নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মালয়শিয়াতে যাওয়া হয়নি আগে। কাছের দেশ বলেই হয়তো কারণ। কিন্তু মালয়শিয়া না যাওয়া হলে হয়তো বুঝতেই পারতাম না দেশটা কত উন্নত। শুধু পত্রপত্রিকায় আমাদের শ্রমিক এবং শ্রমবাজার জাতীয় সংবাদই জানা হয়েছে। গেল ১৫ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত লাংকাউই থেকে কুয়ালালামপুর পর্যন্ত উল্টর উল্টর পূর্বাঞ্চল ধরে, সমুদ্রের পাশের এলাকা ধরে এগিয়ে যেতে যেতে শুধু এটাই মনে হলে এশিয়ার সর্বনি¤œ জীবনযাত্রার মান মনে হয় বাংলাদেশ এবং এর পাশের দেশগুলো। নিছক সাইকেল চালাতে যাওয়া। আর সাইকেল বলেই হয়তো এতটা গভীর ভাবে দেশটার খুবই অল্প কিছু অংশ গভীর ভাবে দেখতে পাওয়া গেছে। অতিক্রান্ত এলাকাগুলো বানিজ্যিক ভাবে জাকজমকপূর্ন ছিল না। কিন্তু তারপরেও তাদের রাস্তাঘাট, দোকানপাঠ, মানুষের থাকার জায়গা, সবকিছু মিলিয়ে ব্যপারটা বেশ দারুন লাগার। চট করে দেখতে আমেরিকার মতন মনে হতে পারে মূলত পতাকার জন্যে। মালয়শিয়া আর আমেরিকার পতাকা দেখতে কাছাকাছি এবং দুই দেশেই পতাকার ব্যপক ব্যবহার।
আরেকটা বিষয় না বললেই নয়, বাংলাদেশের পতাকাটা কেউ চিনলই না। যারা হাকডাক দিয়েছেন পতাকা দেখে তারা সবাই বাংলাদেশি। এর কারণটা যে কি বুজলাম। গুগলে দেখা গেল প্রায় ১০ লাখের বেশি বাংলাদেশি ওখানে থাকেন কিন্তু তারপরেও সে হিসেবে বেশ বড় একটি জনসংখ্যার। তাই অবাকই হতে হয়।
মালয়শিয়া বেশ সস্তা। থাকা, খাওয়ার মান অনুযায়ি অনেকাংশে বাংলাদেশের থেকে কম খরচ। শুধু একটা ব্যপারে বাংলাদেশের কাছাকাছি, এর টয়লেটগুলো বেশ নোংরা। আমি রাস্তার পাশের হোটেল বা খাওয়ার জায়গার কথা বলছি।
আমরা যে ঠিক কোথায় এগিয়ে গেছি বা যাচ্ছি তাই ভাবছি। উন্নয়ন যে ঠিক কোথায় হলো সেটাই খুজতে হচ্ছে এখন।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৭
মুনতাসির বলেছেন: ব্যাপারটা মন খারাপ করা। কিসে যে আমরা ঠিক হব কে জানে!
২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: ১৭ বছর আগে মালোশিয়া গিয়েছিলাম।
দারুন শহর। চীনারা মালোশিয়ার দুটা এলাকা অই এলাকায় গেলেই দেখতাম চীনা বাগানে কাজ করছে।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮
মুনতাসির বলেছেন: জী আমরা ছোট কিছু চীনা শহরে ছিলাম। ছিমছাম। অলস দুপুরে জানালার পাশে বসে থাকা হইয়েছে। প্রচুর বাংলাদেশি কাজ করেন ।
৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭
আমি সাজিদ বলেছেন: ছবি আপুর মন্তব্য যথার্থই। আমরা নিজেদের চারপাশ পরিষ্কার রাখতে চাই না। ডেঙ্গুর জন্য সামাজিক সচেতনতাই যথেষ্ট ছিল। অথচ আমরা সচেতন নই।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০
মুনতাসির বলেছেন: আমরা পরিবার থেকে কিছু শিখিনা। স্কুল কিংবা ধর্মীয় উপাসনালয় এ আমাদের কিছুই শেখান হয়না। এই দীনতা আমাদের পরম্পরা।
৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:১০
আমি সাজিদ বলেছেন: বাংলাদেশের কত বছর লাগবে মালয়েশিয়াকে ছুঁতে? মানে উন্নয়নের হিসাবে আর কি।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:১৩
মুনতাসির বলেছেন: ভাল বলেছেন। এর উত্তর আমার জানা নাই। তবে যদি সত্যি করে বলি, আমরা অনেক অনেক যুগ পিছিয়ে আছি। পুরো সময়টাই যেহেতু রাস্তায় তাই অনেক কিছুর মতন চোখে পরে মানুষের ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলার প্রবণতা। কোন পুলিশ নাই। খুব ভর, তাও লাইন দিয়া লাল বাতিটিতে দাঁড়িয়ে যাবে গারিগুলো। বিল্ডিং করা যায়, রাস্তা বানান যাবে কিন্তু চরিত্র বদলের জন্য যা লাগে সেটা হইত আমাদের একদম এ নাই। এটা মন খারাপ করে।
৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:৪১
জনারণ্যে একজন বলেছেন: @ মুনতাসির, আপনার জীবনাচরণ নিয়ে আমি কিঞ্চিৎ ঈর্ষান্বিত। এরকম এক বোহেমিয়ান জীবন-যাপনের স্বপ্ন ছিল একসময়, কিন্তু জানেনই তো এক জীবনে কিছু পেতে হলে অন্যদিকে কিছু ছাড় দিতেই হয়।
যাই হোক, ভালো থাকবেন আর পরবর্তী ভ্রমণের প্রতি শুভেচ্ছা। আমার মতন কিছু কুপমণ্ডুকের অপ্রাপ্তি আপনাদের মতন কিছু মানুষের দ্বারাই পরিপূর্ণ হোক।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:২২
মুনতাসির বলেছেন: একদম তাই, ঠিক সেকারণে ওখানে যাইনি পড়তে। জানি আটকে যাবো। সবাই কেই দিতে হয় বা হয়ছে। অনেক ছোট থেকে যেহেতু কিছু হতে চাইনি তাই হইত এখন তার কিছুটা সুফল পাচ্ছি। এটা ঠিক সুফল ও হয়ত না। যদি আমার ভাই বোন দের দেখি বা বন্ধুদের। তাঁরা কোথায় আর আমি কোথায়। আফসোস মনে হতে পারে, হয় ও মাঝে মাঝে। কিন্তু আমাকে আমার মতন করে বড়ো হতে দেয়ার জন্য আমার পরিবারের থেকে বড়ো কারো অবদান নাই। আমি ঠিক আমি হতে পেরেছি। এটা শান্তির।
ভ্রমণ সুন্দর কিন্তু বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণ কঠিন এবং ভীষণ খরচের। সব কিছু ছেড়ে দিতে পারার মতন না বলে হয়ত নিজেকে বোহেমিয়ান মানতে পারি না এখনো।
তবে দেখতে চাই ধরণি, মানুষ আর নিতে চাই অসম্ভব সুন্দর কিছু স্মৃতি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৫২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমাদের দেশ আমাদের স্বার্থপরতার জন্য উন্নত, পরিচ্ছন্ন হবে না কখনো। আমাদের দেশের জনগণ ফুটপাতে বইয়া মুতে। সেই ফুটপাতে কত কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে। কী সুন্দর ঝকঝকে ফুটপাতটাকে তারা মুত্রখানা হিসেবে ব্যবহার করে। সিগারেট খায় মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে, সরে যেতে বললে সরে না.. রাজপথ দেখিয়ে বলে অইদিক দিয়া যান। ফুটপাতে হাজার হাজার দোকান। চিপসের প্যাকেট সিগারেটের প্যাকেট , ছেব, কাশ , হেগে মুতে রাস্তাঘাটের যে বেহাল দশা করতাছে। এখানে সুন্দর পরিচ্ছন্ন উন্নয়ন করার চিন্তা বাদ।