নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার জুতা নাই। বিষয়টা নিয়ে আমি পেরেশান। কাউকে মারার জন্য না, নিজের পাকে অভিজাত-পূর্ণভাবে মুড়িয়ে রাখার জন্য। বিশেষ করে যখন সুন্দর পোশাক পরা মানুষের কাছে যাই তখন। জুতা যে নাই একেবারে তা না, কিন্তু সে জুতা জুতা না। ছেড়া জুতা এবং আরেকটা কেডস। কেডস পরে তো আলোতে যাওয়া যায় না - মিডলইস্ট ফেরত মনে হয়। আমি মিডল ইস্টে জীবনে যেতে চাই নি। নিজের মস্তকের প্রতি প্রচণ্ড ভালোবাসা - কেউ সেটা কেটে ফেলুক চাইতে পারি না। বা হতে দিতে পারি না।
আমার জুতা কেনা প্রয়োজন। জুতা কিনতে হবে এটা একটা অবধারিত বিষয়। জুতা কেনার টাকা নিয়ে পকেটে ঘুরিও। কিন্তু কিনি না। কিনলেই তো টাকাটা শেষ হয়ে যাবে। তারপরে কেনার পরে আরেক হ্যাপা - জুতা তো চিরজীবন থাকবে না। এমন ছেড়া তো নতুন জুতাও একদিন হবে। বা ময়লা হয়ে যাবে। বা নষ্ট হয়ে যাবে। অবশ্য চুরি যাওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কম থাকবে। মসজিদে গেলে হয়তো অসহায় চোরেরা একটা সুযোগ পেতো জুতাটা মেরে দেবার। কিন্তু মসজিদেও তো যাই না।
আমার জুতা যা পছন্দ তার দাম বেশী। সেই বেশী দাম পকেটে নিয়েও আমি ঘুরি। যখন ছেড়া জুতা আর কেডস আর পরা যাবে না তখন কিনবো বলে মাঝেমাঝে সিদ্ধান্ত নেই। আবার যখন কেউ আমার জুতার দিকে তাকিয়ে - তাকানোটা পা থেকে তুলতে তুলতে মাথা পর্যন্ত তুলে ফেলে এবং তখন আমার দৃষ্টি তার চোখের দিকে অগ্নি বর্ষণ করতে থাকছে দেখে তখন আমার আসলে লজ্জাই লাগে। লজ্জায় আমি কথাও ভুলে যাই। ভয়েস চেঞ্জ হয়। কথা হয় ছোটোছোটো - মাথা ঘোরে বেশী। ডানবাম। লজ্জাবনত।
জুতা আমার কেনা খুবই জরুরী। কিন্তু জুতার দাম বেশী এটা হচ্ছে বড় কথা। কেউ যদি আমাকে এক জোড়া জুতা উপহার দেয় আমি টাকাটা পকেটে রেখে দিতে পারি। দামি জুতা আমাকে গিফট করার মত কেউ নাই। এ জীবনে কেউ আমাকে জুতাও গিফট করে নাই। জুতা গিফট করার বিষয়টা সংস্কৃতিতেও একটু কম। কিন্তু জুতা অতি প্রয়োজনীয় একটা পা-পোশাক। এর সাথে মিলেমিশে থাকে ব্যক্তিত্ব। জুতা স্টাইলও। নতুন জুতার স্টাইল হলো আধুনিক মানুষের।
আমার জুতা কিনে ফেলা উচিত কিনা সে বিষয় নিয়ে একটা টকশো হতে পারে। সম্ভবত মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের সকালের অনুষ্ঠানে - যে উঁচু উঁচু সোফায় বসে দুইজন উপস্থাপক মিলে একটা অনুষ্ঠান করে তারা আমার জুতা কেনা উচিত কিনা সে বিষয়ে আলাপ করতে পারে। হয়তো আইডিয়ার দিক থেকে এটা হবে গ্রামীণ ফোনের কলরেটের অফারের চেয়েও জনপ্রিয়।
কিন্তু শেষমেশ - এসব ফাজলামো বাদ, আমার জুতা কি কেনা উচিত? কে দেবে গুরুময় পরামর্শ?
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭
কৌশিক বলেছেন: সমস্যা তাতে কি সমাধান হবে? হাঁটু তখন পা হবে...সেখানে জুতা পরাতে হবে!
২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২০
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: জুতা আপনাকে কিনতেই হবে? কিন্তু কেনা সাথে সাথে যে মাথায় রাখতে হবে তা হলো চুরি ঠেকানোর বিষয়টি। তবে এটা যতি কষ্ট কর হয় তাহলে বিষয়টি নিয়ে একটু আলোচনা করতেই হবে। তবে একটি বিষয় তা হলো জুতা তো কিনবেন কোন কালার কিনবেন। কারন ক্ষেত্র বিশেষ ভিন্ন ভিন্ন পার্টির জন্য ভিন্ন ভিন্ন জুতা প্রয়োজন হয়।
আবার ভাল সাইনার বা জুতার রং মিস্ত্রি যাদি হাতের কাছে না থাকে তা হলে জুতা কিনে লাভ কি ? আবর আপনি দাম দিয়ে জুতি কিনলেন কিন্তু আপনার বন্ধু মহল এর গুরুত্ব বুঝল না তা হলে তো আরেক বিপত্তি।
এত্তো চিন্তা করে তো আর পারবেন না তাই কাছরে ৮-১০ জন বন্ধু নিয়ে ১জোড়া জুতা কিনেই ফেলুন যাতে পরবর্তী যে কোন ঝামেলা বন্ধুরাই মোকাবেলা করবে।
৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪
সরদার হারুন বলেছেন: ঠক শোতে যেসব সুশীলদের ডাকবেন তারা কত করে পাবেন ?
আমার কাছে অনেক ভ্যারাইটি আছে যেমন-
সুশীল= সচ্চরিত্র । অনেক দাম দিতে হবে ।+
সু শিল = ভাল শানপাথর । কাপড় কাচতে পারবেন ।
আর একটা সুশলি আছে =তা যদি চান তাহলে কোন সেলুনে যেতে হবে ।
৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩
সুমন কর বলেছেন: বেশ মজা করে জুতা নিয়ে লিখেছেন। থাক, এতো চিন্তা করার দরকার নেই। কিনেই ফেলুন একজোড়া নতুন জুতা।
৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২
ঢাকাবাসী বলেছেন: লেখাটি ভাল লাগল্ কেডস পড়ে আলোতে যাওয়া যাবেনা! ইউরোপ আমেরিকান তরুনরা হরদম হামেশা পড়ছে! ধন্যবাদ।
৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:১২
আমিনুর রহমান বলেছেন:
এপেক্সের জুতার যে দাম !
৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫০
কলমের কালি শেষ বলেছেন: হুম । শিক্ষনীয় বিষয় । জুতা কিনলেও বোগলে নিয়ে হাঁইটেন নষ্ট যাতে না হয় ।
৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
মজা পেলাম....... একদম জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
আমি কেডস পড়ে অফিসেও যাই। আপনি যেটা মেনে নিয়েছেন, সেটা অন্যে না মানার কেডা? অতএব, জুতা কেনার কোন প্রয়োজন নেই। টাকা পকেটেই থাকুক।
৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:০১
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: টক শো আছে বলেই এদেশের টিভি চ্যানেল গুলো টিকে আছে। নইলে আমরা ছেলেরাও হিন্দি সিরিয়াল দেখে দাত কেলাতুম। আমি সেইজন্য টকশো এর পক্ষে।
১০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:২১
সাঈদ০০৭ বলেছেন: এমন হাহাকার হৃদয় ছুয়ে গেল। জুতার বেদন যাবে নাকো সহজে মুছায়ে! হৃদয়ের বেদনা যাক আগে মুছে। মানে আপনার জুতা সম্পর্কে টকশোর আগে আমার বেদনা কিভাবে নিষ্পন্ন করা যায় তা নিয়ে কথা শেষ করা হোক।
১১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৯
ঝড়ো হাওয়া বলেছেন: খুবই জরুরী গুরুত্বপূর্ন Important পোষ্ট। যেটা পড়ে কিছু না লিখলে মনের ভিতর কচকচ করতে থাকবে। টকশোতে সরাসির দর্শকদের ফোনে অংশ গ্রহনের সুযোগ থাকা উচিৎ, পাশাপাশি যেকোন এফ.এম রেডুয়া তেও লাইভ শোনানো দরকার। যাতে ভুক্তভোগীরা বিষয়টা নিয়ে মায়াকান্না করতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৪
এমএম মিন্টু বলেছেন: তাহোলে আর কি করার পা কেটে গলায় বেধে নিন ।