নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ, এটাই আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় ।

মাহমুদ পিয়াস

মানুষ হবার চেষ্টা করছি ! পারছি কই !

মাহমুদ পিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

পদার্থ চার প্রকার ! কঠিন, তরল, বায়বীয় এবং....

১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩০

কি খবর পিয়াস ?

পিয়াস সর্বদা অপরিবর্তনশীল ! বাহ্যিক চাপ, পারষ্পরিক তাপমাত্রা, অতি ভরবেগীয় আবেগে যার কোনো পরিবর্তন ঘটে না । সে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় স্থান পরিবর্তন করে মাত্র কিন্তু তার অবস্থা একই থাকে....।

তো এরকম পদার্থকে কি বলে ?

শোনো, পদার্থ কিন্তু আদতে চার প্রকার ! কঠিন-তরল-বায়বীয় ও পিয়াস ! বিজ্ঞানিরা শেষের অবস্থাটাকে কখনো জনসম্মুখে আসতে দেয় নি ।

কোন বিজ্ঞানিরা ?

কার কথা রেখে কার কথা বলবো, বলো ! এই নিউটন ছোড়াটার কথাই ধরো । ব্রেন-বুদ্ধি কিচ্ছু ছিল না । আমিই তাকে পরামর্শ দিয়েছিলাম যে, আপেল গাছের নিচে বসে পড়াশোনা করতে ! কারন, যদি কখনো আপেল নিচে পড়ে তাহলে যাতে সেই আপেল খেয়ে খেয়ে তার বুদ্ধি বাড়ে । ব্যাটা কতো বড় গাধা, একটা আপেল নিচে পড়লো অথচ সেইটা না খেয়ে সে ভাবতে বসলো, আপেলটা নিচে পড়লো ক্যান ? আরে বেকুব, আপেলেরও তো বুদ্ধি আছে, সে জানে কোনো মানুষের মাথায় পড়া তার উচিত হবে না, তাই নিউটনের পাশে পড়ছে যাতে সে অনায়াসেই খেয়ে একটু বুদ্ধিমান হতে পারে, অথচ বেকুবটার কান্ড দেখো....

বাদ দাও নিউটনের কথা । তো আইনস্টাইন কি করসিলো ?

ও তো আমার ক্লাসমেট ছিল । শালা জীবনেও চুল কাটাইতো না, মোছও কাটতো না, বাকীসব কাটতো কি না জানি না তবে দাড়ি কাটতো দেখতাম ! এর জন্যে ওর বাপ ওরে কতো যে মারসে রে ভাই । একবার তো ওরে মারতে মারতে প্রায় আধমরা করে ফেলসিলো, আমি হঠাৎ করে তখন ওর বাসায় বেড়াতে গেসিলাম, তাই আংকেল ওরে প্রানে মারে নি । তারপর থেকে সেই যে পাগল হলো, পরে নাকি কি কি সব উদ্ভট পাগলামি ছাগলামি জিনিস আবিষ্কার-টাবিষ্কার করসিলো শুনলাম, অথচ ওসব জিনিস আমি দিনের মধ্যে হাজার খানেক আবিষ্কার করতাম !

আর প্লেটো ?

আমরা একই ভার্সিটিতে পড়তাম কিন্তু আমার দুই ব্যাচ জুনিয়র ছিল । ৭ সেমিস্টার শেষ করে মাত্র ২৬ ক্রেডিট শেষ করেছিলো, শেষে বাধ্য হয়ে আমাদের ভার্সিটি ছেড়ে হার্ভাডে ভর্তি হলো ! আমাদের ভার্সিটিতে থাকলে সিজিপিএ ২.০০ নিয়েও বের হতো কি না সন্দেহ ! হয়তো এতোদিন রিটেক নিতে নিতেই তার জীবনের অর্ধেক কেটে যেতো !

আর সক্রেটিস ?

ওহ, এই শালা তো বুয়েটে চান্স পাইসিলো....

ওয়েট ওয়েট, সক্রেটিস তোমার শালা হয়?

হয় না, হতো ! ওর একটা বোন ছিলো তার নাম পিয়েরে কুরি ! আমার সাথে প্রেম করার জন্য দিনরাত ঘুরঘুর করতো ! আমি অবশ্য পাত্তা দিতাম না তোমার জন্য ! কারন আমি জানতাম, আমার রাজ্যের রানী একমাত্র তুমি ! তাই ওরে চান্স দেই নাই ! পরে শুনেছি, এতে সে এতোটাই কষ্ট পেয়েছিলো যে, সারাদিন একা একটা ঘরের মধ্যে পড়ে থাকতো আর কি কি সব জানি করতো ! পরে নাকি তার এই মেন্টাল স্ট্রেস দূর করার জন্য নোবেল কমিটি তাকে একটা নোবেল দেয়, তারপর সে সুস্থ হয় !
যাই হোক, সেই এক্স মেয়ের কথা শুনতে তোমার ভাল্লাগবে না জানি, ওর কথা বাদ দাও ! যা বলছিলাম, সক্রেটিস বুয়েটে চান্স পাইলো অথচ তিতুমীর কলেজে দর্শন পড়বে বলে বুয়েটে ভর্তি হলো না ! আমার কাছে এসে কান্না কান্না কন্ঠে বলে, দোস্ত কেউ আমারে সাপোর্ট দেয় না, সবাই বুয়েটে ভর্তি হতে বলে, আমি বুয়েটে পড়তে চাই না, ওখানে পড়ে কোনো ক্যারিয়ার নাই, আমি কি করবো বল ! আমার এই দুঃসময়ে তুইও যদি পাশে না থাকিস তাহলে গরুর শিংয়ের গুতা খেয়ে আত্বহত্যা করা ছাড়া আমার কোনো উপায় থাকবে না ! যদিও সবাই ওরে আহাম্মক বলতো, কিন্তু আমি ওরে খুব এপ্রিশিয়েট করতাম ! বললাম, তোর যা ভালো লাগে তুই তাই কর ! তুই তিতুমিরেই ভর্তি হও । আমার কথায় ভরসা পেয়ে সে তিতুমীরে ভর্তি হলো ! আজকে তো সে নামকরা দার্শনিক ! সব প্রাইমারি স্কুলের বইয়ে তার দর্শনের কথা পড়ানো হয়, স্কুল-কলেজেও হয়, ভার্সিটিতেও পড়ানো হয় কি না জানি না । সবাই সক্রেটিসকে দার্শনিক হিসেবে জানে কিন্তু এই দার্শনিকের পেছনে কার লম্বা হাত ছিল তা কিন্তু কেউ জানে না ! সক্রেটিসও তার জীবদ্দশায় কোনোদিন আমার অবদানের কথা স্বীকারও করে নি ! আসলে দুনিয়াটাই এরকম, বুঝলা অনু ! প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে সবাই তার অতীত ভুলে যায়...!

আচ্ছা তোমার মাথায় কি সবসময় এরকম গালগল্পই ঘুরঘুর করে ?

কি বলো এগুলা ! যা সত্যি তাই তো বললাম ! অযথা উল্টাপাল্টা মিথ্যা কথা বলে আমার কি লাভ বলোতো ? হুদাই পাপ কুড়ানোর কোনো দরকার আছে ! ব্যাপার নাহ, যা দিনকাল পড়ছে সবাই সাহেদের মতোন চিটার-বাটপার লোকের কথা বিশ্বাস করে অথচ জগতে আমার মতোন মুখের উপর সত্যি কথা বলার মতো লোকের সংখ্য অতি নগন্য বলেই আমরা অবহেলিত !

এসব আলতু ফালতু কথা বইলাই তো আমারে পটাইছিলা ! এখন আবার কারে পটানোর জন্যে এসব কাহিনী বানাইতেছো ?

আস্তাগফিরুলাহ ! কি বলো সোনা ! জগতে একমাত্র তুমিই আমার সাধনা, তুমি আমার হারানো মানিক, সাধের কাঠগোলাপ, শীতকালের কাঁঠাল !

শীতকালে কাঁঠাল হয়?

হয় না, সেরকম না ! আসলে আমার দরকার হয় না, তুমি পাশে থাকলেই মনে হয়, জগতের সব কাঠাল আমার পাশে ! তুমি সামনে থাকলে মনে হয়, জগতের সবচেয়ে কাটাওয়ালা কণ্টকাকীর্ণ পথ আমার সামনে ! যেহেতু তুমি পাশে থাকো, তাই আর কাঁঠালের প্রতি টান থাকে না আমার ! তুমিই আমার জীবনের একমাত্র কাঁটাওয়ালা কাঁঠাল! তুমিই আমার জীবনের আমের আঁটি, যেখান থেকে জন্ম নেবে অসংখ্য গোপালভোগ-খিরসাপাত আম !

অনেক তো গল্প হলো অনু ! রাত এগারোটা বাজে, চলো আমরা পরের বছরের আমের মুকুল ধরানোর প্রস্তুতি নিই..!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার লেখার গুনের কারনে পোষ্টটা উৎরে গেল।

২| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কেমন বিজ্ঞানী, আপেল মাটিতে পরা নিয়ে চিন্তিত হয়। আপেলটা মাথার উপর পরা দরকার ছিল। মাথা ফাইটা মরত। আমাদের আর এই সব বিদঘুটে সূত্র পড়া লাগত না। আরেকজন কোথাকার বেহালা বাদক কি সব আপেক্ষিক কথা বলে তা বুঝি না। জন্মের পর মুখ দিয়ে কথা বার হতে যার ৩ বছর লাগসিল সে আবার বড় বিজ্ঞানী। আরেক জ্ঞান পাপি নাম তার সক্রেতিস। মনে তার যা আসে তাই বলে যার সাথে বিজ্ঞানের কোনও সম্পর্ক নাই। ভালো হইসে ওনারে বিষ খাওয়াইয়া মারসে। তা না হলে আরও কত যে বাণী শুনতে হইত কে জানে। তারপর আসলো ওনার চামচা যার নাম প্লেটো। তবে এই ভদ্রলোক নাকি প্রথম সাম্যবাদের কথা বলে গেসেন। আল্লাহ তার ভালো করুক। আল্লাহ আপনারও ভালো করুক। :)

৩| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:১২

উদ্বাস্তু মানুষ আমি বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে মাথা কেমন করছে।

৪| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:১৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বেশ ভাল লাগলো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.