নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নগণ্য একজন মানুষ। পছন্দ করি গল্পের বই পড়তে, রান্না করতে। খুব ইচ্ছে করে ঘুরে বেড়াতে। ইচ্ছে আছে সারা বাংলাদেশ চষে বেড়ানোর।
আমি রাগী ছোট বেলা থেকেই তবে জেদী ছিলাম না। রাগ বেশি থাকলেও মায়ের শাসন প্রচন্ড ভয় পেতাম। বিয়ের পর রাগের সাথে সাথে জেদও বেড়েছে, নতুন সংযোজন হয়েছে বিধ্বংসী আচরণ! কোন কিছু ভাংচুর করে ফেলি রাগের মাথায়। জাবেরের সাথে বিয়ের পর বিয়ের আগের জীবন যাপন, চাওয়া পাওয়া আর পরের জীবনের সাথে ফারাক হয়ে যায় অনেক। মানিয়ে নিতে নিতে বুঝতে পারি আমার চাইতে বেশি গুরুত্ব ওর ভাই -বোনের, ভাতিজা ভাতিজির। আমার মতে ও ব্যালেন্স করতে জানে না ফলে এক দিকে ঝুঁকে যায়। বিয়ের পরপর প্রেশার ছিল বাচ্চার। ঘর আলো করে একসাথে দুজন এলেও আমার জীবনটা থেকে আলো কমে যেতে থাকে। সারা রাত একটু পর পর উঠে বাচ্চাদের খাওয়ানো, দিনেও একই রুটিনের ফলে নিজের বলে কোন সময় থাকেনা। রিল্যাক্স জিনিসটা জীবন থেকে কমতে থাক আস্তে আস্তে। জাবেরের একটা কাজকে খুব কৃতজ্ঞতার সাথে স্বীকার করি আমি তা হল একটু বড় হলে বাচ্চাদের রাতের দুধ ও বানিয়ে খাওয়াতো, আমাকে জাগতে দিতো না।
আমি জানি ওর উপরেও অনেক ধকল যায়, সপ্তাহে ৫দিন ক্লাস বাকী দুই দিন মার্শাল আর্টের ক্লাব নিয়ে ব্যস্ত থাকে ও। ছুটির সকালে যেখানে মানুষ দেরি করে ঘুম থেকে ওঠে সেখানে ও আলো ফোটার আগে বাসা থেকে বের হয় আর সন্ধ্যায় বাসায় ফেরে। তবে আমি বিরক্ত ওর ওপরে কারন এত ব্যস্ততার মাঝেও বন্ধুর সাথে রিল্যাক্সের সময় ঠিক বের করে ফেলে। যদিওবা মাসে দুইমাসে আমাকে নিয়ে বের হয় তখন ওর চেহারার দিকে তাকানো যায় না বিরক্তিতে, রাগে। রাজ্যের ক্লান্তি ভর করে ওর ওপর!
বাসায় ফেরার পথেই পেস্ট্রি শপ পরে আমাকে একদিন ফোন করেও ত বলতে পারে চলে এসো আধাঘন্টা সময় কাটিয়ে যাই যেমনটা করতো বিয়ের পর পর! প্রতিটা শুক্র শনিবার অন্তত একদিন এত ব্যস্ততার মাঝেও সময় দিতো আমাকে। এত দ্রুতই শেষ হয়েগেল দিনগুলো।
সব কিছুর পেছনে কখনো কখনো বাচ্চাদের দায়ী মনে হয়। দুপুরগুলো খুব ক্লান্তিকর হয়। ওদের সব চাওয়া পূরণ করে যখন নিজে বিশ্রাম নিতে যাই তখনি ওদের ঘুম ভেংগে যায়। আমি মা, তবে বলতে দ্বিধা হচ্ছে না যে ওদের কান্না অনেক সময়ই বিরক্তিকর লাগে, মনে হয় পা ধরে তুলে আছাড় মারি, গলা টিপে মেরে ফেলতে পারতাম যদি……!! জীবনটা খুব একঘেয়ে, ছোট্ট কিন্তু বিরতিহীন এক ছকে আটকা পড়ে গেছে। মাসে একটা দিন একটু ভিন্নতা চাওয়া কি খুব অন্যায়? পাই না তা।
কষ্টগুলো জমতে জমতে আগ্নেয়গিরি হয়ে গেছে, যখন অগ্ন্যুতপাত ঘটে তখন নিজেকেই নিজের ভয় হয়। আত্যহত্যা আমার ধর্মে নিষেধ ফলে সেই চিন্তা করতে পারি না। জীবন থেকে কেবল পালিয়ে যেতে মন চায়। কোথায় গেলে একটু শান্তি পাবো, স্বস্তি পাবো…?
মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে এমন প্রখ্যাত এক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে অনলাইনে একটা টেস্ট দিয়েছিলাম 'ডিপ্রেশন, এংজাইটি এবং স্ট্রেস'এর। প্রতিটির ফলাফল এসেছে 'সিভিয়ার' লেভেলের! কেন বলুনতো? পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের সময় তো পার হয়ে গেছে বাচ্চারা প্রায় দুই বছর হতে যাচ্ছে এখনো কেন তবে বাচ্চাদের অসহ্য লাগে, ওদের বাবাকে দায়ী মনে হয়। আমি বের হয়ে আসতে চাই এই অসুস্থ জীবন থেকে……।
কথাগুলো এক মনোবিদের সামনে বসে বলছিলো সুখী। অঝোর ধারায় বইছিলো চোখের পানি। সকল সমস্যায় ওর রাগ, জেদের দোষ দেয় সবাই; স্বামী, মা-বাবা সবাই। কিন্তু ওর মতে পারিপার্শ্বিক আরো অনেক কিছুই দায়ী তবে ওর নিজের দোষ যেটুকু তা শোধরাতে মনে হয়েছে একজন প্রফেশনালের সাহায্য দরকার তাই আজ এখানে।
**********
সমাজে কত শত সুখী আছে যাদের এইজায়গায় এমন কারো সামনে বসে কাঁদার সুযোগটুকুও নেই, ক'জনার খবর রাখতে পারি আমরা!
সুখীরা বাস্তবিকই সুখী হোক তা কি আমরা মন থেকেই চাই ? মনোবিদের কাছে গেছে বলে 'পাগল' ঠাওরে সুখীদের জীবন আরো অসুখে ভরিয়ে ফেলছি নাতো?
পেটে খাবার, গায়ে সাবান লোশনের মত মনেরও যে পরিচর্যার দরকার তা আমাদের সারা জীবনেও হয়ত একটি বারের জন্যেও মনে হয় না!
১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৫০
নীল-দর্পণ বলেছেন: ঠিক বলেছো আপু কথাগুলো। আমার এক ফ্রেন্ড একবার বলেছিলো "আমি নিজের জন্যে বাঁচি, আগে আমার ভালোলাগা তার পরে বাচ্চা" (তখন আমার বিয়ে হয়নি) ওর কথা গুলো তখন খুব স্বার্থপরের মত মনে হয়েছিল কিন্তু নিজের বিয়ের পর, মা হবার পর বুঝলাম সত্যিই মা'দের, গৃহিনীদের ভালোলাগার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। অমুকের ভালোই আমার ভালো, তমুকের সুখই আমার সুখ - এসব হচ্ছে সকল অসুখের মূল মন্ত্র।
২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মনোবিদদের কাছে গেলেই যারা পাগল ভাবে তারা নিজেরাই আসলে গোমূর্খ, পাগল। স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট যে একটা বাস্তবসম্মত বিষয় এটা আমাদের দেশের অনেক তথাকথিত শিক্ষিত লোকজনও জানে না। এদেরকে মানব না বলে গাধা-মানব বলা উচিত। সুখীকে বলেন আমার সাথে যোগাযোগ করতে। এমন সাজেশান দিব যে একজন সত্যিকারের সুখী মানুষে পরিনত হবে।
তারপর........আপনার রাজকন্যাদ্বয় কেমন আছে? কতো বড় হলেন উনারা? সমস্যা না হলে একটা লেটেস্ট ছবি দিয়েন ব্লগে। দেখে চোখ জুড়াই!!
১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১০
নীল-দর্পণ বলেছেন: আমার এক সময়ের কলিগ, খুব কাছের একজন উনার বিবাহিত জীবনে সমস্যা হচ্ছিলো যদিওবা ১০বছরের প্রেমের বিয়ে। উনি কাউন্সেলিং নিতে চাইলে বাবার বাড়ীর দিক থেকে নিতে নিষেধ করেছিল 'পাগল' ঠাওরে কাজগে কলমে প্রমান করবে শ্বশুর বাড়ীর লোক এই ভেবে। আমি ওনার কাউন্সেলিং নেওয়ার পক্ষে খুব বুঝিয়েছিলাম এবং নিজেও এর প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরে নিয়েছিলেন। তখনকার অবস্থা ভালো হলেও দুঃখজনক যে সম্পর্কটা খারাপই আছে এখনো!
রাজকন্যাদ্বয় আছে আলহামদুলিল্লাহ। আলু, পেঁয়াজ, রসুন সারা ঘর বুনেন প্রতিদিন !
৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২১
মিরোরডডল বলেছেন:
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সুখীকে বলেন আমার সাথে যোগাযোগ করতে। এমন সাজেশান দিব যে একজন সত্যিকারের সুখী মানুষে পরিনত হবে।
নীলাপু, প্রব্লেম সল্ভড
১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১১
নীল-দর্পণ বলেছেন: বলে দিয়েছি সুখীকে ভুয়া মফিজ ভাইয়ার সাথে সত্বর যোগাযোগ করতে।
৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৪
মিরোরডডল বলেছেন:
তখন ওর চেহারার দিকে তাকানো যায় না বিরক্তিতে, রাগে। রাজ্যের ক্লান্তি ভর করে ওর ওপর!
এই অভিযোগটা আমি আগেও শুনেছি কয়েকজনের কাছে ।
যদিও বা মাঝে মধ্যে কখনও বাইরে যায়, এমন করে রাখবে মুখটা যেন দায়বদ্ধতা থেকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে যেতে হচ্ছে বলে যাওয়া।
এমন করলে সেটাতে কি আর আনন্দ ভালোলাগা থাকে । আজব !
মনে হয় পা ধরে তুলে আছাড় মারি, গলা টিপে মেরে ফেলতে পারতাম যদি
এটা অবশ্যই মনের কথা না। মানসিক চাপ থেকে এমন হয় ।
পরিবারের সবার সহযোগিতা আর সাপোর্ট থাকলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব ।
তখন মনে হবে না যে একা একা সকল প্রেশার নিচ্ছে ।
মাসে একটা দিন একটু ভিন্নতা চাওয়া কি খুব অন্যায়?
অন্যায়তো নাই বরং এটা মাস্ট ।
সংসার, বাচ্চা, দায়িত্ব এগুলো থাকবেই, তারমানে এই না নিজেকে বিসর্জন দিয়ে ।
সবার আগে নিজের প্রতি কেয়ারিং হতে হবে । নিজের শরীর ও মনের সুস্থতা এবং ভালোলাগা প্রিয়োরিটি ।
একজন মানুষ যখন নিজে হ্যাপি থাকবে তখন সব কাজ সে আনন্দের সাথে করবে, ভালোলাগা থেকে করবে ।
কোথায় গেলে একটু শান্তি পাবো, স্বস্তি পাবো…?
নিজের আপন ভুবনে ।
কিছুটা সময় রেগুলার সেখানে দিতে হবে ।
হোক সেটা অল্প সময় তাও ।
নিজের সাথে নিজের বোঝাপড়া এবং কিছুটা সময় কাটানো অবশ্যই প্রয়োজন ।
যেটা অনেক সমস্যার সমাধান করে ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩০
নীল-দর্পণ বলেছেন: পরিবারের একটু সাহায্য, সহমর্মিতা থাকলেই কিন্তু এত জটিলতা দেখা দেয় না। অথচ এইটুকুই করতে প্রয়োজনবোধ করেনা পাশের মানুষগুলো। আমাদের দেশে 'নিজেকে সময় দেওয়া বা নিজের যত্ন নেওয়া আরো স্পষ্ট করে বলতে গেলে মা/গৃহিনীদের জীবনে এসব থাকতে নেই, বরং মুখে উচ্চারন করাও মহা অন্যায়!
মনযোগ দিয়ে পড়ে এত সুন্দর করে ব্যখ্যার জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ ডল আপুনি
৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০০
ইসিয়াক বলেছেন: "পেটে খাবার, গায়ে সাবান লোশনের মত মনেরও যে পরিচর্যার দরকার তা আমাদের সারা জীবনেও হয়ত একটি বারের জন্যেও মনে হয় না!"
যথার্থ।
একঘেয়ে জীবন আসলেই বিরক্তিকর।থোড় বড়ি খাড়া খাড়া বডি থোড়। সীমা ছাড়া হয়ে গেলে দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে যে কোন মুহুর্তে ।সংসার সুখের হয় দুজন দুজনকে চমৎকার বোঝাপড়ার মাধ্যমে। নতুবা বোঝা হয়ে দাড়ায় সবকিছু ।আমার মতে পারলে এমন সংসার থেকে বেরিয়ে আসাই ভালো। সবার আগে নিজের ভালোটা বুঝে নিতে হবে।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩২
নীল-দর্পণ বলেছেন: সব সময় বেরিয়ে আসাটাও আসলে সমাধান নয়। ধরুণ জাবেরের কাছ থেকে মুক্তি নিল সুখী। কিন্তু একই আচরন জাবের আরেকজনের সাথে করবে। আবার অন্যদিকে এই বেরিয়ে আসার জন্যেও সুখীর সুখ চিরতরে হারাম করবে সমাজ,পরিবার, পরিচিতজনেরা! তার চেয়ে সিস্টেমটা যদি একটু বদল করা যায় মনে হয় বেশি কার্যকরী হবে।
৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৬
রানার ব্লগ বলেছেন: আমার তো মনে হয় বিয়ে পরবর্তি জীবনে অন্তত বছরে একবার মানুষিক রোগের ডাক্তার দেখানো উচিৎ উভয়পক্ষ কে । নিজেদের মানুষিক স্বাস্থের অবস্থা জানার জন্য । যারা আমাদের পুর্ববর্তী নানী দাদী মা দের উদাহারন দেবেন তাদের বলছি তারা যে মানুষিক ভাবে খুব ব হালো ছিলেন তা কিন্তু একদম না । আমি আমার নানী কে যথেষ্ট অনুযোগ করতে শুনেছি । ভদ্রমহীলা ১১ সন্তানের জননী ছিলেন এবং সব গুলাই স্বাভাবিক প্রকৃয়ায় জন্ম নিয়েছে । তখন সিজার হাসপাতাল বলে কিছুই ছিলো না ।
২০ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২১
নীল-দর্পণ বলেছেন: খুব ভালো একটা কথা বলেছেন আপনি। প্রতি বছর একবার কাউন্সেলিং নেওয়া জরুরী। আমার দাদীর ৯জন ছেলে মেয়ে হয়েছে। আমার শ্বাশুড়ীর ১০জন। আমার হাজবেন্ডের প্রতি ভাইবোনের মাঝে ২বছর করে গ্যাপ, আমি চিন্তা করি ভদ্রমহিলার একটা সময় পর্যন্ত জীবন কেটেছে একজন পিঠে, একজন কোলে, একজন পেটে এইভাবে নিয়ে। উনারা মনে হয় অনুযোগ অভিযোগ করার কথাও চিন্তা করেননি!
৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। এমনকি মন্তব্যের উত্তর গুলোও ভালো দিয়েছেন।
২০ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২২
নীল-দর্পণ বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন পোস্ট, মন্তব্য এবং প্রতিউত্তর মনযোগ দিয়ে পড়ার জন্যে
৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ভয়ানক েএক সমস্যা। সুখী সুখী হোক।
২০ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২৩
নীল-দর্পণ বলেছেন: সুখী সুখী হোক এটাই আসলে কামনা।
৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: আমিও অনেক রাগী। মারাত্মক রাগী। আমার বাপ দাদাও অনেক রাগী ছিলেন। মনে হয় এটা আমাদের বংশগত সমস্যা।
২০ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২৬
নীল-দর্পণ বলেছেন: যথার্থ বলেছেন- রাগটা অনেকটাই বংশগত, এমনটাই দেখে এসেছি আসপাশে।
সুরভী ভাবীর সাথে রাগ করে ভাংচুর করেন নাতো? কিংবা কন্যাদের উপর রাগ হলে কীভাবে সামাল দেন পরিস্থিতি?
১০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১২
ভারসাম্য বলেছেন: এটাতো সুখের অসুখ! আমার ছিল অসুখের সুখ। এখনো আছে!!
সুখে থাকতে ভূতে কিলায় অনেককে। আমি উল্টা ভুতেরে কিলাই। ভুতকে কিলাইতে শেখান সুখীকে, সুখে থাকবে সে। ভূতটা কিন্তু মনে। সবার মনেই আছে। ওটাই শয়তান। আসলে কেউ সুখী নঅঅঅঅয়………… (আমি ও আমার মত কিছু লোক বাদে)। বেস্ট অব লাক।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০১
নীল-দর্পণ বলেছেন: সুখীকে বলে দিবো ভুতকে যাতে কিলাতে শেখে!
কমেন্ট পড়ার আগে আপনার এতগুলো কমেন্ট দেখে ভাবছিলাম 'আপনি করেছেন এতগুলো কমেন্ট! কী আশ্চর্য ব্যাপার স্যাপার!' পরে বুঝলাম ভুতে পেয়েছিল আপনার কমেন্টকেও।
১১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: সুখীর অসুখ এর যে চিকিৎসা প্রয়োজন, তা অনেক সময় আমরা খেয়ালই করি না। দিনে দিনে সে অসুখ বেড়ে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যায়। অবশেষে একদিন সে একয়াদা অপবাদ নিয়ে চিরবিদায় নেয়, নতুবা কোন মানসিক হাসপাতালে কিংবা আশ্রমে ঠাঁই নেয়। কি দুর্বিসহ এবং হৃদয়বিদারক একটা জীবন পার করে তবেই সে মুক্তি লাভ করে!
মিরোরডডল এর ৪ নং মন্তব্যটা চমৎকার। আপনার অনেকগুলো প্রতিমন্তব্যও বেশ ভালো হয়েছে।
পোস্টে অনেক আগেই বোধহয় একটা প্লাস রেখে গিয়েছিলাম। + +
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:১৬
নীল-দর্পণ বলেছেন: মিরোরডডল আপুর কমেন্টটা একটা প্রেসক্রিপশন না কাউন্সেলিং এর মিনি সেশনের মতই সুন্দর হয়েছে। আপনার মনযোগ দিয়ে পড়া এবং যত্ন করে মন্তব্য করা সবসময়ই মুগ্ধ করে আমাকে। আল্লাহ আপনাকে সুস্থ রাখুন সব সময় এই দোয়া করি।
সযতনে তুলে নিলাম প্লাস। আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।
১২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: একয়াদা < < একগাদা হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৩
শায়মা বলেছেন: বাংলাদেশে ঘরের কাজ ও বাচ্চা ও সংসারের দায়িত্ব সবই চাঁপিয়ে দেওয়া হয় মায়েদের উপরে। সারাদিন বাচ্চাদের দেখবেন মা , রাতেও না ঘুমিয়ে ঘুম পারাবেন খাওয়াবেন মা। এছাড়াও সংসারের দায়িত্ব শ্বশুর শ্বাশুড়ির ঝামেলা তো রয়েছেই।
এসব কাজকে শুধুই তার দায়িত্ব ভাবতে ভাবতে ও ভাবাতে ভাবাতে এক সময় শরীর ও মন দুটোই বিদ্রোহ করে। কেউ ভাবে না মা একজন মানুষ মেশিন নয়।