নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালাতে সবাই ছাত্র-ছাত্রী, \nনিত্য নতুন শিখছি মোরা সদাই দিবা-রাত্রী!

নীল আকাশ

এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

নীল আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ শইল্যের জ্বালা বড় জ্বালা রে!

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৯



এক
রাত প্রায় পোনে বারোটা। সুমি ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে বসে প্যারাসুট পারফিউমড নারিকেল তেলের বোতলটা হাতে নিল। তেল হাতে ঢেলে মাথায় ঘষার সময় প্রথম খেয়াল করল নতুন ব্লাউজটার মাপ ঠিক মতো হয়নি। বুকের খাঁজের জায়গাটা মনে হয় একটু বেশিই বড় হয়ে গেছে আর হাতা কাটা ব্লাউজ বানাতে যেয়ে হাতের জায়গাটা বেশি কেটে ফেলেছে। হারামজাদা করিম দর্জিরে একবার প্যাদানি দিতে হবে। ব্লাউজের মাপ নেবার সময় কয়বার টেপাটেপি করল আর বানানোর সময় করল ভুল! আসলেই জ্যাউরা বেটা! ব্লাউজ বানানোর সময় মন কোন দিকে ছিল কে জানে? ফ্যানের বাতাসে শাড়ির আচঁলটা খসে পড়তেই সুমি আয়নার দিকে তাকিয়ে হেসে ফেলল। আজকে বুড়ার খবর আছে! এমনতেই ওকে দেখলে মাথা ঠিক থাকেনা তার উপরে আজকে এই ব্লাউজ! খুট করে একটা শব্দ হতেই সুমি ঘাড় বাঁকা করে সদর দরজার দিকে তাকাল। বরাবরের মতো আজকেও দরজা ওই খুলে রেখে এসেছিল, বারটার দিকে আসার কথা। বুড়া মনে হয় নিজেকে সামলাতে না পেরে আগেই চলে এসেছে। সুমি চিরুনী দিয়ে মাথার চুল আচড়ান শুরু করল। একটু পরে দুই বুকে হাতের চাপ পড়তেই মাথা তুলে দেখে বুড়া চলে এসেছে।
-দরজায় ছিটকিনি দিয়া আইছেন?
-হ। তোর ল্যাইগা বাজারের থন তোর জিনিসগুলিও নিয়া আসছি।
সুমি কাপড়ের ব্যাগ টা খুলে দেখে সব ঠিক মতো আনছে নাকি, দেখা শেষ হবার পর উঠে দাড়ানোর সময় শাড়ির আচঁল টা টেনে ফেলে দিল। বুড়া নতুন ব্লাউজের ফাকফোকর দেখে মাথা ঠিক রাখতে পারলনা। ঝাপিয়ে পরল ওর বুকের উপর। সুমি চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল, পুরুষ মানুষদের মাঝে মাঝে একটু প্রশয় দিতেই হয়! এত কষ্ট করে যখন আসে? সুমির ব্লাউজ আর শাড়ি খুলে ফেলে বুড়া যখন ওকে বিছানায় ধরে নিয়ে যাচ্ছিল, সুমি তখন ধাক্কা দিয়ে বুড়াকে সড়িয়ে দিয়ে বললঃ
-লাইট নিভাইয়া দিয়া আসেন। কেউ দেখলে আমার খবর আছে আর আওয়াজ একটু কম কইরেন। পাশের রুমে তিনটা বাচ্চারে কিছুক্ষন আগে ঘুম পাড়াইয়া আসছি। উইঠা গেলে কিন্তু আপনেরে সোজা ঘর থেকে বাইর কইরা দিমু কইলাম!
-দুর মাগি, তুই চুপ কর, কাম করার সময় তুই তো চিল্লাস বেশি!
কথা শেষ করে লাইটটা নিভিয়ে দিয়ে এসে বুড়া সুমির উপরে ঝাপিয়ে পড়ল। আধা ঘন্টা পর কাজ শেষে সুমি উঠে পেটিকোট আর শাড়ি খুঁজে বের করে পড়ল। বুড়া উত্তেজনায় ব্লাউজ খুলে কই যে ফেলছে অন্ধকার পাওয়া যাচ্ছে না। এত রাতে লাইট জ্বালান যাবে না। ব্লাউজ ছাড়াই বুড়ার সাথে এখন ঘুমাতে হবে আর সারা রাত ধরে ঘাটাঘাটি করবে…………

দুই
সুমি জোরে জোরে পা ফেলে বাজারের বড় রাস্তা দিয়ে হাটছে। বাসা থেকে বের হতে দেরি হয়ে গেছে। রাতের রান্না শেষ করার পর তিন বাচ্চাকে খাওয়া দাওয়া করিয়ে নিজে খেয়ে নিতে হয়েছে । মোখলেছের ফোনটা পাওয়ার পর থেকেই ওর শরীরে গরমের বান ডেকেছে। মোখলেছ আজকে রাতে দোকানেই থাকবে বলেছে, দেরি হলেও অসুবিধা হবে না। বড় ভাইয়ের মেয়ে তৌহিদারে ডেকে বাসায় এনে ভুজুং ভাজুং বুঝিয়ে রেখে বের হতেই দেরি হয়ে গেল। হাত ঘড়িতে বাজে রাত প্রায় এগারটা। এত রাতে এরকম একটা যুবতী মেয়েকে সদর রাস্তায় কেউ দেখে চিনে ফেললে বিরাট বিপদ। সারা জায়গায় জানাজানি হয়ে যাবে। গায়ের চাদর টা খুলে ভালো করে মাথা ঢেকে নিয়ে সামনে তাকাল সুমি। আর পাঁচ সাত মিনিট হাটতে হবে, এত রাতে গ্রাম গঞ্জে রিকশা পাওয়া যায় না। মোখলেছের দোকানে এর পরের বার দেখা করার কথা ঠিক হলে এই ভুল আর করা যাবে না। রিকশা আগেই ঠিক করে রাখতে হবে। আর কিছুক্ষণ হাটার পরই একটু দূরে মোখলেছের ঔষধের দোকানটা দেখা গেল। দোকানের সামনের সাটার আর লাইট বন্ধ। মোখলেছ পিছনের দরজাটা খুলে একটু ফাঁক করে রাখে। রাস্তার লাইটের আলোতে সুমি দোকানের পিছনে চলে গেল। যা ভেবেছিল তাই। পিছনের দরজা দিয়ে লাইটের হালকা আলো দেখা যাচ্ছে। দরজা ঠেলে সুমি ভিতরে ঢুকে দেখে মোখলেছ একটা ছোট টেবিলে কাগজ, কলম আর ক্যালকুলেটর নিয়ে টাকা পয়সার হিসাব করছে। সুমির দরজার ছিটকিনি লাগানো দেখে দাঁত বের করে হাসি দিল।
-অ্যাইতো রাতে একা একা আইতে আমার ডর লাগে না? রাস্তায় একটা কাক পক্ষীও নাই। যে ডর পাইছি আমি, আমার কিছু একটা হইয়া গেলে? এখনও বুকটা ধরফর করত্যাছে, দেইখ্যা যাও।
সুমি ডান হাত বুকের উপর রেখে মোখলেছের দিকে প্রশয়ের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মোখলেছ হাতের কাগজ পত্র সব দ্রুত গুছিয়ে ফেলে উঠে দাড়াল।
-কও কি, চিন্তা কইরো না। আমি তোমার শুধু বুকের না সারা শইল্যের ধরফর একক্ষন কমাইয়া দিতাছি।
কথা শেষ করে মোখলেছ সুমিকে জড়িয়ে ধরে ব্লাউজের ভিতরে এক হাত ঢুকিয়ে দিল আর আরেক হাত দিয়ে ব্লাউজের হুক গুলি খোলা শুরু করল। সুমি পিছনের জানালার পর্দার ফাক দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখে বাইরে ঘুপঘুপা অন্ধকার। দোকানের ছোট লাইটের আলোতে ভিতরে সব কিছু ভালো ভাবে দেখা যাচ্ছে না। ও মোখলেছের দিকে তাকিয়ে আছে আর ভাবছে মোখলেছ ওকে কোন জায়গায় নিয়ে শোয়াবে? গতবার একটা ছোট চৌকি দেখছিল ঐ কোনায়, এইবার তো ঐটাও দেখা যাচ্ছে না। সুমির আর তর সইছে না, নিজেই শাড়ি খোলা শুরু করল………

তিন
জসিম একটা বড় বাঁশের কঞ্চি হাতে নিয়ে ঘরে ঢুকল। মাথায় আগুন ধরে গেছে। নিজের বাপ, মা, ছোট ভাই, ছোট ভাইয়ের বউ আর কাছের আত্মীয় স্বজনরা যেভাবে ওকে একটু আগে ওর বৌ সুমির চরিত্র নিয়ে ওকে অপমান করছে তাতে ওর শরীর রাগে কাপছে। ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখে সুমি ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে ঠোঁটে লাল রঙ এর লিপস্টিক লাগাচ্ছে। সেটা দেখে মাথায় আগুন ধরে গেল।
-নটী মাগি, তোর এত সাজগোজের কি দরকার? আমি কইছি তোরে এইসব লাগাইতে? কারে দেখানোর জন্য এই সব লাগাস? কার জন্যে এত রং ধং করস?
-আপনের কি? দেখতে ইচ্ছা করলে দেখেন না হইলে চক্ষু বন্ধ কইরা রাইখেন।
-কি কইলি তুই? এত্ত বড়া সাহস হইসে তোর?
জসিম বাম হাতে চুলের খোপা ধরে সুমিকে টেনে মাটিতে ফেলে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে ইচ্ছেমতো মারা শুরু করল। আজকে তোর একদিন কি আমার একদিন!
-বিয়্যাত্তা মাগি, তিন তিনটা বাচ্চা হইছে, তাও শইল্যের জ্বালা কমে না। যেইখানে ইচ্ছা খানকি গিরি কইরা বেরাস? এত শ্যইলে জ্বালা কেন তর?
-ঐ বেডা সাবধানে কথা ক? গায়ে হাত তুলছোস কোন সাহসে? লজ্জা করেনা আমারে খানকি কইতে? আমারে একলা ফাল্যাইয়া বিদেশে গেছস ক্যা? আমি কইছিলাম তরে বিদেশ যাইতে? গেলিই যখন আমারে তর সাথে রাখস নাই কেন? আমার শইল্যের জ্বালা কমানোর তো কথা তোর? তুই কইয়া দে তুই না থাকলে কারে দিয়ে কমামু? সেইটা কইতে পারস না? তুই বাইরে যাইয়া কি করস সেইটা কি আমি দেইখা বেড়াই?
-বেলজ্জ মাগি, আবার কথা কস তুই? কোন মুখে তুই কথা কস? লজ্জা করেনা কইতে? তোর আকাম কুকামের জ্বালায় আমারে সৌদি আরব থ্যাইকা চইলা আসতে হইছে। আমার বাপ মা আত্মীয় স্বজন কেউ মুখ দেখ্যাইতে পারে না। তোর বাপ মা'রে ডাকছিলাম। তারাও তোর আকাম কুকামের কথা শুইন্যা ভাগছে। তারা আইলে তো তোর ঘাড় ধইরা পাছায় এক লাত্থি দিয়ে ঘর থেইক্যা বাইর কইরা দিতাম।
-আমার গায়ে হাত দিবি না কইলাম? দিলে কিন্তু তোর খবর আছে? আগের বার অনেক মারছোস কিছু কই নাই, সাত দিন সারা শ্যইলে ব্যথা ছিল, উইঠা বাথরুমে যাইতেও কষ্ট হইছে। এইবার কিন্তু তোরে আমি ছারুম না।
-কি করবি তুই, তোর ঐ মদনা গুলি রে বলবি তো, যা বল? ঐ সব কয়টারে আমি এখন ধইরা আনতে কইছি।
-পুরুষ হইছোস, যা পারলে আমার ঐ মদনা গুলিরে কিছু কর দেখি? দেখি তোর হ্যাডম আছেনি?
মারের চোটে বাঁশের কঞ্চি টা ভেঙে গেলে জসিম চড় থাপ্পড় কোন কিছুই আর বাদ দিল না। এত খারাপ কিভাবে একটা মেয়ের চরিত্র হয়! শেষ দিকে কয়েকটা লাথি দেবার পর সুমি যখন আর নড়াচড়া করছে না তখন থামল। আরো কয়েকটা লাথি দেবার ইচ্ছা ছিল কিন্তু থামল দরজায় ধাম ধাম আওয়াজ শুনে। ওর ছোট ভাই আর বাবা'র ডাকে দরজা খুলে বাইরে বের হয়ে আসল।
এলাকার রাজনৈতিক পোলাপানদের কিছু টাকা পয়সা দিয়েছিল জসিম ওর ভাইদের সাথে যেয়ে এই দুই মদনা কে ধরে এনে শায়েস্তা করার জন্য। টাকাপয়সা যা লাগে লাগুক কিন্তু বুড়া ওরফে দোহা কে ধরতে ওর ভাইদের একা পাঠাতে সাহস পায়নি। এলাকার নামকরা চোরাকারবারি, আসল কাজই হলো স্মাগলিং করা। বাইরে বের হয়ে দেখে দোহা কে পিছনে হাত বেধে পোলাপান ধরে নিয়ে আসছে। মোখলেছ কে দেখা গেল না।
-মোখলেছ কই? ঐটারেও না কইছিলাম ধইরা আনতে?
-আমাগো কথা শুইনা গঞ্জ ছাইড়া ভাগছে। ঔষধের দোকানে যাইয়া দেখি বন্ধ আর বাসায়েও নাই। ভালো মতো খোজখবর লইছি, হালারপুত এই এলাকায় নাই। চরম ডর পাইছে, ওরে পরে ধইরা আচ্ছামতন সাইজ কইরা দিমু।
জসিম দোহার দিকে এগিয়ে যেয়ে দেখে দোহা মাথা নীচু করে দাড়ায়ে আছে। এইটার সাথেই সুমির দহরম মহরম সব চেয়ে বেশি। আগের বার মারের চোটে সুমি সব কিছু স্বীকার করে বলেছিল, নবম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই দোহার সঙ্গে আমার প্রেম হয়। আমি ওকে আদর করে বুড়া বলে ডাকি। আমার বিয়ে হওয়ার পর ‘ও’ পাগল হয়ে যায়। বিয়ের দুই মাস পরই আমার স্বামী বিদেশে চলে যায়। আমি তখন পিত্রালয়েই থাকতাম। তখন তার সঙ্গে নিয়মিত দেখা সাক্ষাতের সময় আদর সোহাগ হতো। স্বামী দুই বছর পর পর দেশে আসত। মাস দুয়েক থেকে আবার চলে যেত। স্বামী যখন থাকত তখন এইসব আকাম কুকাম বন্ধ থাকত। এর মধ্যে বছর দেড়েক আগে স্বামীরে দিয়ে ভুজুং ভাজুং বুঝিয়ে গঞ্জে আলাদা বাসা ভাড়া করি। সে ওখানে ফোনে যোগাযোগ করে নিয়মিত আসত। জসিম বিদেশ থেকে এই পরকীয়া সম্পর্কের কথা জানতে পেয়ে তাড়াতাড়ি দেশে চলে আসে। দেশে ফিরে এই জঘন্য কাহিনী শুনে মাথায় হাত। ততদিনে তিন তিনটা বাচ্চা হয়ে গেছে। মাথা খারাপের মতো অবস্থা! কোন দিকে যাবে জসিম? বউ ছেড়ে দিলে বাচ্চাদের রাখবে কে? সুমিকে বাচ্চাদের দিকে তাকিয়ে ছেড়ে দেয়াও যাচ্ছে না, আবার কাছে রাখতেও সাহস হচ্ছে না। শেষমেষ, আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী সবাই এর সামনে দুই জনকেই নাকে কানে খত দিয়ে ওয়াদা করায় যে, এই ধরনের আকাম কুকাম আর করবে না। ভাড়া বাসা ছেড়ে দিয়ে সুমি কে আবার নিজের বাবা আর ভাইয়ের পাশের বাসায় নিয়ে আসে। এখানে এসেও সুমির এইসব আকাম তো কমেই নি বরং মোখলেছ নামে আরেকটার সাথে সম্পর্ক হয়েছে। গত পরশু দিন ওর বাবা'র ফোন পেয়ে একদিনের নোটিশে দেশে চলে আসে। এসে আর দেরি করেনি। দোহা কে দেখে গতবারের দোহার কসম আর ওয়াদার কথা মনে পরল।
-তুই না গতবার সবার সামনে কসম কাইটা কইয়া গেছিলি যে, তুই আমার বউয়ের দিকে আর নজর দিবি না? এখন থ্যাইকা ভালোমানুষের মতো থাকবি। কুত্তার লেজ কোন দিনও সোজা হয় না।
-ওই জসিইম্যা, আমার লগে সাবধানে কথা কইবি! সুমি তোর বউ না, ওয় আমার বউ। তুই ওরে ছ্যাইড়া দে, তরে আগেও কইছি, ওরে তুই রাখবার পারবি না। ওরে আমি ডাকলে আমার কাছে অ্যাইবো, অ্যাইবোই।
নিজের বউর চরিত্র যে এতই খারাপ এটা শুনে জসিম আর মাথা ঠিক রাখতে পারল না। ইচ্ছা মতো দোহাকে ধরে মার দিল, ওর দেখি দেখি বাকি সবাই ওর সাথে হাত পা কাজে লাগালো। কিছুক্ষণ পর সবাই দেখে রক্তারক্তি অবস্থা। আর না মেরে দোহা কে ছেড়ে দেয়া হলো তবে ভালোমতো বলে দেয়া হলো যে এর পরের বার আর মাপ করা হবে না, একে বারে লাশ ফেলে দেয়া হবে....।

চার
সাত দিন পরের কথা, জসিম সদরে গেল একটা জমি রেজিস্ট্রেশনের কাজে। চার মাস আগে জসিম ভাইয়ের মাধ্যমে বায়নার টাকা পাঠিয়েছিল। আজকে বাকি টাকা দিয়ে আসল কাজ করে ফেলতে হবে। সকাল থেকেই সুমির মাথা খারাপ অবস্থা! সুমি গত কালকে রাতে লুকিয়ে লুকিয়ে শুনেছে জসিম নিজের মাকে বলেছে যে এবার সৌদি যাবার আগে সুমি কে ঢাকায় জসিমের ফুফাত বোনের বাসায় রেখে যাবে, ফ্লাট বাড়ি, নীচে দারোয়ান আছে, সৌদি ভিসা না পাওয়া পর্যন্ত সুমি ওখানেই থাকবে। জসিম বাসায় নাই দেখে সুমি বুড়াকে ফোন করে প্রাইমারী স্কুলের পিছনে আসতে বলে। শ্বাশুড়িকে নিজের বাচ্চা আনার কথা বলে আগেই হাজির হয়ে বড় আম গাছটার পিছনে বুড়ার জন্য অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। বুড়া অবশ্যই আসবে। ও যাই বলে তাই করে, কোন দিনও কোন কিছুতেই না করে না। ওর যা করার খুব তাড়াতাড়ি করতে হবে…………

পাঁচ
রাত প্রায় সোয়া এগারটা। তিন বাচ্চাকে ঘুম পাড়িয়ে সুমি এসে দেখে জসিম ওর জন্য বিছানায় অপেক্ষা করছে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও নিজের স্বামীকে মানা করতে পারলো না সুমি। কাজ শেষ করে জসিম শুয়ে পড়লে বাথরুমে যাবার নাম করে সুমি বিছানা থেকে নেমে গেল। ঘড়িতে তাকিয়ে দেখে প্রায় পোনে বারটা বাজে। পা টিপে টিপে যেয়ে খুব সাবধানে সদর দরজা খুলে হালকা করে ভিড়িয়ে দিল, সব সময় বুড়ার জন্য যেভাবে খোলা রাখে। সব জানলা ভালো করে লাগিয়ে আর লাইট নিভিয়ে দিয়ে এসে বিছানায় জসিমের পাশে আবার শুয়ে পড়ল। চোখ আর কান খোলা রেখে সুমি অপেক্ষা করছে। কিছুক্ষণ পরে কানের কাছে ফিস ফিস শুনলঃ
-কি আছে দে? আইজকা কোন ভালোবাসা নাই। কিছুই দিমু না, শুধুই নিয়া যামু। দে, যা আছে তাড়াতাড়ি দে।
সুমি মাথা উচু করে দেখে বুড়া আর মধু ওর মাথার কাছে দাড়িয়ে আছে। মধুকে দেখে সুমি অবাক হলো না। মাঝে মাঝে রাতের বেলা এই দুইজনই ওর বাসায় একসাথে আসে। একজন ওর সাথে থাকে আর আরেকজন পাহারা দেয়। মধুর হাতে একটা বড় ভোজালি, অন্ধকারেও চকচক করছে। সুমি খুব সাবধানে বিছানা থেকে নেমে জসিমের দিকে তাকাল। জসিম গভীর ঘুমে তলিয়ে আছে। সুমি বিছানার নীচে থেকে আগেই লুকিয়ে রাখা দুইটা বড় ওড়না বের করে বুড়ার হাতে দিল। সুমি মাথা একবার উপর নীচ করতেই বুড়া আর মধু ওড়না দুইটা নিয়ে জশিমের পা আর মাথার কাছে গেল। সুমি ওর মাথার বালিশ জসিমের মুখের উপর শক্ত করে চেপে ধরতেই বাকি দুই জন জসিমের হাত আর পা বেধে ফেলল। বাধা শেষ হতেই বুড়া বিছানার উপরে রাখা ভোজালিটা হাতে নিয়ে এক মুহূর্তের মধ্যে জসিমের গলায় চালিয়ে দিল। ঘরের মধ্যে জসিমের গলা থেকে বের হওয়া ঘড় ঘড় শব্দ ছাড়া আর কিছু শুনা যাচ্ছে না। অন্ধকারে বুড়ার দুটা চোখ জ্বলজ্বল করে জ্বলছে। অনেক দিনের জিদ ওর! পাঁচ ছয় বার পোচ দেবার পর মধু যখন দেখে জসিম আর নড়াচড়া করছে না, তখন বুড়াকে হাত দিয়ে থামাল। জসিমের গলা থেকে বের হওয়া তাজা ফিনকি দেয়া উঠা রক্তে বিছানার চাদর লাল হয়ে গেছে। ছিটকে পড়া রক্তে সুমি আর বুড়ার গায়ের কাপড় মাখামাখি। মধু খুব সাবধানে মোবাইল বের করে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে উচু করে বিছানার পাশের টেবিলে রাখল। পুরানো একটা চাদর বের করল সুমি, তারপর বুড়া আর সুমি গায়ের সব রক্ত মাখা কাপড় চোপড় খুলে এটার মধ্য ফেলে দিল, জসিমের হাতে আর পায়ে বাধা ওড়না দুটা খুলেও এর মধ্যে দিল। মধু গিট্টু মেরে এটা হাতে নিল। আলমারি খুলে কিছু সোনার গয়না আর ড্রয়ারে রাখা সব টাকা পয়সা বের করে বুড়ার হাতে দিল। সব কাজ শেষ হলে সুমি বুড়াকে একবার জড়িয়ে ধরল তারপর হাত তুলে সদর দরজা দেখিয়ে দিল। বুড়া আর মধু চলে যাবার পর দরজা ভালো করে লাগিয়ে বিছানার কাছের একটা বড় জানালা খুলে দিয়ে সুমি বাচ্চাদের রুমে যেয়ে বাচ্চাদের বিছানায় যেয়ে গভীর ঘুমিয়ে গেল।

সকালে সবার ঘুম ভাঙল সুমির বড় ছেলের চিৎকারে…………..

ছয়
চাঞ্চল্যকর এই সৌদি প্রবাসী জসিম হত্যা মামলার রায় গতকালকে বের হয়েছে। এতে স্ত্রী সুমি সহ তিনজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক। স্ত্রী সুমি ছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন - দোহা মিয়া ওরফে বুড়া এবং মধু মিয়া ওরফে মধু। তবে এ মামলায় মোখলেছুর রহমান নামে এক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।

এই সিরিজের পরের পর্ব পড়ে আসুন এখান থেকে গল্প - আমার সোনা জান পাখি!

কিছু কথাঃ এটা একটা গল্প, শুধুই গল্প! জানি না কেমন হয়েছে! যথারীতি মূল্যায়নের দায়ভার আমার পাঠকদের কাছেই দিয়ে গেলাম। লেখার ভাষায় কিছুটা অসংলগ্ন আচরন করেছি। আমার মনে হয়েছে যারা এই ধরনের অশ্লীল কাজে যুক্ত থাকে তাদের কর্মকান্ড আর ভাষাতো আর শান্তি নিকেতনি হবে না। সুতরাং…

সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, অক্টোবর, ২০১৮


মন্তব্য ১০৩ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (১০৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: দরিদ্র দেশ গুলোতে এমনই হয়।
জসিমের দোষ নেই। সমাজ টাই এই রকম।
আপনার গল্পের চরিত্র গুলো এই সমাজেরই। মধু বা বুড়োটা।

আসলে বাস্তব বড় কঠিন।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১০

নীল আকাশ বলেছেন: প্রথম মন্তব্য কারী হিসেবে আপনাকে অভিনন্দন। আমি এই সমাজেরই কুৎসিত একটা রুপ শুধু তুলে ধরতে চেয়েছি আর সবাই কে একটা মেসেজ দিতে চেয়েছি.........
ধন্যবাদ।

২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১৮

সাগর শরীফ বলেছেন: এরকমই হয়। আগে তো গ্রামের মানুষজন মান সম্মানের আর লোকলজ্জার ভয়ে এসব চিন্তাও করত না। এখন গ্রামেও এসবের ব্যপক বিস্তৃতি। শহরের কথা তো ছেড়ে দিন।
বিভিন্ন জিনিসের সহজ লভ্যতাই এর জন্য দায়ী !

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:২৭

নীল আকাশ বলেছেন: চমৎকার বলেছেন সাগর ভাই। আমি এই সমাজেরই কুৎসিত একটা রুপ শুধু তুলে ধরতে চেয়েছি আর সবাই কে একটা মেসেজ দিতে চেয়েছি.........
শুভ কামনা রইল!

৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৩০

shohan007007 বলেছেন: yes brother. carry on...

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭

নীল আকাশ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। বাংলায় বললে আরো অনেক খুশি হতাম।
শুভ কামনা রইল!

৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪

হাবিব বলেছেন: স্ত্রী রেখে কতো দিন বিদেশে থাকা যাবে?
........................................................।

আপনি বুঝাতে চেয়েছেন স্ত্রী রেখে বিদেশে যাওয়া ঠিক নয়। এটা ইসলামও বলে। বিষয়টি উপস্থাপন অন্যভাবেও করা যেত। আপনি বাস্তবতার নিরিখে লিখেছেন। উপস্থাপনার ডং অনেক চিত্তাকর্ষক। হৃদয় মন আন্দোলিত করে। যে পড়বে সে নিশ্চিত হারিয়ে যাবে লেখার ভেতর। পাঠকের অজান্তেই তার শিশ্ন প্যান্ট বেধ করে বের হয়ে আসতে চাইবে।

স্ত্রী কে রেখে টাকা উপার্জন বা অন্য কোন কাজে এবং হোক তা দ্বীনের কাজে; বাহিরে যাওয়া বিষয়ে হাদিস অনুসারে ৪ মাস এর বেশী থাকতে পারবেনা। নারীর প্রবৃত্তিগত চাহিদা পূরণ তার ইসলাম স্বীকৃত মৌলিক অধিকার।
দৈহিক মিলনের সময় স্বামীর কাছ থেকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি লাভের অধিকারও সব মহিলার আছে। ইসলামী আইনবিদরা এ ব্যাপারে একমত যে এখানেও স্ত্রীকে সন্তূস্ট করার দায়িত্ব স্বামীর রয়েছে। রাসুল (সঃ) এবং তাঁর সাহাবারা (রাদিঃ) এ বিষয়ে কোন কুসংস্কারে ভোগেননি। এসব বিষয়কে আলোচনা বহির্ভূত বা গোপনীয় বা লজ্জার বলে এড়িয়ে যাননি। যার একটি উদাহরণ পাওয়া যায় হযরত ওমর (রাঃ)- এর জীবনেঃ-
রাতে তিনি নাগরিকদের অবস্থা দেখতে বেড়াতেন। এক রাতে এক বাড়ীর পাশ দিয়ে যাবার সময় তিনি শুনলেন একজন মহিলা তাঁর একাকীত্বের জন্য কাঁদছেন। তিনি তদন্ত করে জানলেন যে মহিলার স্বামী যুদ্ধে যাবার কারণে অনেক মাস অনুপস্থিত। ওমর (রাঃ) তাঁর কন্যা হাফসা (রাঃ)-এর কাছ থেকে জানলেন যে একজন মহিলা সর্বোচ্চ চার মাস স্বামী সংগ ছাড়া ভাল থাকতে পারেন। অতঃপর ওমর (রাঃ) আইন জারী করলেন যে, যুদ্ধ বা ব্যবসা যে কোন উদ্দেশ্যেই কেউ বাড়ী থেকে চার মাসের বেশী অনুপস্থিত থাকতে পারবে না।
× দলিলঃ-
মারেফাতুস সুনান ওয়াল আছার লিল বায়হাক্বীঃ ১৪/২৪৯।
এ থেকে বুঝা যায় যে বিশেষ প্রয়োজনে ৪ মাস স্ত্রী ছাড়া থাকা যায়।
• রাসূলুল্লাহ (দ) বলেছেনঃ-
“যে তোমাদের উপর তোমাদের নফসের হক্ব আছে, তোমাদের স্ত্রীর হক্ব আছে, তোমরা সবার হক্ব আদায় করবে।”
– বুখারীঃ ৬১৩৯।
• রাসুলুল্লাহ (দ) বলেছেনঃ-
“তোমরা সেই মহিলাদের নিকট গমন করো না; যাদের স্বামীরা বিদেশে আছে। কারণ, শয়তান তোঁমাদের রক্তের শিরায়, উপ-শিরায় প্রবাহিত হয়।”
– তিরমিযীঃ ১৭২।
রাসুল (সাঃ) ছিলেন সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি এবং বড় সমাজ বিজ্ঞানী।
তিনি জানতেন যে, স্বামীর অনুপস্থিতিতে অন্য পুরুষ বাড়ীতে প্রবেশ করলে যেনা ব্যভিচারের রাস্তা খুলে যাবে। মানুষ যতো ভালোই হউক শয়তানের প্ররোচনায় সে পাপে লিপ্ত হয়ে যেতে পারে। আর সেই কারনেই তিনি যেনা ব্যভিচারের এই চোরা পথকেও বন্ধ করে দিয়েছেন।
অনেকে বলে থাকেনঃ-
আলেমরা মতামত দিয়েছে স্ত্রীর সম্মতি নিয়ে ৪ মাসের বেশী স্ত্রী বিহিন থাকা যাবে। তাতে কোন সমস্যা নাই।

√ আপনাকে বলবোঃ-
‘স্ত্রীর একান্ত সম্মতির কারনে বেশী সময় থাকা যাবে’- এই কথা হাদিসে বলা নেই। আর এই মতামত অবশ্যই গ্রহণ যোগ্য নয়। যার বাস্তবচিত্র আজ আমরা দেখছি।
এমন অনেক উদাহরন আছে যে, বিয়ে করে ১০-২০ দিন স্ত্রীর সাথে মিলিত হয়ে বা সহ-অবস্থান করে অতঃপর বিদেশে চলে গেছে টাকা আয়ের জন্য। ৪-৫ বছর কিংবা তার চেয়ে বেশী সময়েও স্ত্রীর সাথে মিলিত/ সহ-অবস্থান হয়নি। এ ধরনের সংখ্যাই অধিক। এখানে উভয়ের সমঝোতার ভিত্তিতে যত চুক্তিই করা হউক না কেন, এটা হাদিসের পরিপন্থী।
√ সেই সকল স্ত্রী বিহিন স্বামীদের বলবোঃ-
৪ মাস এর বাহিরে স্ত্রী বিহিন থাকলে স্ত্রী যদি কোন অন্যায় বা অপরাধের রাস্তায় যায় তাহলে তার দায়ভার অবশ্যই আপনার রয়েছে। আপনি তার হক্ক ঠিক মত আদায় করতে পারেন নাই। আল্লাহ পাকের সামনে কাল কিয়ামতে আপনাকে দাড়াতে হবে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯

নীল আকাশ বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর একটা ইসলামের দৃস্টিতে ব্যাখ্যা দেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমিও ঠিক এটাই বলতে চেয়েছি। দোষ আসলে কার সেটা সবার উপলব্ধি করতে হবে......শুধু একজনের ঘাড়ে দোষ দিয়ে পার পাওয়া যাবে না...। এজন্যই সমাজে এই সব সমস্যা গুলি সৃস্টি হচ্ছে.......। আমার কাজ হচ্ছে সমস্যা গুলি কে চিহ্নিত করে সবার সামনে তুলে ধরা........। আপনার মন্তব্য আমার লেখা কে প্রানবন্ত করে তুলেছে.......। শুধু ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে ছোট করবো না।

আপনার জন্য রইল সেরা মন্তব্য কারী হিসেবে আমার নিজের হাতে ফুটানো সাদা গোলাপ। আমি আমার প্রতিটা পোষ্টে সেরা মন্তব্যকারী এভাবেই সম্মান দেই!

শুভ কামনা রইল!

৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
প্রথমে মনে হচ্ছিল কাইকারকেও হার মানালেন আপনি গল্পের গরম ভাষা প্রয়োগে।

কিন্তু শেষে এসে দেখি সত্য ঘটনার অবলম্বনের গল্প।

শহর , গ্রাম সবখানেই এগুলো ঘটে চলেছে। নৈতীকতার স্খলন।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪২

নীল আকাশ বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার, আমি ভাষার জন্য আমার ব্যাখ্যা লেখার শেষেই দিয়েছে।
আপনি বলুন যে গল্পের ঘটনা বর্ননা করেছি সেটাতে কি ভাষা উপযুক্ত হতো? আমি এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করি না, কিন্তু লেখকের নিজের কোন ভাষা থেকে না, চরিত্র আর পটভূমিই বলে দেবে কি ভাষা উপযুক্ত হবে! আর এই ধরনের সামাজিক বিষয় নিয়েই তো আমি বেশি লিখি, আমার আগের লেখা গুলি পড়ে দেখুন।

আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে আমি খুশি হয়েছি.....।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল!

৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সেদিন একটা ঘটনা পড়লাম ১৬ বছরের শ্যালিকা ভগ্নিপতিকে সাথে নিয়ে নিজের বোনকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। ভগ্নিপতির সাথে তার গোপনপ্রণয় ছিল।
নৈতিকতার কী স্ফলন!

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:২১

নীল আকাশ বলেছেন: রূপক দা, আমি তো এই ধরনের সামাজিক বিষয় নিয়েই তো আমি বেশি লিখি, আমার আগের লেখা গুলি পড়ে দেখুন। সমাজের এই সব ঘৃনিত ঘটনা গুলিকে কাউ কে না কাউকে তুলে আনতে হবে। আমি সব সময় এই চেস্টাটাই করে যাচ্ছি। আমার আত্ম সন্তুস্টিই আমার সব চেয়ে বড় শক্তি। নৈতিকতার কী স্ফলন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে! আসলেও কি আমাদের ভাবার সময় এখনও আসেনি??

আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে আমি খুশি হয়েছি.....।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল!

৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:০০

খাঁজা বাবা বলেছেন: অতি বাস্তব ঘটনা।
জীনিকার তাগিদ মানুষকে বাস্তব থেকে দূরে নিয়ে যায়।
সুমিকে দোষ দেয়া যায় না। সেও তো একটা প্রানী। তার ও চাহিদা আছে।
সমাজের নিত্য এমন ঘটনা ঘটে চলছে। আমাদের শেখা উচিত।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:২৬

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই, আপনি তো আমার প্রায় সব লেখাই পড়েছেন। আমি তো এই ধরনের সামাজিক বিষয় নিয়েই তো আমি বেশি লিখি। যতটা সম্ভব বাস্তবতার কাছে নিয়ে যেতে চেস্টা করেছি। আপনার কাছে বাস্তব মনে হয়েছে, এটাই আমার লেখক হিসেবে স্বার্থকতা।
সুমিকে দোষ দেয়া যায় না। সেও তো একটা প্রানী। তার ও চাহিদা আছে। - এটার ব্যাখ্যা হাবিব ভাই উপরে দিয়েছেন। আমিও সেটার সমর্থন করি ইসলাম যেটা বলে। উপরে যেয়ে কস্ট করে পড়ে নেবেন।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল!

৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭

কে ত ন বলেছেন: তাবলীগের একটা অত্যাবশ্যকীয় রূকন হচ্ছে তিন চিল্লা। এক এক চিল্লা ৪০ দিন, মানে তিন চিল্লা সমান এক মাস। এই চিল্লাকে তাবলীগের ভাষায় বলা হয়, আল্লাহর রাস্তায় বাহির হওয়া। এখানে যারা আছেন, তাদেরকে নিশ্চয়ই চিল্লা কি, সেটা ব্যাখ্যা করে বুঝানোর দরকার হবেনা, সবাই জানেন।

কেউ যদি তিন চিল্লা একসাথে দিতে চান, তাকে তো মিনিমাম চার মাস ঘরের বাইরে স্ত্রী সংসর্গ ত্যাগ করে থাকতে হবে। সেই সময়ে যদি স্ত্রীর দৈহিক চাহিদা তৈরি হয়, সেটা মেটাবার তরিকা কি? ইসলাম এই ব্যাপারে কি বলে?

রাসূল (সা) এর পিতা আবদুল্লাহ বাসর রাত্রি পরবর্তী ভোরেই বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গিয়ে আর ফিরে আসেননি।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: তাবলীগের অত্যাবশ্যকীয় রূকন তিন চিল্লা তো দুরের কথা তাবলীগের কর্মকান্ড নিয়ে আমার যথেস্ট প্রশ্ন আছে! এর যদি সত্যই এতটাই ঠিক মনে করে তাহলে ছোয়াবের জায়গায় ফায়দা বলে কেন? আমি এদের সবাই কে পেলেই জিগ্গেস করি, কোন সদোত্তর পাইনি। এখন তো পেপারে দেখি বাঁশ হাতে দুই গ্রুপ মারামারি করে! ছেলে হোক মেয়ে হোক প্রত্যেকের শারিরীক চাহিদা আছে। নবী করিম (সাল্লালাহু.।) নিজে যুদ্ধে যাবার সময় বা সফরে যাবার সময় একজন স্ত্রী কে সাথে নিয়ে যেতেন। এর কিভাবে সেটা অস্বীকার করে.........??
কেতন ভাই, আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে আমি খুশি হয়েছি.....।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল!

৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:১৩

নজসু বলেছেন: গল্পটা পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম পোষ্টের শুরুতে ১৮+ কথাটা লেখা দরকার ছিল।
শেষ পর্যন্ত এসে বলতে হচ্ছে গল্প শুধু গল্প নয়।
জীবন থেকেও গল্প হয়।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২০

নীল আকাশ বলেছেন: নজসু ভাই, আমার ব্লগে স্বাগতম।
পোষ্টের শুরুতে ১৮+ কথাটা লেখা দরকার ছিল কিনা আমি অনেক ভেবেছি। আসলে সবাই শেষ পর্যন্ত পড়ে আসলে বুঝতে পারবে আমি কেন দেই নি। যেমন আপনিই বললেন শেষ পর্যন্ত এসে বলতে হচ্ছে গল্প শুধু গল্প নয়।

জীবন থেকেও গল্প হয়। - আপনি তো আমার প্রায় সব লেখাই পড়েছেন। আমার লেখার ধরন এই রকমই। আমি তো এই ধরনের সামাজিক বিষয় নিয়েই তো আমি বেশি লিখি। যতটা সম্ভব বাস্তবতার কাছে নিয়ে যেতে চেস্টা করেছি। আপনার কাছে বাস্তব আর জীবন মূখী মনে হয়েছে, এটাই আমার লেখক হিসেবে স্বার্থকতা।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল!

১০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার লেখা ভালো হয়েছে। চরিত্রের প্রয়োজনে যে কোন ভাষা আসতে পারে। যাদের এই ক্ষেত্রে সমস্যা তারা শিশুতোষ বই পড়ুক। আর এটা বিষয়, সব কিছুর মধ্যে যদি ধর্মকে টানা হয়, তাহলে তা হাস্যকর পর্যায়ে পরিনত হয়। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি হাস্যকর ব্যাপার। আমি সম্প্রতি লক্ষ্য করেছি, কিছু ব্লগার সব কিছুতে ধর্ম টেনে আনার চেষ্টা করছেন। এই বিষয়গুলো যদি ক্রমাগত চলমান থাকে, তাহলে এই ব্যাপারে আমরা কিছু পদক্ষেপ নিবো।

একটা অনুরোধ, গল্প শেষে এত ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। এটা যে যার মত করে ভেবে নিক। আমি মনে করি, আপনার গল্পের শাব্দিক দৃশ্যায়নটা আরো একটু গোছানো হলে ভালো হয়। গল্প লিখেই যদি কয়েকবার পড়েন বা যারা ভালো লিখেন, তাদেরকে যদি পড়তে দেন, তাহলে আপনি আরো কিছুটা সাহায্য পাবেন। আপনার লেখা ধীরে ধীরে বেশ ভালো হচ্ছে।

শুভেচ্ছা জানবেন।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮

নীল আকাশ বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই, খুব ভয়ে ভয়ে এই লেখাটা দিয়েছি। আপনার সাহস পেয়ে সত্যই খুব ভালো লাগছে। আমার অন্তর থেকে ধন্যবাদ নিবেন।

আর এটা বিষয়, সব কিছুর মধ্যে যদি ধর্মকে টানা হয়, তাহলে তা হাস্যকর পর্যায়ে পরিনত হয়। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি হাস্যকর ব্যাপার। আমি সম্প্রতি লক্ষ্য করেছি, কিছু ব্লগার সব কিছুতে ধর্ম টেনে আনার চেষ্টা করছেন। এই বিষয়গুলো যদি ক্রমাগত চলমান থাকে, তাহলে এই ব্যাপারে আমরা কিছু পদক্ষেপ নিবো। - আমি ব্লগে ধর্ম প্রচার করতে আসিনি, তাই এই সব লেখা দেয়া বা থেকে শত হাত দুরে থাকি।

একটা অনুরোধ, গল্প শেষে এত ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। এটা যে যার মত করে ভেবে নিক। আমি মনে করি, আপনার গল্পের শাব্দিক দৃশ্যায়নটা আরো একটু গোছানো হলে ভালো হয়। গল্প লিখেই যদি কয়েকবার পড়েন বা যারা ভালো লিখেন, তাদেরকে যদি পড়তে দেন, তাহলে আপনি আরো কিছুটা সাহায্য পাবেন। আপনার লেখা ধীরে ধীরে বেশ ভালো হচ্ছে। - আমি অবশ্যই পরের লেখাগুলির সময় আপনার সাজেশন মাথায় রাখবো।

আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।

১১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: তাছাড়া গল্পের নাম করনটা নিয়ে কাজ করা যায় কিনা দেখুন। অনেক সময় লেখকরা নামের ক্ষেত্রে ম্যাটাফোর ব্যবহার করেন। আপনিও সেই চেষ্টা করে দেখুন।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

নীল আকাশ বলেছেন: গল্পের নাম করন নিয়ে আমাকে ভালো ভাবে কাজ করতে হবে। আপনি এই বিষয় নিয়ে আমাকে আগেও বলেছেন।
আরজু আপু আর কায়সার ভাই কিছু লিংক দিয়েছেন একটা পোষ্টে, ভালো ভাবে পড়তে হবে।
ধণ্যবাদ আপনাকে।

১২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সাহসী গল্প, সাবাস । সাহসী গল্প লেখার সাহস সবার হয়না, আপনি সাহস করে লিখেছেন আপনার জন্য গনগনা আগুন গরম জিলাপি ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৭

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই, গরম গরম জিলাপী পরিবর্তে আপনাকে হট এক্সপ্রেসো কফি খাওয়াতে চেয়েছিলাম। কালকে অনেক খুজেছি,পছন্দ হয়নি।
নিন, গরম ধোয়া উঠা হট এক্সপ্রেসো কফি। আপনি সামুতে আমার খুব পছন্দের একজন সিনিয়র ব্লগার। আপনার মন্তব্যের উত্তর কি আমি না দিয়ে পারি?

সব সময় ভালো থাকবে, শুভ কামনা রইল।

১৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: বাহ!! বেশ ভালো গল্প লিখতে পারেন আপনি! সুড়সুড়ি আর উত্তেজনায় একেবারে ভরপুর বিনোদন। এটাই আমাদের সমাজের বাস্তবতা। চরিত্রগুলো আমাদের আশে পাশেই বিরাজমান। কিন্তু কেউ লজ্জায় তাদের মুখোশ খুলে দিতে চায়না। লোক লজ্জার ভয়ে। আপনার সাহসী লিখনীতে সমাজের একটা মুখ্য সমস্যা সামনে উঠে এসেছে, একেবারে জীবন্ত হয়ে। অনেক ভাললাগা আর শুভেচ্ছা।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮

নীল আকাশ বলেছেন: ইসমাঈল ভাই, এই জন্য আমি আপনার কাছে চির দায়বদ্ধ। আমার চরম দুর্দিনে আমার পাশে যখন কেউ ছিল না, তখন আপনি এসে আমার পাশে এসে দাড়িয়েছিলেন। সাহস দিয়েছিলেন। আবার লিখতে বলেছিলেন। আজকের এই লেখা যদি ভালো হয়ে থেকে তবে সব কৃতিত্ব আপনার।

এটাই আমাদের সমাজের বাস্তবতা। চরিত্রগুলো আমাদের আশে পাশেই বিরাজমান। কিন্তু কেউ লজ্জায় তাদের মুখোশ খুলে দিতে চায়না। লোক লজ্জার ভয়ে। আপনার সাহসী লিখনীতে সমাজের একটা মুখ্য সমস্যা সামনে উঠে এসেছে, একেবারে জীবন্ত হয়ে। আপনি তো আমার কিছু লেখা পড়েছেন। আমার লেখার ধরন এই রকমই। আমি তো এই ধরনের সামাজিক বিষয় নিয়েই তো আমি বেশি লিখি। যতটা সম্ভব বাস্তবতার কাছে নিয়ে যেতে চেস্টা করেছি। আপনার কাছে বাস্তব আর জীবন মূখী মনে হয়েছে, এটাই আমার লেখক হিসেবে স্বার্থকতা।

আর কেউ না হোক আপনাকে আমি সব সময় পাশে দেখতে চাই!

আপনার জন্য শুভ কামনা রইল!

১৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪১

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: ভাই আমাকে শুধু শুধু লজ্জিত করবেন না। আমি কিন্তু এখানে কিছু করিনি।যা কিছু করার আপনি নিজেই করেছেন। আমি শুধু ছাই চাপা আগুনটা উস্কে দিয়েছি। বানান নিয়ে আরো সতর্ক থাকবেন। নামকরণের বিষয়টাও খুব জরুরী। নামের আকর্ষণ একটা গল্প বা কবিতার প্রধান অঙ্গ। তারপর আসে কাহিনি নির্মান যুৎসই শব্দ প্রয়োগ আর উপমার ব্যবহার। সংলাপ বা ভাষা গল্পের চরিত্রানুগ হওয়া দরকার। চরিত্রই বলে দেবে সে কি ভাষায় তার মনের ভাব প্রকাশ করবে। আজকাল কিছু নাটক হচ্ছে যেগুলোতে কোন চরিত্রের জন্য শুনির্দিষ্ট সংলাপ থাকে না। অভিনেতা/নেত্রীরা নিজ নিজ চরিত্রের গঠন অনুযায়ী সংলাপ প্রক্ষেপন করে থাকেন। আর সে নাটক গুলো বেশ জনপ্রিয়তাও পাচ্ছে। আনেক বক বক করলাম।, কিছু মনে করবেন না যেন। আমি নিজেও কিন্তু অত বড় বা ভাল লেখক এখনো হয়ে উঠতে পারনি।
আর একটা কথা, আমি কিন্তু একেবারে এলিমেণ্টারি লেভেল আর হাই লেভেলের আঁতেলদের জন্য কখনো কিছু লিখিনা। যাঁরা আমার লেখালেখি পছন্দ করেন, তাঁরা সবাই আপনার মত লোক। মাঝপথে আটকে যাওয়া গাড়ীটাকে একটা জোরে ধাক্কা দিয়ে একটু আগে বাড়িয়ে দেয়াটা আমার প্রধান উদ্দেশ্য।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৩৮

নীল আকাশ বলেছেন: মাঝপথে আটকে যাওয়া গাড়ীটাকে একটা জোরে ধাক্কা দিয়ে একটু আগে বাড়িয়ে দেয়াটা আমার প্রধান উদ্দেশ্য। ভাই সেটাই করে কয়জন? আপনি যাই বলুন, আপনার সেই সাহায্য আমি কখন ভুলব না। সব সময় পাশে থেকে ভূল ত্রুটি গুলি দেখিয়ে দিবেন।
আপনার জন্য অন্তর থেকে শুভ কামনা রইল।
শুভ রাত্রি।

১৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৩৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ভাই কমেন্টের কোনো উত্তর পাই নাই !!!
যেই গল্প লিখেছেন তার সিরিয়াল চালিয়ে যেতে পারেন, এই ধরনের ঘটনা প্রচার হওয়া জরুরী আর ভারতীয় টিভির আগ্রাসনে বাংলাদেশ সমাজ পরিবার ধ্বংস হবে নিশ্চিত !!!

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৪২

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই কমেন্টের কোনো উত্তর পাই নাই !!! - ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছি। দেরী হবার জন্য আন্তরিক ভাবে দু:খিত।
যেই গল্প লিখেছেন তার সিরিয়াল চালিয়ে যেতে পারেন, এই ধরনের ঘটনা প্রচার হওয়া জরুরী আর ভারতীয় টিভির আগ্রাসনে বাংলাদেশ সমাজ পরিবার ধ্বংস হবে নিশ্চিত !!! - আমি আসলে ঠিক এই কাজ টাই করছি। আরেকটা এই সিরিজেরই গল্প লেখা শুরু হয়ে গেছে। আপনি কিভাবে বুঝলেন আমি এই সিরিজ লিখবো? ;) রুম ডেট নিয়েও লেখার ইচ্ছে আছে।
পাশে থাকবেন সব সময়।

১৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:২৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সামাজিক চলমান অবক্ষয়ের অথবা মূর্খতার বাস্তব প্রতিফলন! নিত্য বাস্তবতা!
শুধূ বিদেশ বলে নয়, গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসেও এমনই গল্পের প্রমাণ কিছুদিন আগের বাড্ডার ঘটনা!

আমাদের জীবন বোধের বিকাশে তেমন কোন আলোচনা নেই।
না নাটকে না সিনেমায়, না সামাজিক পারিবারিক চর্চায়!
আগে যৌথ পরিবারে খানিকটা থাকলেও দাদী নানীদের নীতি কথা বা শাসন বারন
এখন একক পরিবারে তা একদমই শুন্য!

আর আমাদের সংষ্কৃতির শুন্যতার কথাতো বলাই বাহুল্য
জীবন ঘেষা প্রকৃত সংষ্কৃতির বদলে চর্চা হয় আরোপিত, মেকি, নোংরা ভোগী চর্চা!
তাকেই সংষ্কৃতির নামের প‌্যাকেটে মোড়কজাত করা হচ্ছে! যার ভাইস-ভার্সা পরিণতি
সামাজিক পারিবারিক, ব্যক্তিক অবস্থান অতি দ্রুত বদলে যাচ্ছে! চেতনায় লোভ, স্বার্থপরতা, ভোগ
ব্যাপক মাত্রায় আগ্রাসী মনোভাবে প্রতিস্থাপিত! প্রত্যাহিক জীবন যাপনে যার প্রভাব থেকে কেউ মুক্ত নই।

বদলে যাক সময়। বদলে যাক চেতনা। সুস্থতায়, সুন্দরের পথে।
কামনার সাথে জ্ঞান আর প্রজ্ঞা ধৈর্য আর সাধনা মিলনকে করুক মধুময় সৃষ্টির আধার।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৬

নীল আকাশ বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ভাই, কি যে সুন্দর একটা মন্তব্য করে গেলেন! আমাদের সমাজের এই চরম অবক্ষয় নিয়ে কেউ কথা বলে না। কোন আলোচনা হয় না। সবাই যেন এই বিষয় টাকে না দেখার ভান করে চলে যায়! কিন্তু অস্বীকার তো করে যাবে না। আপনার কথা গুলি চরম বাস্তবতা, চোখের সামনে আমাদের সমাজ টা এভাবে ধংস হয়ে যাবে আর আমরা কি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখে যাবো? কিছুই কি করার নেই?

আপনার মন্তব্য আমার লেখা কে প্রানবন্ত করে তুলেছে.......। শুধু ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে ছোট করবো না।
আপনার জন্য রইল সেরা মন্তব্য কারী হিসেবে আমার নিজের হাতে ফুটানো গোলাপ। আমি আমার প্রতিটা পোষ্টে সেরা মন্তব্যকারী এভাবেই সম্মান দেই!


আমি এই ধরনের লেখা গুলি বেশী লিখি, আশা করি এই সব লেখায় আপনাকে সব সময় পাশে পাবো।
আপনার জন্য অন্তর থেকে শুভ কামনা রইল!

১৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আপনি আমাকে বড়ভাই বলে যেই সম্মান দিয়েছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ, ছোট ভাইয়ের লেখা যদি কিছু বোঝার ক্ষমতা না থাকে তাহলে কিসের বড়ভাই? আপনি লিখুন পঁচে যাওয়া সমাজের পঁচা পরিস্কার হবে কি না জানি না, তবে সমাজে বাস করা অন্ধ সমাজিদের জানা উচিত তাদের গন্তব্য কোথায়, তাদের দাড়াতে হবে - নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, সমাজের জন্য, দেশের জন্য ।

ধন্যবাদ, পাশে আছি, পাশে থাকবো ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ, পাশে আছি, পাশে থাকবো ।
মনটা ভরে গেল রে ভাই, কি যে খুশি লাগছে..
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: এক নাগাড়ে পড়ে ফেল্লাম,
খুবই ভালো হয়েছে,
মারহাবা, মারহাবা

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৪১

নীল আকাশ বলেছেন: খুনের দৃশ্যটা লিখতে হেভী মজা লেগেছে.......ভাবছি আরো এই ধরনের কিছু লিখবো!

১৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০৬

মুক্তা নীল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার এইপোস্টের জন্য। আপনি সমাজের এক কালো দৃশ্য তুলে ধরেছেন। সুমীর মতো মেয়েরা পরকিয়া তে অভ্যস্ত । জসীম ফিরে আসার পরতো সুমী সংসারী হতে পারতো? কিন্তু তা হয়নি আপনি ঠিক বাস্তব জীবনটাই এখানে তুলে ধরেছেন। পরকিয়া মানুষকে অমানুষ করে তোলে। আপনি এই চিত্রগুলো আরও তুলে ধরবেন। আপনার "মিথিলা" চরিত্রটি এখনও মনে পড়ে। খুব ভালো লেগেছিলো। আমাদের সমাজে মিথিলার মত মেয়েরা থাকলে হয়তো সমাজটাই অনেক সুন্দর থাকতা। ধংস হয়ে যেত পরকিয়া। সব মেয়েরা নিজের পায়ে দারিয়ে যাবে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২৯

নীল আকাশ বলেছেন: মুক্তা নীল, আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি আমার লেখা গুলি পড়ছেন, বুঝা যাচ্ছে। আমি আসলে ঠিক এই ধরনের লেখাই লিখি। কারন এই ধরনের লেখা গুলি কেউ লিখতে চায় ন। এতে জনপ্রিয়তা পাওয়া যায় না। লাইক কম পড়ে, হিট হওয়া যায় না। আমার তাতে কিছুই যায় আসে না। আমি যত দিন পারি ঠিক এই ধরনের লেখাই লিখে যাব।

আমাদের সমাজের এই চরম অবক্ষয় নিয়ে কেউ কথা বলে না। কোন আলোচনা হয় না। সবাই যেন এই বিষয় টাকে না দেখার ভান করে চলে যায়! কিন্তু অস্বীকার তো করে যাবে না। আমার কথা গুলি চরম বাস্তবতা, চোখের সামনে আমাদের সমাজ টা এভাবে ধংস হয়ে যাবে আর আমরা কি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখে যাবো? কিছুই কি করার নেই?

আপনার "মিথিলা" চরিত্রটি এখনও মনে পড়ে। খুব ভালো লেগেছিলো। আমাদের সমাজে মিথিলার মত মেয়েরা থাকলে হয়তো সমাজটাই অনেক সুন্দর থাকত। - মিথিলা চরিত্র টা আমি অনেক কষ্ট করে লিখেছি। সমাজের এই সব মেয়েদের নিয়ে কেউ লিখে না। আমি তো সব সময়ই ব্যতিক্রম। আপনাদের মতো পাঠকদের কাছে পেলে কি যে ভাল লাগে! ইচ্ছে করলে কি আমি সবার মতো হিট লেখা দিতে পারি না, ঠিকই পারব। কিন্তু আমি আমার মতোই লিখে যাব। শুধু আপনারা আমার পাশে থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল!

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৮

নীল আকাশ বলেছেন: মুক্তা নীল, আপনার জন্য সুখবর! আপনার "মিথিলা" চরিত্রটি এখনও মনে পড়ে
আপনার পছন্দের মিথিলা কে নিয়ে পরের পর্ব দিয়েছি, আশা করি পড়বেন.........।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল!

২০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: অনেক অনেক ভালো থাকুন, আর নতুন নতুন গল্প লিখতে থাকুন। যৌতুকের অভিশাপ বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়া, শ্বশুর বাড়ীতে নতুন বউয়ের গঞ্জনার কথা, গার্মেন্টস শ্রমিকদের সংগ্রাম কিংবা কর্ম ক্ষেত্রের যৌন নিপীড়ন, রোড এক্সিদেন্টে স্বামী হারানো অবলাদের কঠিন জীবন সংগ্রামের কাহিনী নিয়ে গল্প লিখতে পারেন। আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:০১

নীল আকাশ বলেছেন: ইসমাঈল ভাই, প্রতি টা টপিক আমি নোট করে রাখলাম। ভাল প্লট মাথায় আসলেই লিখে ফেলবো। ধন্যবাদ, চমৎকার এই সব আইডিয়া দেবার জন্য।

২১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মধ্যরাতে ভ্রমণ করা মেয়েটির ভিডিও লিংকটি দিন, ফেসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর ব্লগের গুণে দেখা যাবে নির্দোষ পুলিশ চাকুরী থেকে বরখাস্ত হবে ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

নীল আকাশ বলেছেন: আমি ফেসবুক ইউজ করি না। আমার ওয়াইফ করে। গত কালকে রাতে ওই এই ভিডিও টা আমাকে দেখিয়েছিল। যদি লিংক বের করতে পারি আমি অবশ্যই দিব। আমার কাছে মেয়ে কে কিন্তু ভাল মনে হয় নি।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০২

নীল আকাশ বলেছেন: Click This Link

২২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

আরোহী আশা বলেছেন: ভালো লিখেছেন । পছন্দ হইলো। প্রিয়তে রাখেছি।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: আশা, এটা না। আপনি আমার বন্ধ্যা মেয়ের গল্পটা পড়ুন। ওটা আমার বেস্ট লেখা। তারপর বলবেন কেমন হয়েছে ওটা?
শুভ কামনা রইল!

২৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীলআকা ভাই ,

আপনার পোস্টটিতে আমি কয়েকবার এসেছি । কিন্তু প্রতিবার সময় এর অভাবে কমেন্ট না করে চলে গেছি । চলমান সমাজের একটা বাস্তব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে লেখা পোস্টটি অত্যন্ত ভালো হয়েছে । কথোপকথন গুলো অত্যন্ত বাস্তব মনে হয়েছে । যে জন্য চেনা প্লট হলেও বেশ উপভোগ্য হয়েছে । আগেও দেখেছি আজও দেখলাম পরের দিকে আপনার বানানোর একটু গন্ডগোল হয়ে যাচ্ছে । আশা করি প্রিভিউতে গিয়ে আপনি শেষের দিকে এই সমস্যাটা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারবেন । পোস্টগুলো একটু বড় হওয়ায় পরের দিকে আপনার অধৈর্যের কারণ হতে পারে । কাভা ভাইয়ের পরামর্শটা আপনার খুব কাজে আসবে বলে আমার বিশ্বাস ।
পোস্টটি যদি করে মেসেজ থাকে তাহলে সেটা পাঠকের অনুমানের উপর ছেড়ে দেয়াই বাঞ্ছনীয় । অহেতুক ফুটনোট একটি পোস্ট কে কোয়ালিটি র অবনমন করতে পারে ।


শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:১৭

নীল আকাশ বলেছেন: দাদা, আপনার উপদেশ আমি ভালো ভাবে মনে রাখবো। এত পরে এসে পড়া জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল!

২৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:১৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: রাত আড়াইটা বাজে সিএনজি করে যাওয়া মেয়েটিকে প্রাথমিক জিগ্যাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া জরুরী ছিলো ।
১। তার অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ করা মেয়েটি কি কাজে বাইরে ছিলো এবং অভিভাবকের বক্তব্য আর মেয়েটির বক্তব্য ক্রস চেক করা ।
২। মেয়েটি মধ্যরাতে কোন জায়গা হতে এসেছে সেখানে যথাযথ খোঁজ নেওয়া ।
৩। মেয়েটির ফোন কল যাচাই করা সেদিন কার কার সাথে তার কথা হয়েছে এবং তাদের খোঁজ নেওয়া ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৪২

নীল আকাশ বলেছেন: পূর্ণ সহমত!

২৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:৩৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সিএনজি করে মধ্যরাতে দেবীকে নিয়ে পোষ্ট দিয়েছি । আশা করি আপনার কথা লিখতে পেরেছি ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৬

নীল আকাশ বলেছেন: আমিও মন্তব্য দিয়ে এসেছি। ধন্যবাদ এই পোষ্ট দেবার জন্য।
আমার মনে একটা ক্ষীন ধারনা এই ঘটনা ইচ্ছে করে ছড়ানো হচ্ছে মাইনুল হোসেনের কাহিনীর দিকে থেকে মুখ ঘুড়িয়ে পাবলিক কে অন্য দিকে নেবার জন্য.....হাম্বা লীগ এই ব্যাপারে খুবই পারদর্শী.....আগেও এই ধরনের কাজ অনেক অনেক করেছে.......।

২৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপনার বাড়ি কি সত্যি দিনাজপু ?

ওদিকের অনেক স্মৃতি আছে আমার।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:১২

নীল আকাশ বলেছেন: জেলা দিনাজপুর, ঘোড়াঘাট উপজেলা, গ্রাম ঘোড়াঘাট, কালিতলা বাজার আমার চাচার জায়গায় হয়েছে.....ঘোড়াঘাট থানার পাশেই আমার নানা আর দাদা বাড়ি। পুরানো বাস স্টান্ড আমার এক আত্মীয়ের জায়গায় ছিল। বিরাট ফামিলি ওখানে......।তবে আমি বড় হয়েছি ঢাকায়.....।

২৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৩০

আখেনাটেন বলেছেন: বেশ লিখেছেন। সমাজে এগুলো অহরহ হচ্ছে। কিছুদিন আগে সিলেটে একটি চাঞ্চল্যকর কাহিনি ঘটেছিল প্রবাসীর বউ নিয়ে। যারা এগুলোর প্রতিবাদ করেছিল তাদের মনে হয় অাগুনে পুড়ে মারা হয়েছিল প্রেমিক ও বউয়ের সহায়তায়। বিভৎস।

আপনার বর্ণনাও চমৎকার হয়েছে। তবে শেষের ঐ পাদটীকা না লিখলেও চলবে। পাঠকেরা এমনিতেই বুঝে নিবে এর করুনরসটুকু।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: আখেনাটেন ভাই, কি যে ভালো লাগছে আপনাকে দেখে? এই সব কাহিনী তো কেউ লেখে না! আমিই বরং শুরু করি!

তবে শেষের ঐ পাদটীকা না লিখলেও চলবে। পাঠকেরা এমনিতেই বুঝে নিবে এর করুনরসটুকু। - কাল্পনিক ভাইও মানা করে গেছেন, ভাবছি আর দেব না......

আপনার বর্ণনাও চমৎকার হয়েছে। - খুনের দৃশ্যটা লেখার সময় ব্যাপক মজা পেয়েছি, ভাবছি আরো এরকম লিখব!

২৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
দিনাজপুর ক্যান্টনমেন্ট ও খোলহাটী ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ছিলাম বাবার চাকরী সূত্রে।

তাই জিজ্ঞাসা করলাম। আপনি হঠাৎ লেখায় খুব সিরিয়াস হয়েছেন মনে হচ্ছে এবং ব্লগে একটিভও ।

ভাল থাকুন।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার ভাই, শুভ সকাল, দেরী তে মন্তব্য করার জন্য লজ্জিত

দিনাজপুর ক্যান্টনমেন্ট ও খোলহাটী ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ছিলাম বাবার চাকরী সূত্রে। - দিনাজপুর খুব সুন্দর একটা জায়গা। আশা করি সেখানে থাকতে আপনার ভালো লেগেছে........

আপনি হঠাৎ লেখায় খুব সিরিয়াস হয়েছেন মনে হচ্ছে এবং ব্লগে একটিভও ।
- আমি আসলে অনেকটা শখের বশে লেখক। মাঝে মাঝে যখন ইচ্ছে করে তখন লিখি। তবে লেখা পড়তে আমি খুব পছন্দ করি। আপনার মন্তব্য টা পড়ে খুব খুশি হয়েছি। আরো ভালো ভালো লেখা লিখতে চাই যদি আপনাদের আমার পাশে পাই...........।
ভালো থাকবেন ও আপনার জন্য শুভ কামনা রইল!

ভাল থাকুন।

২৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১১

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: ফেসবুকে এবং বিভিন্ন গ্রুপে লিখাটি পোষ্ট করেন স্যার। অনেক কিছু জানার ও বুঝার আছে বলে আমি মনে করি। বাস্তব চিত্রতি ফুটে উঠেছে আপনার গল্পে। আশা করি ভালো থাকবেন। শুভ কামনা।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৩

নীল আকাশ বলেছেন: প্রভা শুভ সকাল, আমি আসলে অনেকটা শখের বশে লেখক। মাঝে মাঝে যখন ইচ্ছে করে তখন লিখি। ফেসবুক আমি ব্যবহার করি না। সামুর সাথে লেখালেখি শুরু করার সময় থেকেই আছি আর যত দিন লেখালেখি করব এই সামুতেই দিব। আমার লেখার টপিক গুলি একেবারেই অন্যরকম, সাধারনত যে সব বাস্তব সামাজিক সমস্যার বিষয় নিয়ে কেউ লেখে না আমি সেই বিষয় গুলি খুব মনোযোগ দিয়ে লিখি। এটাও সেরকম একটা। পাঠকদের মনে সমস্যাটার রেখাপাত করাই আমার উদ্দেশ্য। সবার মন্তব্য পড়ে মনে হয়েছে আমি সফল হয়েছি।

আপনার প্রায় সমসাময়িক লেখা গুলি পড়ে এসেছি। কিছু লেখা ভালো লেগেছে আর কিছু জায়গায় আপনার এখনো কাজ করার অনেক স্কোপ আছে। ব্লগে অনেক ব্লগাররাই পুরোটা না পড়ে, না বুঝে শুধু শুধু প্রশংসায় ভাসিয়ে দেয়, আপনার লেখা গুলিতে আমি এই ধরনের অনেক মন্তব্য পেয়েছি। এরা চরম ক্ষতি করছে, আপনি বুঝতেও পারছেন না এরা আপনার লেখার কত বড় সর্বনাশ করছে। মনে রাখবেন দিন শেষ আপনার লেখার হাত আগের চেয়ে ভালো হলো নাকি এটাই আপনার লাভ! সমালোচনা গুলিই ভালো করে পড়বেন কারন এরাই আসলে আপনার লেখার হাতের উন্নতি চায়। আশা করি আমি কি বলতে চাই আপনি বুঝতে পেরেছেন? ব্লগে অনেক ভালো ভালো লেখক আছেন, তাদের সব লেখা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন, অনেক কিছু শিখতে পারবেন.....। আপনার কাছ থেকে আরো ভালো ভালো লেখা পাবো এই কামনা............।

৩০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৮

হাবিব বলেছেন:
প্রিয় নীল আঁকা ৩৯! অনেকদিন হলো আপনার নতুন লেখা পাচ্ছি না। সেই যে শইল্যের জ্বালা দিয়ে গেলেন নিভাবে কে শুনি!

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: দারুন একটা সাইকোলজির উপর গল্প লিখছি। ইন্টারনেটে স্টাডি করতে হচ্ছে, অপেক্ষা করুন। কোয়ালিটি নিয়ে আমি কমপ্রোমাইজ করিনা। কথা দিচ্ছি ভালো লাগবে ।
শুভা কামনা রইল।

৩১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: সহজ ভাবে আমি একটা কথাই বুঝি। যে জীবন অনেক কঠিন আবার সহজ। প্রতিটি মানুষ তার জীবনের মানেটা বুঝে। অন্য কেউ বুঝে না। নিজেকে নিজের চাইতে কেউ চিনেনা। কেউ যদি চিনতো তাহলে কষ্ট অনেক কমে যেতো। তবে তা খুব কম হয়

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪

নীল আকাশ বলেছেন: আব্দুল্লাহ্ আল মামুন ভাই, আমার ব্লগে স্বাগতম। জীবনে কিছু কিছু সময় কারো না কারো সাথে জীবন টা ভাগ করে নিতে হয়। স্বার্থপরের মতো হয়ে গেলে নিজেই এক সময় একা হয়ে যেতে হয়। একা কাটানোর জন্য আমাদের এই পৃথিবীতে পাঠানো হয় নি।
আমার পরের লেখা গুলি পড়ার আমন্ত্রন রইল!
শুভ কামনা রইল।

৩২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আপনার অনেক লেখাই আমি পড়েছি কিন্তু মন্তব্য করিনি। কেন করিনি সেটা আমি নিজেও জানিনা।

আপনার নিকটাকে যতবার দেখি নীল আকাশ ৩৯ পড়ে ফেলি। আসলেই কি নীল আকাশ হবে ?

হ্যা দিনাজপুর ক্যান্টনমেন্ট ও খোলহাটী ক্যান্টনমেন্ট এর দিনগুলো ফিরে পেতে ইচ্ছে করে। কত সুন্দর দিন কাটিয়েছি।

মাঝে মাঝে যেতে ইচ্ছে করে। হয়তো কোন একদিন চলে যাব। তারপর মন ভরে দেখবো।

আমারও মনে হয়েছে গল্প কবিতার নাম করনে আপনি কিছুটা উদাসীন।

ধন্যবাদ।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৭

নীল আকাশ বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার ফিরে আষার জন্য ধন্যবাদ.......

আপনার নিকটাকে যতবার দেখি নীল আকাশ ৩৯ পড়ে ফেলি। আসলেই কি নীল আকাশ হবে ? - ঠিকই বলেছেন, ইচ্ছে ছিল নীল আকাশ নিক টা নেব, কে যেন আগেই নিয়ে নিয়েছে......... আকাশ শব্দ টা লেখার সময় ভুলে শ টা বাদ পড়ে গেছে। কাভা ভাই কে বলব বলব করে বলা হয় না। মনে হয় নিজের নামই একবারে বসিয়ে দেব.......।

আমারও মনে হয়েছে গল্প কবিতার নাম করনে আপনি কিছুটা উদাসীন। - কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইচ্ছে করেই এই ধরনের নামকরন করি। সব সময় না.........

আমার পরের লেখা গুলি পড়ার আমন্ত্রন রইল!
শুভ কামনা রইল।

৩৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৩০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সে আর বলতে । তা তো পড়বই।

শুধু বনের রাজা টারজানকে ই খাওয়াবেন আর আমরা বুঝি বাদ পড়লুম!

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৬

নীল আকাশ বলেছেন: মাইনুল ভাই, আপনি বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, আমি লেখার নামকরন করে তারপর লিখতে বসি......তাই যখন লেখা শেষ হয় তখন নামটা আর চেন্জ করতে ইচ্ছে করেনা..........অভ্যাসটা মনে হয় পরিবর্তন করতে হবে.......
কালকে একটা নতুন লেখা দিব। পড়ার আমন্ত্রন দিয়ে গেলাম ভাই........
শুধু বনের রাজা টারজানকে ই খাওয়াবেন আর আমরা বুঝি বাদ পড়লুম! - আমার ব্লগে সবার সাথেই এত এত ভালো সম্পর্ক এই কাজ করলে গন ধোলাই খাবার সম্ভাবনা আছে........আমার প্রায় প্রতিটা লেখার পঠিত সংখ্যা দেখেন না.....
ভালো থাকবেন আর আপনার জন্য শুভ কামনা রইল!

৩৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: মানব মানবী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় দু'জনে মিলে সংসার করার জন্য, পরিবার গঠনের জন্য। বিয়ের পর নিতান্ত গুরুতর কোন কারণ ছাড়া স্বামী স্ত্রীর পৃথক থাকা/হওয়া আমার মোটেই পছন্দনীয় নয়। জীবিকার্জনের জন্য অবশ্য এর সাময়িক প্রয়োজন হতেই পারে, তবে তার সময়সীমা যতটা কম হয়, ততই মঙ্গল।
পরকীয়া আমাদের সমাজকে ধ্বংস করে ফেলছে। সমাজ বিজ্ঞানীদের এর কারণ অনুসন্ধান করে এখনই প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারকে সুপারিশ করা উচিত।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: খায়রুল আহসান ভাই আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। কি দিয়ে যে আপনাকে আপ্যায়ন করবো....
মানব মানবী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় দু'জনে মিলে সংসার করার জন্য, পরিবার গঠনের জন্য। বিয়ের পর নিতান্ত গুরুতর কোন কারণ ছাড়া স্বামী স্ত্রীর পৃথক থাকা/হওয়া আমার মোটেই পছন্দনীয় নয়। জীবিকার্জনের জন্য অবশ্য এর সাময়িক প্রয়োজন হতেই পারে, তবে তার সময়সীমা যতটা কম হয়, ততই মঙ্গল। - মন্তব্য গুলির উপরের দিকে হাবীব ভাই ঠিক এই ব্যাপার টা ইসলামের দৃস্টিতে খুব সুন্দর করে ব্যাখ্যা করেছেন। সম সমায়িক যে ঘটনা গুলি পত্র পত্রিকাতে আসে বেশীর ভাগ ঘটনাই কিন্তু প্রবাসীদের নিয়ে ঘটে। আলাদা থাকা আর শারীরিক প্রয়োজন মানুষ কে অমানুষের পর্যায়ে নিয়ে যায়........।

পরকীয়া আমাদের সমাজকে ধ্বংস করে ফেলছে। সমাজ বিজ্ঞানীদের এর কারণ অনুসন্ধান করে এখনই প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারকে সুপারিশ করা উচিত। - আমি বাস্তব জীবনের ঘটনাই এখানে তুলে ধরেছি। পরকিয়া মানুষকে অমানুষ করে তোলে। সমাজে এগুলো অহরহ হচ্ছে। কিছুদিন আগে সিলেটে একটি চাঞ্চল্যকর কাহিনি ঘটেছিল প্রবাসীর বউ নিয়ে। যারা এগুলোর প্রতিবাদ করেছিল তাদের মনে হয় অাগুনে পুড়ে মারা হয়েছিল প্রেমিক ও বউয়ের সহায়তায়। বিভৎস। দোষ আসলে কার সেটা সবার উপলব্ধি করতে হবে......শুধু একজনের ঘাড়ে দোষ দিয়ে পার পাওয়া যাবে না...। এজন্যই সমাজে এই সব সমস্যা গুলি সৃস্টি হচ্ছে.......। আমার কাজ হচ্ছে সমাজিক এই সমস্যা গুলি কে চিহ্নিত করে সবার সামনে তুলে ধরা........। আপনার মন্তব্য আমার লেখা কে প্রানবন্ত করে তুলেছে.......।

আশা করি সামনের দিন গুলিতে আপনাকে আমার পাশেই পাবো।

ভালো থাকবেন আর আপনার জন্য শুভ কামনা রইল!

৩৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
দারুন একটা বিষয় । আমাদের বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটাই এমন ।

শুরুতে ভাবতে পারিনি বিষয়টা এই দিকে যাবে । তবে এখন গ্রামাঞ্চলে এই ধরনের ঘটনা বেশি শোনা যায় । শহরে ডিভোর্স জিনিশটা বেশি হয় পার্থক্য এটাই ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৮

নীল আকাশ বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম। সম্ভবত আপনি আমার লেখা এটাই প্রথম পড়েছেন! আমি এই সব সামাজিক বিষয় নিয়েই লিখে থাকি। আমার প্রায় সব লেখার থিম এই সব সামাজিক সমস্যা গুলি যেটা সাধারণত কেঊ সহজে লিখে না। বর্তমানে এই সমাজে এটা ব্যাপক ছড়িয়ে পড়ছে, সেটা গ্রাম বলুন আর শহর বলুন। নিউজ পেপার গুলি খুললেই এখন প্রায় প্রতিদিনই এই সব নিউজ দেখতে পাওয়া যায়
আমার এত কষ্ট করে এসব লেখার উদ্দেশ্যে হলো সচেতনতা সৃস্টি করা। আশা করি সেটাতে কিছুটা হলেও সফল হতে পেরেছি।
আমার বাকি লেখা গুলি পড়ার আমন্ত্রন দিতে গেলাম।
শুভ কামনা রইল!

৩৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৬

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:

আমি আপনার ব্লগ আগেও পড়েছি । হয়ত কমেন্ট করিনি । সাহস হয় না । আসলে আমি ২০১১ থেকে ব্লগ পড়ি । ২০১৪ এর শেষ দিকে এসে লিখা শুরু করি । আপনাদের ব্লগে কমেন্ট করার সাহস হয় না । যখন নিজের আওতার মধ্যে পরে ছোট করে নিজের মতামত দেয়ার চেষ্টা করি ।

আর আমিও সামাজিক প্রেক্ষাপট গুলোর উপর গুরুত্ব দেই । তবে আমি রিসার্চ ভিত্তিক লেখার উপর বেশি জোর দেয় । তবে গল্প লিখতে গেলে রম্য লেখার চেষ্টা করি ।

ধন্যবাদ আর শুভ কামনা রইল ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩১

নীল আকাশ বলেছেন: শুধু আপনি কেন? আমার প্রত্যেকটা পাঠকের জন্য আমার ব্লগের প্রতিটা পোষ্টে প্রাসংগিক মন্তব্যের জন্য পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া আছে। আপনার মাধ্যমে আমি এটা লিখিত ভাবে সবাইকে জানাচ্ছি....আমি আমার প্রতিটা পাঠকের মন্তব্য প্রতি উত্তর দেই, এই যেমন আপনার ২ মন্তব্যের উত্তরই দিচ্ছি।


যখন নিজের আওতার মধ্যে পরে ছোট করে নিজের মতামত দেয়ার চেষ্টা করি । - আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন যে, সেটাই সব চেয়ে সেরা ঐ পোষ্টের মন্তব্য হবে না? আপনাকে আমি বিনীত অনুরোধ করব, আমার ব্লগে পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে আপনার যেটাই মনে হয় আমাকে বলুন, আমি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ব। আমরা সবাই একদিন আপনার মতোই ছিলাম, সুতরাং সাহস করুন, না হয় আমার এইখান থেকেই শুরু করুন।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল!

৩৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: হোয়াট এ নাম....
নামেই কাম ;)

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

নীল আকাশ বলেছেন: ইচ্ছে করেই এই নাম দিয়েছি। পুকুরে নেমেছি আর জলে পা ভিজাবো না.......। ;)

৩৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ঘসা নয় ঘষা...
বারোটা...

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৮

নীল আকাশ বলেছেন: দুইটাই ঠিক করে দিয়েছি....

৩৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভাবী এই পোস্ট দেখে নাই তো #:-S

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩

নীল আকাশ বলেছেন: দেখেছে। দেখে বলেছে এটা পোষ্ট দিলে আমাকে সামু থেকে বের করে দেবে.....। ;)
খুনের দৃশ্য টা কেমন লিখেছি...।? ;)
খুব মজা পেয়েছি এটা লিখতে যেয়ে..... :P

৪০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চমৎকার পোস্ট...
সময়োপযোগী....

প্রযুক্তির উৎকর্ষে আজ নৈতিকতার স্খলন.......
সমাজের রন্ধ্রেরন্ধ্রে ধরেছে পচন.....

দারুণ হয়েছে ভাই....
ডায়লগগুলো ;) ;)

বেশ বেশ....

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১২

নীল আকাশ বলেছেন: সুভ সকাল,
প্রযুক্তির উৎকর্ষে আজ নৈতিকতার স্খলন....... সমাজের রন্ধ্রেরন্ধ্রে ধরেছে পচন.....
এটাই চরম সত্য আর এটাকে মেনে নিয়ে এর বিরুদ্ধে আমাদের সবাই কে এগিয়ে আস্তে হবে।
হাতে কলম তুলে নিতে হবে, এর বিরুদ্ধে লিখতে হবে,
সামাজিক সচেতনতা তৈরি করতে হবে....
ধন্যবাদ।

৪১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: দেখেছে। দেখে বলেছে এটা পোষ্ট দিলে আমাকে সামু থেকে বের করে দেবে.....
=p~ =p~ =p~

ভাবী বাসা থেকে বের করে নাই তাই অনেক ;)

ঝাক্কাস খুন B-))

মজা তো পাবেনই :P

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২১

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল ভাই,
এটার আরও সিরিজ লেখার ইচ্ছে ছিল। এই সিরিজের আরেকটা গল্পের বেশ কিছু অংশ লিখে ফেলে রেখেছি।
কত কিছু করার আছে এই জীবনে.....
শুভ কামনা রইল!

৪২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৭

বলেছেন: পরকীয়া সমাজের এক ব্যাধি যার শিকার জসীম আর এম রকম কত শত কাহিনী আমাদের সমাজে অহরহ চলছে তা কে জানে।

দারুণ চুটুল গল্প একরাশে শেষ করলাম।


গুরু ঠাকুর মাহমুদ ঠিক বলেছেন এটা কে সিরিজ হিসাবে আরো গল্প লিখতে পারেন যাতে করি সচেতনতা তৈরি হয়।


অশেষ ধন্যবাদ।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
অনেক দেরী করে ফিরলাম প্রতি মন্তব্য দিতে। দু:খিত।
পরকীয়া সমাজের এক ব্যাধি। প্রযুক্তির উৎকর্ষে আজ নৈতিকতার স্খলন....... সমাজের রন্ধ্রেরন্ধ্রে ধরেছে পচন.....
এটাই চরম সত্য আর এটাকে মেনে নিয়ে এর বিরুদ্ধে আমাদের সবাই কে এগিয়ে আস্তে হবে।
হাতে কলম তুলে নিতে হবে, এর বিরুদ্ধে লিখতে হবে,
সামাজিক সচেতনতা তৈরি করতে হবে....

গুরু ঠাকুর মাহমুদ ঠিক বলেছেন এটা কে সিরিজ হিসাবে আরো গল্প লিখতে পারেন যাতে করি সচেতনতা তৈরি হয়। এটার পরের পর্ব ইতিমধ্যেই লিখে ফেলেছি এখানে Click This Link

আপনার জন্য শুভ কামনা রইল!
ধন্যবাদ।

৪৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আসলেই তো এখন বন্দুক খুঁজতে হবে দেখছি

এত কঠিন গল্প আর লিখবেন না । মানুষের জীবন এমনিতেই দু:খ কষ্টে জর্জরিত। গল্প পড়ে যদি বুকের ভিতর ধড়ফড় করে
কন ক্যামনে কী, অফিসের কাজের ফাকে এসব পইড়া মনটাই তিতা হইয়া গেলো গা........

আপনার পিঠ নিয়া আসেন এবার
আমি বেন্দা নিয়া আসি হাহাহাহহা

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
অনেক দেরী করে ফিরলাম প্রতি মন্তব্য দিতে। দু:খিত।
পরকীয়া সমাজের এক ব্যাধি। প্রযুক্তির উৎকর্ষে আজ নৈতিকতার স্খলন....... সমাজের রন্ধ্রেরন্ধ্রে ধরেছে পচন.....

এত কঠিন গল্প আর লিখবেন না । মানুষের জীবন এমনিতেই দু:খ কষ্টে জর্জরিত। গল্প পড়ে যদি বুকের ভিতর ধড়ফড় করে, কন ক্যামনে কী, অফিসের কাজের ফাকে এসব পইড়া মনটাই তিতা হইয়া গেলো গা...... বিষয় টা যখন নোংরা পড়তে গেলে তো মন তিতা হবেই, কিছু করার নেই। তারপরও আমাদের কাউ কে না কাউ কে তো লিখতেই হবে.....।

আপনার পিঠ নিয়া আসেন এবার, আমি বেন্দা নিয়া আসি হাহাহাহহা - লাগবে না। আপনার মন ভালো করে দেবার ঔষুধ দিচ্ছি। নিন পড়ে আসুন, আমার লেখা অন্যতম সেরা মন ভালো করা লেখা। এটা পড়ার পর, আপনি আমার আজীবন ভক্ত হয়ে যাবেন। এই ব্লগের অন্যতম সেরা গল্প এটা। এটা যদি না পড়ে থাকেন তাহলে, অনেক বড় মিস করেছেন। গল্প - আমি মিথিলা, একজন বন্ধ্যা মেয়ে বলছি! Click This Link
শুভ কামনা রইল!



৪৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: একদম বাস্তব ঘটনা। আসলে এমনি হচ্ছে আমাদের সমাজে , যা আপনার গল্পের মাধ্যমে ফুটে উঠছে।
সত্যি কথা বলতে আপনার গল্প পড়তে অনেক সাহস জোগাতে হয়। জানেন তো আমি অনেক ভয় পাই ।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
অনেক দেরী করে ফিরলাম প্রতি মন্তব্য দিতে। দু:খিত।
আমি সব সময় বাস্তব জীবন নিয়ে লিখি। এটাই আমার সব গল্পের থীম।
সত্যি কথা বলতে আপনার গল্প পড়তে অনেক সাহস জোগাতে হয়। জানেন তো আমি অনেক ভয় পাই । - লাগবে না। আপনার মন ভালো করে দেবার ঔষুধ দিচ্ছি। নিন পড়ে আসুন, আমার লেখা অন্যতম সেরা মন ভালো করা লেখা। এটা পড়ার পর, আপনি আমার আজীবন ভক্ত হয়ে যাবেন। এই ব্লগের অন্যতম সেরা গল্প এটা। এটা যদি না পড়ে থাকেন তাহলে, অনেক বড় মিস করেছেন। গল্প - আমি মিথিলা, একজন বন্ধ্যা মেয়ে বলছি! Click This Link
শুভ কামনা রইল!

৪৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৫

ডার্ক ম্যান বলেছেন: বস , আপনি তো সেইরকম গল্প লিখেন।
শোনা যায় , পুলিশ কমিশনার বাবুল আক্তারের বউও নাকি পরকীয়ার কারণে খুন হয়েছিল।
একজন মেয়েকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, জামাই থাকতে সে কেন আরেকজনের সাথে প্রেম করছে ? মেয়েটির উত্তর ছিল, তার স্বামী তাকে প্রতিনিয়ত ঠকাচ্ছে , তাই সে প্রতিশোধ নিচ্ছে

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২০

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
শোনা যায় , পুলিশ কমিশনার বাবুল আক্তারের বউও নাকি পরকীয়ার কারণে খুন হয়েছিল।
একজন মেয়েকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, জামাই থাকতে সে কেন আরেকজনের সাথে প্রেম করছে ? মেয়েটির উত্তর ছিল, তার স্বামী তাকে প্রতিনিয়ত ঠকাচ্ছে , তাই সে প্রতিশোধ নিচ্ছে
- ধর্মীয় অনুশাষন সবাই না মানলে এটা হবেই।

আপনি তো সেইরকম গল্প লিখেন। তাই, তাহলে এটা পড়ে আসুন, তারপর দেখি আপনি কি বলেন আমার লেখা নিয়ে Click This Link
শুভ কামনা রইল!

৪৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সমাজের দেহে লুকানো বিষ ফোঁড়া নিয়ে গল্প ভাল ছিলো। আজ মনে হয় সারাদিন আপনার গল্প পড়েই কেটে যাবে। +++

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৫

নীল আকাশ বলেছেন: খুব ক্ষোভ নিয়ে লিখেছিলাম। এই সব অসংগতি নিয়ে কেউ লিখে না। আমি কখনোই সত্য লেখার ব্যাপারে ভয় বা পিছপা হইনা।
আমার বন্ধ্যা মেয়ে মিথিলা পড়ুন। আজীবনের জন্য আমার মুগ্ধ পাঠক হয়ে যাবেন!
শুভ কামনা রইল!

৪৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনার নিজের প্রতি কনফিডেন্স বেশ লক্ষ্যণীয়। প্রায় মন্তব্যে সেটা দেখতে পেলাম। এটা অবশ্যই ভালো গুণ। তবে...

বোকা মানুষের না বলা পরামর্শটুকু কষ্ট করে বুঝে নিবেন আশা করি। লিখতে থাকুন প্রতিনিয়ত, ভাল থাকা হোক সর্বদা।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩৫

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি কি বলতে চেয়েছেন আমি বুঝেছি। বেশ ভালো ভাবেই বুঝেছি। আর খুব সুন্দর করে ভুলটা ধরিয়ে দেবার জন্য মন থেকে ধন্যবাদ দিলাম।
শুধু এই গল্পটার জন্যই বলেছি। আমার অন্য কোন গল্প হলে কখনোই এই ভয়ংকর বলতাম না। তাও এটা মারাত্মক ভুল আমার, ভুল টা শুধরে দেবার জন্য ধন্যবাদ।
আমার গল্প আপনার ভাল লেগেছিল দেখে খুব ভালো একটা গল্প সাজেস্ট করেছিলাম।
অন্য কিছু নয়। দয়া করে অন্য কোন ভাবে এটা নিবেন না.........
আশা করি পাশে পাব সব সময়.......।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!

৪৮| ১৪ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:২৯

অর্পিতা মন্ডল বলেছেন: পড়লাম, বুঝলাম বা বুঝছি...

১৪ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৩৬

নীল আকাশ বলেছেন: আমি আপনার প্রশ্নগুলির উত্তর দিয়ে এসেছি।
আমার পরকীয়া গল্পগুলির সারমর্ম একটাই - পাপের শাস্তি হবেই। কখনই এত বড় পাপ গোপন করে রাখা যাবে না।
এবং এই পাপে জড়ালে মানুষ পশুর চেয়েও অধম হয়ে যায়। বিবেক বলে তখন কোন কিছুই কাজ করে না।

পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ জানবেন।
শুভ কামনা রইল!!

৪৯| ১৪ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:১১

অর্পিতা মন্ডল বলেছেন: আমি দেখেছি এবং একটি প্রতিমন্তব্য করেছি আমার পরকীয়ায়। দেখো। আশা করি আমার মতের সাথে তুমি একমত হবে বা নাও হতে পারো, সমস্যা নেই তাতে কিন্তু বহুবিবাহ ও পরকীয়া আমার কাছে দুটিই এক।
একটি লিখিত প্রেম অপরটি অলিখিত প্রেম।
লিখিত বলেই সেটি ভালো আর অলিখিত বলেই সেটি খারাপ এটা আমি একটু কম মানি। কারণ লিখিত প্রেমে ধর্ধন লিখে হয় বলে সেটি কি ধর্ষণ নয়?????

৫০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪১

ইসিয়াক বলেছেন: ওরে বাবা এ যে একেবারে কান গরম করা পোষ্ট। মন্তব্য গুলোইবা কম কিসের। হা হা হা...............।
মজা পইলাম

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: ইসিয়াক ভাই, এটাই হলও বাস্তবতা।
একদম সত্য একটা ঘটনা নিয়ে এই গল্পটা লিখেছি।
আরেকটা আছে এইরকম - আমার সোনা জান পাখি এইবার তো কান গরম হয়েছে, এটা পড়লে পুরো মাথাই
গরম হয়ে যাবে।
ধন্যবাদ।

৫১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৬

ইসিয়াক বলেছেন: লেখক বলেছেন: ইসিয়াক ভাই, এটাই হলও বাস্তবতা।
একদম সত্য একটা ঘটনা নিয়ে এই গল্পটা লিখেছি।
আরেকটা আছে এইরকম - আমার সোনা জান পাখি এইবার তো কান গরম হয়েছে, এটা পড়লে পুরো মাথাই
গরম হয়ে যাবে।
ধন্যবাদ।

ক্লাস টাইম হয়ে গেছে । ক্লাস নিয়ে এসে তারপর পড়ছি । অনেক ধন্যবাদ ।
শুভকামনা রইলো ।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২০

নীল আকাশ বলেছেন: ইসিয়াক ভাই,
এটা এক ধরনের এক্সপেরিমেন্ট লেখা।
বাস্তবতা এবং পরকীয়া নিয়ে এটাই আমার প্রথম লেখা।
এই সিরিজের লেখাগুলিতে আমি একটা হিডেন মেসেজ দিতে চেয়েছি পাঠকদের।
আশাকরি সেটা বুঝতে পেরেছেন।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.