নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের পরিচয় লেখার মত বিখ্যাত বা বিশেষ কেউ নই। অতি সাধারণের একজন আমি। লিখতে ভাল লাগে। কিন্তু লেখক হয়ে উঠতে পারি নি। তবে এই ব্লগে আসা সে চেষ্টাটা অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্য নয়। মনে হল ভাবনাগুলো একটু সশব্দে ভাবি।
এই তুমি কি বাইরে যাবা?
হু যাব।
কখন যাবা?
হাতের কাজ শেষ করে নেই, তারপর যাব।
শোন, আসার সময় গরম মসলা আনবা।
আচ্ছা।
শ্যাম্পু ফুরিয়ে গেছে, একটা শ্যাম্পু আনবা।
আচ্ছা।
শোন, গরম মসলার সব আইটেম আনবা, দারচিনি গোল মরিচ তেজপাতা এলাচি...
আচ্ছা বাবা আনবো।
না, তুমি ভুলে যাবা, লিখে নাও।
আচ্ছা লিখব। কাগজে লিখবা না। কাগজে লিখলে কাগজ দেখতে ভুলে যাবা, ফোনে লিখ।
আচ্ছা, যাওয়ার সময় লিখব নে, এখন কাজ করতে দাও।
বেরুবার সময়...
এই তোমাকে কি কি আনতে বললাম...
আচ্ছা, নিয়ে আসবো।
না, আনবা না, তুমি ভুলে যাবা, লিখে নাও।
লিখতে হবে না, মনে থাকবে। আর ফেরার সময় ফোন করব, তখন বলে দিয়ো।
রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে এক সুহৃদ ফোন করলেন, শোন, আমি আজকে এক কেজি আম ফেলছি!
তাই নাকি! খুবই ভালো খবর। আচ্ছা, বাজারে লিচু আছে না এখনও।
আছে। বেশি দিন থাকবে না। এখন শেষ দিকে।
এবারে এখনও ভালো করে লিচু খাওয়া হয় নাই। লিচু খেতে ইচ্ছা করছে।
কথা বলতে বলতে বাজারে পৌঁছে সোজা লিচুর সামনে।
লিচু কত করে দিচ্ছ?
চারশ' টাকা শ'
কম রাখবা না? তিনশ' টাকা দেই।
লিচুঅলা বলে, কালকা পাচশ' টাকায় কিনতে হবে।
শুনে মেজাজ খারাপ হয়, আচ্ছা কালকা পাচশ' টাকা দিয়ে কিনবো। বলে পরের জনের কাছে, লিচু কত করে দিচ্ছ?
এই লোক তাকিয়েই বিগলিত হাসি হাসে। সাড়ে তিনশ' দিয়েন।
তিনশ' দেই।
আপনে মনে হয় আমারে চিনেন নাই। আমি আপনেরে চিনি। আপনে মৌচাকে বাবুল ভাইয়ের দোকানে যাইতেন।
এখন আর কিছু বলা যায় না। আচ্ছা দেও। লিচু হবে ভালো তো?
লন, খাইয়া দেখেন, বলে একটা লিচু এগিয়ে দেয়।
খাইতে হবে না, দেও, বলতে বলতে আমিও হাত বাড়িয়ে লিচুটা নিয়ে ছিলতে শুরু করি। ছেলা হলে মুখে পুরে বলি, ঠিকমতো আছে তো নাকি বাসায় গিয়ে দেখব বিরাশিটা...
না ভাই, না ভাই, ঠিক আছে। ভাই কি আগের বাসাতেই আছেন?
হু, আচ্ছা যাই।
আইসেন ভাই।
লিচু নিয়ে মনের আনন্দে বাসায় ফিরে বলি, নেও, লিচু নিয়ে আসছি।
গরম মসলা কই!
আনি নাই। ভুলে গেছি।
এক গাদা জিনিসের নাম বললাম আর খালি লিচু নিয়ে বলছে ভুলে গেছি! তোমার না ফেরার আগে ফোন করার কথা!
ভুলে গেছি।
ভুলে গেছি! তোমারে না বললাম লিখে নেও!
লিখতে ইচ্ছা করছিল না। হৈচৈ কইরো না তো, লিচু আনছি, লিচু খাও।
তুমি খাও।
পরে খাবো। এখন গোসল দিব। অনেক গরম, বলতে বলতে আমি গোসলখানায় ঢুকে পড়ি। ঝর্ণা ছাড়তে ছাড়তে গজগজ করে বলি, ভাত খেতে ভুলে যাই আর আমারে বলে মনে করে গরম মসলা আনতে, হুহ্।
ঝর্ণার শীতল জল এসে আমাকে ভেজাতে শুরু করে। শরীর জুড়ে একটা প্রশান্তি ছড়িয়ে পড়ে।
০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১:৩৫
মুবিন খান বলেছেন: এতটা বিশ্বাসযোগ্য! লেখাটা সার্থক হলো।
২| ৩১ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভাত খেতে ভুলে যাই, আর আমারে বলে বাজার থেকে চাল কিনতে। হুহ! ভালো লেগেছে। দেশে দেশে এমন আত্মভোলা, ভাতভোলা স্বামীর জন্ম হোক
০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১:৩৬
মুবিন খান বলেছেন: দেশে চারপাশ জুড়ে খালি অনুসন্ধিৎসু লোক। আত্মভোলা লোকেদের এখন খুব দরকার।
৩| ৩১ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৮
কামাল১৮ বলেছেন: সময় থাকতে খেয়ে নেন।বয়স হলে ভুলে না গেলেও ডাক্তার ভুলিয়ে দেবে।
০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১:৩৭
মুবিন খান বলেছেন: মূল্যবান পরামর্শের জন্যে ধন্যবাদ জানবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মে, ২০২১ রাত ২:১২
রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন মনে হচ্ছে।