নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরজা খোলা আছে, চলে আসুন

দিলের দরজা ২৪/৭ খুইলা রাখি মাছি বসে মানুষ বসে না। মানুষ খালি উড়াল পারে! এক দিন আমি ও দিমু উড়াল, নিজের পায়ে নিজে মাইরা কুড়াল...

লাল দরজা

"ও আমার উড়াল পঙ্খিরে, যা যা রে উড়াল দিয়া যা..." পাগলা কিছিমের মানুষ কোন ইষ্টিশন নাই, গাইল জানি কিন্তু গাইল পাড়ি না। দিলের দরজা ২৪/৭ খুইলা রাখি মাছি বসে মানুষ বসে না। মানুষ খালি উড়াল পারে! এক দিন আমি ও দিমু উড়াল, নিজের পায়ে নিজে মাইরা কুড়াল...

লাল দরজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

"রংবাজ" যখন থেকে বদলে যায় দেশী সিনেমার গল্প

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:১৯

আমরা তখন মালিবাগ চৌধুরী পাড়ায় থাকতাম। আমাদের পাশের বাসায় থাকতেন এক ইঞ্জিনিয়ার ভদ্রলোক, মাথায় চুল কম। উনার ছোট বোনের বয়স আমার বড় বোনের সমান। আমাদের বাসায় এলে কোলে থাকত নাতাশা নামের ছোট্ট একটা বেবী। নাতাশার একটা বোন ছিল নাম বিপাশা। আমরা তখনো অদমজীতে মুভ করি নাই। মালিবাগের রেল লাইন পার হয়ে জনতা ফার্মেসিতে আব্বা প্রাক্টিস করতেন। অমার খুব আবছা আবছা মনে আছে বিকেল বেলায় আব্বার চেম্বারে যেতাম। রংবাজ ছবির গান তখন কোন দোকানের গ্রামোফোন রেকর্ডে বাজতো। কানে আসতো, ঐ হৈ হৈ রঙ্গিলা রঙ্গিলা রে/ রিম ঝিম ঝিম বরষায় মন দিলা রে...





মুক্তি যুদ্ধের পর পরের বাংলাদেশ। একটা টিনের খেলনা পিস্তল কিনে ছিলাম আব্বার চেম্বারে যেয়ে। কোকাকোলার টিনের ঢাকনার মত সাইজের কাগজের ছোট্ট একটা কৌটার ভেতরে সেই পিস্তলের গুলির কাগজের রীল কিনতে পাওয়া যেত। দাম পচিশ পয়শা মনে আছে, পিস্তলটার দাম কত ছিল মনে নাই। রেল লাইনের আশেপাশ খুব শুনসান ফাকা ছিল। বাঁশের আগায় লাঠি বেধে খেলনা বেচতে বেচতে হেটে যেতো খেলনা ওয়ালা। তখনকার সময় মুক্তি পায় বাংলা ছবির মোড় ঘোরানো বানিজ্যিক ছবি রংবাজ। বস্তিতে বাসকরা চোরচোট্টা হিরো আর হিরোয়িন। বাংলা দেশের সিনেমায় মধ্যবিত্য চেহারার ভালোমানুষি হিরোর প্রথা ভাঙ্গেন সেই প্রথম পরিচালক জহিরুল হক। বাংলাদেশের সিনেমায় মারামারি একশন সূচনার ছবি রংবাজ এর মাধ্যমে সিনেমায় আসেন খল নায়ক জসিম। ১৯৭৩ সালে রংবাজ মুক্তি পেলে বাংলাদেশের বানিজ্যিক সিনেমার নবদিগন্তের সূচনা হয়।



এই সিনেমা আমি কখনো হলে দেখিনি। অনেক অনেক পরে ভিসিয়ারের জামানায় কিংকং ভিডিওর রিলিজ করা ভিএইচ এস টেপ এ রংবাজ দেখি। সম্ভবত নব্বুই দশকের শুরুর কোন এক সময়ে কানাডায়।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:২৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: নাতাশা, বিপাশা কি টিভি'র বিপাশা, নাতাশা?

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:৩৩

লাল দরজা বলেছেন: :) মনে হয় ওরাই। চুল কম ওয়ালা ইঞ্জিনিয়ার ভদ্র লোকের নাম ছিল আবুল হায়াত।

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:৫০

খেয়া ঘাট বলেছেন: সেটা বুঝতে পেরছিলাম.....ইন্জিনীয়ার ,,, আবার চুল কম..নাতাশা,,,, বিপাশা.........সব মিলেই ওদেরকেই মনে করেছিলাম। তারপরও শিউর হয়ে নিলাম আরকি?

৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:০৬

এক্স রে বলেছেন: কি থেকে কি হয়ে গেল, আমাদের সিনেমা মুখ থুবড়ে পড়লো .। যেই সিনেমা নিয়ে গর্ব করার কথা ছিল সেই সিনেমাই লজ্জা দিচ্ছে

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

লাল দরজা বলেছেন: বাংলাদেশের সিনেমার দিন বদলাচ্ছে। নিশ্চই হতাশার দিন ফুরাবে। জয় বাংলাদেশের সিনেমা! :)

৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৪২

এন ইউ এমিল বলেছেন: এখন প্রযুক্তির যুগ, প্রযুক্তিনির্ভর ছবিনাহলে চলে?

জলিলের নামটা উচ্চারন করলামনা তাইলে আবার আমারে নিয়া হাসা হাসি শুরু করবেন

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

লাল দরজা বলেছেন: সিনেমা বরাবরই প্রযুক্তিনির্ভর তাতে সমস্যা নাই। কিন্তু সমস্য হয় যখন সিনেমায় প্রযুক্তি ভর করে। তখন জলিলের মত হাতে হৃৎপিন্ড থাকে, সিনেমাটা আর থাকে না।
বাংলাদেশের সিনেমা নড়েচড়ে উঠছে। সুদিন আবার অসবে। জয় বাংলাদেশের সিনেমা! :)

৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭

িটউব লাইট বলেছেন: মন্তব্য এখন জলিলের দিকে মোড় নিবে :-P :-P :-P

৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: িটউব লাইট বলেছেন: মন্তব্য এখন জলিলের দিকে মোড় নিবে :-P :-P :-P

৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০৭

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: এখন আর বাংলা সিনেমা দেইখা আর শান্তি পাইনা। আগের ওই রাজ্জাকের মুভিগুলাই এখনো দেখি। :( :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.