নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রায় ১৩ বছর আগের কথা, আমাদের বাড়িতে ডেলটা ব্র্যান্ডের একটা রেডিও ছিল । তখন রেডিও জিনিসটাও এতোটা availiable ছিল না । আমাদের গ্রামের মানুষের bbc খবর ও বিনোদনের ভরসা বলতে ওই রেডিওটাই । আমার দিব্যি মনে আছে, তখন বাংলাদেশ বেতারে, সকাল ১১ টায় একটা অনুষ্ঠান হতো, যেখানে শ্রোতাদের অনুরোধের গানগুলো বাজানো হত । আমাদের বাড়ির আশেপাশের গৃহিণীদের গানগুলো শোনার ঝোঁকটা একটু বেশি ছিলো, তাই তারা সকালের খাবার খুব তাড়াতাড়ি করে রান্না করে, যখন তাদের স্বামীরা বাইরে কাজে চলে যেতো, তখন তারা আমাদের বৈঠকে(বারান্দা) এসে পাটি বিছিয়ে একসাথে বসতো । তখন অনুরোধ করার জন্য চিঠি লিখতে হতো, একটা চিঠি লিখে ৫/৭ অপেক্ষা করতে হতো, তারপর সেই নির্দিষ্ট দিন রেডিও সেটের সামনে, পুরো অনুষ্ঠানে কান পেতে থাকতে হতো, কখন তার নামটি রেডিওতে বলবে, তার গানটি কখন বাজাবে এই আশায় । সেইসময়ের জনপ্রিয় শিল্পি ছিলেন, আসিফ, মনির খান, কনকচাঁপা, রুনা লায়লা, বেবি নাজনিনের মতো বাঘা বাঘা শিল্পিরা । আর যদি বাংলা সিনেমার কোনো গান বাজতো তাহলে তো কথাই নাই, কোলের ছেলেও যদি একবার কান্না করতো তবুও তার মুখ চেপে ধরতো । ওদের মধ্যে আবার যারা একটু রসিক ছিলেন তারা বলতেন, “বাবা গানটা শেষ হোক, তারপর যতো পারিস কাঁদিস, এখন একটু চুপ কর" ।
এবার আজকের দিনে আসি, আমি যখন এই কথাগুলো টাইপ করছি, ঠিক তখনই মনে হয় আরও কয়েকটা গান রিলিজ পেয়ে গেছে । আমাদের কাছে শ্রোতারা যখন গানের রিকুয়েস্ট করেন, তার সাথে সাথেই যদি তার গানটি না বাজাই বা তার টেক্সট না পড়ি তখন তারা, হাতের এক ক্লিকেই অন্য রেডিও টিউন করেন । এখনকার দিনের শিল্পিদের গান কয়দিন চলে বলতে পারেন ? কয়েকদিন ভালো লাগার পর সেই গানটির উপর তাদের অরুচি ধরে যায় । তারা আবার অন্য কোনো গানের দিকে ঝুকে পড়েন । আমরাও তাই, কয়েকদিন আমাদের রেডিওতে ধুমচে সেই গানগুলো বাজানোর পর আমরাও ডিলেট করে দিই ।
এখন আসল কথায় আসি, আমি বলছিনা যে, এখন যথেষ্ট ভালো গান হচ্ছে না বা এখনকার শিল্পিরা পরিশ্রম করেন না, তবে ‘আজকের শিল্পিদের কাছে, তখনকার শিল্পিরা ফেলনা’ এটা ভাবলে তাদের ভুল ভাবা হবে। এখনো যদি কোথাও বাংলা সিনেমার (১৯৯৮-২০০৭/৮) গানগুলো বাজানো হয়, তাহলে আমার মনে হয় একজন স্রোতা ঠিক সেই আগের গানটার দিকেই মনোযোগ দিবেন । তাহলে যদি প্রতিযোগিতায় লাগাই যে, কোন সময়ের শিল্পিরা বেশি দামী, নিঃসন্দেহে তখনকার শিল্পিরাই জয়ী হবেন । তাহলে আমাদের যুগ এগিয়েছে, অনেকটা সময় পার হয়েছে, আমরা অন্যান্য দিকে অনেক উন্নতি করেছি, আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে, আমাদের হাতে স্মার্ট ফোন এসেছে কিন্তু সেই ডেলটা ব্র্যান্ডের সেই রেডিওটির জায়গাটা, আমাদের স্মার্টফোনগুলো দখল করতে পেরেছে কি ? যদি না পারে তাহলে আমাদের এখনকার গানগুলো বা আমাদের শিল্পীগুলো যাদেরকে নিয়ে আমরা এত নাচানাচি করি, তারা ঠিকভাবে এগিয়েছে কি, বা তাদের মূল্যয়ন সঠিকভাবে হচ্ছে কি ?
০৬ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭
মাহমুদ পিয়াস বলেছেন: জী ভাই, ঠিক বলেছেন !!! আমরা এখন অনেকটাই যন্ত্রনির্ভর হয়ে পড়ছি !!
২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মোর কোয়ানটিটি, লেস কোয়ালিটি।
০৬ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭
মাহমুদ পিয়াস বলেছেন: একদম ঠিক
৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বাংলা গানের প্রকৃত শ্রোতাদের একটা বিশাল অংশকে এরা হারিয়ে ফেলেছে। তাই এমন অবস্থা।
০৬ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯
মাহমুদ পিয়াস বলেছেন: এখন পর্যন্ত কিন্তু রুনা লাইলা, সাবিনা ইয়াসমিন, আসিফ আকবর এদের গান শুনলে মনটা ঠিকই তাদের দিকে সাঁয় দেয় ।
৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৭
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: এটা ঠিক যে একটা গান এখন বেশিদিন শোনা হয় না, আবার তেমন হিটও কোন গান পায় না, তবে ভাল গান আসছে, আমরা শুঞ্ছি্ বিনোদিত হচ্ছি, কিছু গান মন খারাপ করিয়ে দিচ্ছে, কিছু গান হয়তো একবার শুনেই দ্বিতীয়বার শোনার ইচ্ছা করছে না।
একটা দিক ভাবলে আবার আপনার পোস্টটাকে অনর্থক মনে হবে। সবাই অতিত আর নিজের সময়কে ভালবাসে। আপনার আগের প্রজন্ম তাদের সময়কার শিল্পিদের বেশি মূল্য দেবে। এটাই নিয়ম। আমিও আমার পরের প্রজন্মকে বলব, "এগুলো কিছুই হচ্ছে না। তোরা যদি অ্যাশেজ, শিরোনামহীন, চন্দ্রবিন্দু'র গান শুনতি!"
০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০০
মাহমুদ পিয়াস বলেছেন: হতে পারে !!!
৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৫
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এখনতো গানের চেয়ে ফানই বেশি হয়
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩৯
সুমন কর বলেছেন: এখন তো গানের চেয়ে যন্ত্রের কারসাজী বেশী। আগে একটা গান রেকর্ড করতে ১০/২০/৩০/...বার গাইতে হতো। (মনের মতো না হলে) সাথে মিউজিকও। আর এখন, শিল্পীরা সময় মতো এসে শুধু কন্ঠ দিয়ে যায়, পরে মিউজিক.....