নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ, এটাই আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় ।

মাহমুদ পিয়াস

মানুষ হবার চেষ্টা করছি ! পারছি কই !

মাহমুদ পিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'সমানাধিকার\' এর বেড়াজালে বস্তাবন্দি \'ন্যায্যতা\'

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৪

মেয়েদের কোনটা জরুরী?
'সমান-অধিকার' নাকি 'ন্যায্য অধিকার'?

কোনটা প্রয়োজন? 'সমতা বিধান' নাকি 'ন্যায্যতা'?

একটা ছেলে সারাদিন মাঠে কাজ করবে, পাশাপাশি একটা মেয়েও সারাদিন মাঠে কাজ করবে, এবার দিনশেষে যখন দুজনের কাজের ফলাফল বিচার করা হবে, তখন কি দুজনেরই কাজের অগ্রগতি সেইম হবে?

একটা ছেলে সারাদিন ভ্যান-রিকশা চালালে তার যতটা পরিশ্রম হবে, একটা মেয়ে সারাদিন ভ্যান-রিকশা চালালে তারও একই পরিশ্রম হবে ? সারাদিনের পরিশ্রমের পর কি দুজনেরই ক্লান্তিবোধের পরিমান সেইম হবে?

একটা পুরুষ যতটা ভার উত্তোলন করতে পারবে একটা মেয়েও কি ততটা ভার উত্তোলন করতে পারবে ?

একটা ফাইটিং স্কোয়াডে কখনো নারী-পুরুষের মধ্যে ফাইট করা চলে ?

একটা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট কখনো নারীদের ১১ জন বনাম ছেলেদের ১১ জনের মধ্যে আয়োজন সম্ভব? দুই দলের ফাস্ট বোলারদের গতি সেইম হবে কিংবা ছক্কা হাকানোর দূরত্ব সেইন হওয়া সম্ভব?

নারী রেসলার বনাম পুরুষ রেসলারের মধ্যে ফাইটিং সম্ভব?

উপরের উদাহরনগুলা হলো 'সমান কাজ'এর উদাহরন অর্থাৎ একটা ছেলেও যা করছে বা করতে পারবে একটা মেয়েও তা করতে পারে বা পারবে কিন্তু কথা হচ্ছে দুজনের কাজের রেজাল্ট সেইম হবে কি না !

সারা দুনিয়াতে কাজের মূল্য নির্ধারন করা হয়, তার কাজের ফলাফল দিয়ে, কাজটা সে পারে কি না, তার ভিত্তিতে না। আমি একটা কাজ করতে জানি বা করতে পারি ঠিক আরেকজনও কাজটা করতে পারে, সুতরাং দুজনের কাজের মূল্য সেইম হতে হলে দুজনের কাজের ফলাফলটাও সেইম হতে হবে, এবং সেটাই হওয়া উচিত ।

আমাদের যেসব নারীবাদীরা নারী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন, তারা নারীদের 'সমতা' বিধানের কথা বলেন, কিন্তু ন্যায্যতার কথা বলেন না। সমতা বিধান হলো, একজন পুরুষ যতটুকু কাজ করে যতটুকু রেজাল্ট নিয়ে আসবে ঠিক একজন নারীও ততখানি কাজ করে ততটুকু রেজাল্ট নিয়ে আসবে তখনই তাদেরকে তাদের পরিশ্রমের জন্যে সমান মূল্য পরিশোধ করা হবে। আর ন্যয্যতা বিধান হলো, একজন পুরুষ তার সামর্থ্য অনুযায়ী যতটা কাজ করে যতটুকু রেজাল্ট আনবে একজন নারীও ঠিক তার সামর্থ্য অনুযায়ী ততটুকু রেজাল্ট আনবে এবং তাকে তার রেজাল্টের উপরে পরিশ্রমের মূল্য নির্ধারন করতে হবে ।

বাসে নারীদের সিট বরাদ্দ থাকবে এটা সমতা বিধানের জন্যে না বরং নারীর ন্যয্যতা নিশ্চিত করার জন্যে । কারন বাসটা চলার সময় ব্রেক করলে গতিজড়তার জন্যে একটা পুরুষ যতটা সামনের দিকে ঝুকে একটা নারী তার তিনগুন বেশী ঝুকে পড়ে । যেহেতু এক্ষেত্রে পুরুষের সহ্যক্ষমতা বেশী তাই তার সহ্য ক্ষমতার জন্যে সে অধিক্ষন দাঁড়িয়ে থাকতে সক্ষম আর একজন নারীর দাঁড়ানোর সহ্যক্ষমতা কম হওয়ার জন্যেই তার জন্যে আলাদা সিট রাখতে হবে। এটাই ন্যয্যতা বিধান ।

নারীরা অবশ্যই তাদের কাজের সমান সুযোগ চাইতেই পারে কিন্তু দেখতে হবে দুজনের কাজের আউটপুট সেইম কি না, যদি সেইম হয় তাহলে তার মূল্য সেইম হবে, আর আউটপুট সেইম না হলে তার মূল্যও সেইম হবে না।

স্বামী সারাদিন রিকশা চালিয়ে উপার্জন করে, বউ সারাদিন বাসায় রান্না করে-ছেলেমেয়ে দেখভাল করে...এটা দুজনের সামর্থ্যের সক্ষমতাস্বরূপ নিজেদের জায়গায় সর্বোচ্চ। মেয়েরা রিকশা চালাতে পারবে না বা পুরুষ ঘরের কাজ সামলাতে পারবে না এমন না, কিন্তু তাতে নারীর পরিশ্রম বেশী হবে-ক্লান্তি বেশী আসবে, পুরুষের এনার্জি জমা থাকবে (পুরুষ ঘরের কাজ করবে কি না সেটা আলাদা আলোচনা) সেই হিসাবে একজন পুরুষের কম ক্লান্তি আসবে, এজন্যে সক্ষমতা অনুযায়ী কাজের ক্ষেত্র নির্ধারন করলে তাতে কাজের পারিশ্রমিকটাও সেইম আসে ( এমনটা হচ্ছে কি না, তা আলোচনার বিষয় না)।

সুতরাং সবক্ষেত্রে সমতা চাওয়া জরুরী না, সমতা বিধান করাটাও বুদ্দিমানের কাজ না বরং যোগ্যতা-দক্ষতা এবং সক্ষমতার ভিত্তিতে কাজের স্থান নির্ধারন করে নারী-পুরুষের কাজের জায়গায় ন্যায্যতা বিধান করাটাই হোক নারীর প্রতি যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শনের উপায় ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: পুরুষরা ভালো হলে, সভ্য হলে মেয়েদের আর কোনো সমস্যা থাকবে না।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সব পুরুষ কি সমান কাজ করতে পারে নাকি এটা সম্ভব ।এটা একটা কুযুক্তি।

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার প্রোফাইলে লেখা আছে, মানুষ হওয়ার চেষ্টা করছেন; আরো এক জনম চেষ্টা চালাতে হবে, মনে হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.