নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে বিবাহের বয়স সেই ১৯২৯ সাল থেকে আইনগত ভাবে এক নিয়মে চলতেছে। ছেলেদের জন্য ২১, মেয়েদের জন্য ১৮। প্রায় শতাব্দী পুরানো এই নিয়ম সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত - মোটামুটি সবাই জানে যে মেয়েদের বিবাহ ১৮ বছরের কমে দেয়া যায় না। তারপরেও মানুষ বিয়া দেয়, বেশী বয়স দেখায়া। নিয়মটা পুরাপুরি ফলো না করলেও মানুষজন আইনটারে নিয়া তেমন কোনো উচ্চাবাচ্য করে নাই। মাইনা নিছে। যেইটা পজিটিভ দিক।
কমবয়সে মেয়েদের বিবাহ হওয়া যে কত খারাপ সেইটা বিগত একশ বছর যাবত বাংলার মানুষরে বুঝাইছে ডাক্তাররা, শিক্ষকেরা এবং জ্ঞানীগুনি ব্যক্তিরা। মানুষজনও নিজেরা দেখছে যে কম বয়সে বিয়া হইলে কেমনে সন্তান জন্মের সময় মাইয়াগুলা পটপট কইরা মইরা যায়। বাচ্চা মরে। বাচ্চার মায়েরা কত অসহায় হইয়া পড়ে একটা ঝামেলা হইলে। নিজেরাই তো বাচ্চা - আরেকটা বাচ্চা সামলাইবে না কি করবে বুঝে উঠতে পারে না।
শিক্ষিত লোকজন এইজন্য বেশী বয়সে পোলামাইয়াদের বিয়া দেয়। আইনের বয়স-সীমার অনেক উপরে তাদের পোলামাইয়াদের বিয়ার বয়স হয়। কিন্তু গরীব মানুষরা তো কম বয়সে বিয়া দেয়। নানা করণে - তার মধ্যে অন্যতম সামাজিক কারণ, দারিদ্রের কারণে। আরেক সংসারে গিয়া সুখে থাকবো এমন চিন্তায়। রাস্তাঘাটে ইভটিজিং হয় ইত্যাদি। কিন্তু এইগুলা কোনো কারণ ? আপনারাই কন! শিক্ষিত মানুষ কি এইটারে কোনো কারণ বলবে? যাদের ন্যুনতম ধারণা আছে এবং নিজেরা ভূক্তভোগী তারা সবাই নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়া জানে কম বয়সে বিয়া কত খারাপ হইছিলো তাদের জীবনে!
সংসারে গিয়া এই অল্পবয়সে বিবাহিত মেয়েরা কূলকিনারা নাই এমন বিপদে পড়ে। যে শরীর তার অপরিণত সেই শরীরের নিয়মকানুন যার অচেনা – যা জানানোর জন্য কোনো শিক্ষা তার পরিবারে পায় নাই - সেই মেয়ে যখন শশুর বাড়ি যায় তখন প্রথম রাইতে স্বামী - যে তার চাইতে ম্যালা বড় থাকে সে কি তারে পড়াশুনা করতে বসাইবে? যদিও ঐ মাইয়ার পড়াশুনার বয়সই - কিন্তু স্বামী তার সাথে ডাইরেক্ট সঙ্গম করতে শুরু করে। যেইটাকে বলে দাম্পত্য ধর্ষণ! ঐ মেয়ে প্রস্তুত না....জানে না তার নিয়মকানুন, জন্ম নিয়ন্ত্রন সম্বন্ধে ধারণা নাই – ফলে হইয়া যায় গর্ভবতী!
এরপরে তো মেলা কেস...সন্তান হবার সময় এই বয়সী মায়েদের মৃত্যু সবচেয়ে বেশী হয়। বাংলাদেশ যেমন অল্পবয়সী মাইয়াদের বিয়াতে বিশ্বের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন তেমনই মাতৃমৃত্যুতেও চ্যাম্পিয়ন। আর যদি হয় কন্যা সন্তান - তারপরে শুরু হয় পরের সন্তানের জন্য তোড়জোড় - দেখা যায় ১৮/১৯ বছর বয়সেই তার দুইটা বাচ্চা হইয়া গেছে - যখন তার মাত্র এইচএসসি পাস করার কথা!
অসুস্থ রুগ্ন হইয়া পড়ে, স্বামী আনহ্যাপী থাকে - ঠিকমত সঙ্গম করতে পারে না - স্ত্রীর রোগশোক - ফলে কলহ তৈরী হয়, বিবাহ ভাঙে এবং মাইয়াটা রাস্তায় পড়ে। সমাজ ও রাষ্ট্র এইসব অসহায় মায়েদের বোঝা কান্ধে নেয় – কিন্তু সেই কাধও তো তেমন মজবুত না। গরীব ঘরের মাইয়ারা সামাজিক নির্যাতন ও কলঙ্কের মুখে পড়ে – কেউ খারাপ পথে পা বাড়ায়।
এইসব কথা নতুন কইরা কেন কই? আমি কোনো ডাক্তার না। এইকথাগুলো আপনাদের মতই সমাজ থেকে শিখছি। এতকাল পর্যন্ত আমাদের ডাক্তাররা, শিক্ষকেরা এই কথাই বলছে, টিভিতেও বলছে এমনকি এই সেদিন পর্যন্ত রাজনীতিবিরাও বলছে..জানি তো সেইজন্যই।
কিন্তু হঠাৎ করে এই বেসিক কথাগুলা আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভুইলা গেছে ...সে আবদার করছে মেয়েদের বিবাহের বয়স ১৬ করতে! চিন্তা কইরা দেখেন আমাদের প্রধানমন্ত্রীর হঠাৎ কি হইলো? এতদিনের স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান এবং সমাজে তৈরী হওয়া সচেতনতাকে সে কেমনে মাত্র একটা কথা বইলা হেলাইয়া দিলো! কেমনে সমাজটাকে পেছনে নেওয়ার...আরো বেশী বাল্যবিবাহ হওয়ার দিকে, মায়েদের মৃত্যুর দিকে নিয়া যাওয়ার ঝুঁকি লইছে? এবং প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলছে বাল্যবিবাহ রোধ করার আইন করতে গিয়া। বাল্যবিবাহ রোধ করবেন আর বিবাহের বয়স কমাবেন – বিষয়টা সাংঘর্ষিক হইলো না? বড়ই আজব কথাবার্তা! বাল্যবিবাহ রোধ আইনেই বাড়বে না তাইলে বাল্যবিবাহ?
এইটা অবিশ্বাস্য যে প্রধানমন্ত্রী এমন কথা বলবেন? আমরা লজ্জিত। ভীষণ লজ্জিত যে প্রধানমন্ত্রী এমন একটা কথা বলছেন। আমরা এর প্রতিবাদ করতে চাই প্রচণ্ড অভিমানে।
প্লিজ ১৬ বছরে মেয়েদের বিবাহের বয়স কইরেন না - দোহাই লাগে।
অভিমানী প্রতিবাদ জানাবো আমরা ১৮ই অক্টোবর - মানববন্ধন কইরা - প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল ১১ টায়।
ফেসবুক ইভেন্ট - Click This Link
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:২১
কৌশিক বলেছেন: আপনার মন্তব্য খুবই কনফিউজিং। আইন কানুন থাকা ভালোও বলছেন আবার সিরিয়াস না হবার জন্যও বলছেন।
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: হুম কনফিউজিং, আমিও বুঝতে পারছি, কিন্তু কথা হচ্ছে আপনি কি আইন করে বল্য বিবাহ ঠেকাতে পেরেছেন না কি পারবেন, তারচেয়ে ভাল মানুষকে একটু সচেতন হরে তুলুন, মনাব বন্ধনের চেয়ে এটা ঢের ভাল।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:০০
কৌশিক বলেছেন: আবারও কনফিউজিং। সচেতন করে তুলুন বলছেন আবার মানব বন্ধন না করার জন্যও বলছেন। মানব বন্ধন তো করা হয় সচেতনতার জন্যই।
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: হুম, আপনি মানব বন্ধন করতে চাচ্ছেন আইন পরিবর্তন করার জন্য আর আমি বলছি তা না করে আইনকে আইনের জয়গায় থাকতে দিন আর বাল্যবিবাহ বন্ধের জন্য মানুষকে সচেতন করে তোলার জন্য প্রচারণা করুণ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২
কৌশিক বলেছেন: আইন কারা করে? কাদের জন্য করে? আইন থাকবে একদিকে আর সচেতনতা থাকবে আরেক দিকে?
৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭
তিক্তভাষী বলেছেন: কেবল এই বিষয়ের জন্য মানববন্ধন করবেন? নাকি যে প্রধানমন্ত্রীর জন্য আপনি এখন লজ্জা পাচ্ছেন তার অপসারণের বিষয়টিও সাথে যোগ করবেন। গোড়াতে গলদ রেখে দিলে সমস্যার সমাধান কি স্থায়ী হবে?
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩
কৌশিক বলেছেন: না যোগ করবো না। না করলে কি আসবেন না মানব বন্ধনে? আর তাকে বাদ দিলে আসবে তারেক চোরার মা? যে হলো আর পশ্চাতপদ!
৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১
তিক্তভাষী বলেছেন: বিএনপির বিষয়ে আপনার এতো তীব্র আপত্তি থাকলে ক্ষমতাসীন দলের অন্য একজনই নাহয় আসুক। আপনি লজ্জাবোধ করবেন না এমন একজন হলেই হলো। আওয়ামী লীগে আছে নাকি এমন কেউ? সিদ্ধান্তের জন্য যে দায়ী তাকে কিছু বলবেন না, আবার বলছেন প্রতিবাদে মানববন্ধন করবেন! সোনার পাথরবাটি তৈরী করতে বেশ পারদর্শী দেখছি। নাকি আসল উদ্দেশ্য একটা নাটুকে আন্দোলন আন্দোলন ভাব দেখিয়ে একটু লাইমলাইটে আসা। প্রচারেই প্রসার, জানেন তো?
৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫
মিতক্ষরা বলেছেন: যেইসব কিশোর কিশোরী প্রেমিক প্রেমিকা বিবাহ করতে চায়, তাদের বিবাহ করতে দিন। নইলে ১২-১৬ বয়েসী কুমারী মেয়েরা মা হতে থাকবে পশ্চিমের মত। এটা আরো বড় সামাজিক ব্যধি।
হ্যা, বাল্য বিবাহের যেসব কারন আপনি উপরে লিখেছেন সেগুলো প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়া হলে তাতে আমার সমর্থন থাকবে ষোল আনা। যে তারেক চুরার মায়ের বিরুদ্ধে আপনার ঘৃনা (সেজন্য নির্বাচনও চান না), সেই তারেকের মায়ের আমলে অবিবাহিত মেয়েদের স্কুলে যাবার জন্য বৃত্তি দেওয়া হত। ঐসব পদক্ষেপই বাল্য বিবাহ কমিয়ে আনতে পারে।
৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩১
জনাব মাহাবুব বলেছেন: ভাই গ্রাম-বাংলায় কান পেতে শুনুন সাধারণ মানুষ কি চায়? কোন বাবা মা চায় না তার মেয়ে বালেগ হওয়ার পরও ঘরে বসে থাকুক আর ইভটিজাররা রাতদিন তার মেয়েকে ইভটিজিং করুক এবং তুলে নিয়ে ধর্ষণের মত অপরাধ ঘটাক।
ঢাকা শহরের মেয়েরা তো রাস্তায় নিরাপদ এবং স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারে। কিন্তু গ্রামের একজন ১৩/১৪ বছরের মেয়ে বখাটেদের উৎপাতে বাড়ী থেকে বের হতে পারে না। উপরন্তু বাড়ী থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, এসিড নিক্ষেপ করা হবে ইত্যাদি নানান হুমকি ধামকির মধ্যে পিতা-মাতাকে সবসময় আতংকিত থাকতে হয়। এছাড়া বাড়ী ছেড়ে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়া, ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া ইত্যাদি সামাজিক ব্যাধিতো আছেই।
সরকার সর্বনিম্ন বয়স ১৬ এবং ১৮ করছে সর্বোচ্চ কিন্তু করে নাই।
সরকার কিন্তু বলে নাই যে, ১৬ এবং ১৮ তেই বিয়ে দিতে হবে নাহলে কারাদন্ড। বরঞ্চ সরকার সমাজে ভারসাম্য আনার জন্যই এই আইনটি করেছে যা ইতিমধ্যেই কিছু লোকের গা জ্বলা শুরু হয়ে গেছে।
একটা কথা মনে রাখবেন "মানুষের জন্যই আইন, আইনের জন্য মানুষ নয়।"
৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:২১
জানা বলেছেন:
বিষয়টি নিয়ে সুস্থ্য ও যুক্তিযুক্ত আলোচনা হোক, আন্তরিকভাবে চাই। এর পক্ষে এবং বিপক্ষে হাজারো যুক্তি আসুক। তাতে আমাদের অনেক বেশী জানার এবং শেখার সুযোগ থাকবে। পাশাপাশি সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন এবং মানষিকতার বিকাশে একটি সুস্থ সিদ্ধান্তও পাওয়া সম্ভব। মত প্রকাশের অধিকার সবার আছে। তবে, সেই প্রকাশটিতে দায়িত্বশীলতা এবং সহনশীলতার বিষয়টি মনে রাখা দরকার। অবশ্যই গণতন্ত্র চর্চার প্রথম এবং প্রধাণ অনুসঙ্গটিই 'কথা বলার বা মত প্রকাশের স্বাধীনতা।
অত্যন্ত জরুরী বিষয়টি নিয়ে খুব সহজ একটি পোস্টের জন্য অশেষ ধন্যবাদ কৌশিক। আশা করি মানববন্ধনটিতে সচেতন সকল মানুষের সমাগম হবে।
৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৪৫
আমিনুর রহমান বলেছেন:
আমাদের দেশে যেদিন একটা ছেলে বা মেয়ের গ্রাজুয়েশন ও তাদের আর্থিক সচ্ছলতা ১৮/১৬ তে করার নিশ্চয়তা দিতে পারবে সেদিন এই ধরনের আইনে কেউ প্রতিবাদ করবে না। বাল্য বিবাহ এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে যখন মানুষের ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো ও অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে পারবে।
চেষ্টা করবো ১৮ তারিখে মানব বন্ধনে থাকার।
দারুন পোষ্ট। পোষ্টে সহমত।
প্রথম কমেন্টে ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেনঃ
তাই সরকার যাই করুক না কেন আমারা যদি সর্তক থাকি তবে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি তবে স্বীকার করছি সরকারী একটি আইন/নিয়ম থাকা ভাল তবে এটা নিয়ে এতো সিরিয়াস হওয়ার কিছু নেই কারন যখন নূন্যতম বয়সসীমা ১৮ ছিল তখনও বাল্য বিবাহ কেই ঠেকাতে পারে নি প্রসঙ্গত যৌতুকও ঠেকাতে পারে নি।
আমি এই প্রসঙ্গে একটু বলতে চাই। সত্যিকার অর্থে আমাদের দেশে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নেই বলেই আইন থাকা সত্ত্বেও তার বাস্তবায়ন হয় না। তবে এই আইনের কারনে হয়ত যতখানি বাল্য বিবাহ বা যৌতুক দেয়া/নেয়া বন্ধ হওয়ার কথা তা হয়নি কিন্তু এই আইনের কারনে ১ জন হলেও সচেতনা থেকে না হোক ভয়ে যৌতুক নেয়া/দেয়া কিংবা বাল্য বিবাহ দেয়া থেকে কিন্তু বিরত হয়েছে। এখানেই হয়ত এই দেশে এই আইনের সার্থকতা। তাই অবশ্যই একটা জরুরী বিষয়। আর বাল্য বিবাহ বন্ধে বাল্য বিবাহের (১৬ আমার কাছে বালিকায় মনে হয় একটা মেয়েকে) আইন করা হাস্যকর নয় কি !
১০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪৩
টু-ইমদাদ বলেছেন: যে সমাজে বিবাহ করাকে কঠিন করা হয়, সে সমাজে ব্যভিচার বেড়ে যায়. . .
১১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:১২
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: জাতিকে পিছনে বা গরীব রাখার সমস্ত হিসাব নিকাশ কষেই সরকার এগুচ্ছে বলে আমার ধারনা, তা না হলে এমন কথা কি করে সরকার চিন্তা করতে পারে। আমাদের সংসদের ৩৩০ জনের কাছে আমার প্রশ্ন, আপনারা কি আপনাদের ১৬ বছর বয়সি মেয়ের মুখখানা দেখেছেন কখনো, কখনো কি ভেবে দেখেছেন এই বয়সে একটা মেয়ে কতদুর বুঝতে পারে বা বিয়ের মত বিষয়টা কি সামাল দিতে পারে। শারীরিক/মানষিক ভাবে আমাদের দেশের মেয়েরা ১৬ বছরে কতটুকু থাকে তা কি কখনো ভেবে দেখেছেন? আপনারা কি আপনাদের ১৬ বছরের মেয়েদের বিয়ে দিবেন? উত্তর জানি দিতে পারবেন না!
যারা পক্ষে নানান যুক্তি দেখাচ্ছেন, তাদের অনেক্কেই কম বয়সি মনে হচ্ছে, অবিবাহিতও মনে হচ্ছে। বিবাহিত ব্লগ লিখতে পারে, মেয়ের বাবারা কিছুতেই এটা স্মর্থন করতে পারে না!
একটা ছেলে যখন শিক্ষিত হয়, তখন সে নিজেই শুধু শিক্ষিত হয়! আর একটা মেয়ে যখন শিক্ষিত হয় তখন সমাজ শিক্ষিত হয়। এটা আমার কথা নয়, বহু গুনি বলে গেছেন।
মেয়েদের শিক্ষিত না করে বিয়ে দেয়ার জন্য কেন প্রলোভন দেখানো হচ্ছে!
যাই হোক, নিজের মাথা না ফাটলে যেমন ব্যাথ্যা বা কষ্ট অনুধাবন করা যায় না তেমনি নিজের মেয়ে বা বোন না হলে বুঝবে কি করে?
যারা পক্ষে কথা বলছেন, তারা আসলে অভিজ্ঞতাহীন বা বাস্তব বর্জিত।
নারী হয়ে নারীদের দুঃখ যারা বুঝে না, তাদের আর কি বলার আছে?
১২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:১৮
জামাল হোসেন (সেলিম) বলেছেন: এই বিষয়টিকে আমি পজেটিভলিও নিচ্ছি না নেগেটিভলিও নিচ্ছি না। তবে নজর রাখছি সেই প্রথম থেকেই। বুঝার চেষ্টা করছি পাবলিক কি চাইছে?
জনাব মাহাবুব বলেছেন: ভাই গ্রাম-বাংলায় কান পেতে শুনুন সাধারণ মানুষ কি চায়? কোন বাবা মা চায় না তার মেয়ে বালেগ হওয়ার পরও ঘরে বসে থাকুক আর ইভটিজাররা রাতদিন তার মেয়েকে ইভটিজিং করুক এবং তুলে নিয়ে ধর্ষণের মত অপরাধ ঘটাক। এই যে একটা সিরিয়াস প্রসংগ, এটার সিরিয়াসনেস বুঝতে হলে আপনাকে একজন মেয়ের বাবা সাজতে হবে যদি কোন মেয়ের বাবা আপনি নাও হয়ে থাকেন। ভেবে দেখুন, আপনার মেয়েটি ইভটিজারদের নজরে পরে গেছে। ওদের খপ্পর থেকে বাঁচাতে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিবেন, সেটাও পারছেন না। বয়স ১৬ বা ১৭। বয়স বাড়িয়ে বিয়ে দিতে গেলে হয়ত ওরাই সবার আগে বাগড়া দিবে। কি করবেন আপনি? আইনের কাছে যাবেন? আইন আছে আপনার দেশে? নেই যে, সেটা প্রধান মন্ত্রীর কথাতেও বুঝা যায়। তা না হলে তিনি বয়স ১৬ বছরে না কমিয়ে আইনের কঠোর প্রয়োগের কথা বলতেন। একটা দেশের প্রধান মন্ত্রীর বক্তব্য এত দীন হীন হতে পারে ভাবা যায়? মনে হয় যেন অনেকটা নিরুপায় হয়েই তিনি এমনটা করছেন।
কেতাবী আইনের কথা আমার কাছে বলবেন না। বাংলাদেশের আইন কাগজে কলমে। আর না হয় দূর্বলের জন্যে। এখানেই কয়েক জন বলে ফেলেছেন সরকার যাই করুক না কেন আমারা যদি সর্তক থাকি ধরনের কথা বার্তা। সরকার বা আইন যে আমাদের ........ ছিঁড়তে পারেন না এটা আমাদের দেশের ...... রাও জানে আজকাল।
জন সচেতনতা ধুয়ে ধুয়ে আপনারা পানি খান। আমাকে আমার মেয়ের সম্ভ্রম রক্ষা করতে হবে আগে।
আইন শক্ত করতে পারেন না, সরকারকে জবাবদিহিতায় বাধ্য করতে পারেন না, জন সচেতনতা ফলাতে এসেছেন এক একজন!
১৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:০৯
নিরব বাংলাদেশী বলেছেন: ১। মেয়েরা এখন অনেক বেশীই জানে শুধু মেয়ে কেন ছেলেরা ও তো কম জানে না। তাই নলেজ এর কোন সমস্যা থাকার কথা নয়।
২। লেখাপড়ার না জানার জন্য অন্য কারও দায়িত্ব নিতে অপারগ হওয়ার যুক্তি খুব একটা শক্ত না। আমাদের এলাকাতে অনেক ইজি বাইক চলে... এক একটাতে ৫/৬ জন উঠতে পারে যার অধিকাংশের চালক ১০-১২ বছরের, কথা হলো সে ৫/৬ জনের দায়িত্ব নিতে পারলে, তার পরিবারের দায়িত্ব নিতে পারে তাহলে একটা অতিরিক্ত মানুষের দায়িত্ব নিতে কি PhD করতে হবে?
৩। স্কুল/কলেজ/ইউনি/চাকরি সব জায়গায় কম তো আর টাঙ্কিবাজি করি নাই... বিয়ের আগ পর্যন্ত সেসবই তো মাথায় ঘুরতো, বিয়েটা আরও আগে হলে কি মাথা ঠান্ডা থাকতো না? ঠান্ডা মাথার চিন্তা ভাবনা কি সবসময়ই দায়িত্বজ্ঞানহীন হতো? যেটা বলতে চাচ্ছি তাহলো মানষিক ভাবে সুস্থ থাকাটাও তো চিন্তা করা জরুরী
৪। আমরা পরিমলের কাহিনী জানি কিন্তু স্কুলের যে ছেলেমেয়েরা (ক্লাস ৬-১০) মিচুয়াল সেক্স এ জড়ায় তাদের দায়িত্ব কয়জন PhD ওয়ালা নিয়েছেন যানি না
৫। মেয়েদের গর্ভধারন পরবর্তি অক্ষমতা যদি এতোই থাকতো তাহলে তো মেয়েদের গর্ভধারনের ক্ষমতা ১৮ বছর হলেই আবির্ভাব হতো, এর আগে হওয়ার কথা না। আমদের হাটার ক্ষমতা হলেইতো হাটা শুরু করি নাকি চিকিৎসা বিজ্ঞান এর পরামর্শ নিয়ে তারপর হাটি? নাকি হাটতে গেলে পড়ে ব্যাথা পাবো তাই আমার অতি শিক্ষিত বাবা মা আমাকে না হাটিয়ে কলে তুলে রাখে?
৬। সেক্স একটা ভাল ব্যায়াম আর বিয়ে একটা ভালো বন্ধন যা মানুষকে দায়িত্ববান হতে শেখায়, এজন্য অবিবাহিত এমপ্লয়ির চেয়ে বিবাহিত এমপ্লয়ির উপর কোম্পানি বেশী ভরসা করতে পারে, এটা যেমন আমাদের দেশের অফিস গুলোতে গুরুত্ব দেয় তেমনি বিদেশে এটা আরও বেশি গুরুত্ব দেয়
৭। বিয়ে একটা নিয়ম যা বিবাহিতরা কম আর বেশী মেনে চলে। আর নিয়ম মেনে চলার অভ্যাস যদি ছোট কালে না করি তাহলে বড় কালে এমনি এমনি তো আর চলে আসবে না। এতে সমাজের অবক্ষয় কিছুটা হলেও কি রোধ করা যাবে না?
৮। আমার দাদি, নানি এবং শাশুড়ি ১২-১৫ বছরে বিয়ে হয়েছে তারা কি সবাই বেসামাল হয়ে গিয়েছিল? তাদের ছেলে মেয়েরা কি শিক্ষিত হয়নি? তারা কি সংসার করতে পারেনি? এই সল্প শিক্ষিত দাদি নানিরা যে শিক্ষা তাদের সন্তানদের দিতে পেরেছিল তা কোন বিশ্ববিদ্যালয় দিতে পারতো?
৯। সেক্স, গর্ভধারন, বাচ্চা প্রতিপালন এইগুলা জগতের অন্য সকল প্রানিরই প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট, আর যোগ্য বলেই সেক্স, গর্ভধারন, বাচ্চা প্রতিপালন করতে পারে। মানুষও এর ব্যতিক্রম হওয়ার কথা নয়
১০।সর্বশেষে বয়স কমানোর আইন আসলে কার সার্থে তা আমি জানি না। সরকারের কোন লাভ আছে? বিরোধীদলের ই বা কি ইসু এতে পাবে আমি জানি না। তবে আইন প্রনেতাদের মাথায় যে শুধু দেশের জনগনের সার্থই ঘুরে এটা আমি বিশ্বাস করি না
১৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:১৬
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: বর্তমান সময়ে নিয়ম নীতি সভ্যতার মাপকাঠি হিসেবে আমরা যাদের মেনে নেই সেই আমেরিকার অধিকাংশ প্রদেশ, ইংল্যান্ড, এমনকি প্রায় সমগ্র ইউরোপেই দেখলাম মা বাবার অনুমতি থাকলে ১৬ তেই বিয়ে দেয়া যাবে। জাপানেও দেখলাম একই অবস্থা। দক্ষিণ কোরিয়া দেখি আরেক কাঠি সরস হয়ে সেটা ১৫তে এনেছে। এমনকি অধিকাংশ থার্ড ওয়ার্ল্ড দেশগুলোতেও একই অবস্থা দেখলাম
http://en.wikipedia.org/wiki/Marriageable_age
http://en.wikipedia.org/wiki/Age_of_marriage_in_United_States_of_America
১৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:২৫
এম ই জাভেদ বলেছেন: বাল্যবিবাহ আইনের সুফল আর কুফলের বিষয়টি পাশাপাশি চিন্তা করে দেখলে খুব সহজে অনুমান করা সম্ভব বিবাহের বয়স কমানোর আদৌ যৌক্তিকতা আছে কিনা। বয়স কমানোর পক্ষের যুক্তি একটাই - উঠতি বয়সি মেয়েকে ইভটিজার, বখাটে ছেলেদের হাত থেকে রক্ষা করা। এই একটা বিষয় ছাড়া বাল্য বিবাহের আর কোন সুফল দেখিনা। আমি এটাকে পুরোপুরি সুফল মানতে ও নারাজ, কারন শুধুমাত্র অবিবাহিত মেয়েরাই যে বখাটেদের নিপীড়নের স্বীকার হয় তা কিন্তু না। কোনমতে মেয়ের বিয়ে দিতে পারলেই কি অভিভাবক হিসাবে আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন?
আসল বিষয় হল- বাল্যবিবাহের দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান আফ্রিকার দেশগুলির কাতারে। তাই এই লজ্জাজনক অবস্থান থেকে দেশের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতেই সরকার বিয়ের বয়স কমানোর এই মহতি উদ্যোগ নিয়েছে !!! যেভাবে জিপিএ এর বন্যা বইয়ে দিয়ে শিক্ষার মান উন্নত করা হয়েছে, বাল্যবিবাহ বিবাহ আইন সেরকম একটি প্রয়াস।
দেশের আর্থ -সামাজিক বাস্তবতার নিরিখে এবং নারী-পুরুষের শারীরবৃত্তীয় বিষয় বিবেচনায় নিলে বিয়ের বয়স কমানোর বিষয়টি নিতান্তই একটি অপরিপক্ক সিদ্ধান্ত বলে মনে হবে। একবিংশ শতাব্দীতে এসে আমাদের এহেন পশ্চাদমুখী ধ্যান ধারনা খুবই দুঃখ জনক।
বাল্যবিবাহের হার কমাতে না পারার কারনে দেশের ভাবমূর্তি যতটা ক্ষুণ্ণ হয়েছে তার চেয়ে কয়েকগুন বেশি ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে বিয়ের বয়স কমানো হলে।
তাই আইন করার আগে বিষয়টি আরও গভীরভাবে ভেবে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।
১৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৫০
নিরব বাংলাদেশী বলেছেন: বাল্যবিবাহে কি কি ক্ষতি হয়?
১। মেয়েদের শারিরীক ক্ষতি হয়? যদি তাই হবে তবে ১৫ বছরের আগে কিকরে গর্ভধারন করতে পারে একটি মেয়ে? মানে এটাকে কি বলবেন অসময়ে শরীরের অনুপযুক্ত ক্ষমতা? মানুষ হাটার ক্ষমতা হলে কি আমরা কোল বালিশ দিয়ে ঘিরে বসিয়ে রাখি? নাকি তাকে ইনসপায়ার করি আরও ভাল ভাবে হাটার জন্য?
২। মেয়েদের শিক্ষা? আচ্ছা "শিক্ষা" এটাতো একটা অধিকার তাইনা এবং আর তা আদায়ের করতে যেকারো জন্যই তো আন্দোলন করা যায়? তাই যদি হবে তবে আমরা বিবাহিত মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে ও তো আন্দোলন করতে পারি? নাকি আমাদের শুধু অবিবা্হিতরা ই পছন্দ?
৩। একটা মেয়ের বিয়ে ১৮তে নাহয়ে ১৬তে হলো তাতেই মেয়েটার জীবন শেষ? আমাদের দেশের মান ইজ্জত শেষ? আমরা ২ বছরের মধ্যে আদিম যুগে চলে গেলাম? আর বিয়ে না করে MMS বানালে খুব আধুনিক হয়ে গেলাম না?
১৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:২৩
আবু শাকিল বলেছেন: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে বিবাহের ন্যুনতম বয়স ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৬ বছর কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় ।
আমার মনে হচ্ছে নীতিনির্ধারক রা যাস্ট যৌন অপরাধ এবং বিদেশে সুনাম বাড়াতে তাদের সাথে তাল মেলানোর জন্য এই সিন্ধান্ত নিয়েয়েছেন।
ছেলেদের ১৮ বছর এবং মেয়েদের ১৬ বছর বিয়ে করার ব্যাপক কুফল গুলো মাথায় রাখেন নি।
কিন্তু ছেলেদের ১৮ বছর এবং মেয়েদের ১৬ বছর বিয়ে বর্তমান বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে খুব ভাল কিছু বয়ে আনবে না।
আগে আমি গ্রামে দেখেছি মেয়েদের ১৬ হলে ভুয়া সার্টিফিকেট বানিয়ে ১৮ করে তারপর বিয়ে দেয়া হত।এখন সেটা ১৬ করা হলে মেয়েদের ১৩/১৪ তে বিয়ে দেয়া হবে। আমার নিজ চোখে দেখা একটি মাত্র কারন জানালাম।
আমিনুর ভাইয়ের সাথে সহমত জানিয়ে আমিও বলি
" আমাদের দেশে যেদিন একটা ছেলে বা মেয়ের গ্রাজুয়েশন ও তাদের আর্থিক সচ্ছলতা ১৮/১৬ তে করার নিশ্চয়তা দিতে পারবে সেদিন এই ধরনের আইনে কেউ প্রতিবাদ করবে না। বাল্য বিবাহ এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে যখন মানুষের ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো ও অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে পারবে।" ।
পোষ্টে সহমত এবং মানব বন্ধন সফল হোক।
১৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৪:০১
নীল জানালা বলেছেন: পেরেম বয়স মানে না, বিবাহও তাই। আমি যুদি খালি শৈশবে ফিরা যাইতে পারতাম তাইলে ১০ বছর বয়সে বিয়া করতাম।
যাহোক, কথা হৈল সব মাইয়ার দৈহিক আর মাসষিক গ্রোথ এক সমান না। তাছারা সব বাপমা'র অার্থ-সামাজিক অবস্থা/অবস্থান এক না। হাজার হাজার মানুষের জীবনে হাজার হাজার বাস্তবতা। কেউ যদি তার বাস্তবতার চাপে ১৮ এর নীচে কোন কন্যাসন্তানরে বিয়া দিতে বাধ্য হয় তাইলে অন্তত আইনী ফ্যাকড়াটা থাকলোনা আরকি?!! আর নাইলে বোঝেনইতো....এরে টাকা খাওয়াও, অরে খুশি কর...মরার উপরে খাঁড়ার ঘা আরকি। খালি থিউরি শিখলে হৈবো? পেরেকটিকাল হৈতে হৈবোনা? আমগো পেরেকটিকেলতো খালি মানব বন্দন পর্যন্তই। এর পরে সবাইরে চা দিয়া মুরি খাইতে পাঠায়া দিবেন।
১৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:২৬
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: পোষ্ট সরেস হয়ে উঠছে। অনেকদিন পর একটা পোষ্টে এরকম বিষয়ভিত্তিক আলোচনা দেখলাম। পক্ষে বিপক্ষে মতামত জানাচ্ছে মানুষ। ভালো লাগছে।
এই আইনের সপক্ষে অনেকে বলছেন বাল্যবিবাহে মেয়েদের কোন ক্ষতি নেই। উদাহরণ হিসেবে বলছেন, হাটার কথা। বাহ কি চমৎকার আপনাদের যুক্তি। সেক্স/মেয়েদের গর্ভধারণ হাটা চলার মতো ডালভাতের ব্যাপার হয়ে গেল না? বলছেন আজকাল মেয়েরা অনেক কম বয়সে সব বুঝে যায়। হ্যা বুঝে। কিন্তু এই বোঝাকে কি বলে জানেন? ইঁচড়ে পাকা। ইঁচড়ে পাকা আর পরিনত হয়ে পাকার মধ্যে পার্থক্য যদি আপনি না বোঝেন তাহলে আপনাকে আমার বোঝানোর কিছু নেই। এখন একটা মেয়ের ইঁচড়ে সু্যোগ নিয়ে আপনি তাকে বিয়ে করে গর্ভবতী করে দিলেন। তাহলে তো আপনি সুযোগসন্ধানি। আপনার একতলা একটা ঘরের ছাদে জায়গা থাকা স্বত্তেও ইচ্চা করলেই আপনি দশ তলা করতে পারেন না। দশ তলা করার জন্য প্রযোজনীয় ফাউন্ডেশনের দরকার হয়।
আমার অবস্থান: মানব বন্ধন সফল হোক।
২০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫
আরিফ রুবেল বলেছেন:
বিবাহের বয়স মেয়েদের ক্ষেত্রে ২০ এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ২৫ করা হোক।
শারীরিকভাবে উপযুক্ত হলেই যদি বিয়ে দেয়া যায় তাহলে তো মেয়েদের ঋতুবতী আর ছেলেদের স্বপ্নদোষ শুরু হওয়ার সাথে সাথে তাদের বিয়ে দিয়ে দিতে হবে। ধর্মীয় কট্টরপন্থীদের তো এমনই মত। কিন্তু সন্তান উৎপাদনে যোগ্যতাই কি বিবাহ করার একমাত্র যোগ্যতা ? তার মানসিক বিকাশ, তার শিক্ষা, কর্মসংস্থান এগুলো কি গুরুত্বপূর্ণ না ?
বখাটেদের উৎপাত হলে তাদের নিয়ন্ত্রন করুন, নিরাপত্তাজনিত ঝুকি থাকলে নিরাপত্তা দিন, বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্কের ঝুকি থাকলে ধর্মীয় ও নৈতিক অনুশাসন চর্চার ব্যবস্থা করুন (যার চরিত্র বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের দিকে টানে তাকে যত বছর বয়সেই বিবাহ দেন সে ওইদিকে কান্নি খাবেই), শিক্ষিত নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করুন।
সমস্যা যেখানে সেখানে সমাধান করার চেষ্টা করেন।
২১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৫২
ইউনুস আহমেদ কোমল বলেছেন: মানববন্ধন সফল হোক।
আমার মনে হয় না যারা এই আইনের পক্ষে রায় দিচ্ছে কিংবা আইন করার সিদ্ধান্ত নিছে তারা ব্যাপক গবেষণা করেছে। তারা নিশ্চয়ই কোন একটি বিষয়েই উপরই নির্ভর করে এটি করতে যাচ্ছে।
কাহিনী হল , আমাদের সংসদ সদস্যদের মাথায় কি আছে কে জানে? একটা জোক্সে পড়েছিলাম, বাংলাদেশের কারো মাথায় ব্রেনের পরিবর্তে কোনভাবে গোবর ডুকিয়ে দিতে পারলেও তার এই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে!
২২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৮
সোহানী বলেছেন: এতো তর্ক বিতর্কে যাবো না.... শুধু এটুকুই বলবো মেয়েদের বিয়ের বয়স কমানো কোন যুক্তি্তেই সঠিক নয়।
মানব বন্ধনের প্রতি সমর্থন থাকলো।
২৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩০
জামিনদার বলেছেন: ব্যাপারটা এমন না যে ১৬ বছর বয়স হলেই বিয়ে দিতে বাধ্য করা হবে।বরং এই শিথিলতা গ্রাম্য বাবার গলার কণ্টক অপসারণে সহায়তা করবে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ফ্যামিলি তার অবস্থানগত দিক এবং নৈতিক দায়িত্ব থেকেই নির্ধারণ করবে সে তার মেয়েকে কথন বিয়ে দিবে। অনেক ফ্যামিলিতো ৩০ বছর বয়সেও মেয়েকে বিয়ে দেয় না, বাবুটা এখনা বড় হয়নি বলে। অথচ ৩০ বছর মানুষের গড় আয়ুর অর্ধেক। এলিট শ্রেনি সব সময় টাইম লাইনে থাকে বইলা আমরা যদি তাদের বিদ্যমান রুচিবোধের উপর ভিত্তিকরে আইন তৈরী করি, তাইলে আমরা শ্রেণী বিভাজন বিরোধী সংগ্রামের ভেতর দিয়েও শ্রেণী বিভাজক। সত্য কথা হইল প্রত্যেক এলিট শ্রেনিই কামনা করেন তাদের ঘরে থাকুক একজন ১৬ বছয় বয়স্কা সুণয়না কুমারী। প্রশ্ন হইল একটা ১৬ বছর বয়স্ক মেয়ে সেক্স, গর্ভধারণ এবং বাস্তব জীবনকে সাংসারিকভাবে উপলব্দি করার ক্ষমতা কতটা অর্জন করে। পত্রিকার নিয়মিত রিপোর্ট, ফ্যামেলি হেলথ কেয়ার সেন্টার এবং আমার চিন্তাশক্তি যদি আমার সাথে প্রতারণা না করে তাহলে আমি বলব একটা ১৬ বছর বয়স্ক মেয়ে উক্ত তিনটা বিষয়ে সমানভাবে মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা অর্জন করে। কাজেই মানুষের মানবিক চাহিদার বৈধপথ বন্ধ করে অবৈধপথকে উৎসাহিত করা কোন সভ্যতার কাজ হতে পারে না।
২৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫
এমএম মিন্টু বলেছেন: কি বেপার লেখক কোথায় মন্তব্যের কোন পতিউত্তর নাই কেন ।
তবে ভাই খুব গুরুত্ব পূর্ণ একটি বিষয় উপস্থাপন করেছেন সে জন্য আপনাকে ধন্যাবাদ
২৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বিবাহের বয়স এবং আইন উভয় টাই সেই আমল থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত সটীক পন্থা কিন্তু মানুষের অসচেতনতা এখনও সমাজের মধ্য একটি ভয়াবহ ব্যাধি ।
এজন্য সমর্থন থাকলো।
২৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: বিয়ের বয়স নিয়ে আসলে কোন তাত্বিক আইন করে লাভ নেই। এটা আসলে ২+২=৪, এমন কোন হিসাবের বিষয় নয়।
১০/১১ বছরেই একজন মেয়ে ঋতুবতী হয়। ১৫/১৬ ব্ছরের একটি মেয়ে শারীরিক বৃদ্ধি সঠিকভাবে হলে বিয়ের উপযুক্ত হয়েও যেতে পারে। অনেক মেয়ের ক্ষেত্রে সেই উপযুক্ততা দেরীতেও হতে পারে। কিন্তু এটা নিশ্চিত যে মেয়েটি যৌন মিলনের সক্ষমতা লাভ করে ওরকম বয়সে। সুতরাং, ১৬ বছরের একটি মেয়ের বিয়ে হওয়া কোন অপরাধ হিসেবে দেখছি না। আর বিয়ে হলেই বাচ্চা নিতে হবে এমন কোন কথা নেই।
আবার শহুরে শিক্ষিত এবং গ্রামের অল্প শিক্ষিত অভাবী সংসারগুলোতে কিন্তু পরিবারগুলো একভাবে সিদ্ধান্ত নেয় না। আপনি বিয়ের বয়স ১২ করে দিলেও শহরে দেখবেন বাবা-মা মেয়েদের ২০/২৫ এর আগে বিয়ে দিচ্ছে না। এটারও কিছু (কিছু নয়, দিনে দিনে বেশ ভাল মাত্রায়) কুফল আছে। ছেলে-মেয়ে অবৈধ যৌন মিলন করে বেড়াচ্ছে। (লিটনের ফ্ল্যাটের ধারণা বা পার্কে বসে যতদূর সম্ভব যৌনাচার করা)।
গ্রামে কিন্তু ওনাদের অত আইন পড়ার সময় নাই। ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত খুব কম বাবা-মা ই তাদের মেয়েকে বিয়ে না দিয়ে রাখে। তার জন্যও হয়ত অনেক যৌক্তিক কারণ আছে, সেগুলো সমাধান না করে শুধু আইন দেখিয়ে লাভ নেই।
বিয়ের অনেকগুলো কারণের মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হল, "চরিত্র হেফাজত করা"। তাই, বিয়ের উপযুক্ত হয়ে গেলে আর দেরী না করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে হাদীসে। এই “উপযুক্ততা” একটা আপেক্ষিক ব্যাপার এবং এটাকে কোন বাধা ধরা সংগায় ফেলা যাবে না। সময়মত বিয়ে না দেয়ার কারণে সমাজে ব্যাভিচার কি হারে বেড়েছে সেটা মনে হয় আমরা সবাই জানি এবং বুঝি।
তাই, মেয়েদের বিয়ের নূন্যতম বয়স ১৬ করা হলে সেটা কোন সমস্যা বলে মনে করছি না। আর এটাতো নূন্যতম বয়স, সর্বোচ্চ বয়সের তো কোন সীমা দেয় নি! সবচেয়ে বড় কথা, ছেলে মেয়ে যাতে বিয়ের বয়স হওয়ার সাথে সাথে বিয়ের মত একটা দায়িত্ব নিতে সক্ষম হয়ে ওঠে, সমাজটাকে সেভাবে গড়তে হবে।
ইরানে থাকি, এখানকার উদাহরণ দেই, তেহরানের মানুষ জন এর মানসিকতা পশ্চিমা ধাচের এবং ভোগ বিলাসটাই মূখ্য। এছাড়া জীবন যাত্রার ব্যয় বেশী (বাড়ী ভাড়া, স্কুলের খরচ), ফলাফল, ছেলে মেয়ে ৩০ এর পর বিয়ে করে, মেয়েরা ৪০ এর কাছাকাছি বয়সে গিয়ে বাচ্চা নেয়। অনেকেই বিয়ে করতে চায় না, বিয়ে করতেও অনেক খরচ করতে হয়! (আমার বাসার ম্যানেজার মহিলা, ৫০ এর উপর বয়স, বিয়ে করে নি। আমার বাড়ী ওয়ালার ২ ছেলে, একজনের বয়স ৪০, আরেক জন কয়েক বছরের ছোট, বিয়ে করে নি, করবেও না। আমাদের এক ম্যানেজার, ৮ বছর ধরে বিয়ে করেছে, বাচ্চা নেয় নি!) ভাবুনতো ২০ বছর পর এই সমাজের অবস্থা কি হবে?
২৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২
ঢাকাবাসী বলেছেন: কে যেন বলেছিলেন দুনিয়াতে সবচাইতে ক্ষমতাবান, মোগল সম্রাটদের চাইতে প্রতাপশালী, রাশ্যার জারদের চাইতে ক্ষমতাবান প্রধানমন্ত্রী হলেন.............. ।
২৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৪০
সমকালের গান বলেছেন: ১। বাংলাদেশে এখনো প্রায় ৭৫% মেয়ের ১৮ এর নীচে বিয়ে হয়। ১৫ বা ১৬ বছরের মেয়েদের বয়স বাড়িয়ে দেখিয়ে ১৮বলে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এ বিয়েগুলো বেশী হয়। ১৬ করার পর দেখা যাবে ১৩ বা ১৪ বছরের মেয়েদের ১৬ বলে বিয়ে দিয়ে দিবে।
২। বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার, শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার এখনো বিশ্বে অন্যতম সর্বোচ্চ। কমিউনিটি হাসপাতাল সেবা দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারেনা। শিশুদের অপুষ্টির হার এখনো প্রায় বিশ্ব সেরা। অন্য কলংক কমানোর জন্য কেন আপনি এসব কলংক আরো বাড়ানোর ঝুঁকি নিবেন?
৩। যে তরুন তরুনীরা বিয়ে বহির্ভুত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে, তারা কি এ অল্প বয়সের বিয়ের পরও এমন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়বে না বলে আপনি মনে করেন? তাদের অপরিনত বয়সে বিয়ে দিয়ে বরং পরকিয়া, পারিবারিক কলহ, ডিভোর্স ও বহু বিবাহের হার বাড়ানোর কোন মানে আছে বলে মনে করিনা।
২৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৫৭
করিম মিয়া বলেছেন: বাল্যবিবাহের চেয়ে সমাজে যে বিষয়গুলো সবচাইতে বেশি ভয়ংকর... যেমন- ধূমপান, অশ্লীল সাইট ও কন্টেন্ট, মদ, নাইট ক্লাব এসব ব্যপারে সরকার বাল্যবিবাহের মত আইন করে দেখাক। কখনো পারবে না।
কারন সরকারকে বাল্যবিবাহের বিষয়ে বিদেশী সংস্থাগুলো যে রকম চাপ দেয় লিভটুগেদার আর নাইট ক্লাব আর ডিজে বন্ধ করার ব্যপারে উল্টো উৎসাহিত করে। তাহলে দেশে বৈধ সেক্স থাকবে না থাকবে লিভটুগেদার তথা অবৈধ সেক্স। আর তারা(?) তো এটাই চায়..........
৩০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:১৩
কুকরা বলেছেন: বিবাহের বয়স কমাইলে শাহবাগীদের গাত্রদাহ হইবে - ইহাই কি স্বাভাবিক নহে?
৩১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২৭
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: আমি বয়স কমানোর বিপক্ষে। কারণ বয়স কমালে মেয়েদের আরো অল্প বয়সে বিয়ে হবে। আমাদের দেশে সাধারণত মেয়েরা ইচ্ছেকৃতভাবেই হউক আর অনিচ্ছাকৃত ভাবেই হউক বিয়ের এক থেকে দেড় বছরের মধ্যেই সন্তানের মা হয়ে যায়। বিয়ের বয়স কমালে অপুষ্টি জনিত রোগে শিশুরা আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। উন্নত দেশে প্রসূতি মায়েদের অনেক যত্ন নেয়া হয়। আমাদের দেশে সেটা ভাবাই যায়না।
যারা উন্নত দেশের রেফারেন্স টানছেন তারা অন্ধ ভাবেই এই সিদ্ধান্তের সমর্থন দিচ্ছেন। একবার ভেবে দেখা উচিত ছিল কেন সে দেশগুলোতে এমন আইন আছে। তাদের এমন আইনের পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ, তাদের ক্ষয়িষ্ণু জনসংখ্যা। আমাদের জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সেইসব দেশে মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে হলে মা হবার সং্খ্যা বাড়ে। আমাদের দেশে তা বাড়ানোর প্রশ্নই আসেনা।
৩২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৪৮
স্বপ্নসমুদ্র বলেছেন: মাইনাস। আপনার বিয়ে হয়না দেখে কি সবার বিয়েতে বাধা দিবেন?? আর অদ্ভুত লজিক। বয়স কমালে আরো অল্প বয়সে বিয়ে হবে। মেনেই নিচ্ছেন যে ২ নাম্বারি করা যায়। তাইলে বয়স বাড়ায়া ২০ করা হউক। তখন তো মোটাতাজা করনের ঔষধ খাওয়ায়া বিয়ে করবে। খুব ভালো হবে না?? বয়সসীমা কমানো মানেই ভরণপোষণের দায়িত্ব না নিয়েই বিয়ে করা না। আর যাদেরকে বাল্য বলেন তারা দুনিয়ার সব ই বুঝে। আমাদেরকে হাব্ লঙ্গের বাজারে নিয়া ১০ বার বেচতে পারবে।
৩৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:১১
ম েনা েন শ দাস বলেছেন: আগের বিধান চালু রাখার পক্ষে আমি ।
৩৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৩৬
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: মানব বন্ধনে সমর্থন রইল ।
৩৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:০২
জামান শেখ বলেছেন: আমার কাছে মনে হয় আইনটি ঠিক আছে। বয়স কমপক্ষে ১৬ পারফেক্ট। বলা হচ্ছে কমপক্ষে ১৬ তার মানে শুরু ১৬ থেকে। শতকরা ১০০ জনের মধ্যে ১০ জন হয়ত এই বয়সে বিয়ে করবে।
৩৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:১৫
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: @ নিরব বাংলাদেশী, জামিনদার এবং মুহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সংগে আমি একমত।
৩৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯
বোকা_ছেলে বলেছেন: রাষ্ট্রের আইনের বিরোধিতা করা মানে রাষ্টের বিরোধিতা করা .............
মানে পুলিশের গুলি ........... ডরাইছি ............ আমি নাইকা............
৩৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৭
digitalpagla বলেছেন: আমি বুঝিনা তারা কি চাইল্ডপর্ন আইনগত ভাবে বৈধ করতে চাচ্ছে?
৩৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৪১
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: মানব বন্ধনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন রইল আমার --- আর এমন একটি বিষয়ের উপর পোস্ট দিয়েছেন বিধায় আপনাকে অনেক অনেক শ্রদ্ধা জানাচ্ছি -------
এই ১৬ বছরে কোন মেয়েই সংসারের বোঝা বইবার উপযুক্ত হয় না, সংসারের জটিলতা বোঝার আগেই সে মানসিক চাপের শিকার হয়, মা হওয়ার জন্য কিছুতেই সে উপযুক্ত হয় না ---আর মৃত্যুর ঝুকিতো থাকেই ---। সবচেয়ে বড় কথা তার মানসিক ও শারীরিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ্য হয় ---
৪০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১০
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: পোষ্ট দাতা ও কিছু মন্তব্যকারীর আলোচনায় মনে হচ্ছে বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ১৬ করলে ১৬ বছর বয়সেই মেয়েদের জোর করে বিয়ে দিয়ে দিবে৷ আর তাই ১৬ বছরে মেয়েটার বিয়ে হওয়া মানে মেয়েটা ধর্ষিত হওয়া! কিসব আজব যুক্তি!!
বরং অনেকে আর্থিক শারীরিক ও মানসিক পরিপক্কতা অর্জন করার পরও বয়সের বাধ্যবাধকতার কারণে বিয়ে করতে পারছে না৷ ফলে বিবাহ বহির্ভূত অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে৷
বিয়ের বয়সের বাধ্যবাধকতা না রেখে বরং শারীরিক ও মানসিক পরিপক্কতাকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং কাউকে জোর করে বিয়ে না করিয়ে বিয়েটাকে তার ইচ্ছার উপর ছেড়ে দিলে আমার মনে হয় না সেটাকে ধর্ষণ বলে৷
কিসব আজব কথাবার্তা! একটা ১২ বছরের মেয়ে যখন গোপনে তার প্রেমিকের সাথে মিলিত হয়ে অবৈধভাবে অনৈতিক কার্যকলাপে জড়ালে তাকে ধর্ষন বলা হচ্ছে না৷ অথচ বিয়ে করে বৈধভাবে শারীরিক সম্পর্ককে এদেশের তথাকথিত সচেতনরা ধর্ষণ বলে চালিয়ে দিচ্ছে! মনে রাখতে হবে বয়স নয়, ধর্ষন বলতে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করাকেই বুঝায়! ১৮ বছরের উপরের মেয়েদেরও জোর করে বিয়ে দিলে সেটা সেটা ধর্ষণ বলে গণ্য হয়!
কাউকে যাতে জোর করে বিয়ে না দেয় সেই ব্যাপারে জনসচেতনতা বৃদ্ধির মানব বন্ধন করুন৷ এক্ষেত্রে বয়স শুধু ১৬ নয়, ৪৬ বছরেও যেন জোর করে বিয়ের ঘটনা না ঘটে৷
৪১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৪
লীনা জািম্বল বলেছেন: বাল্য বিবাহের কুফল জানা থাকলে কেউ সচেতন ভাবে বাল্যবিবাহ করাবেনা নিজের সন্তানদের ---বাল্যবিবাহ দেয়া মানে গলা টিপে হত্যা করার সামিল ।
৪২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮
অসহায় জনগন বলেছেন: চিপায় গিয়া টিপার চেয়ে চরিত্র বাচুক, বিয়ে করে বাসায় নে বাবা.. শুনতে খারাপ শুনালেও ইহাই বাস্তব চিত্র। সত্য বরবরই তিতা।
ধর্মকর্ম, মূল্যবোধের চর্চার কথা বললেইতো লোকজন লেজ লাগানো শুরু করে দিবে।
উপযুক্ত সময় আসলেই বিয়ে দেয়াটা পিতামাতার দ্বায়িত্ব, উপযক্ততা অনেকগুলো ফ্যাক্টর রয়েছে, অনেকেই শুধু শারিরিক বালেক হওয়াটাই বোঝে। একটি ছেলের উপযুক্ততা নির্ভর করে শারীরিক সক্ষমতা, অর্থনৈতিক সক্ষমতা, মানষিক সক্ষমতার উপর। স্ত্রীর ভরনপোষনের সক্ষমতা, সংসারিক সংগ্রামের মানষিক পরিপক্কতা। যার কারনে স্ত্রী স্পর্শের পূর্বেই সম্পূর্ন দেনমোহর স্ত্রীকে হস্তান্তরের বিধান রয়েছে ধর্মে। যেটা সক্ষমতার একটি পরীক্ষাসরুপ। সেসব চর্চার বালাই নেই। আমরা দেনমোহর পালন করি বিসচ্ছেদের জরিমানা হিসেবে, সম্পর্ক শুরুর আগে বিচ্ছেদের চিন্তা, ব্যবস্থা।
তেমনি একটি মেয়ের শারীরিক ক্ষমতার পাশাপাশি মানষিক পরিপক্কতার ব্যাপার থাকে। যা উচ্চবিত্তের মেয়ের ৩০এ ও দেখা মেলা ভার আবার নিন্ম-মধ্যবিত্তের কন্যার তুলনামূলক কম বয়সেই আসে। এই পরিপক্কতা না থাকলে যে হালায় তারে বিয়ে করবে তার খবর আছে..
প্রাকৃতিকভাবে জেগে ওঠা শারীরিক চাহিদা মেটানোর (লিগ্যাল্যি, মাঠে ঘাটে চিপায়না) অধিকার যেমন থাকা উচিত, তেমনি স্বাস্থগত অধিকার আরো থাকা উচিত, যেমন এমন আ্বইন যে বিয়ে যখনই কর সন্তান নিতে হলে সরকার অনুমোদিত কেন্দ্র থেকে অনুমতি নিতে হবে যেখানে স্বামী/ স্ত্রী সন্তান লালনে শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম কিনা তা যাচাই করে অনুমতি দিবে। এসব যদিও অলিক কল্পনা মাত্র, কারন আমাদের দেশেতো আর সরকারী এবং দ্বায়িত্বশীল চিকিৎসার/ জায়গা নেই যেখানে দায়িত্বের সাথে এসব সার্ভিস দিবে আর প্রথম বিশ্বের মত সোস্যাল কার্ড নামক কিছুরও প্রচলন নেই। এখানে আছে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে সমাজ ওলট পালট করার চেষ্টামাত্র। আমরা বুঝিনা যে নাস্তিকতাও একটা ধর্ম, কিন্তু "ধর্ম না ধরি না ছাড়ি" একটা হিরোশিমার পারমানবিক বোমার চেয়ে বিপযর্য়কারী। যা উন্নতনামক বিশ্বের রাস্তার নগ্ন চিত্রে প্রতিয়মান। প্রত্যেকটি ধর্মেই মানবিকতা, মূল্যবোধের চর্চা রয়েছে। আইন নয় এই দুটি চর্চা সবথেকে বেশি জরুরী।
৪৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:০২
রেন বলেছেন: বেশী ফাল না মাইরা http://chartsbin.com/view/sr
এইখানে দেখেন, অনেক উন্নত দেশেও মেয়েদের বিয়ের নূন্যতম বয়স ১৬।
৪৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১৮
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: আমরা আইন নিয়ে কেমন অবলীলায় বাচ্চাদের ব্লক নিয়ে খেলের মত একবার
গড়ি আবার ভাঙ্গি ।আমরা শিখেছি আমরা দেখেছি অল্প বয়সের বিয়েতে হাজার সমস্যা । তাই এখন আমরা মেয়েদেরকে শিক্ষিত করে বা একটু ভাল
খারাপ বোঝার বয়স অতিক্রম করে বিয়ে দেয়ার কথা ভাবি ।তারপর ও কত বাবা মা পনের কে আঠার বলে মেয়েকে বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে দিতে আগ্রহী হয়ে উঠিছে ।এমুহূর্তে ষোল বছরে বিয়ের কথাটা আগুনে ঘি
ঢালার মত ব্যাপার হল । কেন আমরা আজ তেতাল্লিশ বছর শুধু ব্লক দিয়ে
আইন গড়ছি আর ভাঙছি ?
৪৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:২৬
জনৈক রুয়েটিয়ানের ব্লগ বলেছেন: শুধু বাল্যবিবাহ না, সকল প্রকারের বিবাহ রোধ করতে হইলে আছি।
:-&
৪৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:৩৯
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: মেডিকেলগত বিবেচনায়, বাংলাদেশী মেয়েরা গড়ে ১৬ বছর বয়সে সন্তানধারণের পূর্ণ পরিপক্ক থাকে। তাই বৈজ্ঞানিকগত ভাবে প্রতিবাদের কোন অবকাস নাই।
বাস্তবতা হল, বিয়ে বা সন্তান ধারণ এর নূন্যতম ও উর্ধ্বতম সীমা প্রকৃতি নিজেই নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। মেয়েদের মাসিক শুরু বা বন্ধ হওয়াই নির্দেশ করে কখন কে সন্তান ধারণের যোগ্য কখন নয়, এগুলো আইন মেনে ১৮-২১ সংখ্যায় নির্ভর করেনা।
বৈজ্ঞানিক বা সামাজিক কোনদিক বিবেচনায় দেরিতে বিয়ের পক্ষে কোন যুক্তি নেই। চিকিৎসা জার্নালের পরিসংখ্যানে তরুণ বাবা মায়ের সন্তান সবসময় উন্নত-রোগমুক্ত ও চৌকস হয় অন্যদিকে ত্রিশউধ্ব নারীরা ঝুকিপূর্ণ হিসাবে বেশী বিবেচিত।
সামাজিকভাবে, প্রেম- বিবাহবহির্ভূত যৌনতা বা পতিতাবৃত্তি থেকে বিরত রাখায় বৈধ বিবাহে উৎসাহিত করা হয় নানা দেশে। বর্তমানে সমাজে চিহ্ন ভিন্ন, প্রেম করা যাবে বিয়ে নয়!
বৈজ্ঞানিক বা সামাজিক কোনদিক বিবেচনায় ১৬ তে বিয়ে দেয়া অবৈধ এরকম ভিত্তি নেই, যেসব ভিত্তি আছে তা হল চুলকানীমূলক ও এন্টিইসলামী ঘরাণার। ব্লগে কি আবারও এন্টি ইসলামী ইভেন্ট গুলো মাথাচারা দেয়া শুরু করছে? কারো যদি সামাজিক ইভেন্ট করার ইচ্ছা থাকে তো যৌতুকের বিরুদ্ধে করেন। চুলকানীমূলক ইভেন্ট থেকে রিবত থাকুন।
৪৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:০৩
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: বিয়ের বয়স বাড়াতে মানববন্ধন! .. হাসতে হাসতে শেষ..
যারা মানববন্ধনে যাবেন এনারা কি বিবাহিত?
বিয়ের বয়স এর পরিবর্তে বিসিএস এর বয়স বাড়াতে মানববন্ধন করলেও বুঝতাম মাছি মারা ছাড়াও কাজ করার লোকজন ব্লগে আছে।
৪৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩২
তুষার কাব্য বলেছেন: মানব বন্ধন সফল হোক।
৪৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:১৩
হালি্ বলেছেন: জনৈক রুয়েটিয়ানের ব্লগ বলেছেন: শুধু বাল্যবিবাহ না, সকল প্রকারের বিবাহ রোধ করতে হইলে আছি।
৫০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:২৩
প্রামানিক বলেছেন: ভাই যারা মেয়ের বাবা নন তারা বুঝবেন না মেয়েদের আঠারো বছর পর্যন্ত দেখে শুনে রাখাটা যে কত রিস্কি। তাছাড়া বিদেশের সাথে বাংলাদেশের তুলনা করলে হবে না। কারণ তারা বেশি বয়সে বিয়ে করে ঠিকই কিন্তু তারা যৌনতা শুরু করে বারো বছর থেকেই কারণ তাদের দেশ ফ্রি সেক্সের দেশ। কাজেই যেহেতু আমাদের দেশ বিদেশের মত নয় সামাজিক এবং ধর্মীয় দায়বদ্ধতা আছে সেই কারণে আমাদের দেশের মেয়েদের বিয়ের বয়স কমিয়ে বৈধভাবে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ দেয়া দরকার।
১৬ বছরে মেয়েদের বিয়ে হলেই যে বাচ্চা নিতে হবে এর কোন মানে নেই। বাচ্চা দেরি করে নেয়ার অনেক পদ্ধতী আছে। কিন্তু মেয়েদেরকে অনেক বাবাই ইভটিজার বা বিভিন্ন ধরনের বিপদে পড়ে কমবয়সে বিয়ে দিয়ে থাকেন । মেয়েদের বিয়ের বয়স কমলে অনেক বাবাই স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলবেন।
৫১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০৪
৫২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:১৭
ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ++++++ গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন । আট নম্বার লাইক
৫৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৩৩
সমকালের গান বলেছেন: যদিও সরকার গতরাতে (শুক্রবার) বিয়ের বয়স সীমা অপরিবর্তিত রাখার এক প্রকার ঘোষনাই দিয়েছে তবুও আমরা আমাদের পুর্বঘোষিত মানব বন্ধনটি সম্পন্ন করলাম।
সরকারকে একটি আপাত ধন্যবাদ দেয়া দরকার ছিল পুর্ব পরিকল্পনা থেকে সরে আসার জন্য। ইদানীং সরকারকে ধন্যবাদ দেবার সুযোগতো তেমন পাওয়া যাচ্ছে না্
আরেকটা গুরুত্বপুর্ন বিষয় হলো: নতুন আইনের পুরো প্রক্রিয়াটি এখনো সম্পুর্ন হয়নি। সরকারকে কিছুটা চাপেও রাখা দরকার যেন আবার কোন কারনে পল্টি না দেয়। আমাদের তাই সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে। প্রয়োজনে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিয়েই রাখতে হবে।
সবাইকে ধন্যবাদ আজকের মানব বন্ধন সফল করে তোলার জন্য।
ছবির লিংক এখানে
৫৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:০৬
মামুন রশিদ বলেছেন: সত্যি লজ্জিত ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক যে কোন ছেলে বা মেয়ে বিয়ে করতে পারে। এটা বাধা দেয়ার অধিকার কারো নেই। আর প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার কোন বয়স নির্দিষ্ট করা নেই ১৬তে হতে পারে আবার ১৮ও হতে পারে।
কিন্ত বিষয় হচ্ছে একটি ছেলে কি ২১ বছর বয়সে সত্যিই অন্য আরেক জনের ভরণ পোষনের দায়িত্ব নিতে পারে ? না পারে না কারণ এ বয়সে তার লেখা পড়াই শেষ করতে পারে না।
অন্যদিকে একটি মেয়ে কি সাত্যিই ১৮ বা ২১ বছরে মা হওয়ার জন্য মানষিক ভাবে প্রস্তুত থাকে বা চিকিৎসা বিজ্ঞান কি এটা সমর্থন করে? মনে হয় না।
তাই সরকার যাই করুক না কেন আমারা যদি সর্তক থাকি তবে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি তবে স্বীকার করছি সরকারী একটি আইন/নিয়ম থাকা ভাল তবে এটা নিয়ে এতো সিরিয়াস হওয়ার কিছু নেই কারন যখন নূন্যতম বয়সসীমা ১৮ ছিল তখনও ব্াল্যি বিবহ কেই ঠেকাতে পারে নি প্রসঙ্গত যৌতুকও ঠেকাতে পারে নি।