নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের পরিচয় লেখার মত বিখ্যাত বা বিশেষ কেউ নই। অতি সাধারণের একজন আমি। লিখতে ভাল লাগে। কিন্তু লেখক হয়ে উঠতে পারি নি। তবে এই ব্লগে আসা সে চেষ্টাটা অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্য নয়। মনে হল ভাবনাগুলো একটু সশব্দে ভাবি।
আমার ভাগ্নি চমৎকার একটা প্রস্তাব রেখেছে । পাঁচটি মৌলিক অধিকারের সঙ্গে ধর্ষণকে যুক্ত করার প্রস্তাব রেখেছে । বাংলাদেশের সকল শ্রেণীর তথাকথিত পুরুষরা ধেই ধেই করে নাচতে পারেন অথবা প্রতিবাদে ফেটে পড়তে পারেন, আমি কিন্তু প্রস্তাবকে পূর্ণ সমর্থন করছি । এটি আসলে সময়ের দাবি ।
মেয়েরা মায়ের জাত । তাতে কি ! মেয়ে তুমি লেখাপড়া করবা কেন ? মেয়ে তুমি বাড়ির বাইরে যাবা কেন ? মেয়ে তুমি চাকরি করবা কেন ? তুমি ঘরে থাকবা, রান্না বান্না শিখবা, সেলাই করবা, সোমত্ত হলে বাপ ভাই চাচারা ধরে যৌতুক দিয়ে বিয়ে দিয়ে দিবে । বিয়ের পর স্বামী আর পুরো শ্বশুর বাড়ির সেবা করবা । ছেলেপুলে হলে তাদের মানুষ করবা । এই তো মেয়েদের যা কাজ তাই করবা । তুমি দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক, কেন এই কথাটা তোমার মনে থাকে না মেয়ে ? কেন মনে রাখতে পার না তোমার আশে পাশে যত মানুষ আছে পুরুষের মত দেখতে তারা সবাই-ই তোমার অভিভাবক । সবাই নখ দন্ত লুকিয়ে রেখেছে থাবার আড়ালে । ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজের পৌরুষ দেখাতে এরা সব সময়ই উদ্যত- এই সোজা সরল বাক্যটি কি করে বারবার তুমি বিস্মৃত হও মেয়ে বল তো !
তোমার ওই ভুলো মনের মাশুল পুরুষেরা আর কত দিবে ? এটা আর হতে দেওয়া যায় না । নিখিল বাংলাদেশের শৌর্য বীর্যধারী পুরুষরা এখন প্রস্তুত । তারা এইবার জাতীয় সংসদে বিল আনবে যেন বাংলাদেশে ধর্ষণকে ষষ্ঠ মানবাধিকার হিসেবে যুক্ত করা হয়। কারও মন খারাপ ? চল রাস্তা থেকে কোন একটা মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করি। ধর্ষণ হবে দেশের পুরুষদের শ্রেষ্ঠ বিনোদন। ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করা হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে আরও লঘু করা হবে। তখন যে কোন আনন্দ উদযাপনে মেয়েদের ধর্ষণ করা হবে এখন যেমন পয়লা বৈশাখে বস্ত্রহরণ করা হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ষণে সেঞ্চুরি করা মানিক হতে জাতীয় আদর্শ। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে এই আদর্শ হওয়ার যোগ্যতা কেবল ওই বেচারা মানিকের একার নয়, অসংখ্য বঙ্গ সন্তান নিজের মধ্যে ধারণ করে। বাংলাদেশের ঘরে ঘরে থাকবে ধর্ষিত মেয়ে। তুমি প্রস্তুত হও মেয়ে !
©somewhere in net ltd.