নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোথায় কি বলতে হবে, কখন বলতে হবে, এটা শেখা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ !
আপনি যদি পর্ণ সাইটে গিয়ে কমেন্টে লিখেন, “আস্তাগফিরুল্লাহ ! এরা এসব কি করে, এদের মনে কি আল্লাহর ভয় নাই ………?”
হবে ?
কেনো হবে না ?
দাওয়াত তো সব জায়গায়ই দেওয়া যায় ! তাহলে সেখানে দিলে অসুবিধা কি ?
অসুবিধা অনেক !
যারা সেই সাইটে গেছে, তারা সেখানে ধর্মের বয়ান শুনতে যায় নাই ! সে সবকিছু জেনে বুঝেই সেখানে গেছে ! ধর্মীয় আলাপের জায়গা সেই সাইট না !
ধরুন, একটা কনসার্টের আয়োজন করা হলো, পুরা শহরে পোস্টার টানানো হয়েছে, জেমস আসবে, জলের গান আসবে, মমতাজ আসবে ! কিন্তু সেখানে গিয়ে লাগানো হলো মিজানুর রহমান আযহারীর ওয়াজ ! সে বয়ান করতে থাকলো, গান শোনা কুল্লু হারাম ! গান শুনলে জাহান্নামে কি কি শাস্তি হবে সেসব বয়ান করতে থাকলো.....!
আপনার কি মনে হয় ?
এখন থেকে সবাই গান না শোনার সবক নিয়ে যাবে ?
নেভার এভার !
আবার ধরেন, যদি ওয়াজ শোনানো হবে বলে একটা গাদারিং করা হলো, হাজার হাজার মুসল্লি আসলো, আর সেখানে জেমসের গান বাজানো শুরু হলো ! আপনি মানবেন ?
আমাদের সমস্যাই হলো, আমরা গান শোনানোর জায়গায় গিয়ে ওয়াজ করি !
নর্থ সাউথের পরিবেশ কেমন থাকে সেটা নতুন করে বলার কিছু নাই ! যেখানে ৯০% ছাত্রী নিজেদের চয়েস অনুযায়ী ড্রেস পরে আসে ! সেইরকম একটা মজলিশে বসে আপনি বোরকা পরার সবক দিতে পারেন না ! দেওয়া উচিত না ! শিক্ষক হিসাবে আপনার ব্যর্থতা হলো, কোথায় কাকে কি নিয়ে নসিহত করতে হবে সেটার ব্যাসিকটুকু আপনার জানা নাই ! সরি টু সে, আপনি যেমনই পড়ান না কেনো, ইউ আর নট আ গুড টিচার অ্যাট অল !
আগে শিখেন কোথায় কি বলতে হবে, কাকে বলতে হবে !
আপনার যদি এতোই ধর্মীয় ক্লাস নেওয়ার ইচ্ছা থাকে, তাহলে হোয়াই NSU ? দেশে কি মাদ্রাসার অভাব আছে ? তারপরেও যদি আপনার ধর্মের বয়ান দেওয়ার এতোই ইচ্ছা থাকে আপনি আলাদা একটা সময়ে, আলাদা কোনো রুমে একটা টাইম ফিক্সড করে বলতে পারতেন, আমি অতটার সময় সেখানে তোমাদের লেবাসের বিষয় নিয়ে বলতে চাই, যাদের ইচ্ছা জয়েন করতে পারো ! তবে সেটা ক্লাস টাইমের বাইরে !
আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাই ধর্মীয় বয়ান শুনতে নয়, তাহলে আমি মাদ্রাসা-মসজিদ চুজ করতাম ! আমি মাদ্রাসা বাদ দিয়ে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেছি, সেখানে কোন ধরনের শিক্ষার্থীরা পড়াশনা করে সেটা জেনেই গিয়েছি, তাদের কারিকুলাম সম্পর্কে জেনে তারপর গিয়েছি, তারপরেও আমি যেহেতু সেই বিশ্ববিদ্যালয়কেই চুজ করেছি, সেখানে সব ধর্মের শিক্ষার্থী পড়াশুনা করতে পারে, তার মানে এটাই যে, আমি আমার ধর্ম সম্পর্কে জানার জন্যও সেখানে যাচ্ছি না !
আমি যদি পর্দা করি, সেটা আমার বিষয়, আমাকে কেও নিষেধ করলে আমি তার প্রতিবাদও করবোই ঠিক তেমনি কেও হিজাব-নিকাব ছাড়া গেলেও যদি কেও তাকে সেটার বিষয়ে নিষেধ করে আমি সেটারও প্রতিবাদ করবো ! আমি পাঞ্জাবি পরে গেলে সেটা আমার বিষয় ! আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লেও সেটা আমার বিষয়, কেও আমাকে মানা করার অধিকার রাখে না, ঠিক তেমনি আমি নামাজ পড়তে না চাইলে আপনি আমাকে জোর করতে পারেন না, বড়জোর দাওয়াত দিতে পারেন, বাধ্য না ! ঠিক তেমনি কেও যেমন আমাকে চাপিয়ে দিয়ে বলতে পারে না যে, কেনো আমি পর্দাসহ ভার্সিটিতে এসেছি ঠিক কেও এটা বলারও অধিকার রাখে না যে, কেনো আমি হিজাব পরে আসি নাই !
এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপারই ! বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে এই স্বাধীনতা কেনো থাকতে হবে সেটা আমি আগেই বলেছি কারন এটা মাদ্রাসা না ! এখানে শুধু মুসলিমরা পড়ে না ! তাহলে অন্য ধর্মের আরেকজন কেনো আপনার পর্দার বয়ান শুনবে ?
তাহলে একজন হিন্দু শিক্ষককে এলাউ করবেন ভার্সিটিতে এসে হিন্দু ধর্মে উৎসাহিত করার বয়ান করতে ? একজন খ্রিষ্টান শিক্ষককে এলাউ করবেন, খ্রিশটিয়ানিটি প্রচারে ? যদি না করেন তাহলে হোয়াই পর্দার বয়ান ?
আমাদের শিক্ষকরা যুবক বয়সে কি করে বেড়িয়েছে তার হিসাব যাই হোক না কেনো, ৬০ বছর পার হলেই তারা কেনো জানি তারা শিক্ষক থেকে কনভার্ট হয়ে একেকজন ধর্মগুরু হয়ে যান ! ধর্মগুরু হতে অবশ্যই দোষ নাই, তবে আমার ক্লাসের মাঝে হলে তার দোষ আছে !
২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩৪
কামাল১৮ বলেছেন: ভালো বলেছেন।
৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সুন্দর ভাবনা।
চমৎকার।
৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০৭
ধুলো মেঘ বলেছেন: তাহলে ইন্ডিয়ার মাদ্রাসায় কেন রামের জীবনী পড়া বাধ্যতামূলক করেছে? যার সেখানে যা অথোরিটি আছে, সেটা প্রয়োগ করবেই। স্থান কাল পাত্র বিবেচনার যুগ এটা না।
৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৬
আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: আপনার সাথে একমত। চৈত মাসের ওয়াজ মাঘ মাসে দিলে শীতে কাঁপতে কাঁপতে মরতে হবে।