নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনুজীবন, যে সর্বদা কিছু শিখতে উদগ্রীব, চষে বেড়াই চারপাশে, নতুন কি কি আছে!
একটি দূরবর্তী রাজ্যে, যেখানে পশুরা শান্তিপূর্ণভাবে বাস করত, সেখানে হঠাৎ একদিন সিংহরাজ নামে একজন নিষ্ঠুর স্বৈরশাসক রাজা ক্ষমতায় এসেছিলো প্রতারণার মাধ্যমে। সে চক্রান্ত করে আশেপাশের রাজাদের সহায়তা অন্যায়ভাবে দিনের পর দিন ক্ষমতা দখল করেছিল এবং নিজেই রাজ্যের শাসনভার গ্রহণ করেছিলেন। আর দিনের পর দিন শাসনকালে, রাজ্যের সমস্ত পশুরা অত্যন্ত কষ্টে ও অমানবিকভাবে দিন কাটাচ্ছিল।
সিংহরাজের রাজত্বে, বনের সমস্ত পশুরা অত্যন্ত ভীত এবং অসন্তুষ্ট ছিল। তিনি অত্যাচারী কর বৃদ্ধি করেছিলেন, পশুদের খাবার সব একাই খেয়ে ফেলতেন এবং নিজের আনন্দের জন্য পশুদের উপর অত্যাচার করতেন। আর তার বিরুদ্ধে যদি কেউ কোন কথা বলত, তাহলে অন্যায়ভাবে তাদের ধরে তাদের উপর অমানুষিক অত্যাচার করতেন, প্রতিদিনই কোনো না কোনো পশুকে শাস্তি দেওয়া হতো, এবং বনের শান্তি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
একদিন, বনের সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী, শেয়াল, তার বন্ধুদের সঙ্গে একটি গোপন বৈঠক ডেকেছিল। বৈঠকে হাতি, হরিণ, বানর এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পশুরাও উপস্থিত ছিল। তারা সবাই মিলে ঠিক করল যে, সিংহরাজের অত্যাচার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু একটা করতে হবে।
শেয়াল একটি চতুর পরিকল্পনা তৈরি করল। তিনি সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটি কৌশল স্থির করলেন। তারা ঠিক করল যে, প্রথমে সিংহরাজের সমস্ত দোষ এবং অন্যায় কাজের তথ্য সংগ্রহ করবে এবং পরে সেই তথ্যগুলোকে রাজ্যের সব পশুর সামনে উপস্থাপন করবে। এভাবে, তারা সিংহরাজকে জনগণের সামনে অপদস্থ করবে এবং তাকে সিংহাসন থেকে উৎখাত করার দাবিতে একটি বিদ্রোহ গড়ে তুলবে।
শেয়ালের নেতৃত্বে পশুরা সিংহরাজের সমস্ত অন্যায় কার্যকলাপের প্রমাণ সংগ্রহ করতে লাগল। তারা গোপনে তথ্য সংগ্রহ করে এবং একটি দিন ঠিক করল যেখানে সব পশুকে একত্রিত করে সেই তথ্যগুলো উপস্থাপন করবে। দিনটি আসার পরে, শেয়াল এবং তার বন্ধুরা বনের মাঝখানে একটি বড় সমাবেশ করল। সেখানে সিংহরাজও উপস্থিত ছিল, কিন্তু তিনি জানতেন না যে, আজ তার বিরুদ্ধে কিছু ঘটতে যাচ্ছে।
সমাবেশে শেয়াল সিংহরাজের সমস্ত অন্যায় কাজের বিবরণ তুলে ধরল। সকল পশু এতোদিনে বুঝতে পারল যে, তারা যে কষ্ট ভোগ করছে তার জন্য সিংহরাজই দায়ী। একে একে সব পশুরা শেয়ালের সাথে সম্মত হলো এবং সিংহরাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ডাক দিল।
সব পশুরা একত্রিত হয়ে সিংহরাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করল। সিংহরাজ এত বড় বিদ্রোহের সামনে কিছুই করতে পারল না। পশুরা তাকে বন্দী করে বনের বাইরে নিয়ে গেল এবং প্রকৃত রাজার মুক্তি দিল। প্রকৃত রাজা ফিরে এসে আবার শান্তি প্রতিষ্ঠা করলেন এবং সব পশুরা সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে লাগল। এভাবেই, অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসা সিংহরাজকে উৎখাত করে পশুরা নিজেদের রাজ্যে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করল।
১৫ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:১৭
নয়া পাঠক বলেছেন: ভাইয়া আমি তো কবিতা লিখতে পারি না তাই গদ্যেই আপনার কমেন্টের জবাব দিচ্ছি, আসলে আমরা বর্তমানে যেখানে রয়েছি এবং যে দিকে এগিয়ে চলেছি তার পরিণাম ভয়াবহ হতে বাধ্য। পৃথিবীর ইতিহাস তাই বলে। যাক আমরা এখন শুধু দেখে যাবো, চোরের মায়ের বড় গলা আবারো প্রমাণিত হলো।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন:
বাঘের ছাল কুকুর পরে
চালাচ্ছিল রাজ ;
ভালোই ছিলো সুযোগ সুবিধা
নিত্য নতুন সাজ ।
গোলা ভরা ধানের স্বপ্ন
পুকুর ভরা মাছ -
ভেঙ্গে গেছে সকল স্বপ্ন
অনাহারে কাটে রাত ।
চুলোতে গ্যাস নেই
রাস্তায় হাঁটু জল -
পাচার হচ্ছে দেশের টাকা
জয় বাংলা বল ।