নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনুজীবন, যে সর্বদা কিছু শিখতে উদগ্রীব, চষে বেড়াই চারপাশে, নতুন কি কি আছে!
একটি গভীর অরণ্যে একদিন এক অদ্ভুত প্রাণীর আগমন ঘটে। গ্রামের মানুষরা তাকে ডাকতো "রক্তখেকো জানোয়ার" নামে। তার সম্পর্কে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়েছিল, কেউ বলতো সে রাতে বের হয়, কেউ বলতো সে দিনের আলোতেও ভয়ংকর।
এই রক্তখেকো জানোয়ার ছিল সত্যিই ভয়ংকর। তার চোখ ছিল আগুনের মতো লাল, তার নখ ছিল ধারালো এবং দীর্ঘ, এবং তার দাঁত ছিল ভয়ংকর বড়। তার সম্পর্কে মানুষের ভয় ছিল এতটাই যে, সূর্যাস্তের পর কেউ ঘর থেকে বের হতো না।
একদিন গ্রামের ছোট্ট ছেলে আরিফ ঠিক করলো সে এই রহস্যময় জানোয়ারের সত্তা জানবে। সে রাতের অন্ধকারে সাহস করে অরণ্যে প্রবেশ করল। অন্ধকারে কিছুদূর হেঁটে সে একটা বড় গাছের নিচে ছায়াময় কোনো কিছুর অস্তিত্ব টের পেল।
আরিফ তার ভেতর সাহস জুগিয়ে কাছে গিয়ে দেখল, রক্তখেকো জানোয়ার আসলে কোনো দৈত্য বা দানব নয়, বরং একটি আহত বাঘিনী। তার শরীরে গভীর ক্ষত ছিল, যা থেকে রক্ত ঝরছিল। আরিফ বুঝতে পারলো, জানোয়ারটি মানুষের আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে বাধ্য হয়েছে।
আরিফ সেই বাঘিনীকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিলো। সে গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠদের জানালো এবং তারা সবাই মিলে বাঘিনীকে চিকিৎসা করালো। ধীরে ধীরে বাঘিনীর ক্ষত সুস্থ হতে লাগলো।
গ্রামের মানুষরা বুঝতে পারলো, ভয় ও গুজবের কারণে তারা একটি অসহায় প্রাণীর প্রতি অন্যায় আচরণ করছিল।
এরপর থেকে, রক্তখেকো জানোয়ার আর কোনো আতঙ্কের প্রতীক থাকলো না। বরং, সে গ্রামের মানুষের বন্ধু হয়ে উঠলো। এই গল্প শিখালো, সবসময় গুজব বা ভয়কে সত্যি মনে করা উচিত নয়, বরং সাহস করে সত্য জানার চেষ্টা করতে হবে।
২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৭
নয়া পাঠক বলেছেন: ওয়েলকাম, আপনাকে এ সব গার্বেজ কে পড়তে বলে, আপনি বরং কোন একজন ব্লগার যে দেখেছে নিজ চোখে আন্দোলন, হামলা, কারা করেছে তার ব্লগে গিয়ে ঢু মারেন বড়ভাই। আপনার জন্য সেটাই মঙ্গল হবে।
২| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: নিরপেক্ষ হয়ে নিজের বিবেক দ্বারা যে কোন ঘটনা প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করলেই অনেক কিছু দিনের মত পরিষ্কার হয়ে যায়। এখন তো তাও অনলাইনের যুগ, আমি ২০০৭-০৮ এর পূর্ববর্তী সময়ে তিন'চারটি পত্রিকা পড়ে নিজের মত করে ঘটনা বুঝে নিতাম। আমার মনে আছে তখন জনকন্ঠ, প্রথম আলো, সমকাল (তখন বছর দুয়েক হবে বের হয়েছে, ভালো নিউজ করতো) আর এদের সাথে ইনিকিলাব, দৈনিক নয়াদিগন্ত এসব পত্রিকায় চোখ বুলালেই সব দিনের মতো স্পষ্ট হয়ে যেত। এলাকায় পাঠাগারে যেমন এসব পত্রিকা সহজেই মিলতো, তেমনি বিভিন্ন স্থানে দেয়ালে পত্রিকা এঁটে দেয়া থাকতো। এখন কত সহজেই সকল পক্ষের মতামত, খবরাখবর, বিবৃতি এসব আমাদের হাতের নাগালে। অথচ এখন যে জিনিসটার অভাব সেটা হলো নিরপেক্ষ হয়ে নিজের বিবেক দ্বারা যে কোন ঘটনা প্রবাহ পর্যবেক্ষণ।
২৫ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:১৪
নয়া পাঠক বলেছেন: অথচ কিছু কিছু মানুষরূপী ছাগলের কথাবার্তা শুনলে মনে হয়, আল্লাহ এদের চোখ দেয়নি দেখার জন্য, বিবেক নেই তাদের। সঠিক বিষয় (ন্যায়) কোনটা তা বুঝতে পারে না, কেবল একচোখা পাগলের মত তালগাছ আমার তালগাছ আমার বলে হাউকাউ করে বেড়ায়। আর কথায় কথায় নিজের ঢাক নিজে পেটায়, আর তার নিজের নিবুদ্ধিতা অন্যের নিকট প্রকাশ করে দেয় নিলর্জভাবে, এরপর ভাবে ’মুই কি হনু রে..., আর তাদের কিছু নির্বেোধ চাটুকারের তেলবাজিতে আনন্দে আটখানা হয়ে বগল বাজায়।
ধন্যবাদ ভাইয়া, সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৮
সোনাগাজী বলেছেন:
এই ধরণের বিরক্তিকর গল্প ১দিনেই সবগুলো ছাপিয়ে ফেলেন, আমরা ইহা থেকে মুক্তি চাই।