নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেঠোপথ২৩

মেঠোপথ২৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই মুহুর্তে যা করনীয় -

০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৭





অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে কিছুটা সময় লাগছে। হয়ত আগামীকালের মধ্যেই আমরা নতুন সরকার দেখতে পাব। আমারা জেনেছি যে ডক্টর ইউনুসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে। বর্তমানে আইন শৃংখলা বাহিনীতে বিশৃংখলা চলছে। শৃংক্ষলা ফিরিয়ে আনতে কিছুটা সময় লাগবে। ডক্ট্রর ইউনুস ক্ষমতা গ্রহনের আগেই ইন্ডিয়ান মিডিয়াকে ক্রমাগত ইন্টারভিউ দিয়ে চলেছেন। ভারতীয় গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে ডঃ ইউনূস কঠোর ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন যে "If you destabilize Bangladesh it will spread over all around Bangladesh, including Myanmar and seven sisters and West Bengal everywhere." অর্থাৎ বাংলাদেশ অস্থিতিশীল হলে তা ভারতের সেভেন সিস্টার্স হিসেবে খ্যাত অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম ও মেঘালয় এবং মায়ানমারেও তা ছড়িয়ে পড়বে। কোন সন্দেহ নাই যে , একটা মহল দেশের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাই এই মুহুর্তে আমাদের সবার দ্বায়িত্বশীল আচরনের প্রয়োজন।

আনন্দ উল্লাস অনেক হয়েছে। এবার বাস্তবতায় ফিরুন সবাই। শিক্ষার্থীরা রাস্তায় রাস্তায় ট্রাফিক কন্ট্রোল করছে , সংখ্যালঘুদের মন্দির পাহারা দিচ্ছে , রাস্তাঘাট পরিষ্কার করছে , ভাংচুরকারীদের থামিয়ে দিচ্ছে ।এই কাজে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করতে সবার এগিয়ে আসা প্রয়োজন। নিজ নিজ এলাকায় টিম গঠন করে এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটা খুব প্রয়োজন এখন। কেউ আক্রান্ত হলে আত্মীয় স্বজন , বন্ধু বান্ধবদের দ্রুত কল দিয়ে সাহায্য চান ও ফেসবুকে জানান দিন। দরিদ্র এই দেশে সুযোগ সন্ধানীর অভাব নাই। তাই অবস্থার সুযোগ নিয়ে অনেকেই লুট পাঠ করতে চাইতে পারে এখন। গতকালই মোহাম্মদপুরে একটি বাসায় ডাকাত আক্রমন করলে তারা দ্রুত ফেসবুকে ও আশেপাশের সবাইকে জানায়। মুহুর্তের মধ্যেই হাজারো মানুষ ও সেনা সদস্যরা সাহায্যের জন্য দৌড়ে যায়। ভয়ের যে সংস্কৃতি চালু ছিল এতকাল তা এখন অতীত। কেউ বিপদে পড়লে তাকে সাহায্য করতে অন্যরা ভয় পেত এতকাল। কিন্ত এখন সাহায্য চাইলেই সাহায্য পাওয়া যায়। আমাদের সবার মনে রাখা প্রয়োজন যে, আমাদের বাচ্চাদের রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা বিজয় পেয়েছি। এই বিজয়কে ধরে রাখার এবং এর স্বাদ সর্বত্র ছড়িয়ে দেবার দায় আমাদের সবার।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:১৯

নতুন বলেছেন: নিবাচন ৩ বছর পরে হতে হবে। এখন নিবাচন দিলে বিএনপি জামাত সব লুটে নেবে। তারা অস্র নিয়ে ভোট কেটে ক্ষমতায় আসবে।

আগে নতুন দল, নতুন নেতাদের জনগনের কাছে পরিচিত হতে দেবার সময় দিতে হবে।

ছাত্ররা যেহেতু অন্তবর্তীকালীন সরকারের সাথে থাকবে তাই আশা করি তারা বিএনপি/জামাতের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে দেবেনা।

প্রকৃত ভালো মানুষদের যেন রাজনিতিক দলগুলি নিবাচনে পাঠায় সেটার জন্য তাদের চাপে রাখার দরকার আছে।

০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৫১

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: এত দিন ধরে শুনলাম তিনি মৃত্যূপথযাত্রী। এখন ভাষান দেবার জন্য রেডি। এদের ব্যাঙ লাফানিও থামিয়ে দেয়া হবে অতি সত্ত্বর। জেন-যি কে এরা চেনে নাই। বাচ্চাগুলো এদেরকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য রক্ত দেয় নাই ।

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: নতুন বলেছেন: নিবাচন ৩ বছর পরে হতে হবে। এখন নিবাচন দিলে বিএনপি জামাত সব লুটে নেবে। তারা অস্র নিয়ে ভোট কেটে ক্ষমতায় আসবে।

নির্বাচন যখনি হোক এই বছর হবে না ধরে রাখতে পারেন। ৩/৬ মাসে হাসিনার জঞ্জাল সরানো যাবে না। আর অন্য দিকে বিএনপি চালাচ্ছে এখন সব মাথা মোটার দল। এই মুহূর্তে ওদের সমাবেশের কোনো দরকার ছিল না। নানা জায়গায় এখনই আওয়ামীলীগের চাঁদাবাজির স্থানগুলি ,ওদের লোকজন দখল করা শুরু করেছে।

০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৬

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: বিএনপির ঘটে ঘিলু থাকলে এই মুহুর্তে উচিৎ ছাত্রদের সহযোগিতা করা। এই অপদার্থের দলের কাছ থেকে আসলে ভাল কিছু আশা করা যায় না।

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এখন ছাত্রদের যে কোনও কর্মসূচীর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে তাদেরকে সর্বতোভাবে সহায়তা প্রদান করা দরকার। প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু করার আছে। তবে সবচেয়ে বিরক্ত হচ্ছি বিএনপি'র বুইড়া হারামজাদাগুলোর কাজ কারবার দেখে। এখন সমাবেশ করা কি খুবই জরুরী ছিল? ভাবখানা এমন যে ওরাই আন্দোলন করে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা এনেছে!!!! X(

০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: এরা মনে করেছে ছাত্ররা তাদের ক্ষমতায় বসানোর জন্য এই আন্দোলন করেছে !! জেন- যি কে তারা চেনে নাই। সর্বস্তরে সবাই বলছে যে , রাজনৈ্তিক সংস্কার না করে নির্বাচন দেয়া যাবে না। অন্তবর্তী সরকার গঠন হলেই বিএনপি সেটা বুঝতে পারবে। ক্ষমতায় সবাই এখন নতুন কাউকে চায়।

৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:০৫

করুণাধারা বলেছেন: বিএনপি জামাতের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে তারাই এই বিজয় এনেছে। আমার বাসার সামনে দিয়ে বিরাট মিছিল গেল বিএনপি'র। গত ১৫ বছরে এরা যা না করতে পেরেছে এই বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো কয়েকদিনের মধ্যে তাই করে দেখিয়েছে। তারেক জিয়ার উচিত দেশে এসে মাকে ভালো চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিয়ে যাওয়া। এইসব নির্বাচন করার কোনো যোগ্যতা তার নেই।

০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:২৭

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: গত একটা বছর ধরে শুধুই শুনতেছি খালেদা জিয়া লাইফ সাপোর্টে। আর আজকে দেখি মেকাপ করে ভাষান দিতে রেডি! বেশ কিছু খারাপ খবর শুনলাম বিএনপি সম্পর্কে। সরকারী কলেজগুলোতে এতকাল ধরে ছিল ছাত্রলীগের দৌড়াত্ব। এখন নাকি ছাত্রদলের ছেলেরা দল বেধে হোন্ডা চালিয়ে কলেজগুলোতে গিয়ে গিয়ে জানান দিয়ে আসছে যে , এই সব এখন তাদের ।

ছাত্রদের এত কষ্টার্জিত বিজয় মাঠে মারা যাবে , এদের প্রতিহত করতে না করতে পারলে। কলম এখন এই ১৮ বছরের ক্ষুদার্ত ডাকাতদের বিরুদ্ধে ধরতে হবে যাতে কোন অবস্থাতেই এরা ক্ষমতায় আসতে না পারে।

৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৪

নতুন বলেছেন: বিভিন্ন জেলার পেজে ছাত্ররা রাস্তা পরিস্কার করছেন, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন করছে, আহতদের সাহাজ্যের চেস্টা করছে।

আর বিএনপি ক্ষমতায়র জাবার জন্য তৌরি হচ্ছে।

জনগনের কাছে এদের মুখোশ খুলে দিতে হবে। সাধারন মানুষকে বুঝতে হবে এরা ক্ষমতার লোভেই দেশে আসে।

০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: আজকে সমাবেশ করে বিএনপি তাদের স্বরুপ উন্মোচন করে দিয়েছে। ছাত্রদল এখনই বিশ্লববিদ্যালয়ের হলগুলোতে দখল নিতে চাইছে। কলেজগুলোতে গিয়ে গিয়ে গিয়ে জানান দিয়ে এসেছে যে , এসব এখন তাদের ।ভাবেন যে ক্ষমতা পেলে এরা কি করবে? বিএনপিপন্থী এক ভাইরাল লেখক বলেছেন এই আন্দোলনে যোগদান করা বেশিরভাগই নাকি তাদের লোক। ছাত্ররা হচ্ছে তরকারীতে দেয়া এক চিমটি লবন মাত্র!!!

আসলে মন্ত্রী হবার জন্য পাগল হয়ে উঠেছে এরা।

৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পশ্চিম বঙ্গের পুলিশকে ধন্যবাদ দিতে হয়। ডঃ ইউনুস ভারতের প্রতি যে শক্ত ভাষা ব্যবহার করেছেন সেজন্য ওনাকেও ধন্যবাদ। এখন সাধারণ মানুষের উচিত ছাত্রদের কাজে সহায়তা করা। ওদেরকে আরও বেশী উৎসাহিত করা। ওদের স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগ সত্যিই বিস্ময়কর বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে।
সামান্য কিছু সুযোগ সন্ধানী দুষ্কৃতিকারী নাশকতা, চুরি, ডাকাতি ইত্যাদির চেষ্টা করছে। একতাবদ্ধ হয়ে এদেরকে ধরতে হবে। জাতি এখন একতাবদ্ধ। তাই ভয় না পেয়ে এদেরকে ধরিয়ে দেয়া আমাদের সামাজিক দায়িত্ব। ছাত্ররা এবং অনেক ক্ষেত্রে হুজুররা পর্যন্ত মন্দির পাহারা দিচ্ছে। সমাজের মানুষকে যে কোন মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে এবং হিন্দুদের মনের ভয় দূর করতে হবে। বাংলাদেশে আসলে সাম্প্রদায়িকতার কোন জায়গা নেই। যারা মন্দিরে হামলা করে সম্প্রীতি নষ্ট করছে তারা হাজার চেষ্টা করলেও সফল হবে না।

সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা এই অন্তর্বর্তী সরকার অন্তত ৩ বছর থেকে পুরানো জঞ্জালগুলিকে যেন দূর করে। এখনই আরেকটা রাজনৈতিক দল আসলে এরাও হাসিনার মত শুরু করবে। অতীতের দিকে তাকালে সেটাই দেখা যায়। তবে সামনে যারাই আসুক না কেন এরা ছাত্রদের এবং আর্মিকে সমীহ করে চলবে। এটার দরকারও আছে। বাংলাদেশের দুষ্ট রাজনীতিবিদদেরকে মানুষ বিশ্বাস করে না। তবে আশা করা যায় এই দুষ্টরা বুঝে শুনে রাজনীতি করবে। বাড়াবাড়ি করলে ছাত্ররা আছে এদেরকে শায়েস্তা করার জন্য। হাসিনার মত হায়েনাকে যারা পালাতে বাধ্য করেছে সেই ছাত্রসমাজকে কেউ অবমূল্যায়ন করলে সে বোকা স্বর্গে বাস করে। ছাত্ররা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আশা করি তারা লোভে পড়ে বা নিজেদের মধ্যে বিভক্ত হয়ে বিপথে যাবে না।

০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৪২

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: আসিফ নজরুল আভাস দিয়েছেন যে, অন্তত তিন থেকে পাঁচ বছর মেয়াদী সরকারের কথাই ভাবছেন তারা। আগামীকালই সব বোঝা যাবে। সামনে অনেক চ্যলেঞ্জ। আওয়ামিলীগ সরকারের সকল অপকর্মের বিচার করা , দেশ পুনর্গঠন এবং ১৮ বছরের ক্ষুদার্ত ডাকাতদের শক্তভাবে মোকাবেলা করা।

৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৪৮

নতুন বলেছেন: ৫/৬ বছর মেয়াদী সরকার হলে, জামাতী/বিএনপি/মামুনল হক সাইজ হয়ে যাবে।

দেশের জনগনের ভেতরেই বিএনপি জামাতের প্রতি একটা টান আছে।

নিজেরা ভন্ডামী করে কিন্তু ওয়াজ শোনে।

০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৩২

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: উপদেষ্টা লিস্ট নিয়ে একটা পোস্ট দেন । সবাই মতামত দেই। আমার কাছে পুরাই নিরামিষ মার্কা মনে হচ্ছে।

৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:২৯

জটিল ভাই বলেছেন:
আপতত ছাত্ররা রাজনীতিতে পূর্ণ প্রবেশের আগে অন্তর্বতীকালীণ থাক। পরে ছাত্ররা নতুন-নতুন দল আর জনমত তৈরী করে নির্বাচন করুক। যদিও এটা কখনো সম্ভব হবে না!

০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৩৯

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: নুর এর গন অধিকার পরিষদ দলটিকে শক্তিশালী করা দরকার। এরা অলরেডি রাজনৈতিক ময়দানে আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.