নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনুজীবন, যে সর্বদা কিছু শিখতে উদগ্রীব, চষে বেড়াই চারপাশে, নতুন কি কি আছে!
রোদে স্নান করা এক সকাল, মিঠে বাতাসে ভর করে চড়ুই পাখির কলতান। বাগানের গোলাপগুলো যেন আজ বিশেষ রকমের লাল, এক পলকে চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। আজ রূপা আর রাহুলের একবিংশ বিবাহ বার্ষিকী। রূপা, একান্তই বিশেষ দিনটি উদযাপনের জন্য বাড়িটাকে নতুন করে সাজিয়েছে, যেন এই বাড়ি তাদের ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি।
রাহুল সকালে উঠে দেখে, টেবিলে একটা চিঠি রাখা। রূপার হাতের লেখা, চিঠিতে লেখা:
"প্রিয় রাহুল,
আজ আমাদের জীবনের বিশেষ দিন। এই দিনটি আমাদের ভালোবাসার যাত্রার এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাই, আজ তোমাকে নিয়ে যেতে চাই আমাদের প্রথম দেখা করার জায়গায়, যেখানে আমরা প্রথমবারের মতো পরস্পরের চোখে ভালোবাসা দেখেছিলাম।
তোমার অপেক্ষায়,
রূপা"
রাহুলের মন আনন্দে ভরে যায়। সে দ্রুত রূপার পছন্দের ফুলগুলো কিনে, সেই বিশেষ জায়গায় চলে যায়।
সেই জায়গা ছিল একটা ছোট্ট কফি শপ। এখানে তারা প্রথমবার দেখা করেছিল, কফির মৃদু গন্ধ আর মিষ্টি কথায় একে অপরের মন জয় করেছিল। রাহুল যখন কফি শপে পৌঁছায়, দেখে রূপা এক কোণে বসে আছে, হাতে একটা ছোট্ট প্যাকেট।
রাহুল রূপার সামনে বসে হাসিমুখে বলে, "শুভ বিবাহ বার্ষিকী, রূপা।"
রূপা মিষ্টি হেসে উত্তর দেয়, "শুভ বিবাহ বার্ষিকী, রাহুল।"
তারা কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকে, যেন সময়ের পরিপূর্ণতায় তাদের মনের কথা বলে। এরপর রূপা প্যাকেটটা রাহুলকে দেয়। রাহুল প্যাকেটটা খুলে দেখে, ভিতরে একটা ছোট্ট চাবি আর একটা নোট। নোটে লেখা:
"এই চাবি তোমার কাছে থাকুক। আজ থেকে এটা আমাদের নতুন বাড়ির চাবি। সেখানে আমরা নতুন করে আমাদের ভালোবাসার গল্প শুরু করব।"
রাহুলের চোখে জল এসে যায়। সে রূপাকে জড়িয়ে ধরে বলে, "তোমার জন্যই জীবনটা এত সুন্দর, রূপা।"
তারা দুজনে কফি শপ থেকে বেরিয়ে নতুন বাড়ির দিকে রওনা হয়। বাড়িটা ছিল শহরের একটু বাইরে, সবুজে ঘেরা শান্ত একটি জায়গায়। তারা যখন বাড়ির সামনে পৌঁছায়, দেখে দরজায় লেখা আছে:
"রূপা আর রাহুলের ভালোবাসার নীড়"
তারা একসঙ্গে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে। ভেতরে ঢুকে দেখে, সবকিছু খুব সুন্দরভাবে সাজানো। দেওয়ালে তাদের বিবাহের ছবি, টেবিলে মোমবাতি জ্বলছে।
রূপা হাসতে হাসতে বলে, "এই বাড়িটা আমাদের নতুন শুরুর প্রতীক, রাহুল। এখানে আমরা নতুন করে জীবন শুরু করব, আরও অনেক সুন্দর স্মৃতি গড়ে তুলব।"
রাহুল রূপার হাত ধরে বলে, "তোমার সঙ্গে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই বিশেষ, রূপা। এই নতুন যাত্রায় তোমার সঙ্গে থাকতে পেরে আমি ধন্য।"
তারা দুজনে নতুন বাড়ির বারান্দায় বসে সূর্যাস্ত দেখছিল। সোনালী আলো তাদের মুখে পড়ে, যেন প্রকৃতিও তাদের ভালোবাসাকে আশীর্বাদ করছে। এই মুহূর্তে তাদের মনে হয়, ভালোবাসার যাত্রা কখনও শেষ হয় না।
এভাবেই রূপা আর রাহুল তাদের একবিংশ বিবাহ বার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখে, নতুন স্বপ্ন, আশা আর ভালোবাসার প্রতিজ্ঞায়।
১১ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৫৪
নয়া পাঠক বলেছেন: কিন্তু একটি লেখাও আমার স্ক্রীনের প্রথম পাতায় দেখতে পাচ্ছি না। যদিও একটি ড্রাফটে নিয়ে নিয়েছি। তবুও মনে হয় কোন সমস্যার কারণে এখনও রয়ে গেছে। জানিনা ঠিক কি কারণে এমনটা হচ্ছে।
যাক ভালোবাসা ভালো লাগে জেনে প্রীত হলাম আপুনি। গল্পটিতে এসে মন্তব্য করে ভালো লাগা জানানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
২| ১১ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:০৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: দুইবার বলতে বুঝিয়েছি, এই পোষ্টেই লিখাটা দুইবার হয়েছে। আলাদা পোস্ট না কিন্তু।
১১ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৩২
নয়া পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, ভুলটা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য। আসলে গল্পটি লিখেছি গতকাল, কিন্তু ড্রাফটে রেখেছিলাম। আজকে পোষ্ট করেছি। কিভাবে যে, দুই বার হয়েছে বুঝতে পারিনি। দুঃখিত।
ঠিক করে দিয়েছি।
৩| ১১ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০১
করুণাধারা বলেছেন: ভেবেছিলাম ২১তম বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে পোস্ট দিয়েছেন, পড়তে গিয়ে দেখি গল্প!!
অবশ্য গল্প পড়তে ভালো লেগেছে।
২৮ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৪
নয়া পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ করুণাধারা আপু, ছা-পোষা লোকের আবার বিবাহ বার্ষিকী! তাইতো এ গল্প লিখে দুধের সাধ ঘোলে মেটালাম।
গল্পটি ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলাম!
৪| ১১ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৪৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমিও ভেবেছিলাম নিজেদের বিবাহ বার্ষিকীর গল্প। শুভেচ্ছা জানাতে এসে দেখি গল্প। বেশ ফিলগুড লেখা।
২৮ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৫
নয়া পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ সুলতানা আপু, সুন্দর একটি মন্তব্য দিয়ে উৎসাহিত করার জন্য। আপনাদের ভালো লাগলেই আমি উৎসাহিত।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো
ভালোবাসা ভালো লাগে খুব
লেখাটা দুইবার এসে গেছে। একটা মুছে দিবেন