নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মসজিদ খোলার বিপক্ষে কেনো বলতে বসলাম, শপিং সেন্টার খোলা নিয়ে কেনো বলছি না !
এই কথা যখন লিখছি তখন,
বাংলাদেশে আজ করোনা রোগী ধরা পড়েছে সর্বোচ্চ(৭৯০) জন ! দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি প্রতিদিন ৩৩০০ কোটি টাকা ! আগামী বাজেট বরাদ্দ হবে কিভাবে, তা নিয়ে অর্থমন্ত্রনালয়ের অলরেডী ঘুম হারাম হয়ে গেছে ! জিনিসপত্রের দাম ইতিমধ্যেই ধরাছোয়ার বাইরে চলে যেতে শুরু করেছে ! রংপুরে প্রায় হাজারখানেক রিকশাচালক চিল্লাচিল্লি করছে লকডাউন তুলে দেওয়ার জন্যে ! পরিবহন শ্রমিকেরা রাস্তা অবরোধ করেছে পরিবহন চালু করার জন্য.....আর না বলি আমাদের দেশেরটা !
আমেরিকার অর্থনৈতিক শক্তিশালীতা নিয়ে বলার কিছু নাই তবুও সেখানে এই লকডাউনের কারনে ১৯ লক্ষ মানুষ বেকার হয়েছেন, নিউইয়র্কে লকডাউন তুলে নেওয়ার জন্য বিক্ষোভ চলছে, হোয়াইট হাউজের সামনে নার্সরা বিক্ষোভ করছে মাস্কের দাবিতে ! ট্রাম্প বলছেন, এই লকডাউন বেশীদিন চলতে দেওয়া হলে আমেরিকার অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়বে !
সরকার নিজেকে যতই ইউরোপ-আমেরিকা দাবি করুক, অন্তত আপনি জানেন আপনার দেশ অর্থনৈতিকভাবে কতটুকু শক্তিশালী ! আমাদের দেশের মন্ত্রী-এমপি-আমলারা কতটুকু দায়িত্বশীলতার সাথে দেশ পরিচালনা করছে তা আপনি বুঝছেন, সেই সাথে কতোটা সততার সাথে চেয়ারম্যানরা চাল-ডাল-তেলের খনি থেকে তেল উত্তোলন করে জনতার মাঝে বিতরন করছে তা আপনি নিজ চোখে দেখছেন !
তো এই ব্যবস্থার মধ্যে আপনি কতোদিন মানুষের মুখে খাবার তুলে না দিয়ে ঘরে বসিয়ে রাখবেন ! আজ হোক কাল হোক আপনাকে সবকিছু খুলে দিতেই হবে, তা সে ঘোষনা দিয়ে হোক বা না দিয়ে হোক ! তবে যেহেতু রোগীর সংখ্যা এখনো হাজারের নিচে রয়েছে সুতরাং আমরা চাইলে আরো কিছুদিন ওয়েট করতে পারতাম ! অন্তত এই মাসটা পর্যবেক্ষন করতে পারতাম ! সুতরাং বাজার খুলে দেওয়াটা সরকারের অগ্রিম সিদ্ধান্ত তবে বিরোধীতা করার মতো কোনো সিদ্ধান্ত নয় !
এবার আসি মসজিদ খোলা প্রসঙ্গে !
হাদীসে বোখারীতে একটা ঘটনা উল্লেখ আছে !
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি তার মুয়াজ্জিনকে এক বর্ষণমুখর দিনে বললেন,
"তুমি যখন আযানে, আশহাদুআন্না মুহাম্মাদার রসূলূল্লাহ বলবে তখন তার পর হাইয়া আলাস সালাহ বলবে না, এর পরিবর্তে বলবে, 'সাললূ ফী বুয়ুতিকুম'(তোমরা নিজ নিজ ঘরে নামাজ আদায় করো)! লোকেরা তা পছন্দ করলো না, তখন আমি বললাম, আমার চেয়ে উত্তম ব্যক্তিই(নবীজি) তা করেছেন ! জুমুআ নিঃসন্দেহে জরুরী, আমি চাই না, তোমাদেরকে মাটি ও পানির মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করার অসুবিধায় ফেলে দিই"..
তার মানে, যুক্তিসঙ্গত ওযরে মসজিদে আসতে নিষেধ করা হয়েছে ! যেখানে ঝড়-বৃষ্টির সময় সামান্য কাদা-পানি থেকে বাঁচতে মসজিদে না যাওয়ার ব্যাপারে বলা হয়েছে অথচ এখন আমরা এমন অবস্থার মধ্যে আছি যখন বাইরে গেলে মৃত্যুর সম্ভাবনাও আছে ! তাহলে এই সময়ে মসজিদে যাওয়া কি খুব জরুরী ?
আবারো স্বরন করিয়ে দিই, ক্বাবা শরীফে পর্যন্ত যেখানে নামাজ বন্ধ করে রেখেছে করোনা ক্রাইসিসে সেখানে আপনি কি তাদের চেয়ে বড় আলেমে দ্বীন ? ইরান মুসলিম রাষ্ট্র হওয়া সত্বেও তাদের প্রেসিডেন্ট আয়াতুল্লাহ খোমিনী মসজিদে নামাজ পড়া বারন করেছেন, সেখানে আপনি কি তাদের চেয়েও বড় ইসলাম বিশারদ ?
তবুও এই করেনা প্যান্ডেমিকের সিচুয়েশনেও আমি মসজিদে যাওয়ার বিপক্ষে পোস্ট দিতে পারবো না ? যেটা ইসলামে শতভাগ সমর্থিত ব্যাপার ?
ধর্মান্ধতা ভালো কিন্তু ধর্মকে একটু আদটু জেনে সেটা নিয়ে আবেগী তর্ক করাটা শুধু বোকামীই না বরং গুনাহের সামিল !
এবার আসি, মসজিদে মানা কিন্তু শপিং খোলার পক্ষে কেনো ?
এটা রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক ব্যাপার ! ব্যাবসা-বাণিজ্য না হলে দেশ চলবে না, মানুষ না খেয়ে মারা যাবে ! মসজিদে না গেলে কি মানুষ মারা যাওয়ার সিচুয়েশনে পড়বে? বাজার বন্ধ থাকলে তো দেশের মানুষজনের উপরে তার প্রভাব পড়বে, দ্রব্যের দাম বাড়বে, দূর্ভিক্ষের মতো অবস্থাও হতে পারে, তাহলে ব্যবসা না চালালে আমার অসুবিধা আরো প্রবল থেকে প্রবলতর হবে ! কিন্তু যেখানে না গেলে আমার সমস্যা নাই, ধর্ম অনুযায়ীও ঠিক আছে সেখানে গিয়ে গ্যাদারিংটা এই মুহুর্তে তো ক্ষতিই করবে ! তাহলে মসজিদে যাওয়া বন্ধ রাখতে পারা মানে করোনা সিচুয়েশন থেকে একটু দূরে থাকা, যেটা চাইলেই থাকা যায় ! তার মানে এই না, মসজিদে গেলে করোনা ছড়াবে আর বাজারে গেলে ছড়াবে না(ব্যাখ্যায় যাওয়া বাড়তি আলাপ) কিন্তু এই জায়গায় যেহেতু সব বয়সের মানুষ যায়(বৃদ্ধ-যুবক-শিশু)সুতরাং সবার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও এক না, তাই এখানে আক্রান্তের ঝুকিও আছে ! একটা জনসমাগম কমাতে পারা মানে একটু ঝুকি কমানো ! ঘরেই যদি ইবাদাত করেন, ইবাদাতের হুকুমও থাকে, তাহলে সেকানেই আল্লাহকে বেশী বেশী করে স্বরন করেন, তাতে অসুবিধা কি ?
আমার বাসার একেবারে সামনে মসজিদ, তার সাথেই ক্বওমিয়া মাদ্রাসা লাগোয়া যেখান থেকে প্রতিবছর হাফেজগন তাদের হেফজ শেষ করেন, জীবনের অনেকটা সময় আমার মাদ্রাসার সাথীদের সাথে কেটেছে ! আমি ঘর থেকে ইক্বামাত শুনতে পাই, সেই আমিও মসজিদে যাওয়া বন্ধ রেখেছি, ঘরবন্দী অবস্থায় আল্লাহর ইবাদত যত বেশী করা যায় করছি ! যতটা না সওয়াবের আশায় ইবাদাত করছি তার চেয়ে বেশী করছি জাহান্নামের শাস্তি কমানোর জন্য !
নিজেকে প্রশ্ন করে দেখেন, এই করোনার আগে আপনি কয়বেলা ফজরের নামাজ পড়েছেন? এখনইবা কয় ওয়াক্ত নামাজ নিয়মিত আদায় করছেন ? রোজা রেখে মিথ্যে বলা ছেড়েছেন ? রোজা রেখে ফেসবুক/ইনস্টাগ্রামে এসে অশ্লীল ছবি দেখা বন্ধ করেছেন ?
ধর্ম নিয়ে আলাপ ভালো কিন্তু তার চেয়ে বেশী জরুরী 'ধর্ম মানা' ! আপনি কিয়ামতের দিন 'ধর্ম নিয়ে তর্ক করেছেন কি না' তার জন্য জিজ্ঞাসীত হবেন না, বরং এক ওয়াক্ত নামাজ বাদ দিলে তার জন্য আপনাকে কোটি কোটি বছর জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে !
তর্ক বাদ দেন, আজকের এশার নামাজটা না পড়ে থাকলে ওজু করে নামাজটা সেরে নিন ! অন্তত কয়েক কোটি বছরের জাহান্নামের আগুন থেকে তো বাঁচবেন !
যা কিছু খোলার খুলে দিক, আসেন আপনি/আমি সম্মিলিতভাবে ঘরে থাকি ! এই ঘরে থাকাতেই রয়েছে কামিয়াবী !
শুভকামনা রইলো ! আল্লাহ আমাদের সবাইকে উত্তম বুঝ দান করুক সেই সাথে সবাইকে ক্ষমা করুন আর এই মহামারী থেকে আমাদের রক্ষা করুন !
আমীন !
২| ০৬ ই মে, ২০২০ রাত ১১:৫৪
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: এই মুহুর্তে দেশে কার্ফিউ দেয়া উচিৎ।
৩| ০৭ ই মে, ২০২০ রাত ১:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: কি হচ্ছে না হচ্ছে কিছুই বুঝতে পার্ছি না।
৪| ০৭ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:১২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: একটা নিউজ দেখলাম শপিং মল খোলার সিদ্ধান্ত পুন বিবেচনা করবে সরকার
৫| ০৭ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:৫৯
আধাপাগল বলেছেন: আমি জানি পৃথিবীর ৭০% মানুষ সাধারণ মানবীয় জ্ঞানের অধিকারী। সাধারণ মানবীয় মানে একজন সাধারণ মানুষের জ্ঞান। যেমন সে পশু থেকে কয়েক ডিগ্রি উপরে। একটা মানুষ যা যা করে একটা পশুও তা তা করে। পশুর জ্ঞান আর মানুষের জ্ঞান কোনো পার্থক্য নাই। খায় দায় হাগে মুতে ঘুমায় এই তো মানুষ আর পশু। কয়জনে প্লেন বানায়? কয় জনে আপেল মাটিতে পড়া নিয়ে মাথা ঘামায়? কয় জনে মোবাইল বানায়? কয় জনে কম্পিউটার বানায়? কয় জনে ডাক্তার হয়? ৭০% হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বাকি ৩০% হচ্ছে উন্নত জ্ঞানের। এই ৭০% মানুষকে কখনো বুঝানো যাবে না। মারলে মরে যাবে। মরতে রাজি হবে। তবুও বুঝবে না, বুঝতে চাইবে না। এটা এই ৭০% মানুষের রক্তিয় স্বভাব। জন্মগত স্বভাব। যেহেতু এদেরকে বুঝানো যাবে না, মানুষ বানানো যাবে না, কিছুই করার নাই। শুধু চেয়ে চেয়ে দেখা।
সবাই যদি ডাক্তার হয়, বাজারে মাছ তারকারী বিক্রি করবে কে? সবাই যদি গার্মেন্টসএর মালিক হয়, গার্মেন্টসএ কাপড় বানাবে কে? সবাই যদি প্লেন বানায়, প্লেনে চড়বে কে?
তাহলে সমাধান কি? সমাধান হচ্ছে, নিজেকে সেফ রাখা। শপিং মল সহ সকল কার্যক্রম যদি চালু না করে তাহলে মানুষ ঘরে না খেয়ে মরবে। চালু করলে বাইরে গিয়ে কোরোনায় মরবে। দোনো দিকে মরন। তাহলে সমাধান কি? সমাধান হচ্ছে সব কিছু খুলতেই হবে। শুধু গরুর মত হাম্বা হাম্বা করে এদিক সেদিক ছুটাছুটি না করে মানুষের মত ধীরে সুস্থে বাজার সাজার কাজ কর্ম সবকিছু করে যাওয়া। দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করে যাওয়া। তার পরও দেখবেন ৭০% মানুষ জ্ঞানের অভাবে না বুঝার কারণে আক্রান্ত হবেই। কিছু করার নেই।
৬| ০৭ ই মে, ২০২০ ভোর ৫:১৭
আধাপাগল বলেছেন: আমি বলতে চাচ্ছি, বিশ্বে ৭০% মানুষ সাধারণ মানুষ। ৩০% মানুষের আইকিউ আছে। যার আইকিউ নাই সে জাস্ট সিম্পল একটা মানুষ। এই ৭০% কিছুতেই বুঝানো যাবে না।
আমি বলতে চাচ্ছি, বিশ্বে ৭০% মানুষ সাধারণ মানুষ। ৩০% মানুষের আইকিউ আছে। যার আইকিউ নাই সে জাস্ট সিম্পল একটা মানুষ। এই ৭০% কিছুতেই বুঝানো যাবে না।
চিত্রের সোর্স এখানে
চিত্রের সোর্স এখানে
৭| ০৭ ই মে, ২০২০ ভোর ৬:০৯
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আপনি তো আধাপাগল না পুরাই পাগল,তবে অন্য রকম পাগল।
৮| ০৭ ই মে, ২০২০ সকাল ৭:১৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
জামাতে নামাজ পড়ার সময় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে হয়। এমনকি এক জনের সাথে আরেকজনের পাও স্পর্শ করে দাঁড়াতে হয় । এখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনো স্কোপ কি আছে?
৯| ০৭ ই মে, ২০২০ সকাল ১০:১২
নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানী।
১০| ১১ ই মে, ২০২০ রাত ১২:০৮
আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: ধর্মীয় বিষয়ে মানুষ প্রায়ই দেখি যে নিজের আবেগ আর ইচ্ছাকে ধর্মীয় নিয়ম বানাই ফেলে। রেফারেন্স ধরে ধরে ধর্মীয় আলোচনার সংস্কৃতি না থাকাটাই এর কারন।
১১| ১১ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৪
blackant বলেছেন: যৌক্তিক উপস্থাপন করেছেন ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই মে, ২০২০ রাত ১১:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
তা'হলে, আমেরিকায় মাত্র ১৯ লাখের চাকুরী গেছে? আপনি ভুল লিখেছেন।