নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনুজীবন, যে সর্বদা কিছু শিখতে উদগ্রীব, চষে বেড়াই চারপাশে, নতুন কি কি আছে!
একটি নির্জন গ্রামে বাস করত কিশোরী মেয়েটি, নাম তার রূপা। রূপার পরিবার ছিল দরিদ্র, তাদের একমাত্র সম্পদ ছিল পুরোনো একটি বাড়ি। গ্রামটি ছিল রহস্যে মোড়ানো, সেখানে অনেক ধরনের গুজব শোনা যেত। লোকেরা বলত, এই গ্রামে রাতে ভূত প্রেতের আনাগোনা ঘটে। রূপা এসব বিশ্বাস করত না, তবে মাঝে মাঝে তারও মনে হতো, গ্রামের কিছু একটা ঠিক নেই।
এক রাতে, রূপা তার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। সে গ্রামের পাশের জঙ্গলের দিকে হাঁটতে থাকে। জঙ্গলটি ছিল গ্রামের সবচেয়ে ভয়ংকর জায়গা। রাতে সেখানে কেউ যেত না, কারণ লোকেরা বলত, জঙ্গলে নাকি অশুভ শক্তির বাস। কিন্তু রূপার মাথা এতই গরম ছিল যে সে এসব কিছুই ভাবল না। সে হাঁটতে হাঁটতে জঙ্গলের গভীরে চলে যায়।
হঠাৎ করেই রূপা একটা অদ্ভুত আওয়াজ শুনতে পায়। আওয়াজটা এতই ভয়ংকর ছিল যে তার সমস্ত শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়। সে পিছনে তাকিয়ে দেখে, একটা বড়সড় কালো ছায়া তার দিকে আসছে। রূপা দৌড়াতে শুরু করে, কিন্তু ছায়াটা এতই দ্রুত ছিল যে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটা তাকে ধরে ফেলে। রূপা চিৎকার করতে চায়, কিন্তু কোনো শব্দ বের হয় না। সে শুধু চোখ বন্ধ করে প্রার্থনা করতে থাকে।
কিছুক্ষণ পর যখন সে চোখ খোলে, দেখে সে এক অদ্ভুত স্থানে আছে। চারিদিকে কালো কুয়াশায় ঢেকে আছে, আর মাঝখানে একটা পুরোনো বাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। বাড়িটার সামনে দাঁড়িয়ে আছে একটা বয়স্ক মহিলা, যার চেহারাটা অদ্ভুতভাবে ভীতিকর। মহিলাটি রূপার দিকে তাকিয়ে হেসে বলে, "তুমি চলে এসেছ, বাছা। আমি জানতাম তুমি আসবে।"
রূপা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, "তুমি কে?"
মহিলাটি উত্তর দেয়, "আমি এই বাড়ির রক্ষক। এই বাড়িতে প্রবেশ করা মানে এখানেই থেকে যাওয়া। তুমি আর কখনও ফিরে যেতে পারবে না।"
রূপা ভয় পেয়ে বলে, "আমি এখানে আসতে চাইনি। আমাকে ছেড়ে দাও।"
মহিলাটি হেসে বলে, "এখন আর সম্ভব নয়। তুমি এখানে এসে গেছ, আর এখানেই থাকতে হবে।"
রূপা বুঝতে পারে, সে এক ভয়ংকর ফাঁদে পড়েছে। সে বাড়িটার ভেতরে ঢুকে যায় আর দেখতে পায়, ভেতরে অনেক মৃতদেহ পড়ে আছে। প্রত্যেকটি দেহের চোখ খোলা, মুখে একটা ভয়ের ছাপ। রূপা আর দাঁড়াতে পারে না, সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
যখন তার জ্ঞান ফিরে আসে, সে দেখতে পায় মহিলাটি তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। মহিলাটি বলে, "তুমি আমার নতুন অতিথি। এখন থেকে তুমি এই বাড়ির রক্ষক হবে।"
রূপা চিৎকার করে উঠে বলে, "না! আমি এখানে থাকতে চাই না। আমাকে ছেড়ে দাও!"
মহিলাটি হাসতে হাসতে বলে, "তোমার চাওয়া না চাওয়াতে কিছু আসে যায় না। তুমি এখানেই থাকবে।"
এরপর থেকে রূপা আর কখনও ফিরে আসেনি। লোকেরা বলে, জঙ্গলে এখনো সেই বাড়িটা আছে। রাতে যদি কেউ সেই বাড়ির কাছে যায়, তাহলে সে আর কখনও ফিরে আসে না। রূপার মতো আরও অনেকেই সেই বাড়ির রক্ষক হয়ে গেছে। এখনো মাঝে মাঝে রূপার চিৎকার শোনা যায়, যা রাতের নির্জনতার মধ্যে ভয় ধরিয়ে দেয় গ্রামের মানুষের মনে।
তাই, গ্রামের সবাই বলে, "কখনও জঙ্গলের পথে যেও না, বিশেষ করে রাতে। কারণ সেখানে অপেক্ষা করছে অশুভ শক্তি, যা তোমাকে কখনও ছাড়বে না।"
১০ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭
নয়া পাঠক বলেছেন: আয় হায় জুনা’পু কইলেন কি? ভয় পাইলেন্না! তাইলে কইয়া দেন কেমনে লেখলে ভয় পাইবেন। এটা নিছক একটি গল্প যা পুরো কাল্পনিক। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
২| ১০ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৪৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সুন্দর একটা গা ছমছমে গল্পের প্লট ছিলো; আরেকটু গুছিয়ে লিখলে চমৎকার একটা ভয় ধরানো গল্প হতে পারতো।
১০ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৩০
নয়া পাঠক বলেছেন: ভাইয়া এই গুছিয়ে লেখাই আমার সমস্যা, আমি কোন কিছুতেই বেশিক্ষণ মনোযোগ ধরে রাখতে পারি না। তাই আপাতত প্রতিটা গল্পই সংক্ষেপে এখানে তুলে রাখছি, পরে সময় সুযোগ মত ডিটেইলে লিখে প্রকাশ করব।
ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
৩| ১০ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪
শাওন আহমাদ বলেছেন: আর একটু বড় হতে পারত লেখাটি।
১০ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৪৬
নয়া পাঠক বলেছেন: জ্বী, ভাইয়া আরেকটু বড় হলে অনেক ভালো হত আমিও বুঝতে পারছি। কিন্তু আমার মনোসংযোগে কিছুটা বিঘ্ন ঘটায় শর্ট ফর্মে আপাতত লিখছি, পরে হয়ত সময় সুযোগ পেলে বড় কলেবরে আরও বিস্তারিত লিখব ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ১০ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:০৮
শাওন আহমাদ বলেছেন: ইন শা আল্লাহ
১০ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:১১
নয়া পাঠক বলেছেন: জাজাকাল্লাহু!
৫| ১০ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গল্প তেমন একটা জুইতের হয় নাই। ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায়, মেয়েটার ওই বাড়ীতে যাওয়ার বিষয়টা কেমন যেন বেড়াইতে যাওয়ার মতো হাল্কা মনে হইলো।
হরর গল্পে যদি ভয়ই না পাওয়া যায়, তাইলে কেমনে কি? তবে চেষ্টা চালায়ে যান। আপনার পটেনশিয়ালিটি আছে। এই প্রথম আপনের কোন একটা গল্প পড়লাম। মন্দ না, আপনের বেসিক ঠিক আছে!!!
১০ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৫
নয়া পাঠক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভুম ভাইয়া! আপনার গঠনমূলক মন্তব্য আমার চলার পথে অনেক মূল্যবান একটা ভূমিকা রাখবে আশা করি।
আসলে চেষ্টা করছি একটু বিস্তারিত এবং ভালভাবে লেখার। কিন্তু অভিজ্ঞতা কম এবং মনোযোগ বিক্ষিপ্ত হয়ে যাওয়ায় লেখাটি সংক্ষেপিত হয়ে যায় ফলে বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করা হয় না।
তবুও চেষ্টা চালিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ্, আরও একটু ভাল এবং বিস্তারিত লেখার জন্য।
৬| ১০ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮
পারস্যের রাজপুত্র বলেছেন: সাইকিক থ্রিলার
১০ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৬
নয়া পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ পারস্যের রাজপুত্র সাহেব! সুন্দর একটি মন্তব্য। সাইকিক থ্রিলার! আশা করছি আরও একটু ভালো করতে পারব ভবিষ্যতে।
৭| ১০ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অনেকেই লেখার নিঃশর্ত প্রশংসা না করলে মাইন্ড করে। আপনি যেহেতু করেন নাই, তাই কয়েকটা পয়েন্ট বললাম। গল্প লেখায় এই ধরনের ছোটখাটো বিষয়গুলো খেয়াল করলে গল্প আরো ইন্টারেস্টিং হবে।
১। গল্পের যথাযথ শিরোনাম নির্বাচন। ''একটি ভয়ঙ্কর গল্প'' বললে শুরুতেই পাঠকের মনে একটা এক্সপেক্টেশান হয়ে যায় যে, খুবই ভয়ঙ্কর কিছু সে পড়তে যাচ্ছে। তখন বিষয়বস্তু খুব......খুবই বেশী ভয়ঙ্কর না হলে ভয়ের আবহ সাধারন মানের হয়ে যায়। ফলে হরর গল্পের লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয় না।
২। গ্রামের একটা দরিদ্র পরিবারের মেয়ের নাম রূপা!!! আচ্ছা, তা যদি মেনেও নেই, তার মুখে আপনি যেই চোস্ত বাংলা দিয়েছেন, সেটা একেবারেই বেমানান। তাই না!!!
৩। অদ্ভুতভাবে ভীতিকর চেহারার মহিলার হেসে কথা বলা কি ঠিক? মনে হচ্ছে রূপা কুটুমবাড়িতে বেড়াতে এসেছে!!! আর ভীতিকর চেহারা দেখে রূপার ভয় না পেয়ে অবাক হওয়াটা একেবারেই মেনে নেয়া যায় না। ভয়ে তো তার হালুয়া টাইট হয়ে যাওয়ার কথা।
তিনটা স্যাম্পল দিলাম। আপনার আরো কিছু বর্ণনা গল্পটার ভয় পাওয়ার সিরিয়াসনেসকে মাইল্ড করে দিয়েছে।
১১ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:০৪
নয়া পাঠক বলেছেন: প্রথমেই অসংখ্য কৃতজ্ঞতা জানাই ভুয়া মফিজ ভাই! আপনি যে আপনার নিকের মতো মোটেই ভুয়া নন, তা আপনার এই বুদ্ধিদীপ্ত ও পরামর্শমূলক সুন্দর মন্তব্যই এর প্রমাণ।
ভাইয়া, আমি লেখা-লেখিতে একপ্রকার নতুন বলা যায়, বলতে পারেন সবেমাত্র হাতে-খড়ি হলো। তাই ক্রমাগত আমি চেষ্টা করে যাব আ্পনাদের পরামর্শ ও সুচিন্তিত মতামত অনুযায়ী নিজেকে তৈরি করতে।
৮| ১১ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: প্রথমেই অসংখ্য কৃতজ্ঞতা জানাই ভুয়া মফিজ ভাই! আপনি যে আপনার নিকের মতো মোটেই ভুয়া নন, তা আপনার এই বুদ্ধিদীপ্ত ও পরামর্শমূলক সুন্দর মন্তব্যই এর প্রমাণ। আমার নিক নিয়ে সবাই এই ভুলটা করে। আসলে ব্যাপারটা পুরাই উল্টা..........অর্থাৎ আমি যে ভুয়া না, সেটাই আমার এই নিকটা বোঝাতে চায়!!!
বিষয়টা আমি বিশদ ব্যাখ্যা দিয়েছি এইখানে ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার ভুয়া মফিজ। পড়ে দেখতে পারেন।
১২ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:০৯
নয়া পাঠক বলেছেন: জ্বী ভাইয়া, আমি জানি আপনার লেখাগুলো আমি নিয়মিতিই পড়ি। আমি জাস্ট ফান করে এই মন্তব্যটি করেছি।
আসলে আমি লেখার চেয়ে পড়তেই বেশি পছন্দ করি। আর তাছাড়া আমার লেখার হাতও তেমন একটা না, তাই বিভিন্ন গুণীজনের বিভিন্ন লেখা পড়তে এখানে নিয়মিতই আসি। এর আরও একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে আমি আসলে তেমন একটা জ্ঞানী নয়, তাই আপনাদের মত বিভিন্ন গুণীজনের বুদ্ধিদীপ্ত লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ে জ্ঞান আহরণ করার চেষ্টা করি।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:২৭
জুন বলেছেন: হু ঠিকই রাতের বেলা বিশেষ করে গ্রামদেশে কখনোই বাইরে যাওয়া উচিত না। তবে খুব একটা ভয় পাইলাম্না
+