![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
প্রতিবাদ: ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বিকৃত চিত্রণ ও দালালি মানসিকতার জবাব ছবি প্রথম আলোর সৌজন্যে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে আজ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনুসের দ্বিপাক্ষিক একটি বৈঠক হয়েছে। ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের পতনের পরে দীর্ঘ প্রায় ৭ মাসের মাথায় দুই প্রতিবেশী দেশের প্রধানদের এই বৈঠক বিবিধ কারণে গুরুত্ববহ। উভয়ের এই বৈঠক নিয়ে সামুতে বাংলাদেশী পরিচয়ে একজন মনের মাধুরি মিশিয়ে একটি লেখা লিখেছেন। তার লেখাটি পড়ে মনে হয়েছে, তিনি নিজের বাংলাদেশী পরিচয় দিলেও ভারতীয় আধিপত্যবাদী মনোভাবকে সাদরে গ্রহণ করেছেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীন চিন্তা-চেতনাকে "ভারত-বিরোধিতা" বলে আখ্যায়িত করে নিজের দালালি স্পষ্ট করেছেন। তাঁর লেখার প্রতিটি বাক্য যেন ভারতীয় কর্তৃত্বকে প্রমোট করার জন্য এক অদ্ভুত মানসিক দাসত্বের পরিচয় দেয়। নিচে তাঁর ভ্রান্তিগুলোর জবাব দেওয়া হলো:
১. "ভারতের সাথে শত্রুতা নয়, বন্ধুত্বই কাম্য"—এ কথার আড়ালে কী লুকিয়ে?
লেখক বারবার বলেছেন, "ভারতের সাথে শত্রুতা করা উচিত নয়"। কিন্তু প্রশ্ন হলো— কে শত্রুতা করছে? বাংলাদেশের স্বাধীন নীতি নির্ধারণ, নিজস্ব ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষা এবং প্রতিবেশীর অন্যায়ের প্রতিবাদ করাকে কি "ভারত-বিরোধিতা" বলা যায়? ভারত যদি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে (যেমন: নির্বাচনে প্রভাব, গুপ্তচরবৃত্তি, সীমান্তে গুলি করে পাখির মত বাংলাদেশীদের হত্যা), তবে তার প্রতিবাদ করাই স্বাধীন দেশের কর্তব্য। লেখক যেন মনে করিয়ে দিতে চান, "ভারত যা চায়, তাই মেনে নাও—নইলে শাস্তি পাবে!"
২. "মোদি-ইউনূস বৈঠক = বাংলাদেশের আত্মসমর্পণ"—এ কী অদ্ভুত যুক্তি?
লেখক আনন্দে নেচে উঠেছেন এই ভেবে যে, প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ ইউনূসের সাথে মোদির দেখা হওয়ায় "জুলাইপন্থীরা" (যারা গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে) হতাশ হয়েছে। কিন্তু এটি কি আদৌ রাজনৈতিক বৈঠক ছিল? নাকি একটি প্রোটোকল সৌজন্য সাক্ষাৎ মাত্র? প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ ইউনূস একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, তাঁর সাথে বৈঠককে ভারতের "বন্ধুত্বের জয়" বলে চালানো কতটা হাস্যকর? যদি এতেই বাংলাদেশের "আত্মসমর্পণ" হয়, তাহলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কি এতটাই হীনম্মন্য যে একটি সাধারণ সাক্ষাত্কারেই তাঁর "জয়গান" করতে হবে?
৩. "শেখ হাসিনা ভারতের দালালি করেছেন, তাই তিনিও ভালো"—এ যুক্তির অসারতা
লেখক শেখ হাসিনার "ভারত-সমর্থক" নীতিকে যুক্তি দিয়েছেন এভাবে: "ভারতের সাথে বন্ধুত্ব রাখলে শান্তি থাকে, না রাখলে শাস্তি পেতে হবে।" কিন্তু এটা কোন যুক্তি? একটি স্বাধীন দেশের নীতি কি প্রতিবেশীর "ভয়" দিয়ে নির্ধারিত হওয়া উচিত? লেখক নিজেই স্বীকার করেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের দুর্নীতি ও স্বৈরাচারের কারণে তিনি বিদেশে পালিয়েছেন। তাহলে ভারতের সমর্থন পেয়েও তিনি কেন জনগণের সমর্থন হারালেন? কারণ, ভারতের অজিত দোভালদের চাপে চলা সরকার কখনই স্থায়ী হয় না।
৪. "ভারত-বিরোধীরা জঙ্গি, পাকিস্তানি এজেন্ট"—এ কেমন প্রোপাগান্ডা!
লেখক বাংলাদেশের সকল ভারত-সমালোচনাকে "জঙ্গিবাদ" বা "পাকিস্তানি প্রোপাগান্ডা" বলে চালিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশের কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থী, বুদ্ধিজীবী—যারা ভারতের সীমান্ত হত্যা, বাণিজ্য বৈষম্য, ফারাক্কা বাঁধের বিরোধিতা করে, তারাও কি জঙ্গি? ভারত যদি সত্যিই বন্ধুত্বপূর্ণ হতো, তবে তিস্তার পানি চুক্তি, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, অস্ত্র ও গুপ্তচরবৃত্তি কমাতে পারত। কিন্তু লেখকের মতে, "ভারত যা দেবে, তাই নিতে হবে—প্রতিবাদ করলে তুমি জঙ্গি!"
৫. "চা বিক্রেতা" বিতর্ক: শ্রেণীঘৃণা নাকি লেখকের মানসিক দাসত্ব?
লেখক মোদিকে "চা বিক্রেতা" বলার সমালোচনা করেছেন, কিন্তু মোদি নিজেই তাঁর বাবার চায়ের দোকানের গল্প গর্ব করে বলেন! তাহলে এটা নিয়ে হাসি-তামাশা কেন? কারণ, লেখকের আসল উদ্দেশ্য— "মোদিকে সমালোচনা করো না, তিনি এখন 'বড়লোক'!" এখানে শ্রেণীঘৃণা নয়, বরং লেখকের মানসিকতাই প্রকাশ পেয়েছে— "যারা নীচু থেকে উঠে এসে ক্ষমতায় যায়, তাদের সমালোচনা করা যাবে না!"
৬. "ভারতের দালালদের শেষ যুক্তি: 'না মানলে শাস্তি পাবে!'"
লেখকের মূল বক্তব্য: "ভারতের সাথে শত্রুতা করে লাভ নেই, কারণ তারা শক্তিশালী।" অর্থাৎ, দুর্বলের ন্যায্য দাবি নয়, শক্তির দাপটই শেষ কথা! এটাই কি বাংলাদেশের স্বাধীন চেতনা? পাকিস্তানের শাসনামলে বলা হতো— "পাকিস্তানের বিরোধিতা করো না, তারা বড় শক্তি!" আজ লেখক সেই একই যুক্তি দিচ্ছেন, শুধু "পাকিস্তান" এর জায়গায় "ভারত" বসিয়ে।
শেষ কথা: দালালি নয়, স্বাধীন চিন্তাই মুক্তির পথ
লেখক হয়তো ভাবেন, ভারতের গলগ্রহ হয়ে তিনি "বুদ্ধিমান" এর ভূমিকায় আছেন। কিন্তু ইতিহাস প্রমাণ করে, যারা পরাশক্তির দালালি করে, তারা শেষমেশ সেই পরাশক্তিরই ভোগ্য পণ্যে পরিণত হয়। বাংলাদেশের মানুষ চায় না পাকিস্তানি বা ভারতীয় প্রভু—তারা চায় একটি স্বাধীন, স্বাধিকারসম্পন্ন বাংলাদেশ, যেখানে প্রতিবেশীর সাথে সম্পর্ক হবে সমমর্যাদার ভিত্তিতে, ভয় বা দাসত্বের ভিত্তিতে নয়!
"ভারত যদি সত্যিকার বন্ধু হয়, তবে সে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করবে—নয়তো যে কোনো ধরণের আগ্রাসনের জবাব দিতে স্বাধীনচেতা বাংলাদেশর দামাল সন্তানেরা বুক চিতিয়ে প্রতিরোধের অপ্রতিরোধ্য ব্যুহ তৈরি করে দেশ মাতৃকার সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে সদা প্রস্তুত।"
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:২৩
নতুন নকিব বলেছেন:
লেখাটিতে লাইক প্রদানসহ মন্তব্যে আসার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এমন নীচ মানসিকতাসম্পন্ন দালালি টাইপের লেখার প্রতিবাদ নিজের দায়িত্ব মনে করেই করেছি। জ্বি, আপনি ঠিক বলেছেন, এই লেখায় স্বাধীনচেতা প্রিয় ব্লগারদের সহমত/ একাত্মতা অন্ততঃ আশা করাই যায়।
যা হোক, প্রত্যেকের জন্য শুভকামনা।
২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:২১
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: ভবিষ্যৎ কি? একি দেখলাম?
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:২৪
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, বুঝতে পারিনি। আপনি কীসের কথা বলেছেন?
৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৫০
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: ইনি এদেশের একজন সরকারী কলেজের শিক্ষক হয়ে যে ধরনের পোস্ট লিখেছেন তা রাস্ট্রদ্রোহিতার সামিল।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:১২
নতুন নকিব বলেছেন:
ন্যূনতম লজ্জা শরম না থাকলে তাদের পক্ষে সবই করা সম্ভব। খায় পড়ে সবই বাংলাদেশেরটা জিকির করে ঐপাড়ের। ছি! নেমকহারামিরও একটা সীমা থাকা উচিত! ভাবতেও ঘেন্না লাগে।
৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৫৩
নতুন বলেছেন: ভারতে মোদীর চেয়ে অনেক ভালো জ্ঞানী প্রধানমন্ত্রী আছে। মোদী বিজেপির প্রপাগান্ডার ইমেজে বড় ভাব ধরে বসে আছেন। ক্ষমতা চলে গেলেই সেটা হারিয়ে যাবে।
ভারতীয়রাই মোদীর প্রপাগান্ডায় বিরক্ত।
স্যার মোদী ভক্ত।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:১৬
নতুন নকিব বলেছেন:
ভারতে মোদীর চেয়ে অনেক ভালো জ্ঞানী প্রধানমন্ত্রী আছে। মোদী বিজেপির প্রপাগান্ডার ইমেজে বড় ভাব ধরে বসে আছেন। ক্ষমতা চলে গেলেই সেটা হারিয়ে যাবে।
ভারতীয়রাই মোদীর প্রপাগান্ডায় বিরক্ত।
-সহমত প্রকাশ করছি। সবচেয়ে বড় কথা, মোদী একজন অন্য ধর্মে বিদ্বেষী ব্যক্তি। তিনি সংখ্যালঘু নির্যাতক। মসজিদ দখলকারী। নীতিভ্রষ্ট।
৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:০৪
ঊণকৌটী বলেছেন: ঊণকৌটী বলেছেন: মূর্খতার পরিচয় এই আপ্নার আলোচনা, আপনি কি জানেন আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান কে কোথায় আছে, বাংলাদেশ কি ভাবে ব্যাকুল ভাবে ভারতের সাথে মিটিং এর জন্য প্রার্থনা করেছে, জেনে নিন ভারত পৃথিবীর চার নম্বর অর্থনীতি, বাংলাদেশ কোথায় আছে আমি জানিনা, তো হাসিনা হোক আর ইউসুস হউক আসতে হবে, সবসময়ই আসতে হবে |কিছু লিঙ্ক দিছি আপনার বড় ভাইয়ের Click This Link
০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:২০
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার অজ্ঞতা ও অমর্যাদাসুলভ মন্তব্যের কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বাংলাদেশ আজ স্বমহিমায় উন্নয়নের রোল মডেল, যার আর্থিক বৃদ্ধি, সামাজিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়, কিন্তু বাংলাদেশও গত এক দশকে ঈর্ষণীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ-সহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর রিপোর্টে বারবার প্রমাণিত।
আপনার অহংকারী ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যে বাংলাদেশের প্রতি অবজ্ঞা ফুটে উঠেছে, যা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। বাংলাদেশ কখনও কারও "প্রার্থনা" করে না, বরং সমমর্যাদায় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বজায় রাখে। বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল রূপান্তর, মেগা প্রজেক্ট ও জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বৈশ্বিক নেতা।
যদি সত্যিই তথ্য জানতে চান, তাহলে বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার, রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয় বা মানব উন্নয়ন সূচকের ডেটা বিশ্লেষণ করুন—অহংকার নয়। আর "বড় ভাই" এর ধারণা পেছনে ফেলে সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ার যুগে আমরা বাস করছি।
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে অবমূল্যায়ন করার আগে সত্যটা জানুন!
প্রমাণ চাইলে পড়ুন:
বাংলাদেশ-অর্থনৈতিক-সমীক্ষা-২০২৩
বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট The World Bank In Bangladesh
মেগা প্রকল্পের অগ্রগতি
৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:০৪
ঊণকৌটী বলেছেন: Click This Link
০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৩৫
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ। এগুলো আপনি মন ভরে দেখুন।
৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:০৫
ঊণকৌটী বলেছেন: Click This Link
০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৩৬
নতুন নকিব বলেছেন:
এসব আপনাদের দেখা দরকার।
৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:০৬
ঊণকৌটী বলেছেন: Click This Link
০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৩৬
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ।
৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:০৭
ঊণকৌটী বলেছেন: এরা আপনার দেশের লোক Click This Link
০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৩৫
নতুন নকিব বলেছেন:
শস্য ক্ষেতে শুধু শস্যই হয় না। কিছু আগাছাও জন্ম নেয়।
১০| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:১৫
ঊণকৌটী বলেছেন: বাস্তব টা মেনে কাজে কর্মে মন দিন, ব্লগে ফালতু লিখে নিজের সময় নষ্ট না করে পয়সা রোজগারের সময় দিন, আর যদি লিখতে হয় তবে গুগল পড়ে শিক্ষা নিয়ে প্রাকৃত সত্য টা লিখতে চেষ্টা তো করতে পারেন |
০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:২১
নতুন নকিব বলেছেন:
গুগল আপনি পড়েন? প্রকৃত সত্য আপনি জানেন?
১১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১:০২
ঊণকৌটী বলেছেন: অদ্ভূত লাগে যখন শুনি আপনারা ভারতের আপনাদের তুলনা করেন, ভারত 144,44000lakh এর জন্য অসংখ্য আর আপনারা 1800,000.00 মাত্র,আওতনে একটা আসাম এর থেকে ছোট নর্থ ইস্ট তো দূরের কথা, ভারতের প্রায় 6500 কিল মিটার সমুদ্র বন্দর থেকে বা বিশাল নৌ শক্তি পাশাপাশি মাত্র 600 কিলোমিটার নিয়ে বাড়ায়, ভারত 4 trilon dollar এর অর্থনীতি আর আপনারা মোটামোটি 300 বিলিয়ন, তো বড়বড় কথা না বলে নিজেদের কে শিক্ষিত করেন,মনুষ্যত্ব জ্ঞান অর্জন করুন, সমান সমানে আসেন তারপরে না হয় চিন্তা করতে করবে ভারতীয় রা, সবচেয়ে বড় কথা মিসকিন থেকে কি ভাবে বেরিয়ে এসে বাংলাদেশী হোন |
০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৩৩
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার অহংকারী ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্যের কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি! বাংলাদেশের অগ্রগতি, আত্মমর্যাদা ও স্বাধীন সত্ত্বাকে কখনওই ভারত বা অন্য কোনো দেশের "আকার" দিয়ে মাপা যায় না। উন্নয়ন ও সাফল্যের মাপকাঠি শুধু ভৌগোলিক আয়তন বা অর্থনৈতিক আকার নয়—মানব উন্নয়ন, সামাজিক অগ্রগতি ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের সাফল্য যে কারণে ঈর্ষণীয়:
অর্থনৈতিক মিরাকল:
২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত জিডিপি প্রবৃদ্ধির গড় হার ৬.৫%+ (বিশ্বব্যাংক)।
রপ্তানি আয় ৬০ বিলিয়ন ডলার (২০২৪), যেখানে ভারতে রপ্তানি/জিডিপি অনুপাতের তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে।
গার্মেন্টস সেক্টরে বিশ্বের ২য় বৃহত্তম রপ্তানিকারক (চায়নার পরেই)।
মানব উন্নয়নে রোল মডেল:
মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হ্রাসে ভারতের চেয়ে এগিয়ে (UNDP রিপোর্ট)।
মহিলাদের শ্রমশক্তি অংশগ্রহণে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে (ILO)।
ডিজিটাল বাংলাদেশ: ৯৫%+ জনগণের মোবাইল ব্যাংকিং এক্সেস, যা ভারতের চেয়ে বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক।
জলবায়ু সংকটে নেতৃত্ব:
মোট কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের ভূমিকা নগণ্য (০.৫%), অথচ ভারত বিশ্বের ৩য় সর্বোচ্চ দূষণকারী (Global Carbon Atlas)।
সোলার এনার্জি ও অভিযোজনে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
ভারতের সাথে অহেতুক তুলনা কেন অবান্তর?
ভারতের জনসংখ্যা ১.৪ বিলিয়ন, বাংলাদেশের ১৭০ মিলিয়ন—অর্থাৎ, প্রতি ব্যক্তির আয় (GDP per capita) ও জীবনযাত্রার মানে বাংলাদেশের অগ্রগতি কম নয়।
সমুদ্রসীমা বা সেনাশক্তি দিয়ে "বড়ত্ব" প্রমাণ হয় না—লক্ষ্য হওয়া উচিত নাগরিকদের জীবনমান। বাংলাদেশ দারিদ্র্য ২০% থেকে ৫%-এ নামিয়েছে (১৯৯১-২০২৩), ভারতে এখনও ১০%+।
মনুষ্যত্বের পাঠ দেবার আগে দেখুন সত্যগুলো:
"মিসকিন" শব্দটি ব্যবহার করে আপনি নিজের সংকীর্ণতাই প্রমাণ করেছেন। বাংলাদেশ আজ আত্মনির্ভরশীল—কৃষি, শিল্প ও প্রযুক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
"সমান সমানে আসা"-র অহংকার ত্যাগ করুন! বাংলাদেশ কখনওই ভারতের গলগ্রহ নয়, বরং স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার।
ডেটা যাচাই করুন:
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪
UNDP: Human Development Index
বাংলাদেশের রপ্তানি অর্জন
বাংলাদেশের সাফল্যকে খাটো করবেন না—সত্য মেনে নিন, সম্মান দিন।
১২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলাম।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:০১
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ। মন্তব্য ভারতের বিপক্ষে যাওয়ার ভয় থাকলে বিরত থাকাই শ্রেয়!
১৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: যেই ছাগলটারে নিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন; এর মতো দালাল শ্রেণীর পা-চাটা সারমেয়র জন্য কাউন্টার পোষ্ট দেয়ার কোন মানে নাই। এইটা ঘেউ ঘেউ করতে থাকুক। দেব দুলাল গু নিয়ে ঘাটাঘাটির দরকার কি?
আর কিছু আবাল ভারতীয় অর্ধ-শিক্ষিতের সাথে কথা বলেই বা সময় নষ্ট কেন করেন? মোদির গোদি মিডিয়া, গোদি ব্লগার আর গোদি আতেলদেরকে আপনি যতোই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাবেন, কোন লাভ নাই। এরা তোতাপাখীর মতো এদের মুখ দিয়ে টিপিকাল কিছু কথা বলতেই থাকবে।
আমাদের কথা বাদই দিলাম, এদের দেশেরই শিক্ষিত সমাজ আর আর আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা যেসব তথ্য উপাত্তভিত্তিক কথা বলে, তা বোঝার মতো জ্ঞানই এদের নাই। আপনার জন্য দুইটা ইন্টারেস্টিং ভিডিওর লিঙ্ক দিলাম আপনার জন্য, কোন অর্ধ-শিক্ষিতের জন্য না। এরা বাংলায় কিছু বললেই বোঝে না, ইংরেজি বুঝবে কোত্থেকে?
India's $3.5 Trillion GDP Is A Joke (Here's Why) (৬:৫৪ মি. দেখেন)
Why India Loves to Mock Its Neighbors’ Poverty?
০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:২৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভারতের কিছু মিডিয়া ও ব্লগারদের একপাক্ষিক ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য নিয়ে আপনি যথার্থই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আসলে, তথ্য-উপাত্ত ও যুক্তির চেয়ে গত বাধা মুখস্ত করা অর্থহীন বুলি আওড়ানো আর আবেগ ও গালিগালাজকে তারা বেশি প্রাধান্য দেয়। এদের সাথে বিতর্কে সময় নষ্ট না করে, আমাদের নিজেদের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে মনোযোগ দেওয়াই সমীচীন।
আপনার শেয়ার করা ভিডিও লিঙ্কগুলো নিঃসন্দেহে ভারতের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ তুলে ধরে। সত্যিকার অর্থে, শিক্ষিত ও বিবেকবান মানুষরা এই বিষয়গুলো সহজেই বুঝতে পারেন। কিন্তু যারা অন্ধভাবে কোনো বিশেষ এজেন্ডা অনুসরণ করে, তাদের জন্য যুক্তি-তথ্য কোনো কাজেই আসে না।
আমরা আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও অগ্রগতির দিকে দৃষ্টি রাখি। অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক ও বিদ্বেষ এড়িয়ে এগিয়ে যাই—এটাই হোক আমাদের লক্ষ্য।
ধন্যবাদ।
১৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:১৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরেকটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। প্লেনের ভিতরে সানগ্লাস পড়ে ছবি তোলে কারা? এদের ক্লাস কি বুঝতে পারেন!!! একজনের চরিত্র বহুভাবে বিশ্লেষণ করা যায়। আমাদের কিছু শিক্ষার্থীর দুর্ভাগ্য যে, এমন ব্যক্তিত্বহীন আর আত্মপরিচয় বেচে খাওয়া দালাল তাদেরকে কিছু পাঠদান করছে। কি শিখায় আল্লাহ জানে। এইটারে একদিন না একদিন পশ্চাদ্দেশে লাথি দেয়া হবে........আশা করছি। সরকারী চাকুরী যেহেতু করে, চাইলে আমি শুরু করতে পারি; আমার সেই কানেকশান আছে। তবে কারো রিজিকের উপর হামলা করার মতো মানসিকতা আমার নাই। তাইলে তো আমি ওই দালালটার পর্যায়েই চলে গেলাম..........কি বলেন!!!!
তবে আপনে বললে ওরে বান্দরবান বা খাগড়াছড়ি ট্রান্সফারের ব্যবস্থা করি। মতামত দিয়েন।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৪৬
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার কথাগুলোতে তীব্র ক্ষোভ ও ব্যঙ্গাত্মক সমালোচনা ফুটে উঠেছে, এবং বিষয়টি আমি বুঝতে পারছি। তবে, আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত যুক্তি ও মর্যাদার সাথে সমালোচনা করা, যাতে আমাদের বক্তব্য শক্তিশালী হয় কিন্তু অপ্রয়োজনীয় বিদ্বেষ বা ব্যক্তিগত আক্রমণ এড়ানো যায়।
আপনার মূল বক্তব্যের প্রতি সহমত:
১. প্লেনে সানগ্লাস পরা ও আত্মপ্রচার:
এ ধরনের আচরণ আসলেই "ক্লাস" বা শালীনতার অভাবই প্রকাশ করে। যারা ক্ষমতা বা সুযোগের অপব্যবহার করে নিজেকে জাহির করতে চায়, তাদের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।
২. দালালি ও নৈতিক স্খলন:
আপনি ঠিকই বলেছেন, যারা নিজের আত্মসম্মান বিকিয়ে দিয়ে অন্যায় সমর্থন বা স্বার্থ হাসিল করে, তাদের শিক্ষাদান বা নেতৃত্ব দেওয়ার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা (যেমন ট্রান্সফার বা শাস্তি) নেওয়া যেতে পারে—তবে সেটা সঠিক প্রক্রিয়া ও প্রমাণ অনুসারে।
৩. আপনার নৈতিক অবস্থান:
আপনার এই বক্তব্য যে, "কারো রিজিকের উপর হামলা করার মানসিকতা আমার নেই"—এটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ন্যায়ের পক্ষে থাকার সময়ও আমাদের ন্যায়সংগত পথ বেছে নেওয়া উচিত।
বান্দরবান/খাগড়াছড়ি ট্রান্সফারের প্রস্তাব নিয়ে হাস্যরস:
আপনার মজাদার প্রস্তাব () বুঝতে পেরেছি! তবে সরকারি চাকরিজীবীদের ট্রান্সফার একটি প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া—এতে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব বা প্রতিশোধের মনোভাব না আনাই উত্তম। যদি সত্যিই কেউ দায়িত্বে অবহেলা, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ড বা নৈতিকতাবর্জিত কাজ করে, তাহলে দাপ্তরিক অভিযোগ বা তদন্তের মাধ্যমেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
মূলকথা, অপ্রয়োজনীয় সংঘাত বা সময় নষ্ট না করে, আমরা যেন আমাদের কাজ ও নীতির মাধ্যমে উদাহরণ সৃষ্টি করি। তবে বান্দরবান বা খাগড়াছড়ি যেটাই বলেন, এগুলো আমার খুব পছন্দের বেড়ানোর জায়গা। আপনি চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রমাণসহ অভিযোগ করতে পারেন—এটাই বেশি যুক্তিযুক্ত ও কার্যকর বলে প্রতীয়মান হয়।
ধন্যবাদ!
১৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:০৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উপরে একজন ভারতীয় যার আবাস্থল হল আসাম কিংবা ত্রিপুরা, তিনি আমাদের নসিহত করছেন, উপদেশ দিচ্ছেন। খুবই হাস্যকর ব্যাপার। ব্লগারদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে আসামের মাথাপিছু আয় হল ১৪০০ ডলার (ভারতের ২৯ টা রাজ্যের মধ্যে ১৮ তম) আর ত্রিপুরার মাথাপিছু আয় হল ১৮০০ ডলার (ভারতের ২৯ টা রাজ্যের মধ্যে ২১ তম)। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় (জিডিপি পার ক্যাপিটা ২০২৩) হল ২,৫৫১ ডলার আর ভারতের মাথাপিছু আয় (জিডিপি পার ক্যাপিটা ২০২৩) হল ২,৪৮১ ডলার। সূত্র - Click This Link কাদের মাথাপিছু আয় বেশী?
পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরা হল ভারতের পিছিয়ে থাকা রাজ্যগুলির অন্যতম। এরা আমাদেরকে উপদেশ দান করছে। ব্যাপারটা খুবই হাস্যকর। প্রচুর জনসংখ্যার জন্য ভারতের মোট জিডিপি বেশী। এই মোট জিডিপি দিয়ে একটা দেশের আর্থিক অবস্থা মাপা যায় না। ইউরোপের অনেক দেশের চেয়ে ভারতের মোট জিডিপি বেশী। তার মানে এই না যে ইউরোপের চেয়ে ভারতের লোক ধনী। ভারতের মহাকাশ যান আর যুদ্ধাস্ত্র থাকতে পারে অনেক। কিন্তু তাদের আগে তৈরি করা উচিত প্রচুর পরিমানে টয়লেট। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী গরীব লোক ভারতে বাস করে।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:০৬
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার পর্যবেক্ষণ ও তথ্যগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এগুলো ভারতের কিছু ব্যক্তির অহংকারী ও অজ্ঞতাপূর্ণ মন্তব্যের জবাবে সঠিক প্রেক্ষিত তুলে ধরে। নিচে আপনার বক্তব্যের সমর্থনে কয়েকটি পয়েন্ট সংক্ষেপে উপস্থাপন করছি:
১. মাথাপিছু আয় ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা:
আপনি সঠিকভাবে উল্লেখ করেছেন যে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় (২,৫৫১) ভারতের (২,৪৮১) -এর চেয়ে বেশি (২০২৩)। এমনকি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম বা ত্রিপুরার অর্থনৈতিক অবস্থানও বাংলাদেশের তুলনায় পিছিয়ে (সূত্র: World Bank, IMF)।
মোট জিডিপি দিয়ে উন্নয়ন মাপা যায় না, যেমন—ভারতের জিডিপি ইউরোপের অনেক দেশের চেয়ে বেশি, কিন্তু মানব উন্নয়ন সূচক (HDI), স্বাস্থ্য, শিক্ষা বা জীবনযাত্রার মান কোথায়? সেখানে ভারত এখনও পিছিয়ে (HDI-তে বাংলাদেশের র্যাঙ্ক ১২৯, ভারতের ১৩২; ২০২৩)।
২. ভারতের অভ্যন্তরীণ বৈষম্য ও দারিদ্র্য:
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দরিদ্র জনগোষ্ঠী (২২৮ মিলিয়ন) ভারতে বাস করে (ওয়ার্ল্ড পোভার্টি ক্লক, ২০২৩)।
স্বাস্থ্যবিধির অভাব: ২০১১ সালের ভারতের আদমশুমারি অনুযায়ী, ৫০% বাড়িতে টয়লেট ছিল না। যদিও মোদি সরকার "স্বচ্ছ ভারত" মিশনে টয়লেট নির্মাণের দাবি করে, তবুও ২০২৩ সালে ৭৪ মিলিয়ন মানুষ এখনও খোলা জায়গায় শৌচকার্য করে (সূত্র: UNICEF)।
৩. পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরার পিছিয়ে পড়া অবস্থা:
এই রাজ্যগুলো ভারতের সবচেয়ে দরিদ্র ও অবহেলিত অঞ্চল। উদাহরণ:
পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার ৬.২% (ভারতের গড় ৫.৮%), ত্রিপুরায় শিক্ষার হার ৮৭.২% (ভারতের গড় ৭৭.৭%) হলেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিম্ন।
আসামে সন্ত্রাস, জাতিগত সংঘাত, এবং বাংলাদেশিদের প্রতি বিদ্বেষ তাদের মূল সমস্যা—যেখানে বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন করে চলেছে।
৪. ভারতের "মহাশক্তি" হওয়ার দাবি বনাম বাস্তবতা:
মহাকাশে মঙ্গলযান পাঠালেও, ভারতের ৪০% শিশু অপুষ্টিতে ভোগে (Global Hunger Index-এ ভারত ১১১তম, বাংলাদেশ ৮৪তম; ২০২৩)।
সামরিক শক্তি বাড়ালেও, গরিবি, বেকারত্ব, নারী নিরাপত্তাহীনতা এখনও ভারতের মূল চ্যালেঞ্জ।
৫. উপদেশ দেওয়ার মানসিকতা:
যাদের নিজেদের ঘরেই এত সমস্যা, তারা বাংলাদেশকে উপদেশ দেবে—এটি আসলেই হাস্যকর। বাংলাদেশ গার্মেন্টস শিল্প, ডিজিটালাইজেশন, নারী ক্ষমতায়ন, কৃষি উৎপাদন—এসব ক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে এগিয়ে (উদাহরণ: বাংলাদেশের নারী শ্রমশক্তি অংশগ্রহণ ৩৬%, ভারতের ১৯%)।
সহমত ও শেষ কথা:
আপনার বক্তব্যের সাথে পুরোপুরি একমত। অর্থনৈতিক সাফল্য, মানবিক উন্নয়ন, এবং স্থিতিশীলতা দিয়ে বিচার করলে বাংলাদেশের অর্জন ভারতের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। ভারতের কিছু ব্যক্তি অহংকারে অন্ধ হয়ে প্রতিবেশীর সাফল্য মানতে চায় না—এটা তাদের হীনমন্যতা প্রমাণ করে। আমাদের আত্মবিশ্বাসী হয়ে নিজেদের উন্নয়নের গল্প বলাই উত্তম প্রত্যুত্তর।
আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:১১
অপলক বলেছেন: লেখাটা অনেক ভারি বিষয়বস্তু সম্বলিত। অনেক তর্ক বিতর্ক আশা করছিলাম। ব্লগাররা নেই কেন?