নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"রবীন্দ্রনাথ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিপক্ষে ছিলেন, তিনি বলেছিলেন, মূর্খের দেশে অাবার কিসের বিশ্ববিদ্যালয়, তারা তো ঠিকমতো কথাই বলতে জানে না"..........
মৌলবাদীদের জন্য খুব রসালো টপিক! রবীন্দ্রনাথ এ দেশের বিপক্ষ ছিলেন, হ্যান ছিলেন-ত্যান ছিলেন! কিন্তু এই ঘটনার সত্যতা কতটুকু? রবীন্দ্রনাথ কি সত্যিই এ কথা বলেছিলেন?
উপরে উদ্বৃত রবী সম্পর্কিত কথাগুলো ভাইরাল হয়েছে মেজর(অব অাব্দুল মতিনের একটি লেখায়! সেখানে তিনি বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ১৯১২সালের ২৮মার্চ কলকাতার গড়ের মাঠে অায়োজিত এক জনসভায় রবীন্দ্রনাথ উপরের কথাগুলো বলেছেন! অথচ অাসল সত্য হলো, রবীন্দ্রনাথ সেই সময়ে কলকাতায়ই ছিলেন না, শারীরিক অসুস্থতার কারনে তিনি তখন কুষ্টিয়ার শিলাইদহে অবস্থান করেছিলেন এবং ১৯১২ সালের ২৪ মার্চ থেকে ১২ই এপ্রিল পর্যন্ত তিনি শিলাইদহে রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে ছিলেন! শিলাইদহে বসে রবী লিখেছিলেন
''অামার এই পথ চাওয়াতেই অানন্দ,
খেলে যায় রৌদ্রছায়া বর্ষা অাসে বসন্ত
কারা এই সমুখ দিয়ে, অাসে যায় খবর নিয়ে
খুশি রই অাপন মনে, বাতাস বহে সুমন্দ"......
বর্তমানে রবীন্দ্র সঙীত হিসেবে খুবই জনপ্রিয় এই গানটিতেই এটির রচনাকাল সময় তারিখ স্থান সব উল্লেখ অাছে ! অথচ মতিন সাহেব কোনো বাছবিছার না করেই বলে দিলেন, রবীন্দ্রনাথ গড়ের মাঠে বসে ঢাবির বিরোরোধীতা করেছিলেন! তিনি কথাটা যাচাইয়েরও প্রয়োজন মনে করলেন না !
অাবার এই রবীন্দ্রনাথকেই যখন ঢাবি প্রতিষ্ঠার মাত্র ৫বছরের মাথায় ঢাবি কর্তৃপক্ষ ঢাবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রবিকে অামন্ত্রন জানিয়েছিলো, রবীন্দ্রনাথ সসম্মানে ঢাবিতে পা রেখেছিলেন! ঢাবি তাকে সম্মানসূচক ডি-লিট উপাধীও দিয়েছিলো! মনে অাছে অাপনাদের?
রবি যদি ঢাবির বিরোধীতা করতেন তাহলে ঢাবিতে পা রাখতেন না! কেউ অাবার এটা ভাবিয়েন না যে, 'একসময় হয়তো বিরোধী ছিলেন পরে পুরষ্কারের অাশায় ভোল পাল্টেছিলেন"
নাহ! রবীন্দ্রনাথ অামাদের এরশাদ কাকুর মতো ব্যাক্তিত্ববান নন! তার জন্ম যে পরিবারে সেই জমিদার প্রাসাদে ব্রিটিশ হর্তাকর্তারা যখন প্রবেশ করতো তখন এক গ্লাস পানি খেতো অার বের হবার পরে অারেক গ্লাস পানি খেয়ে পিপাসা মেটাতো! ভোল পাল্টানো অতটা ব্যাক্তিত্বহীন পরিবার অন্তত রবি ঠাকুরের না!
এমনকি সেই সময়ের কোনো পত্রপত্রিকাও লিখে নি যে, রবি বাবু ঢাবি প্রতিষ্ঠার বিপক্ষে ছিলেন!
তাহলে রবির প্রতি অামাদের এতো বিদ্বেষ কেনো?
তিনি হিন্দু বলে?
তাহলে ৭১ এর কথা একবার মনে করে দেখেন! অাপনার স্বজাতি মুসলিম ভাইয়েরা যখন অাপনার মায়ের-বোনের ইজ্জত লুটায় ব্যাস্ত, বাড়ি পোড়ানো, নির্বিচারে সাধারন মুসলিমদের হত্যা, নারী ধর্ষন, মায়ের কোল থেকে শিশুকে কেড়ে নিয়ে দেওয়ালের সাথে অাছাড় মেরে শিশুটিকে হত্যার পর মাকে ধর্ষন করে হত্যা করেছিলো অাপনারই স্বজাতি মুসলমান ভাই! অার অাপনি যখন অাপনার 'প্রানের মুসলিম ভাই'য়ের অত্যাচার থেকে বাঁচতে নিজভূমির মায়া ত্যাগ করে পালিয়ে ভারতে অাশ্রয় নিলেন, তখন অাপনাকে মাথা গোজার ঠাই দিলো-কাপড় দিলো-অন্ন দিলো সেই তারা যাদেরকে অাপনি চিরকালের দুশমন ভাবতেন সেই ভারতীয় হিন্দুরা !
যারা রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে অাজেবাজে কথা বলেন, তারা পরিষ্কারভাবেই এই বাংলায় সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করতে চান! তাদের চিহ্নিত করে কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত বলে মনে করি!
লিখা: Mahmud Piash
২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১৭
Taufik Alahi বলেছেন: সত্য তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ তবে আমার মুসলিম ভাইয়েরাই হয়তো আমার মা বোন কে ৭১ হত্যা করেছেন এটা হওয়া টায় সাভাবিক এটা বলে হিন্দুদের হাইলাইট করার যুক্তি আমি দেখি না তার কারন আমার দেশে ৭১ এ মুসলিম ছিলো ৯০ ভাগ তাই মুসলিম সের উপর আক্রমন করার সাহস হিন্দুদের ছিলো না।
যদি পারেন তবে ভারতের মূসলিম দের নিয়ে লেখবেন আশা করি। আর সম্ভব হলে দি ইন্ডিয়ান মুসলিম বইটি পড়বেন
৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৪৬
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আপনার কথা ম্যাওপ্যাও টাইপের।
রবীন্দ্রনাথ ঢাবির নয়, বঙ্গভঙ্গের বিরোধীতা করেছিলেন।তবে সাহিত্যিকদের জাতী বা ধর্মের উর্ধে রাখা উচিত।
৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:২০
শিখণ্ডী বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ বঙ্গভঙ্গের বিরোধী ছিলেন। শাসনকার্য চালিয়ে যেতে বৃটিশদের উদ্দেশ্য ছিল বাঙ্গালিদের দুর্বল করতে, কেননা বাঙ্গালিরা তখন ভারতে সবচেয়ে অগ্রসর ছিল। বঙ্গভঙ্গ করে পূর্ব বাংলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় অনেকটা ঘুস হিসেবে দিতে চাইছে। তিনি বঙ্গভঙ্গের বিপক্ষে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে কখনও কিছু বলেননি। কিন্তু ধান্দাবাজরা বলে থাকে রবীন্দ্রনাথ বিশ্ববিদ্যালায় প্রতিষ্টিত হোক তা চাইতেন না বলেই বঙ্গভঙ্গের পক্ষে বলেছেন। আমরা ভুলে যাই তিনি নোবেলের সব টাকা দান করেছিলে এই বাংলার কৃষকদের কল্যাণে, পশ্চিম বাংলায় কিন্তু দেননি।
৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪৪
কল্পদ্রুম বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিপক্ষে ছিলেন এটা আমিও বিশ্বাস করি না।এর পক্ষে বিপক্ষে কোন শক্ত ঐতিহাসিক উপাত্ত আমার জানা নাই।আপনার লেখা পড়ে একটা ধারণা হলো।আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার লেখার শেষের অংশটা পছন্দ হলো না।শুধু মানুষের ঘরে জন্ম নিয়ে দেখতে মানুষের মত হলেই যেমন মানুষ হওয়া যায় না,তেমনি মুসলমানের মত নাম থাকলেই মুসলমান হওয়া যায় না।৭১ এর পাকি হানাদারদের আমি কোন দিক দিয়েই মুসলমানের কাতারে ফেলতে চাই না।মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় বাঙ্গালিদের মহানুভবতাকে অন্য অনেক ভাবেই সম্মান জানানো যায়।
৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২৬
শিয়াল মামা বলেছেন: He was not Hindu. He was Brahmmo (Brahimi).
৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৫১
চোরাবালি- বলেছেন: # কোন তথ্য উপাত্ত ছাড়া কার কথা বিশ্বাস করব!! মেজরের নাকি পিয়াসের??
যদি জ্ঞান বিবচেনায় বিশ্বাস করতে হয় তা হলে মেজর সাহেবকেই বিশ্বাস করতে হবে। লেখক লেখার শেষের অংশটা জুড়ে লেখার গুরুত্ব বাড়াতে চেয়েছেন মাত্র। কারণ এখন যে কোন জায়গায় ৭১টানলে গুরুত্ব বাড়ে এমন একটি ধারণা একটি গোষ্ঠির।
যা হউক চেয়ারে বসা কত্তার সামনে ছালা বিছিয়ে জ্বি বাবু জ্বি বাবু করা মুসলিম থেকে আর কিইবা আশা করা যেতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০৯
প্রবাসী মজুমদার বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ যদি বিরোধিতা করেও থাকেন, তাহলে কি করার আছে? সবার একটা ব্যক্তিগত মতামত থাকতে পারে। দ্বিতীয় একজন কবিকে কবি হিসেবেই দেখা উচিত। এসব বলে যদি রবীন্দ্রনাথের বই না পড়ি তাহলে কার ক্ষতি? তাই এসব বিষয় নিয়ে বিতর্ক করা দস্টিভঙ্গীর সীমাবদ্ধতা বৈ কিছুই নয়। ধন্যবাদ আপনাকে।