নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অদৃষ্টরে শুধালেম, চিরদিন পিছে, অমোঘ নিষ্ঠুর বলে কে মোরে ঠেলিছে?সে কহিল, ফিরে দেখো। দেখিলাম থামি, সম্মুখে ঠেলিছে মোরে পশ্চাতের আমি।

মুবিন খান

নিজের পরিচয় লেখার মত বিখ্যাত বা বিশেষ কেউ নই। অতি সাধারণের একজন আমি। লিখতে ভাল লাগে। কিন্তু লেখক হয়ে উঠতে পারি নি। তবে এই ব্লগে আসা সে চেষ্টাটা অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্য নয়। মনে হল ভাবনাগুলো একটু সশব্দে ভাবি।

মুবিন খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরীমণি

১১ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:১৮




পরীমণি নামক পরীর মতো সুন্দর মেয়েটার একটা ছবি খুঁজতে গেছিলাম। অন্তরে আমার সুপ্ত বাসনা পরীর মতো সুন্দর এই মেয়েটার একটা ছবি লাইফ সাইজ বানায়ে ফ্রেমে করে বান্ধায়ে ঘরের দেয়ালে টাঙায়ে দিব। তো কাঙ্ক্ষিত ছবির তরে গুগল ঘাঁটতেছি। ছবি একটা দেখে মনে হলো এইটারে ফ্রেমে বান্ধালে মানাবে। শাড়ি পরা পরীমণি। তবে বুকের আঁচল হেথা-হোথা না, বুকেই আছে। ফ্রেমে বান্ধায়ে দেয়ালে টাঙায়ে রাখলে কেউ দৃষ্টিতে সন্দেহ লয়ে আমার পানে তাকাবে না। আঁচলের বিষয়টা বোঝা যায় নাই, ঠিক না?

একটা ঘটনা বলি। '৯৫-'৯৬ সালের ঘটনা। সন্ধ্যার পর গেছি এফডিসিতে। এক্কেরে শেষ মাথাটা খুব আলোকিত হয়ে আছে। জায়গাটা অনেকটা পার্কের মতো। নায়ক-নায়িকাদের রোমান্টিক গান-বাজনার দৃশ্যায়ন সাধারণত ওইখানেই হয়। কাছে যাওয়ার পর দেখা গেল সেদিনও গানের দৃশ্যর শুটিং চলতেছে। গান বাজলেই নায়িকা নাচে। নায়িকার পেছনে অনেকগুলা মেয়ে। তারাও নাচে। এক লাইন গাওয়া হলেই থেমে যায়। নৃত্যছন্দ কিংবা ঠোঁট নড়াচড়ার সমস্যা। স্পুল টেনে ওই লাইন আবার বাজানো হয়। এভাবে চলতে থাকে। আমি গিয়ে ডিরেক্টরের পিছনে দাঁড়ায়ে পড়লাম, 'ভাই, সিনেমার নাম কি?'

ডিরেক্টর চেয়ারে হেলান মেরে বসা। তাকায়ে ইশারা করল পরে কথা বলবে। নায়িকারে নৃত্যর মুদ্রা দেখায়ে দিতে থাকা লোকটারে ডাক দিল। সে লোকে নায়িকা থুয়ে খিঁচে দৌড় মেরে কাছে আসতে বলল, ওই মেয়ে আঁচল দিয়ে পুরা বুক ঢেকে রাখছে ক্যান? বোরকা এনে দিব? জিগাও তো বোরকা পিনবে কিনা?

নায়িকা মেয়েটা এবারে শাড়িটার আঁচল নামায়ে ফেলল যেন বুক ঢেকে না ফেলে।

শাড়ির আঁচল দিয়ে যে বুক ঢেকে রাখা যাবে না- এই খবর তো পরীমণি মেয়েটা পরীমণি হওয়ার আগে জানত না। আমার মতো করেই এফডিসি গিয়ে জেনে ফেলছে।

পরীমণি মেয়েটা যে এখন এই দেশের চলচ্চিত্রর নায়িকা, এই কথা জানাতে গেলে লোকেরা আমারে মারবে। বর্তমান বাংলাদেশের কানার ভাই অন্ধও জানে যে পরীমণি নামক পরীর মতো সুন্দর মেয়েটা সিনেমার নায়িকা। নায়িকা হওয়ার ক্ষেত্রে অলিখিত কিছু শর্ত আছে। শর্ত হলো, খালি পরীর মতো সুন্দর হলে হবে না। নৃত্য করতে জানতে হবে। বিশেষ নৃত্য। এই নৃত্যরে বলে আবেদনময়ী। এই নৃত্য না জানলেও সমস্যা নাই, সিনেমাঅলারা শিখায়ে নিবে। এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো, সে যে পরীর মতো সুন্দর সেইটা দেখাতে জানতে হবে। আরও আছে, যে বুকের জন্যে নির্মিত শাড়ির আঁচল, সে আঁচলরে বুকে থাকতে দেয়া যাবে না। নাইলে হবে না।

তো যে ছবিটা ফ্রেমে বান্ধানের জন্য পছন্দ হলো সে ছবিতে পরীমণির গাঢ় সবুজ রঙা একটা শাড়ি পিন্দে নৃত্যর মুদ্রা টাইপ একটা ভঙ্গি করে হাসতেছে। এই হাসির নাম বুকে বিন্ধে যাওয়া হাসি। আমার অবশ্য বুকে বিন্ধে নাই। বুকে বিন্ধে যাওয়া হাসি হাসতে পারা লোক আমার আছে।

তো সেই ছবির সঙ্গে যে খবরটা আছে, সে খবরের শিরোনাম হলো, ‘লকডাউনে কেমন আছেন পরীমণি?’ রিপোর্টার একলা জানতে চান নাই। আরও হাজারে হাজারে, লাখে লাখে লোকেরা জানতে চেয়েছেন।

বিষয় হলো, শাড়ির আঁচল যদি নায়িকার বুক ঢেকে ফেলে তাহলে ওই রিপোর্টার লোকে 'লকডাউনে পরীমণি মেয়েটা কেরম আছে' -জানতে যাবে না। হাজারে হাজারে, লাখে লাখে লোকেরাও রিপোর্ট পাঠ করে জানতে আসবে না- 'লকডাউনে পরীমণি মেয়েটা কেরম আছে।'

আমার এক ভাগ্নেকে কোলে করে তার বাবার লাশ দেখাতে নিয়ে গেছিলাম। পরীমণি মেয়েটা ঠিক ওই ভাগ্নেটার সমান বয়সি।

আমার বন্ধুভাগ্য নিয়ে আমার অহংকার আছে। পরীমণি মেয়েটা বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলার। পিরোজপুরেও আমার বন্ধুবান্ধব আছেন। আছেন ভাইও। তেমনি এক ভাই জানালেন, পরীমণি মেয়েটা গাঁয়ের মানুষ। বেড়ে উঠছে নম্র, ভদ্র আর ধর্মীয় অনুশাসন লয়ে। লেখাপড়া তার গাঁয়েই। ছেলেবেলায় মেয়েটার মা আগুনে পুড়ে মরে গেল। আগুনে পোড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি মরে যান নাই, দুটা মাস অসহ্য যন্ত্রণায় ভুগছেন। তারপর মরে গেছেন। এরপরে মরে গেল পরীমনির বাপটাও। মরে যান নাই আসলে। ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষ লোকেরা মেরে ফেলছে।

কাদামাটি আর ধর্মীয় অনুশাসনের মতো পরীমণি মেয়েটা অভিভাবকশূন্য হয়েও বেড়ে উঠছে। মেয়েটার একমাত্র আপনজন তার মায়ের পিতা। তার নানা। যে স্কুলে পরীমণি পড়ত, সেখানে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল। ওই প্রথম। ও স্কুল থেকে এর আগে আর কেউ বৃত্তি পায় নাই। স্কুল শিক্ষকরা বলছেন, লেখাপড়ার দিকে মেয়েটার খুব করে আগ্রহ ছিল। কিন্তু একমাত্র আপনজন বৃদ্ধ নানা কৈশোরেই পরীমনিরে ওই গ্রামেরই এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে সংসারী করতে চাইল। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় বিত্তহীন পরিবারে পরীর মতো সুন্দর একটা মেয়ে তো অনেকটা একটা অভিশাপের মতো। কিন্তু নানার চেষ্টাটা সফল হয় নাই। পরীমণির সংসারটা দুই বছরের বেশি টিকে নাই। না টেকার দায়টা পরীমনির না। মেয়েটার স্বামী পরিচয় বহন করতে থাকা যে ছেলেটা, সেই ছেলে পরীমণির নানার কাছে দু লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে বসল। নানা টাকাটা দিতে পারেন নাই। তাই রাগে স্বামী পরিচয়ের ছেলেটা পরীমণিকে তালাক দিয়ে দিল।

এরপর কালের পরিক্রমায় পরীমণি মেয়েটা নায়িকা হয়ে গেল। নায়িকা হওয়ার কিছু শর্ত আছে। খালি পরীর মতো সুন্দর হলেই হবে না। সে যে পরীর মতো সুন্দর সেইটা দেখাতে জানতে হবে। আবেদনঅলা নৃত্যকলা করতে জানতে হবে। আর বুকের আঁচল বুকে থাকতে দেয়া যাবে না…

এখন পরীমণি নামে এই মেয়েটার ছবি বান্ধায়ে রাখতে চাওয়ার রহস্য বলি। দেখেন তো, গাঁয়ের নম্র, ভদ্র আর ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে বেড়েওঠা পরীর মতো সুন্দর বিত্তহীন পরিবারের এই মেয়েটা এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। তারে ধরে ফেলতে র‍্যাব ত্রা পুরা বাড়ি ঘেরাও করে ফেলে। দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকের এমডি আর সিইও তারে সাড়ে তিন কোটি টাকা দামের গাড়ি উপহার দেয় বলে খবর হয়। তারপরে ব্যাংকের হেড অব কোর্ট অপারেশন থানায় জিডি করে বলে- এই মেয়েরে আমাদের বস লোকে এই জীবনেও দেখে নাই। এই মেয়ে মামলা করতে গেলে গোয়েন্দা কর্মকর্তার লগে প্রেম হয়ে যায়। যাদের লগে প্রেম হয় না তারা দুঃখে মাথার চুল ছিঁড়ে। পুরান নায়িকাগুলা ঢলে পড়া সূর্যর মতো জ্বলজ্বলে হয়ে অকথা-কুকথা কয়। দেশের মাথা মাথা লোকেরা সুচিন্তিত মতামত দেয়। ফেসবুকের লাখ লাখ লোকের লোলুপ চোখে এই মেয়েরে দেখে আর বোরকা হেজাব পিন্দে ফেলতে বলে পরামর্শ দেয়। তো যারে নিয়ে একটা পুরা দেশের নির্বিশেষে নারীপুরুষ, সাংবাদিক, অলোক-কুলোক, সকলের ঘুম হারাম -তার ছবি বান্ধায়ে ঘরের দেয়ালে টাঙায়ে রাখা দায়িত্ব ও কর্তব্য।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:২১

সাজিদ! বলেছেন: সময়ের কি অপচয় এই লেখা!
ওর মেকাপ প্রোডাক্টের টাকা দিয়ে আপনার আমার সংসার চালানো যাবে।

১১ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৫০

মুবিন খান বলেছেন: বিশ্বাস করেন, পুরো জীবনটাই অপচয় করে ফেলছি। তার থেকে একটু সময় না হয় এইখানে অপচয় হলো- সমস্যা কি!

এখন প্রশ্ন হলো, শিরোনাম দেখেই লেখার বিষয় বুঝে ফেলতে পারার কথা। তাহলে আপনি কেন পড়ে আপনার দামি সময় এখানে খরচ করতে এলেন! মন্তব্যেও খানিকটা সময় অপচয় করলেন! রহস্য কি!

২| ১১ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:২৫

সাসুম বলেছেন: এটার দায়- দেশের , সমাজের , এডুকেশান সিস্টেমের এবং অশিক্ষিত জাতির।

এই গন্ড মূর্খ জাতি জানেনা, কি নিয়ে কেমন রিয়াকশান দেখাতে হবে, এই সেক্স ডিপ্রাইড জাতি জানেনা কখন কি করতে হবে, এবং এই ধার্মিক জাতি জানেনা ফেসবুকের কমেন্ট বক্সে খাঙ্কে মাগে ওড়না কই বললেই ধর্ম কায়েম করা হবে।

এই টপিক একটা বিষাক্ত টপিক হয়ে গেছে এখন ।

১২ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৭

মুবিন খান বলেছেন: এটার দায় আমাদের। আপনি এবং আমিও এর অন্তর্ভুক্ত। আমরাও সমাজের অংশ। ফলে 'বিষাক্ত টপিক' বলে দায় এড়ানোর সুযোগ আসলে নেই। আমি অন্তত এড়াচ্ছি না... আরেকটা কথা বলতে চাই, নিজের জাতিকে গালাগাল কখনও সমাধান আনতে পারে না। আত্মসন্মানটাকে জরুরি ভাবলে আগে নিজ জাতিকে সন্মান করতে জানতে হবে। কেননা জাতি অসন্মানিত হলে আমি কোনোভাবেই সন্মানিত হতে পারি না।

৩| ১১ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৪২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: একটা চরম ব্যাক্কল জাতির মনোযোগ মূল সমস্যাগুলো থেকে সরিয়ে কত সহজেই না ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করা সম্ভব এই সব পরীমনি, সোনামনি প্রসঙ্গ দিয়ে। আর যারা জনগণের বিশাল সম্পদ লুটপাট করে আমোদ, প্রমোদ করছে, এদের কাউকে নিয়ে মিডিয়ার সাংঘাতিকরা এতো উচ্চবাচ্য করছে না, করলেও তারা বেশ সিলেকটিভ্লি কিছু ব্যক্তিকে নিয়ে কিছুটা জল ঘোলা করছে। পরীমনিকে ধোয়া তুলসী পাতা তো বলা যাবে না কোনোভাবেই, কিন্তু ওই সকল রথী মহারথীদের কাছে সে একটি পুঁটিমাছ বই কিছুই নয়। সে বাস্তবিকই চরম ইম্যাচুর্ড কাজ করে বসেছে সাপের পায়ে পাড়া দিয়ে। মেয়েটির যে অপরাধই করে থাকুক সে যেন একজন নাগরিক হিসাবে আইনি পথে তার অধিকার প্রয়োগ করতে পারে এটুকুই কামনা করতে পারি।

১২ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৫

মুবিন খান বলেছেন: জাতিকে ব্যাক্কল বলে দেয়া কত সহজ! তাই না? আবার বলে দিলেন, 'জনগণের বিশাল সম্পদ লুটপাট করে আমোদ, প্রমোদ করছে।' কারা করছে? যারা করছে তারা কি এই 'ব্যাক্কল জাতি'র ফসল? নাকি ভিনদেশ থেকে এসেছে? 'মিডিয়ার সাংঘাতিকরা এতো উচ্চবাচ্য করছে না'- 'সাংঘাতিক' শব্দটি সম্ভবত ইচ্ছে করেই বিকৃত করে বলা। আর এরা উচ্চবাচ্য না করার অর্থ হলো এরা জানে যে, ঘটনা 'উচ্চবাচ্য করার মতো। কিন্তু করছে না? 'ব্যাক্কল জাতি'র লোক বলে না ভিনদেশের বলে এটা পরিস্কার নয়।

কথা হলো অন্যায় তো অন্যায়ই। হোক সে অন্যায় এক পুঁটিমাছের ওপর। অন্যায়ের প্রতিবাদটা হওয়া দরকার। খুব দরকার। আপনার শেষের বক্তব্যে সমর্থন জানাই, মেয়েটির যে অপরাধই করে থাকুক, সে যেন এদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আইনি পথে তার অধিকার প্রয়োগ করতে পারে। সুবিচার সকল নাগরিকের অধিকার।

৪| ১১ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:০৭

কামাল১৮ বলেছেন: পরীমনিরা ভুল সময়ে ভুল জায়গায় জন্মায়।

১২ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মুবিন খান বলেছেন: দ্বিমত আছে। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আমলা, কামলা, শিল্পী সকলের নিজস্ব কাজ থাকে। তেমনি সে কাজটি করবার জন্যে একটা পরিবেশ থাকে। আমরা সে পরিবেশটি তৈরির চেষ্টাটিই করি নি। আজকে পরীমণি মেয়েটা না থাকলে ওর জায়গায় নীলুমণি আসত। তাকেও একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়া লাগত। তখন বলা লাগত, 'নীলুমণিরা ভুল সময়ে ভুল জায়গায় জন্মায়।' ফলে এই বলাবলি আসলে সমাধান আনবে না। পরিবেশ তৈরির প্রচেষ্টাটা সমাধান আনবে।

৫| ১১ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:১১

হাবিব বলেছেন: পরিমণি একটা ইস্যু বই অন্যকিছু না। ওর নিজের দোষে নয় অন্যকারো দোষ ঢাকার জন্য ওনাকে সামনে আনা হয়েছে। কারণ এই ইস্যু টা জনগন খাবে ভালো।

১২ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৭

মুবিন খান বলেছেন: হ্যাঁ, আমরাও খাচ্ছি। তাই নয়?

৬| ১১ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: এই দেশে জন্ম নেওয়াটা ভুল। মস্ত বড় অন্যায়।

১২ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৬

মুবিন খান বলেছেন: হতাশ হোয়েন না। কোথাও জন্ম নেয়া ভুল নয়। দেশ গড়তে হয়। আমরা গড়তে পারি নি। পারছি না এখনও।

৭| ১১ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:১৫

রানার ব্লগ বলেছেন: একজন অভিনেত্রী হিসেবে তার সময়ের চলচিত্রের একজন ভালো মাপের অভিনেত্রী। ভালো করে দেখবেন তার মুভিগুলো যেটাই সুপারহিট হয়েছে তার গুনে এবং দক্ষতায় হয়েছে নায়কের গুনে বা দক্ষতায় না। একজন অভিনেত্রী পরিমনি কে আমি শ্রধ্যার চোখে দেখি ব্যাক্তি তিনি কি বা কেমন এটা নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নাই এবং আমার নিজের মনে হয় কার থাকাও উচিৎ না।

১২ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫

মুবিন খান বলেছেন: আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকে স্বাগত। ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ১১ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:২৫

মেহবুবা বলেছেন: এমন একটা গাঁয়ের মেয়ে, পিতৃ -মাতৃহীন ; সে এত সুন্দরী কেন হোল ?? কুৎসিত বা দৃষ্টিকটু হলে ভালো হতো। এত সুন্দরী হয়ে অন্যায় করেছে !!
সুন্দরী যখন হয়েই গেল বুদ্ধিমতি-চালাক হলো না কেন ?

দেশে করোনা নেই, ডেঙ্গু ও নেই,হাসপাতালে শয্যা সংকট নেই, সবাই খেয়ে পরে ভাল আছে ( বগুড়ার শিক্ষিকার পরিচ্ছন্ন কর্মী হবার ঘটনা বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র); পরীমণি বায়োস্কোপ চালু হয়েছে বিনোদনের জন্য ।

আজকের পত্রিকায় শাহজাহান ওরফে বাবলু নামে শীর্ষ ঋনখেলাপির দুবাইয়ের বিলাসী জীবনের গল্প পড়লাম, সুন্দর ছবিও দেখলাম; এমন আরো কত জনের খবর পড়ি এবং ভুলেও যাই। কত আর মনে রাখা যায়!

অনেক ভাবনা চিন্তা করে বুঝতে পারলাম পরীমণি সবচেয়ে বড় অপরাধী, ওর চেয়ে বড় অপরাধী কি কেউ আছে ?? থাকলে তার বিষয়ে প্রচার প্রচারণা বেশী হোত !

তারপরেও বলবো মেয়েটার জন্য খারাপ লাগছে,মায়া লাগছে; যাকে আগে জানতাম না চিনতাম না সেই মেয়েটার জন্য কষ্ট হচ্ছে ।

১২ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মুবিন খান বলেছেন: নাজিম হিকমতের একটা কবিতার অংশ বলি,
"যে বছর জেল এলাম
একটা পেন্সিল পেলাম
লিখে লিখে ক্ষইয়ে ফেলাতে এক হপ্তাও লাগে নি।
পেন্সিলকে জিজ্ঞেস করলে সে বলবে:
“একটা গোটা জীবন।”
আমি ব’লব:
“এমন আর কী, একটা মাত্র সপ্তাহ।"

হাসপাতালের শয্যা সংকট যেমন বড় সমস্যা, শীর্ষ ঋণখেলাপির সমস্যা যেমন বড় সমস্যা পরীমণি মেয়েটার সমস্যাকেও ছোট করে দেখার উপায় নেই। আপনার মানবিক অনুভূতিকে স্বাগত।... এবং ধন্যবাদ জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.