নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রবীন্দ্রনাথকে, ঠিক আপনা লাগে না! ভালোবাসি,সম্মান করি কিন্তু আপননা!!
এর পিছনে কলকাতার এলিটরা।রবীন্দ্রনাথকে ক্যাশ করছে বেশি এলিটরা।
' রবিন্দ্র সৃষ্টি আপনি- জানেন, বুঝেন, মানেন আপনি অনেক বড় হেডা!! '
আমার মত সাধারণ এর কাছে রবীন্দ্রনাথ ছিলো অনেক দূরের তারা!!
এর পিছনে আমি বলব রবীন্দ্রনাথ এর সারকেল।যারা রবীন্দ্রনাথকে স্টাটাস সিম্বল করে রেখেছে। রাগ,সুর তাল, লয়ের বেড়াজালে রবীন্দ্রনাথকে আটকে দিয়েছে আমাদের থেকে।
তাই হয়ত আমি রবীন্দ্রনাথ কে রাস্তায়, ফুটপাতে,বাসে, ট্রেনে পাই নাই!!
' তুমি রবে নীরবে,
হৃদয়ে মম,
তুমি রবে নীরবে
নিবিড়, নিভৃত, পূর্ণিমা নিশীথিনী-সম।'
, ' এই গানটা সবার পছন্দ হলেও আপনার বাড়ির যে মেয়েটার গানের গলা ভালো, বাড়িতে অতিথি আসলে আপনি যখন তাকে গাইতে বলতেন, সে গাইতে চাইলে সম্ভ্রান্তরা নাক সিটকাতো,, ''এটা কোন রাগে জানো? স্বরলিপি জানো"
এভাবেই এই গান আটকা পড়ে গেসে এলিটের ড্রয়িং রুমে। রবিন্দ্রনাথ মানে ধুতি পাঞ্জাবি বেহালা হারমোনিয়ামে!!
রবীন্দ্রনাথ এলিটদের হয়ে রয়ে গেসে। আমার জন্য রবীন্দ্রনাথ, ঠাকুর হয়েছিল!! আমার রবিদা হয়নি!!
"শুনতে পাই, হরিজনদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য চারদিকে নানা চেষ্টা চালানো হচ্ছে, কিন্তু রবীন্দ্রসঙ্গীত জগতে আমার মতো হরিজনকে একটু ঠাঁই করে দেবার চেষ্টা হবে কি-না জানি না। যদি ভবিষ্যতে সেই সৌভাগ্য আমার কখনো হয়, তখন হয়তো আমার কণ্ঠস্বর আমার কণ্ঠ ছেড়ে উধাও হয়ে যাবে, কিংবা আমিও হয়তো এই জগৎ থেকে হয়ে যাবো উধাও।”
- দেবব্রত বিশ্বাস/ জর্জ বিশ্বাস
-
এসেছিলে তবু আস নাই জানায়ে গেলে’-গানটির গাওয়ার ধরন ও অতিরিক্ত বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে বিশ্বভারতী মিউজিক বোর্ডের সঙ্গে দেবব্রতের লড়াই চলে অনেকদিন। এ নিয়ে বিশ্বভারতীর বক্তব্য ছিল-এক একটি গানের এক এক রকম মেজাজ । এই গান গাওয়ার ধরনে সেই মেজাজ নষ্ট হচ্ছে। দেবব্রত বিশ্বাস এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছিলেন।
এই যে রাগ তালে বন্দী করে রবীন্দ্রনাথকে তাদের স্টাটাস সিম্বল করে রাখা, বেপারটা যেনো অনেকটা Rolex,Lamborghini কিংবা Gucci এর মত ব্রান্ড!!
সবাই জানবে,চিনবে, ভালোবাসবে কিন্তু সবার হবে না!!
এই জায়গায় প্রথম বারিটা দিসে কাজী নজরুল ইসলাম।
কাজী নজরুল ইসলাম এখানে আলাদা,সে ঠাকুর বা ব্রাক্ষ্মন না। তার কোনো এলিট সারকেল নাই। তার শুদ্ধ অশুদ্ধ নাই। জাত পাত নাই। এলিটের ড্রয়িং রুম থেকে নজরুল সাহিত্য, গানচর্চা ফুটপাতে এনে ফেলসে।
সময় যখন যাদের রবীন্দ্র শিল্পী হতে দেয়নি,, তারা এখন নজরুল শিল্পী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে পারছে। নজরুল 'জেলেদের গান' গায়, নজরুল 'শ্রমিকের গান' গায়! কাফির নজরুল যেমন 'মহরম' দিয়ে সন্দেহবাতিক মুসলমানকে কান ধরে সাহিত্যের লাইনে এনেছেন।
তেমন "জাতের নামে বজ্জাতি সব জাত জালিয়াৎ খেলছে জুয়া/ ছুঁলেই তোর জাত যাবে? জাত ছেলের হাতের নয়তো মোয়া।" হিন্দুদের এলিট আইডিওলজিকে সে মাটিতে লুটিপুটি খাইয়েছেন।
আফসোস আমার নজরুলকে ছোয়া যায়, রবীন্দ্রনাথ আমার জন্য ঠাকুর হয়ে রয়ে গেলো!
২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৫৫
শ্রাবণধারা বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ কোনভাবেই এলিটদের কবি নন, রবীন্দ্রনাথ মূলত শিক্ষিত মধ্যবিত্তের কবি। অধিকাংশ কবি সাহিত্যিকই বোধহয় তাই।
তুমি রবে নিরবে গানটা মধ্যবিত্ত ঘরে খুবই চমৎকার মানিয়ে যায়। কেন যে মনে হলো এটা মানায় না তা বুঝলাম না।
তাই বলে রবীন্দ্রনাথ ঠিক রবিদাও হয়ে উঠবেন না। গ্যেটে, তলস্তয় বা বার্টান্ড রাসেল কারো ইয়ার দোস্ত বা ভাই নন। তারা শতাব্দীতে জন্ম নেয়া বিরল প্রতিভাবান মানব জনগোষ্ঠির শিক্ষকের মত। তাদেরকে নিজের মাপে ইয়ার-দোস্ত বানাতে চাওয়াটা সঠিক নয়।
৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮
বাকপ্রবাস বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ এতো লিখে গেছেন যে, মানুষ সেটা পড়েও শেষ করতে পারেনা
৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: সমস্যা টা যে কোথায় বুঝতে পারলাম না?
৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৩:৫০
জগতারন বলেছেন:
কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন,
মানব-জীব-জগতের প্রেম বিতরনকারি
আতি দৃশ্য মান বিশ্ব কবি…
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নয়।
৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৩:৫৪
জগতারন বলেছেন:
রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের সাথে কাজি সাহেব তুলনা হয় না……
৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৩:৫৫
জগতারন বলেছেন:
একটি ও না,রবি ঠাকুর ১০০০ বার জন্ম নিলেও কাজী নজরুল ইসলামে কবিতা ও গান
বুঝতে পারবে না অন্য সব ত দুরের কথা !!!
৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৪:০২
জগতারন বলেছেন:
রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর কখনোই কাজী নজরুল ইসলামের ভালো চায়নি।
যদি ভালো চাইত তাহলে নজরুলের এত জেল এবং শতাধিক কবিতা বাজেয়াপ্ত হতো না।
ইংরেজরা যখন কাজী নজরুল ইসলামকে জরিমানা করা হচ্ছিল।
এলিট রবীন্দ্রনাত ঠাকুররা কাজী নজরুল ইসলামের পক্ষে তেমন কোন জোড়ালো প্রতিবাদ পর্যন্ত করেনি।
এমনকি রবি ঠাকুর কখনোই পূর্ব বাংলার উন্নতি চায়নি।
যদি চাইত তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় করতে রবি ঠাকুর বিরুদ্ধে যেত না।
আরও অনেক কিছু …… তা পরে বলবো।
৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৪:১১
জগতারন বলেছেন:
পশ্চিমবাংলায় নজরুল এত অবহেলিত কেন?
পচশিম বাংলার ঠাকু বাবু;রা হয়ত নানা কথা বলবে অজুহাত দেখাবে।
২৫শে বৈশাখ কিংবা ২২শে শ্রাবণ আসলে সারাদিন ঠাকুর বাবুর স্মরনে সারাদিন ঘটা করে উৎসব হয়,
নানা অনুষ্ঠানে সুযোগ পেলেই রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতা ঢুকিয়ে দেয়া হয়।
অথচ নজরুলের জন্মবার্ষিকে (১১ই জৈষ্ঠ্য) কিছুই করা হয়না,
নামটি পর্যন্ত ঠিক মতো উচ্চারণ করা হয় না এমনটি কেন?
কখনও সখনও কাজী নজরুল ইসলামের একখানা ভিডিও নিয়ে এলে তাও
কাজী নজরুল ইসলামকে পার্শ্বচরিত্র করে দেখানো হয়।
১০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৪:২১
জগতারন বলেছেন:
আমরা বাংলাদেশীরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও নজরুল ইসলামকে কে বাংলা ভাষার মহান কবি চোখে দেখি কিন্তু
পশ্চিম বঙ্গের লোকেরা কাজী নজরুল ইসলামকে খুবই খর্ব করে দেখে।
অথচ সাহিত্য সাধনার বিচারে নজরুল ইসলামি এগিয়ে।
নজরুল ইসলাম ১৮ থেকে বিশ বছর সাহিত্য সাধনার সুযোগ পেয়েছেন
অপরদিকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৬৫ বছর সাহিত্য সাধনার সুযোগ পেয়েছেন।
কারন নজরুল ইসলাম ৪২ বছরের পর স্মৃতি শক্তি হারিয়ে ফেলেন ও অসুস্থ হয়ে পড়েন।
যদিও তিনি অসুস্থ জীবন নিয়ে আরও অনেক বছর বেঁচে ছিলেন।
সময়ের বিচারে নজরুল" ক্ষণজন্মা ধূমকেতু" হয়ে এসেছিলেন বাংলা সাহিত্যে।
কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যে অমর তুমি হে মহামানব, অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক
মানবআত্মার কবি, তুমি বেচেঁ থাকো মহাকাল জুড়ে মানব হৃদয়জুড়ে।
১১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৪:৩১
জগতারন বলেছেন:
রবীন্দ্র সংগীত আমাদের শান্ত করে,
কিন্তু কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাগিয়ে দেয়,
মনের দরজা-জানালা খুলে দেয়।
উত্থান ঘটায়ে তারুণ্যে উদ্বুদ্ধ করে,
বিষেশ করে মুসলমান বাঙ্গাংগালীদের কষ্টময় অতীতকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শেখাবে আমাদের।
১২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৪:৩৫
জগতারন বলেছেন:
রাজীব নুর-এর দৃষ্টি আকর্ষন করছি;
এই প্রবন্ধে আমার মন্তব্য গুলোর দিকে।
আশা করি বুঝতে পারবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:১৮
কামাল১৮ বলেছেন: এটা হয়েছে অর্থনৈতিক কারণে।একজন জমিদার অন্য জন প্রজা।আর তখন জমিদারী প্রথা ছিলো আর তিনি জমিদারী করেছেন।কুষ্টিয়া এবং পাবনায় তাদের জমিদারী ছিলো।
তবে তিনি সাধারন মানুষের কাছে যেতে না পারলেও তাদের মনোজগতে প্রবেশের চেষ্টা করছেন।সেটার প্রমান পাওয়া যায় তার অনেক ছোটগল্পে।