নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনুজীবন, যে সর্বদা কিছু শিখতে উদগ্রীব, চষে বেড়াই চারপাশে, নতুন কি কি আছে!
এটি একটি গল্প হতে পারত যদি আমি গুছিয়ে লিখতে পারতাম, তা পারি না বলে শুধু একটি থিম/ভাবনা শেয়ার করলাম। যদি কারও সাথে এই লেখার কোন মিল হয়ে যায় তবে তা কেবল কাকতাল, কাউকে হেয় করা বা কারও ব্যক্তিগত মূল্যবোধে আঘাত করা আমার এ লেখার উদ্দেশ্য নয়।
Image may contain: text
ছবি নেট থেকে নেওয়া
”এক গ্রামে, একটি অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার, কোনমতে দিন এনে দিনে খায়, কোন সঞ্চয় না করতে পারা যায় এ ধরণের। সে পরিবারে অভাবের কারণে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করাতে পারে না। বাবা তার কাজের সুবিধার জন্য তাদের মাঠে গরু, ছাগল চরাতে পাঠায়। এভাবে চলতে থাকে তাদের দিন।এভাবে চলার মাঝে সে অনেক ঋণগ্রস্থ হয়.... পাওনাদারের ক্রমাগত চাপে ভিটেমাটি ছাড়ার উপক্রম হয় তার। ঠিক এমন সময় তাদের কোন এক স্বজন ব্যবসা করে বেশ ভাল অবস্থায় চলত। তার চোখে বিষয়টি খারাপ লাগে, তখন তিনি তাদের সাহায্য করার জন্য তাদেরকে নিজের বাড়িতে এনে আশ্রয় দেয়, কাজ দেয়, যাতে তারা আগের চেয়ে বেশি টাকা আয় করতে পারে আর ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা করাতে পারে আগের চেয়ে একটু উন্নত জীবন কাটাতে পারে, আর কিছু কিছু করে সঞ্চয় করে নিজের এবং বাচ্চাদের জীবনে চলার মত একটা পথ গড়ে দিতে পারে। এভাবে চলতে থাকে সময়। সময়ের পরিক্রমায় একসময় সবকিছু অতীত হয়ে যায়, সেই উপকারি স্বজন মারা যায়, আর তার সম্পত্তি নিয়ে তার পরিবারের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে রেষারেষি হয়... আর তা ভাগাভাগি করে সবাই যার যার মত চলতে থাকে। আর গল্পের শুরুর সেই পরিবার গ্রাম থেকে শহরে চলে যায়। সেখানে তাদের কিছুটা উন্নত জীবন চলতে থাকে। পরিবারের একটা মাত্র ছেলে, সে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে, তবে ছোটবেলা থেকে কষ্ট করে বড় হওয়ার কারণে টিউশনী করে নিজের পড়ালেখা ও থাকা খাওয়ার খরচ জোগাড় করে নিত আর পড়াশোনা করত। এভাবে একসময় পড়ালেখা শেষ করে একসময় দেশের একজন প্রথম শ্রেণীর সরকারী অফিসার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে। জীবনের যতপ্রকার রং, রূপ, স্বাদ-আহ্লাদ সব ধীরে ধীরে এসে পড়ে তার হাতের নাগালে।
মনে আছে সেই উপকার কারী ভদ্রলোকের কথা... যিনি নিজের টাকা দিয়ে...কাজ দিয়ে তাদের স্বাবলম্বী হতে শেখায়... তারও এক ছেলে। কালক্রমে সেও সেই শহরেই বাস করে কিন্তু ভাগ্যের নিষ্পেষণে তার জীবনে নেমে আসে চরম দারিদ্রতা...। কোনমতে সে তার বউ-বাচ্চা নিয়ে শহরের কোন এক বস্তিতে বাস করে। কোন একদিন এই বস্তিবাসি বেড়াতে গেল সেই উপকারভোগী আত্মীয়ের বাসায়। তখন অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছে... আর তাকে রাতে সেখানে থাকতে হয়... তাকে থাকতে দেওয়া হয় বাড়ির বাইরে একটা যায়গায়.. যেখানে বৃষ্টির প্রকোপে সে সারারাত ঘুমাতে পারে না। সারারাত বৃষ্টিতে ভিজে সকালে যখন সেখান থেকে বিদায় নিয়ে আসবে... তখন ভদ্রতা করে আত্মীয় বলছে... কি রে বৃষ্টি কখন হল... তুই রাতে ঠিকমত ঘুমিয়েছিস তো.... আসলে ঘর তো অনেকগুলো খালি ছিল.. তুই এসে তো কোন একটা ঘরে থাকতে পারতি... ইত্যাদি... ইত্যাদি।”
ধন্যবাদ বন্ধুরা সময় নিয়ে আমার এই গল্পটা পড়ার জন্য... যদিও মাঝে অনেক কিছু আমি বাদ দিয়েছি... চেষ্টা করেছি শুধু গল্পের মূল বিষয়টা তুলে ধরতে... কতটুকু পেরেছি তা আপনারা মন্তব্য করুন। আর আপনাদের আশেপাশে যারা আপনাদের চেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে তাদের একটু সাহায্য করার চেষ্টা করুন.. যার পক্ষে যতটুকু সম্ভব ততটুকুই করুন, যদিও কোন প্রতিদান আশা করবেন না তবু প্রতিদান পাবার সম্ভাবনা একটুও নেই.. এই দুনিয়ায়....
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯
নয়া পাঠক বলেছেন: বুঝলাম না, এ পোষ্টে এ ধরণের মন্তব্য কেন? আমি তো পুরো পোষ্টে সীলমোহর জাতীয় কোন লেখা পেলাম না। তবুও আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ও স্বাগতম আমার প্রথম পোষ্টে প্রথম মন্তব্যকারী হিসেবে। আমি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে উদ্দেশ্য করে কোন কথা বা বাক্য ব্যবহার করি না। তবুও যদি আমার কোন লেখা কারও সাথে মিলে যায় তার জন্য তো আমার কোন দায়বদ্ধতা থাকার কথা নয়। আবারো ধন্যবাদ জনাব আপনার সুন্দর ও প্রথম মন্তব্যের জন্য।
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬
নতুন-আলো বলেছেন: ব্লগে পথ চলা সুন্দর হোক...
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩
নয়া পাঠক বলেছেন: দোয়া করবেন। আসলে আমি ভাল লেখক নয়, কোন কিছুই ভালভাবে গুছিয়ে বলতে বা লিখতে পারি না। তবে যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করব ভালো লেখার। লেখার চেয়ে পড়াতেই আমি বেশি সময় ব্যায় করি। এটাই আমার হবি। ব্লগে আছি ২০১০ সাল থেকে।
৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৩
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সুন্দর সুন্দর পোস্ট দিয়ে ব্লগ মাতিয়ে ফেলুন
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১২
নয়া পাঠক বলেছেন: দোয়া করবেন সিনিয়রগণ। কিন্তু অজান্তেই সেফ হওয়ার আগেই যেভাবে কমেন্ট করেই কারও কারও অহমে আঘাত দিয়ে ফেলেছি, তাতে সন্দেহ আমার আইডি সেফ হয় কি না অথবা ব্লক হয়ে যায় কি না। দোয়া করবেন।
৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি ১ ব্লগারের পোষ্টে মন্তব্য করতে গিয়ে লিখেছেন, আল্লাহ কিছু মানুষকে নাকি সীল মোহর মেরে দেয়; তা' আপনাকে কি সীল মোহর মেরে দিয়েছেন আল্লাহ?
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১০
নয়া পাঠক বলেছেন: ও আচ্ছা, এবার আপনার মন্তব্যের কারণ উপলব্ধি করতে পারলাম। ধন্যবাদ বিষয়টি খোলাখুলি বলার জন্য। আল্লাহ কাকে সীলমোহর করে বন্দী করে দিয়েছেন সেটা বোঝার মত ক্ষমতা আমার এখনও হয়নি। আর আমি আগেই ব্যাখ্যা করেছি আমি কাউকে ব্যক্তি আক্রমণে এই মন্তব্যটি করিনি। এটা কোরআনের একটি আয়াতেই উল্লেখ আছে। আমি শুধু তার পোষ্টটি পড়ে এই বিষয়টিই নিশ্চিত করতে চেয়েছি যে, যারা অবিশ্বাসী তারা সর্বদাই অবিশ্বাসী, যদি তাদের সামনে এমন প্রমাণ হাজির করা হয় যা তারা চিন্তা করতে পারে না তখন তারা সেই প্রমাণকেও অস্বীকার করে বলবে নিশ্চয় আমি চোখে ভুল দেখছি। ব্যাপার টা এরকম।
পুনশ্চ: আমি কিন্তু আপনাকে আবারও বলছি, আমার মন্তব্যটি আপনাকে উদ্দেশ্য করে নয়, কিন্তু ঠিক বুঝতে পারছি না কেন শুধু শুধু আপনি আমার কথাগুলি নিজের গায়ে নিয়ে আমাকে আক্রমণাত্বক কমেন্ট করছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেকদিন যাবত আপনার অনেক পোষ্ট নিয়মিত পড়ি, যদিও কোন আইডি না থাকায় কমেন্ট করতে পারি না। আপনার অনেক লেখাই আমাকে মুগ্ধ করে, পড়ে আনন্দ পাই। আপনাকে অনেক বড় আর উদার মনের একজন মানুষ বলেই জানি। কিন্তু আপনার এমন আক্রমণে আমি সত্যিই হতাশ। আমি নতুন একটি আইডি খুলেছি, আর এখন পর্যন্ত সেফ হতে পারি নি, না আমার কোন পোষ্ট রেকর্ড আছে, আর যতদুর জানি আপনি সামুর একজন অতি পুরাতন, আলোচিত সিনিয়র ব্লগার অনেকটা সুপার হিরো পর্যাযের, তাহলে কেন আমি শুধু শুধু আপনাকে এমন কথা বলতে যাব।
যাহোক শেষে আবারও বলছি, আপনাকে উদ্দেশ্য করে আমার এই বক্তব্য দেওয়া নয়, তবুও আমার মন্তব্যে যদি আপনি মনে আঘাত পেয়ে থাকেন তবে ক্ষমা করবেন। আমি নিতান্তই একজন সাদা সিদা, গো-বেচারা টাইপের মানুষ, কারও সাথে-পাছে নেই, দিন আনি দিন খাই টাইপের একজন দিনমজুর। না আছে জ্ঞানের ভান্ডার না আছে টাকা/ক্ষমতা, নিতান্তই টোকাই গোছের একজন অবহেলিত মানুষ।
৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আমাদের সার বলেছিল। মানুষ যখন নিজেকে নিয়ে ভাববে সে নিজেই প্রতিষ্ঠিত হবে। আর যখন অপর ভাইয়ের ভালো করার কথা ভাববে। তখন সমাজে উন্নতি আসবে। সমাজে উন্নতি আসলে দেশ উন্নত হবে
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৩
নয়া পাঠক বলেছেন: কথাটি একদম ঠিক, মামুন ভাই। কিন্তু আমাদের সময় কই অন্যদের জন্য ভাববার, তবুও আমি নিজের জন্য না ভেবে সবসময় চেষ্টা করি অন্যকে সাহায্য করার। যতটুকু আমার এই ক্ষুদ্র হস্তে করা সম্ভব হয়। না আমি কোন মহান হৃদয়ের কেউ নই, না অনেক জ্ঞানী, না অনেক অর্থ-সম্পদ আছে আমার। তবুও অন্যের কষ্ট দেখলে নিজেকে সামলে রাখতে খুব কষ্ট হয়।
৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯
নজসু বলেছেন:
নয়া পাঠককে স্বাগতম।
লেখাটা পাঠ করলাম।
আপনার কাছে প্রত্যাশা বেড়ে গেল।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৫
নয়া পাঠক বলেছেন: হ্যাঁ সুজন ভাই, প্রত্যাশা তো মানুষ মানুষের উপরই করবে। কিন্তু ভাই আমি যে তেমন কেউ নই, এখন অবধি নিজের জন্যই কিছু করতে পারলাম না, তবুও চেষ্টা করে যাই অপরের জন্য কিছু করার। আপনাদের উৎসাহ পেলে আশাকরি ভাল কিছু দেওয়ার ক্ষমতা একটু হলেও বাড়বে। দোয়া করবেন, আর সাথে থাকবেন।
৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকে সুস্বাগতম জানাতে এখানে এলাম! ব্লগে সুস্বাগতম!
এখানে প্রকাশিত আপনার প্রথম পোস্টটা পড়ে গেলাম। আপনার বিনয় প্রশংসাযোগ্য।
২০১০ সাল থেকে আপনি এ ব্লগে পাঠক হিসেবে আছেন। জানিনা আমার কোন লেখা আপনার চোখে পড়েছে কি্না। না পড়ে থাকলে আমার ব্লগপাতা থেকে একবার ঘুরে আসার আমন্ত্রণ রইলো।
এখানে আপনার বিচরণ দীর্ঘস্থায়ী হোক, আনন্দময় ও স্বচ্ছন্দ হোক, নিরাপদ হোক!
হ্যাপী ব্লগিং!
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯
নয়া পাঠক বলেছেন: আপনার সুন্দর, উৎসাহদায়ক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। কিন্তু আমার সম্পর্কে আপনি ভুল ধারণা পোষণ করেছেন। আমি একজন খুব সাধারণ মানুষ, যে জীবনের প্রতিটি পদে অত্যাচারিত, অবহেলিত। যাহোক তবুও চেষ্টা করে যাব আপনাদের মত জ্ঞানী ও সিনিয়রদের ফলো করতে। আর আমি নিয়মিতই আপনার অনেক লেখা পড়েছি। অনেক ব্লগারগনের মত আপনিও আমার একজন অতি প্রিয় লেখক। আমি আপনাদের ফলো করতে চাই। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমার লেখার হাত তেমন একটা নেই, যা বলতে চাই বা বোঝাতে চাই তা লিখে বা বলে বোঝাতে পারি না। তবুও চেষ্টা করে যাব ইনশাআল্লাহ।
৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ওয়াও পাঠক এখন লেখক
শুভ ব্লগিং।
আপনার মত আমিও একই পথের পথিক।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩০
নয়া পাঠক বলেছেন: জ্বী ভাই, চেষ্টা করছি লেখক হওয়ার। দোয়া করবেন,আপনাদের প্রেরণাই আমার পথ চলার উৎসাহ।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনাকে কি সীল মোহর মেরে দেয়া হয়েছে?