নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের পরিচয় লেখার মত বিখ্যাত বা বিশেষ কেউ নই। অতি সাধারণের একজন আমি। লিখতে ভাল লাগে। কিন্তু লেখক হয়ে উঠতে পারি নি। তবে এই ব্লগে আসা সে চেষ্টাটা অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্য নয়। মনে হল ভাবনাগুলো একটু সশব্দে ভাবি।
‘বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ’- ছেলেবেলায় প্রাথমিকে পড়বার সময় নিচু ক্লাসে আমাদের সমাজ বইয়ের কোনো একটি অধ্যায় এই বাক্যটি দিয়ে শুরু হয়েছিল। আমরা শব্দ করে বারবার অনেকক্ষণ ধরে বাক্যটি পড়তাম। শব্দ করে পড়লে স্মৃতিতে গেঁথে যাবে। তবে আর ভুলে যাব না। পরীক্ষার খাতায় ঠিক ঠিক লিখে দিয়ে আসবো, জেনেছিলাম আমরা।
আসলে জানানো হয়েছিল আমাদের। জানাবার উদ্দেশ্যটি অসৎ নয়। সশব্দে পড়লে অভিভাবকরা শুনতে পান সন্তান তার পড়ছে। ফাঁকি দিয়ে ভিন্ন কিছু করছে না। বই পড়ে জানছে ছেলে। পড়ে পড়ে স্মৃতিতে গেঁথে নিচ্ছে। কিন্তু আমাদের এই জানাজানিটা ঠিক ছিল কি? বড় একটা ফাঁক কিন্তু ছিল। সেটি তাঁরা বুঝতে পারেন নি। অনেকেই পারেন নি আসলে। কেউই আমাদেরকে কখনও বলেন নি, বারংবার পাঠ করে নিজেদের স্মৃতিতে গাঁথতে চাওয়া বাংলাদেশ বিষয়ক ওই তথ্যটি আসলে সঠিক ছিল না। পাঠ্যবই রচয়িতা, সে বইয়ের সম্পাদকমণ্ডলী, স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবক- সকলেই, কেউই বলেন নি।
আমরা যে সময়টিতে সশব্দে পাঠ্যবই পড়তে পড়তে মুখস্ত করছি ‘বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ’, সে সময় উন্নয়নের শর্ত অনুযায়ী বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচয়টি ‘স্বল্পোন্নত দেশ’ হিসেবে। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকাভূক্ত হয়। স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে বাংলাদেশের সময় লেগেছে ৪৩ বছর। বছর তিনেক আগে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো তিনটি শর্ত পূরণ করতে পেরেছিল। অথচ এর ৩৫-৩৬ বছর আগে থেকেই আমাদেরকে কঠিনভাবে শেখানো হয়েছে, ‘বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ।’ বেশ বুঝতে পারা যায় শেখাবার এই কারণটি রাজনৈতিক বটে। রাজনীতি আমাদের জীবনের সকল কিছুকেই নিয়ন্ত্রণ করে। পাঠ্য বইকেও করে। বছর কয় আগেও পত্রিকায় শিরোনাম হলো, পাঠ্যবই থেকে সরে যাচ্ছে অমুসলিম কবি-সাহিত্যিকদের নাম। বাংলা সাহিত্যে কালজয়ী কবি সাহিত্যিকদের অনেক উৎকৃষ্ট লেখা পাঠ্যবই থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল।
কথা হচ্ছিল উন্নয়নশীল দেশের মাপকাঠি নিয়ে। জাতিসংঘের কাছে মাথাপিছু জাতীয় আয়, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা হলো উন্নয়নের মাপকাঠি। এই তিনটি সূচক নির্ধারণ করে দেয় কোনো একটি দেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল ধাপে উত্তরণ করবে কিনা। গেল মাসে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে মাথা পিছু আয় আগের অর্থবছরের তুলনায় এ বছর ১০ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ২২৭ মার্কিন ডলার হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২০২৪ মার্কিন ডলার। এটা বেশ মজার। মাথাপিছু আয় তো কোনো দেশের মোট আয়কে জনপ্রতি ভাগ করে দিলে যেটি হয়, সেটাকেই বোঝায়, তাই নয়?
পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ কাতারে দেখেছি, মাথাপিছু আয় নিয়ে এদের বেশ অহংকার আছে। এ দেশটির লোকেদের মাথাপিছু আয় ৮৮ হাজার ২২২ ইউএস ডলার। এখানে কিন্তু একটা ফাঁকি আছে। কাতারের লোকেদের জনসংখ্যা কত জিজ্ঞেস করলে বলে, ‘কিতির! ইতনিন মিলিয়ন তামানি মিয়া।’ মানে দুই মিলিয়ন আট লাখ। কিন্তু মাথাপিছু আয় হিসেব করবার সময় মোট আয়কে ভাগ করে সাত লাখ দিয়ে। তখন হিসেব শুধুই কাতারের নাগরিকদের। কাতারে চুরানব্বইটি দেশের মানুষ বাস করে। হিসেবের বাইরের একুশ লক্ষ মানুষ ওই চুরানব্বই দেশের।
এ বছরের জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাংক এক প্রতিবেদন বলেছে, বাংলাদেশে ২০১০ সালে বেকারত্বের হার ছিল ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ২০১৯ সালে ছিল ৪ দশমিক ২২ শতাংশ। বেকারত্বের এই হার এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩ শতাংশে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা মাস দুই আগে জানিয়েছে, করোনাভাইরাস সংকটের কারণে বাংলাদেশে প্রতি চারজন যুবকের মধ্যে একজনের কোনো কাজ নেই। বেকার সে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ডিগ্রি আছে এমন বেকারের সংখ্যা ৪ লাখ। এসব বেকার তরুণ জনগোষ্ঠীর সঙ্গে করোনার কারণে যোগ হওয়া কর্মহীন মানুষ রয়েছে। সেকারণে মানুষের জীবনযাত্রায় করোনার বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এর ফলে মানুষের ক্রয় সামর্থ্য কমছে। আর এর উল্টো পাশে বেড়ে গেছে খাদ্যপণ্যের দাম। মানুষ এখন ক্ষুধা আর বেকারত্বর মিশ্রণে তৈরি সংকটে খাবি খাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাস চলে গেলেও এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে দীর্ঘমেয়াদি সময়ের দরকার হবে।
আর পরিসংখ্যান ব্যুরো খবর ছড়াচ্ছে, লোকেদের আয় নাকি ১০ শতাংশ বেড়ে গেছে!
অবশ্য এদেরকে দোষ দেয়া যাবে না। মাথাপিছু আয় তো কোনো দেশের মোট আয়কে জনপ্রতি ভাগ করলে যেটা দাঁড়ায়, সেটাকেই বলে, তাই না? সে আয়টা বেড়েছে বটে। সকলের অবশ্য বাড়ে নি। একটা নির্দিষ্ট শ্রেণির বেড়েছে। ধনী আরো ধনী হয়েছে, দরিদ্র হয়েছে আরো দরিদ্র। দরিদ্র আয়টা না পেলেও আয়ের অংশের হিসেবটা পেয়েছে।
ক’দিন আগে ফুটপাত ধরে হেঁটে ফিরছি, হঠাৎ পথ আটকে একটা লোক সামনে হাত পেতে দাঁড়াল। লোকটার সঙ্গে সাত আট বছরের একটি শিশু। সে শিশুটিকে ভাত খাওয়াতে চায়। এমন ঘটনা ঢাকা শহরে আজকাল বড় সুলভ হয়েছে। পথে প্রান্তরে, হেথা হোথা সেথা, ট্রাফিক সিগন্যালে সকলখানেই চলতে এভাবে কেউ না কেউ হাতটা সামনে প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে পড়ে। আমাদের এক অর্থমন্ত্রী একবার বলেছিলেন, দেশে কোনো ভিক্ষুক নেই। ভিক্ষুক নেই বলে সে বছরের জাতীয় বাজেটে তিনি ভিক্ষুক পুনর্বাসনের জন্য কোনো বরাদ্দ রাখেন নি। ভদ্রলোকের ওই মন্তব্যে অনেকে তখন নানা কৌতুক করেছিল। এখনকার বাংলাদেশে ভিক্ষুকের চিত্রটি আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে করুণ। লকডাউনে বন্ধ হয়েছে উৎপাদন। বন্ধ হয়েছে আমদানি, রপ্তানি। মানুষ শহর ছেড়ে গেছে। শহর ছেড়ে যাওয়া লোকেদের আয়ের উৎস তো এই শহরই। ফলে এদের আয়ের পথটি গেছে বন্ধ হয়ে। ভিক্ষুক তাই এখন আর ঢাকা শহরে সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে গেছে গ্রামে, গঞ্জে, মফঃস্বলে, জেলা শহরে। পত্রিকায় খবর এসেছে, সারাদেশে শ্রমিকরাও এখন ভিক্ষা করছেন!
জাতিসংঘের উন্নয়নশীল দেশের আরেকটি সূচক হলো, মানবসম্পদ উন্নয়ন। এই যোগ্যতায় বাংলাদেশ ৭.২ পয়েন্ট বেশি পেয়েছিল।
শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বইয়ের ভুমিকায় লিখেছে, মানবসম্পদ প্রতিটি জাতির জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। জনসংখ্যা যতক্ষণ পর্যন্ত মানবসম্পদে পরিণত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তা জাতির বোঝা। জাতীয় উন্নয়নের জন্য মানবসম্পদ উন্নয়নের বিকল্প নেই। মানবসম্পদ উন্নয়নে শিক্ষাই প্রধান ভূমিকা পালন করে। শিক্ষা ছাড়া কোনো দেশ, জাতি উন্নতি করতে পারে না। নিরক্ষরতা ও অশিক্ষা জাতির জন্য অভিশাপ।
‘জনসংখ্যা যতক্ষণ পর্যন্ত মানবসম্পদে পরিণত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তা জাতির বোঝা’-বাংলাদেশের আনাচ কানাচ ছড়াতে থাকা ভিক্ষুকের দল এই বাক্যটি খুব করে মনে করিয়ে দেয়।
কিন্তু বাংলাদেশ এখন সত্যিই আগের মতো নেই। অনেক এগিয়েছে দেশটা। শহর জুড়ে উঁচু উঁচু ভবন। তাতে এত এত আধুনিক আর ঝলমলে সাজ যে ওর ভেতরে ঢুকতেও আমার মধ্যবিত্ত মানসিকতাদের বড় সংকোচ লাগে। আয়নার মতো চকচকে মেঝেতে জুতো পায়ে হাঁটতে পা আমার অসাড় হতে চায়। উন্নত দেশের ফ্লাইওভার এখন আমার শহরেই আছে। তৈরি হচ্ছে পদ্মা সেতু। তৈরি হয়ে গেলে পরে খুলনা যেতে আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরি পারাপারের আশায় বসে থাকতে হবে না। নির্মিত হচ্ছে মেট্রোরেল। হয়ে গেলে পরে দশ মিনিটে ঢাকা শহরের যে কোনো প্রান্তে চলে যাওয়া যাবে। স্বপ্নর মতো একটা ব্যাপার না!
কিন্তু সকল স্বপ্ন কি সত্যি হয়! স্বপ্ন দেখতাম, জীবনের এই পর্যায়ে এসে নিজের বাড়িতে নিজের মতো করে থাকব। এই পর্যায়ে আসবার পর দেখি আশ্রিতর জীবন আমার। ভালোবাসার মানুষটা বলেছিল, একটা ঘড়ি আর সাইকেল কিনে দেবে। আজও আমি এর ওর কাছে সময় জিজ্ঞেস করি, ঢাকা শহরের পথেপ্রান্তরে হেঁটে হেঁটে চলি। ফ্লাইওভার বানালো যখন, আমরা স্বপ্ন দেখতে লাগলাম যানজটহীন ঢাকা শহরের। কিন্তু হায়! ভারত, চীন, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশে দ্বিগুণ বা তারও বেশি খরচে ফ্লাইওভার বানানো হলেও যানজট রয়ে তো গেলই, ফ্লাইওভারের কারণে রাজপথ সংকুচিত হয়েছে বলে যানজট আরও বেড়ে গেল। আর তার নিচেই বসত গেড়েছে ছিন্নমূল মানুষেরা। তারা সেখানে দোকানপাট খুলে ব্যবসাও খুলে বসেছে। পথ চলতে চলতে বাতাসে ভেসে আসা গন্ধ জানায়, ফাঁকা জায়গার অনেকখানে লোকেরা বড় নিবিড়ভাবে প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়।
আর আছে ডাস্টবিন। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন হেথা-হোথা- সেথা বিছিয়ে রেখেছে ডাস্টবিন। ওর আশপাশ দিয়ে চলাচল মুশকিল বড়। চলবার সময় ভাবতে হয় পানিতে ডুব দিয়ে রয়েছি। এই ভাবনাতেও সমস্যা আছে। সেদিন একবন্ধু হাতিরঝিলের পথটা ধরে যাওয়ার সময় ওর পাঁচ বছরের মেয়েটা গলায় বিস্ময় ঢেলে চিৎকার করে উঠল, ‘বাবা বাবা, দেখ, একদম মুড়িঘন্টার মতো গন্ধ!’
বন্ধুটি খুব জোরে হেসে ফেলল। তারপর আমাকে মেয়ের ভাষা অনুবাদ করে বুঝিয়ে দেয়, মুড়িঘন্টা মানে হলো বুড়িগঙ্গা। বুড়িগঙ্গার পাশ দিয়ে যেতে যে পচা, নোংরা আর দুষিত জলের গন্ধ পাওয়া যায়। পাঁচ বছরের ওই শিশুটিও হাতিরঝিলের জলের সঙ্গে তার সমিল খুঁজে পেয়ে গেছে। পায় না কেবল আমাদের পানি সম্পদ রক্ষার কাজে নিয়োজিত লোকেরা।
কিন্তু বাংলাদেশের মানবসম্পদের উন্নয়ন হয়েছে। উৎপাদন নয়, এখন বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান উৎস রেমিট্যান্স। এ বছর জুলাই মাসের প্রথম ১৫ দিনে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স হিসেবে ১২৬ কোটি ৪২ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
কিন্তু এই প্রবাসীরা আসলে কারা?
বাংলাদেশ সৌদি আরবের সবচেয়ে বেশি শ্রমিক যোগান দেয়। সৌদি আরবে রয়েছে ২০ লক্ষ বাংলাদেশি। এর প্রধানত অংশটি শ্রমিক। আরব আমিরাতে রয়েছে ১০ লক্ষের বেশি। কাতারে প্রায় ৩ লক্ষ। বিষয় হলো, বাংলাদেশ থেকে এসব শ্রমিকদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে আমরা কোনো ভূমিকাই পালন করি না। না কাজের দক্ষতার ক্ষেত্রে, না ভাষা ও সংস্কৃতি। এরা সেখানে যায়, মানবেতর জীবন যাপন করতে করতে নিজের দরকারেই একটু একটু করে শিখে নেয়।
আমার ‘শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন’ বইয়ের কথা মনে পড়ে। মানবসম্পদ উন্নয়নে শিক্ষাই প্রধান ভূমিকা পালন করে। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক ধুলো জমেছে। সেগুলোতে প্রায় দু বছর ধরে ঝাড়ু দেয়া হয় না।
৫.৯.২০২১
'অনুস্বর' সেপ্টেম্বর ২০২১ সংখ্যায় প্রকাশিত
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:১৩
মুবিন খান বলেছেন: হয় আপনার দেয়া তথ্য সঠিক নয়, নয়ত আপনার উপস্থাপন সঠিক নয়।
ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:৩৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: বাংলাদেশে যারা পরিসংখ্যান দেয় এরা কখনোই সঠিক বা সঠিকের কাছাকাছি পরিসংখ্যান দেয়না।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:১৫
মুবিন খান বলেছেন: পরিসংখ্যান যারা দেন, তারা অনেক চালাক লোক। তথ্যর সঙ্গে গণিত মিশিয়ে উপস্থাপন করেন বলে তথ্যটি মিথ্যা তথ্য জেনেও কিছু বলবার থাকে না। আপনাকে ধন্যবাদ।
৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩৯
জ্যাকেল বলেছেন:
বাংলাদেশে একটি উন্নয়নশীল দেশ, এটা জেনেই বড় হয়েছিলাম। স্নাতক পর্যায়ে গিয়ে জানতে পারলাম আমরা স্বল্পোন্নত দেশ। তারো অনেক পরে ২০১৮ সালে আমরা উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌছাতে পেরেছি।
এটা হল বাস্তবত। অথচ কি নির্জলা মিথ্যা কথাটাই আমাদের শেখান হয়েছিল। আরো না জানি কত মিথ্যা কথা দিয়ে এখনকার বাচ্চারা বড় হচ্ছে।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:১৬
মুবিন খান বলেছেন: আমাদের বাচ্চারা এখন অসংখ্য মিথ্যা প্রতিষ্ঠানিকভাবে নিত্যই শিখছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:৪৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
২০০৯ এ নবনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসার পর বলা হচ্ছিল -
হাসিনাকে না হটালে আরবরা আর কোন শ্রমিক নিবে না।
এরপর সৌদি ও আমিরাত দির্ঘদিন (৭ বছর) আর কোন লোক নেয় নি।
এরপর ২০১৩তে বলা হচ্ছিল যুদ্ধাপরাধী জামাত নেতাদের ফাঁসি দেয়া হলে আর কাউকে তো নিবেই না, বাকিগুলোকেও বের করে দিবে। কিন্তু এত কিছুর পর দিন দিন রেমিটেন্স বাড়ছিলই। করোনার ভেতর বেশী বাড়ছে ..
2003–2004 $3,371.97 M
2005–2006 $4,802.41 M
.
.
2009–2010 $10,987.40 M
2010–2011 $11,650.32 M
.
.
2019–2020 $18,205.01 M