নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরজা খোলা আছে, চলে আসুন

দিলের দরজা ২৪/৭ খুইলা রাখি মাছি বসে মানুষ বসে না। মানুষ খালি উড়াল পারে! এক দিন আমি ও দিমু উড়াল, নিজের পায়ে নিজে মাইরা কুড়াল...

লাল দরজা

"ও আমার উড়াল পঙ্খিরে, যা যা রে উড়াল দিয়া যা..." পাগলা কিছিমের মানুষ কোন ইষ্টিশন নাই, গাইল জানি কিন্তু গাইল পাড়ি না। দিলের দরজা ২৪/৭ খুইলা রাখি মাছি বসে মানুষ বসে না। মানুষ খালি উড়াল পারে! এক দিন আমি ও দিমু উড়াল, নিজের পায়ে নিজে মাইরা কুড়াল...

লাল দরজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিশুক ভাই বাড়ী নেই, মিশুক ভাই আর বাড়ী ফিরবে না কোন দিন

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১২

পাতা ঝরা চারপাশ, হিম বৃষ্টির ছাঁটে প্রকৃতি যেনো জন্ডিস আক্রান্ত মৃত্যু পথ যাত্রী। বছরের এই সময়টা বড়ো ভয়ানক! ফোনটা হাতড়ে হাতড়ে নাম্বারটা ডায়াল করলাম, মঞ্জুলীদি দি আমি হেলাল।

ও হেলাল, কেমন আছিস ভাই?

আমি আছি মঞ্জুলীদি, আপনার বিল্ডিং এর নিচে দাড়িয়ে আছি।

বাজার নাম্বারটা যেনো কত...



এগারো তলায় উঠে দরোজায় টোকা দেবার সময় ১৩ নম্বরটায় চোখের পাতাটা স্থির হলো। দরোজাটা খুলে সুহৃদ দাড়িয়ে আছে,

কেমন আছো সুহৃদ?

কথাটা বলে নিজেই অপ্রস্তুত হয়ে রইলাম। মঞ্জুলীদি হেটে এসে বললেন, আয় ভেতরে আয়।

ঘরের ভেতর আলোটা ও কেমন...

এ বাড়ীতে কখনো এমন করে আসিনি! টরন্টো গেলেই কেমন করে যেনো মিশুক ভাই ও শহরে থাকতেন। হৈ চৈ আনন্দ ছাড়া কখনো ওই বাড়ীর কোন স্মৃতি আমার জানা নেই। লিভিং রুমে মঞ্জুলীদি'র জমানো আড্ডা। রান্নার চামচ হাতে কিচেনটা মিশুক ভাইএর দখলে। ডাইনিং স্পেসে চলত তুমুল তরল আড্ডাবাজি। আর বেলকনিটা খোলা নারী পুরুষ নির্বিশেষে সিগারেটবাজী।



জানিস হেলাল, ও আমাকে বলেও যায়নি। সুহৃদ হসপিটালে ছিল। রাতে মিশুক থাকত দিনে আমি। রাতে বাসা থেকে বের হবার সময় পিঠে হাত রেখে বলল, ভালোবাসি। চলে গেল, আর দেখা হয়নি। সকালে বেরিয়ে যায় আমাকে বলেও যায়নি... জলি বলছিল, এক সেকেন্ডের দশ ভাগের এক ভাগে ঘটে গেছে সব...



আমি এখনো ওর নাম্বারে ফোন করে শুনি, এই মুহুর্তে টেলিফোনটা বন্ধ আছে... অপেক্ষা করি প্রতি রাত দুটায় হয়তো একটা ফোন আসবে! হেলাল, আমাকে ও'র মুখটা দেখতে দেয়নি কেউ সুহৃদকে ও না...



আমি আর তাকাতে পারি না। আমি আর কিছুই বলতে পারি না। আমি সুযোগ খুজি কেমন করে বেরিয়ে আসবো! আমি পলাতক মানুষ। আমি এমন কষ্টের মুখোমুখি হতে পারি না।



নিচে নেমে নয়নকে বলি, একটা সিগারেট দে। পকেট হাতরে সাদা লাইটারটা বের করি। বাইরে হিম শীতল বৃষ্টি'র ফোঁটা।

তেরো তারিখ তেরোটার সময় বৃষ্টি ছিল সেদিন। মহাসড়কের পাশে কাঁদা জল মাটিতে উপুড় করে শোয়ানো সে ছবি আমি মন থেকে মুছে ফেলতে পারি না কেন!



মিশুক ভাই বাড়ী নেই, মিশুক ভাই আর বাড়ী ফিরবে না কোন দিন।



(October 6, 2011 at 7:25am)



মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২০

রোকসানা লেইস বলেছেন: প্রতিটি ছবি বড় চেনা কথাগুলোও। কষ্টও একই রকম। অনুভব করে রোমকোপ সজাগ হলো আবারও। বলার কিছু নেই।
শুভকামনা আপনার জন্য।

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: হুমম........একটা বড় দীর্ঘশ্বাস।

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: মনটা ব্যাথায় ভরে গেল,,,,,,,,,ভাষা নেই যেন,,,,,,,,,,,,,,,

শুভকামনা

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪

আমিনুর রহমান বলেছেন:




:( :( :(

৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭

আরজু পনি বলেছেন:

:|

৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৪

কাউসার রুশো বলেছেন:
কী বলবো হেলাল ভাই! :( :(

৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

িমনহাজ আহমদ বলেছেন: কাছের কেউ এমন অনাকাঙ্ক্ষিত চলে গেলে এমনই হয়।
নিরাপত্তাহীন সড়কে আমরা কে কোথায় উপুড় হয়ে পড়ি, কার বাড়ি ফেরা হবে আর কার হবে না কে জানে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.