নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের পরিচয় লেখার মত বিখ্যাত বা বিশেষ কেউ নই। অতি সাধারণের একজন আমি। লিখতে ভাল লাগে। কিন্তু লেখক হয়ে উঠতে পারি নি। তবে এই ব্লগে আসা সে চেষ্টাটা অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্য নয়। মনে হল ভাবনাগুলো একটু সশব্দে ভাবি।
জিনা পিকিরিলো বাড়ির ছাদে বসে রয়েছেন। নিউ ইয়র্কে যে ধ্বংসযজ্ঞ চলছে তাতে জিনার পক্ষে চুপটি করে ঘরে বসে থাকা সম্ভব নয়। টেলিভিশনে টুইন টাওয়ার হামলার খবর দেখতে দেখতে অস্থির লাগে জিনার। আবার ভয়ও লাগে। ভয়ে তার বুকের ভেতরে ঢিবঢিব করতে থাকে। তবুও চুপ করে ঘরে বসে থাকতে পারে না জিনা। ঘর থেকে ছুটে বেরিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু সেটিও সম্ভব নয়। ভনকে নিয়ে ছাদে চলে যায় জিনা। ম্যানহাটনের এম্পায়ার বিল্ডিং আর টুইন টাওয়ার বেশ অনেকটা দূর হলেও ব্রুকলিনের এই বাড়িটির ছাদ থেকে সেটি বোঝা যায় না। মনে হয় দুটাই যেন পাশাপাশি। জিনা তাকিয়ে থাকে ম্যানহাটনের আকাশের দিকে। আকাশ দেখা যায় না। কালো একটা মেঘ ঢেকে রেখেছে পুরো ম্যানহাটনকে। আসলে মেঘ নয়। ধোঁয়া আর ধূলা। ধোঁয়া হলো বিস্ফোরণের। আর ধূলা টুইন টাওয়ার ধসে পড়বার। একটা ভয় এসে জিনার গায়ে কাঁটা ফোটায়। কেঁপে ওঠে জিনা। তারপর বেবি ক্যারিজে শুয়ে থাকা তিন মাসের ভনের দিকে ঝুঁকে ফিসফিস করে বলে, ‘এই উন্মাদ পৃথিবীতে তোকে নিয়ে এসেছি বলে ক্ষমা করে দিস্।’
আমি তখন একটা সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করি। ১১ সেপ্টেম্বর দিনটিতে দুপুর তিনটার দিকে খুব ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরেছিলাম। ঘুম ভেঙেছিল সন্ধ্যার আগে আগে। বিকেলের চা চেয়ে টেলিভিশন খুলে সিএনএনে ঢুকতে চমকে উঠতে হয়েছিল। সিএনএন তখন লাইভ টেলিকাস্টে টুইন টাওয়ারে বিমান ঝাঁপিয়ে পড়া দেখাচ্ছে। স্ক্রিনে লেখা ‘প্লেন ক্র্যাশ ইনটু ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার টাওয়ার’। মানে তখনও এটাকে বিমান দুর্ঘটনা হিসেবেই দেখা হচ্ছে। আরেকটু পর আরেকটা প্লেন এসে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দ্বিতীয় ভবনটিতে যখন আছড়ে পড়ে বিস্ফোরিত হলো। তখন সকলে বুঝে ফেলল এইটি আসলে আক্রমণ। টেলিভিশন স্ক্রিনের লেখা পালটে দিয়ে লেখা হলো, ‘আমেরিকা আন্ডার অ্যাটাক’। বিবিসিতে গিয়ে দেখা গেল তাদের স্ক্রিনে লিখেছে, ‘টেরোরিজম অ্যাটাকস্ ইন ইউএস’।
কিছুক্ষণ পরই টুইন টাওয়ারের ভবন দুটা ধসে পড়তে শুরু করল। রাস্তায় প্রাণ বাঁচাতে মানুষ ছুটতে লাগল। কিন্তু যারা ওই ভবনে ছিলেন তারা কোথায় যাবেন? তাদের তো বাঁচবার পথ নেই। আমি জমে গিয়ে টেলিভিশন স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে রইলাম। ওই মুহূর্তে জিনা পিকিরিলো হয়ত ব্রুকলিনের বাড়ির ছাদে বসে তিন মাস বয়সী ভনকে এই উন্মাদীয় পৃথিবীতে আনবার জন্যে অনুশোচনায় ভনের কাছে ক্ষমা চাইছে। আমারও অনেকটা জিনার মতো ভয় লাগতে লাগল। তবে জিনা পিকিরিলোর সঙ্গে আমার ভয়টার ফারাক আছে। নিউ ইয়র্কে বসে জিনা তার নিজের আর তিন মাস বয়সী শিশুটির নিরাপত্তা নয়, জীবন বাঁচানো নিয়েই চিন্তিত ছিল। বুকের ভেতরে নিষ্ফল আক্রোশ থাকলেও কিছুই করতে না পারার হতাশা ছিল। আমাদের অবস্থান জিনার মতো ছিল না। তবুও হাজার হাজার মাইল দূরে বসেও ওর কাছাকাছি একটা ভয় তখন তাড়িত করেছিল। ভয়টা ক্ষমতা আর শক্তিকে, এবারে নিশ্চয়ই একটা যুদ্ধ বেধে যাবে! সেটা বিশ্বযুদ্ধ হবে? তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ? যুদ্ধটা তাৎক্ষণিক না বাধলেও পরের বছর বেধেছিল বটে। যুদ্ধের নাম ‘ওয়ার অন টেরর’। ৭ অক্টোবর ২০০১ থেকে ১৫ আগস্ট ২০২১ অবধি চলেছিল সে যুদ্ধ। ৯/১১ হামলা পৃথিবী জুড়ে একটা নতুন সমীকরণ তৈরি করে দিল।
সেদিন টক অব দ্য ওয়ার্ল্ড ছিল টুইন টাওয়ার হামলা। সন্ধ্যার পর বাসা থেকে বেরুতে দেখা গেল, আমাদের শহরের মানুষ দু ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। একদল হামলার খবরে উল্লাস করছে, ‘আমেরিকা তবে ধরাছোঁয়ার বাইরে নয়! ওদেরকেও ধরা যায়, ছোঁয়া যায়, মারাও যায়!’ অন্য দল এ হামলাকে সমর্থন করছে না। এমন ভয়াবহ নৃশংস এবং কাপুরুষোচিত একটা কাজকে কি করে কেউ সমর্থন করতে পারে! কিন্তু করছিল আসলে। এই টুইন টাওয়ারে বিমান হামলার পর আমেরিকা যখন আফগানিস্তানে জঙ্গিবিরোধী অভিযান শুরু করল, তখন আমাদের ঢাকার রাস্তায় কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দলের নেতারা ‘আমরা হবো তালেবান, বাংলা হবে আফগান’ স্লোগান দিয়ে সভা সমাবেশ করেছিল- তবে এও আমাদের জন্যে নতুন নয়।
আশির দশকের শেষ দিকে ঢাকার রাস্তায় মিছিল করে ইসলামপন্থী বিভিন্ন দল বা সংগঠন ‘বাংলা হবে আফগান, আমরা হবো তালেবান’ শ্লোগান দিয়েছে। পরেও বিভিন্ন সময় ঢাকায় এমন স্লোগান দেওয়া হয়েছে। আশির দশকে বাংলাদেশ থেকে অনেকে আফগানিস্তানে মুজাহিদিন বাহিনীর পক্ষে যুদ্ধে গিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি আফগানিস্তান ফেরত এমন একজনের সাক্ষাৎকারও প্রকাশ করেছিল। বাংলাদেশের দুটা জঙ্গি সংগঠন জেএমবি ও হরকাতুল জিহাদের দুই নেতা আব্দুর রহমান এবং মুফতি আব্দুল হান্নানও আফগানিস্তান ফেরত। এ দুই জঙ্গি সংগঠনে আরও ১৪ জন আফগান ফেরত ছিলেন। জঙ্গি তৎপরতার দায়ে শীর্ষ এই দুজন এবং অন্য ১৪ জনের ফাঁসি হয়েছে।
২০২১ সালে যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলে কথা চলছিল তখন এ সফরের প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররম এলাকায় ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল ও সংগঠন বাংলাদেশকে আফগানিস্তানে পরিণত করার হুমকি দিয়ে নিজেদেরকে তালেবানের মতো জঙ্গিতে রূপান্তরের কথা জানিয়ে বিক্ষোভ করেছিল। তিরিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে ওই ভয়াবহ স্লোগান দেওয়ার লোকজন তৈরি হয়েই চলেছে।
খবরের কাগজ জানিয়েছিল, টুইন টাওয়ার হামলা করেছে আল কায়েদা। যদিও আল কায়েদা নতুন কোনও সংগঠন নয়। আল কায়েদা আসলে একটা নেটওয়ার্ক। সৌদি আরবের কোটিপতি ওসামা বিন লাদেনের হাত ধরে ’৮০র দশকে গড়ে ওঠে।
তালেবান সংগঠনটির জন্ম ’৯০ দশকের শুরুর দিকে। পশতু ভাষায় তালেবান মানে হলো ছাত্র। এদের প্রায় সবাই সুন্নি মতাদর্শী মাদ্রাসার ছাত্র। কিন্তু এরা বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসে ’৯৬ সালে। ’৯৬-এ কাবুল দখলের পর দেশটির প্রেসিডেন্ট আর তার ভাইকে নৃশংসভাবে হত্যা করে দেহ রাস্তার ল্যাম্পপোস্টে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখে। সরকার প্রতিষ্ঠার পর তালেবানরা ইসলামি শরিয়া আইনের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে শুরু করল। অপরাধী কিংবা ব্যাভিচারে অভিযুক্তদের প্রকাশ্যে হত্যা করতে শুরু করল। চুরির দায়ে অভিযুক্তদের হাত কেটে ফেলতে লাগল। পুরুষদের দাড়ি রাখা এবং মেয়েদের বোরকা পরা বাধ্যতামূলক করে দিল। টেলিভিশন, সঙ্গীত, সিনেমা নিষিদ্ধ করে দিল। দশ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার দরকার নেই বলে নিয়ম জারি করল। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বুদ্ধমূর্তিটি ছিল আফগানিস্তানের মধ্যাঞ্চলে। ২০০১ সালে তালেবানরা সে মূর্তিটি ধ্বংস করে ফেলল।
বলা হয়ে থাকে রোম নগরী যখন আগুনে পুড়ে যাচ্ছিল সেসময় বাঁশি বাজাচ্ছিলেন নিরো। রোমান সম্রাট নিরো ছিলেন ইতিহাসের সবচেয়ে নিষ্ঠুর আর পাগলাটে শাসকদের একজন। নিরো নিজের মাকে হত্যা করেছেন। হত্যা করেছেন তার সৎ ভাই ও স্ত্রীদেরকেও। খ্রিস্টানদের ওপর ভীষণ নিপীড়ন চালিয়েছেন। কেউ যখন অন্যের দুর্ভোগ উপেক্ষা করে প্রচণ্ড স্বার্থবাজ হয়ে উঠে নিজেতেই মগ্ন থাকেন তখন তাকে নিরোর সঙ্গে তুলনা করা হয়।
কথা শুরু হয়েছিল জিনা পিকিরিলোকে নিয়ে। জিনা তার তিন মাসের শিশুটিকে এই উন্মাদের পৃথিবীতে এনেছেন বলে তার কাছে ফিসফিসিয়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন। এছাড়া জিনার আসলে কিছু করবারও ছিল না। জিনাকে আমি চিনি না। কখনও পরিচয় হবে তেমন কোনও সম্ভাবনাও নেই। কিন্তু জিনার অক্ষম বাসনার সঙ্গে নিষ্ফল আক্রোশকে আমি ঠিক ঠিক চিনেছিলাম। সেকারণেই জিনা পিকিরিলোর ভয় আমার কাছে পরিচিত। ক্ষমতাহীন মানুষেরা সবসময়ই বড় অসহায় হন।
জিনার ছেলে ভন এখন বড় হয়েছে। ছেলেটা যখন জন্মায় তখন বিশ্বব্যবস্থা একরকম ছিল। ওর তিন মাস বয়সে সে ব্যবস্থা আমূল পালটে গেল। পালটে যাওয়া বিশ্বব্যবস্থা আর আমেরিকায় ভন কেমন মানসিকতা নিয়ে গড়ে উঠেছে? এইটি কখনও জানা যাবে না। তবে জানা যাবে, ২০২০ সালে তালেবানের সঙ্গে আমেরিকা একটি শান্তি চুক্তি করেছে। জানা যাবে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার দেশের পক্ষে এই চুক্তিতে সই করেছেন।
আচ্ছা, ‘বাংলা হবে আফগান, আমরা হবো তালেবান’ শ্লোগান দেওয়া লোকেরা এখন কি ‘তালেবান’ হয়ে উঠতে আরও উৎসাহিত হবেন? কিংবা ‘উন্মাদীয় পৃথিবীতে আনবার জন্যে তিন মাস বয়সী ছেলের কাছে ক্ষমা চাওয়া’ জিনা পিকিরিলো লজ্জিত হবেন? আমি জানি না। আমার বড় জানতে ইচ্ছে করে।
২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ২:০৪
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: কিছু খারাপ এলিমেন্টস বা কিছু উগ্রপন্থী বাংলাদেশে বরাবরই ছিলো, বিভিন্ন নামে বা নামের আাঁড়ালে। কিন্তু বাংলাদেশ আফগানিস্তান হয় নি আর হওয়ার সম্ভাবনাও আছে বলে আমার মনে হয় নি। কিছু সমস্যা আছে ওগুলো ময়লার মতো ঘষে-মেজে পরিষ্কার করা সম্ভব। আমার মনে হয় না আমরা সাধারণ বাংলাদেশীরা এসব নিয়ে খুব বেশী চিন্তা করি। মাস শেষে বাড়ি ভাড়া, বিভিন্ন ধরনের বিল, সন্তানদের টিউশন ফি, বাজার-সদাই এর দামের উর্ধ্বগতি এর হিসেব করতে করতেই বেশীরভাগ পরিবারের সময় চলে যায়। বাচ্চার কাছে ক্ষমা চাওয়ার মতো কোন কিছু ঘটে নি, ঘটছেও না। এর চেয়েও খারাপ সময় মানব সভ্যতা দেখেছে। পূর্ব ও পশ্চিমের মতের মিল সম্ভব নয় এটা মেনেই সকলের সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করা উচিত যাতে সহিংস ও রক্তপাত এড়িয়ে সব কিছু আলোচনার টেবিলে বসে সমাধান করা যায়। ধন্যবাদ।
৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ২:২৬
সোনাগাজী বলেছেন:
মুক্তিযু্দ্ধে যেসব গরীব বাবার মৃত্যু হয়েছিলো, তদের সন্তানদের জন্য রাষ্ট্র কিছু করেছিলো? ওদের বাচ্চাদের মাঝ থেকে শতকরা ৫/৬জন যদি অক্ষরজ্ঞান পেয়ে থেকে তা' সরকার দিয়েছে, নাকি মাদ্রাসা দিয়েছে? যদি মাদ্রাসা দিয়ে থাকে, সেই জ্ঞান দিয়ে কি ব্যুরক্রেট হয়েছিলো?
৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৩১
কলাবাগান১ বলেছেন: সেমি-তালেবানি শাসন চায় অনেক বাংলাদেশী। তবে ১০ ট্রাক অস্ত্র আর ২১শে আগস্ট বোমা হামলা, বিনপিকে বিশ্ব দরবারে এক ঘরে করেছে...হয়ত শেখ হাসিনার পরিবর্তে তৃতীয় শক্তি কে চায়
৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৪০
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: @সোনাগাজী, আপনার যুক্তি বেশ হাস্যকর তারপরেও বলছি। ৫/৬ জন অক্ষরজ্ঞান পেয়ে কেউ ব্যুরোক্র্যাট হয়েছে বলে আমার জানা নেই। হয়ে যদি থেকেও থাকে তবে হয়েছে দলীয় পা-চাঁটা লোকজন যা প্রশাসনে অনেক দেখতে পাওয়া যায়। ঐ অক্ষরজ্ঞাণ দিয়ে কেউ কোরআনে হাফেজ হতে পেরেছে বলেও আমার জানা নেই। মাদ্রাসার পড়া পরে কেউ ব্যুরোক্র্যাট হওয়ার জন্য নয় সেটা আপনিও জানেন আশা করি। ধন্যবাদ।
৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৫৫
সোনাগাজী বলেছেন:
@ইফতেখার ভূইয়া,
মুক্তুিযুদ্ধে যেসব গরীব পিতামাতা শহীদ হয়েছিলেন, যেসব বাচ্চারা এতিম হয়েছিলো, তাদের জন্য সরকার কিছুই করেনি; সামান্য, শতকরা ৫/৬ জনকে মাদ্রাসার এতিমখানায় পড়ায়েছে মোল্লারা; সেই বিদ্যা তাদেরকে বেশীদুর নেয়নি। আমি বলতে চেয়েছি যে, সরকার তার দায়িত্ব পালন করেনি শুরু থেকেই।
৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৪৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: @সোনাগাজী: ঠিক আছে, আমার বোঝার কিছুটা ভুল ছিলো। আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি। ধন্যবাদ।
৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৩
নতুন বলেছেন: কত কাহিনি সবই রাজনিতিক খেলা মাত্র।
আমেরিকার সামনে তখন চীন হুমকি হিসেবে ছিলো না তাই তারা বিভিন্ন দেশ আক্রমন এবং নিজেদের দেশের জনগনের উপরে আরো বেশি নিয়ন্ত্রন অর্জনের জন্যই সম্ভব ৯/১১ এর মতন ঘটনার জন্ম দিয়েছে।
দিনের শেষে আমেরিকারই লাভ হয়েছে ৯/১১ এ
এখন চীনের সামনে বড় হুমকি চাইনিজ সম্রাজ্যের উত্থান তাই এখন মুসলিম জঙ্গীর কাজ থাকবেনা, মুসলিম দেশ গুলিকে আমেরিকার পাশে দরকার চীনকে মোকাবেলার জন্য।
আর পাকিস্তান/আফগান/বাংলাদেশ/ভারতে যেটা হবে সেটা দলীয় রাজনিতির কারনে।
৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৫
বাউন্ডেলে বলেছেন: আমেরিকার ভুখন্ডে টুইন টাওয়ারে ৩ হাজার লোক মারা গেছে । হামলাকারীরা আল-কায়দা। ৩ হাজার লোক বেসামরিক ব্যাক্তি ছিল। হামলাটা অন্যায় ছিলো।
আমেরিকা তাদের ভুখন্ডের বাইরে তারা কত মানুষকে হত্যা করেছিলো ? তারা যখন-তখন যে কোন দেশের সার্বভৌমত্বকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে অন্য দেশের অভ্যন্তরে ঢুকে ধ্বংষলীলা চালিয়েছে। নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে। তালেবান,আলকায়দার বর্বরতা আমেরিকানদের বর্বরতার কাছে কিছুই না। সুতরাং সেখানকার অধিবাসীদের সামান্য ক্ষতির নাঁকি কান্নায় আম জনতার কিছুই যায়-আসে না। সাধারন নিরিহ বিবেকবান মানুষের চোখে “আমেরিকা-তালেবান-আল কায়দা” একই চরিত্রের। তারা দু-পক্ষই বর্বর মানসিকতার।
১০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০০
মিরোরডডল বলেছেন:
স্মরণকালের স্মরণীয় একটি দিন।
কি নৃশংস ভয়ংকর!!!!
বরাবরের মতো রাজনৈতিক নেতাদের পাপেট হাজার হাজার সাধারণ মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যু।
সেই একেকটি মানুষের সাথে জড়িয়ে আছে আরো কতো পরিবার যারা লাইফটাইম বুকের মধ্যে এই কষ্টবোধ লালন করছে।
১১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: বিশ্বের বুদ্ধিমান লোকোদের উচিৎ একটা দল করা। এই দল বিশ্বের জন্য ক্ষতিকর লোক গুলো মেরে ফেলবে। তাহলে বিশ্বে যুদ্ধ, ঝগড়া ফ্যাসাদ আর হবে না।
১২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৫
শ্রাবণধারা বলেছেন: এই পোস্টটা আগেও একবার এই ব্লগে পড়েছিলাম। যদিও ভালো লেখা, কিন্তু একই লেখা দুইবার দেখে ভালো লাগলোনা।
তবে এই ব্লগেও কিছু জঙ্গি তালেবান আছে, যারা মনে করে তালেবান সরকার অতি উত্তম। ব্লগ থেকে এদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া উচিৎ বলে মনে করি।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:৪৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আফগান যখন রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ করে আফগানকে কে বা কাহারা অস্ত্র চালান দিয়েছে? আপনার কি মনে আছে তালেবান জঙ্গি সহ ওসামা বিন লাদেন কে বা কাহার বা কোন রাষ্ট্রের দ্বারা তৈরি।
ব্লগে সাধারণত প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় না।
আমি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। আমাদের সন্তুষ্ট ও লজ্জিত নিয়ে ভাবার কারণ নেই - কারণ আমরা অবজারভার। অতি সামন্য ও নগণ্য অবজারভার। আর সামান্য ও নগণ্য অবজারভারদের চিন্তার কোনো মূল্য নেই।
ভালো লিখেছেন। +++