নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনুজীবন, যে সর্বদা কিছু শিখতে উদগ্রীব, চষে বেড়াই চারপাশে, নতুন কি কি আছে!
গল্প আমি লিখতে পারি না, তবে চেষ্টা করছি। ভুল-ত্রুটি হলে ধরিয়ে দেবেন।
এক মধ্যবিত্ত কৃষক অনেকগুলো ভেড়া পুষত। গল্পের সুবিধার্থে তার নাম দিলাম ডোডো। সারাদিন সে ভেড়াগুলো বিভিন্ন স্থানে চরিয়ে বেড়াতো আর তার এ কাজে সহায়তা করত তার অনেকগুলো পোষা কুকুর। কুকুরগুলি বিভিন্ন প্রজাতির, জার্মান শেফার্ড, ডোবারম্যান, বুলডগ, সাথে স্থানীয় প্রজাতির কিছু নেড়িকুত্তা। তো সারাদিন ভেড়া চরানোর সময় কুকুরগুলির কাজ ছিল ভেড়াগুলো যাতে দলছুট হয়ে না যায়, বা কোন নেকড়ে অথবা শেয়াল ভেড়াগুলোর কোন ক্ষতি না করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা। আবার ডোডো যখন ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ত তখনও কুকুরগুলি তাদের দায়িত্ব ঠিকঠাক মত পালন করতো। এভাবেই দিন চলছিল, ডোডো কুকুরগুলির সাহায্যে সারাদিন ভেড়া চরিয়ে সন্ধায় ঘরে ফিরে আসত। তখন কুকুরগুলি প্রতিটি ভেড়াকে তাদের থাকবার স্থান বা খামারে ঢোকাতে সাহায্য করত। আর সব শেষে সারারাত ডোডোর ফার্ম ও বাড়ি পাহারা দিত। বিনিময়ে কুকুরগুলি ডোডোর কাছ থেকে পেত পর্যাপ্ত মাংশ বা যথেষ্ট খাবার। আর এই খাবারের লোভেই কিছু নেড়ি কুত্তাও সেই পাহারাদার কুকুরের দলে ভিড়ে যায়।
এভাবে ডোডোর দিন কাটতে থাকে। পরিবার পরিজন্ নিয়ে সে অনেক সুখী, তার ঘরে পর্যাপ্ত খাবার যথেষ্ট টাকা-পয়সা রয়েছে। উপরন্তু রয়েছে বেশ কিছু জমিও, তাই তার মন সবসময় অনেক ফুর্তিতে থাকত, তার যখন যা ইচ্ছে হতো সে তাই করতো। তার ইচ্ছেগুলোর মধ্যে ছিল আশে-পাশের নিম্নবিত্ত বা স্বল্প আয়ের লোকদের খাবার দেয়া, তাদের বিপদে-আপদে পাশে থাকা ইত্যাদি। তার এই ধরণের কাজগুলো আবার তার স্ত্রী এবং কিছু প্রতিবেশী ভালোচোখে দেখতে পারতো না। তারা সবাই সচেষ্ট থাকতো কিভাবে ডোডোকে বিপদে ফেলা যায় বা তাকে বোকা বানিয়ে তার অর্থ সম্পদে ভাগ বসানো যায়। ডোডো এসব বুঝতে পারত, কিন্তু সে না বোঝার ভান করে বার বার তাদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে নিজের আর্থিক ক্ষতি করত। কারণ সে ছিল, নির্বিবাদী বা কিছুটা ভীতু প্রকৃতির। আর অনেক সময় তার প্রতিবেশীরা তার সাথে অনেক খারাপ আচরণ করতো, তারা তাকে দিয়ে যা ইচ্ছে তাই করিয়ে নিত, তাকে কোন কথা বলতে দিত না বা প্রতিবাদ করতে দিত না। অবশ্য ডোডোরও কোন ইচ্ছে ছিল না এ সব বিষয়ে নাক গলানোর, সে তার নিজের কাজ নিয়েই সারাদিন ব্যস্ত থাকতো।
এভাবে দিন পার হয়ে যাচ্ছিল কিন্তু কিছুতেই তার প্রতিবেশীরা তাকে হারাতে না পেরে এক ভয়ংকর চক্রান্ত শুরু করল। তারা ডোডোর কুকুরগুলির দিকে নজর দিল। যদিও সেগুলো প্রভুভক্ত ছিল, কিন্তু তারপরেও তারা প্রতিবেশীদের চাতুরতায় জড়িয়ে পড়ল, বেশি বেশি খাবারের লোভে প্রতিবেশিদের শেখানো হিংস্রতা দেখাত ডোডোর ভেড়ার পালগুলির উপর।
এক পর্যায়ে তাদের এই হিংস্রতা কেবল ভেড়ার পালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তা ছড়িয়ে পড়ে ডোডোর ছেলে-মেয়েদের উপরেও। তার ছোট-বড় বেশি কিছু বাচ্চা-কাচ্চা ছিল, সাথে ছিল অনাথ বা দরিদ্র বাচ্চারা, ডোডো যাদের সবাইকে নিজের বাচ্চাদের মতোই মনে করত। একদিন প্রতিবেশিদের শেখানো হিংস্রতা প্রয়োগ করল তাদের এতদিনের ভরণ-পোষন দেওয়া মালিকের বাচ্চাদের উপরেই। বেশ কয়েটি বাচ্চা কুকুরের কামড়ে মারাত্ম আহত হয় কয়েকজন মারাও গেল।
ডোডো কেবল নিশ্চুপ হয়ে ভাবতে লাগল হায়রে যে কুত্তাগুলোকে আমি এতদিন ধরে খাবার-দাবার, আশ্রয় দিয়ে লালন-পালন করে আসছি তারাই কিনা আমার বাচ্চাদের উপর হামলে পড়ল, তাদের আঁচড়িয়ে কামড়িয়ে আহত ও নিহত করল। কিন্তু তার স্ত্রী ও প্রতিবেশী সবাই তাকে এই কথা বলে যে, বাচ্চাগুলো অনেক দুষ্ট প্রকৃতির ছিল, যাক ভালোই হল, তারা সব-সময় আমাদের নিকট খাবার-দাবার চেয়ে বিরক্ত করত, আর তাই কুকুরগুলো তাদের মত দুষ্টদের হত্যা করেছে। আর আমরা যা বলছি, সেটাই তুমি মেনে নেবে। নইলে......
ছবি : Click This Link
২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:২৫
নয়া পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ নাহল ভাইয়া, কিন্তু কি খারাপ ঠিক ধরতে পারলাম না, আমার লেখার স্টাইল, নাকি গল্পটা?
২| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:২৯
জটিল ভাই বলেছেন:
আমার প্রথম মন্তব্য হলো এ ধরণের মন্তব্য চাহিয়া কখনও পোস্ট দিবেন না। কারণ, এই ব্লগে মন্তব্যের অনেক দাম। এই মন্তব্য দিয়ে করা আয়ে অনেকে আমেরিকায় বাড়ি-গাড়ি করেছে। আপনি ভুলে গেলেও আজ হতে দশ বছর পর কেউবা একজন (মন্তব্যের সুবিধার্থে তার নামও ধরলাম ডোডো) জানিয়ে দিবে আপনি অমুক সময় এভাবে মন্তব্য চেয়ে-চেয়ে আজ কুটিকুটি মন্তব্যের মালিক হয়েছেন। তবে ফ্রি উপদেশ পাইয়া আবার আমারে গরু(!) মাইনা বইসেন না!
দ্বিতীয়ত, গল্পের সুবিধার্ধেতো ভাবছিলাম ভেড়া, কুত্তা, বউ, বাচ্চা, প্রতিবেশী সবারই নাম দিবেন। কিন্তু সেই আশা পূরণ হইলো না। তাই গপ্পে মাইনাস (-)।
তৃতীয়ত, নয়া পাঠক যাতে আবার নয়া কসাই না হইয়া যায় সেইদিকে লক্ষ্য রাইখেন।
চুতুর্থত, পঞ্চমত, ষষ্ঠত যদি দরকার হয় তখন জানামুনে। আপনে পাঠক মানুষ। তাই আপনার লেখায় বেশি কিছু কইয়া লাভ কি?
২৯ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৭
নয়া পাঠক বলেছেন: জটিল ভাই! আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য ধন্যবাদ। আমি ভাই পাঠক মানুষ, পাঠকই থাকতে চাই। আসলে গতকাল অফিস থেকে বাসায় আসার পথে প্রচণ্ড গরমে ভীড়ে ঠাসা বাসের মধ্যে একটুখানি বসার যায়গা পেতেই ঝিমুনি এসেছিল, আর তখনি এমন কিছু একটা চিন্তা মাথায় চলে এলো। কারণ ঐ তীব্র গরমে প্রায় ২ ঘন্টার উপরে বসে থাকতে হয়েছিল। হতে পারে গরমে মাথা আউলায়ে গেছিলো।
৩| ২৯ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৩৪
নাহল তরকারি বলেছেন: আপনার গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রের শত্রুরা খারাপ।
২৯ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৩
নয়া পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া, আসলেই তাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:২০
নাহল তরকারি বলেছেন: খারাপ। খুব খারাপ।