নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ, এটাই আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় ।

মাহমুদ পিয়াস

মানুষ হবার চেষ্টা করছি ! পারছি কই !

মাহমুদ পিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুরুষবাদীর ঘরে নারীবাদী আলাপ !

০৯ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:২৭

অাম্মুর চাকরীর বয়স প্রায় ২৫ বছর ! সেই ছোটকাল থেকেই দেখছি, অাম্মু অফিস থেকে ফিরেই তার পরিবারের রান্নার জন্য রান্নাঘরে চলে যান !

অাব্বু একজন স্কুল শিক্ষক ! তিনি অাবার ক্ষুধা সহ্য করতে পারেন না ! স্কুল থেকে ফিরে ফ্রেশ হবার পর তার প্রথম কাজ খাওয়া !

এই নিয়ে কোনোদিন অাম্মুর মধ্যে অাক্ষেপ দেখি নি যে, অামিও তো চাকরি করি, তাহলে শুধু অামিই কেনো রান্না করবো ? একদিন তুমি রান্না করবে, একদিন অামি, সমানে সমান ! যাও, থালাবাসন ধুয়ে অামাকে খেতে দাও... কোনোদিনই বলেন নি তিনি ! অামার খুব শখ, অাম্মু একদিন অাব্বুকে দিয়ে রান্না করাক !

একদিন অাম্মুকে জিগ্যেস করলাম, কখনো অাব্বুকে দিয়ে রান্না করাও নি ?
বেশ খানিকটা ভেবে অাম্মু বললো, একদিন করেছিলো বোধহয়, মুরগীতেও সেই তরকারী খায় নি.... অাম্মু তারপর থেকে কোনোদিন তাকে রান্না করার কথা বলে নি ! বাইরে থেকে দাওয়াত খেয়ে অাসলেও অাব্বু বলে, কি রান্না করেছো দেখি ! তার সন্তানেরাও তার রান্না ছাড়া পেট ভরে খেতে পারে না, তার তরকারীতে নুন-ঝাল হোক বা না হোক, অামাদের তার রান্নাই লাগবে !

প্রতি শুক্রবারে জুমার নামাজে যাওয়ার অাগে গোসলের সময় অাব্বুর কাজ বাথরুম পরিষ্কার করা ! অাব্বু কোনোদিন অাম্মুকে বলেন নি, এই কাজ তো অামার নাহ, যাও তুমি পরিষ্কার করো ! সন্ধ্যায় যখন দরজার সামনের জায়গাটায় গাছের পাতা পড়ে নোংরা হয়ে থাকে, তখন অাব্বুই ঝাড়ু হাতে নিয়ে জায়গাটা পরিষ্কার করে ফেলেন, অাম্মুর জন্য অপেক্ষা করেন না !

অাম্মু যখন মাঝেমধ্যে ফুলহাতা ব্লাউজের সাথে শাড়ী পরে, তখন মনে হয় পৃথিবীর শ্রেষ্ট নারীবাদী অামার সামনে ! যেদিন তিনি খিচুড়ি অার গরুর মাংশ রান্না করেন, মনে হয় এক পৃথিবী সমান ক্ষুধা অামার পেটে অার তার ডাবল ক্ষুধা অাব্বুর পেটে ! গোসল শেষে যখন অাম্মু চুল অাচড়ায় তখন মনে হয়, এই চুল দেখেই জীবনানন্দ কবিতা লিখতেন !

অথচ ফেসবুকে এসে যখন তথাকথিত স্লিভলেস ব্লাউজ ওয়ালা ববকাট নারীবাদী(অাদতে পুরুষবিদ্বেষী)দের পুরুষকে কটাক্ষ করে-রাস্তাঘাটে 'দায়িত্বহীন সমঅধিকার' মূলক নারীবাদীময় পোস্ট দেখি, তখন মনে হয়, এরা নারীবাদীর সঙ্গাই জানে না, অামার অাম্মুকে দেখানো উচিত !

অামার অাম্মু একই সাথে চাকরী করে, ঘরদোর সামলে-সংসার সামলে-ছেলেদের তিনবেলা পিটিয়ে মানুষ করেও কোনোদিন তার মুখ থেকে অাব্বুকে উদ্দেশ্যে করে বলতে শুনলাম না, 'অামিও সমান ইনকাম করি(তোমার থেকে বেশীই) তাহলে অামারও সমান অধিকার অাছে এই সংসারে), যাও অামার গোসলের জন্য এক বালতি পানি গরম করো !

নারীবাদীতা তাইলে কি ? পুরুষের ঘাড়ে বসে পুরুষ বিদ্বেষী মনোভাব পুষে রাখা ?
নারীবাদীতা কি তাইলে? ববকাট চুল অার স্লিভলেস ব্লাউজ পরে বয়ফ্রেন্ডকে বলা যে কিছু একটা করো, নইলে অামার পরিবার তোমাকে মেনে নেবে না ? নারীবাদীর সংগা কি তাহলে ? কার জন্য অাপনার এই নারীবাদ ?

সমঅধিকার-সমমর্যাদা পাওয়ার অাগে যদি সমদায়িত্ব নিতে না পারো তবে তোমার সেই নারীবাদ রাস্তার পাশে ফেলে দেওয়া ডাস্টবিনের ময়লা !

নারীবাদীতা নিপাত যাক, সমদায়িত্ব বৃদ্ধি পাক ! অাম্মুর পক্ষ থেকে নারীদিবসের শুভেচ্ছা !

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:৩৫

ইলি বলেছেন: xlarge.jpgনারীদিবসের শুভেচ্ছা

২| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:১০

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে ঠিক আছে।

৩| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৩৬

খাঁজা বাবা বলেছেন: একদম ঠিক

৪| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:০২

সাগর শরীফ বলেছেন: তো সময় এমন দাড়িয়েছে ভাই যে, এখন যদি জনে জনে গিয়ে সমঅধিকারের সবক দিতে চান তাহলে তো আপনি বা আমি পেরে উঠব না। ওদের অধিকার লাগবে, সুযোগ লাগবে আগে। জানি না কত সুযোগে ঠিক নারীবাদীদের মন ভরবে! দায়িত্ব ওরা নাকি পরে পালন করে আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবে।

৫| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:০৫

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপনি যে আপনার বাবা মাকে নিয়ে বর্ণনা দিয়েছেন সেই একই ঘটনা বা এর থেকে বেশি ভালো সংসার পৃথিবীতে অনেক আছে। যেমনটা আমার মা বাবা মধ্যে অনেক ভালো সংসার করে তারা। কিন্তু ঘন্ডগোলটা হলো অন্য জায়গায়। যেসব পুরুষ বা যেসব নারী এই রকম সংসার করতে পারে না ঠিক তখনি সমাজে উঠে আসে নারী পুরুষের সমান সমান কথাটি। নারীবাদিরা আমার বাবা মা আপনার বাবা মা এদের কথা নিয়ে রাস্তায় নামছে না। রাস্তা মানছে যে সব পুরুষশাসিত সমাজ নারীদের মানুষ মনে করে না, নারীদের সামাজিক, মানসিক, শাররীক অত্যাচার করে সেই সব অমানুষদের নিয়েই নারীরা নারীবাদি হয়ে রাস্তা, মিটিং মিছিল নিয়ে নামে।

আমাদের সমাজে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নারীদের উপর পরুষরা অত্যাচার করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিভিন্ন সময়। এটা শুধু এই যুগেই না বহুযুগ আগে থেকেই হয়ে আসছে। এইগুলো নিয়ে কোনদিন কোনকালে কোন ভদ্রপুরুষরা মিটিং মিলিছ নিয়ে বের হয়নি বা এর প্রতিবাদও করিনি। অন্য নারীকে অত্যাচার হতে দেখেও কোন পুরুষরা প্রতিবাদ করেনি উল্টো হেসে উড়িয়ে দিয়েছে। আর সেটা এখনও চলছে।

কিন্তু এই সমাজের কিছু পুরুষদের কাছে যদি সত্যিটা কিছু প্রশ্ন করা হয় তবে তারা কোনদিনও এর উত্তর দিতে পারবে না। কোন পরুষ না। তাই আজ যখন নারীরা শত অত্যাচার অনাচার হয়ে ঘরের বাইরে বের হয়েছে ঠিক তখনি কিছু পরুষরা আবার পুরুষ বাদি হয়ে দাড়িয়েছে। তবে আমি কখনো পুরুষবাদী বা নারীবাদীর সমর্থন করি না। আমি মনে করি এই সব না করে প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গাটা বুজে নেওয়া উচিত। সবাই সবাইকে সমর্থন করা উচিত। কেউ বাপবেটা কেউ বাপেরজির দাপট না দেখিয়ে সব কিছু নিজেদের মধ্যে শেয়ার করাই হলো উত্তম।

৬| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৪২

নীলসাধু বলেছেন: ওকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.