নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন সমালোচক,তবে তা সংশোধনরে জন্য। আবার একজন প্রশংসাকারিও বটে, তবে তোষামোদকারি নয়।জানতে চাই অনেক কিছু।হতে চাই কালের সাক্ষী।

মুসাফির নামা

সত্যানুসন্ধানী

মুসাফির নামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজ্ঞান ও নিরীশ্বরবাদ

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫



নিরীশ্বরবাদ বা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বকে অস্বীকার করার ধারণা খুবই প্রাচীন।তবে অষ্টাদশ শতাব্দীতে এসে ইউরোপে দর্শন ও বিজ্ঞানের প্রভাবে একদল ধর্মবিরোধী রাজনীতিক শক্তি নিরীশ্বরবাদের রাজনৈতিক ভিত্তি দাঁড় করান।যার নিচে পিষ্ট হয়েছে গীর্জার উৎপীড়ন।যার কারণে অনেকেই বিচার বিশ্লেষণ না করে গ্রহন করে এর ধারণা এবং সে সাথে নেমে পড়েন এর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে।অনেক ঐতিহাসিকের বর্ণণা মতে,জায়নিষ্টরা তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে একে রাজনীতিতে নিয়ে আসেন।ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে বলতে হয় তাদের রাজনৈতিক মতবাদ যেমন আস্তাখুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে,আবার যে বিজ্ঞানের হাত ধরে তারা পুষ্ট হয়েছে সে বিজ্ঞানের হাত ধরে নাস্তিকতার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেওয়ার আয়োজন চলছে।


দর্শনের ক্ষেত্রে,বিশ্বজগত হচ্ছে বস্তুর সমষ্টি এবং এ জগত অনাদিকাল থেকেই অস্তিত্বশীল বস্তুর বাইরে এ জগতে আর কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই-ডিভেরট ও বেরন ডি হোলবাখ এর মতো দার্শনিকদের এ মতবাদের উপর ভিত্তি করে দাঁড়ায় বস্তুবাদ।পরবর্তীতে,মার্কস,এঙ্গেলস,নিৎসে,দুরখেইম,ফ্রয়েড প্রমুখ বিজ্ঞানের নব নব আবিস্কারকে কাজে লাগিয়ে এর দার্শনিক ও রাজনৈতিক ভিত্তি গড়ে তুলেন।

নিরীশ্বরবাদের পক্ষে সবচে বড় সমর্থনটি আসে চার্লস ডারউইনের পক্ষ থেকে।তিনি সৃষ্টির ধারণা প্রত্যাখান করেন এবং এর বিপরীতে পেশ করেন বিবর্তন তত্ত্ব।তিনি পেশ করলেন, প্রকৃতিতে এমন একটি মেকানিজম আছে যা জড় পদার্থের মধ্যে প্রাণ সঞ্চার করে,তবে তিনি আল্লাহ নয় তিনি হচ্ছে বিবর্তন।ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে এসে তারা দাবী করলেন,এ জগতের কোন লক্ষ্য নেই;এর চমৎকার শৃঙ্খলা এবং ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশের অস্তিত্বের বিষয়টি স্রেফ একটি ঘটনা চক্র মাত্র(অর্থাৎ এর পেছনে কোন জ্ঞানবান স্রষ্টার হাত নেই)। তাদের এই মতবাদকে তারা এত নিঁখুত চিন্তা করলেন যে, এর মাধ্যমে মার্কস বা দুরখেইম ইতিহাস ও সমাজবিজ্ঞানকে এবং ফ্রয়েড মনোবিজ্ঞানকে যথাযথভাবে ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হয়েছেন।তাদের ধারণা ছিল, বিজ্ঞানের আরো নব নব আবিস্কারের মাধ্যমে তাদের মতবাদ আরো দূঢ় হবে।

কিন্তু বাস্তবে ঘটলো এর উল্টো বিশ্বজগতে এক আর্শ্চয জটিল শৃঙ্খলা আবিস্কার করলো বিজ্ঞান,যা এক অকল্পনীয় বিশাল পরিকল্পনা তথা পরিকল্পনাকারীর প্রতি সুষ্পষ্ট ইঙ্গিত প্রদান করে।মনোবিজ্ঞানীরা ধর্মকে স্নায়ুবিক রোগ মনে করতেন; কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল,ধর্মীয় চেতনা মৌলিক মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।যদিও এখনও কোন বিজ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবিগণ নিরীশ্বরবাদ তত্ত্বকে আকড়ে আছেন কিন্তু অত্যাধুনিক গবেষণা থেকে প্রাপ্ত বাস্তব ও গ্রহনযোগ্য উপাত্তসমূহ একজন সৃষ্টিকর্তা তথা আল্লাহর অস্তিত্বের অনিবার্যতাকেই প্রবলভাবে প্রকাশ করছে।জেরান্ড শ্রোয়েডার এর ’দ্যা হিডেন ফেস অব গড’ গ্রন্থের ওপর লেখা এক পর্যালোচনামূলক নিবন্ধে ব্রাইস ক্রিস্টেনসেন লিখেছেনঃ ”গবেষণাগার থেকে ও বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ থেকে প্রাপ্ত তথ্যসমূহ ব্যাখ্যা করতে বস্তুবাদ অক্ষম” । আসুন যেসব ধারণার উপর ভিত্তি করে তারা নিরীশ্বরবাদ দাঁড় করিয়েছেন বিজ্ঞান কিভাবে সেগুলো অপনোদন করছে।



বিশ্বজগত অনাদি ও অনন্ত এ ধারাণার অসারতাঃ



বিগ ব্যাংগ এর তথ্য চিত্র

বিংশ শতাব্দীর নিরীশ্বরবাদের উপর প্রথম আঘাতটি আসে বিজ্ঞানে বিশ্বতত্ত্ব(cosmology)নামক শাখা থেকে।এটি জগতের শুরু নেই,এটি অনাদিকাল থেকে ব্যাপ্ত।বিশ্বজগত যে অনাদি নয়,এক সময় এটি শূন্য থেকে সৃষ্টি হয়েছিল -এ-সত্য জানা যায় ’বিগ ব্যাংগ’ তত্ত্বের আবিস্কারের ফলে।১৯২৯ সালে আমেরিকার জ্যোতির্বিদ এডইন হাবল লক্ষ্য করেন যে, বিশ্বজগতের গ্যালাক্সিগুলো পরস্পর থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে।অর্থাৎ বিশ্বজগত ক্রমশ সম্প্রসারিত হচ্ছে।হাবলের আবিস্কার থেকে তখনই বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছলেন বিশ্বজগত যে একক পয়েন্ট থেকে বা বিন্দু থেকে সৃষ্টি হয়েছে, সেটির মাধ্যাকর্ষণশক্তি ছিল অসীম এবং ভর ছিল শূন্য; আর এই ভরহীন পয়েন্ট এক প্রচন্ড বিস্ফোরণ ফলেই বস্তু ও সময়ই অস্তিত্বলাভ করে এবং সৃষ্টি হয় সম্প্রসারণশীল এ বিশ্বজগতের।অন্যভাবে বললে,এ বিশ্বজগত সৃষ্টি হয়েছে শূণ্য থেকে। বিগ ব্যাংগ তত্ত্ব কিন্তু পরবর্তী কালে বিভিন্ন সুস্পষ্ট বৈজ্ঞানিক আবিস্কারের দ্বারা সত্য প্রমাণিত হতে থাকে।এসব সত্য আবিস্কারের ফলে কোণঠাসা হয়ে পড়ে নাস্তিকরা।প্রসঙ্গ ক্রমে,'Atheistic Humanism' এর লেখক ও University of Reading এর দর্শনের নাস্তিক অধ্যাপক এন্থনি ফ্রিউ-এর আগ্রহ উদ্দিপক স্বীকাররোক্তির কথা এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে।তিনি বলেছেন ঃ স্বীকাররোক্তি আত্মার জন্য ভালো বলে কুখ্যাতি আছে।আমি স্বীকার করছি যে,সৃষ্টিতত্ত সংক্রান্ত সমকালীন সর্বসম্মত মত নাস্তিকদের ভালোরকম বিব্রত করবে।কারণ, বিশ্বজগতে একটি শুরু ছিল-এ-কথাটা St Thomas -এর মতে ফিলোসফিক্যালি প্রমাণ করা সম্ভব না হলেও দেখা যাচ্ছে,সৃষ্টিতত্ত্ব বিদরা এর সপক্ষে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ ঠিকই হাজির করছেন।যদিও আমি এখনও আমার বিশ্বাস সঠিক বলে বিশ্বাস করি,তথাাপি বলতে হচ্ছে যে,বিগ ব্যাংগ তত্ত্বের উপস্থিতি ওই বিশ্বাসের উপর স্থির থাকা মোটেই সহজ ও স্বস্তিদায়ক ব্যাপার নয়।”


বিশ্বজগত এমনি এমনি সৃষ্টি হয়নি;এ তত্ত্বের অসারতাঃ



নিরীশ্বরবাদীরা মনে করত,এ পৃথিবী সব পদার্থ এবং আসমানের সব বস্তু ও গ্রহ নক্ষত্র হঠাৎ করে এমনি এমনি বা দৈবক্রমে (by chance) সৃষ্টি হয়েছে।এমনকি,বিশ্বজগতে আমরা যেসব প্রাকৃতিক নিয়ম কানুন দেখতে পাই, সেগুলো পেছনেও কোন পরিকল্পনা ছিল না, ছিল না কোন পরিকল্পনাকারীর হাত।ওগুলো সৃষ্টি হয়েছে দৈবক্রমে। বিংশ শতাব্দীতে জ্যোতির্বিদ্যার শাখায় আবিস্কৃত বিভিন্ন সত্য এ ধারণাকেও নাটকীয়ভাবে বাতিল করে দিয়েছে।

বিংশশতাব্দীর সত্তরের দশকে এসে বিজ্ঞানীরা স্বীকার করতে শুরু করলেন যে,বিশ্বজগতে যে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিরাজ করছে,তা মানবজীবনের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় এবং এ ভারসাম্য অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে স্থাপন করা হয়েছে।এ ক্ষেত্রে গবেষণা এখনও এগিয়ে চলল এবং একসময় আবিস্কৃত হলোঃ বিশ্বজগতের বিভিন্ন ভৌত, রাসায়নিক ও জীববৈজ্ঞানিক নিয়মসূহ; মাধ্যাকর্ষনশক্তি ও ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিজম ; অনুর গঠনশৈলী ইত্যাদি সবকিছুই এমনভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে যেখানে সৃষ্টি করার উপর মানবজীবনের অস্তিত্ব নির্ভর করে।এ যেন একটি পরিকল্পিত নকশা।প্রাশ্চাজ্যের বিজ্ঞানিরা এ অসাধারণ নকশার নাম দিয়েছেন ’এ্যানথ্রেপিক প্রিন্সিপল’। সোজা কথায় উদ্দেশ্যহীনভাবে নয় বরং মানবজীবনকে মাথায় রেখেই বিশ্বজগতের সবকিছু ডিজাইন করা হয়েছে।

যেমনঃ
*মহাবিস্ফোরণ (big bang) পরমুহুর্তে থেকে বিশ্বজগত সম্প্রসারিত হতে শুরু করেছিল ঠিক সেই গতিতে যেই গতিতে সম্প্রসারিত হওয়া ছিল অত্যাবশ্যকীয়।বিজ্ঞানীরা হিসেব করে দেখেছেন যে,যদি ওই গতিবেগ কোটি কোটি ভাগের একভাগও কমবেশী হত তবে বিশ্বজগত আজকের অবস্থানে কখনও পৌঁছতে পারতো না।অর্থাৎ খুব পরিকল্পিত হিসাবের উপর ভিত্তি করে বিশ্বজগত সৃষ্টি।

*বিশ্বজগতে চারধরনের প্রাকৃতিক শক্তি ক্রীয়াশীল।এগুলো হলঃমাধ্যাকর্ষণ শক্তি ও ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক শক্তি,দুবর্ল পারমাণবিক শক্তি ও শক্তিশালী পারমাণবিক শক্তি। এ শক্তিগুলোর খুবই সামান্য তারতম্য ঘটলেই বিশ্বজগতে রেডিয়েশন বা হাইড্রোজেন গ্যাস ছাড়া আর কিছু থাকতো না।তখন প্রাণের অস্তিত্বও অসম্ভব হয়ে পড়ত।

*বিশ্বজগতের এমন সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বিষয় আছে যা পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্বকে সম্ভব করে তুলেছে।সূর্যের আয়তন এবং পৃথিবী থেকে এর দুরত্বঃ পানির ভৌত ও রাসায়নিক গুনাগুন; সূর্য -রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য; পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে বিভিন্ন গ্যাসের নিখুঁত আনুপাতিক হার; পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্র ইত্যাদি সবকিছু পৃথিবীতে মানুষের জীবনের সহায়ক করে সৃষ্টি করা হয়েছে।

দ্যা সিমবায়োটিক ইউনিভার্স-শীর্ষক গ্রন্থে মার্কিন জ্যোতিবিজ্ঞানী জর্জ গ্রীনস্টেইন বলেছেন; ”জীবনের সঙ্গে পদার্থবিদ্যার সূত্রসমূহের সঙ্গতিপূর্ণ সর্ম্পকের ব্যাপারটি বিশ্লেষণ করলে তাৎক্ষণিকভাবে মনে হয় যে, কিছু অতিপ্রাকৃতিক এজেন্সী (বিশ্বজগত সৃষ্টির পেছনে) ক্রীয়াশীল আছে। এটা কি সম্ভব হয়, ইচ্ছায় নয় বরং হঠাৎ করে আমরা এমন সব বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রমাণের সম্মুখীন হয়েছি। যেগুলো একজন সর্বোচ্চ সত্তার অস্তিত্ব প্রমাণ করে? আমাদের সুবিধার্থে এ বিশ্বজগত অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে সৃষ্টি করেছেন কি তবে আল্লাহ-ই?’’

সংক্ষেপে বললে,উদ্দেশ্যহীন এলোমেলো বিশ্বজগতের ধারণা যা কিনা সম্ভবত নাস্তিকতাবাদের সবচেয়ে শক্তিশালী স্তম্ভ ছিল-ইতিমধ্যে বাতিল হয়ে গেছে।বিজ্ঞানীরা এখন প্রকাশ্যে বস্তুবাদের পতনের কথা বলছেন।আল কোরআনে এই কথাই ব্যক্ত করেছে: ’’আমরা আসমান ও জমিন এবং উভয়ের মাঝখানের কোনকিছুই অকারণে সৃষ্টি করি নাই।অবিশ্বাসীরাই কেবল এই ধারণা পোষণ করে’’ ৩৮ঃ২৭


কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যা এবং দৈব জ্ঞানের অস্তিত্ব আবিস্কারঃ



পরমাণুর তথ্যচিত্র

আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞানের গুরত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে নিয়েছে কোয়ান্টাম পদার্থ বিদ্যা।বস্তুর ক্ষুদ্রতর অংশ নিয়ে কাজ করে কোয়ান্টাম পদার্থ বিদ্যা অর্থাৎ পরমাণু। অবাক করা বিষয় এই পরমাণুর ৯৯.৯৯৯ শতাংশ জায়গাই খালি।বস্তুত পক্ষেই যে অংশটুকু বস্তু তাও বস্তু নয় বলা যায় জমাটবাঁধা শক্তি।আর পরমাণুর ভিতরের এই বস্তুসমূহ বলা যায় সক্রিয়ভাবে কাজ করে।মনে হয়,জন্মগতভাবে ওগুলো একধরণের মন-এর অধিকারী।সহজ করে বললে বলা যায়,বস্তুর অস্তিত্বের পশ্চাতে কাজ করে তথ্য।আর তথ্য তথা জ্ঞান বস্তুজগত অস্তিত্বশীল হবার পূর্ব থেকেই অস্তিত্বশীল ছিল।পদার্থ বিদ্যা ও জীববিদ্যা উভয় বিষয় নিয়েই কাজ করছেন জ্যারান্ড শ্রোয়েডার এবং তিনি তার বিখ্যাত বই ’দ্যা হিডেন ফেইস অব গড’-শীর্ষক বিখ্যাত বইতে উল্লেখ করেছেন”..বস্তুর ভিত্তি হচ্ছে শক্তি এবং বস্তু আসলে জমাটবাঁধা শক্তি-এ সত্য আবিস্কার করতে মানবজাতিকে অপেক্ষা করতে হয়েছে হাজার বছর।অপেক্ষা করতে হয়েছে আইনষ্টাইনের জন্মের।আমরা হয়তো আরও একটু বেশি দেরিতে আবিস্কার করবো যে,শক্তির চেয়ে অধিক মৌলিক কোন অবস্তু-ই শক্তির ভিত্তির রচনা করেছে।” তিনি আরেকটু এগিয়ে গিয়ে তার বইয়ের ২৮ পৃষ্টায় উল্লেখ করেছেন ’’বিজ্ঞান সম্ভবত এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে যাচ্ছে যে, গোটা বিশ্বজগতেই তথ্য, জ্ঞান বা একটি ধারণার বহিঃপ্রকাশ,” তিনি আরো বলেন ”..যেন একটা মেটাফিজিক্যাল সাবস্ট্রেইট ফিজিক্যাল সাবস্ট্রেইটের এর আদলে প্রকাশিত হয়েছে।”

বিজ্ঞানের এ আবিস্কার বস্তুবাদের গোটা প্রাসাদকে ধুলোয় মিশিয়ে দেয় এবং প্রমাণ করে যে আমরা যে-বস্তুজগতকে পর্যবেক্ষণ করছি তা এক অতিপ্রাকৃত পরম সত্ত্বার ছায়া বৈ আর কিছু নয়।আসলে আমরা সম্ভবত বস্তুজগতের সঙ্গে আধ্যাত্মিক জগতের বৈজ্ঞানিক মিলন প্রত্যক্ষ করছি।কুরআনে বলা হয়েছে: ”তোমাদের ইলাহ তো কেবল আল্লাহই, যিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নাই।তাঁহার জ্ঞান সর্ববিষয়ে ব্যাপ্ত।”(কুরআন,২০ঃ২৮)।



বিশ্বজগতের একটি তথ্যচিত্র

কোয়ান্টাম থিয়োরি আমাদের সামনে যেমনি অনেক সত্য নিয়ে এসেছে তেমনি স্ট্রিং থিত্তরি আমাদের সামনে আরো অনেক সত্য প্রমাণ করতে যাচ্ছে। আমরা বস্তুজগতের বস্তুসমূহকে থ্রি ডাইমেনশন দৈর্ঘ্য,প্রস্থ ও উচ্চতা এর মাধ্যমে বিবেচনা করতাম।আইনস্টাইন এর সঙ্গে সময়কে যোগ করে ফোর ডাইমেনশন করলেন।যা আমাদের অনেক জিনিস ব্যাখ্যা দিতে সক্ষম হয়। স্ট্রিং থিয়োরী মতে সুপার ডাইমেন টেন থেকে টুয়ান্টি সিক্স পযর্ন্তু হতে পারে। তার থিয়োরি অনুযারী টেন ডাইমেনশানের কোন সত্ত্বা পরমাণুর ভিতরে অবস্থিত যে বিশাল ফাঁকা জায়গা অর্থাৎ একটি নিশ্চিদ্র দেওয়াল (যা আপাতত দৃষ্টিতে আমাদের কাছে মনে হয়) তার ভিতর দিয়ে অসায়েসে চলতে পারবে।যদিও এখনও থিয়োরিটি প্রমাণিত নয়। যদি এটি প্রমাণিত হয়ে যায় তবে খুব সহজে জ্বীন জাতি এবং ফেরেশতাদের চলাচল অথবা আমাদের মধ্যে তাদের অবস্থান খুব সহজে ব্যাখ্যা করা যাবে।তাদের দেওয়া তত্ত্ব মতো এই মহাবিশ্বের মতো আরো অনেক মহাবিশ্ব থাকতে পারে।যেখানে পরমাণুসমূহ ভিন্ন আচরণ করতে পারে। যদি বিজ্ঞানীরা এটা এখনও প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি তবে তাদেরকে সম্ভবনা দেখাচ্ছে কোরআন।যেখানে আল্লাহ বলেছেন,তিনি যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন।



ডারউইনবাদের পতনঃ



ডারউইন ও তার তত্ত্বের সংক্ষিপ্ত তথ্যচিত্র

নিরীশ্বরবাদীদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র ছিল ডারউইনবাদ।যদিও সেটা ছিল শুধু একটা মতবাদ, প্রমাণিত কোন সত্য নয়।বিজ্ঞান ডারউইনবাদকে আস্তাখুড়ে নিক্ষেপ করেছেন।

*জিবাশ্ম পর্যবেক্ষনঃ-তার পর্যবেক্ষন মতে, পৃথিবীর সব প্রাণী সৃষ্টি হয়েছে একটি একক ও সাধারণ পূর্ব পুরুষ থেকে, দীর্ঘকাল ধরে ছোট ছোট পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে। ডারউইন ধারণা করেছিলেন, ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন ফসিল আবিস্কারের মাধ্যমে তার ধারণা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি লাভ করবে। কিন্তু ঘটেছে উল্টো, ক্রমান্বয়ে পরিবর্তনের মাধ্যমে কোন প্রাণী অন্য প্রাণীতে রুপান্বরিত হলে তাদের মধ্যবর্তী কোন প্রজাতির ফসিল পাওয়া যাওয়া কথা।কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল উল্টো, আবিস্কৃত বিভিন্ন ফসিল বা জীবাশ্ম রের্কড থেকে বরং এটা স্পষ্ট হয়ে উঠল যে, সব প্রজাতি হঠাৎ করে পূর্ণাঙ্গ আকৃতি নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে-বির্বতনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে পূর্নাঙ্গ রুপ পায়নি।

জীববিজ্ঞানের পর্যবেক্ষণঃ ডারউহন কিছু বৈশিষ্ট্য মিলিয়ে যেমন মাছ খেকো ভালুককে তিমিতে রূপান্তরের কথা বললেন।বিজ্ঞান তাকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। বরং বিজ্ঞানের বক্তব্য- প্রাকৃতিক বা কৃত্রিমভাবে কোন প্রজাতির দৈহিক গঠনে খানিকটা পরিবর্তন ঘটা সম্ভব হলেও সে পরিবর্তন কোন অবস্থাতেই নির্দিষ্ট বংশগতির সীমানা অতিক্রম করে না। আজকাল নব্য-ডারউইনবাদীরা মিউটেশন বা জীনগত বিশৃঙ্খলাকে বিবর্তনের মেকানিজম হিসাবে চালিয়ে দিতে চায়। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞান সে-দাবীকেও অগ্রহণযোগ্য বলে রায় দিয়েছেন।

প্রাণের উৎপত্তিঃ একটি নির্দিষ্ট প্রাণ থেকে প্রাণের উৎপত্তি বললেও এই নির্দিষ্ট প্রাণটা সম্পর্কে তার যুক্তিও হাস্যকর।তিনি তার ’লাইফ এন্ড লেটার অব চার্লস ডারউইন’ শীর্ষক গ্রন্থে বলেছেন যে,পৃথিবীতে প্রথম জীবকোষটি কোন একটি ছোট উঞ্চ জলাশয়ে এলোমেলো রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন হয়ে থাকতে পারে।তার এ ধরণের যুক্তির বিপরীত নিরশ্বরবাদী নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী ফ্রেড হোয়েল বলেন ’’একটি টর্নেডোর ধাক্কায় হঠাৎ করে প্রয়োজনীয় উপাদান সমূহ একত্রিত হয়ে একটি বোয়িং তৈরী হয়ে যাবার সম্ভাবনা যতটুকু, আলোচ্য উপায়ে জীবকোষ সৃষ্টির সম্ভাবনাও ঠিক ততটুকু।”

ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইনঃ মানব থেকে প্রাণী ও জীবজগতের সমস্ত বস্তসমূহ এতো অনন্য সাধারণ ডিজাইনে তৈরী হয়েছে যা একজন পরিকল্পনাকারীর ইঙ্গিত বহনকরে।পবিত্র কোরআনে অনেক জায়গা এই কথা বলা হয়েছে, চিন্তাশীলেরা অবশ্য স্রষ্টার সৃষ্টির মধ্যে নির্দশন খুজে পাবেন।


ফ্রয়েডেবাদের পতন ও ধর্মের গ্রহনযোগ্যতা অজর্ন:

ফ্রয়েডের দাবী অনুযারী ধর্মীয় বিশ্বাস একটি মানসিক অসুস্থতা এবং মানবজাতির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ধর্মীয় বিশ্বাস ও একসময় বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
বিগত ২৫ বছরে মনোবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যে গবেষণা হয়েছে তা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ,ধর্ম মানসিক রোগ নয় বরং মানসিক স্বাস্থ্য ও সুখের প্রয়োজনীয় উপাদানগুলোর অন্যতম। গভেষনা দেখা গেছে যে,যারা ধর্মে বিশ্বাস করে এবং ধর্মচর্চা করে; তারা আত্মহত্যা,পানভ্যাস,মাদকাসক্তি.তালাক ও বিষন্নতা প্রভৃতি সমস্যায় অনেক কম ভোগেন এবং এসব সমস্যার ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্তই গ্রহন করেন।

চিকিৎসা বিদ্যার ক্ষেত্রেঃ
অনেক গবেষণায় সুস্পষ্টভাবে এটা ফুটে উঠেছে অপেক্ষাকৃত ধর্ম অনুসারী এবং এর চর্চাকারীরা অন্যদের তুলনায় বেশ কিছু রোগে কম আক্রান্ত হয়। পেট্রিক গ্রাইন বলেছেন:সাম্প্রতিককালের চিকিৎসা বিদ্যা স্পষ্টতেই নিঁখাদ বস্তগত চিকিৎসার বাইরেও যে চিকিৎসা পদ্ধতি থাকতে পারে তা স্বীকার করতে যাচ্ছে ” । কোরআন আল্লাহ পাক বলেন ,”আল্লাহ তথা স্রষ্টার স্মরণেই কেবল অন্তর শান্তি পেতে পারে।”(১০:১৮)


সমাজবিজ্ঞানঃ
নিরীশ্বরবাদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষক কমিউনিজমকে পুরো বিশ্ব দেখেছে। ছয় কোটির উপর মানুষকে তারা হত্যা করেছে।মানুষকে পরিণত করেছে শৃঙ্খলহীন বন্দি। ফলে তারা নিজেরাই নিজেদের হত্যা করেছে। ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে একই পন্থা। হিপ্পিদের পতন ঘটেছে আত্মহত্যার মাধ্যমে।

এ পযর্ন্ত যে সমস্ত তথ্য প্রমাণ তুলে ধরেছি,তাতে এটা স্পষ্ট যে, নিরীশ্বরবাদ নিশ্চিতভাবেই পতনের শেষ প্রান্তে চলে এসেছে।অনেক নিরীশ্বরবাদী এখনও সরাসরি ঈশ্বরকে স্বীকার না করলেও একটি অতিপ্রাকৃতিক সত্ত্বা স্বীকার শুরু করেছে।অন্যভাবে বললে,মানবজাতি স্রষ্টারদিকে মুখ ফিরাচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ ফেরাতে থাকবে। তাই তাদের সাথে রুক্ষ নয় বরং যোক্তিকতার সাথে সত্য তুলে ধরুন। আল্লাহ যদি চাহেন, তবে তারা অবশ্য সত্যের দিক মুখ ফিরাবে।আপনার কাজ দাওয়াত পৌঁছে দেওয়া। সর্বশেষ কোরআনের একটি বাণী দিয়ে শেষ করছি, ”তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর আলো নিভিয়ে দিতে চায়।অবিশ্বাসীরা অপ্রীতিকর মনে করলেও আল্লাহ তাঁর আলোর পূর্ণ উদ্ভাসন ব্যতীত আর কিছু চান না।”(৯ঃ৩২)।

সর্ব বিষয়ে আল্লাহর জ্ঞান পরিব্যাপ্ত;তিনি যেন আমাদের ত্রুটিসমূহ মার্জনা করেন।



কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি, তুর্কি গবেষক হারুন ইয়াহিয়া-এর A Turning point in History:The Fall of Atheism ও এর অনুবাদক আলিমুল হক এর প্রতি এবং সে সকল বিজ্ঞানীদের প্রতি যারা সত্য উদঘাটনে প্রতিনিয়ত কঠোর শ্রম ও মেধা দিয়ে যাচ্ছেন।

ছবিসূত্রঃ-নেট।

মন্তব্য ৮১ টি রেটিং +২৫/-০

মন্তব্য (৮১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

রাজু বলেছেন: তথ্যবহুল সুন্দর একটি পোস্ট, প্রিয়তে রাখলাম.....

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯

মুসাফির নামা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।ভাল থাকবেন।

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০৯

বিজন রয় বলেছেন: অনবদ্য পোস্ট।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১৭

মুসাফির নামা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ বিজন ভাই,ভাল থাকবেন।

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪

প্রামানিক বলেছেন: তথ্যবহুল পোষ্ট, খুব ভাল লাগল। প্রিয়তে নিয়ে নিলাম। নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১

মুসাফির নামা বলেছেন: প্রিয় প্রামানিক ভাই,আপনাকেও হৃদয়ের গহীন থেকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১৫

হাসান নাঈম বলেছেন: ”তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর আলো নিভিয়ে দিতে চায়।অবিশ্বাসীরা অপ্রীতিকর মনে করলেও আল্লাহ তাঁর আলোর পূর্ণ উদ্ভাসন ব্যতীত আর কিছু চান না।”(৯ঃ৩২)। - চিরন্তন সত্য। অপেক্ষা কেবল সময়ের।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫

মুসাফির নামা বলেছেন: আল্লাহ আমাদের ধৈর্য রাখার আর সত্য তুলে ধরার হিম্মত দান করুন। আর রইল নববর্ষের অগ্রীম শুভেচ্ছা।

৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১৯

মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: আপাতত প্রিয়তে। মনোযোগ সহকারে আবার পড়বো। দারুন পোষ্ট।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

মুসাফির নামা বলেছেন: মিরান ভাই,নববর্ষের অগ্রীম শুভেচ্ছা।

৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪

কালনী নদী বলেছেন: আপনাদের লেখা অনেক সময় পাঠক সম্পূর্ন না পড়েই প্রিয়তে নিয়ে রাখছে, সেটা আপনার প্রতি পাঠকের বিশ্বাস আর আপনার বিশ্বস্তের দাবিদার!
সত্যি ভাই অনেক ভাল লাগে আপনার প্রতি সবার এই আন্তরিকতা! আমিও সবার মতন আপনাকে প্রিয়তে নিয়ে রাখলা:)
নববর্ষের শোভেচ্ছা রইল, ভাইটি।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২০

মুসাফির নামা বলেছেন: ভাই, আপনারা সবসময় পাশে থাকেন বলে লেখার অনুপ্রেরণা পাই। আপনাকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা।

৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০০

কায়েশ খান বলেছেন: Like it! Thanks for the post.

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৪

মুসাফির নামা বলেছেন: Dear brother,
Thanks for your comment.

৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৮

Safin বলেছেন: পোস্টটা পড়ে বিজ্ঞান সম্বন্ধে অনেক কিছু জানতে পারলাম! শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ! :D


তবে ডারউিন সম্পর্কিত জীবাশ্ম পর্যবেক্ষন অংশটি আমি দেখেছি অন্য একটি ব্লগের লেখাতে খন্ডন করা হয়েছে।জানিনা তাদের যুক্তিও বা কতটুকু সত্য! খুঁজে পেলে আপনাকে লিংক্টা দিব . . . . :#)

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৯

মুসাফির নামা বলেছেন: জ্বী, অনেক উপকৃত হব।

৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫

বিদ্রোহী চাষী বলেছেন: চমৎ্কার তথ্যবহুল পোস্ট। প্রিয়তে রাখলাম।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

মুসাফির নামা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, সে সাথে নববর্ষের শুভেচ্ছা।

১০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৪

খালি বালতিফারখালি বালতি বলেছেন: মির্জা বাড়ির বউড়া নামে এক বেশরম মাল্টির কারণে বেলের শরবত, শরণার্থী, আখের রস তিনটা নিক ব্যান হয়েছে আমার। তবুও আমি অগ্নিসারথির হয়ে চিকা মারা থামাব না। এখনকার অবস্হা দেখেন

জার্মান প্রবাসেঃ ১৬৪৬
অগ্নি সারথির ব্লগঃ ৩০৭
ইস্টিশন ব্লগঃ ১৯৫
প্রবীর বিধানের ব্লগঃ ৬১
ইতুর ব্লগঃ ৩২

আপনাদের বুঝা উচিত আপনাদের কম ভোট দেয়ার কারণে অন্যরা সুযোগ নিচ্ছে। জার্মান প্রবাসে ওয়েব সাইটটি টাকা দিয়ে ইন্টারনেটে ভোট কিনছে, ওদের প্রতিযোগিতা থেকে বহিঃস্কার করা উচিত। জার্মান প্রবাসে ব্লগ জার্মানীতে একটা চাকচিক্যময় জীবনের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে চলা ব্যবসায়ি এজেন্সি ছাড়া কিছু না। সেখানে অগ্নি সারথি এই ব্লগের শতাব্দির সেরা ব্লগার। সেখানে আমার ভরষা শুধু নিজেদের ব্যাক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট টি যেখানে বন্ধু মাত্র ১০২৪ জন। আর কিছু সহব্লগার।


মাননীয় জুরি বোর্ডের প্রতি আমার আকুল আবেদন, শুধু আমাকে আর ইতুর ব্লগকে বিবেচনা করতে, বাকিরা সব কয়টা ভন্ড। একজন ব্লগার শুধু ব্যাক্তি তথা ইউজার একজন আর একটি ব্লগ হল কয়েক হাজার ব্লগারের সমন্বিত রুপ। আর বিষয়টা যেহেতু যোগ্যতার চেয়ে যোগাযোগের এর সেহেতু আমাকে জয়যুক্ত করা হোউক। একজন ব্লগার কখনোই পুরো একটা ব্লগের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে টিকে থাকতে পারেনা। আশা করি আপনারাও বিষয়টা নিয়ে ভাববেন এবং আমাকে ব্লগে রেসিডেন হিসাবে নিয়োগ দেবেন।

নববর্ষের উৎসবে যাওয়ার আগে পরে আমাকে দুইটা করে ভোট দিয়ে যান, আমি জিতলে সামু জিতবে।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১৪

মুসাফির নামা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, সে সাথে নববর্ষের শুভেচ্ছা।

১১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০৭

চাঁদ সওদাগর০১২৩ বলেছেন: ‌ব্যপক তথ্যবহুল লেখা ।
বেরাদর অনেক কষ্ট করছেন বুঝাই যায় ।
+

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২৬

মুসাফির নামা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, সে সাথে নববর্ষের শুভেচ্ছ।

১২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩৭

চিক্কুর বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট, সাথে সত্য প্রতিষ্ঠায় অনন্য পোস্ট।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১৫

মুসাফির নামা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, সে সাথে নববর্ষের শুভেচ্ছা।

১৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪০

বিজন রয় বলেছেন: নববর্ষের শুভেচ্ছা।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১৫

মুসাফির নামা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, সে সাথে নববর্ষের শুভেচ্ছা।

১৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:২১

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: আপাতত প্রিয়তে! পরে সময় করে পড়ব। ধন্যবাদ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৩৪

মুসাফির নামা বলেছেন: শামীম ভাই,নববর্ষের শুভেচ্ছা।

১৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩২

নিহান ওয়াহিদ বলেছেন: মুক্তমনা বা অন্য সাইট গুলোতে নিরিশ্বরবাদ নিয়ে যেসব লেখা হয় তার বিপরীতে যুক্তিবহুল তথ্যবহুল ঈস্বরবাদীদের লেখা খুবই বিরল। ধন্যবাদ লেখাটি শেয়ার করার জন্য।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪২

মুসাফির নামা বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা।

১৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:৫০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তবে অষ্টাদশ শতাব্দীতে এসে ইউরোপে দর্শন ও বিজ্ঞানের প্রভাবে একদল ধর্মবিরোধী রাজনীতিক শক্তি নিরীশ্বরবাদের রাজনৈতিক ভিত্তি দাঁড় করান।যার নিচে পিষ্ট হয়েছে গীর্জার উৎপীড়ন।যার কারণে অনেকেই বিচার বিশ্লেষণ না করে গ্রহন করে এর ধারণা এবং সে সাথে নেমে পড়েন এর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে।অনেক ঐতিহাসিকের বর্ণণা মতে,জায়নিষ্টরা তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে একে রাজনীতিতে নিয়ে আসেন।

এর কি কোনো রেফারেন্স আছে? এসব রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বদের নাম কি? পোস্টে যখন আরও পড়লাম তখন তো তাদের নাম আসলো না। বরংচ আসলো সমসাময়িক কিছু ফিলোসোফার আর তাত্বিকদের আবিষ্কার। এটা কি একটু পরিস্কার করবেন? অস্টাদশে ল্যাপ্লাসের মতো গনিতবিদ আর নেপোলিয়নের মতো পৃষ্ঠপোষকদের কি সে কাতারে কি ফেলেন?

ধর্মীয় চেতনা মৌলিক মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।যদিও এখনও কোন বিজ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবিগণ নিরীশ্বরবাদ তত্ত্বকে আকড়ে আছেন কিন্তু অত্যাধুনিক গবেষণা থেকে প্রাপ্ত বাস্তব ও গ্রহনযোগ্য উপাত্তসমূহ একজন সৃষ্টিকর্তা তথা আল্লাহর অস্তিত্বের অনিবার্যতাকেই প্রবলভাবে প্রকাশ করছে।

এটার কি কোনো গবেষনামূলক জার্নাল আছে? কারন আমি যতদূর জানি ঈশ্বরের মডেলটা বৈজ্ঞানিক কোনো মডেলেই খাটে না বলে এই ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করে নেয়া বিজ্ঞানের কাছে অর্থহীন। এরকম কি ল্যাবে পরীক্ষার কোনো ডাটা আছে?

আমি স্বীকার করছি যে,সৃষ্টিতত্ত সংক্রান্ত সমকালীন সর্বসম্মত মত নাস্তিকদের ভালোরকম বিব্রত করবে।কারণ, বিশ্বজগতে একটি শুরু ছিল-এ-কথাটা St Thomas -এর মতে ফিলোসফিক্যালি প্রমাণ করা সম্ভব না হলেও দেখা যাচ্ছে,সৃষ্টিতত্ত্ব বিদরা এর সপক্ষে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ ঠিকই হাজির করছেন।

কিন্তু এটা একটা অপ্রমানিত বিষয়। সেভাবে আমরা যদি ডিব্রেন বা ডাইমেশনাল থিওরী বা এম থিওরীর মাত্রা দিয়ে চিন্তা করি তাহলে তো ঈশ্বরের প্রয়োজনীয়তা তো থাকছে না, তাহলে এখন এই তত্বের পরিস্থিতিতে আপনাদের মতো দর্শনাধারীদের কি মত? একটা কথা বলে রাখি, বর্তমানে এলএইচসির টেট্রাকোয়ার্ক নামের কনিকাটি যদি সুপারস্ট্রিং থিওরীর কোনো কনিকা হয় তাহলে কিন্তু ডিব্রেনের দিকে আমাদের চিন্তাভাবনা এগুতে পারে।

জন্মগতভাবে ওগুলো একধরণের মন-এর অধিকারী।সহজ করে বললে বলা যায়,বস্তুর অস্তিত্বের পশ্চাতে কাজ করে তথ্য।আর তথ্য তথা জ্ঞান বস্তুজগত অস্তিত্বশীল হবার পূর্ব থেকেই অস্তিত্বশীল ছিল।

এখানে মনের প্রয়োজনীয়টা কি? যদি আমরা চিন্তা করি মহা বিস্ফোরণের এক প্লাংক সময়ের পর যখন গ্রাভিটি তার প্রাধান্য হলো তখন প্লাজমা স্যুপ বেশ স্বতঃস্ফুর্ত ভাবেই তাদের স্থিরতা বেছে নিয়েছে ধরে চিন্তা করি, তাহলে দেখা যাবে এখন যা হচ্ছে সব তো সেসবের যুক্তি সংগত নিয়তিই! আর যদি সিমবায়োটিক গ্রেট ইন্টালিজেন্স বলে কিছু থাকেই তাহলে এই যে এতসব নিয়ম কানুন তার ব্যাত্যয় ঘটছে না কেন? সেই মহান ইন্টালিজেন্সের একচ্ছত্র ক্ষমতা বজায় রাখতে গেলেও তো তার কিছুটা স্বেচ্ছাচারী হতে হবে, তাহলে সেটাই কি বেশী যুক্তিযুক্ত না? কিন্তু আজ পর্যন্ত যত কিছু ঘটেছে সাব এটমিক লেভেলে কোনোটার তো সেরকম ঐচ্ছিক পরিবর্তন ঘটেনি?

যদি এটি প্রমাণিত হয়ে যায় তবে খুব সহজে জ্বীন জাতি এবং ফেরেশতাদের চলাচল অথবা আমাদের মধ্যে তাদের অবস্থান খুব সহজে ব্যাখ্যা করা যাবে।তাদের দেওয়া তত্ত্ব মতো এই মহাবিশ্বের মতো আরো অনেক মহাবিশ্ব থাকতে পারে।যেখানে পরমাণুসমূহ ভিন্ন আচরণ করতে পারে।

এটা কিভাবে সম্ভব? কারন যখন আপনি তৃতীয় মাত্রার কেউ হয়ে দুই মাত্রার কিছু দেখবেন তখন তো সে বিষয়টা আপনার বোধগম্য বা ইন্দ্রিয়ের নিয়ন্ত্রনে থাকবে না। সেভাবে আপনি যদি পন্ঞ্চম মাত্রার কেউ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি তৃতীয় মাত্রার কোনো কিছু দেখতে যান তাহলে তার স্পর্শ করতে অক্ষম হবেন। কারন আপনার কাছে একটা মানুষকে হবে তার ৮০ বছর জীবনের ঘটনা চোখের পলকে শেষ হয়ে যাবার মতো। তখন আপনাকে এক মাত্রা থেকে আরেক মাত্রায় ভ্রমন করতে হলে আপনার গ্রাভিটি খোয়াতে হবে, যেটা একটা অসম্ভব ব্যাপার। অনেকটা আপনি দৈর্ঘ প্রস্থ উচ্চতার মানুষ হয়ে একটা কাগজের জীবন প্রবাহ দেখতে হলে আপনার উচ্চতা বা দৈর্ঘ্য বা প্রস্থকে ছেটে ফেলতে হবে, যেটা হবে জীবন সংশয়কারী। তেমনি জ্বীন ফেরেশতার মতো জীবনীশক্তি জীব থাকে তাহলে তাদের জীবনটাকে বিসর্জন দিতে হবে। তেমনি আপনি যদি ব্লাক হোলের মাধ্যমে ৪র্থ ডাইমনেশনে যেতে চান আপনাকে স্প্যাগেটিফাই হয়ে যেতে হবে। সোজা কথা জীবন্ত মানুষের ক্ষেত্রে এটা অসম্ভব। এটা হকিং সাহেবই বলে গেছে। এখন আপনি যদি বলেন এগুলো প্রমানিত না, তাহলে বলতে হয় আপনার গুলোও প্রমানিত নয়।

তার এ ধরণের যুক্তির বিপরীত নিরশ্বরবাদী নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী ফ্রেড হোয়েল বলেন ’’একটি টর্নেডোর ধাক্কায় হঠাৎ করে প্রয়োজনীয় উপাদান সমূহ একত্রিত হয়ে একটি বোয়িং তৈরী হয়ে যাবার সম্ভাবনা যতটুকু, আলোচ্য উপায়ে জীবকোষ সৃষ্টির সম্ভাবনাও ঠিক ততটুকু।”

কিন্তু এটাও কি ভুল প্রমানিত হয় নি? কারন কিছুদিন আগেই দুজন ছাত্র ঈস্টের জীবন তৈরীর বেসিক ব্লক তৈরী করে একটা মৃত কোষে জীবনে সন্ঞ্চার করেছে তার কিছু দিন পর ক্রেগ ভেন্টার আবিষ্কার করলেন সর্বনিম্ন ৪৭৩ টি কৃত্রিমভাবে জীন ব্লক দরকার একটা কোষের মধ্যে জীবনের সন্ঞ্চার করতে। আর যে ল্যাব এক্সপেরিম্যান্টের এনভায়রনম্যান্ট ছিলো সব গুলোই কিন্তু একটা গ্রহের প্রাথমিক যে পরিবেশ সেটার ওপর ভিত্তি করেই যার সবচেয়ে বড় প্রমান হলো বজ্রপাতের মাধ্যমে এমাইনো এসিড তৈরীর ঘটনাটা ১৯৫৪ সালের! তাহলে আপনার ধারনা সমূহ কি পুরোনো নয়?

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪০

মুসাফির নামা বলেছেন: প্রথম যে প্যারা বোল্ড করেছেন,সেটা আমার লেখার মূল উদ্দেশ্য ছিলনা।তারপরও আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি,যারা প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা
ডিভেরট ও বেরন ডি হোলবাখ -এই দু'জনের নামতো উল্লেখই করেছি।এছাড়া জন লক,কান্ট,হেগেল,নিৎসে এদের সবার দর্শন বস্তুবাদী।লক এর ধারণা থেকে বর্জুয়ারা ফ্রান্সে,হেগেল ও নিৎসের ধারণা থেকে নাৎসীরা।তবে বস্তুবাদকে একদম খাঁটি উপস্থাপন করে এর রাজনৈতিক ভিত্তি দাঁড় করান মার্কস,যিনি একজন জায়নিস্ট ছিলেন।কয়েকটা উদাহরণ দিব ,আশা করি আপনি অনুধাবন করতে সক্ষম হবেন।বলশেবিক বিপ্লবের প্রথম রাজনৈতিক দপ্তরের সাতজনের পাঁচজনই ছিল ইহুদিঃলেলিন ,তার স্ত্রী ত্রুপস্কায়া ,ট্রটস্কি,সোকোলসিকভ,ঝিনো নেভ।এছাড়া স্ট্যালিনের স্ত্রী ইহুদি ছিলেন।লেলিনের সরকারে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে ৫৩২ জনের মধ্যে ৪২৫ জন ইহুদি ছিলেন,স্ট্যালিনের কেন্দ্রিয় কমিটিতে ৫৯জনের মধ্যে ৫৬ জন ইহুদি ছিলেন(রেফ:secret world government or the hidden hand,Arthur cherep spiridovich,page23,page 33)আরো রেফ. আছে,অযথা কলেবর বৃদ্ধি করি নাই।
২য় প্যারা,God:the evidence,the reconcilliation of fath and reason in a postsecular world,Patrick Glyn(জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির স্কলার)

অনেকগুলো বিষয় আপনি অযথাই উপস্হাপন করেছেন, আর স্রস্টার প্রকৃতি সম্বন্ধে ভালভাবে জানতে আমি আপনাকে কোরআন পুরোটা অনেকবার পড়তে বলব।

১৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



বিশ্ব কখন থেকে কি ফর্মে আছে, ও কত সময় কিভাবে থাকবে, মানুষের পক্ষে তা 'ইমাজিনেশন' করা সম্ভব নয়; যেমন একজন মানুষের পক্ষে ট্রিলিয়ন টনকে টেনে তুলে ওজনটাকে 'অনুভব' সম্ভব নয়; তবে, পৃথিবীর গঠন ও সৌরমন্ডলের গঠন থেকে বুঝা যায় যে, এগুলো কেহ সৃস্টি করতে পারার কথা নয়; বিশ্ব কেন ছিল, কেন থাকবে, এগুলোর উত্তর মানুষের মস্তিস্ক প্রসেস করতে পারবে না; মানুষের শরীর বস্তু থেকেই তৈরি, প্রাকৃতিক কারণে; মানুষ প্রাচীন কাল থেকে যেসব কাহিনী রচনা করেছেন, সেগুলোর সমস্টি ধর্ম। মানুষ আজও প্রতিদিন ধর্মে কিছু কিছু যোগ করছেন, এতে আগের ধর্মগুলো বিলুপ্ত হয়েছে, এখনকার ধর্মগুলো বিলুপ্ত হবে।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫

মুসাফির নামা বলেছেন: একজন অজ্ঞের মত মন্তব্য আপনার কাছে আশা করিনি।

১৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:০৮

নীলপরি বলেছেন: পরিশ্রমী আর তথ্যবহুল পোষ্ট । ভালো লাগলো । ++

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬

মুসাফির নামা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, সে সাথে নববর্ষের শুভেচ্ছা।

১৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



"Atheism " একটা সাময়িক শব্দ; মানুষ ছিল ধার্মিক, এবং ধার্মিক মানুষ আছে; যারা ধর্মকে আর জীবনের অংশ হিসেবে নিচ্ছে না, তারা শিক্ষিত মানুষ, বা ধর্মীয় কোণ থেকে বললে, বলতে হয় "অধার্মিক"। ধর্মকে 'অবিশ্বাস' করার কিছু নেই; যখন মানুষ বুঝতে পারে যে, ধর্ম নেই, তখন সে ধরে নেয় ধর্ম কখনো ছিল না।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮

মুসাফির নামা বলেছেন: একজন অজ্ঞের মত মন্তব্য আপনার কাছে আশা করিনি।

২০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: হতাশা এবং দুঃখের সাথে জানাচ্ছি এটি পদে পদে ভূয়া 'তথ্যসমৃদ্ধ' পোস্ট। প্রায় প্রতিটি লাইনে লাইনেই বৈজ্ঞানিক সত্যকে ইচ্ছে মতোন দুমড়ে-মুচড়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। বড় বড় শব্দ আমদানি করে একটা ধোঁয়াশা তৈরি করা হয়েছে, যার মধ্যে পাঠকের চোখ অন্ধকার করে দেওয়া যায়। এটি যে অসৎ পোস্ট তার একটি প্রমাণ হচ্ছে সূত্র নির্দেশের অভাব। যাঁরা এই বিষয়গুলির উপর সত্য জানতে ইচ্ছুক তাঁরা দয়া করে আন্তর্জালে অনুসন্ধান দিয়ে দেখে নেবেন। হয়তবা জিজ্ঞেস করতে পারেন, আমি বিরুদ্ধে তথ্য-যুক্তি হাজির করছিনা কেন? কারণ, প্রয়োজন নেই, বিবর্তন থেকে বিগ ব্যাং পর্যন্ত প্রতিটি ইসু নিয়েই আন্তর্জালে যথেষ্ট আলোচনা আছে।

আর তার চেয়ে বড় কথা হলো, আস্তিক বা নাস্তিক হওয়া, কিংবা বিশেষ কোনো ধর্মে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের জন্য এত্তোসব জটিল বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব বিশ্লেষণের দরকার হইলে তো 'কাম সারছে'!

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

মুসাফির নামা বলেছেন: আপনাকে বলার কিছু নেই, কারণ বিজ্ঞানের উপর আপনার জ্ঞান শূ্ণ্যের কোটায়, না হয় এগুলোর রেফারেন্স চাইতেন না।১৬ নাম্বার মন্তব্যে যান, যারা রেফারেন্স চেয়েছে দিয়েছি কিনা দেখেন?

২১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১২

হাবিব কবি বলেছেন: আমরা সম্ভবত বস্তুজগতের সঙ্গে আধ্যাত্মিক জগতের বৈজ্ঞানিক মিলন প্রত্যক্ষ করছি।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩

মুসাফির নামা বলেছেন: এট যদি আমরা বুঝতাম, সবই মিটে যেত।নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল।

২২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬

Jahirul Sarker বলেছেন: দারূণ পোস্ট ।নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭

মুসাফির নামা বলেছেন: আপনাকেও নববর্ষের শুভেচ্ছ।

২৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন: অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পোস্ট।


অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০

মুসাফির নামা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ, সে সাথে নববর্ষে শুভেচ্ছা।

২৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২

সামায়েল লিনিথ বলেছেন: বিবর্তনবাদ দেখি ফু মাইরা উড়ায়া দিলেন, আর সাথে কিছু ইহুদী নাছারা বিজ্ঞানীর কোয়ান্টাম, স্ট্রিং, মাল্টিভার্স থিয়োরি মাইরা আলহামদুলিল্লাহ সোবহানাল্লাহ ফিনিশিং দিয়া দিলেন। বাহ বাহ বাহ, দারুন ওয়াশিং ব্রো :D :)

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৫

মুসাফির নামা বলেছেন: কি করব ভাই,ইহুদি হলেও জ্ঞানী, তাদের সম্মান করতে হয়। তাছাড়া ইহুদিদের সাথে আমার কোন দন্ধ নাই, ইহুদিবাদ নিয়ে আমার যথেষ্ট আপত্তি আছে।

২৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৪

অপূর্ব আফজাল বলেছেন: সুলিখিত তথ্যবহুল পোস্ট।
ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭

মুসাফির নামা বলেছেন: আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ, সে সাথে নববর্ষের শুভেচ্ছা।

২৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কেউ কেউ অপ্রমাণেই আত্ম তুষ্ঠি লাভ করে! ;)

আবার কেউ বিশ্বাসেই জীবন উপভোগ করে। :)

কেউ কেউ স্রেফ আমি অন্যের থেকে ভিন্ন ভাবতেই ভাবনার টুইষ্টিংয়ে প্রসাদ অনুভব করে। সে প্রত্যেকের নিজের জীবনবোধে তা করার অধীকার তার আছেই। কিন্তু আলটিমেট গোল চিরন্তন সত্যের পক্ষেই। বিজ্ঞান যদি জ্ঞানের একটি শাথা হয় বিজ্ঞানেরই আরো শাখাকেই তারা এড়িয়ে শুধু বস্তুগত উপাত্তে নির্ভর করতে চায়। সে তাদের সীমাবদ্ধতা। তারা হয়তো দেখে না বা বুঝৈও অস্বীকার করতে চায়- জীবনের মৌলিক অনুভব বেঁচে থাকা, অনুভব, শান্তি সবই কিন্তু অবস্তু! ;)

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০২

মুসাফির নামা বলেছেন: জীবনের মৌলিক অনুভব বেঁচে থাকা, অনুভব, শান্তি সবই কিন্তু অবস্তু!

মন্তব্যে অসংখ্য ধন্যবাদ , সে সাথে নববর্ষের শুভেচ্ছা।

২৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১

নতুন বলেছেন: <<<আবার যে বিজ্ঞানের হাত ধরে তারা পুষ্ট হয়েছে সে বিজ্ঞানের হাত ধরে নাস্তিকতার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেওয়ার আয়োজন চলছে।

হাজার বছর আগে বিজ্ঞানের আলোচনা কমই ছিলো.... কিন্তু ধমের` বিশ্বাস বেশি ছিলো...

এখন বিজ্ঞানের আলোচনা বেড়েছে আর ধমের` উপরে মানুষের বিশ্বাস কমছে কেন????

যেমনঃ
*মহাবিস্ফোরণ (big bang) পরমুহুর্তে থেকে বিশ্বজগত সম্প্রসারিত হতে শুরু করেছিল ঠিক সেই গতিতে যেই গতিতে সম্প্রসারিত হওয়া ছিল অত্যাবশ্যকীয়।বিজ্ঞানীরা হিসেব করে দেখেছেন যে,যদি ওই গতিবেগ কোটি কোটি ভাগের একভাগও কমবেশী হত তবে বিশ্বজগত আজকের অবস্থানে কখনও পৌঁছতে পারতো না।অর্থাৎ খুব পরিকল্পিত হিসাবের উপর ভিত্তি করে বিশ্বজগত সৃষ্টি।


যদি রেসিপিতে যদি মসলা/সময় কমবেশি হয় তবে রান্নার ফলও ভিন্ন হবে... তখন সবাই ঐ রান্না নিয়েই আলোচনা করতো ...

তেমনি যদি মহাবিশ্ব অন্য রকম হইতো আমরা সেই অন্যরকমের মহাবিশ্ব নিয়েই আলোচনা করতাম... << মাহাবিশ্বের কোন স্ট্রান্ডাড মডেল নাই যার সাথে তুলনা করা যায়। তাই বলা যায় না যে এটাই পরিকল্পিত ভাবে তৌরি... এটাও রেন্ডোম ভাবেও হতে পারে।

নিরীশ্বরবাদীদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র ছিল ডারউইনবাদ।যদিও সেটা ছিল শুধু একটা মতবাদ, প্রমাণিত কোন সত্য নয়।বিজ্ঞান ডারউইনবাদকে আস্তাখুড়ে নিক্ষেপ করেছেন। <<< নিচের ভিডিওতে দেখুন.. তিনি শুধু মানুষের ক্ষেত্রে Evolution বেতিক্রম বলছেন কিন্তু বাকি সব প্রানীযে Evolution এর মধ্যদিয়েই এসেছে তাতে দ্বিমতন করেন নাই।

https://www.youtube.com/watch?v=F5fN7s7Ds9I Evolution নিয়ে এই লেকচারটা দেখতে পারেন...
Rana Dajani: Ph.D. in molecular biology, University of Iowa, USA; Associate Professor and former Director of the Center of Sudies at the Hashemite University, Jordan

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৬

মুসাফির নামা বলেছেন: নতুন ভাই, অতীতেও আপনি আমাকে একটা লেখায় ভুগিয়েছেন, কোন সমস্যা নাই,তবে টাইপ করতেই যা সমস্যা। আমি যেটা লেখি সেটা জেনে বুঝেই লেখি, আর আমি যেটা বিশ্বাস করি সেটাই যোক্তিকতার সহিত তুলে ধরি,তবে চাপিয়ে দিই না। তবে আমার একটা সমস্যা আমি বিজ্ঞানের ছাত্র,কিন্তু বিজ্ঞানী নয়। আমি গভেষণাগুলো অধ্যয়ন করার চেষ্টা করি।
আপনি যে ভিডিওটি দেখতে বললেন, এরকম ভিডিও না শুধু আমি অনেক আর্টিকেলও পড়েছি ,সবগুলোই ধারণা। কিন্তু বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে, শারিরিক গঠন নয় যদি আপনি জেনেটেকিলিও কোন প্রাণী বা উদ্ভিদের পরিবর্তন করেন কয়েক প্রজন্ম পরে তা পূর্ব অবস্থায় ফিরে আসবেই।কিছু ডারউইনবাদী প্রফেসর ছাড়া বিজ্ঞানের কাছে এটি মৃত।
বাকী প্রশ্নগুলো অপ্রয়োজনীয় বা শুধু আপনার ধারণা অথবা আপনি রেসিফি পছন্দ করেন এজন্য করেছেন ।
তবে আপনার বানানে অনেক সমস্যা, এই সমস্যা কমবেশি সবারই আছে,আমারও আছে,তবে আপনার একটু বেশিই সমস্যা।

২৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪২

আমিই মিসির আলী বলেছেন: চমৎকার একটা তথ্যবহুল লেখা।
গবেষনা করছেন কয়দিন ধরে?

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২২

মুসাফির নামা বলেছেন: না গভেষণা বলতে যা বুঝা তা করিনি। তবে বই পড়ার প্রচুর অভ্যাস আছে ,সেটা আস্তিক,নাস্তিক,সকল ধর্মের ধর্মীয় গ্রন্থ তবে পাঠ্যপুস্তক ছাড়া।

২৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৭

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: নতুন ভাই, অতীতেও আপনি আমাকে একটা লেখায় ভুগিয়েছেন, কোন সমস্যা নাই,তবে টাইপ করতেই যা সমস্যা।

ঠিক আছে আগামী দিনে আর না ভোগানোরই চেস্টা করবো। :)

কিন্তু বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে, শারিরিক গঠন নয় যদি আপনি জেনেটেকিলিও কোন প্রাণী বা উদ্ভিদের পরিবর্তন করেন কয়েক প্রজন্ম পরে তা পূর্ব অবস্থায় ফিরে আসবেই।
- এই বিষয়ে একটু জানতে আগ্রহী... যদি কস্ট করে রেফারেন্স দিতেন তাহলে শিখতে পারতাম। প্রমান যেহেতু করেছে তাই এবিষয়ে অবশ্যই রেফারেন্স আছে..।

বানান ভুলের বিষয়ে ক্ষমা চাইছি...এটা বিরক্তিকর মানি। বত`মানে কাজের ক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত কাজে বাংলা লেখা হয়না, শুধু ব্লগেই বাংলা টাইপ করা হয়। তাই একটু ভুল হতে পারে। তার জন্য সরি।

তবে আপনারও গভেষণাগুলো << রেসিফি ঠিক করতে হবে..

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:২৮

মুসাফির নামা বলেছেন: আপনি কৃষি ক্ষেত্রে জি এম ফুডের নাম শুনে থাকবেন, এদের বীজ থেকে প্রথমবারের মত ফল হয় না, ফলে কৃষককে আবার নতুন করে বীজ ক্রয় করতে হয়।বুঝার জন্য উদাহরণটা দিলাম।যাকে genetical boundary বলে।

Nature's Destiny:How the laws of biology reveal purpose in the universe,Micheael Denton
Signature in the Cell: DNA and the Evidence for Intelligent Design,Stephen c mayer
Darwin's Black Box: The Biochemical Challenge to Evolution,Michael j behe

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:২৯

মুসাফির নামা বলেছেন: নতুন ভাই, পোস্টের বাইরে যে কথাগেলো বলি ,এগুলো ফান করে বলি। আশা করি,ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

৩০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০৭

বিষাদ সময় বলেছেন: বিজ্ঞান ডারউইনবাদকে আস্তাখুড়ে নিক্ষেপ করেছেন। এ রকম কথা এই প্রথম শুনলাম।আমি যতটুকু জানি ডা্রউইনের বিবর্তনবাদ এখন প্রায় প্রতিষ্ঠিত সত্য।

আমি যতটুকু বুঝি ঈশ্বর আছেন এ কথা যেমন প্রমাণিত নয় তেমনি ঈশ্বর নাই এ কথাও অপ্রমাণিত। ঈশ্বর আছেন বা নাই এটা যার যার বিশ্বাসের ব্যাপার যুক্তি তর্কের না।

আর হুদা হুদি নাস্তিকরা ভ্রান্ত, ভণ্ড এটা প্রমানের চেষ্টাও আমার কাছে বোকামী মনে হয়। কারন নাস্তিকরা আস্তিকদের প্রধান শত্রু না। আস্তিকদের প্রধান শত্রু আস্তিকরা। আজ খৃষ্টান, ইহুদি, হিন্দু মিলে মারছে মুসলমান, আবার মুসলমান মারছে তাদের।সুন্নিরা মারছে শিয়া, কাদিয়নীদের আবার এরা মারছে সুন্নিদের। সে তুলনায় নাস্তিকরা তো অত্যন্ত নিরীহ ধরনের শত্রু তাই না?

আজ যদি অকাট্য ভাবে প্রমানিত হয় নাস্তিকরা ভুল অর্থাৎ সৃষ্টি কর্তা আছেন। তাহলে কি সমস্যার সমাধান হয়ে গেল?
আমার তো মনে হয় বরং আরো প্রকট সমস্যার শুরু হলো। কারণ তখন তো খৃষ্টান, মুসলমান, হিন্দুদের রক্তা রক্তির পরিমাণ চারগুন হয়ে যাবে। জান বাজী রেখে নেমে পড়বে এ সৃষ্টিকর্তা তাদের বলে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। অর্থাৎ কেউ বলবে এই সৃষ্টিকর্তা মানে ঈশ্বর, কেউ বলবে আল্লাহ, কেউ বলবে ভগবান।

তাই বলি কি তর্কাতর্কি বাদ দিয়া বিশ্বাসটা পোক্ত করেন। কারণ বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। ধন্যবাদ।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৫১

মুসাফির নামা বলেছেন: ভাই, আপনি প্রথমেই আপনার অজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন,সেটা আপনার কথায় বুঝা যাচ্ছে।আমি কোথাও কি বলেছি মারামারির কথা,বরং বলেছি আপনার কোন কথা থাকলে রুক্ষ না হয়ে যোক্তিকতার সহিত তুলে ধরুণ।ধর্ম নিয়ে মারামারি ভন্ডামী ছাড়া আর কিছুই নয়।প্রকৃত ধার্মিক শান্তির জন্য কাজ করে।আপনি পুরো পোস্ট না পড়ে মন্তব্য করেছেন। সেখানে নাস্তিকদের ইতিহাস কিছু তুলে ধরেছি।

৩১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তবে বস্তুবাদকে একদম খাঁটি উপস্থাপন করে এর রাজনৈতিক ভিত্তি দাঁড় করান মার্কস,যিনি একজন জায়নিস্ট ছিলেন।

যদি একজন ব্যাক্তি জায়নিস্ট হোন, মানে ইহুদিবাদী তাহলে সে কিভাবে একসাথে বস্তুবাদী হয়? ইহুদী বাদ কি ইহুদী ধর্মে বিশ্বাসীদের থেকে আলাদা?

অনেকগুলো বিষয় আপনি অযথাই উপস্হাপন করেছেন, আর স্রস্টার প্রকৃতি সম্বন্ধে ভালভাবে জানতে আমি আপনাকে কোরআন পুরোটা অনেকবার পড়তে বলব।

তাহলে তো বলতে হয় আমার প্রশ্ন বোঝার মতো জ্ঞান নেই। কারন আপনি বার বার বস্তুবাদকে অসাড় এবং পরাজিত প্রমান করার জন্য কখনো বিগব্যাং, কখনো বিবর্তনবাদের উদ্বৃত নিয়ে নিজেই বলছেন যে এই তত্বগুলো ঈশ্বরের অস্তিত্বকে মেনে নিয়েছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন গুলো ছিলো যদি তাই মেনে নেয় তাহলে এসব থিওরীর জন্মাব্দির পর এগুলোর যে বিয়োজন সংযোজন ঘটেছে তাতে তো কোনো এমন গ্রেট সিম্বায়োটিক বা এনটিটি বেজড গ্রেট থিং স্বেচ্ছাচারিতার কোনো দিক নির্দেশনা করে না, সেটার ব্যাপারেই জানতে চেয়েছিলাম কয়েক পা এগিয়ে। আমার কয়েক পা এগোনোটা হয়তো আপনার এন্টেনাতে ধরেনি।

না ধরতেই পারে, এজন্য আপনাকে দোষ দিয়ে লাভ নাই। কারন এক কোরান হাদিস পড়ে ৭৩ ফেড়কা তৈরী হয়, আবার একই বই পড়ে ক্লাশে সবাই প্রথম হতে পারে না!

আপনার সীমাবদ্ধতা সম্বন্ধে ওয়াকিব হাল হলাম!

আর কোরান পড়ার কথা বলছেন, তাহলে আমার ব্লগে গিয়ে ইসলাম সম্পর্কিত পোস্ট গুলো পড়বেন এবং সেকানে কোরানের আরবীর ব্যাব চ্ছেদ কমেন্টে করেছি সেগুলো দেখে নেবেন!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫২

মুসাফির নামা বলেছেন: প্রিয় উদাসী,
দুঃখিত , মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি করায়।আসলে উত্তর সেদিনই লিখেছি,কিন্তু লেখার পর সাবমিট করতে গিয়ে সামহোয়্যার নোহোয়্যার,তারপর থেকে দেখি সমস্যা। এখন অন্যখানে লিখে উত্তর দিচ্ছি।আসলে বিষয়গুলো নিয়ে দু'একটা কথায় বিতর্ক শেষ হবার নয়,কিন্তু টাইপটা আর কত করা যায়।আশা করি,এই দূর্বলতা ক্ষমা করবেন।

ইহুদি আর ইহুদিবাদ এক নয়, এ বিষয়ে আমার পোস্ট পাবেন।
আমি বলি নি, আপনি কোরআন পড়েন নি,আসলে বারবার কোরআন পড়ার ফলে আমি এমন একজন স্রস্টার সন্ধান পেলাম,যিনি যা ইচ্ছা তা করতে পারেন কিন্তু তিনি আমাদের মহাবিশ্বের জন্য কতগুলো বিধি করে আমাদের আস্বস্থ করেছেন,তারপরও কিছু দৃষ্টান্ত রেখেছেন যেমনঃ কুমারী মাতা মারিয়মের সন্তান জন্মদান, জন্মের পরই সে শিশুর কথা বলা, নবীদের মজিজা পদর্শন ইত্যাদি।
আল্লার বিষয়টা সরাসরি প্রমাণ সম্ভব নয়,নবী-রাসূল এমনকি ফেরেশতারা উনারে দেখছেন, এমন কোন রেফারেন্স নেই।তবে উনার সাথে কথা বলেছেন বেশ কয়েকজন নবী-রাসূল এবং ফেরেশতা।তবে আল্লাহ উনাদের বিশ্বাসের দৃঢ়তার জন্য অনেক নিদর্শন দেখিয়েছেন।আর বিশ্বাসের তাৎপর্যতো ঐখানেই।

৩২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩৭

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: বিবর্তন বাদ তো কবেই বাদ পরেছে ।


হিলবার্ট স্পেস এ যা কিছু হয় তা কোরানের নিয়ম ফলো করে ।


আপনার পোস্ট টি যুক্তিবাদী দের জন্য চপেটাঘাত ।

আপনি লিখে যান ।দুর্দান্ত পোস্ট ।প্রিয়তে ।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৪

মুসাফির নামা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ,ভাল থাকবেন।

৩৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: এই পোস্টটি একটি পুরোনো কৌশল - বিজ্ঞান কারো ধর্মবিশ্বাসই শেষ পর্যন্ত প্রিতিষ্ঠিত করেছে সেটি প্রমাণের জন্য লেখক মহা মহা সব বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার, উদ্ভাবন, তত্ত্বের উল্লেখ করে যেগুলির নাম এবং উপস্থাপনের ভাব-ভঙ্গি দেখে মনে হবে লেখক বিরাট পণ্ডিত আর আমি (মানে পাঠক) এক আকাট মূর্খ। লেখককে প্রশ্ন করতে গেলে আমার মূর্খামী আরও প্রমাণিত হবে। তার চেয়ে বরং লেখককে পণ্ডিত মানাই ভাল; কীই বা করেছে আমার বিশ্বাসের পক্ষেই তো বলেছে। সহজ কথায় হলো 'জল ঘোলা করে, মৎস্য শিকার।'

মজার ব্যাপার হলো এমন অতিবৈজ্ঞানিক নিবন্ধ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান নির্বিশেষে সকলের মধ্যে সকল আমলেই দেখা যাবে। বিজ্ঞান সব সময়েই তাদের নিজ নিজ ধর্মকে নাকি প্রমাণ করে :)

এতো যে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব এরা দেয়, কিন্তু এদেরকে জিজ্ঞেস করে দেখুন তো - যদি কোনো বৈজ্ঞানিক তত্ত্বে এঁর ধর্মবিশ্বাসের বিরুদ্ধে যায় তাহলে ইনি ধর্মবিশ্বাস ত্যাগ করবেন কিনা? যদি ত্যাগ না করেন, তাহলে ধর্মের প্রমাণে 'বৈজ্ঞানিক' ক্যাচালের কী আবশ্যকতা?

৩৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৪

দ্যা আরিফ বলেছেন: "গভেষনা দেখা গেছে যে,যারা ধর্মে বিশ্বাস করে এবং ধর্মচর্চা করে; তারা আত্মহত্যা,পানভ্যাস,মাদকাসক্তি.তালাক ও বিষন্নতা প্রভৃতি সমস্যায় অনেক কম ভোগেন এবং এসব সমস্যার ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্তই গ্রহন করেন"
ধর্মগ্রন্থের আলোকে ধর্মের চর্চা ঠিক কতজন করে থাকেন এই বিষয়টা একটি বড় প্রশ্ন তৈরি করে!আমাদের সমাজে ধর্মে বিশ্বাসী সিংহভাগ লোকেরাই ধর্ম পালন করে ঠিক তবে ধর্মগ্রন্থকে ও গ্রন্থের শিক্ষাকে উপলব্ধি করতে পারে না।ফলে নানান কুসংস্কার ধর্মের নাম করে সমাজে ঢুকে পড়ে।পরবর্তিতে এই কুসংস্কারগুলোকেই নাস্তিকেরা তাদের দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করে।
লেখাটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে তবে কোট করা অংশে আপনি যে বিষয়টি দাবি করেছেন তা রেফারেন্স দিয়ে করলে মনে হয় আরো বেশি ভালো হত।আত্মহত্যা,পানভ্যাস,মাদকাসক্তি.তালাক ও বিষন্নতা -----এই সকল সমস্যার ক্ষেত্রে সঠিক সিন্ধান্ত নেয়ার পিছনে ধর্মীয় বিশ্বাস হয়ত একটি প্রেরনা হতে পারে তবে অবশ্যই অনেক মৌলিক মানবীয় গুনসম্পন্ন নাস্তিক এই সকল সমস্যাকে ধর্মীয় বিশ্বাস ছাড়াই অতিক্রম করতে পারে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১১

মুসাফির নামা বলেছেন: ভাই,আপনার সাথে্ উপরের বিষয়গুলোয় আমি একমত।সমস্যাতো ঐখানেই।
রেফারেন্সের চেয়ে বাস্তব সমাজেই দেখেন।ব্যতিক্রম কিছুতো থাকে,কুপুরিযুগে মূল সাহাবিদের অনেকের চরিত্র ছিল উত্তম।

৩৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৬

দ্যা আরিফ বলেছেন: "গভেষনা দেখা গেছে যে,যারা ধর্মে বিশ্বাস করে এবং ধর্মচর্চা করে; তারা আত্মহত্যা,পানভ্যাস,মাদকাসক্তি.তালাক ও বিষন্নতা প্রভৃতি সমস্যায় অনেক কম ভোগেন এবং এসব সমস্যার ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্তই গ্রহন করেন"
ধর্মগ্রন্থের আলোকে ধর্মের চর্চা ঠিক কতজন করে থাকেন এই বিষয়টা একটি বড় প্রশ্ন তৈরি করে!আমাদের সমাজে ধর্মে বিশ্বাসী সিংহভাগ লোকেরাই ধর্ম পালন করে ঠিক তবে ধর্মগ্রন্থকে ও গ্রন্থের শিক্ষাকে উপলব্ধি করতে পারে না।ফলে নানান কুসংস্কার ধর্মের নাম করে সমাজে ঢুকে পড়ে।পরবর্তিতে এই কুসংস্কারগুলোকেই নাস্তিকেরা তাদের দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করে।
লেখাটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে তবে কোট করা অংশে আপনি যে বিষয়টি দাবি করেছেন তা রেফারেন্স দিয়ে করলে মনে হয় আরো বেশি ভালো হত।আত্মহত্যা,পানভ্যাস,মাদকাসক্তি.তালাক ও বিষন্নতা -----এই সকল সমস্যার ক্ষেত্রে সঠিক সিন্ধান্ত নেয়ার পিছনে ধর্মীয় বিশ্বাস হয়ত একটি প্রেরনা হতে পারে তবে অবশ্যই অনেক মৌলিক মানবীয় গুনসম্পন্ন নাস্তিক এই সকল সমস্যাকে ধর্মীয় বিশ্বাস ছাড়াই অতিক্রম করতে পারে।

৩৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪২

ঐন্দ্রিলা নিশাত বলেছেন: পোস্টটি পড়ে ভাললেগেছে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৬

মুসাফির নামা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ,ভাল থাকবেন।

৩৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আল্লার বিষয়টা সরাসরি প্রমাণ সম্ভব নয়,নবী-রাসূল এমনকি ফেরেশতারা উনারে দেখছেন, এমন কোন রেফারেন্স নেই।তবে উনার সাথে কথা বলেছেন বেশ কয়েকজন নবী-রাসূল এবং ফেরেশতা।তবে আল্লাহ উনাদের বিশ্বাসের দৃঢ়তার জন্য অনেক নিদর্শন দেখিয়েছেন।আর বিশ্বাসের তাৎপর্যতো ঐখানেই।


এইবার মামো লাইনে আসছে। পোস্টে পুরা বিজ্ঞানের সাথে কোরান আর পুরানা আমলের জং ধরা অসাড় দর্শন শাস্ত্র মিক্সিং কইরা যে জগাখিচুড়ী বৈজ্ঞানিক ইসলাম দিয়া ঈশ্বের সিম্বায়োটিক এনটিটি বা ইন্টালিজেন্ট ডিজাইন প্রমান করবার গেছিলাম তার সাথে ডাইমেনশন দিয়া জ্বীনের সাথে ভূত ফ্রীর দিক নির্দেশনা দিলা সবই কমেন্টে আইসা উষ্ঠা খাইলো!

অতীব ইচরেপাকা পুলাপানের তথাকথিত গুভেষনার ফলাফল আর কি!

৩৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঈশ্বর সুধু পৃথিবীর হবেন কেন? ঈশ্বর বা শ্রষ্টা থেকে থাকলে তিনি পৃথিবী সহ সব সৌরজগত, সকল ছায়াপথ, নেবুলা সহ সমগ্র বিশ্বভ্রমান্ডের।
এই বিশাল শক্তির ঈশ্বর বা খোদা সামান্য পৃথিবীর একজন বান্দার বিশ্বাসের জন্য কাঙ্গাল নাকি?

৩৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: লেখক বলেছেন "এছাড়া জন লক, কান্ট, হেগেল, নিৎসে এদের সবার দর্শন বস্তুবাদী। লক এর ধারণা থেকে বর্জুয়ারা ফ্রান্সে,হেগেল ও নিৎসের ধারণা থেকে নাৎসীরা।"

ভাইসাব, আপনি এ জীবনে কোন দর্শনের বই পড়ছেন ? আপনার পোস্টটা তে চোখ বুলালাম, জানিনা কোথা থেকে কপি মারছেন এই সব আজগুবী তথ্যের সমাহার।

"বিজ্ঞান ডারউইনবাদকে আস্তাখুড়ে নিক্ষেপ করেছেন" এই আচানক কথা জীবনে প্রথম শুনলাম । বিজ্ঞানের বিষয়ে আমার চেয়ে অনেক বিজ্ঞ পাঠক এ ব্লগে আছেন, তারাই মন্তব্য করেছেন, করবেন । দর্শন পাঠের সামান্য অভিজ্ঞতা থেকে বলি, আমি নিশ্চিত আপনি এ জীবনে পুরা একপাতাও লক, কান্ট, হেগেল, নিৎসে পড়েন নাই । এদের লেখা একটা বইয়ের নামও আপনি বলতে পারবেন না ।

আর হ্যা, ধর্মটাকে আর পচাঁয়েন না ।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৪

মুসাফির নামা বলেছেন: ভাই,আপনার মন্তব্য বলছে আপনি এদের নামই প্রথম শুনলেন।

৪০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:৩৯

আইএমওয়াচিং বলেছেন: ধর্মরে তো ভচকায়া শেষ করতেছেন ভাইসাপ !

২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৯

মুসাফির নামা বলেছেন: মনে হচ্ছে,গ্রুপ করে মন্তব্য করেছেন শেষ কয়েকজন। তাই একটু দেরী করে উত্তর দিলাম।কোন যোক্তিকতা চাড়াই আপনারা মন্তব্য করেছেন।

৪১| ০৭ ই মে, ২০১৬ ভোর ৪:১২

মহা সমন্বয় বলেছেন: আর এভাবেই সবগুলো ধর্মই বিজ্ঞানের কোলে আশ্রয় নিয়ে বাঁচার শেষ চেষ্টা করতেছে যদিও তারা সফল হবে না কখনও এবং সে পথেই এগিয়ে চলছে বিশ্ব। ;)

০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮

মুসাফির নামা বলেছেন: ভুল বলেছেন,ধর্ম কখনও বিজ্ঞানের কোলে আশ্রয় নেয়নি। তবে বিজ্ঞান অনেক কিছু ব্যাখা করতে সহজ করে দিয়েছে।তবে বিজ্ঞান ধ্রুব নয়,কিন্তু ঐশ্বরিক জ্ঞান মানুষ পরিবর্তন না করলে তা ধ্রুব। ভালো থাকবেন।

৪২| ১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:২২

কুব্বত আলী বলেছেন: যারা কুরআন পড়বে নিজের উন্নতির কথা চিন্তা করে, তারা পথ পাবে আর যারা, বিপরিত হবে তারা পথ পাবেনা, বরং এমন জঘন্য হবে যার মতো আর হয়না, বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম অন্ধ, ও ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান অচল, এই কথাটি সঠিক ভাবে বলা উচিৎ, যেমন বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম সচল, আগেও ছিলো, এখনো আছে, আর ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান অচল, আগেও ছিলো এখনো আছে, ও ভবিষ্যতেও থাকবে,
আর হ্যা এটা শুধু স্রষ্টার মনোনিত ধর্ম ইসলামের ক্ষেত্রে,, মনে রাখতে হবে ধর্ম হলো মানুষের সৃষ্টি হওয়ার পূর্বেই যা চির সত্য, আর বস্তূ বিজ্ঞান হলো, মানুষের জন্মের পর মানুষ যা আবিস্কার করে তা, যা ধংসশীল কারন তা সৃষ্টি বস্তূর দ্বারা সৃজিত,, কিন্তূ ধর্ম এমন এক জিনিষ যার ধংস নেই, জ্ঞানীদের জন্য একটি কথাই যথেষ্ট তা হলোঃ
মানুষকি মনে করে, সে এমনি এমনিই সৃষ্টি হয়েছে ? অর্থাৎ অযথা সৃষ্টি হয়েছে ??? এবার যারা জ্ঞানী তারা ভেবে দেখুক,, ধন্যবাদ লেখককে !!

১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:২৬

মুসাফির নামা বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.