নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাত আনুমানিক আড়াইটা । সবেমাত্র ঘুমটা গাড় হয়েছে । এমন সময় কলিং বেল বাজলো বেশ কয়েকবার । এরপর শুরু হলো ডাক
>মাষ্টার সাহেব আছেন নাকি ! ও মাষ্টার সাহেব !!।
আব্বুর শরীরটা সন্ধ্যা থেকেই বেশ খারাপ । তবুও বুঝলাম বেশ বিরক্ত হয়েই দরজা খুললেন ।
>মাষ্টার সাহেব কি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন নাকি ?
>>হ ভাই
>তাইলে তো ডেকে ভুল করলাম মনে হয় ।
>>না ভাই ঠিক আছে ।
>মাষ্টার সাহেব জানেন তো, আমি এবার হারপিক মার্কায় চেয়ারম্যান ইলেকশন করছি,আপনি তো বোধহয় ভোট নিতে যাবেন. তা এলাকার লোকজনরে একটু দোয়া রাখতে বলবেন । আপনার কথা এলাকার লোকজন ভালো শোনে ।
>>জ্বী ভাই অসুবিধা নাই । আমি বলবো ।
>একটু দেখবেন । ও আর আপনার বড় ছেলেও তো এবার ভোটার হয়েছে । বাড়িতে আছে নাকি? একটু ডাকেন বাজানের সাথে দেখা করে যাই ।
বুঝলাম আব্বুর ইচ্ছা না থাকা সত্বেও, আমার রুমে এসে বললেন পিয়াস ঘুমিয়ে পড়েছিস ?
>না আব্বু । এখোনো ঘুমাই নি ।
>>তোর পরিষ্কার চাচা আসছে কথা বলবে তোর সাথে ।
এমনিতেই লোকটা কাচা ঘুম ভাঙ্গছে । মেজাজটা চরম খারাপ করেই বাইরে গেলাম । দেখি হবু চেয়ারম্যান ফোনে কথা বলতেছেন । ৩/৪ মিনিট পর ফোন রেখে বললেন >বাজান থাকো কোথায়?
>>জ্বী আংকেল, রাজশাহী !
>পড়াশোনা করছো ?
>>জ্বী আংকেল !
>বেশ ভালো । পরশু তো ভোট । এইবার প্রথম ভোটার হইছো । যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দিবা । আর আমার জন্য অবশ্যই দোয়া রাখবা । আমি পাশ করলে তো তোমাদেরই সুবিধা ।
>>জ্বী আংকেল অসুবিধা নাই ।
>তাইলে থাকো বাজান । আসি তাহলে ।
>>জ্বী আংকেল ।
মনে মনে বললাম আর যাই হোক, পরিষ্কারের হারপিক মার্কায় ভোট জীবনেও দিমু না । কারণ এই হারপিকে ভেজাল আছে ।
এইসব মেম্বর চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা কি বোঝে না রাত আড়াইটার সময় কারো বাসায় গেলে সে কি রকম বিরক্ত হয় ? যদি বুঝেই থাকে তাহলে আসে কেনো আর যদি না বোঝে, তাহলে যে জনগণের বিরক্ত রাগ দুঃখের কথা বিবেচনায় রাখে না তাকে আর যাই হোক চেয়ারম্যান করা যায় না !!
n.b. নামগুলা কাল্পনিক সেই সাথে প্রতিকটাও । আমার এলাকায় পরিস্কার নামে কেও হারপিক মারকায় ভোটে দাড়ায়নি !!
০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০০
মাহমুদ পিয়াস বলেছেন: কৃতঙ্গতা আপনার প্রতি !
২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩১
বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা
০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫৮
মাহমুদ পিয়াস বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই !
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৪
প্রামানিক বলেছেন: হা হা দারুণ কাহিনী কইলেন। ধন্যবাদ