নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অদৃষ্টরে শুধালেম, চিরদিন পিছে, অমোঘ নিষ্ঠুর বলে কে মোরে ঠেলিছে?সে কহিল, ফিরে দেখো। দেখিলাম থামি, সম্মুখে ঠেলিছে মোরে পশ্চাতের আমি।

মুবিন খান

নিজের পরিচয় লেখার মত বিখ্যাত বা বিশেষ কেউ নই। অতি সাধারণের একজন আমি। লিখতে ভাল লাগে। কিন্তু লেখক হয়ে উঠতে পারি নি। তবে এই ব্লগে আসা সে চেষ্টাটা অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্য নয়। মনে হল ভাবনাগুলো একটু সশব্দে ভাবি।

মুবিন খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

এল খুশির ঈদ

১৫ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:৩৯



কদিন আগে বন্ধুস্থানীয় একজন কথায় কথায় বললেন, ‘ভাই, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া একটা লোকও করোনায় মরে নাই‘। আমি খুব বিস্ময় নিয়ে তার দিকে তাকালাম। তার এই একটা বাক্যেই তাকে আমার ভয় করতে লাগল। কিছুক্ষণ চুপ থেকে খুব মোলায়েম করে তাকে জানালাম, তার এই ধারণাটি একেবারে সঠিক নয় এবং ভিত্তিহীন। বন্ধুস্থানীয় হলেও তিনি কোনো এক অদ্ভুত কারণে আমার কথাবার্তা পছন্দ করেন। যুক্তিগুলো শোনেন এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেনে নেন। সেদিনও যখন মেনে নিলেন, আমি বুঝে গেলাম তিনি আসলে কখনোই কোনোকিছু মেনে নেন না। নিজের কাছে পর্যাপ্ত যুক্তি ও তথ্যর অভাবটা উপলব্ধি করে মেনে নেয়ার ভান করেন।

‘ভান’ শব্দটা অভিনয় করা বোঝায়। কিন্তু ‘অভিনয়’ ধনাত্মক। ‘ভান’ ঋণাত্মক। অভিনয় করেন যিনি তিনি শিল্পী। ভান যিনি করেন তিনি কপট ও শঠ। দুঃখজনক হলো এই কপট ও শঠ লোকেরা কি করে যেন সমাজ পরিচালকদের একজন হয়ে যায়। এদের দেখবার-জানবার পর যে কৌতূহলটি জাগে সেটি হলো, এরা কি আগে থেকেই অমন শঠ ও কপট ছিল? নাকি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পরে এমন করুণ কপট ও শঠ হয়েছে। এর উত্তরটি আগে বিভ্রান্ত ছিল। এখন সহজ হয়েছে। আগেই ছিল। আগে ক্ষমতাহীন ছিল বলে মিইয়ে ছিল। নিজেকে প্রকাশ করে নি বলে বোঝা যায় নি। এখন ক্ষমতা পেয়ে খোলস ছেড়ে বেরুচ্ছে। আরো ক্ষমতা পেলে তখন আর মেনে নেবে না। মেরে হাড় গুঁড়ো করে দেবে।

আমাদের জীবনে কিছু নতুন শব্দের ব্যবহার বেড়েছে। চলতে ফিরতে হাঁটতে ঘুমাতে সারাক্ষণ সেসব শব্দের ব্যবহার চলছে। জীবনে নতুন কিছু অনুষঙ্গ যুক্ত হয়েছে- সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক, স্যানিটাইজার, পিপিই, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম ইত্যাদি। সারাক্ষণ সকলকে মাস্ক পরবার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বাধ্যও করা হচ্ছে। সীমিত পরিসরে কাজকর্ম চালাতে বলা হচ্ছে। ঘর থেকে বেরুতে নিষেধ করা হচ্ছে। অফিসের কাজগুলো ঘরেই করতে বলা হচ্ছে।

ইংরেজিতে একটা শব্দ আছে- ফ্যামিলিয়ার। এই যে হঠাৎ করে জীবনে এমন বিশাল একটা পরিবর্তন, মানুষ কি এই পরিবর্তনের সঙ্গে ফ্যামিলিয়ার হয়ে গেছে? নাকি মহামারী করোনা ভাইরাসের সঙ্গে ফ্যামিলিয়ার হয়ে গেছে? এ প্রশ্নটি বিভ্রান্তি। এ বিভ্রান্তি যতই দিন যাচ্ছে ততই দৃঢ় হচ্ছে যেন।

মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি বলে একটি ব্যাপার আছে। সহজাত প্রবৃত্তি হলো জন্মগত আচরণ। জন্মগতভাবে সে স্বাধীনচেতা। তাকে কোনোকিছুতে বাধ্য করা কঠিন। বাধ্য করতে গেলে সে বেঁকে বসে। চোখ পাকায়। এরপর প্রতিবাদে উচ্চকণ্ঠ হয়। এ কারণেই করোনা আবির্ভাবের প্রথম বছরে আমরা দেখেছি লোকেরা সামাজিক দূরত্বর বিষয়টিতে উদাসীন। মাস্ক পরতে রাজি নয়। ঘরে থাকতেও তাদের আপত্তি। রাষ্ট্রকে তার নাগরিকদের ঘরে রাখতে লকডাউন আরোপ করতে হয়। অনেক দেশে কারফিউও জারি করা হয়েছে।

আরেকদল আছে এরা প্রচণ্ডরকম নিয়মতান্ত্রিক। করোনার শুরুতেই এরা বাজার খালি করে ফেলল। বাজারের সকল খাদ্যসামগ্রী আর স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম কিনে ফেলে ঘর বোঝাই করে ফেলল। এদের জন্যে আইন করা লাগল- দুটা বা তিনটার বেশি পেমেন্ট করা যাবে না। এদেরও একটা প্রবৃত্তি আছে। এদের ভুবনটি ক্ষুদ্র। আমি সর্বস্ব।

পৃথিবীতে করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব বছর দেড়েক পেরুলো। শুরুর চিত্রটা সামান্য পাল্টেছে। সেটিকে আশাব্যঞ্জক বলে মনে হচ্ছে না। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের লোকেরা করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব বিশ্বাস করেন না। একই চিত্র ভারতেও। খবররের কাগজে রোজ খবর পাই, ভারতে কিম্ভুত সব চিকিৎসা পদ্ধতি চলছে। চিকিৎসার সে ব্যবস্থা সুস্থ ধারার লোকেদের কাছে গা ঘিনঘিনে ব্যাপার। চলছে হাস্যকর চিকিৎসা পদ্ধতিও।


এভাবেই চলতে চলতে ‘এল খুশির ঈদ’। এল পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলমান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। গেল বছরের ঈদুল ফিতরে করোনার আগমন সদ্য ছিল। মানুষ বিভ্রান্ত ছিল, ভীত ছিল, কিংকর্তব্যবিমূঢ় ছিল। এ বছরে দুয়ের সহাবস্থানের সময়টা বেড়েছে। গেল বছরের বিভ্রান্তি, ভীতি কিংবা বিমূঢ়তা এবারে নেই তেমন। গেল বছরে করোনা ভারতে তেমন আক্রমণ করতে না পারলেও লকডাউন ছিল। ঈদে মানুষ বেরুতে পারে নি। খবরের কাগজে খবর এসেছে, লকডাউনের ফলে প্রায় দু’মাস নিম্ন ও মধ্য আয়ের লোকেদের কোনো উপার্জন নেই৷ তার ওপর সামাজিক দূরত্বের বিধিতে ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে গিয়েছিল। এ বছর করোনার আক্রমণে ভারতে পাখির মতো মানুষ মরছে। দিল্লির পার্ককে শ্মশান বানিয়ে লাশ পোড়ানো হচ্ছে। কিন্তু কলকাতায় চলেছে নির্বাচন উৎসব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারো মুখ্য মন্ত্রী হয়েছেন। চলেছে তার বিজয় উৎসব। হ্যাঁ, সীমিত পরিসরেই।

পাশের দেশ বাংলাদেশে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে যেন ভারত থেকে ভেতরে কেউ ঢুকতে না পারে। ভয়, ভারতের ভাইরাস যেন ঢুকে না পড়ে। ভয়টা অমূলক নয়। সাবধানতাটা দরকার বটে। কিন্তু সে সাবধানতা কাজে লাগে নি। খবরের কাগজের খবরে এসেছে, বাংলাদেশের ছয়জনের শরীরে ভারতের করোনা পাওয়া গেছে। যাবেই। সীমান্ত তালা দিয়ে তো হাওয়া বন্ধ করা যায় না। তাছাড়া ভারতের লোকেদের প্রবেশাধিকার বন্ধ রাখলেও ভারতেও পণ্য তো ঢুকছে। না ঢুকলে চলবে না। সামাজিকমাধ্যমে যতই ভারত বিরোধিতা চলুক বাংলাদেশের বাজারটা তো আসলে ভারত নির্ভর। ভারতের পণ্য না এলে দ্রব্যমূল্য নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের আয়ত্তের বাইরে চলে যাবে। এক ধরনের দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে যাবে। বেড়ে যাবে মুদ্রাস্ফীতি। মুক্তবাজার অর্থনীতি চলছে তো।

করোনার শুরুতে নানা দেশ নানা দেশের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করেছে। এটা আসলেই দরকারি পদক্ষেপ। কিন্তু পদক্ষেপটা সময়মতো হওয়া চাই। নইলে লাভ কিছু হবে না। চীন থেকে ব্রাজিল আর নিউ ইয়র্কে তো করোনার পৌঁছুতে পারার কথা না। কিন্তু পৌঁছেছিল। নিউ ইয়র্কে দুঃস্বপ্নের মতো মৃত্যুর যে মিছিল চলেছিল তা কি ভুলতে পারব কোনোদিন? পারবে কি কেউ ভুলতে কখনো?

২০১৯ সালে নিউ ইয়র্কে একাধিক খোলা মাঠ, মসজিদ ও কমিউনিটি সেন্টারে ঈদুল ফিতরের নামাজ হয়েছিল। নিউ ইয়র্কের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাতের আয়োজনটি হয়েছিল টমাস এডিসন স্কুল মাঠে। সেখানে প্রায় ১০ হাজার মানুষ একসঙ্গে ঈদের নামাজ পড়েছিলেন। কিন্তু পরের বছরই তাতে ভিন্নতা নিয়ে এল করোনা। খবরের কাগজে খবরের শিরোনাম হলো, নিউ ইয়র্কে এল খুশীর ঈদ বিষণ্ণ হয়ে’।

এবারে সে একই চিত্র আমরা দেখতে পাচ্ছি ভারতে। কিন্তু এতে বাংলাদেশের মানুষের যায় আসে না। যে দেশের মানুষের কাছে পবিত্র মাহে রমজান মানে খাদ্যবিলাসী হওয়া, যে দেশের মানুষের কাছে ঈদুল ফিতর মানে যেভাবেই হোক, ছলে-বলে-কৌশলে গ্রামের বাড়ি যাওয়া, যে দেশের মানুষ দাঁত বের করে নির্দ্বিধায় বলে দেয়, কিছু হবে না- তাদেরকে নিয়ে বলবার কিছু নেই আসলে।

বলবেনই বা কি করে, আপনি তো এদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারেন নি। ওর চুলায় হাড়ি না চড়লে আপনি তো চাল নিয়ে তার বাড়ি চলে যাবেন না। জানবেনই তো না। এক কিলোমিটার পথ চলতে প্রায় শ’খানেক ভিক্ষুক এসে হাত পাতে। আপনি বলছেন দেশে ভিক্ষুক নাই। কতশত ছেলেমেয়ে কাজ হারিয়ে কিসব কিসব করছে তার খোঁজ কি রাখেন আপনারা? তাহলে বলবেন কেন? বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ যারা তারা নিজেরটা নিজেরাই করতে জানে। করেও। সেকারণে দোকান-ভাঙা ছেলেটা পরদিনই একটা বাক্সে সরঞ্জাম তুলে ফুটপাতে বসে পড়ে। চাকরিহারা শ্রমিকটি টুকরিতে সবজি নিয়ে ফেরি করতে নেমে যায়। আপনার বাড়ি-অফিসের সামনে গিয়ে কাজের দাবিতে গলার রগ ফুলিয়ে ফেলে না।

আর, ‘ভাই, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া একটা লোকও করোনায় মরে নাই’- বলা লোকটা ওয়ার্ড কমিশনার হয়ে বসে। আপনি এদের দৌরাত্ম্য থামান। এরাই মানুষকে বিভ্রান্ত করে। এদের কারণেই আজকের সমাজে যত অশান্তি আর বিশৃঙ্খলা।

করোনা কালে দ্বিতীয় ঈদুল ফিতরে সকলকে আন্তরিক ঈদ শুভেচ্ছা।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আপনার বন্ধু একটা গাধা।

১৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:১১

মুবিন খান বলেছেন: এমন গাধায় ছেয়ে গেছে চারপাশ। এদের শক্তিও সীমাহীন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২| ১৫ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:০১

অরূপ চৌহান বলেছেন: শ্রেণীবৈষম্যের অঙ্কিত রেখায় যত মানুষ মরে তার তুলনায় করোনা কিছুই না।তাই,সাধারণের এ ধারনা অমূলক নয়।তাদের বিশ্বাস নিয়ে বাচতে দিন।এদের বিভ্রান্ত করার কিছুই নেই।

১৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:১৬

মুবিন খান বলেছেন: ভাববেন না, তারা আমার-আপনার অপেক্ষায় নেই। আপন বিশ্বাসে তারা শৌর্য-বীর্যধারী লোকেদের মতোই বেঁচে আছে। থাকবেনও। আপনি বিচলিত হবেন না।

৩| ১৫ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: এনালাইসিস ভাল।
গ্রামে কি আপনার বাবা মা ভাই বোন থাকেন ?
সারা বছর কি তাদের ছেড়ে থাকতে হয়?

১৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৩৩

মুবিন খান বলেছেন: আমার বাপ-মা মরে গেছেন। বাপ-মা হারা এতিম আমি। আর জন্ম আমার ঢাকা শহরেই। ফলে গ্রামে কেউ থাকেন না। এবং এরপরেও সারা বছরই একলাই থাকি। সকলে আপনাপন সংসার লয়ে ব্যস্ত। আমার সম্পর্কে আরও তথ্য লাগলে জানাবেন। বলে দিব।

মানুষে মানুষে যে বন্ধন, নাড়ির যে টান সেটা বুঝতে গাঁয়ে গিয়ে থাকা লাগে না ভাই। সেটা বুঝতে লাগে অনুভূতি। মানবিক অনুভূতি। কেননা সম্পর্ক মানুষের নির্মাণ। সম্পর্ক মানুষেই গড়ে। শেকড়ের টান তাই মানুষেই অনুভব করে। অনুভূতি সম্পন্ন মানুষ সে টানের কদর করে। এই অনুভূতিই প্রিয় মানুষকে আগলে রাখে। তার ক্ষতি হতে দিতে চায় না।

সকল ঝুঁকি উপেক্ষা করে শেকড়ের কাছে পৌঁছতে চাওয়াটা আপাত 'অনুভূতির কদর' মনে হলেও পৌঁছুনর পর ঝুঁকির কতটা সঙ্গী করে নিয়ে গেল- এটা একটা প্রশ্ন হয়ে খাড়া হতেই পারে। অবশ্য অধিক 'অনুভূতি সম্পন্ন' যারা তাদের কাছে মনে হওয়ার যুক্তি নেই।

আমার ধারণা আপনি লেখাটির শেষাংশ পড়েন নি। কিংবা ভালো করে পড়েন নি। সেখানে রাষ্ট্রর দায়ের কথা বলা হয়েছে। বস্তুত মূল কথাটি ওটিই।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।০

৪| ১৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: জনাব মুবিন খান, আমি আপনাকে খুব সাধারন একটা প্রশ্ন করেছি- আমি আপনার ব্যাক্তিগত ইতিহাস শুনতে আগ্রহী নই। শুধু সেটুকু উত্তর দিলেই আমি বিস্তারিত আলোচনায় যেতাম। অযথাই আপনি সেটাকে তিল থেকে তাল বানিয়ে দিলেন।

আপনার কিভাবে ধারনা হল যে আমি আপনার পুরো লেখাটা ভাল করে পড়িনি? লেখা না পড়ে আমি কোন মন্তব্য করিনা।
অযাযিত মন্তব্য ও প্রশ্ন করাটা ভুল হয়ে গেছে। ধন্যবাদ - ভাল থাকুন

১৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৫৯

মুবিন খান বলেছেন: আপনার 'সাধারণ' প্রশ্নটি 'ব্যক্তিগতই' বটে। ফলে তাল আমি বানালাম কিনা এটি একটি ভালো প্রশ্ন হতে পারে।

বিস্তারিত আলোচনার আগে বাপ-মা, ভাইবোন কোথায় থাকে, গাঁয়ে থাকে না শহরে থাকে- এসব জেনে নিতে হয় বলে আমার জানা নেই। আমার ধারণা মন্তব্যর ঘরে ছিল বিস্তারিত আলোচনা এমনিতেই করা যায়। বাপ-মা, ভাইবোন কোথায় থাকে সেটা জানা থাকা লাগে না। আমার এই অজ্ঞানতাকে ক্ষমা করবেন।

ধন্যবাদ - ভালো থাকুন।

৫| ১৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার বন্ধুর মতন চিন্তা করার লোক এদেশে সবচেয়ে বেশি। এদের জন্য দেশ পিছিয়ে যাচ্ছে।

১৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩৬

মুবিন খান বলেছেন: বন্ধু নন, বন্ধুস্থানীয়।... আপনি ঠিক বলেছেন।
অনেক ধন্যবাদ।

৬| ১৫ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৭

নীল আকাশ বলেছেন: ঈদ মোবারক, আপনি কেমন আছেন?

১৫ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৯

মুবিন খান বলেছেন: ভালো আছি। আপনি ভালো আছেন?
অনেক শুভেচ্ছা জানবেন। ঈদ মুবারক।

৭| ১৭ ই মে, ২০২১ রাত ১২:৩৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার লেখাটা আমার বেশ ভালো লেগেছে। একদম প্রকৃত চিত্রই ব্যাখ্যা করেছেন।
আগে বেশ রিএ্যাক্ট করতাম, কিন্তু এখন আর করি না, হতাশায়!!

১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:১৯

মুবিন খান বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি উৎসাহব্যঞ্জক। আপনাকে কৃতজ্ঞতা।

কিন্তু যিনি আর জনকে উৎসাহিত করলেন তিনি নিজেই যদি হতাশায় থাকেন- ভালো লাগে না। হতাশা মানে তো হাল ছেড়ে দেয়া- তাই নয়? মানে হলো, ধুর, আর কিছু হবে-টবে না।

আমি হতাশ হই না। হতাশ হতে আমার ভালো লাগে না। দেখেছি তো। নিজের ক্ষতি ছাড়া লাভ কিছু হয় না।

এই ভাবনা ভাবতে আমি রাজি নই। 'আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে?' বলুন তো? চলুন সকলকে নিয়ে জাগি। গালাগালি খাই, ক্ষতি নাই তাতে। রেগে যান, গালাগালি করেন তারাই, যারা দুর্বল, ভিত্তি যাদের দুর্বল।

অযাতিত অনেক কথা বলে দিলাম। ক্ষমা করবেন।

৮| ১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: না ধন্যবাদ। আপনি সঠিকই বলেছেন। আপনার লেখাটি আমি শেয়ার করেছি সামহোয়্যারইন ব্লগের ফেসবুক গ্রুপে।

১৮ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:০০

মুবিন খান বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৯| ১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৪৪

শায়মা বলেছেন: করোনার মধ্যে অনেক প্রতিকূলতা এবং হতাশা নিরাশার মাঝেও ঈদ মুবারাক ভাইয়া। খুব খুব সত্য কথন এই লেখাটায় উঠে এসেছে। হঠাৎ ভীতি থেকে হতাশা যুদ্ধ প্রতিকূলতার সাথে লড়াই এর সাথে সাথে কিছু মানুষের এমন ভ্রান্ত বচন ঐ ওয়ার্ড কমিশনারের মতন হতাশার সাগরে নিমজ্জিত করে। আর এই বোকা মানুষগুলোই এই রোগকে তাড়াবেনা বরং পুষে রাখবে বোকামী করে।

১৮ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:০৩

মুবিন খান বলেছেন: হ্যাঁ, মানুশগুলো বোকা বটে, একই সঙ্গে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীও বলা যেতে পারে। আরও মজার ব্যাপার হলো, দৃষ্টিটি মেলে দেখবার প্রচেষ্টাটিও তাঁদের নেই।...

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৫২

রানার ব্লগ বলেছেন: ঈদ মুবারাক

১৮ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:০৪

মুবিন খান বলেছেন: ঈদ শুভেচ্ছা। ঈদ মুবারক।

১১| ১৮ ই মে, ২০২১ রাত ৯:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নির্মোহ বিশ্লেষন।
সত্যকে দেখা আর অনুভবের এই শক্তিটা যদি আমাদের সো কলড দেশপ্রেমিক আর নীতি নির্ধারকদের থাকতো!

সত্যি মাঝে মাঝে অবাক হয়ে ভাবি- এদের কি নূন্যতম দায়বোধের অনুভব জাগ্রত নেই!
কি করে পারে মানুষ এমন অন্ধকারকে আরো গভীর অন্ধকারে নিয়ে যেতে??

জাগ্রত হোক মানুষ সু-বোধ।
হাজার হতাশার ভীরে ফিনিক্স পাখির মতো হোক আশারই জয়।

লেট ঈদ মোবারক :)

২১ শে মে, ২০২১ রাত ১:২৬

মুবিন খান বলেছেন: উৎসাহিত হতে পারার মতো আপনার দারুণ মন্তব্যটির জন্যে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.