নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অদৃষ্টরে শুধালেম, চিরদিন পিছে, অমোঘ নিষ্ঠুর বলে কে মোরে ঠেলিছে?সে কহিল, ফিরে দেখো। দেখিলাম থামি, সম্মুখে ঠেলিছে মোরে পশ্চাতের আমি।

মুবিন খান

নিজের পরিচয় লেখার মত বিখ্যাত বা বিশেষ কেউ নই। অতি সাধারণের একজন আমি। লিখতে ভাল লাগে। কিন্তু লেখক হয়ে উঠতে পারি নি। তবে এই ব্লগে আসা সে চেষ্টাটা অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্য নয়। মনে হল ভাবনাগুলো একটু সশব্দে ভাবি।

মুবিন খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

লেখা

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:২২


আচ্ছা আপনাকে যদি কেউ বলেন, আপনাকে যারা প্রতিরোধ করতে চায়, তাদের তিনি আন্তরিক শুভকামনা করেন। যদি আপনার বিরুদ্ধাচারণ করে যারা কাব্য রচনা করছেন, তাদের তিনি সশ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। আপনার প্রগতিশীল ভাবনাকে যদি কটাক্ষ করে ঠোঁট বেঁকিয়ে আপনাকে অভিনন্দন দেওনের ভাব ধরেন, আপনি তখন কী করবেন?

এসব কথায় পরে আসি। তার আগে আসেন একটা সত্য গল্প বলি-

আমরা তখন কিশোর। আমাদেরই আরেক সমবয়সি বন্ধু মামুন। তো কথা নাই বার্তা নাই হঠাৎই মামুনের মাঝে পরিবর্তন দেখা গেল। আমরা মহাবিস্ময় নিয়ে দেখলাম কলম বিষয়ে আচমকা মামুন আজিব কিসিমের খুব সৌখিন হয়ে গেল। তখন তিনটাকার ইকোনো কলমের যুগ। আমরা দেখলাম আমাদের মামুন অনেক টাকা দিয়ে দামি দামি কলম কিনে ইস্ত্রি করা শার্টের পকেটে বেশ গুছায়ে রাখে।

মামুনের এই পরিবর্তন আমাদের ভেতর আমোদের উদ্রেক করল। কিন্তু মুখে আমরা কেউ সেই আমোদের কথাবার্তা উল্লেখ করি না। নিজেরা নিজেরা দলবেঁধে মুখ টিপে হাসাহাসি করি।

কয়দিন পরে দেখি মামুন হাতে একটা ডায়েরিও রাখতে শুরু করেছে! আমরা বিষম খাই। আমরা আরও দেখি মৌচাক মার্কেট, পাড়ার দোকানপাট, চায়ের দোকান কিংবা রাজনৈতিক দলের অফিস ইত্যাদির নির্জন কোণায় বসে বসে লুকায়ে লুকায়ে মামুন সে ডায়েরিতে কি যেন লেখে! কেউ কাছাকাছি গেলেই ডায়েরি বন্ধ করে ফেলে। কাউরে কিছু বলে-টলে না। আমরা কৌতুহলী হই। আমাদের কৌতুহল প্রগাঢ় হয়। কিন্তু কৌতুহল কৌতুহলই থেকে যায়। তার নিবৃত্ত হওয়া হয় না।

হঠাৎ একদিন দুপুরে মামুন নিজেই আমারে ডেকে নিয়ে গেল। মারুফ মার্কেটের জুতার দোকানে বসায়ে কাউরে কিছু বলব না এমন অসংখ্য কিরা কসম কাটানোর পরে বলতে লাগল, সে নাকি মহীয়সী টাইপ এক মেয়ের সঙ্গে পেনফ্রেন্ড পাতায়ে ফেলেছে। বর্তমানে সেই ফ্রেন্ডশিপের পেন নাকি ফ্রেন্ডরে অতিক্রম করে আরও বহু বহু গভীরে প্রোথিত হয়ে গেছে। আরও বলল, ফ্রেন্ড পর্যন্ত মামুন ঠিকমতনই ই পেন চালায়ে গেছে। কিন্তু গভীরতার ব্যাপার স্যাপার যেহেতু, সেহেতু তার যৎসামান্য ‘হেল্প’ প্রয়োজন পড়েছে। আমার কাছে এই গভীরে প্রোথিত রহস্য উন্মোচনের রহস্য হলো আমি বই-টই পড়ি। তবে মামুন আমার একলার ওপর নির্ভর নিয়ে বসে নাই। বসে যে নাই সেই প্রমাণ দিতে সে জুতার দোকানের ছেলেটারে ইশারা করতেই ছেলেটা ক্যাশ কাউন্টারের নিচের ড্রয়ার থেকে কয়েকটা বই বের করে আনলো। হাতে নিয়ে দেখি প্রেমপত্র লিখন শিক্ষনের বই।

আমি একটা ধাক্কার মত খেলাম। এইরকম কোনও বই যে আছে সেইটাই আমার জ্ঞানের বাইরে ছিল। আর মামুন সেসব বই খুঁজে বের করে নিয়ে পয়সা খরচ করে কিনেও ফেলেছে! মামুনের পিতার জন্য আমার মায়া লাগল। বেচারা জানেও না তাঁর পুত্র রোজ তাঁর পকেটের কত গ্রাম ওজন হ্রাস করছে। ঘটনা দেখি সত্যিই গুরুতর!

প্রেমপত্র লিখন শিক্ষনের বই খুলে কয়েকটা চিঠি পড়ে আমি স্থবির হয়ে গেলাম। ওইরকম ভাষায় কেউ যে কাউরে চিঠি লিখতে পারে বা লেখা যায় সেইটাই আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না। পড়তে থাকা অবস্থাতেই যখন রণেভঙ্গ দিব ভাবতে শুরু করেছি দেখি পাশের হোটেল থেকে চা নাস্তা চলে এসেছে। তখনকার মতো চুপ মেরে গেলাম। আপন কর্তব্য সম্পর্কে মামুনের কাছে জানতে চাইলে মামুন বলল,

-'বেশি কিছু করতে হবে না, তুই খালি চিঠিগুলা এডিট কইরা দিবি।'

আমার সদ্য চা নাস্তা খাওয়া পেট চিঠি এডিটিংয়ের দায়িত্ব এড়াতে দিল না। তাছাড়া যে হোটেল থেকে নাস্তা আনা হয়েছে, হোটেলঅলা তাতে নিমক দিতে ভোলে নাই।

এইবার মামুন তার ডায়রি মেলে ধরল। ডায়রির পাতায় পাতায় প্রেম-ভালোবাসার ফুল-গাছ-লতা-পাতা-পাখি-সমুদ্র-বাগান থেকে শুরু করে চাঁদ-তারা-গ্রহ নক্ষত্র পর্যন্ত সকলই বিদ্যমান। মামুনের লিখিত ভাষা দেখে আমি ভাষা হারায়ে ফেললাম। পৃষ্ঠা ওল্টাতে ওল্টাতে একটা পৃষ্ঠায় থামলাম। এখানে মহীয়সী কন্যার রূপ-রস-গন্ধ আর সৌন্দর্যর বন্দনা করা হয়েছে। তবে আমাকে থামতে হয়েছে অন্য কারণে। লেখাগুলা কেমন যেন কালচা হয়ে আছে। সে কথা মামুনরে জিজ্ঞেস করতে মামুন কেমন যেন লজ্জা পেল! সামান্য বেগুণীও হলো। তারপর আমতা আমরা করে বলল,

-'দোস্ত, কবিতা রক্ত দিয়া লিখছি।'

আমার চোয়ালের হাড্ডি ঝুলে গেল! আমি যেন বোবা হয়ে গেলাম! আমি মামুনরে কিছু বলতে পারলাম না। জুতার দোকানের ছেলেটারে বলতে পারলাম। তারে বললাম,

-'এই! তোর কাছে দড়ি আছে?'

-'না ভাই! ক্যান!' কি করবেন!' ছেলেটা অবাক হইয়া জানতে চাইল।

-'এই শালারে দড়ি দিয়া বাইন্ধা জুতাপেটা করব। একজোড়া পুরান জুতা দে।' বললাম আমি।

মামুন লাফ দিয়ে কাছে এসে আমার দুহাত ধরে ফেলল। তারপর বলল,
-'দোস্ত শোন্! কাউরে কইস্ না। তুই কিন্তু কসম কাটছস্!'

তারপরের বৃত্তান্ত হলো নিজের রক্ত দিয়ে কাব্য রচনা করতে চাইলেও মামুন শেষ পর্যন্ত নিজের শরীরের রক্ত জোগার করতে পারে নাই। তারে মালিবাগ বাজারের কসাইয়ের দোকানের শরনাপন্ন হতে হয়েছে। কসাইয়ের মহানুভবতায় মামুন রীতিমত মুগ্ধ! কেননা কসাই যে মামুনরে খালি টাটকা রক্ত সরবরাহ করেছে তাই নয়, তার দোকানের একটা কোণা খালি করে মামুনরে কাব্য রচনার জন্য জায়গাও দিয়েছে যাতে রক্ত জমাট বাঁধার আগেই কাব্য লিপিবদ্ধ হতে পারে!

কবিতাপ্রেমী এই কসাই সম্পর্কে আমি আক্ষরিক অর্থেই অজ্ঞাত ছিলাম।

অবশেষে শুরু হলো আমাদের যৌথ পত্র-রচনা। মহীয়সী কন্যার চিঠি দেখে দেখে মামুন চিঠি লেখে। মামুনের লেখা ‘প্রেমপত্র লিখন শিক্ষন’র পুস্তক দ্বারা দারুণভাবে প্রভাবিত। আমি দীর্ঘশ্বাস লুকায়ে সেটা সাধ্যমত সম্পাদন করি। সম্পাদন করতে করতে আমি জানতে পারি মহীয়সী মেয়েটা আমাদের পাড়ারই বাসিন্দা। এবং মামুন মেয়েটার পরিচয় জানলেও মেয়ের কাছে কখনও নিজের পরিচয় জানায় নাই! খালি চিঠিপত্র চালাচালি করে আর দূ-র হতে দেখে দেখে ঘনঘন ইয়া লম্বা লম্বা হাঁপানি রোগীর মতো নিঃশ্বাস ফেলে।

এইভাবে চলতে চলতে একদিন আমিও মেয়েটার পরিচয় জেনে ফেললাম। জেনে ফেলার পর মামুনের পিতার জন্য আমার যেরকম মায়া লেগেছিল, মামুনের জন্য তারচেয়ে কয়েকগুণ বেশি মায়া লাগতে লাগল।

যাই হোক। দিন যায়, সপ্তাহ যায়, মাস যায়। যেই ফ্রেন্ডশিপের পেন তার ফ্রেন্ডরে অতিক্রম করে আরও বহু বহু গভীরে প্রোথিত হয়ে গিয়েছিল, তা এখন মামুনরে এফোঁড় ওফোঁড় করে ফেলেছে। মামুন স্বরূপে আবির্ভূত হওয়ার সিদ্ধান্তে উপনীত হলো। তারপরে আমরা দুজনে একত্রিত হয়ে বহু ইনায়ে বিনায়ে খাঁটি প্রেম-ভালোবাসা মিশ্রণ সহযোগে একটা সহি প্রেমপত্র রচনা করে ফেললাম। সেইখানে সত্যকার মামুনরে চেনাতে মামুনের সত্যকার পরিচয় 'জুতার দোকানের মামুন ভাই' উন্মোচিত করা হলো। 'জুতার দোকানের মামুন ভাই' লেখার মাজেজা হলো, ওই মেয়ের যাওয়া আসা সময় মামুন জুতার দোকানে বসে থাকত আর জুতার দোকানের ছেলেটা মামুন যে মামুনেরই নাম তা চেনানোর মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে 'মামুন ভাই, মামুন ভাই' বলে চিল্লাচিল্লি করতে থাকত।

চিঠি লেখা শেষ হলে আমরা সেটা নীল খামে ভরে একটাকার স্ট্যাম্পের জাগায় চার টাকার স্ট্যাম্প লাগায়ে শান্তিনগর পোস্টাপিসে পোস্ট করে দিলাম। পোস্ট করার পর আমিও একটু নিশ্চিন্ত হলাম। মামুনের ঘটনা ঘটে গেলে এই ভেজাল থেকে মুক্ত হয়ে যাইতে পারব, এমন ভাবনা আমারে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে তাড়িত করল।

কিন্তু হায়! সাগর যেদিকে চায়, অভাগা শুকায়ে যায়! সেদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগেই মামুন আমার বাসায় হাজির! আমারে ঠেলে বাইরে নিয়ে গেল। তারপর যা জানালো তা সত্যিই ভয়াবহ। শুনতে আমি একবারেই প্রস্তুত ছিলাম না!

ঘটনা হলো, দুপুরে চিঠি পোস্ট করে আমি চলে আসার পর মামুন ট্যাগরা টিটুরে নিয়ে এলিফেন্ট রোডে শার্ট-প্যান্ট কিনতে রওনা দিয়েছিল। যাওয়ার পথে রিকশা ভাড়া বাঁচাতে তারা বেইলি রোড হয়ে রমনা পার্কের ভেতর দিয়ে শর্টকাট হাঁটছিল। ট্যাগরা টিটুরই আগে নজরে পড়ল। আমাদের পাড়ার এক সিনিয়র ভাই পার্কের বেঞ্চিতে বসে বাদাম ভেঙে ভেঙে পাশে বসা স্কুলড্রেস পরা একমেয়েরে খাওয়ায়ে দিতেছে। সে দৃশ্য দেখে ট্যাগরা টিটু বেদম মজা পেল এবং সিনিয়র ভাইয়েরে মাইনকা চিপায় ফেলতে সে যে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সেইটা জানান দিতে সেদিকে আগায়ে গেল। পাশাপাশি হাঁটার কারণে মামুনও তার সঙ্গে আগায়ে গেল। তার মহীয়সী কন্যার ভাবনায় বিভোর থাকার কারণে মামুন এতকিছু খেয়াল করতে পারে নাই। কাছাকাছি যাওয়ার পর দেখে মহীয়সী তার ভাবনা থেকে বের হয়ে পাড়ার বড়ভাইয়ের হাতে বাদাম খায়।

মামুনের জন্য আমার মায়া চক্রবৃদ্ধিহারে বাড়তে লাগল।

এরপরের গল্প খুবই সংক্ষিপ্ত। পরপর তিনদিন আমরা সেই মেয়ের বাড়ির গেটে সকাল-সন্ধ্যা দাঁড়ায়ে থেকেছি। তৃতীয় দিন বেলা দ্বি প্রহরের পর পিয়ন মামুনের চিঠি পৌঁছাতে এলে মামুন পিয়নরে ভয়াবহ সব গালাগালি করেছিল। তারপর এইটা তার বোনের চিঠি বলে পিয়নের কাছ থেকে জোরপূর্বক নিজের চিঠিটা ছিনায়ে নিয়েছিল। সঙ্গে পিয়নরে এও বলছিল, 'ওই ব্যাটা! এইখান থেইকা এইখানে একটা চিঠি পৌঁছাইতে তিনদিন লাগে!?

এই ব্যাপারটাও সামাল দিতে এই আমারেই পিয়নের হাতেপায়ে ধরে দুঃখিত হতে হয়েছিল। 'সাগর যেদিকে যায়, অভাগা শুকায়ে চায়! না না...অভাগা যেদিকে চায়, সাগর শুকায়ে যায়!'- এত সুন্দর কাব্য কে যে রচনা করছিল! আহা!

তো কথা হলো, কথাবার্তা চালাচালির তুলনায় কথাবার্তা লেখালেখি বিপদজনক। কেউ যদি বলে, 'কথা ছাড়ছি, লেখা ছাড়ি নাই'; সেটা শুনে যদি বুক শুকায়ে যায় তো সেটা কার দোষ? কথার? না লেখার? না ছাড়ার এই হুমকিরে আপনি কেমনে গ্রহণ করবেন?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:২৫

জগতারন বলেছেন:
আপনার লিখা এ-ই প্রথম পড়িলাম।
অসাধারন আপনার লিখা।
আজকে যে গল্পটি আপনি লিখিয়াছেন তা আমার কাছে বাস্তবতার চেয়েও বাস্তব মনে হইয়াছে।
একজন সৎ ছেলে যখন একটি চরিত্র হীনা মেয়ের খপ্পরে পরে তখন সে যে কী বিড়ম্বনা ও দুঃখ; তা ভাষায় বর্ননা করা যায় অল্পই।
সেই কাজটি এই গল্প আকারে আপনি পাঠ-পাঠীদের বুঝাইয়া দিতে পাড়িয়াছেন এই।

আপনার গল্পটি আমি লাইক দিলাম ও আপনার অনুসরণ নিলাম আরও আপনার লিখা পড়ার জন্য।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৮

মুবিন খান বলেছেন: প্রিয় জাগতারন, আপনি আমার লেখা প্রথম পড়লেন জেনে খুব ভালো লেগেছে। ভালো লাগা জানালেন বলে আপ্লুত হয়েছি। লেখায় লাইক দিলেন এবং আমাকে অনুসরণের তালিকায় রাখলেন বলে কৃতজ্ঞতা।

কিন্তু লেখাটির কোত্থাও মেয়েটিকে আমি চরিত্রহীন বলি নি। 'চরিত্রহীন' শব্দটিকে আমি খুব আপত্তিকর একটি শব্দ হিসেবে দেখি। এ শব্দটি ব্যক্তির ব্যক্তিসত্ত্বাকে ছোট করতে চায়। আর মানুষের চরিত্র এত ঠুনকো নয় যে যখন তখন হীন হয়ে যাবে। সেলফোন, ইন্টারনেট আসবার আগের যুগটাতে 'পেন ফ্রেন্ড' সংস্কৃতিটা গড়ে উঠেছিল। ছেলেমেয়েরা একে অন্যর ঠিকানা জোগাড় করে চিঠি লিখত। অচেনা অজানা জীবনেও না দেখা মানুষটার সঙ্গে তৈরি হতো বন্ধুত্ব। কিন্তু বন্ধুত্ব হওয়ার পরেও অনেকের ক্ষেত্রেই তাদের দেখা হতো না। কথাও নয়। চেনাজানাটা পুরোপুরিই চিঠি লেখার ওপর নির্ভর করত।

কেউ কেউ চিঠি নির্ভর সে বন্ধুত্বকে অতিক্রম করে আরও গভীরতায়ও পৌঁছে যেত। কিন্তু যদি কেউ শুধুমাত্র চিঠির ওপর পুরোপুরি নির্ভর করতে না চায়, তাহলে তাকে চরিত্রহীন হিসেবে অভিযুক্ত করা যায়? তাহলে যে কিনা বন্ধুত্বকে অতিক্রম করে আরও গভীরতায় পৌঁছে ডুবে ডুবে জল খাচ্ছে- তার চরিত্র কি তার অভিভাবকের কাছে, বাবা-মায়ের কাছে কিংবা সয়ামাজিক ব্যবস্থার কাছে প্রশ্নবিদ্ধ নয়? আসলে মানুষের নীতিগত যে কোনও স্খলনই চরিত্রকে হীন করে। এ কথাগুলো নিজের মতো করে বলতে চেয়ে একবার লিখে ফেলেছিলাম। সময় পেলে পড়তে অনুরোধ রইল। এখানে আছে- Click This Link

২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: টাকা বাঁচাতে গিয়ে আমিও বহুদিন রমনা পার্কের ভেতর দিয়ে সর্টকাট যাতায়াত করেছি।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫২

মুবিন খান বলেছেন: এ কাজটি আমরাও করতাম। এবং আমরা আরও একটা কাজে রমনা পার্ককে ব্যবহার করতাম। সেটা হলো, নিরাপদে সিগারেট খাওয়ার জায়গা হিসেবে। সে আরেক গল্প।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.