![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!
বাংলাদেশের ব্যাংক খাত বর্তমানে ভয়াবহ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভিন্ন ব্যাংকের প্রকৃত অবস্থা সামনে আসতে শুরু করেছে। বিশেষ করে, ১৪টি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ মাত্র ছয় মাসে তিনগুণ বেড়ে ১,৫২,৮৮৪ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি। দীর্ঘদিন ধরে চলা অনিয়ম ও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে ব্যাংকগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে, যার মূল বোঝা বইতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে।
ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের এই ভয়াবহতা সৃষ্টি হওয়ার পেছনে রয়েছে অনিয়ন্ত্রিত ঋণ বিতরণ, তদারকির অভাব এবং রাজনৈতিক প্রভাব। বিভিন্ন ব্যবসায়ী গোষ্ঠী, বিশেষ করে এস আলম ও বেক্সিমকোর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করেনি, বরং নানা কৌশলে ব্যাংকের মূলধন ফাঁপিয়ে তুলেছে। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে রাজনৈতিক নিয়োগ ও স্বজনপ্রীতি ব্যাপক অনিয়মের সুযোগ তৈরি করেছে, যার ফলে দায়িত্বপ্রাপ্তরা ঋণ পুনরুদ্ধারের পরিবর্তে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকও এ সমস্যা মোকাবিলায় যথেষ্ট কার্যকর ভূমিকা নিতে পারেনি, বরং দীর্ঘদিন ধরে সমস্যাগুলো আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছে।
বর্তমান বাংলাদেশ ব্যাংক ১৪টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে নতুন করে গঠন করেছে। কিছু ব্যাংকের খেলাপি ঋণ কমলেও সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে। শুধু বোর্ড পুনর্গঠনই যথেষ্ট নয়, খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা ঋণের অপব্যবহার করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি। একই সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্তভাবে ঋণ অনুমোদন ও পুনরুদ্ধারের জন্য স্বচ্ছ নীতিমালা কার্যকর করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতকে টেকসই করতে হলে দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রমে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম আর না ঘটে। জনগণ এখন শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, বাস্তব পদক্ষেপ দেখতে চায়। ব্যাংক ব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত করা না গেলে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।
২০ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৫৪
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: দূর্নীতি বন্ধের পাশাপাশি খেলাপি ঋণ আদায়ের ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে
২| ২০ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের ভয়াবহতা অর্থনীতির জন্য বড় হুমকি। শুধুমাত্র বোর্ড পুনর্গঠন যথেষ্ট নয়, বরং কঠোর আইন প্রয়োগ, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ঋণ ব্যবস্থা এবং স্বচ্ছ তদারকি নিশ্চিত করতে হবে। টেকসই অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য জরুরি কাঠামোগত সংস্কার এখন সময়ের দাবী।
২০ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:০১
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: সহমত পোষণ করছি। খেলাপি ঋণ কমাতে না পারলে ব্যাংক খাত ধ্বংস হতে বাধ্য
৩| ২০ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: যারা ব্যাংকের মালিক তারা সবচেয়ে বর দূর্নীতিবাজ।
২০ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ক্যাপিটালিস্টরা সুযোগ পেলেই দূর্নীতি করে। তাদের সুযোগ দেয়া হয়েছে বলেই আজকে বাংলাদেশের ব্যাংক খাত ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:২০
নকল কাক বলেছেন: দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে