![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমাদের মাঝে খুজিয়া ফিরি আমার বিশ্বলোক; নরকে গেলেও হাসিয়া বলিব আমি তোমাদেরই লোক।
আজ বিশ্ব নারী দিবস।
বাতাসে প্রতিশ্রুতির গুঞ্জন,
মঞ্চে আলোর বন্যা,
স্লোগানের গর্জনে মুখরিত শহর।
নারীর ক্ষমতায়ন, অধিকার, স্বাধীনতার মহোৎসব—
তবে সে কাদের জন্য?
আছিয়া, তোমার জন্য কি এক ফোঁটা আলো আছে এই উৎসবে?
তোমার নিথর শরীরে কি ছুঁয়ে যাবে এই দিবসের উষ্ণতা?
তোমার ক্ষত-বিক্ষত দেহ কি অনুভব করবে নারীর মর্যাদার অহংকার?
আজ তুমি শুয়ে আছো—
শ্বাসের সাথে যুদ্ধ,
জীবনের শেষ সীমানায় দাঁড়িয়ে,
তোমার শিশুরক্তে রঞ্জিত এক অভিশপ্ত পৃথিবীর বুকে।
তুমি জানলে না স্বাধীনতা কাকে বলে,
তুমি বোঝার আগেই তোমার দেহ ছিঁড়ে খেয়েছে হিংস্র জানোয়ারের থাবা।
শুধু কি সে একা?
না, দরজার ওপাশে দাঁড়িয়ে ছিল
আরেকজন,
যে রক্তের বন্ধনে তোমার আপন,
যে রক্তের দায়ে আজ অভিশপ্ত।
তুমি জানো, আছিয়া,
আজকের এই দিন তোমার জন্য নয়।
এই ফুল, এই সেমিনার, এই বক্তৃতা,
কাউকে বাঁচায় না।
এই সমাজ শোক জানায়, কিন্তু প্রতিরোধ করে না।
এই সভ্যতা কাঁদে, কিন্তু প্রতিশোধ নেয় না।
এই পৃথিবী কিছুদিন নড়েচড়ে বসে,
তারপর তোমার নামটুকু মুছে ফেলে
নতুন কোনো লাশের অপেক্ষায়।
আছিয়া, তুমি কি শুনতে পাচ্ছো?
তোমার কান্নার প্রতিধ্বনি পাহাড়ের মতো ভারী হয়ে
এই বাতাসে ছড়িয়ে গেছে।
তুমি কি টের পাচ্ছো?
তোমার শ্বাসের সঙ্গে লড়াই করতে করতে
তুমি আমাদের বিবেকের ফাঁপা দেয়ালে আঘাত করছো।
কিন্তু এই দেয়াল এত শক্ত যে,
তোমার আর্তনাদও একে ফাটাতে পারবে না।
আজ বিশ্ব নারী দিবস।
এই উৎসবের প্রতিটি আলো, প্রতিটি শব্দ,
তোমার রক্তে ধুয়ে দাও,
এই প্রতিশ্রুতির প্রতিটি অক্ষরকে নরকের আগুনে পুড়িয়ে দাও।
যতদিন না আছিয়ারা নিরাপদ হয়,
যতদিন না সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রতিশোধের আগুন জ্বলে,
ততদিন নারী দিবস এক ব্যঙ্গ,
এক ভয়াবহ মিথ্যে।
১১ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪
মুনতাসির রাসেল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই!
২| ১১ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:০৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর কবিতা
ধর্ষকের বিচার হউক মৃত্যুদন্ড
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো কবিতা।