নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধরেন, কোথাও নারী নির্যাতনের স্বীকার হইলো, নারী তার প্রাপ্য অধিকার থেকে ছুচ পরিমান বঞ্চিত হইলো, সবার আগে আম্রিকা সেইটা ফাস কইরা পুরা দুনিয়াকে দেখাবে আর বলবে, সবাই দেখো এখানকার নারীরা তাদের অধিকার পাচ্ছে না ! এই দেশে নারীরা নিরাপদ না, এই না সেই না......।।
আম্রিকা নারীদের উন্নয়নে পুরা পৃথিবীতে সাহায্য কইরা বেড়ায় । কেউ চাইলেও সাহায্য করে, না চাইলেও করে । ক্যান করে ? কারণ তার চায় পুরা দুনিয়া নারীদের পক্ষে আসুক । তারা 'সমান অধিকার, সমান অধিকার' বইলা মুখে ফেনা তুইলা ফেলে । সাথে সাথে আমরাও গলা মেলাই, তাইতো তাইতো, আমেরিকা তো ঠিকই বলসে !!!
এবার একটা মজার তথ্য দিয়ে রাখি !! #আমেরিকার_গত_২০০_বছরের_ইতিহাসে_কোনো_নারী_প্রেসিডেন্ট_হয়_নি ! কেনো হয় নি ? একটু নিচে তাকান !!
যে দেশ নারীদের কল্যাণে এতো কাজ কইরা বেড়ায়, তারা একজন নারীকে ক্ষমতায় বসাইতে পারে নি ক্যান ? নাকি ৩.৭৯ মিলিয়ন বর্গমাইল জায়গা জুড়ে থাকা ৪৮টি রাজ্যের, ৩০৯ মিলিয়ন জনগনের মধ্যে একটাও নারী নেই, যে কি না আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবার যোগ্যতা রাখে ?
ধরে নিলাম নাই ! তাহলে আমেরিকাই তো ব্যার্থ, নারীদের রাজনীতিতে এনে পুরুষের সাথে এক কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করানোর ক্ষেত্রে ! এটাই প্রমানিত হয়, কোনো নারী আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবার যোগ্য না । ভুল বললাম কিছু ?
আপনি হয়তো ভেবে বসেছেন, আমি নারীবিরোধী কিছু বলতে বসলাম কি না ! ভুল বুঝবেন না, যুক্তি দিয়ে বিচার করার চেষ্টা করুন !
ডোনাল্ট ট্রাম্প একজন ধর্ষক, কয়েকজন নারী নিয়ে না ঘুমালে তার ঘুম আসে না, কোটি কোটি ডলার কর ফাকি দেওয়া, মাতাল, উন্মাদ, অসংখ্য পর্ণস্টারের সাথে ইটিস-পিটিস করা (আরও আছে বলতে গেলে রাত ফুরিয়ে যাবে) তার সব খবর মিডিয়া পুরা বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছে ! তাই বলি কি, এতোগুলা ভালো কাজের স্টিকার যে মানুষের সাথে লাগানো আছে, সেই মানুষ কোন যোগ্যতায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয় ? তিনি রাজনীতি ভালো বোঝেন তাই ? তাহলে আপনাকে একটা প্রশ্ন করি,ডোনাল্ট ট্রাম্প নামটা আমেরিকার নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে কোনোদিন শুনেছেন ? বলে রাখা ভালো আমেরিকার নির্বাচন নিয়ে মাতামাতি শুরু হয় নির্বাচনের ১৭মাস আগে । ১৭ মাস আগে ট্রাম্প নামটা শুনেছেন আপনি ?
এবার হিলারির দিকে আসি । পুরা দুনিয়া ছিল হিলারির পক্ষে !
আমার মনে হয়, আমার বয়সীরা জন্মের পর থেকেই হিলারি ক্লিনটন নামটা শুনে এসেছে । উনার রক্তে প্রবাহিত হচ্ছে রাজনীতি । উইকিলিকস নির্বাচনের ২দিন আগে তার ব্যাক্তিগত ২হাজারের বেশি ইমেইল ফাস করেছে । এফবিআই প্রত্যেকটা ইমেইল আতশি কাচ দিয়ে খুজে দেখেও তার বিরুদ্ধে কিছু পায় নি । খারাপ কিছু করলে তো পাবে !!
তাহলে তিনি নির্বাচিত হতে অসুবিধা ছিল কোথায় ??
অসুবিধা ওখানেই । আমেরিকার প্রত্যেকটা মানুষ বিশ্বাস করে একজন নারীর পক্ষে তার দেশের ৪৮টি রাজ্য একসাথে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব না ! তার প্রমান এই নির্বাচন ! নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর, এতো পরিমান মানুষ কানাডায় আসার জন্য আবেদন করেছে যে, কানাডার ইমিগ্রেশন সাইট ক্রাশ করেছে । আমেরিকার জনগন ছাড়া দুনিয়ার সব লোক হিলারির পক্ষে ! কোনো লাভ হইছে ? না, কারণ তারা নিজের ভালোটা সবসময় বোঝে ! বুঝিনা শুধু আমরা । চিলে কান নেওয়ার মতো অবস্থা !
তার মানে আমি বলছি না, আমি নারী সরকার বিরোধী, নারী বিরোধী, নারীদের সমান অধিকার বিরোধী একজন হক্কানী আলেম । আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তিনিও একজন নারী । তার মতো দক্ষ রাজনীতিবিদ এই মুহূর্তে দ্বিতীয়টি খুজে বের করা এখন মুশকিল ! তার প্রমান হিসেবে বলি, এতো জঙ্গি হামলা হলো, এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে, আমেরিকানরা এখানে আস্তানা গড়তে চেয়েছে, কিন্তু শেখ হাসিনা সেসব খুব তীক্ষ্ণ বুদ্ধি দিয়ে, তার রাজনৈতিক দক্ষতা কাজে লাগিয়ে সেসব দমন করেছেন ।
আমি শুধু এটুকু বলতে চাইছি, আমেরিকার জনগন আজ পর্যন্ত একজন নারীকে সেখানকার গদিতে বসিয়ে রেকর্ড ভাঙতে পারে নি । তাহলে তাদের মুখে নারী অধিকার, এই সেই হ্যান-তান বইলা পুরা দুনিয়াকে বোকা বানানোর যে চেষ্টা করছে এবং পুরো পৃথিবী তাদের করতলগত করতে চাইছে (ইতিমদ্ধেই করেছে), সেটা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয় কি ??????
নাকি আমার মতো ক্ষুদে বালকের মাথায় "রাজনীতি" শব্দের সঠিক ব্যাখ্যা জানার জন্য কয়েকবার জন্মগ্রহন করতে হবে ????
আমার এতো কথায় তো আর নির্বাচনের ফলাফল বদলে যাবে না । তাছাড়া বিশ্বের সবাই মন থেকে না মানতে পারলেও মুখে ঠিকই ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন ।
তাই আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন "ডোনাল্ট ট্রাম্প" !
আসলে অভিনন্দন না জানিয়ে উপায় ছিল না ???
২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৩
কলাবাগান১ বলেছেন: "অসুবিধা ওখানেই । আমেরিকার প্রত্যেকটা মানুষ বিশ্বাস করে একজন নারীর পক্ষে তার দেশের ৪৮টি রাজ্য একসাথে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব না ! "
এমন সরলীকরন একজন ফাইভ পাশ লোক ও করবে না। এই আমেরিকান রা ই দুইবার একজন আফ্রিকান-আমেরিকান কে প্রেসিডেন্ট বানিয়েছিল।
এবার একটাই কারন আমেরিকান রা আইসিস নিয়ে ভীষন ভাবে চিন্তিত.....এরা যখন দেখে যে ব্রিটেনে আইসিস এর সমর্থক রা বাকিংহ্যাম প্যালেসের উপর আইসিস এর ফ্ল্যাগ তুলার 'দাবী' তখন ভয় পায় যে কিছুদিন পড়ে না আবার হোয়াইট হাউসের উপর এই ফ্ল্যাগ তোলার কথা উঠে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
এরা বেকুব না যে, খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনাকে মাথায় বসায়ে রাখবে; এদেশে উপযুক্ত হতে হবে; আপনার রাজনৈতিক ভাবনা শিশুর ভাবনার কাছাকাছি।