নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের পরিচয় লেখার মত বিখ্যাত বা বিশেষ কেউ নই। অতি সাধারণের একজন আমি। লিখতে ভাল লাগে। কিন্তু লেখক হয়ে উঠতে পারি নি। তবে এই ব্লগে আসা সে চেষ্টাটা অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্য নয়। মনে হল ভাবনাগুলো একটু সশব্দে ভাবি।
আমার এক বন্ধু অতি সম্প্রতি রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছে । আমার জন্যে এটা মোটেই সুখবর নয় । আমি শঙ্কিত হলাম । যার কথা বলছি সে একেবারেই বাংলাদেশের রাজনীতির জন্যে ইংরেজিতে যাকে বলে ফিট নয় । পাড়ার ভাল ছেলের তালিকা হলে তার নাম সেখানে থাকে । তাকে আর যেখানেই হোক বাংলাদেশের রাজনীতিতে মানায় না । কিন্তু দেখা গেল বন্ধুটি বদ্ধপরিকর । রাজনীতি সে করবেই এবং সফলও হবে, দৃঢ়ভাবে জানাল ।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে লেখাপড়া জানা ছেলের বড় অভাব । সবাই ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার ব্যবসায়ী ইত্যাদি হতে চায় কিন্তু কেউ রাজনীতিক হতে চায় না । অথচ আমাদের রাজনীতিতে লেখাপড়া জানা ছেলের খুব বেশি দরকার । বন্ধুটি ইতোমধ্যেই অবশ্য বেশ জোরেশোরে তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করে দিয়েছে । এলাকায় সামাজিক যোগাযোগ বাড়িয়েছে । সবার খোঁজ খবর নিচ্ছে । একদিন শুনলাম মসজিদও বানিয়ে ফেলেছে !
আমি খুব অবাক হলাম ! আমার 'ভাল ছেলে বন্ধুটি' দেশের রাজনীতি শিখে ফেলছে ! বেশ আমোদ লাগল । তবে পাশাপাশি চিন্তিতও বোধ করলাম । মনে হয়েছিল বন্ধুটি প্রচলিতধারার রাজনীতির দিকেই যাচ্ছে । কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই আমার আশঙ্কাকে বন্ধুটি ভুল প্রমাণিত করল । সে বিভিন্ন বইপত্র যোগার করে পড়াশুনা শুরু করল । তার পড়াশুনার মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমান বা জিয়াউর রহমানের জীবনী নয়, রয়েছে ইতিহাস, সাহিত্য, অর্থনীতি, সমাজনীতি, রাজনীতি ইত্যাদি রয়েছে । নিয়মিত ঢাকা শহরের বইয়ের দোকানগুলোতে ঘুরে বেড়ায় । বই কেনে । এবং রাত জেগে বই পড়ে । আমার উৎসাহ দ্বিগুণ হল । আমি আশাবাদী হয়ে উঠলাম । এবার হয় তো রাজনীতিতে নতুন কিছু যুক্ত হবে ।
তার ফেসবুক দেয়ালে নিয়মিত কঠিন কঠিন বিষয়ের পোস্ট হতে লাগল । তার মধ্যে বাংলাদেশ, বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সমাজনীতি, রাজনীতি, মানবাধিকার ধর্মনিরপেক্ষতা ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় অন্তর্ভুক্ত হতে লাগল । আমি চমৎকৃত হলাম । বন্ধুটিকে আরও উৎসাহিত করতে লাগলাম । আমাকে আরও অবাক করে দিয়ে দরিদ্র ও শিক্ষা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার আওতায় আনার লক্ষ্যে একটি সংগঠনও করে ফেলল । সংগঠনের নামও স্বদেশের নামে, নিজের বাবা বা মায়ের নামে নয় ! আমি উৎসাহবোধ করলাম।
আমার উৎসাহ যখন মুগ্ধতায় পরিণত হচ্ছে ঠিক তখনই একটা হতাশাজনক খবর পেলাম ।
কিছুদিন আগে আমার বন্ধুটি জাতিসংঘ প্রণীত মানবাধিকার বিষয়ক কিছু লেখা তার ফেসবুক দেয়ালে তুলে দিয়েছিল । সরল উদ্দেশ্য ছিল মানুষ জানুক রাষ্ট্রের ওপর তার অধিকার । বাংলাদেশেই তো সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ হয় ! কিন্তু কিছুদিন আগে শুনলাম বন্ধুটির পরিবারের এক বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি বন্ধুর লেখাগুলো ফেসবুক দেয়াল থেকে মুছে ফেলতে তার ওপর চাপ প্রয়োগ করছে । অথচ তিনি বন্ধুটির রাজনৈতিক গুরু । আমার খুব মন খারাপ হল।
তবু আমার হতাশ হতে ইচ্ছা করে না ।
তবু আমি আশাবাদী ।আমার এক বন্ধু অতি সম্প্রতি রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছে । আমার জন্যে এটা মোটেই সুখবর নয় । আমি শঙ্কিত হলাম । যার কথা বলছি সে একেবারেই বাংলাদেশের রাজনীতির জন্যে ইংরেজিতে যাকে বলে ফিট নয় । পাড়ার ভাল ছেলের তালিকা হলে তার নাম সেখানে থাকে । তাকে আর যেখানেই হোক বাংলাদেশের রাজনীতিতে মানায় না । কিন্তু দেখা গেল বন্ধুটি বদ্ধপরিকর । রাজনীতি সে করবেই এবং সফলও হবে, দৃঢ়ভাবে জানাল ।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে লেখাপড়া জানা ছেলের বড় অভাব । সবাই ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার ব্যবসায়ী ইত্যাদি হতে চায় কিন্তু কেউ রাজনীতিক হতে চায় না । অথচ আমাদের রাজনীতিতে লেখাপড়া জানা ছেলের খুব বেশি দরকার । বন্ধুটি ইতোমধ্যেই অবশ্য বেশ জোরেশোরে তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করে দিয়েছে । এলাকায় সামাজিক যোগাযোগ বাড়িয়েছে । সবার খোঁজ খবর নিচ্ছে । একদিন শুনলাম মসজিদও বানিয়ে ফেলেছে !
আমি খুব অবাক হলাম ! আমার 'ভাল ছেলে বন্ধুটি' দেশের রাজনীতি শিখে ফেলছে ! বেশ আমোদ লাগল । তবে পাশাপাশি চিন্তিতও বোধ করলাম । মনে হয়েছিল বন্ধুটি প্রচলিতধারার রাজনীতির দিকেই যাচ্ছে । কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই আমার আশঙ্কাকে বন্ধুটি ভুল প্রমাণিত করল । সে বিভিন্ন বইপত্র যোগার করে পড়াশুনা শুরু করল । তার পড়াশুনার মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমান বা জিয়াউর রহমানের জীবনী নয়, রয়েছে ইতিহাস, সাহিত্য, অর্থনীতি, সমাজনীতি, রাজনীতি ইত্যাদি রয়েছে । নিয়মিত ঢাকা শহরের বইয়ের দোকানগুলোতে ঘুরে বেড়ায় । বই কেনে । এবং রাত জেগে বই পড়ে । আমার উৎসাহ দ্বিগুণ হল । আমি আশাবাদী হয়ে উঠলাম । এবার হয় তো রাজনীতিতে নতুন কিছু যুক্ত হবে ।
তার ফেসবুক দেয়ালে নিয়মিত কঠিন কঠিন বিষয়ের পোস্ট হতে লাগল । তার মধ্যে বাংলাদেশ, বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সমাজনীতি, রাজনীতি, মানবাধিকার ধর্মনিরপেক্ষতা ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় অন্তর্ভুক্ত হতে লাগল । আমি চমৎকৃত হলাম । বন্ধুটিকে আরও উৎসাহিত করতে লাগলাম । আমাকে আরও অবাক করে দিয়ে দরিদ্র ও শিক্ষা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার আওতায় আনার লক্ষ্যে একটি সংগঠনও করে ফেলল । সংগঠনের নামও স্বদেশের নামে, নিজের বাবা বা মায়ের নামে নয় ! আমি উৎসাহবোধ করলাম।
আমার উৎসাহ যখন মুগ্ধতায় পরিণত হচ্ছে ঠিক তখনই একটা হতাশাজনক খবর পেলাম ।
কিছুদিন আগে আমার বন্ধুটি জাতিসংঘ প্রণীত মানবাধিকার বিষয়ক কিছু লেখা তার ফেসবুক দেয়ালে তুলে দিয়েছিল । সরল উদ্দেশ্য ছিল মানুষ জানুক রাষ্ট্রের ওপর তার অধিকার । বাংলাদেশেই তো সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ হয় ! কিন্তু কিছুদিন আগে শুনলাম বন্ধুটির পরিবারের এক বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি বন্ধুর লেখাগুলো ফেসবুক দেয়াল থেকে মুছে ফেলতে তার ওপর চাপ প্রয়োগ করছে । অথচ তিনি বন্ধুটির রাজনৈতিক গুরু । আমার খুব মন খারাপ হল।
তবু আমার হতাশ হতে ইচ্ছা করে না ।
তবু আমি আশাবাদী ।
©somewhere in net ltd.