নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনুজীবন, যে সর্বদা কিছু শিখতে উদগ্রীব, চষে বেড়াই চারপাশে, নতুন কি কি আছে!
এক দেশের ছোট্ট শহর বিদ্যাপুর। এই শহরে ছিল একটি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা আসত পড়াশোনা করতে। তারা শুধু পড়াশোনাতেই সীমাবদ্ধ থাকত না, তারা দেশের সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলত।
একদিন, সরকারের একটি নতুন নীতি প্রণয়নের কথা শোনা গেল। নীতিটি ছিল কোটা ব্যবস্থা সংক্রান্ত, যা বহু মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দিতে পারত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা এই অন্যায় নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে লাগল। তারা রাস্তায় নামল, পোস্টার বানাল, স্লোগান দিল এবং ন্যায়বিচারের দাবি জানাল।
এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল রিয়াজ, একজন সাহসী এবং দৃঢ়চেতা ছাত্রনেতা। তার সাথে ছিল আরও অনেক ছাত্র-ছাত্রী যারা নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করছিল। তারা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু সরকারের অবৈধ শাসকরা এই প্রতিবাদ দমাতে চাইল।
একদিন, হঠাৎই সরকারের পেটোয়া বাহিনী রাস্তায় নেমে এল। তারা ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হামলা চালাল, লাঠি ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে তাদের দমাতে চেষ্টা করল। রিয়াজ এবং তার সহযোদ্ধারা আহত হল, কিন্তু তারা পিছিয়ে গেল না। তাদের চোখে ছিল স্বাধীনতার আলো এবং হৃদয়ে ছিল সাহসের জোয়ার।
রিয়াজ তার বন্ধুকে বলল, "আমরা যদি আজ নতি স্বীকার করি, তাহলে আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে যাবে। আমরা লড়াই চালিয়ে যাব, যতক্ষণ না আমাদের দাবি পূরণ হয়।"
এই কথা শুনে ছাত্র-ছাত্রীরা আরও উজ্জীবিত হয়ে উঠল। তারা আবারও সংগঠিত হল এবং প্রতিবাদ চালিয়ে গেল। তাদের সাথে যোগ দিল আরও সাধারণ মানুষ, যারা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তাদের সমর্থন জানাল।
বিদ্যাপুরের এই আন্দোলন এক সময় পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ল। সরকারের পেটোয়া বাহিনী যতই দমাতে চেষ্টা করুক, ছাত্র-ছাত্রীদের সাহসী লড়াই থামেনি। তাদের প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে উঠেছিল রিয়াজ এবং তার দল।
শেষ পর্যন্ত, ছাত্র-ছাত্রীদের সংগ্রাম এবং সাধারণ মানুষের সমর্থনে, সরকার বাধ্য হয়ে কোটা ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে সম্মত হল। রিয়াজ এবং তার সহযোদ্ধাদের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা এবং সাহসিকতার কারণে তারা সফল হল।
বিদ্যাপুরের এই গল্প আমাদের শিখিয়ে গেল যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সাহস এবং ঐক্য প্রয়োজন। ছাত্র-ছাত্রীদের এই প্রতিরোধ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সত্যের পথে চলতে কখনো ভয় পাওয়া উচিত নয়। প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে তারা সকলের হৃদয়ে থেকে গেল এবং তাদের লড়াই এক নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠল।
১৬ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:২৩
নয়া পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ ধুলো মেঘ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। কিন্তু আপনি মনে হয় অতীতের ইতিহাসের কোন কিছু পড়েন নি, নতুবা জানতে চান না। অতীত ইতিহাস কিন্তু তা বলে না। অন্তত আমরা যদি্ একটু পিছনে ফিরে দেখি, নমরূদ, ফেরাউন, মহাপরাক্রমশালী চেংগিজ খাঁন, অথবা অর্ধ দুনিয়া শাসনকারী, ইংরেজ, পর্তুগীজ বা অন্য যত ক্ষমতাবানরা জুলুম করে বেশিদিন টিকে থাকতে পারে নাই। তাদের পতন একসময় না একসময় হয়েছেই।
২| ১৬ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:০৪
জটিল ভাই বলেছেন:
শেষটা গল্পের মতো হওয়া বুঝি স্বপ্নই থেকে যায়.......
১৬ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৮
নয়া পাঠক বলেছেন: সুন্দর স্বপ্নকে বাস্তবে আনতে গেলে অনেক শ্রম ও সাধনার প্রয়োজন হয় জটিলভাই।
আসলে বাস্তবতা আর স্বপ্নের মাঝে বিস্তর ফারাক থাকে বলেই স্বপ্ন এত মধুর হয়। ধন্যবাদ জটিলভাই, সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:০২
ধুলো মেঘ বলেছেন: পুলিশলীগ এবং ছাত্রলীগ এতদিন অনেক ধৈর্য্য ধরেছে। আর ধরবেনা। এরা যদি সত্যিকার এ্যাকশনে নামে - তাহলে এসব শান্তিপুর মান্তিপুর হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে।