নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অদৃষ্টরে শুধালেম, চিরদিন পিছে, অমোঘ নিষ্ঠুর বলে কে মোরে ঠেলিছে?সে কহিল, ফিরে দেখো। দেখিলাম থামি, সম্মুখে ঠেলিছে মোরে পশ্চাতের আমি।

মুবিন খান

নিজের পরিচয় লেখার মত বিখ্যাত বা বিশেষ কেউ নই। অতি সাধারণের একজন আমি। লিখতে ভাল লাগে। কিন্তু লেখক হয়ে উঠতে পারি নি। তবে এই ব্লগে আসা সে চেষ্টাটা অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্য নয়। মনে হল ভাবনাগুলো একটু সশব্দে ভাবি।

মুবিন খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেবল ডুবে নয়, ক্রমাগত তলিয়েই যাচ্ছি

১২ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৩:০৯




শেখ রেদোয়ান আল ইসলাম ইবনে আরাবি বললেন, ‘ইন্তা বিলাত ফি ওয়াজেদ মাই, সাহ্?’

আমার দেশে অনেক পানি মানে কি! আমি ভেবে পাই না।

শেখ রেদোয়ান আল ইসলাম ইবনে আরাবি লোকটা খুব ধনাঢ্য লোক। মাঝে মাঝেই আসতেন। একলা আসতেন না। সঙ্গে তার স্ত্রী থাকত। দুজনের সঙ্গেই বেশ ভালো পরিচয় হয়ে গিয়েছিল। এলেই শেখ রেদোয়ান স্ত্রীকে বলতেন, তুমি যাও, আমি মুবিনের সঙ্গে গল্প করি। কথাবার্তা আরবিতেই চলত। একদিন শেখ রেদোয়ান বললেন, ‘মুবিন, ইন্তা ফি আরোছ?’

আমি তখনও বিয়ে করি নি। সেটাই বললাম, ‘উঁহু, করি নি এখনও।’

শেখ রেদোয়ান মুগ্ধ বিস্ময়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘মাশাল্লাহ! আজকে তোমাকে আমি খাওয়াব। কি খাবা বলো। কেএফসি?’
‘নাহ্, কিছু খাবো না। কিন্তু আমি বিয়ে না করাতে তুমি এত খুশি কেন!’

শেখ রেদোয়ান বললেন, ‘হরমা ওয়াজেদ মুশকিলা।’

আমি বলি, ‘নারী অত বড় সমস্যা হলে তুমি বিয়ে করেছ কেন!’

শেখ রেদোয়ান নামের এই ভদ্রলোকটি কোনও এক বিচিত্র কারণে আমাকে খুব পছন্দ করেন। এলেই ডেকে গল্প জুড়ে দেন। যেমন আমি জানি, তিরিশ মিলিয়ন কাতারি রিয়াল খরচ করে তিনি স্ত্রীর জন্যে বাড়ি বানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বাড়ি তৈরি হওয়ার দু বছরেও তার স্ত্রীর বাড়ির জন্যে কেনাকাটা ফুরায় না। তারওপর আছে কিছুদিন পরপরই এটা ওটা বদলে ফেলার বাতিক। জানি, স্ত্রীকে নিয়ে গরমকালটা তাকে ইউরোপে কাটাতে হয়। আবার শীতেও যেতে হয় ভিন্ন কোনও দেশে। আরও জানি, তার স্ত্রীর প্রিয় কাজ শপিং করা। এবং যেটা না হলে জীবন ব্যর্থ হয়ে যাবে ভেবে পাগলের মতো কিনে ফেলেন, কিছুদিন পর নিতান্ত অবলীলায় অবহেলায় সেটিকে উপেক্ষা করেন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খবর যেটি জানি, শেখ রেদোয়ানের স্ত্রী যে কেন এখনও তাকে ‘নিতান্ত অবলীলায় অবহেলায় উপেক্ষা’ করেন নি এইটি তার কাছে একটি বিস্ময়কর রহস্য। আমার কাছে মনে হতো এই শেখ রেদোয়ান লোকটি যথেষ্ট সুখিই আসলে। স্ত্রীর এই ব্যাপারগুলো তিনি বেশ উপভোগই করেন।

সেদিন হঠাৎ বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্নে একটু অবাক হয়ে বলি, ‘পানি তো থাকবেই। অনেক বেশি পানি আছে কথাটা বুঝি নি।’

শেখ রেদোয়ান আমাকে বোঝাতে চেষ্টা করলেন, ‘বিলাত মাল ইন্তা আলাতুল তাহাত মাল মাই, সাহ্!’

দেশ সবসময় পানির নীচে থাকবে কেন! এরপর বোঝা গেল ইনি আসলে বন্যার কথা বলছেন। শেখ রেদোয়ানের ধারণা বাংলাদেশে বছরজুড়েই বন্যা হয় আর পুরো বছরই দেশটা বন্যার জলে তলিয়ে থাকে। আমার হাসি পায়, হেসেও ফেলি। হাসতে হাসতে তাকে ছয়টা ঋতু বোঝাতে চেষ্টা করি। বলি, ‘শেখ শোন, আর সব দেশের মতো আমাদের চারটা ঋতু না। আমাদের ঋতু ছয়টা। বর্ষাকালের গল্প বলি। আমার দেশে তোমার দেশের মতো বছরে দুদিন বৃষ্টি হয় না। আমরা দু মাস হিসেবে বছরকে ছ’ ভাগে ভাগ করে নিয়েছি। বৃষ্টির জন্যে দু মাস বরাদ্দ। এই দু মাস বৃষ্টি হয়। অনেকসময় বেশিও হয়। তখন পানি জমে। বৃষ্টির পরিমাণ বেশি বলে একই গতিতে পানি বের হতে পারে না। তখন পানি জমে বন্যা হয়’, তারপর বলি, ‘তুমি বাংলাদেশে গিয়েছ?’

‘না, যাই নি। আমার ভাই যায়। ব্যবসার জন্যে, ওখান থেকে পোশাক বানিয়ে আনে।’

‘তোমার ভাই সম্ভবত বৃষ্টির সময়টাতে গিয়েছিল। আচ্ছা, বাংলাদেশের পোশাক কেমন বল তো?’

‘জেইন জেইন, ওয়াজেদ জেইন।’ শেখ রেদোয়ানের কণ্ঠে প্রশংসা ঝরে পড়ে। আমার খুব ভালো লাগে।

আমি বলি, ‘শুধু পোশাক না বাংলাদেশের মানুষও অনেক ভালো।’

শেখ রেদোয়ান সায় জানালেন। ‘সাহ্, ইন্তা জেইন।’ তারপর আমাদের শীর্ষ এক রাজনৈতিক লোকের নাম উচ্চারণ করে বললেন, ‘ব্যাস, হাদা মাফি জেইন।’ বলেই হাহা করে হাসতে লাগলেন।

আমি বলি, ‘আমি তো অবশ্যই ভালো।’ তারপর আমিও তার হাসিতে কণ্ঠ মেলাই।

ঈভও একদিন বলছিল। বলে, ‘মুবিন বাংলাদেশে তোমাদের বাড়িটা কোন্ জায়গায়?’

আমি বলি, ‘রাজধানীতে। দাঁড়াও তোমাকে দেখাই।’ তারপর গুগল খুলে ঢাকা শহর দেখাতে ঈভ খুব বিস্মিত হলো। দু চোখ বড় করে বলল, ‘তোমাদের দেশে এত বড় বড় বিল্ডিং আছে!’ শুনে আমার খুব ক্ষোভ হলো। কিন্তু ও বিষয়ে কিছু না বলে বলি, ‘মারিয়ানা ট্রেঞ্চ তোমার দেশে না?’

ঈভ ঠোঁট চেপে মুচকি হেসে ওপর নীচ মাথা নাড়ে, ‘হ্যাঁ’।

আমি বলি, ‘পৃথিবীর গভীরতম সমুদ্র তোমার দেশে হলেও পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতটি আমার দেশে।’ ঈভ এবারেও বিস্মিত হয়। আমি গুগল করে দেখাই। ঈভের চোখে তখন অবিশ্বাস।

বিষয়টা হলো, আমরা নিজেদের তুলে ধরতে যত কথাই বলি না কেন বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে আমাদের বন্যার খবরটিই সবচেয়ে বেশি দেখানো হয় এবং বড় করে দেখানো হয়। বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের পরিচয়- বন্যার দেশ। সেকারণে যারা কখনও বাংলাদেশে আসে নি, বাংলাদেশ চোখে দেখে নি তাদের মনে হয় বাংলাদেশ বুঝি জলের তলে ডুবেই থাকে। এবারের সিলেটের ভয়াবহ বন্যাও সেভাবেই বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে প্রচার পেয়েছে। উন্নয়নের খবরও প্রচার হয় অবশ্য। যেমন পদ্মা সেতুর খবর। আবার এইত ক’দিন আগেই পাকিস্তানের এক খবরের কাগজে লিখল বাংলাদেশ থেকে নেতৃত্ব শিখতে। এর মানে হলো বাংলাদেশ উন্নত হচ্ছে। কিন্তু আমরা উন্নত হচ্ছি কি? নইলে বিদেশীদের কাছে আমাদের ডুবে থাকবার খবরটিই প্রাধান্য আর পরিচিতি পাবে কেন?

কেননা আমরা আসলে ডুবেই আছি। শুধু জলের তলে তলিয়ে থাকলেই ডুবে থাকা হয় না। তলিয়ে থাকবার নানান রকমফের আছে। আর আমাদের তো মনে হয় সবচেয়ে বেশিই আছে। এইত সেদিন ঈগল পরিবহনের বাস কুষ্টিয়া থেকে আসবার পথে রাস্তা থেকে বেশ কয়েকজন যাত্রী উঠল। কিছুদূর যাওয়ার পর জানা গেল এরা আসলে ডাকাত। অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের সর্বস্ব কেড়ে নিল তারা। এ পর্যন্ত ঠিকই ছিল। রাষ্ট্রে যদি ডাকাত থাকে তো ডাকাতি করবেই। একইভাবে যদি আইন প্রয়োগে ঘাটতি থাকে, থাকে যিদি সুশাসনের অভাব থাকে তাহলে ডাকাতের মতো ঘৃণিত পেশায় একটি শ্রেণি আসবেও। এই বাংলায় ডাকাতি নতুন কোনও ঘটনা নয়। দুদিন আগে ১৪ জন পর্যটক হাওরে বেড়াতে গিয়ে ডাকাত দলের কবলে পড়লেন। আর এই ঘটনায় গ্রেপ্তার যিনি, তিনি একজন জনপ্রতিনিধি, ইউপি সদস্য। ভাবা যায়! যায় বটে। গেল ১ মার্চে, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানা থেকে তিন শ’ গজ দূরত্বের তিনটি বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। এই তিনশ' গজ পথ পেরিয়ে ডাকাতের কবলে পড়া বাড়িগুলোতে আসতে পুলিশের সময় লেগেছে দু ঘণ্টা।

কিন্তু ধর্ষণ! ধর্ষণের ঘটনাও নিত্য দিনেরই খবর বটে। রোজকার পত্রিকায় চোখ বুলালেই দেখতে পারা যাবে। চলন্ত বাসে ধর্ষণও আমাদের জন্যে নতুন কোনও খবর নয় এখন। কিন্তু যাত্রী ভরা চলন্ত বাসে ডাকাতি করতে করতে কোনও নারী যাত্রীকে ধর্ষণের খবরটি শিউড়ে ওঠার মতো খবর। তবে এও নতুন নয়। এ বছরের ১৪ জানুয়ারি বগুড়া থেকে ঢাকা আসছিল সোনারতরী পরিবহনের একটি বাস। পথে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা এলাকায় পৌঁছুলে ডাকাতের কবলে পড়ে বাসটি। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলের পাঁচজনে বাসের এক তরুণী যাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে।

রাজনৈতিক নেতা ধর্ষণ করছে, বখাটে ধর্ষণ করছে, পুলিশ ধর্ষণ করছে, ইউপি মেম্বার ধর্ষণ করছে, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় আর মাদ্রাসার শিক্ষকও ধর্ষণ করেছে। বিষয়টা হলো, ধর্ষকের কোনও শ্রেণি-পেশা নেই, নেই বয়স কিংবা সামাজিক অবস্থান, নেই বিশেষ কোনও যোগ্যতাও। তার একমাত্র যোগ্যতা সে পাশবিক। আর এই পাশবিকতা সে শিখছে যে পরিবেশে সে পরিবেশ তো আমাদের সমাজেই তৈরি করা। পরিবেশ তো দু ধরনের, প্রাকৃতিক আর সামাজিক। আমাদের দু পরিবেশেই দুর্যোগ। আজকে আমরা ভীষণ রকম হুমকিতে। আমরা আসলে দু দিক দিয়েই ডুবেই আছি। ঠিক যেভাবে ডুবে রয়েছি শিক্ষা, অর্থনীতি, দুর্নীতি আর সর্বোপরি মানবিকতায়।
এই দুর্যোগ মাথায় নিয়ে আমরা দেশ-বিদেশে নানান সফলতার গল্প ছড়াচ্ছি। কিন্তু দুর্যোগ এলে তো সব উড়িয়ে নিয়ে যেতে যেতে নিতে না পারাদেরকে ডুবিয়ে দিয়ে যায়। সামাজিক দুর্যোগ আমাদের শিক্ষা, অর্থনীতি, দুর্নীতি, মানবিকতা টর্নেডোর মতো উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে আমাদেরকে ডুবিয়ে দিয়ে গেছে। আমরা এখন তলিয়ে গিয়ে নিঃশ্বাস নিতে একটু অক্সিজেনের জন্যে ফুসফুস ফেটে মরতে বসেছি।

ক’দিন আগে রিকশা চড়ে এলিফেন্ট রোড যাচ্ছিলাম। মগবাজার মোড়েই তিনবার লাল বাতিতে থামতে হলো। শেষবার যখন আটকা পড়েছি সামনে তিনটে বাস আর খান কয়েক রিকশা। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর আমার রিকশারচালকটি হঠাৎ সিট থেকে নেমে রিকশা টেনে ফুটপাতে তুলতে লাগল। লোকটা আসলে কি করছে প্রথমটায় বুঝতে পারি নি। সামনের চাকাটা তুলে ফেলবার পর আমি হায় হায় করে উঠলাম, ‘এই! আপনি কি করছেন! কই যান!’

চালক জানাল, সে ফুটপাতে রিকশা তুলে ওদিক দিয়ে সামনে এগিয়ে বাকি যানবাহনগুলোকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যাবে।

আমি আঁতকে উঠি, ‘সেকি! কেন! ফুটপাত তো লোকেদের হাঁটবার জন্যে! ওখানে রিকশা চালানো যাবে না, আপনি জানেন না?’

‘কিচ্ছু হইত না, কত্ত লোকে যায়’, উদাস গলায় বলেন রিকশাচালক।

আমি বলি, ‘অন্য লোকে আইন ভাঙলে আপনিও আইন ভাঙবেন? এইটা তো অস্বাভাবিক। অন্য লোকে আইন ভাঙলে আপনি সেটাকে জায়েজ ভেবে নিজেও করতে শুরু করলে তো হবে না। আপনাকে বলতে হবে সে কেন আইন মানলো না? স্বাভাবিকটা না করে উল্টাটা করেন কেন?’

আচ্ছা, আমরা কি জাতিগত ভাবে অস্বাভাবিক হয়ে উঠছি?


লেখাটি অনুস্বর ম্যাগাজিনের আগস্ট ২০২২ 'বর্ষা ও বন্যা' সংখ্যায় প্রকাশিত

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৩:৩৬

ককচক বলেছেন: আমরা জাতিগতভাবে অবিভাবকহীন।
অভিভাবকহীন বাচ্চাকাচ্চা যেমন অস্বাভাবিক হয়, আমাদের জাতির অবস্থাও অনেকটা তেমন

২০ শে আগস্ট, ২০২২ ভোর ৪:০৯

মুবিন খান বলেছেন: আমরা জাতিগতভাবে অবিভাবকহীন বটে, ব্যক্তিগত পর্যায়ে অবিভাবকহীন নই। ব্যক্তির মূল্যবোধ হারাবে কেন বলুন তো?

২| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৫:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের পিছিয়ে পড়ার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী।

২০ শে আগস্ট, ২০২২ ভোর ৪:১১

মুবিন খান বলেছেন: আপনি খুব দরকারি উপলব্ধিটি চিহ্নিত করেছেন। কিন্তু উপলব্ধিটি আমরা হারিয়ে ফেলেছি প্রায়।

৩| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩৬

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: জাতিগতভাবে শুধু অভিভাবকহীন-ই শুধু নই, বিবেকহীন, মানবিকতাহীন, কান্ডজ্ঞানহীন, ন্যায়হীন, চরিত্রহীন, মস্তকবিহীন এবং প্রকৃত অর্থেই হীন।

২০ শে আগস্ট, ২০২২ ভোর ৪:১২

মুবিন খান বলেছেন: অসুখটা ঠিক ধরেছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলো, আমরা কেউই নিরাময় খুঁজছি না।

৪| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৫৫

জুল ভার্ন বলেছেন: আমাদের কোথাও কেউ নেই, নিয়তির কাছে সোপর্দ করে দিয়েছি নিজেকে।

২০ শে আগস্ট, ২০২২ ভোর ৪:১৩

মুবিন খান বলেছেন: নিয়তি বলে কি কিছু আছে? আমাদের কর্মফলই কি আমাদের নিয়তি নয়? আর যিনি হাল ছেড়ে দেন তিনিই নিয়তিকে আঁকড়ে ধরেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.