নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গহীন বালুচরের ট্রেলার লিংক দেখে মুগ্ধ। নতুন চর নিয়ে সংঘাত ও ট্রাজিক প্রেমের গল্প মনে হলো। সিনেমাটোগ্রাফি, সুবর্না ও আসাদের এক্সপ্রেশন ও ডায়লগ এবং সেটের বিশালত্ব দেখে মুখ হা করে বসে আছি...ইনক্রেডিবল। আজকে মুক্তি পাচ্ছে।
গহীন বালুচরের ট্রেলার
এই ট্রেলার দেখে আমার চর থেকে আসা অর্ধেক রক্তের কথা মনে পড়লো। আমার নানাবাড়ি যে চরে সেটির নাম অতি সুন্দর আর মধুর, 'কাজল'। আমার মায়ের প্রেমে যখন আমার বাবা পড়েছিলো তখন তার সবচেয়ে প্রিয় গান বোধহয় হয়ে গেছিলো 'কাজলও নদীর জলে ভরা ঠেউ ছলছলে প্রদীপও ভাসাও কারে স্মরিয়া' ।
তরুন বন্দোপাধ্যায়ের গাওয়া এই বিখ্যাত গানটির লিংক দিলাম। আব্বার গাওয়াটি দিতে পারলাম না, তখন ইউটিউবে রেকর্ড করার ব্যবস্থা ছিলো না বলে.. লোলজ ।
কাজল চরের নদীর নামও ছিলো কাজল নদী। আর আমার নানাবাড়ি সে চরের যে অংশে তার নাম ছোট কাজল। ১৮ বছরের বেশী হবে আমার যাওয়া হয় না, কিন্তু অবিকল মনে করতে পারি সেই চর জীবনের অনুভূতি। আমার জন্ম সেই চরের মাটিতে হয়েছে বলেই হয়তো কাজল আমার চোখে গাঢ়ভাবে লেগে থাকে।
ছোটবেলা প্রতি শীতে আমাদের নানাবাড়ী যাওয়া হতো। সব বাড়িতেই থাকত শহুরে আগন্তুক- সমবয়সী বাচ্চাদের ধুম লেগে থাকতো। উঠনে ধানমাড়াই, ঠেঁকিতে ধান ভানা, বিশাল নৌকা বোঝাই করে ধান গঞ্জে নিয়ে যাওয়া, আগুনমুখো নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া, দখলকৃত চরে গিয়ে বনভোজন এসব ছিলো প্রতিদিনের অ্যডভেঞ্চার।
তখন আমার নানাবাড়ী আধুনিক সভ্যতার কয়েকটা যন্ত্র বা মেশিন মাত্র যেতে পেরেছিলো যেমন রেডিও, সাইকেল, ঘড়ি, টর্চলাইট। কি অপূর্ব সময় ছিলো!
গহীন বালুচরে সেই চরের একটা হালকা পরশ পাচ্ছি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩
প্রামানিক বলেছেন: ভালো লাগল। ছোট কালে আমিও চরে ঘুরে বেড়াতাম।