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৫

আখেনাটেন বলেছেন: লেখাটি ভালো লাগল। তবে.....

৮। নারীদের সৃষ্টি করা হয়েছে এইভাবে যে, তাদের কৃতজ্ঞতা বোধ কম থাকে।

১০. সবসময় মনে রাখবে, তোমার স্ত্রী তোমার কাছে অনেকটাই দায়বদ্ধ, বিভিন্ন ভাবে তোমার নিকট মুখাপেক্ষী।
-- এই দুটি লাইন নারীদের খাটো করে বলে মেনে নিতে পারছি না সেজন্য দুঃখিত।

কষ্ট করে এরকম একটি পোস্ট দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ অপরাহ্ন,
আসলে লাইন দুইটা নিয়ে আমার কিছুই করার নেই। অরিজিনাল লাইন থেকে আমি অনেক মোলায়েম ভাষায় লেখার চেস্টা করেছি।
৮ নাম্বারের ব্যাপারে আমি আরও খোঁজ নেব, তবে ১০ নাম্বারের ব্যাপারে আমি মনে করি এটা ঠিকি আছে। কোন অবাস্তব কিছু বলেনি।

এই পোষ্টটা পড়ার এবং চমৎকার একটা মন্তব্য করার জন্য মন থেকে দেয়া ধন্যবাদ নেবেন।
শুভ কামনা রইল!

২১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ দারুন একটা প্রবন্ধের জন্য।

অনেকেই ইসলামকে মিসইন্টারপ্রেট করতে নারী ইস্যুকে সামনে আনেন কন্ডিত ভাবে।
অথচ ইসলামের আগে আরবের নারীর কথাই বলি (বিশ্বে নারীর অবস্থান গবেষনার বিষয়) খুবই দু;খজনক পর্যায়ের।
ভোগবাদ আর সীমাহিন পূজিবাদের চর্চায় নারী কেবলই পণ্য ছিল। খাও দাও ছুড়ে ফেলে দাও।
ক্রীতদাসী বানিয়ে যৌবন শেষে উচ্ছিষ্টের মতো ফেলে দাও। মেয়ে শিশুকে জীবন্ত কবর দাও- সহ জঘন্য তম হীনাবস্থায়।
সেই পতিত স্থান থেকে নারীকে সর্বোচ্চ শিখরে স্থান দিয়েছিলেন বাস্তবিক ভাবে। বর্তমানের রাজনীতির উন্নয়নের চাপাবাজি ছিল না। যারা উন্নাসিকতায় ভ্রু কুঁচকান, নাক সিটকান তাদের অজ্ঞতায় হাসি পায়।

মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেস্ত! যে স্বামী তার স্ত্রীর কাছে উত্তম সেই আল্লাহর কাছে উত্তম!
সহ অগনিত আদেশ নির্দেশ উপদেশের মাধ্যমে নারীকে মহান মর্যাদা দিয়েছে ইসলাম।

আমরা চর্চা করিনা, বা মো্ল্রার ভুল ব্যাখ্যার দায়তো ইসলামের নয়। ডাক্তারের ব্যক্তিগত ভুলেতো চিকিসাবিদ্যাই মন্দ বলে চিহ্ণিত হতে পারেনা।

দারুন ভাবানুবাদে ভাললাগা। নোটেশনটা লেখাকে দৃঢ়তা দিয়েছে।

+++++++++

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৭

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সন্ধ্যা,
দেরীতে মন্তব্য করার জন্য দুঃখিত। প্রথমেই দুর্দান্ত একটা মন্তব্য করার জন্য আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।
আমার এই লেখাটার শানে নযুলটা চমৎকার করে আপনি বলে দিয়েছেন, ধন্যবাদ।

ইসলামি জীবন ব্যবস্থা একটা সামগ্রিক সমাজকে চিন্তা করেই প্রনয়ন করা হয়েছে। যেই সমাজে আজকের সকল হানাহানি, বিদ্বেস আর হিংসা কিছুই থাকবে। পরকীয়া আর কোন নোংরামী থাকবে না.....
একজন স্বামী যখন তার স্ত্রীর সাথে ঠিক এই রকম আচরন করবেন তখন তার স্ত্রীর পক্ষে একই ব্যবহার ছাড়া অন্য কিছুই করার থাকবে না। সবাই যখন এই ভাবে সংসার ধর্ম পালন করবেন তখন দেখবেন পুরো সমাজটাই চমৎকার হয়ে উঠবে। আর তখনই প্রত্যেকেই পুরোপুরিভাবেই সুন্দর জীবন কাটাতে পারবে........

কাঠমোল্লারা ইসলামে সুন্দর দিক তুলে ধরবে না বা ধরার মতো জ্ঞানও নেই! এটা আমি আপনি সবার দায়িত্ব ইসলামের এই সৌন্দর্য্য গুলি প্রকাশ করে সমস্তু ভুল ধারনা গুলি ভেঙ্গে দেয়া।

এই পোষ্টটা পড়ার এবং চমৎকার একটা মন্তব্য করার জন্য মন থেকে দেয়া ধন্যবাদ নেবেন।
শুভ কামনা রইল!

২২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪০

আরোগ্য বলেছেন: নীল আকাশ ভাই,
এই পোস্ট গতকাল দুপুরেই দেখেছি কিন্তু সময় পায়নি।ভেবেছিলাম রাতে মনোযোগ দিয়ে পড়ে মন্তব্য করবো কিন্তু তাও হয়ে ওঠে নি। আমার পোস্টের উত্তর দিতে দিতে বেশ রাত হয়ে যায় তাই আজ সবার আগে আপনার এই পোস্টটা পড়েছি।
বলার অপেক্ষা রাখে না কতটা দরকারী এই পোস্ট আজকের প্রেক্ষাপটে। অনেকের মত আমিও প্রিয়তে না নিয়ে পারলাম না। +++++
আল্লাহ আমাদের ইসলামের পথে প্রতিষ্ঠিত করুন।আমীন !!!

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৯

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সন্ধ্যা,
দেরীতে মন্তব্য করার জন্য দুঃখিত। প্রথমেই দুর্দান্ত একটা মন্তব্য করার জন্য আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।
আমি অনেকটাই ইচ্ছে করে এই ধরনের লেখা দিয়েছি। ইসলামে নারীকে কতটুকু মযার্দা দেয়া হয় সেটাই জানাতে চেয়েছি। আর সমস্ত বিবাহিত এবং অবিবাহিত পুরুষদের জানাতে চেয়েছি বিয়ের পর তার স্ত্রীর প্রতি কর্তব্য কি?
প্রিয়তে নেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার কথা মতো হেভি খাওয়া দাওয়া চলছে এখন....
শুভ কামনা রইল!

২৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২০

আরোগ্য বলেছেন: গ্যাসট্রিকের ওষুধ খেতে ভুলবেন না বোনাই।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:১৪

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
এত রাতেও সেই রকম ফুর্তি চলছে আর সাথে তো আছেই ;).....
ঔষধের বুদ্ধিটা খুব ভালো দিয়েছেন। মনে হচ্ছে সুস্থ থাকার জন্য এটা ছাড়া আর কোন উপায় নেই!
বোনাই প্রতি এত দরদ দেখে মনটা ভরে গেল, সাধে বলেছি আপনাদের মন দুধের মতো সাদা....
শুভ রাত্রী।

২৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০০

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন:
১। রোমান্টিকতা, খুনসুটি আর রসিকতা পছন্দ কিন্তু নখরা আর ন্যাকামি না ।

২। সেটাই, ভালোবাসার কথা বলতে হবে । না বললে কিভাবে বুঝবো যে ভালোবাসে ? তবে অনেক পুরুষ মুখে সাধারণত ভালোবাসি ভালোবাসি বলেনা কিন্তু তাদের আচার আচরনে তা স্পষ্ট । তবে সব মেয়ের তা বোঝার মতো ক্ষমতা থাকেনা ।

৩। আমার আবার একটু কঠোরতা ভালো লাগে তবে তা ভদ্র, উদার, সুশীল আর মিষ্টি কঠোরতা ।

৪। হা ঠিক ।

৫। একদম একদম ঠিক । সেই সিংহাসন, তার রাজা ও তার ভালোবাসার বিন্দুমাত্র ভাগ দিতে রাজী নয় কোন মেয়ে ।

৬। অবশ্যই অবশ্যই না । যে ছেলে এমনটি বলবে তাকে বলবো সে একবার তার নিজের দিক থেকে ভেবে দেখুক সে তার স্ত্রী আর বাবা মা থেকে আলাদা করে কাউকে বেঁছে নিতে পারে কিনা ।

৭। হা বিষয়গুলো বোঝা উচিত । যদিও একটু কঠিন কিন্তু একটু বুঝলে সংসার জীবন অনেক সহজ ও সুন্দর হয় ।

৮। কিন্তু আমিতো এর উল্টো টা । আমার মধ্যে কৃতজ্ঞতা বোধ অনেক বেশী এবং অভিযোগ এর স্বভাবও কম ।

৯। বুঝতে পারলে ভালো ।

১০। আহারে কত সুন্দর কথা । সবাই যদি বুঝতো ।

খুবই চমৎকার একটি বিষয়ে লেখা । আপনার এই লেখাটি প্রতিটি ছেলের পড়া উচিত ভাইয়া । আসলেই মেয়েদের অনেক বিষয় আছে ভাইয়া যেগুলো বোঝা উচিত ছেলেদের । একটি মেয়ে মনের দিক দিয়ে যতই শক্ত হোক দিন শেষে সে তার ভালোবাসার মানুষের কাধেই মাথা রেখে কাঁদতে চায় তার উপর নির্ভর হতে চায় ।


যদিও বলে "সংসার সুখের হয় রমনীর গুনে" তবে একটি সংসার সুখের ও শান্তির করতে সেখানে স্বামী ও স্ত্রী দুইজনেরই অবদান থাকতে হবে । আমাদের মেয়েদেরও অনেক বিষয় আছে যেগুলো আমরা ঠিক করিনা, ছেলেদের কিছু বিষয় বুঝতে চাইনা যার জন্য পরিবার ও সংসারে আরও অনেক বেশী অশান্তি হয় । তাই একটি ছেলেরও যেমন আপনার লেখার বিষয়গুলো বোঝা উচিত মেয়েদেরও সেম । আপনার লেখাটি দেখে আমার সেই বিষয় গুলো নিয়ে লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে যেগুলো আমরা মেয়েরা বুঝিনা বা ভুল করি সংসার জীবনে । আপনার মতো এত রেফারেন্স না দিতে পারলেও ভাবছি একান্তই আমার নিজের দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু কথা আমার বোনদের উদ্দেশ্যে লিখে ফেলি ।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৭

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সন্ধ্যা,
ছুটিতে বেড়াতে এসেছি আর তাই মন্তব্য দিতেও দেরী হয়ে গেল।
আপনি সব সময় খুব সুন্দর করে মন্তব্য করেন সেটা আমি জানি তবে আজকেরটা সেরা হয়েছে। আপনি যে একজন ভালো এবং সংবেদনশীল পাঠক সেটা আপনার মন্তব্য পড়লেই বুঝা যায়। খুবই মনোযোগ পড়েছেন সেজন্য কৃতজ্ঞতা রইল। ব্লগার সামুরা নাকি ভালো প্রবন্ধ পান না পড়তে, আর তার পোষ্টের জবাবেই এটা লেখা। দেখুন অবস্থা, এর মধ্যে মনে হয় ব্লগের রেগুলার সব ব্লগার এটা পড়ে ফেলেছেন কিন্তু ওর কোন খোঁজ নেই! কান্ড দেখুন এর!

আমি ইচ্ছে করেই খুবই কঠিন একটা বিষয় নিয়ে লিখেছি। প্রবন্ধ আগে লিখিনি। চেস্টা করলাম আমিও পারি নাকি! শুধুই প্রিয়তে নেয়ার সংখ্যা দেখেই হতভম্ব হয়ে গেছি। আমি এত প্রিয় কোন পোষ্টে দেখিনি! এই ধরনের লেখা আমাকে আরও লিখতে হবে!

ইসলামি জীবন ব্যবস্থা একটা সামগ্রিক সমাজকে চিন্তা করেই প্রনয়ন করা হয়েছে। যেই সমাজে আজকের সকল হানাহানি, বিদ্বেস আর হিংসা কিছুই থাকবে না। পরকীয়া আর কোন নোংরামী থাকবে না.....
একজন স্বামী যখন তার স্ত্রীর সাথে ঠিক এই রকম আচরন করবেন তখন তার স্ত্রীর পক্ষে একই ব্যবহার ছাড়া অন্য কিছুই করার থাকবে না। সবাই যখন এই ভাবে সংসার ধর্ম পালন করবেন তখন দেখবেন পুরো সমাজটাই চমৎকার হয়ে উঠবে। আর তখনই প্রত্যেকেই পুরোপুরিভাবেই সুন্দর জীবন কাটাতে পারবে........এক জীবনে এর চেয়ে বেশি আর কিবা চাই আমরা, বলুন?

কাঠমোল্লারা ইসলামে সুন্দর দিক তুলে ধরবে না বা ধরার মতো জ্ঞানও নেই! এটা আমি আপনি সবার দায়িত্ব ইসলামের এই সৌন্দর্য্য গুলি প্রকাশ করে সমস্তু ভুল ধারনা গুলি ভেঙ্গে দেয়া। মেয়েদের সর্বোচ্চ সম্মান ইসলামে দেয়া হয়েছে। একমাত্র মায়ের পদতলেই সন্তানের বেহেস্ত, যদি সে যেতে চায়! এর চেয়ে বেশি সম্মান আর কোন ধর্ম দেবে বলুন!

আপনিও লিখুন। অনেকেই আমাকে বলে মোটিভেশনাল লেখক, কিযে ভালো লাগে যখন কেউ আমার প্রতি পোষ্ট দেয়। আমি খুব খুশি হব আপনি একই বিষয়ে আরও লিখেন....

এই পোষ্টটা পড়ার এবং চমৎকার একটা মন্তব্য করার জন্য মন থেকে দেয়া ধন্যবাদ নেবেন।
শুভ কামনা রইল!

২৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১২

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আমার বিয়েতে আপনি এটা বাঁধাই করে উপহার দিয়েন

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০২

নীল আকাশ বলেছেন: ইনসাল্লাহ ভাই, আপনার বিয়ের দাওয়াত পেলে আমি অবশ্যই এটা সুন্দর করে বাধাই করে বিয়েতে গিফটের সাথে আলাদা ভাবে নিয়ে যাব। জাযাকাল্লাহ খাইর। এত উত্তম কাজের সুযোগ দেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ এবং আপনার জন্য শুভ কামনা রইল!

২৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪১

আরোগ্য বলেছেন: কি খবর বোনাই। দাওয়াত খাওয়া কি এখনও শেষ হয়নি? মাইদুল ভাইয়ের এই পোস্টটি শীঘ্রই দেখেন।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৫৮

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
আরোগ্য ভাই, অসংখ্য ধন্যবাদ এটার নিউজ দেবার জন্য। মারাত্মক ব্যস্ত ছিলাম তখন। ব্লগে ঢুকার সময়ও পাইনি।
শুভ কামনা রইল!

২৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৯

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




বিয়া ছাড়া আর কি কিছু নাই ।

গত সপ্তাহে এক ছোট বোনের বিয়ে গেছে । এই সপ্তাহে বন্ধুর বিয়ে ।

নাহ কেউ আমারে মহাপুরুষ হইতে দেবে না । ++++

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:০০

নীল আকাশ বলেছেন: অপু ভাই,
দেরী করে উত্তর দেবার জন্য দু:খিত। কিছুদিন মারাত্মক ব্যস্ত ছিলাম তখন। ব্লগে ঢুকার সময়ও পাইনি।
ভাই, বিয়ে করে মহাপুরুষ হন তার আগে না..........
শুভ কামনা রইল!


২৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



অনেক সুন্দর ছিল আপনার এই পোস্টটি। লিখতে থাকুন এমনি করেই। +++

অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৭

নীল আকাশ বলেছেন: নকীব ভাই,
ইনসাল্লাহ, আরও লিখব এই বিষয়গুলি নিয়ে। আমাদের সবার এই বিষয়গুলি নিয়ে লেখা উচিৎ।
পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ এবং আপনার জন্য শুভ কামনা রইল!

২৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩

হাবিব বলেছেন: আসসালামুআলাইকুম। এমন লেখা বারবার পড়তে মন চায়। আবার পড়লাম তাই আপনাকে জানিয়ে গেলাম

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১০

নীল আকাশ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকুন সব সময়।

৩০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩২

নতুন-আলো বলেছেন: প্রিয় ভাই, আপনার লেখার আমি একজন গুণমুগ্ধ পাঠক। বেশির ভাগ সময় মোবাইল থেকে লেখা পড়া বলে মন্তব্য করা হয় না। আমি আপনার এই লেখাটিও খুব খুব মনযোগ দিয়ে পড়েছি, কয়েকবার পড়েছি। খুব ভালো লেগেছে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৯

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই সালাম রইল,
আপনার এই মন্তব্যটা আমার খুব ভালো লেগেছে।
আসলে আমি বিভিন্ন রকম লেখা নিয়ে পোস্ট দেবার চেস্টা করে যাই। তবে এই ধরনের ধর্মীয় লেখা আমাদের সবার লেখা উচিৎ। ইসলাম নিয়ে সবার মনের ভিতরে অনেক রকম ভুল ধারনা আছে। এই ভুল আসলেও ভাংগা উচিৎ। আমি ঠিক করেছে আমি এখন থেকে মাঝে মাঝে এই রকম লেখা লিখব। মনে একটা অন্য রকম শান্তি পাওয়া যায় লিখলে। আল্লাহর কাছে আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আমি আরও ইসলামিক লেখা লিখতে পারি।
আল্লাহ আপনার উপর রহমত বষর্ন করুন, আমীন।

৩১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯

করুণাধারা বলেছেন: এই পোস্ট অন্তত তিন চারবার পড়েছি, যতবার পড়েছি ততবারই বক্তব্যের গভীরতায় মুগ্ধ হয়েছি, এবং এজন্য এই পোস্টের কথা খুব ভালো ভাবে মনে আছে। আজকে লিঙ্ক ধরে পড়তে এসে পড়া শেষ করে মন্তব্য পড়তে গিয়ে দেখি আমার মন্তব্য নেই!! কিভাবে এমন ভুল করলাম জানি না।

সবাই তো বলেই দিয়েছেন, তবু আরেকবার বলি,খুবই ভালো লিখেছেন! ++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.