নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"মরুর পাখি\" এর দ্বিতীয় ব্লগ \"জুলকার নাঈন\"। \"মরুর পাখি\" -ই- \"জুলকার নাঈন\"।

মোঃ জুলকার নাঈন

ভাল আছি ভাল থেকো- আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখ। [email protected]

মোঃ জুলকার নাঈন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার দর্শকদের ঐতিহাসিক "Rivalry"

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৮

সখিনা বিবির বয়স ৩৬, ক্লাব ফুটবল দুরের কথা, চার বছর পর পর বিশ্বকাপ ফুটবলে কিছু খেলা দেখেন এবং বিশেষজ্ঞ মত দেন। ম্যরাডোনার নাম শুনেছিলেন, কিন্তু তার স্বামী কাল্লু মিয়া ছেলেটার নাম রেখেছেন কালো মানিক। ব্রাজিলিয়ান লিজেন্ড পেলেকে যে কালো মানিক নামে অনেকে ডাকে, এটাও সখিনা বিবি জানেন না। ইদানিং মেসি/নেইমার/রোনাল্ডো এসব নামও কানে ভেসে আসে। হালের সুপার স্টার এমবাপের-নাম এখনও শোনেন নি। কারণ উনি যে দেশে থাকেন, সেই দেশের হয়ে শুধু দুটি দল ফুটবল বিশ্বকাপে খেলে, আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল। জুতসই না হলেই পেনাল্টি/ফাউল/অফসাইট নিয়ে সখিনা বিবিও অনেকের মত হঠাৎ হঠাৎ চিল্লায় ওঠেন, রেফারি ভুল করেছেন। কিভাবে রেফারি ভুল করলেন, তার কোন ব্যখ্যা নাই সখিনা বিবির কাছে। ওনার ফেসবুক প্রফাইল নাই। থাকলে উনিও নিজের মতামত সকল বাংলাদেশী নেটিজেন এর মতই প্রকাশ ও পাবলিশ করতে পারতেন। আমরা বাঙ্গালী জাতি সমালোচনা প্রিয়। আত্বসমালোচনা নয়--অন্যের সমালোচনাই আমাদের জীবনের প্রকৃত আনন্দ।

আমরা জানি সমগ্র বাংলাদেশ ৫ টন এবং প্রত্যেক চার বছর পর পর এই ৫ টন মূলত ৩ টন আর্জেন্টিনা এবং ২ টন ব্রাজিল-এ বিভক্ত হয়, যারা একে অন্যকে হেয় করবে, খোঁচাবে, পারলে মারমারিও করবে। এটা আমার কাছে মোটেই অস্বাভাবিক নয়। এই আচরনকে শুধু একটা শব্দ দিয়েই ব্যখ্যা করা সম্ভব "Rivalry"। কেউ কি চায় তার শত্রুর ভাল হোক। এই ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার শত্রুতা শ্বতাব্দি ধরেই চলে আসছে। এই "Rivalry" ওদের জাতিগত এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও। "আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল" ফুটবল "Rivalry" -এর ইতিহাস জানলে আপনার মনে হবে, বাংলাদেশ হল ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার ভক্তদের সত্যকারের প্রক্সি-যুদ্ধ ক্ষেত্র। ফিফা নিজেই আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল ফুটবল "Rivalry" কে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছে, যেখানে প্রথম স্থানে আছে ক্লাসিক ইংল্যন্ড এবং স্কটল্যন্ড "Rivalry"। আমার কৌতহলের বিষয়, এই সামগ্রিক শত্রুতা বাংলাদেশের দর্শকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ল কিভাবে? যাইহোক ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার ফুটবলীয় "Rivalry" তর্জমা করলে যা দাড়ায় তা নিচে দিলাম--
পেলে এবং ম্যারাডোনা দ্বৈরত্ব (Pelé–Maradona rivalry):
কে সবচেয়ে ভাল এবং সর্বকালের সেরা এই বিষয়ে এ দুই জাতির ভেতর সবসময় "rivalry" কাজ করে। এদের সংবাদ মাধ্যম এমন কি রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এসব নিয়ে অতিউৎসাহি। অনেকে ফুটবল বোদ্ধা কাগজে কলমে পেলে-কে জোজন জোজন এগিয়ে রাখে, এদিকে যারা (আমাদের বাপ/দাদা) আধুনিক ফুটবলে ম্যারাডোনার খেলা নিজ চোখে দেখেছে, তারা বেশির ভাগই ম্যারাডোনাকে এগিয়ে রাখে। ২০০০ সালে FIFA century awards -এ ম্যারাডোনা ৫৩.৬% ভোট পেয়ে (পেলে ভোট পায় ১৮.৫৩%) "Player of the Century" পুরস্কার পায়, সাথে সাথে FIFA চিন্তা করল, পেলে-কে ছোট করা যাবে না তাই তারা পেলের জন্য আরেকটা পুরস্কারের ব্যবস্থা করল (best player of the century)। এই কারনে, পেলেকে পুরস্কার দেয়ার আগেই, ম্যারাডোনা মন খারাপ করে নিজের পুরস্কার নিয়ে অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যায়। আর আপনি সামন্য বাংলাদেশী সমর্থক হয়ে একে-অপরকে গালি দিবেন না সে কি হয়। FIFA এই "rivalry" তে আরও ঘি ঢেলেছে ম্যারাডোনাকে "World Cup Goal of the Century" পুরস্কার দিয়ে, যেখানে পেলের গোল তৃতীয় স্থান পায়।
1939 Copa Roca বিতর্ক এবং মারামারি: Roca Cup বা Copa Roca হল ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা শ্রেষ্টত্ব প্রমানের লড়াই যা ১৯১৪ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত মোট বারো বার অনুষ্ঠিত হয়। যাইহোক, ১৯৩৯ সালের সিরিজে, ২-২ গোলে খেলা শেষ প্রায় এমন মুহুর্তে ব্রাজিল একটা পেনাল্টি পায়, আর্জেন্টিনার প্লেয়ার রেফারি সিদ্ধান্ত মানতে পারেনি ফলে Arcadio López রেফারী কে গালি দেয় এবং আক্রমন করে। শেষ পর্যন্ত গোল-কিপার ছড়াই ফাকা গোলে ব্রাজিল পেনাল্টি শুট নেয় এবং ৩-২ গোলে ব্রাজিল জেতে। যাই-হোক সিরিজের তৃতীয় খেলা (São Paulo তে) ড্র হয় এবং চতুর্থ খেলায় আর্জেন্টিনার জয় হয় এবং 1939 Copa Roca জিতে নেয়।পরবর্তিতে ১৯৪৫ সালে Copa Roca-এ ব্রাজিল জেতে ৬-২ গোলে। ম্যাচটা এতটাই টাফ ট্যকল করে খেলা হয়েছে যে ব্রাজিলের Ademir de Menezes ফাউল করে আর্জেন্টিনার প্লেয়ার José Battagliero এর পা ভেংগে দেন। এতে দুই দলের ভেতর "rivalry" আরও বেড়ে যায়।
১৯২৫ সালের 1925 Copa América- "The Barracas' War":
ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা ফাইনাল খেলা। খেলার ২৭ মিনিটে ব্রাজিল ১-০ গোলে এবং ৩০ মিনিটেি ২-০ গোলে এগিয়ে যায়। প্রথম অর্ধ শেষের দিকে, ব্রাজিলের আরও একটা গোল হবে এমন একটি আক্রমনে, চুড়ান্ত লেবেলের ফাউল করে ঠেকিয়ে দেয় আর্জেন্টিনার Ramón Muttis। এতে ব্রাজিলের Friedenreich মেজাজ হারিয়ে Ramón Muttis কে লাথি মারে। আর্জেন্টিনার Ramón Muttis লাথি খাওয়ার পর Friedenreich এর মুখে সেই একটা ঘুষি মারে। মারমারি এমন পর্যারে যায় যে তারপর ঐ খেলা সাময়ীক ভাবে স্তগিত করা হয়। খেলা পরে শুরু হয় এবং ২-২ গোলে ড্র হয়। আর্জেন্টিনা তার second Copa America কাপ জিতে। এর পর এই দুই দল দীর্ঘ ১১ বছর কোন অফিশিয়াল ম্যাচ খেলে নাই।
1937 Copa América final "jogo da vergonha" ("the shame game"):
ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা ফাইনাল খেলা। খেলা হবে আর্জেন্টিনায়। আর্জেন্টিনার দর্শক প্রথম থেকেই খুব চড়াও, ব্রাজিল দর্শকদের "macaquitos" (বান্দর) বলে গালি দিচ্চিল আর "বান্দরের মত চেচাচ্ছিল"। ৯০ মিনিট পর্যন্ত গোলশুন্য। অতিরিক্ত সময়ে আর্জেন্টিনা ২ গোল করে। ব্রাজিলের প্লেয়াররা একটা গোল মানতে পারেননি এবং খেলা শেষ হওয়ার আগেই মাঠ ছেড়ে চলে যায়। আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হয় এবং ব্রাজিলের প্রেস এই ম্যচটাকে "the shame game" বলে আক্ষ্যা দেয়।
1946 South American Championship: এর কয়েকমাস পর আবার South American Championship ফাইনাল এ মুখোমুখি ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। খহেলার আগে থেকে মিডিয়া কগুব তোলপাড় যে এটা খুব টাফ/রাফ একটা ম্যাচ হবে। খেলার ২৮ মিনিট পর, আবার ব্রাজিলের প্লেয়ার Jair Rosa Pinto ফাউল করে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক José Salomón এর পায়ের টিবিয়া এবং ফিবুলা ভেংগে দেন। সাথে সাথে দুই দলের মারামারি শুরু হয়ে যায় এবং পুলিশ এসে কন্ট্রোল করে। মাঠের দর্শক এতটাই ক্ষেপে যায় যে ওরাও খেলার মাঠে ঢুকে পড়ে, প্লেয়ার সব পালিয়ে ড্রেরেসিং রুমে চলে যায়। পরে আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে জিতলেও, সেই অধিনায়ক José Salomón আর কখনই সেরে ওঠেনি এবং প্রেফেশনাল ফুটবল খেলায় ফিরে আসেনি।
1978 World Cup "A Batalha de Rosário" (The Battle of Rosario): ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার গরম এবার বিশ্বকাপে। এই বিশ্বকাপে শেষ রাউন্ডে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার ম্যাচ ড্র হয়, কিন্তু এমন একটা সিচুয়েশন আসে যে আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে কোয়ালিফাই করতে পেরুকে ৪-০ গোলে হারাতে হবে, না হলে ব্রাজিল ফাইনাল এ যাবে। পেরুর সাথে খেলা নিরধারিত সময়ে না খেলে দেরি কারনে এটা আর্জেন্টিনা জানতে পেরেছে কারন ততক্ষনে ব্রাজিল পোল্যন্ড এর সাথে ৩-১ গোলে জিতেছে। শেষে পেরুকে ৬-০ গোলে হারিয়ে আর্জেন্টিনা ফাইনাল এ কোয়ালিফাই করে যা ব্রাজিল মেনে নিতে পারে নি। এ কারনে পরবর্তিতে FIFA নক-আউট পর্বের একই গ্রুপের খেলা একসাথেই করার বিষয়ে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করে।
1982 World Cup: আরেক উত্তাপ ১৯৮২ সালে, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা এবং ইতালি একই গ্রুপ এ (group of death)। ব্রাজিলের সাথে কোন ভাবেই আর্জজেন্টিনা পেরে ওঠেনি, ৩-১ গোলে ব্রাজিল জিতে কিন্তু মাথা পাগলা ম্যারাডোনা এটা মেনে নিতে না পেরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে খেলার শেষের দিকে মাঠের মধ্যেই ব্রাজিলের প্লেয়ার Batista কে লাথি মারে এবং লাল কার্ড খেয়ে মাঠ ছাড়ে। পরে ব্রাজিল ইতালির সাথে হেরে যায় এবং ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দুই আপদের বিদায় হয়। FIFA মনের শান্তিতে টুর্নামেন্ট শেষ করে।
1990 World Cup (The "holy water" scandal): ১৯৯০ এর বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ১-০ গোলে ব্রাজিল কে হারায়। ম্যরাডোনার এসিস্ট এ ক্যনিজিয়া গোল করে। যাই হোক, ব্রাজিলের প্লেয়ার Branco অভিযোগ করেছে যে আর্জেন্টিনার স্টাফ নাকি ওকে এক বোতল পানি দিছে যাতে Drug ছিল। পরে নাকি ম্যরাডোনা এক টিভি অনুষ্ঠানে স্বীকার করছে যে Branco কে "holy water" খাওয়ানো হয়েছিছল যদিও আর্জেন্টাইন ফুটবল এসোসিয়েশন এটা অস্বীকার করেছে।
1995 Copa América match: আর্জেন্টিনা জিততে জিততে খেলা ড্র হয় এবং পরে পেনাল্টিতে হেরে যায়। রেফারী স্বীকার করেছে যে, সে ফাউলটা দেখে নি। যাইহোক, আর্জেন্টিনার মিডিয়া এটা মেনে নিতে পারে নি এবং "hand of god" তকমার আদলে এই ঘটনাকে ""hand of the devil" নামে আক্ষ্যা দেয়।
এখন আসল কথায় আসি, ঐতিহাসিক ভাবেই ফুটবল খেলার সাথে শারীরিক শক্তি প্রদর্শন , মারামারির, হানাহানি, এমনকি মৃত্যও খুব স্বাভাবিক ঘটনা। আমরা সভ্য হলেও ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার যে "Rivalry" এটা কষ্টের এবং একই সাথে উপভোগের। কাজেই সখিনা বিবিদের গালি দিয়ে লাভ নেই। এরা বুঝে হোক না বুজে হোক একে অপরকে গালি দিবেই এবং শত্রুর জয় মেনে নিতে পারবে না। বুঝতে হবে, ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা এমন দুটি টিম যাদের স্থান শতাব্দি জুড়েই ফিফা র‌্যংকিং-এ প্রথম ১০ টি টিমের ভেতর। যারা অসংখ্য লিজেন্ডারী ফুটবলারের জন্ম দিয়েছে। এই দুটি টিম ইউরোপের সংকর জাতের টিমের মত নয় যেখানে ভিনদেশীরাও জাতিয়তা পরিবর্তন করে খেলে। এরা সত্যিকার অর্থেই ১০০% ব্রাজিলিয়ান অথবা আর্জেন্টাইন জাতীয়তা বোধে নিমগ্ন। কিছু কিছু পাগল, আর্জেন্টিনাকে কোন লেভেল-এর টিম ই মনে করে না। আরে পাগল- যে টিম Copa América final- এ ২৯ বার খেলে এবং ১৫ বার (সর্বচ্চো সংখ্যক) কাপ নেয় (যেখানে ব্রাজিল ২০ বার ফাইনাল খেলে ৯ বার কাপ জিতছে), যে টিম FIFA World Cup final- এ ৬ বার খেলে এবং ৩ বার কাপ নেয় (ব্রাজিল ৭ বার ফাইনাল খেলে ৫ বার কাপ নিয়েছে), সেই টিমকে তোমরা হেয় কর কেমনে। এই দুই টিম এখন পর্যন্ত ১০৫ বার মুখোমুখি হয়েছে, ৩৮ বার আর্জেন্টিনা এবং ৪১ বার ব্রাজিল জয়ী হয়েছে। যাইহোক, আধুনিক ফুটবলের সার্বজনীন জনপ্রিয়তার পিছনে ম্যারাডোনা আর মেসির অবদানের কথা বাদই দিলাম।
ফুটবল খেলার একটু ইতিহাস বোনাস হিসেবে যোগ করে দিলাম:
গোল বলের দলগত খেলা শুরু প্রায় ৩০০০ বছর আগে, আজকের মেক্সিকো, ব্রাজিল/আরজেন্টিনা বা আশেপাশের এলাকায় (মেসো-এমেরিকা)। পরাজিত দল নেতাকে দেব/দেবীর নামে উৎসর্গ করা হত। কিন্তু লাথি মেরে বল খেলার হদিস মেলে চায়না তে প্রায় যিশুখ্রীষ্টাব্দের ২০০-৩০০ বছর আগে, নাম ছিল (Cuju or Ts'u-chü)। যাই হোক অনেকেই বলে প্রাচীন কালে যুদ্ধের পর মানুষের ছিন্ন মুণ্ডু দিয়েও ফুটবল খেলার প্রচলন ছিল। এধরনের খেলায় শারীরিক সংঘর্ষ খুব স্বভাবিক ছিল, মারামারি এমন কি মৃত্যুও ঘটত অহরহ। গোল বল দিয়ে খেলা দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সময়ের সাথে সাথে আজকের রাগবী, হ্যন্ড বল, বাস্কেট বল এবং ফুটবল এভাবেই একই উৎস থেকে এসেছে। ফুটবলের জনপ্রিয়তা হয়ে যায় সার্বজনীন, সবাই বোঝে লাথি মেরে গোল দেয়াই এই খেলার একমাত্র লক্ষ্য। তেড়েফেড়ে মেরে গোল দিতে হবে। ইংল্যন্ডের রাস্তা-ঘাটেও সাদা শ্রমিক শ্রেনীর প্রিয় খেলা হয়ে ওঠে গোল-বলে লাথি মারা। যেমনটা আমরা (বিশং শতাব্দির শেষদিকে) ধানের খড় (পোয়াল) পোটলা বেঁধে পলিথিনের ব্যগ পেচিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে বল বানিয়ে খেলতাম। পরে এই খেলা বিভিন্ন কারণে নিষিদ্ধ করা হয় কয়েক-দফায়। প্রথমে কোন নিয়ম ও রীতিনিতি অনিসরণ করা হত না। সর্বশেষ ফুটবলের এই আধুনিক সংস্করনে নিয়ম সংযুক্ত করা হয় ১৮৪৮ সালে (Cambridge Rules)। কয়েকবছর পর ১৮৬৩ সালে ইতিহাসের প্রথম ফুটবল এসোসিয়েশন গঠন করা হয়। তারও এক বছর আগে ১৮৬২ সালে, ইতিহাসের প্রথম প্রফেশনাল ফুটবল ক্লাব (Notts County FC) গঠিত হয়। পরে যখন আরও প্রফেশন ফুটবল ক্লাব গঠিত হয়। ১৮৮০ সালের দিকে মানুষ টিকেট কেটে ক্লাব ফুটবলের খেলা দেখত এবং ১৮৮৮ সালে ১২ টা ক্লাব মিলে প্রথম প্রফেশনাল ক্লাব ফুটবলের লিগ চালু হয়। ঐ সময় ইংল্যান্ডের বাহিরে ইউরোপে প্রাগ, বুদাপেস্ট এবং সিয়াননাতেও ক্লাব ফুটবল জনপ্রিয় হতে থাকে। প্রথম জাতীয় পর্যায়ে ১৮৮৩ সালে ইংল্যান্ড, আয়ারল্যন্ড, স্কটল্যন্ড এবং ওয়েলস এর ভেতর খেলা হয়। ইউরোপের বাহিরে ১৮৬৭ সালে ব্রিটিশরা প্রথম আধুনিক ফুটবল খেলার আয়োজন করে আর্জেন্টিনায়। এরপর ১৯০৪ সালে ফিফা স্থাপিত হয় (ফিফার কোড এ সাইন করে সাতটি ইউরোপের দেশ), যেখানে নাক উঁচা ইংলিশ জাতি ফুটবলের আবিস্কারক হিসেবে অন্যন্য দেশের সাথে যোগ দিতে অনীহা দেখায়। এমন নি ১৯৫০ সালের আগ পর্যন্ত তারা বিশ্বকাপে অংশ গ্রহনও করে নাই।
Source-Wiki and internet

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: লেখাটায় বেশ হিউমার আছে তথ্য আছে, তত্ত্ব আছে এবং আপনার জোড়ালো যুক্তি আছে। কিন্তু ইংরেজী শব্দ বেশী ব্যবহার,
প্যারা গুলো ভাগ ভাগ করে না দেবার জন্য; পড়ার আগেই ভয় করে মনে 'না জানি কি খটর মটর আলোচনা।'

তবে আমি পড়লাম। ভাল লেগেছে। একটা লাইক ও দিলাম।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১৯

মোঃ জুলকার নাঈন বলেছেন: শেরজা তপন, আপনি যে পড়েছেন এজন্য অনেক ধন্যবাদ। নিজের জানার জন্যই লেখা তাই খুব একটা নজর দেয়ে হয়নি। ভাল থাকবেন।

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৫

বিটপি বলেছেন: বাংলাদেশ ৫ টন হলে ৩ টনই আসলে আর্জেন্টিনা, ২ টন হতে পারে ব্রাজিল।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১৯

মোঃ জুলকার নাঈন বলেছেন: ঠিক-আছে, আমি কারেকশন করে দিলাম--- :) :D

৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটায় অনেক রসকস দিয়েছেন তবু কেন যেন লেখাটা পড়ে আরাম পেলাম না।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৯

মোঃ জুলকার নাঈন বলেছেন: ব্যর্থতা--আমার ব্যর্থতা। পড়ার জন্য ধন্যবাদ রাজীব নুর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.