নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনুজীবন, যে সর্বদা কিছু শিখতে উদগ্রীব, চষে বেড়াই চারপাশে, নতুন কি কি আছে!
গ্রামটির নাম ছিল শান্তিপুর। এর লোকেরা শান্তিপ্রিয় ও পরিশ্রমী ছিল। তারা তাদের ছোট ছোট জমিতে চাষাবাদ করে এবং মাছ ধরে জীবনযাপন করত। গ্রামের মানুষদের মধ্যে বন্ধুত্ব এবং ভ্রাতৃত্ব ছিল দৃঢ়। তারা সুখে-দুঃখে একে অপরের পাশে দাঁড়াত।
কিন্তু একদিন গ্রামের উত্তর প্রান্তে থাকা পাহাড় থেকে একদল দস্যু এসে গ্রামের মানুষদের উপর অত্যাচার শুরু করে। তারা গ্রামের জমি দখল করতে চেয়েছিল এবং গ্রামের মানুষদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের সম্পদ লুট করত। গ্রামের মানুষরা তাদের এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে কিছু করতে সাহস পেত না।
গ্রামের একজন সাহসী যুবক, অরুণ, এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কিছু করার সিদ্ধান্ত নিল। সে জানত একা কিছু করা সম্ভব নয়, তাই সে গ্রামের সব মানুষের সাথে পরামর্শ করে এবং তাদের সাহস যোগাতে শুরু করল। অরুণ গ্রামের প্রাচীন জ্ঞানী মানুষের পরামর্শ নিয়ে একটি পরিকল্পনা তৈরি করল। তার সাথে গ্রামের অন্য যুবকেরাও যোগ দিল। তারা রাতে গোপনে মিটিং করে কীভাবে দস্যুদের প্রতিহত করা যায় তার কৌশল নিয়ে আলোচনা করত।
গ্রামের প্রতিটি মানুষকে তাদের নিজেদের দায়িত্ব দেওয়া হল। কেউ পাহারা দেবে, কেউ খাবার সরবরাহ করবে, কেউ তথ্য সংগ্রহ করবে। গ্রামের মহিলারাও পিছিয়ে রইল না। তারা ওষুধ এবং প্রাথমিক চিকিৎসার দায়িত্ব নিল।
একদিন, দস্যুরা যখন গ্রামে আক্রমণ করল, গ্রামের সব মানুষ একসাথে তাদের প্রতিহত করল। দস্যুরা এই একতা এবং প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুত ছিল না এবং অবশেষে পিছু হটতে বাধ্য হল।
গ্রামবাসীরা তাদের একতা এবং সাহসের জন্য জয় লাভ করল। দস্যুরা আর কখনও তাদের গ্রামে আক্রমণ করার সাহস পায়নি। গ্রামের মানুষরা বুঝতে পারল যে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক হয়ে লড়াই করলে যেকোনো বিপদকে প্রতিহত করা সম্ভব।
শান্তিপুরের এই বিজয়ের গল্প আশেপাশের গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে পড়ল। অন্যান্য গ্রামবাসীরাও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সাহস পেতে শুরু করল এবং তাদের নিজেদের গ্রাম রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে উঠল।
--এই গল্পের মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই যে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হয়। প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব ও ভূমিকা রয়েছে এবং একসাথে কাজ করলেই কেবল সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।
১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:০০
নয়া পাঠক বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি পাঠক, পাঠক হিসেবেই থেকে আপনাদের মত গুণীজনের নিকট হতে শিখতে চাই, প্রতিদিন, প্রতিমুহুর্ত। তবে হ্যাঁ আপনার মত এআই এর জন্য আমিও কিঞ্চিৎ অনুকম্পা বোধ করছি।
২| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:০২
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: একতাই বল এটা চিরন্তন.......শুভ কামনা সব সময়।
১৩ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৩৩
নয়া পাঠক বলেছেন: শুভ কামনা সবসময় আপনার জন্যও। কিন্তু আমরা কবে আবার সবাই একতার বলে বলীয়ান হব। কবে হবে আমাদের এই পাহাড় প্রমাণ সমস্যার সমাধান।
৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২০
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: একতাই শক্তি একতাই বল।
১৩ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৩২
নয়া পাঠক বলেছেন: একতাই শক্তি, শক্তিতেই মুক্তি এটা বর্তমান পরিস্থিতিতে একান্ত প্রয়োজন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: নয়া পাঠক,
"একতাই বল" হলেও এখন আর একতার দিন নেই। সবাই যে যার ধান্ধায় ব্যস্ত! অরাজকতা থাকলে ফায়দা লোটা সহজ হয় তাই "একতা"ও লুট হয়ে গেছে..................
১৪ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৫৩
নয়া পাঠক বলেছেন: জ্বী, ভাইয়া সত্যিই মনে হয় একতা লুট হয়ে গেছে। আর তাই তো মুষ্টিমেয় কিছু অন্যায়কারী আমাদের রক্ত চুষে পানি করে দিচ্ছে।
ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
৫| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৪৭
ধুলো মেঘ বলেছেন: এরকম গল্প পাঠ্যপুস্তকে তাদের জন্য মানায়, যাদের মস্তিষ্ক এখনো অতটা বিকশিত হয়ে ওঠেনি। বাস্তবতার মুখোমুখি হলে এইসব বইয়ে পড়া জ্ঞান হাওয়ার মত উবে যাবে।
আদালতের এক রায়ে সব একতা মেকতা ভেস্তে যায়। বাস্তবে যার ক্ষমতা আছে, জয় তারই হয়।
১৪ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:২৩
নয়া পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া, সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। ঠিকই বলেছেন। তবে সত্যিকারের আদালতের রায়ে এই সব অন্যায় অবিচারের যথাযথ বিচার একদিন হবেই হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:২৯
জনারণ্যে একজন বলেছেন: একটি সবিনয় নিবেদন : আপনি আপনার নিক চেঞ্জ করে 'নয়া পাঠক' এর জায়গায় 'নয়া লেখক' নিয়ে নিন, প্লিজ।
বি: দ্রঃ বেচারা এআই এর জন্য কিঞ্চিৎ অনুকম্পা বোধ করছি। বাঙালির গল্প/কবিতা/প্রবন্ধ লেখার ক্রমাগত অনুরোধ রক্ষা করতে যেয়ে শেষ-মেষ না আবার পটল তুলে।