নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গণভবনের মুরগী/মাছ/চেয়ার... নিয়ে গেলে আপনার আপত্তি হচ্ছে কেনো ?
আপনার জানা উচিত, ওই মাছও আওয়ামীলীগের অপকর্মের সঙ্গী ছিল, ওই চেয়ারটাও আওয়ামীলীগের অপকর্মের সাক্ষী, ওই মুরগীটাও তিনবেলা হাসিনার নাম জপ করতো ! ওদের আর ওখানে থাকার কোনো অধিকার নাই !
তাই ওগুলার উপরে মানুষের ভৎসনাই প্রকাশ পেয়েছে, যারা নিয়ে গেছে, তারা মূলত আওয়ামী বিদ্বেষের জন্যই নিয়ে গেছে ! এইরকম দিন শ্রীলঙ্কারও এসেছিলো, লোকজন রাজাপাকসের বাড়ির সুইমিংপুলে গোসল করেছিলো !
কেনো করেছিলো?
ওদের বাড়িতে গোসলের জায়গা নেই তাই?
না !
মানুষ গণভবনে গিয়ে যা করেছে, ওটা আক্ষেপের জায়গা থেকেই করেছে, আর যদি বাঙালী জাতিসত্বার কথা বলেন, তাহলে টপ টু বটম আমরা সবাই সুযোগের অপেক্ষায় থাকা সুযোগসন্ধানী, সুতরাং ওই আলাপ বাদ !
তাই যারা শাড়ীগুলা পান নি বলে হা হুতাশ করছেন, তারা নিজেদেরকে দূর্ভাগাই বলতে পারেন, আমারও ইচ্ছা ছিল একটা শাড়ী নেওয়ার, নিতে পারি নাই বলে আমার আক্ষেপ আজীবনই থাকবে, গণভবনের সুইমিংপুলে গোসল করতে না পারার আক্ষেপও থাকবে, বিজয় উদযাপন করে প্রচন্ড ক্লান্ত, ঘেমেছিও অনেক, তবুও গণভবনের সুইমিংপুলে গোসল করতে না পারার কাফফারা স্বরূপ আজকে আমি গোসলই করবো না ! যারা কিছু একটা হলেও রাণীর খাসমহল থেকে আনতে পেরেছেন, তারা ভাগ্যবান মানুষ ৷ আপনাদের প্রতি সংগ্রামী ভালোবাসা !
২।
রাষ্ট্রের স্ট্রাকচারাল জিনিস নিয়ে আপনাদের এতো খারাপ লাগছে কেনো ?
বিজয় উদযাপন করতে গিয়ে দেখলাম, মিরপুর মডেল থানা দাউদাউ করে জ্বলছে, সম্ভবত এক টাকার জিনিসও ওখানে আর অবশিষ্ট নাই, পুড়ে শেষ ! কিন্তু আগুনের ওই লেলিহান শিখায় জনতার আক্ষেপ পুড়েছে, গত এক যুগের বেশী সময় ধরে অন্যায় অবিচারের মধ্যে থাকা জনতার কষ্ট পুড়েছে, মিরপুর মডেল থানার ভিতরে থাকা এমুনেশনগুলা যখন গগনবিদারী আওয়াজ করে একের পর একটা বাস্ট করছিলো, তখনকার এই গগনবিদারী শব্দগুলা যেনো গত এক যুগ ধরে আমাদের কন্ঠরোধ করার আর্তনাদ! আর সেই আর্তনাদের বলি হয়েছে মিরপুর মডেল থানা !
ওটা রিপ্লেস করতে তো আমাদের একমাসও লাগবে না ! কিন্তু এক যুগ ধরে বয়ে বেড়ানো আর্তনাদের না বলা চিৎকারগুলো যে আজকে কবর দিলাম, তার মূল্য ওই মডেল থানা জ্বলার চেয়েও ঢের বেশী! ঢের !
৩।
বিজয়ের পর কিছু পুলিশ যখন রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিলো তখন হাজারো জনতার ভুয়া ভুয়া চিৎকার শুনে আপনার তো খারাপ লাগার কথা না, এতোকাল ধরে যে অনিরাপদ বাংলাদেশ তৈরী করেছে এইসব পুলিশেরা, যারা এতোকাল অন্যায়কে ন্যয় বানিয়েছে, ন্যয়কে অন্যায়, তারা ভুয়া ছাড়া আর কি? জনতার এই ভুয়া চিৎকার কি তাদের জন্যে খুব বেশী বলে আপনি মনে করেন?
একদমই না !
এইসব স্ট্রাকচারাল জিনিসপত্র নিয়ে আপনারা প্লিজ হাহুতাশ করিয়েন না, গণভবনে যত জিনিসপত্র জনতা নিয়ে আসছে, টাকার হিসাবে তা কতো হবে জানি না, কিন্তু সেটা জাস্ট রাণীর পিয়নের অবৈধ ইনকাম দিয়েই রিপ্লেসেবল, বরং আরো উতবৃত্তই থাকবে রাষ্ট্রের, বেনজীর-আজিজ-মতিউরেরটা বাদই দিলাম কিন্তু আমার ভার্সিটির ছোটভাই ইরফানকে কি দিয়ে রিপ্লেস করবেন ?
আবু সাইদের বুকে যে পুলিশটা গুলি চালালো আবার তাকে বহাল তবিয়তে রাখার জন্যে নামেমাত্র বরখাস্তের অভিনয় করলো যে আওয়ামী ভগবান, আমরা তো তার তৈরী করা এই ব্যবস্থা থেকে মুক্তি চেয়েছিলাম, আশা করতে চাই হয়তো মুক্তি পেলামও ! কিন্তু আবু সাইদকে মুক্তি দিয়ে আমাদের কাছে ফেরত পাঠাতে পারবেন?
না পারলে গণভবনে জাস্ট দুইচারটাকার ক্ষতি হলো বলে এতো কষ্ট নিয়েন না, পরবর্তীতে যিনি ওই ঘরের দাবিদার হবেন, তিনি যদি সেটাকে *আমার গণভবনের দরজা খোলা* বলে দাবি না করেন, তাহলে আবার আমাদের টাকা দিয়েই আমরা সেটা পূরন করে দিবো ! তাকে চেয়ার কিনে দেবো, মহিলা হলে জামদানী শাড়ী দিয়ে আবার ভরিয়ে দিবো কিন্তু আরেকটা ওবায়দুল কাদের হতে চাইলে হাতে চুরিয়ে পরিয়ে দিবো !
এই নব্য জন্ম নেওয়া রাষ্ট্রের কাছে আমাদের আকুল আবেদন, আপনারা যা রিপ্লেস করতে পারবেন না, সেখানে আঘাত করিয়েন না ! কাওকে হাসিনা হতে দিয়েন না, এমনকি হাসিনা হয়ে ওঠার সিঁড়িও হইয়েন না! কাওকে বেনজীর হতে দিয়েন না ! আবু সাইদকে ওপারে পাঠিয়ে মেট্রো ধরে কান্নাকাটি করিয়েন না ! এতো বড় অভিনেত্রী সাজলে, আপনার জন্যেও গণভবনের পেছনের দরজা খুলে যাবে !৫২-৫৬-৬৬-৬৯-৭১-৮৯-সর্বোপরি genZচব্বিশ ইতিহাসটা মাথায় নিয়ে ওই চেয়ারে বসিয়েন !
এই ছোট্ট বদ্বীপটায় আমরা আর একটাও আবু সাইদ হারাতে চাই না, একটাও ইরফানকে হারাতে চাই না ! আপনি ভালো কাজ করলে, জনতা আপনাকে মাথায় তুলে রাখবে, নইলে সামনের দরজা আলোচনার জন্যে খুলে রেখে পেছনের দরজা দিয়ে পালাতে হবে, এমন কিছু করিয়েন না !
আসেন, দেশটাকে গড়ি !
কাজটা অসম্ভব কিছু না, কঠিন হলেও অন্তত এই চাওয়াটাকেও বাঙালীর *আকাশকুসুম কল্পনা* বলে উড়িয়ে দিয়েন না ! আওয়ামী ভগবান তো নয়ই, বাঙালীর মাথার উপরে পা রেখে গণভবনের চেয়ারে বসে নিজেকে ভগবান ভাবিয়েন না ! ভাবলে আজকের দিনেরই পুনরাবৃত্তি ঘটবে, কোনো সন্দেহ নাই !
বিজয়ের শুভেচ্ছা নিও কমরেডস ! লাল সালাম ! অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের আপোষহীন সংগ্রাম দীর্ঘজীবি হোক !
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:২৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যাক, আপনার ব্যাখ্যাগুলো ভালো লাগলো, হৃদয়গ্রাহী, স্বস্তি পেলাম। এ পোস্টটির জন্য আপনাকে অভিবাদন।
গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ যে জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেছে আর তার দায় চাপিয়েছে অন্য জঙ্গীদের উপর, এর বিচার হওয়া দরকার। জঙ্গী ছাত্রলীগ আর সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগকে চিরতরে রাজনীতির মাঠ থেকে ডিসব্যান্ড করে দেয়া সময়ের দাবি। দৃশ্যমান কিছু উন্নয়নের নামে পুরো দেশকে নিয়ে গেছে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে, দুর্নীতিতে দেশের শিরা-উপশিরা ছেয়ে গেছে।
শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ আরাফাত, জনৈক ওভারস্মার্ট বিচারপতি মানিক, নানক, তাপস, হাজী সেলিমসহ যারা গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষের রক্ত চুষে খেয়েছে, তারা যেখানেই থাকুন না কেন, তাদেরকে গণ-আদালতে বিচার করে রায় কার্যকর করা উচিত। জুলাইয়ে যে-অগ্নিদাহ হয়ে গেল, মেট্রোরেলসহ যত ধ্বংসাত্মক কাজ হয়েছে, তা সবই জঙ্গী ছাত্রলীগের কাজ। আজও যে-সব নৈরাজ্য ঘটছে তাও জঙ্গী ছাত্রলীগের পূর্ব-পরিকল্পিনা অনুযায়ী ঘটছে, যে-ব্যাপারে তাদের মেসেজ আদান প্রদানের স্ক্রিনশট ভাইরাল হতে দেখি।
৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:৪০
বিডি আইডল বলেছেন: আপ্নে আইডেন্টটিটি ক্রাইসিসে ভুগছেন।
৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:৪৭
গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: জনাব মাহমুদ পিয়াস, একদম মন খারাপ করবেন না। কিছুদিন পরে আবার নির্বাচন হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমাদের নেত্রী মানবতার মাতা হযরত শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় আসবেন। নির্বাচন নিরপেক্ষ না হলে জনতা কে সাথে নিয়ে স্বৈরাচারী সরকারকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে আমরা আবার ক্ষমতায় আসবো। আমরা আবার চেতনাকে বুকে রেখে দেশের উন্নয়ন ঘটাবো। সাময়িকভাবে রাজাকারদের নাতিপুতিরা কিছু লুটপাট করছে, দেখতে খারাপ লাগছে, কিন্তু এটা চূড়ান্ত না। মাত্র তো কটা দিন, নির্বাচনের পর আমরা আবার ক্ষমতায় আসবো।
৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:৪০
কামাল১৮ বলেছেন: যাদের নাম দেখলাম বেশির ভাগ দলকানা টাউট বাটপার।কেই কেই জামাত শিবিরের এজেন্ট।এটা চালাবে দেশ।
৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:৪৩
প্রহররাজা বলেছেন: মস্যা নাই, সুযোগ পাইলে এরা আপনার মা বোন বৌ এর কাপড় নিয়েও এমন বিকৃত কাজ করবে। চোরের দেশে সবসময় চোরই ক্ষমতায় আসবে। মুদির দোকানদার থেকে শুরু করে সচিব সবাই চুরির ধান্দায়। আর আপনার মতো সুশীল সাহস ও সুযোগের অভাবে সৎ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:১৮
নয়া পাঠক বলেছেন: দারুণ বলেছে ভাই! সত্যিই তাই আমাদের সামনে অনেক দায়িত্ব, এ দায়িত্বে অবহেলা করা একদম উচিত হবে না। আর টোটালি ন্যায়-কে ন্যায়, আর অন্যায়-কে অন্যায় বলার সাহস রাখতে হবে। সকল সরকারী কর্মচারীকে জনগণের নিকট জবাবদিহীতায় বাধ্য করতে হবে, প্রতিটি কর্মচারী জনগণের সেবকমাত্র। অথচ তাদের কোন অফিসে কাজে গেলে মনে হয় এ দেশে জন্মে অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি।