নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন সমালোচক,তবে তা সংশোধনরে জন্য। আবার একজন প্রশংসাকারিও বটে, তবে তোষামোদকারি নয়।জানতে চাই অনেক কিছু।হতে চাই কালের সাক্ষী।

মুসাফির নামা

সত্যানুসন্ধানী

মুসাফির নামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সন্তানের বয়:সন্ধিকালে পিতামাতার করণীয়

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০



সমাজ বদ্ধ মানুষের উন্নত ও কার্যকর পারস্পরিক সম্পর্কবন্ধন সুষ্ঠু ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনের অন্যতম পূর্বশর্ত।এই পারস্পরিক সম্পর্ক সৃষ্টি হয় মূলত পারস্পরিক আন্তঃক্রিয়া থেকে।আপাতত দৃষ্টিতে ’পারস্পরিক সম্পর্ক’ প্রত্যেয়টি মানুষের বাহ্যিক বা দৃশ্যমান কর্মকান্ড হিসাবে হলেও প্রকৃত পক্ষে এর উৎসমূল মানবীয় অভ্যন্তরীন জটিল ও শরীরবৃত্তীয় কার্যক্রম ও এ থেকে সৃষ্টি ’আচরণ’ পক্রিয়া।এই আচরণই পরবর্তীতে পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের সংমিশ্রণে পরিপক্ক রুপ লাভ করে এবং ব্যক্তিত্ব গঠন ও সামাজিক ভূমিকা পালনের মাধ্যমে পরিস্ফুটিত হয়।তবে এই আন্তঃক্রিয়া যদি স্বাভাবিক না হয়ে ক্রটিপূর্ণ হয়,তবে এ ক্ষেত্রে জন্ম নেয় জটিল মানবীয় সমস্যা, যা মানুষের স্বাভাবিক জীবন প্রবাহকে ব্যাহত করে।তাই ব্যক্তি আচরন, ব্যক্তিত্ব, সামাজিক ভূমিকাকে যথাযথ উপলব্দি করণের মাধ্যমে ব্যক্তির সমস্যা সমাধানের : সঠিক নির্দেশনা প্রদানে মানবীয় বৃদ্ধি বিকাশ ও আচরণ সম্পকির্ত জ্ঞান বিশেষ ভাবে প্রয়োজন।একজন মানুষের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিকাশকারীর স্তর যেটাকে আমরা বয়ঃসন্ধিকাল বলি।সাধারণত তেরো/চৌদ্দ থেকে আঠারো বছর এ সময়ে এ স্তরের প্রভাব সবচেয়ে বেশি।তবে শহর ও গ্রামাঞ্চলে পুষ্টির তারতম্যের ধরুণ এ সময় শুরুরও সামান্য তারতম্য দেখা দেয়।এ স্তরে পিটুইটারী ও গোণাড গ্রন্থে সমূহ সক্রিয় হয়ে উঠে।এদের প্রভাবে যে চার ধরণের শারীরিক পরিবর্তন আসে তা যথাঃ
১/ দৈহিক আকৃতিগত পরিবর্তন।
২/ দৈহিক অনুপাতগত পরিবর্তন।
৩/প্রধান প্রধান যৌন বৈশিষ্ট্যের বিকাশ।
৪/গৌণ যৌন বৈশিষ্ট্যের বিকাশ।
স্বাস্থ্য,মনোভাব,আচরণ উপর ব্যপক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।এ সময় দ্বন্ধ, অপূণর্তা, নিরাপক্তাহীনতা,আরও অনেক নেতিবাচক দিক আচরনে প্রকাশ পায়।এই স্তরে ছেলে মেয়েদের মধ্যে আমিত্ববোধের সৃষ্টি হয় এবং পূর্বে অর্জিত ধারণাসমূহ নতুন আঙ্গিকে প্রতিষ্ঠিত হয়।বয়ঃসন্ধিকালে বিকাশধারায় শারীরিক বিপত্তির তুলনায় মানসিক বিপত্তির অধিক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।এজন্য বয়ঃসন্ধিকালকে বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের সর্বোচ্চ পর্যায় বলা হয়।তাই এই স্তরকে বলা যায় একটি ভাঙ্গাগড়ার পর্যায়, যেখানে একটি শিশু হয়ে উঠে একজন পুরুষ অথবা একজন নারী।এ জন্য এই সময়কে "The best of times,the wrost of times" বলা হয়।হঠাৎ এ ধরণের ব্যপক পরিবর্তন অনেককে ব্যপক অন্তর্মুখী আবার অনেককে ব্যাপক বেপরোয়া করে তুলতে পারে।তাই এ সময়ে পিতামাতার ভূমিকা অনেক।তবে বয়ঃসন্ধিকালের এ পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি বিপর্যয়ে পড়ে মেয়েরা।যৌন গ্রন্থিগুলোর প্রভাবে হঠাৎ করে তাদের স্তন ফুলে উঠে এবং নিতম্ব ভারী হতে থাকে।তাদের এই শারীরিক পরিবর্তন অনেককে ব্যাপক অন্তর্মুখী করে তুলে।তাই পিতা মাতা বিশেষ করে মাতার ভূমিকা অপরিসীম।মাতারই উচিৎ নিজ থেকে এগিয়ে গিয়ে তার সাথে বন্ধুর মতো আলাপ করা।এটা খুব স্বাভাবিক শরীরবৃত্তিয় বৃদ্ধি ,অতএব তার লজ্জা বা আতঙ্কের কিছূ নেই।বরং তার মধ্যে ব্যক্তিত্ব বিকাশের লক্ষ্য তার মধ্যে শালীনভাবে চলাফেরা করতে উৎসাহবোধ সৃষ্টি করতে হবে।বলা যায় মায়ের এই নিঃসঙ্কোচ বন্ধুত্বপূর্ণ পরামর্শ তার মধ্যে যতার্থত ব্যক্তিত্ব বিকাশে সহায়তা করবে।তারপর শুরু হবে তার রজঃস্রাব।একটা মেয়ের জীবনে সবচেয়ে ক্রান্তিকালীন মুহুর্ত।হঠাৎ শরীরের ভিতর থেকে এই হলদেটে রক্ত কোন কোন ক্ষেত্রে কিছুটা কালো রক্ত নিগর্ত হওয়া এবং অপ্রত্যাশিতভাবে নিজের কাপড় নষ্ট হয়ে যাওয়া তাকে একেবারে চিন্তায় বিষন্নতায় ফেলে দেয়।শারীরিকভাবে সে এসময় আস্তে আস্তে দুবর্ল হতে থাকে।পরিবারে মা যদি বন্ধত্বপূর্ণ না হয় তাহলে তা শারীরিক এবং মানসিক দুই ধরণের বিপত্তি ঘটাতে পারে।বরং মায়ের অথবা মা না থাকলে পিতা অন্যকোন নিকট আত্মীয় মহিলার মাধ্যমে তার সাথে এ বিষয়ে আগে আলাপ আলোচনা করলে ভাল হয়।এতে তার আড়ষ্টতা দূর হবে এবং রজঃস্রাব শুরু হলেও সে তার থেকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা পেতে পারে।যৌন বৈশিষ্ট্যসমূহ বৃদ্ধির সাথে সাথে তাদের আবেগও ব্যাপক বৃদ্ধি পায়।কিন্তু বন্ধত্বপূর্ণ সম্পকের্র কারনে আপনি যদি তাকে আগেই তার সামনের চ্যালেঞ্জসমূহ সর্ম্পকে অবগত করেন,তার সামনের প্রলোভনসমূহ সম্পর্কে ভয় না দেখিয়ে তাকে কিভাবে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে তা বুঝান,তবে দেখবেন ঐ মেয়েই গড়ে উঠতেছে পরিপূর্ণ বুদ্ধিমতি হয়ে,যে ব্যক্তিত্ব তাকে একটি চমৎকার জীবন দান করবে।ছেলেদের ক্ষেত্রে হঠাৎ অস্বাভাবিক লম্বা যা তখন অনেকটা বেমানান মনে হয়,গলার স্বর পাল্টে যায় এবং হয় একরোখা ডানপিঠে নতুবা একেবারে অন্তমুর্খী স্বভাবের হয়ে পড়ে।এই ধরণের চরিত্রকে যদি জোর করে পরিবর্তন আনতে চান তাহলে হীতে বিপরীত হতে পারে।কিন্তু এই বেপরোয়া মনোভাবের কারনে সে অনেক বিপত্তিমূলক কাজ করে বসতে পারে অথবা একবারে অন্তমূর্খী স্বভাবের জন্য সে ভবিষ্যতে চলার অনুপযোগী হয়ে উঠবে।তার সাথেও বাবা মায়ের বন্ধত্বপূর্ণ আচরণ এবং সে সাথে সময় নিয়ে যুক্তি দিয়ে বুঝাতে হবে।এমন অনেক সময় আসে যখন আপনি ধৈর্য্য হারা হয়ে পড়বেন, কিন্তু মনে রাখবেন তার মধ্যে চলছে ভাঙ্গা আর আবেগের উচ্ছাস।তাই শক্ত হাতে কিছু করার চেষ্টা করবেননা।বাবা মা উভয়কেই ছেলে মেয়ে সবার ক্ষেত্রে এ সময় তাদের নৈতিকতার মাপকাঠি সম্পর্কে সজাগ করতে হবে এবং লোকিকতা যে সকল অসারতা আছে তা বুঝিয়ে দিতে হবে।আশা করি,আপনার ছেলে মেয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক ব্যক্তিত্ব সম্পূর্ণ মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে।আজকের দিনে সন্তান মানুষ করার এই বিষয়টাকেই অনেকে কোন গুরুত্ব দিতে চাচ্ছে না।তারা এতই অর্থনৈতিক চিন্তা মশগুল যে ভুলে যায় সুস্থ সমাজ দৃড় অর্থনীতির বুনিয়াদ।যাহোক এত কিছু বলার পরও কোন লাভ হবে না যদি আপনি নিজের বয়ঃসন্ধিকাল সর্ম্পকে ভাল ধারণা না থাকে এবং আপনার যদি ঐ বৃহৎ মানসিকতা না থাকে যে কিভাবে নিজেদের অবস্তান বজায় রেখে তাদের সাথে বন্ধত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা যায়।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬

বিজন রয় বলেছেন: ভাল লেখা।
++++++

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩১

মুসাফির নামা বলেছেন: কিন্তু অনেক বাবা মায়ের এ বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞানটুকুও নেই। সমস্যাটা এখানেই সবচেয়ে বেশি।

২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫

আমিই মিসির আলী বলেছেন: দরকারী লেখা।
+

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩২

মুসাফির নামা বলেছেন: কিন্তু অনেক বাবা মায়ের এ বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞানটুকুও নেই। সমস্যাটা এখানেই সবচেয়ে বেশি।

৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩৭

সুমন আকরাম বলেছেন: ভাল বলেছেন

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৭

মুসাফির নামা বলেছেন: কিন্তু অনেক বাবা মায়ের এ বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞানটুকুও নেই। সমস্যাটা এখানেই সবচেয়ে বেশি।

৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

আমিই মিসির আলী বলেছেন: কি যে বলেন না!!
অনেক মায়ের এসব জ্ঞান নাই!!
এটা ভাই ভুল ধারনা!! প্রজন্ম এটাই এক নাম্বার না। এর আগেও অনেক প্রজন্ম ছিলো, ভবিষ্যত এ হবে।

মায়ের থেকে ভালো কেউ জানে না বেশি। মা এ সময় ঠিকই পার করছে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

মুসাফির নামা বলেছেন: জানে বটে কিন্তু সেটা পর্যাপ্ত নয়, আর আধুনিক জ্ঞান সমৃদ্ধ না।

৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৬

প্রামানিক বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ণ লেখা। ধন্যবাদ আপনাকে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২১

মুসাফির নামা বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রামানিক ভাই।আপনার সরল ভাষার ছড়াগুলো আমাকে মুগ্ধ করেছে।

৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১০

আরজু পনি বলেছেন:
গুরুত্বপূর্ণ ভাবনা শেয়ার করেছেন ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো লাগা রইল।

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:২১

মুসাফির নামা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৩৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ লেখা +++++

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০৬

মুসাফির নামা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২২

বিদ্রোহী চাষী বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট।

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:০১

মুসাফির নামা বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.