নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।
ছবিঃ ১ - আমার বারান্দায় ঘুঘু পাখি
আজকাল প্রায় সকাল বেলাই আমার ঘুম ভাঙ্গে বিভিন্ন পাখিদের সুমধুর ডাকে। কি যে ভালো লাগে! সকালে উঠেই মনটা একদম অন্য রকম হয়ে যায়। বাসার চারপাশে অনেক, অনেক গাছপালা। সকাল হলেই চড়ুই আর শালিক পাখিদের কিচির মিচিরের সাথে শুনা যায় ঘুঘু পাখির মিষ্টি কন্ঠের সুমধুর ঘু ঘু ডাক। ঘুঘুর ডাক একটু দূর থেকেই শুনা যায়, কারন ঘুঘুরা খুব শান্ত প্রকৃতির পাখি হলেও, মানুষজন থেকে কেন যেন একটু দুরেই থাকে। সেদিন সকাল বেলা ঘুম ভাঙ্গার পর ঘুঘু পাখির ডাক যেন খুব কাছ থেকে মনে হলো, বেশ জোড়ে শুনা যাচ্ছে, ঘটনা কি? কি সুন্দর করে যে ডাকে, নিজের কানে না শুনলে বুঝানো যাবে না। বারান্দার দরজা খুলে বাইরে বের হয়ে তো আমি অবাক! এসির আউট ডোর ইউনিটটা প্রায় বারান্দার দেয়াল ঘেসে লাগিয়েছিলাম। ইনডোর আউট ডোর ইউনিটের মাঝখানে যে কপার টিউব গুলি প্যাঁচানো থাকে, তার উপর একটা ঘুঘু পাখি বসে ডাকছে। আরেকটা বারান্দার গ্রীলের উপর। হঠাৎ আমাকে দেখে দুই জনই ডাক থামিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম এসির পাশে বসা ঘুঘুটা বাসা বানাচ্ছে। সাত সকাল বেলা একি কান্ড! ঘাস, পাতা, ছন আর কি সব দিয়ে যেন প্রায় বাসা বানিয়েই ফেলেছে! ভালোই অবাক হলাম! এরা সাধারনত মানুষের বাসায় ঘর বানায় না। মনে হয় আশে পাশে ঘর বানানোর কোন ভালো জায়গা পায়নি। দেখে খুবই মায়া লাগলো। বারান্দার দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে ঘরে চলে আসলাম। অফিসে যাবার আগে বউকে ঘুঘু পাখির বাসা বানানোর কথাটা বলে, বারান্দায় পারতপক্ষে নিতান্তই দরকার না হলে কাউকে যেতে দিতে মানা করে দিলাম। বিকাল বেলা বাসায় ফিরে শুনি সারাদিনই ঘুঘু পাখি দুইটা বারান্দায় ছিল, এখনো আছে, নিজেদের বানানো বাসায় বসে ঘুটুর ঘুটুর করছে। নির্ঘাত আদর ভালোবাসা শুরু করে দিয়েছে, মেটিং এর সময় মনে হয় শুরু হয়েছে! দিনের বাকি সময়টাও আমরা বারান্দার দরজা প্রায় লাগিয়েই রাখলাম। পরের দিন সকালেও একই অবস্থা, তবে ঘুম ভাঙ্গার পর মনে হলো ডাকাডাকি অনেক বেড়ে গেছে। ঘুঘু পাখিগুলি যেন ভয় না পায় সেজন্য বারান্দার দরজা প্রায় সেদিনও বন্ধ রাখলাম।
তৃতীয় দিন দুপুর বেলা বাসায় এসে শুনি বিরাট দুর্ঘটনা ঘটে গেছে, বারান্দায় এসে দৃশ্যটা দেখে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। বারান্দায় একটা ঘুঘু পাখির ডিম পড়ে ভেঙ্গে আছে আর পাখি দুটা চুপ করে বারান্দার গ্রীলের উপর বসে আছে। কাছে যেয়ে বাসাটা দেখলাম, নীচ থেকে বাসাটা অসমান মনে হলো, একটা চেয়ার এনে দাঁড়িয়ে ভালো করে দেখতেই ডিমটা পড়ে যাওয়ার কারনটা বুঝা গেল। এসির কপার টিউবগুলির প্যাঁচ উঁচু নীচু থাকার জন্য বাসার মেঝেটা সমান করে বানাতে পারেনি, তাই ডিমটা এমনিতে পড়ে যেয়ে ভেঙ্গে গেছে। পাখি দুইটার এভাবে চুপ করে বসে থাকা দেখে এতই খারাপ লাগলো যে, সাথে সাথে চেয়ার থেকে নেমে ঘরে ঢুকলাম। এক সপ্তাহ আগে এপেক্স থেকে জুতা কিনেছিলাম কিন্তু এখনো পড়া হয়নি, জুতা বের করে রেখে বাক্সটা হাতে নিয়ে দেখলাম সাইজ একদম ঠিকমত আছে। বারান্দায় ফিরে এসে চেয়ারে দাঁড়িয়ে বাক্সটা দেয়াল আর এসির আউট ডোর ইউনিটের মাঝখানে শক্ত করে বসিয়ে দিলাম, নীচে কয়েকটা কাঠি দিয়ে বাক্সটা বেধে দিলাম, নড়াচড়া করে দেখলাম যথেষ্ঠ শক্ত হয়েছে। এবার পাখিদের পুরানো বাসাটা সুন্দর করে বাক্সের ভিতর বসিয়ে দিলাম। গতকালকে মুরগির ডিম কেনার সময় সাথে কিছু খড় দিয়েছিল, সেটাও বাসায় দিলাম। মনে হলো বাসাটা বেশ ভালো হয়েছে। চেয়ার থেকে নেমে আসতেই একটা ঘুঘু উড়ে এসে বাক্সটার পাশে বসে দেখলো, কি এটা? আমি ঘরের ভিতর দাড়িয়ে দেখছি পাখিটা কি করে? একবার বাক্সটার ভিতরে বসে, আবার সাথে সাথে উঠে যায়। ভয় পাচ্ছে মনে হয়, পাখি ধরার খাঁচাও মনে করতে পারে। হাতে সময় ছিল না, অফিসে ফিরতে হবে, দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে চলে আসলাম। বিকালে ফিরে বারান্দায় দেখি বাক্সের মধ্যে একটা ঘুঘু খুব সুন্দর করে বসে আছে, আরেকটা এসির উপর বসে ঘুটুর ঘুটুর করছে। এখনও আমি কোনটা পুরুষ আর কোনটা মেয়ে চিনিনা। শুনেছি ঘুঘুদের ডিম দেয়ার আগে প্রচুর মিলিত হতে দেখা যায়। এদের অন্তরঙ্গ মূহুর্তে আর ডিস্টার্ব করলাম না, বারান্দার দরজা লাগিয়ে দিলাম। ছবি তুলতেও সাহস পেলাম না যদি ভয় পেয়ে চলে যায়!
ঠিক চার বা পাঁচ দিন পরে বিকাল বেলা অফিস থেকে ফিরে দেখি বাক্সের মধ্য একটা ঘুঘুও নেই। আশে পাশে তাকিয়ে দেখলাম কোথাও নেই। চেয়ার একটা নিয়ে এসে উঠে দাড়িয়ে বাক্সের মধ্য তাকিয়ে আমি হতম্ভব!
ছবিঃ ২ - ২টা ডিম সহ ঘুঘু পাখির বাসা……
ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করা শুরু করলাম এদের সম্পর্কে জানার জন্য। মোটামুটি কিছু তথ্য পেলাম। ১০ থেকে ১৫ দিন ডিমে তা দিবে এরা দুইজন পালা করে, বাচ্চা বড় হয়ে উড়া না শিখা পর্যন্ত আর কোথাও যাবে না। বেশ খুশি গেলাম, একদম ফ্রি ফ্রি এক জোড়া ঘুঘু পাখি পেয়ে গেলাম, যা তা কথা নাকি! পাখি দুইটার আমাদের প্রতি ভয় প্রায় কেটে গেছে, বারান্দার দরজা এখন খোলাই থাকে। আমার দুই ছেলে তো মহা খুশি। ছোটটা কেবল কথা শিখছে, বারান্দায় যেয়েই বাক্সটা দেখিয়ে বলে পাখি পাখি। আর ঘুঘু যেটা বাক্সে বসে থাকে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে কে বারান্দায় যাওয়া আসা করে……..
ছবিঃ ৩ – মা ঘুঘু ডিমে তা দিচ্ছে…
বাসার সবার খাবারের দায়িত্ব আমার বউয়ের। ঘুঘু পাখি দুইটা এখন এই বাসায় থাকে, এরা আর বাদ যাবে কেন? বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দইয়ের ছোট মাটির যেরকম বাটি থাকে, সেরকম একটাতে বিভিন্ন টাইপের খাবার দিল আমার বউ। কিন্তু একটাও খাওয়া তো দূরের কথা স্পর্শও করলো না। নিজেরাই বাইরে থেকে পালা করে খাওয়া খেয়ে আসে। দুই ঘুঘু পালা করে ডিমে তা দিতে শুরু করলো। এদের ডাকাডাকি দেখে আন্দাজ করতাম কোনটা এখন বাসায় তা দিচ্ছে…...
ছবিঃ ৪ – বাবা ঘুঘু রাতের বেলা ডিমে তা দিচ্ছে…
আস্তে আস্তে ডিম ফুটে কবে যেন দুইটা বাচ্চা হয়ে গেল। টেরও পাইনি আমরা। একদিন বাবা মা কেউ নাই দেখে সাহস করে চেয়ারে দাঁড়িয়ে আবার অবাক হলাম। বাচ্চা দুইটা বড় হয়ে গেছে। কি যে সুন্দর লাগছে, আস্তে হাত দিয়ে গায়ে আদর করে দিলাম, বেশ ভয় পেল দেখলাম। বেশি বিরক্ত না করে ছবি তুলে রাখলাম।
ছবিঃ ৫ – বাচ্চারা বড় হয়ে গেছে, উড়াল দেবার সময় হয়ে এসেছে…..
কয়েকদিনের মধ্যেই বাচ্চারা হাল্কা করে উড়তে শুরু করলো। বাক্স থেকে উঠে এসির উপর কিংবা গ্রীলের উপর যেয়ে বসত বাবা বা মায়ের সাথে, আবার বাক্সে ফিরে আসত। এভাবেই কয়েক দিন চলল বারান্দায় বাবা মায়ের কড়া নজরে উড়াউড়ি শেখা…...
ছবিঃ ৬ – মা ঘুঘু বড় দুইটা বাচ্চার সাথে …
দেখতে দেখতে বাচ্চারা বেশ বড় হয়ে গেল। প্রায় উড়াল দেবার বয়স হয়ে এসেছে। মনটাও খারাপ হতে শুরু করলো। বাচ্চাদের নিয়ে বাবা মা ঘুঘু পাখিরা কয়েকদিনের মধ্যেই হয়ত চলে যাবে। একদিন অফিস থেকে ফিরে আসার পর বউ জানালো যে, এরা দল বেধে কখন যেন বাসা ছেড়ে চলে গেছে। চেয়ারে দাঁড়িয়ে দেখলাম বাক্সটা খালি পরে আছে। কেমন যেন বাসাটা খালি খালি লাগছে কিন্তু কিছুই করার নেই। প্রথম দিন থেকেই পণ করেছিলাম যে, এদের কে জোর করে আটকে রাখবো না, নিশ্চয়ই যে পরিমান আদর অ্যাপায়ন করেছি সহজে এদের ভূলে যাবার কথা না………
ঘুঘু নিয়ে আমাদের বাংলাভাষায় বেশ কিছু প্রবচন, ছেলে ভোলানো ছড়া, শ্লোক চালু আছে। নির্বংশ হওয়া বোঝাতে বলে ‘ভিটায় ঘুঘু চরা’। আরও আছে—‘বারবার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান/ এই বার ঘুঘু তোমার বধিব পরাণ’, ‘ঘুঘু দেখেছ ফাঁদ দেখনি’ ইত্যাদি। চোরের রাজা বা ডাকাতের সর্দারদের বলে ‘বড়ঘুঘু’। আবার ছোট শিশুদের পায়ের ওপরে রেখে দুলুনি দিতে দিতে ‘ঘুঘু সই/ ফুপু কই’ এমন ছড়া কাটার চল আছে। যেভাবে দিন দিন এরা নির্বংশ হয়ে যাচ্ছে এখন খোদ ঘুঘুর বংশেই ঘুঘু চরার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নিরাপদ বাসা বানানোর জন্য এদের জায়গার সত্যই খুবই অভাব। কেন জানি মন বলছে এরা আবার ফিরে আসবে………….
ঠিক ঠিক তাই হলো যা ভেবেছিলাম। কিছুদিন পরেই কপোত কপোতীরা আবার এসে হাজির। একদিন অফিস থেকে ফিরে আসতেই ছোট ছেলেটা আমার হাত ধরে বারান্দায় নিয়ে যেয়ে আংগুল উঁচু করে বাক্সটা দেখিয়ে বলল, পাখি পাখি। বাচ্চারা সাধারনত এইরকম ভূল করে না। বাক্সটার কাছে যেতেই বাক্সে বসা ঘুঘু টা আমাকে দেখে মোটা গলায় ডাকা শুরু করল। ডাক শুনেই বুঝলাম, আবার ডিম দিবে, তাই বাসায় ফিরে এসেছে। আওয়াজ করে মেয়েটা বুঝিয়ে দিল, আমরা আবার ফিরে এসেছি। কি যে ভালো লাগলো! প্রেমিক ঘুঘু কই? চারপাশে দেখলাম না। অসুবিধা নেই। সন্ধ্যা হয়ে এসেছে আর প্রিয়তমাও এখানেই আছে, ও আর যাবে কই? ফিরে তো আসতেই হবে। রাতের বেলা বারান্দা থেকে প্রেমিক প্রেমিকার ঘন ঘন প্রেমালাপ শুনা গেল। আরেকবার বাচ্চা না হওয়া পর্যন্ত এরা আর কোথাও যাবে না…….
ছবিঃ ৭ – বড় দুইটা বাচ্চা ঘুঘু পাখি …
এই পর্যন্ত আমার এই বাসা থেকে তিনটা প্রজন্ম জন্ম গ্রহন করেছে। প্রতিবার দুইটা করে ছয়টা বাচ্চা হয়েছে। শুনেছি প্রতিবার একটা ছেলে আর একটা মেয়ে ঘুঘু জন্ম নেয়। তার মানে চার জোড়া কপোত কপোতী। তৃতীয় প্রজন্মের চলে যাবার সময় আমি বাসায় ছিলাম। সেদিন মনে হয় অফিস ছুটি ছিল। সকাল এগারোটার দিকে বাবা মা দুই বাচ্চাকে নিয়ে বারান্দার গ্রীলে যেয়ে বসল। মাথা সবার বাইরের দিকে। ভাব সাব দেখে মনে হলো, চলে যাবার সময় হয়ে এসেছে। আমি বারান্দায় এসে দাড়ালাম। প্রথম বাবা মা নীচে ঝাপ দিল, তারপর দুই বাচ্চা। বাচ্চা দুইটার ঝাপ দেয়া দেখে ভয় পেয়ে গেলাম। তাড়াতাড়ি কাছে যেয়ে নীচে তাকিয়ে দেখি বেশ জোড়ে জোড়ে পাখা নাড়ছে বাচ্চারা, তারপরও পড়ে যাচ্ছে, হায় হায়, সর্বনাশ, আমি মোটামুটি প্রিপারেশন নিয়ে ফেলেছি নীচে দৌড় দেবার জন্য। পাঁচ তলা থেকে লাফ দিয়েছে, ঠিক দুই তলায় এসে বাচ্চা দুইটা হঠাৎ করেই উড়া শিখে ফেলল। উড়তে উড়তে বাবা মায়ের পাশে যেয়ে দাড়াল, তারপর আস্তে আস্তে উড়ে চলে গেল আমার চোখের সামনে থেকে। সামনে তাকিয়ে রইলাম যতক্ষন পর্যন্ত পাখিগুলি কে দেখা যায়। এক সময় নীল আকাশের মাঝে ক্ষুদ্র হতে হতে বিলীন হয়ে গেল……….
ঘুঘু পাখিদের সম্পর্কে যা সবার জানা দরকার, তা হলোঃ
১. পুরুষ ঘুঘুদের প্রায়ই মাদি ঘুঘুদের চারপাশে ঘুরে ঘুরে ডাকতে শোনা যায়।
২. যে ঘুঘুটি বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকে, বেশি কাজ করে বেড়ায়, অর্থাৎ কামলা, সেটিই ছেলে ঘুঘু।
৩. যে ঘুঘু পাখিটি জোড়ে জোড়ে ডাকে সেটিই ছেলে ঘুঘু।
৪. পুরুষ ঘুঘু পাখি ডাকবেই। বয়স হলে ছেলে ঘুঘু খাঁচায় থাকলেও ডাকবে, কিন্তু মেয়ে ঘুঘু হলে ডাকাডাকি করবে না।
৫. বর্তমানে পাখি আইনে ঘুঘু ধরা বা হত্যা করা দণ্ডনীয় অপরাধ। খারাপ লোক যাতে শিকার করে ঘুঘুর প্রজাতি বিলুপ্ত করতে না পারে সেদিকে আমাদের সবার খেয়াল রাখতে হবে।
৬. সবারই ইচ্ছা থাকে পোষা পাখি তাদের চিনবে, ডাক দিলেই উড়ে এসে হাতে বসবে। কিন্তু পৃথিবীতে এমন কিছু পাখি আছে যাদের পোষ মানানো যায় না। ঘুঘু তার মধ্যে অন্যতম। খুব ছোট বেলা থেকে পালন করলেও ঘুঘু পাখিকে পুরোপুরি পোষ মানানো কখনোই সম্ভব নয়।
ঘুঘু পাখিদের নিয়ে জীবনানন্দ দাশ রূপসী বাংলা কবিতায় অসাধারণ কিছু কবিতার অংশ লিখেছেন। জীবনানন্দের ‘এখানে ঘুঘুর ডাকে’ নামের কবিতার সেই ঘুঘু আর নেই বনে। শুনা যায় না তার মিষ্টি ডাক। কোথায় যেন ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে ঘুঘু পাখিটি! গ্রাম বাংলার মিষ্টি পাখি ঘুঘুর বংশে ঘুঘু চরার দশা এখন। পাঠকদের জন্য এই কবিতাংশ দুইটা নীচে তুলে দিলাম, এর চেয়ে ভালো কোন লেখা ঘুঘু পাখিদের নিয়ে আমি পাইনি-
১.
পৃথিবীর সব ঘুঘু ডাকিতেছে হিজলের বনে;
পৃথিবীর সব রূপ লেগে আছে ঘাসে;
পৃথিবীর সব প্রেম আমাদের দু’জনার মনে;
ছড়ায়ে আছে শান্তি হয়ে আকাশে বাতাসে।
২.
এখানে ঘুঘুর ডাকে অপরাহ্নে শান্তি আসে মানুষের মনে;
এখানে সবুজ শাখা আঁকাবাঁকা হলুদ পাখিরে রাখে ঢেকে;
জামের আড়ালে সেই বউকথাকও টিরে যদি ফেল দেখে
একবার — একবার দু’পহর অপরাহ্নে যদি এই ঘুঘুর গুঞ্জনে
ধরা দাও — তাহলে অনন্তকাল থাকিতে যে হবে এই বনে;
এখন নভেম্বর মাস। প্রায় চার মাস হয়ে গেল ঘুঘু পাখির তৃতীয় প্রজন্ম আমার বাসা থেকে উড়তে শেখার পর চলে গেছে। মজার বিষয় হলো এখনো এই পাখি গুলি আমার বাসার আশে পাশেই ঘুরাঘুরি করে। প্রায় প্রতিদিনই এদের ডাকাডাকি শুনতে পাই। সব গুলি বাচ্চাই বড় হয়ে গেছে। দূর থেকে দেখলে এখন আর আমি বুঝতে পারি না কোনটা বাচ্চা আর কোনটা বাবা মা। বারান্দায় দাড়ালেই ছেলে ঘুঘু পাখির বিষন্ন কামনা মদির কন্ঠের সুমুধুর ঘুঘু ডাক শুনা যায়। মাঝে মাঝেই ছেলে ঘুঘু পাখি গুলি বারান্দায় এসে গ্রীলে বসে থাকে, উচ্চস্বরে ডাকতে থাকে, বারান্দায় আমরা যাওয়া আসা করি সেটা পাত্তাও দেয় না, শুনলেই এদের নিয়ে পুরানো স্মৃতি গুলি মনে পড়ে যায়, মনে হয় আমাদের সেই
স্মৃতি গুলি মনে করিয়ে দেবার জন্যই এখানে এসে ডাকে। হয়তো ঘুঘুর বাচ্চাদের ছোট বেলার কথা মনে পড়ে যায় যখন, তখন এসে ঘুরে যায় আর পুরুষ ঘুঘু হয়তো আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমি আবার প্রিয়তমাকে নিয়ে ফিরে আসব। হঠাৎ করেই কোন কোন দিন মেয়ে ঘুঘু পাখির নিম্ন স্বরের ডাক শুনতে পাই, যেয়ে দেখি বাক্সের কাছে বা মধ্যে বসে আছে। আমাদেরকে দেখে ওর গম্ভীর গলায় নিম্ন স্বরে ডাকতে শুনে মনে হয়, বাসায় এসে ওর ভালোবাসার সেই দিন গুলির কথা আমাদের স্মরন করিয়ে দিচ্ছে, বলে দিচ্ছে আমাকে ভূলে যেও না, আবার যখন মেটিং এর সময় হবে আমি এই বাসায়ই ফিরে আসব, এটাই আমার বাসা, বারবার আমি এখানেই ফিরে আসব……………
ঘুঘু পাখির বাসার বাক্সটা কিছুটা ভেঙ্গে ছিড়ে গিয়েছিল। নতুন একটা বাক্স দিয়ে বাসাটা আবার সুন্দর করে বেধে দিয়েছি। চিটাগাং এ বৃষ্টির সময় অনেক দিন টানা বৃষ্টি হয়, একটুও থামাথামি নেই। এই সময় পাখিদের ডানা ভিজে গেলে আর উড়তে পারে না। আর সামনে শীতকাল, হয়তও এবার প্রচন্ড ঠান্ডাও পড়তে পারে। ঘুঘু গুলিতো ওদের বাসা চেনেই, দরকার পরলে এখানে এসে নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারবে। আর আমরাও অধীর আগ্রহে এই ঘুঘু পাখিদের জন্য অপেক্ষা করে আছি, কবে এরা আবার এই ভালোবাসায় গড়া বসতে ফিরে আসবে…………
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, নভেম্বর, ২০১৮
নীচের অংশটুকু আমার লেখা নয়, আগ্রহী পাঠকদের জন্য ইন্টারনেট থেকে পাওয়া কিছু তথ্য তুলে দিলামঃ
১. বাংলাদেশের অতি পরিচিত পাখি ঘুঘু। ঘুঘু পাখি উড়তে পারে বেশ দ্রুত। লোকালয়ের কাছে বসবাস করলেও এরা আড়ালে থাকে। নিজেদের বাসা নিজেরাই তৈরি করতে পারে। ঘুঘু পাখি খুব সুন্দর সুরেলা কণ্ঠে ডাকতে পারে। ঘুঘু পাখি দেখতে প্রায় কবুতরের মতো। এরা প্রায় ৩০ থেকে ৪২ সেঃমিঃ লম্বা হয়। ঘুঘু পাখির লেজ বেশ লম্বা। কোনো কোনোটির ডানায় ও লেজে কালো রং ও স্পষ্ট ২টি হলুদ ডোড়া দাগ রয়েছে। আবার কোনো কোনোটির লেজের নিচের রং হয় দারুচিনির মতো। ঘুঘুর দেহ ফ্যাকাসে ধূসর, বাদামি ও তামাটে রংয়ের হয়। ঘাড়ে বেগুনি প্রলেপ রয়েছে। ঠোঁট বাদামি ও কালো। এদের প্রধান খাদ্য শষ্যদানা। এছাড়াও খাদ্য তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন রকম ফল, বীজ ও গাছের কচি কুঁড়ি। পিঁপড়া ও কীটপতঙ্গও খেয়ে থাকে। বাসা বানানোর সময় এরা ঘাস পাতা মাটিতে টানাটানি করে তবে এই টানাটানি এরা মানুষের সামনে করে না। এরা এতই চতুর যে যদি টের পায় তাদের বাসা কেউ দেখে ফেলেছে তখন তারা বাসা অন্য কোথাও সরিয়ে নেয়। কেউ যদি কোন ঘুঘুর বাসার সন্ধান পায় তাহলে সেই বাসার দিকে সরাসরি না তাকানো উত্তম। ঘুঘু মানুষের দৃষ্টি খুব সহজেই বুঝতে পারে। ডিম পাড়ার পর ঘুঘু জুটি একজনের পর অন্যজন পালা করে তা দেয়। কিন্তু তা পরিবর্তনের সময় কেউ দেখতে পাওয়াটা খুবই কঠিন ব্যাপার, সম্ভব না বললেই চলে।
ঘুঘুর আরেক নাম বনকপোত। পায়রা, ঘুঘু, হরিয়াল—এসব একই পরিবারের পাখি। ঘুঘুর বৈজ্ঞানিক নাম– Streptopelia chinensis । ঘুঘু ও কবুতর কলম্বিডি পরিবারের অন্তরভুক্ত। বিশ্বে কলম্বিডি নামের এই পরিবারে পাখি আছে ৩১০ প্রজাতির। আমাদের দেশে প্রজাতির সংখ্যা ১৬। তবে কেবল ঘুঘুই আছে অন্তত ৭ প্রজাতির। সচরাচর সারা দেশে যেটি দেখা যায় সেটি তিলাঘুঘু। বুকের নিচে ধূসর। পিঠ বাদামি। গলায় কালোর মধ্যে সাদা ফোঁটা। আকার ২৮ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার। একটু নিচু ঝোপঝাড়ে ঘুঘু বাসা করে। পাখিবিশেষজ্ঞ শরিফ খান ভাষ্যমতে গত ৩০ বছরে ঘুঘুর সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমেছে। কোথাও কোথাও কমে চার ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে। তিলাঘুঘু ছাড়া আমাদের দেশের অন্য ঘুঘুর মধ্যে আছে মটরঘুঘু, বাজঘুঘু, ছোটঘুঘু, লাইছেঘুঘু, বাঁশঘুঘু ও ধূমকলঘুঘু। আকারে ধূমকলঘুঘুই সব থেকে বড়। নিরীহ এই পাখি মানুষের লোভের শিকার হয়ে হয়তো একদিন হারিয়েই যাবে দেশ থেকে। শুধু জীবনানন্দের কবিতার পঙক্তিতেই থাকবে তার কথা, ‘পৃথিবীর সব ঘুঘু ডাকিতেছে হিজলের বনে;/পৃথিবীর সব রূপ লেগে আছে ঘাসে;।'
২. একটি পূর্ণ বয়স্ক ঘুঘু যখন ডিম উৎপাদনে উপযোগী হয় তখন চোখের বৃত্ত ছোট হয়। ধূসর বর্ণের পুরুষ ঘুঘুর চোখের বৃত্তের রং হয় কমলা অথবা লাল। পরিধি ২-৩ মিলিমিটার পর্যন্ত। স্ত্রী ঘুঘুর রং বাদামি ধূসর রংয়ের, চোখের বৃত্ত ১ মিলিমিটার পর্যন্ত পুরু হয়। এই ঘুঘু সাধারণত ১০ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত বাঁচে। অনেক ক্ষেত্রে ২১ বছর পর্যন্তও টিকে থাকে। ৬ মাস বয়স হলেই ডিম পাড়া শুরু করে। কখনও কখনও এর ব্যতিক্রম হয়ে ৮ মাস লেগে যায়। এই পাখি একসাথে ২টি করে ডিম পাড়ে। ডিমের রং সাদা ও কিছুটা ফ্যাকাসে। ডিম লম্বায় ২.৬ সেঃ মিঃ ও প্রস্থে ১.৫ সেঃ মিঃ। পুরুষ ও স্ত্রী দুজন মিলেই ডিমে তা দিয়ে থাকে। এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত এদের প্রজননের সময়। ডিম থেকে বাচ্চা ফুটতে সময় লাগে ১৩ থেকে ১৪ দিন। ঘুঘুর ডিম ফুটে বাচ্চা বের হলে এই সময় এরা দুজনেই প্রচুর খাবার সন্ধানে থাকে। কোন ঘুঘুর খাওয়া দাওয়ার তড়িঘড়ি দেখেই বুঝা যায় এর বাচ্চা থাকতে পারে। এছাড়াও বাচ্চা দেয়া ঘুঘুদের বাচ্চাদের নিয়মিত খাবার খাওয়ানোর কারনে ঠোঁটের গোঁড়ার দিকে দুই পাশে চোখের কাছ পর্যন্ত ভেজা ভেজা দেখা যায়। এই চিহ্ন দেখে সহজেই বুঝা যায় এদের বাসায় বাচ্চা আছে। প্রতিবার এক জোড়া করে বছরে তিনবার ডিম দেয়। বাচ্চা ফুটলে প্রথম দুই-তিন দিন মা ঘুঘুর মুখ থেকে একরকম লালা নিঃসরণ হয়। এটাই ছানার খাদ্য। কবুতরের ক্ষেত্রেও তাই, একে বলে ‘পিজিয়ন মিল্ক’।
৩. বাংলাদেশে ঘুঘুদের বসবাসের জায়গা এখন অনেক সংকুচিত হয়েছে। যত্রতত্র ইটভাটায় গিলে খেয়েছে বড় বড় গাছ। আর পাখি শিকারিদেরও লোভাতুর শ্যেন দৃষ্টি থেকে সত্যি সত্যি রক্ষা করা যায়নি পাখিদের। ঘুঘু পাখিকে শিকারির কবল থেকে সতি সত্যি রক্ষা করা যায়নি। আজ ঘুঘু দেশে এখন প্রায় বিপন্ন পাখি। মাংস সুস্বাদু, সেটাই হয়েছে ঘুঘুর কালশত্রু। বাড়ির আশপাশের ঝোপ-জঙ্গলের এই পাখিটিই শিকারিদের তীর ও গুলি ছোড়ার প্রথম লক্ষ্য।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৩
নীল আকাশ বলেছেন: এদের সামলানো তে খুব একটা সমস্যা হয় না। খাবার দাবার তো নিজেরাই করে আসে বাইরে থেকে.....
এদের কে বিরক্ত না করলেই হয়। তবে দেখলে এত আদর আদর লাগে.......।
তবে এত গুলো বাচ্চা ও বাচ্চার বাবাকেও সামলাতে গিয়ে আমাদের ভাবিজীর একেবারে নাকের জল চোখের জল হওয়ার অবস্থা।হা হা হা। - আপনার ভাবী কে জানাবো!
আপনার জন্যও শুভকামনা ও ভালোবাসা রইল!
২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৯
হাবিব বলেছেন: বাহ দরুন।অসাধারন ভালো লাগলো..।আমার বাসায়ও ছিলো আগে
২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ, এদের কে সবার আশ্রয় দেয়া উচিৎ। এদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সবার এগিয়ে আসা উচিৎ।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল!
৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫১
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ ,
পাখি তা ও আবার ঘুঘু - সবখানেই তারা বসত গাড়েনা ।সেখানে আবার তিন তিনটি প্রজন্ম ! নিঃসন্দেহে আপনি ভাগ্যবান ।
তবে ঘুঘু সম্পর্কে যে সব প্রবচন, ছড়া, শ্লোকের কথা বললেন তাতে মনে হলো একটু "জোক" করা যায় এমন ঘরোয়া লেখাটি নিয়ে -" আপনার ভিটেয় ঘুঘু চড়ছে । সাবধান................... "
লাইকড ।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৯
নীল আকাশ বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাই, অসংখ্য ধন্যবাদ এ্ত চমৎকার একটা মন্তব্য করার জন্য।
আমি নিজেও প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি,এরা সত্যই আবার ফিরে আসবে......প্রথম বার চলে যাবার পর কি যে খারাপ লাগছিল! বারান্দায় গেলেই বাসার সবার মন খারাপ হয়ে যেত......। সকাল বেলা হলেই ঘুম থেকে উঠে কান পেতে থাকতাম...
কি চমৎকার ভাবে এরা যে ডাকে সেটা নিজের কানে না শুনলে বুঝানো যাবে না......মনটাই অন্য রকম হয়ে যায়.....
দেশে দিন দিন এইসব পাখিরা আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে.....কোন কেউ এদের বাঁচিয়ে রাখার চেস্টা করে না.....
ছোট বেলায় কত কত পাখিদের দেখতাম, আজ এরা সত্যই কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে.....।
বলুন আজ আর কোথাও বউকথাকও পাখিটা দেখতে পারেন? আমার অনেক দিনে সখ আবার এই পাখিটা একবার দেখার.....
তবে ঘুঘু সম্পর্কে যে সব প্রবচন, ছড়া, শ্লোকের কথা বললেন তাতে মনে হলো একটু "জোক" করা যায় এমন ঘরোয়া লেখাটি নিয়ে -" আপনার ভিটেয় ঘুঘু চড়ছে । সাবধান................... "
চড়ুক, আমি কুসংস্কার একদম বিশ্বাস করি না....... আমার বাসায় এদের সারা জীবন আশ্রয় দিয়ে যাব, যত দিন বেঁচে থাকব।
এদের বাচানোর জন্য কাউ কে না কাউকে চেস্টা করতেই হবে, না হয় আমি প্রথম শুরু করলাম.....।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল!
৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯
করুণাধারা বলেছেন: ++++++++
ইনশাল্লাহ, পরে আবার আসছি সময় নিয়ে।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৩
নীল আকাশ বলেছেন: অবশ্যই আপু, এবার আসার জন্যও ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল!
৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪
মা.হাসান বলেছেন: ভাল। লাইক থাকলো। চিড়িয়াখানার বাইরে এদের দেখা পাও্য়ার সম্ভাবনা কমছে।
আপনার জন্য একটা গান Big Yellow Taxi
২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩
নীল আকাশ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। সাধে আমি এত পছন্দ করি এদের। কিযে সুন্দর করে ডাকে, মনটাই অন্য রকম হয়ে যায়.......
আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল!
৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: বিশাল পোষ্ট কিন্তু পড়তে বিরক্ত লাগেনি।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭
নীল আকাশ বলেছেন: একটু অন্য রকম লেখা, সবাই কে বিস্তারিত ভাবে জানাতে চেয়েছি কি ঘটেছে....কষ্ট করে পড়েছেন সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিশাল পোষ্ট কিন্তু পড়তে বিরক্ত লাগেনি। - কি দারুন মন্তব্য করেছেন.....।
আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল!
৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯
আবু ছােলহ বলেছেন:
দারুন লিখেছেন। পোস্টে +++
২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮
নীল আকাশ বলেছেন: আবু ছােলহ প্রথমেই স্বাগতম আমার ব্লগে......
প্রথম আসলেন মনে হয়, খালি মুখে যাবেন এটা কি হয়?
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল!
৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১০
আবু ছােলহ বলেছেন:
উষ্ণ অভ্যর্থনা কৃতজ্ঞতার সাথে সানন্দে গৃহীত হল।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০
নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকেও সানন্দে আমার সব লেখা পড়ার আমন্ত্রন দিয়ে গেলাম।
ধন্যবাদ।
৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
একটি ঘু ঘু ময় পোস্ট।
শহুরে বাসায় ঘুঘুর বাসা বাধা বিরল ঘটনা।
আপনি বড় ভাগ্যবান।
বাচ্চাগুলো কবুতরের বাচ্চারমতই মনে হলো। তাইতো বলি ঘুঘু পাখি কেন হারিয়ে যাচ্ছে।
ওদেরকেও খাওয়া হয়ে কবুতরের মত অকাতরে।
হাতে আকা একটি ছবি দিলাম আপনাকে-
২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২১
নীল আকাশ বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার ভাই, আপনার সাথে সম্পর্ক টা আমার একবারেই অন্যরকম। হাতে আঁকা ছবি আমাকে দিয়ে আরো সেটা মজবুত করে দিলেন। আমি একদমই ছবি আকঁতে পারি না! কি সুন্দর হয়েছে ছবি টা!!!
এটা আবার কি সব ডুডুলোজি মধ্যে পরে না তো? ঐ জিনিস কেন যেন মাথার এন্টিনার উপর দিয়ে গেছে! কিছুই বুঝতে পারিনি????
শহুরে বাসায় ঘুঘুর বাসা বাধা বিরল ঘটনা। - এক দম সত্য ঘটনা.......আমি প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারিনি.....।
আপনি বড় ভাগ্যবান। - সে আর বলতে হয়..। আবার আসার অপেক্ষায় আছি, আজকে সকালেও এদের ডাকাডাকি শুনতে পেলাম..
বাচ্চাগুলো কবুতরের বাচ্চারমতই মনে হলো। তাইতো বলি ঘুঘু পাখি কেন হারিয়ে যাচ্ছে। - আমরা মানুষ না জানোয়ার! কিভাবে এদের কে ধরে ধরে খেয়ে ফেলি? বিশ্বাস করুন দেখতে এত কিউট লাগে ...শুধু আদর করতে ইচ্ছে করে....
ওদেরকেও খাওয়া হয়ে কবুতরের মত অকাতরে। - সে জন্যই মনে হয় এর আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে....।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল!
১০| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৯
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আমাদের বাড়িতে একটাসময় অনেক পায়রা ছিলো। তাদের বাকবাকুম, বাকুম বাকুম শুনতে বেশ ভালো লাগতো। এখন নেই...
ছবিগুলো দেখে পুরানো দিনের কথা মনে পড়ছে।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৪
নীল আকাশ বলেছেন: আমাদের বাড়িতে একটাসময় অনেক পায়রা ছিলো। তাদের বাকবাকুম, বাকুম বাকুম শুনতে বেশ ভালো লাগতো। এখন নেই...
ছবিগুলো দেখে পুরানো দিনের কথা মনে পড়ছে।
জুনায়েদ ভাই, শুভ সকাল। পায়রার কথা মনে করিয়ে তো সাত সকাল বেলা নস্টালজিক করে দিলেন। আমিও ছোট বেলায় বাসার বড় ২ ভাইয়ের সাথে অনেক অনেক পায়রা পালতাম। একগাদা পায়রার বাকবাকুমে সকাল বেলা ঘুম ভাংতো.........
কি যে সুন্দর সেই দিন গুলি ছিল.........সাধে কি স্মৃতি নিয়ে কবিতা লিখেছি.......
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল!
১১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৬
হাবিব বলেছেন: ভাই কেমন আছেন
২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৪
নীল আকাশ বলেছেন: আল্লাহ এর রহমতে যথেষ্ঠ ভালো আছি তবে অফিসের কাজকর্ম নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকি। এর বাইরে পরিবার কে সময় দেবার পর, খুব বেশি সময় এখন আর ব্লগে দিতে পারি না.......।
নিজে লেখা দিতে না পারলে সময় পেলেই আপনাদের লেখা এসে পড়ে যাই।
ভালো থাকবেন আর শুভ কামনা রইল!
১২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫০
করুণাধারা বলেছেন: অন্যরকম এই লেখাটা পড়লে মনে একটা ভালো লাগার আবেশ ছড়িয়ে যায়, প্রকৃতির কাছাকাছি গেলে যেটা হয়। ছবিগুলোও অসাধারণ, লেখা এবং ছবি পরস্পরের পরিপূরক হয়ে ঘুঘু পাখির ঘর বানানো থেকে শুরু করে তিন প্রজন্ম পর্যন্ত পুরো ছবি স্পষ্ট ফুটিয়ে তোলে।
প্রথমে ঘুঘু পাখি নিয়ে আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন, তারপর এসেছে ঘুঘু পাখির প্রতি আপনার স্ত্রীর, পুত্রর, ভালোবাসা; তারপর ঘুঘু পাখি নিয়ে কিছু প্রবাদ প্রবচন এবং শেষ অংশে ঘুঘু পাখি নিয়ে একটি লেখা থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছেন। পুরো লেখাটার বর্ণনাভঙ্গি খুবই ভালো এবং লেখা এগিয়েছে সাবলীল গতিতে, যা পাঠককে শেষ পর্যন্ত আগ্রহ ধরে রাখতে সাহায্য করে। খুবই ভালো লিখেছেন, অভিনন্দন!
২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০২
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল। কষ্ট করে আবার আসার জন্য প্রথমেই অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু, আমি একটু অন্য টাইপের লেখক, গতানুগতিক লেখা আমি কখনোই লিখি না। সেগুলি লেখার জন্য ব্লগে শত শত লেখক আছে।
আমাদের জীবনের চারপাশে এমন অনেক ছোট ছোট ঘটনা থাকে যেই গুলি আমাদের মনকে হঠাৎ করেই নাড়া দিয়ে যায়। এই নাড়া দেয়ার ব্যাপারটাও আপেক্ষিক। আমার বাসায় যা ঘটছে সেটা হয়তও আরো অনেকের বাসায়ই হয়েছে, তারা পাত্তা দেয়নি। তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে সহানুভুতিশীল এইসব পাখিদের প্রতি। ছোট বেলায় একগাদা পায়রা পালতাম, মনের টান টা মনে হয় এখান থেকেই এসেছে। আমি চেয়েছি সবাই কে বিস্তারিত ভাবে জানাতে চেয়েছি কি ঘটেছে, কারো বাসায় একই রকম ঘটনা ঘটলে কিভাবে ঘুঘুদের সাহায্য করতে পারবে। আমি যত টুকু নিজে লিখেছি সবটুকুই যা চোখের সামনে দেখেছি। জীবনের বাস্তবতা থেকেই লিখেছি। তারপরও মনে হলো পাঠকদের আরো তথ্য দেয়া দরকার, সেজন্য ইন্টারনেট ঘেটে যতটুকু পারি তথ্য যোগার করে দিয়েছি।
কি চমৎকার ভাবে এরা যে ডাকে সেটা নিজের কানে না শুনলে বুঝানো যাবে না......মনটাই একদম অন্য রকম হয়ে যায়.....
দেশে দিন দিন এইসব ঘুঘু পাখিরা আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে.....কোন কেউ এদের বাঁচিয়ে রাখার চেস্টা করে না.....
ছোট বেলায় কত কত পাখিদের দেখতাম, আজ এরা সত্যই কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে.....।
আমি কুসংস্কার একদম বিশ্বাস করি না....... আমার বাসায় এদের সারা জীবন আশ্রয় দিয়ে যাব, যত দিন বেঁচে থাকব।
এদের বাচানোর জন্য কাউ কে না কাউকে চেস্টা করতেই হবে, না হয় আমি প্রথম শুরু করলাম.....।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল!
১৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬
ল বলেছেন: ঘুঘু দেখেছো ফাঁদ দেখনি --- ঘুঘু কথকতায় জানা হলো।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৮
নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার ব্লগে এসে কষ্ট করে পড়ে যাবার জন্য।
লেখার ব্যাপারে আমি চেয়েছি সবাই কে বিস্তারিত ভাবে জানাতে চেয়েছি কি ঘটেছে, কারো বাসায় একই রকম ঘটনা ঘটলে কিভাবে ঘুঘুদের সাহায্য করতে পারবে। আমি যত টুকু নিজে লিখেছি সবটুকুই যা চোখের সামনে দেখেছি। জীবনের বাস্তবতা থেকেই লিখেছি। তারপরও মনে হলো পাঠকদের আরো তথ্য দেয়া দরকার, সেজন্য ইন্টারনেট ঘেটে যতটুকু পারি তথ্য যোগার করে দিয়েছি।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল!
১৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯
প্রামানিক বলেছেন: অসাধারণ, খুব ভালো লাগল।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৫
নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার ব্লগে এসে কষ্ট করে পড়ে যাবার জন্য।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল!
১৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৭
আখেনাটেন বলেছেন: দুর্দান্ত একটি কাজ করেছেন। লেখাটাও হয়েছে ঝরঝরে। এক টানে পড়ে ফেললাম।
পাখির জন্য আপনার এই ভালোবাসার উত্তম প্রতিদান পান এই কামনা।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৯
নীল আকাশ বলেছেন: দেরী করে মন্তব্য করার জন্য প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি অতিশয় লজ্জিত, আপনার মন্তব্য আমি আগেই পড়েছি।
দুর্দান্ত একটি কাজ করেছেন - শুধু আমি না, আমি চাই আমরা সবাই এরকম ভাবে এদের সাহায্য করি, সেজন্যই তো এত কষ্ট করে বিস্তারিত ভাবে বর্ননা করেছি যেন সবাই বুঝতে পারে কিভাবে এদের সাহায্য করা যায়।
লেখাটাও হয়েছে ঝরঝরে। এক টানে পড়ে ফেললাম। - একটু অন্য রকম টপিকের উপর লেখার চেস্টা করলাম। আপনি তো জানেন আমি সব সময় লেখায় এক্সপেরিমেন্ট করি। তবে এই লেখাটা খুব দরদ দিয়ে লিখেছি।এই ঘুঘু পাখিগুলিকে আমি সত্যই খুবই পছন্দ করি।
পাখির জন্য আপনার এই ভালোবাসার উত্তম প্রতিদান পান এই কামনা। - চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনার কাছে রইল কৃতজ্ঞতা।
শুভ কামনা রইল, ভাই।
ভালো থাকবেন, সব সময়।
ধন্যবাদ।
১৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আমার করা মন্তব্যের এত সুন্দর উত্তর দিয়েছেন দেখে ভাল লাগলো।
আপনার নতুন গল্প এলে নতুন একটি গিফট সিলেক্ট করে রেখেছি।
আজকে আমার পোস্টের প্রথম ব্যক্তিই আপনি।
ভাল থাকুন।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৫
নীল আকাশ বলেছেন: কেন দেরি হয়েছে বলে এসেছি। আমি আমার কাছের মানুষদের সাথে সব সময়ই আন্তরিক ভাবে মন্তব্য করি। আর আপনাকে আমি খুবই কাছের একজন সব সময় মনে করি।
লিস্টে ১ নাম্বারে আমার নাম দেখে আমি অভিভূত। আপনি আমাকে এত পছন্দ করেন সেটা জানতাম না।
আপনার কাছে রইল কৃতজ্ঞতা।
শুভ কামনা রইল!
১৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৬
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
আমি নিঃশ্বাস বন্ধ করে পড়েই গেছি ।
দারুন লাগল ঘুঘু কাহিনী
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫১
নীল আকাশ বলেছেন: দেরী করে মন্তব্য করার জন্য প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি অতিশয় লজ্জিত, আপনার মন্তব্য আমি আগেই পড়েছি।
আমি নিঃশ্বাস বন্ধ করে পড়েই গেছি। দারুন লাগল ঘুঘু কাহিনী - - চমৎকার মন্তব্যের জন্য আমার পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
একদম অড বা নিউ টপিকের উপর কিভাবে লিখেছি সেটা খেয়াল করবেন। এটা আপনার জন্য ভালো একটা উদাহরন।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল।
১৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৪
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: জোসস
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৩
নীল আকাশ বলেছেন: দেরী করে মন্তব্য করার জন্য প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি অতিশয় লজ্জিত, আপনার মন্তব্য আমি আগেই পড়েছি। ছুটিতে ছিলাম।
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: জোসস - ওয়াও, থ্যান্কস।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল।
১৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কি দারুন ঘুঘু কথকথা।
ভীষন মুগ্ধ হলাম।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭
নীল আকাশ বলেছেন: প্রথমেই স্বাগতম আমার ব্লগে...
যা মনে এসেছে সেটাই লিখে ফেলেছি, আমি চাই আমরা সবাই এরকম ভাবে এদের সাহায্য করি, সেজন্যই তো এত কষ্ট করে বিস্তারিত ভাবে বর্ননা করেছি যেন সবাই বুঝতে পারে কিভাবে এদের সাহায্য করা যায়।
শুভ কামনা রইল, আপু, মাঝে মাঝে এসে বেড়িয়ে যাবেন আর আমার বাকি লেখাগুলি পড়ার আমন্ত্রন দিয়ে গেলাম।
ভালো থাকবেন, সব সময়।
ধন্যবাদ।
২০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬
ব্লগার_সামুরা বলেছেন:
১৩ তম লাইক।
ঘুঘু কথন হৃদয় ছুঁঁয়ে গেল।কিন্তুক ঘুঘু আমার অপছন্দ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬
নীল আকাশ বলেছেন: আপনি নতুন সেফ হয়েছেন আজকে, আপনার পোষ্ট আমি দেখেছি ও পড়েছি। আমি কাউকে মন্তব্য করার আগে বেশ ভালো ভাবে পড়ি। হাতে সময় ছিল না দেখে ভালো ভাবে পড়তে পারিনি। উচিৎ ছিল আমার আপনাকে যেয়ে স্বাগতম জানানো আর উল্টো আপনি এসে এখানে হাজির! চরম লজ্জায় ফেলে দিলেন তো আমাকে! কথা দিলাম, আপনার পোষ্ট গুলিতে যেয়ে আমি যতটুকু পারি সাহায্য করব।
ঘুঘু কথন হৃদয় ছুঁঁয়ে গেল।কিন্তুক ঘুঘু আমার অপছন্দ। - হৃদয় ছুয়ে যায় এমন একটা মন্তব্য করেছেন। ইনসাল্লাহ খুব শিঘ্রই খুব ভালো ব্লগার হয়ে উঠবেন।
শুভ কামনা রইল, মাঝে মাঝে এসে বেড়িয়ে যাবেন আর আমার বাকি লেখাগুলি পড়ার আমন্ত্রন দিয়ে গেলাম।
ভালো থাকবেন, সব সময়।
ধন্যবাদ।
২১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬
আরোহী আশা বলেছেন: ছবি আর লেখা........ দুয়ে মিলে সোনায় সোহাগা..........
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩২
নীল আকাশ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
শুভ কামনা রইল!
২২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ওয়াও !
কী দারুন করে লিখেছেন ধাপে ধাপে ....
মনে হচ্ছিলো গল্প ।
এই সিজনে আমার ব্যালকনী তে ও আসে ঘুঘু ; নিশ্চুপ দুপুরে ওদের খুনসুটি মজাই লাগে।
অনেক অনেক শুভ কামনা ঘুঘু পরিবার আর লেখক পরিবারের জন্য ।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। ইচ্ছে করে ধাপে ধাপে লিখেছি যাতে এটা পড়ার পর বাকি সবাই বুঝতে পারে কিভাবে এদের সাহায্য করা যায়। সুন্দর একটা টোনে লিখেছি যাতে পড়তে বিরক্ত না লাগে। সব সময় তো গল্প লিখি, ভাবলাম অন্য কিছু একবার ট্রাই করে দেখি, কেমন হয়?
কি চমৎকার ভাবে এরা যে ডাকে সেটা নিজের কানে না শুনলে বুঝানো যাবে না......মনটাই একদম অন্য রকম হয়ে যায়.....দেশে দিন দিন এইসব ঘুঘু পাখিরা আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে.....কোন কেউ এদের বাঁচিয়ে রাখার চেস্টা করে না.....ছোট বেলায় কত কত পাখিদের দেখতাম, আজ এরা সত্যই কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে.....।
ওদের খুনসুটি খুবই চমৎকার লাগে শুনতে, দুই জন একসাথে থাকলে গলার টোন একদম বদলে যায়।
আর কিছুদিন পর থেকেই আবার বাচ্চা দেয়া শুরু করবে। যতটা পারেন এদের সাহায্য করবেন।
আপনার আর আপনার পরিবারের জন্যও অনেক অনেক শুভ কামনা রইল!
ধন্যবাদ।
২৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১২
নীলপরি বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম । আপনার লেখার গুণে ঘুঘু কাহিনী খুবই মনোরম হয়ে উঠেছে । ++
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য।
আপনার আর আপনার পরিবারের জন্যও অনেক অনেক শুভ কামনা রইল!
২৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৩
মুক্তা নীল বলেছেন: ভাই,কেমন আছেন? আজ অনেকদিন পর লগইন করলাম। আর করেই প্রথম আপনার ব্লগে। কিছু ঝামেলায় ছিলাম (পারিবারিক) এরপর গেলো ছেলের পরীক্ষা। যাই হোক, আপনার এই পাখির প্রতি ভালবাসা তা কয়জনার ই বা আছে? ঘুঘু পাখির কাহিনী পরে মনটাও ভালো হয়ে গেল। ভালো থাকবেন।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০০
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য। এই অসহায় পাখিদের পাশে আমাদের সবার এগিয়ে এসে দাড়ান দরকার, না হলে আমার ভয় হয় খুব শিঘ্রই এরা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ইচ্ছে করে ধাপে ধাপে লিখেছি যাতে এটা পড়ার পর বাকি সবাই বুঝতে পারে কিভাবে এদের সাহায্য করা যায়।
আপনার আর আপনার পরিবারের জন্যও অনেক অনেক শুভ কামনা রইল!
আপনিও ভালো থাকবেন আপু, সব সময়।
২৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৩১
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: সুন্দর লেখা। আচ্ছা, ঘুঘু ধরা তো নিষিদ্ধ বুঝলাম, কিন্তু আপনি আপনার বাসার ডিম থেকে বের হওয়া ঘুঘু খেতে পারবেন তো?
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৪১
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
এত থাকতে এদের খাবার কথাই মাথায় আসলো আপনার??
কি যে সুন্দর লাগে এদের সামনাসামনি দেখতে কিংবা যখন পুরুষটা ডাকে!! আমার প্রতিদিন সকালেই তো ঘুম ভাঙে এদের ডাকাডাকিতে.........
এই পর্যন্ত ৩ প্রজন্ম আমার বাসায় হয়েছে। এখনও ডিম পেড়েছে। মনে হয় আবারও বাচ্চা হবে এক জোড়া।
এরা আর আমার বাসার কাউকে ভয় পায় না। আর আমারও এদের ধরে খাবার কোনই ইচ্ছে নেই। তবে ধরে খেয়ে ফেললে কে দেখবে বলুন?
ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য।
শুভ কামনা রইল!
২৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ১:১৫
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য।"
কষ্ট?
যেসব পোস্ট ভাল লাগে সেসব পোস্ট আমি বার বার পড়ি।
০৩ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৩৮
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল আপু,
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নিবেন খুব করে।
শুভ কামনা রইল!
২৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লেখাটা হৃদয়গ্রাহী। এরকম আমারও কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছিল বলে লেখাটা আমাকে ধরে রেখেছিল।
আমি মাঝে মাঝেই ইচ্ছে করি, ঘরের কার্নিশে, কিংবা বাসার কাছাকাছি কোনো গাছে, পাখির বাসা বানাবো। পাখিরা আসবে, বাস করবে। ওদের খাবার দিব নিয়মিত। একটা আনন্দ রাজ্য গড়ে তোলার কথা ভাবি। কিন্তু সময় হয় না।
শুভেচ্ছা রইল।
১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৩১
নীল আকাশ বলেছেন: প্রথমেই পড়ার এবং সুন্দর হৃদয়গ্রাহী একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
ঘুঘু পাখীগুলি আমাকে সত্যই মুগ্ধ করেছিল। এখনও এরা আমার বাসায়ই থাকে।
এই অসহায় পাখিদের পাশে আমাদের সবার এগিয়ে এসে দাড়ান দরকার, না হলে আমার ভয় হয় খুব শিঘ্রই এরা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ইচ্ছে করে ধাপে ধাপে লিখেছি যাতে এটা পড়ার পর বাকি সবাই বুঝতে পারে কিভাবে এদের সাহায্য করা যায়।
শুভ কামনা রইল!!
২৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৪
জুন বলেছেন: নীল আকাশ
পাখি নিয়ে এমন একটি লেখা আমার চোখের আড়ালেই থাকতো যদি না আপনি খবর দিতেন । খুব ভালোলাগলো শুনে যে তিন প্রজন্ম আপনার বাসায় জন্ম নিয়েছে । আপনার স্ত্রী সন্তান সহ সবাই তাদের ভালোবেসেছেন।
ব্যংককে আমাদের বিল্ডিং এর আশে পাশে সবুজ লনে প্রচুর ছোট ছোট ঘুঘু ঘুরে বেড়ায় । কোন ভয় ডর নেই। ছোট গাছে হাতের নাগালের মধ্যেই বাসা বেধে আছে। খুব ভালোলাগে ।
পাখি নিয়ে আমার তিনটি ছোট ছোট পোষ্ট এই সামুতেই লেখা । সময় পেলে চোখ বোলাতে পারেন যেহেতু আপনিও আমার মত এক পাখি প্রেমী ।
আমার নিত্যদিনের অতিথিরা (ছবি ব্লগ)
ঘুঘু কাহিনী
এক জোড়া শালিক আর এক জোড়া চিল এর গল্প।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:১৩
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ অপরাহ্ন,
ব্লগে বেশ ভালো রকমের সমস্যা হয়েছে। নোটিফিকেশন সমস্যটা আরও প্রকট হয়েছে।
আপনার এই মন্তব্যের কোন খবরই পেলাম না আমি। খুবই দুঃখজনক। তারপরও দেরী করে
প্রতিমন্তব্য করার জন্য লজ্জিত।
আপনার লাস্ট লেখাটা পড়ার পর মনে হলো আরে আপনি তো আমার লেখাটা পড়েন নি।
সেজন্যই এটার লিংক দিয়ে এসেছিলাম।
শুধু ঘুঘু না যেকোন পাখীই আমার ভালো লাগে। ইদানিং বাসার চারপাশে ফিঙের আগমন দেখছি। এদের লেজটা দারুন লেগে দেখতে।
আপনার লিংকগুলি এক এক করে পড়ে আসব।
আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভালো লাগলো বেশ আপনার ঘুঘু কথন। তাহলে আমাদের দুই ভাইপোর সঙ্গে আরও দুটো ছানা, বাড়িতে মোট চারটে ছানা।
তবে এত গুলো বাচ্চা ও বাচ্চার বাবাকেও সামলাতে গিয়ে আমাদের ভাবিজীর একেবারে নাকের জল চোখের জল হওয়ার অবস্থা।হা হা হা ।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।