নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বুঝতে পারছি না, কোনভাবেই বুঝতে পারছি না যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা হল উদ্ধার করার জন্য কেনো ছাত্রদের রাস্তায় নামার প্রয়োজন পড়ে? কেনই বা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বেদখল হয়, কিভাবে হয়েছিলো? কারা করেছিলো? কার চোখের সামনে করেছিলো?
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বেদখল হওয়া ছাত্রবাসগুলো খবর কি প্রশাসনের কাছে নাই? ছিলো না? এটা কি শিক্ষামন্ত্রী সহ অন্যরা জানতেন না? স্থানীয় নেতারা জানতেন না? গণ্যমান্য বিশিষ্টরা জানতেন না? সবচেয়ে বিষ্ময়কর বিষয় হলো তারা সবাই জানতেন। কিন্তু হাতপা গুটিয়ে বসে ছিলেন এতকাল। আজকে শিক্ষামন্ত্রীর আহবান শুনেই বোঝা যায় আসল চিত্র। তিনি স্বয়ং ‘বেদখল’ হলগুলো ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যেসব অবকাঠামের অধিকাংশই বর্তমানে সংসদ সদস্য, পুলিশ, স্থানীয় প্রভাবশালী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের দখলে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টি ফোর সূত্রে জানা যায়,
বিশ্ববিদ্যালয়ে তিব্বত হলসহ অবৈধ দখলে থাকা ছাত্রবাসগুলো উদ্ধারের দাবিতে চলতি মাসের শুরু থেকে নতুন করে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, ঢাকা-৭ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সাংসদ হাজি সেলিম ২০০০ সাল থেকে তিব্বত হল দখল করে রেখেছেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পাটুয়াটুলী ওয়াইজঘাট এলাকার জিএল পার্থ লেইনে ৮ দশমিক ৮৮৯ কাঠা জামিতে তিব্বত হল সাংসদ হাজী সেলিম ২০০০ সাল থেকে দখল করে আছেন। হলের মূলভবনের বেশিরভাগ অংশ ভেঙে তিনি স্ত্রীর নামে ‘গুলশানআরা সিটি মার্কেট’ নির্মাণ করেছেন।
আরমানিটোলার এসি রায় রোডে আবদুর রহমান হলটি এখন পুলিশ সদস্যদের আবাস হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আরমানিটোলা মাহুতটুলির ১, শরৎচন্দ্র চক্রবর্তী রোডের ৪০ কাঠা জমিতে শহীদ আনোয়ার শফিক হলটি স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে।
যদুনাথ বসাক লেন, টিপু সুলতান রোডের সাইদুর রহমান হল ও রউফমজুমদার দুটির বর্তমানে কোনো অস্তিত্বই নেই। সাইদুর রহমান হলের জমিতে এখন হার্ডওয়ারের দোকান রয়েছে।
পাটুয়াটুলীর ১৬ ও ১৭ নম্বর রমাকান্ত নন্দী লেনের শহীদ আজমল হোসেন হল দখল করে একসময় পুলিশ সদস্যদের কিছু পরিবার থাকত। এর কিছু অংশে গড়ে উঠেছিল বিভিন্ন সমিতি। ১৯৯৬ সালে এর একাংশ দখল করেন স্থানীয় মোশারফ হোসেন খান।
বংশালের ২৬, মালিটোলায় বজলুর রহমান হলের ভবনে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে শহীদ জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের ছাত্ররা হলটি ছাড়তে বাধ্য হন।
গোপীমোহন বসাক লেনের নজরুল ইসলাম হলের ২০ কাঠা জমিতে গড়ে ওঠেছে জামেয়া শরীয়াবাগ জান্নাত মাদ্রাসা ও এতিমখানা। সাবেক কমিশনার আওলাদ হোসেন দিলীপ এর তত্ত্বাবধান করেন। হলটির একাংশ দখল করে ভবন নির্মাণ করেছেন বিটিভির সাবেক ক্যামেরাম্যান গোলামুন্নবী।
তাঁতীবাজারের ঝুলনবাড়ী লেইনে শহীদ শাহাবুদ্দিন হল দুই যুগেরও বেশি সময় পুলিশের দখলে ছিল। ২০০৯ সালের জুনে আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল হক এর দখল নেন।
পাটুয়াটুলীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ছয়তলা আবাসস্থলের জায়গায় তৈরি হয়েছে ক্রাউন মার্কেট। জনৈক ওবায়দুল্লাহ এর মালিকানার দাবিদার। একসময় ছাত্রহল হিসেবেও ব্যবহৃত হতো ভবনটি।'
এত প্রভাবশালী ব্যক্তি ও সংস্থাসমূহের দখলে থাকায় ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন ছাড়া কোন উপায় নেই হয়তো। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রোববার পুরান ঢাকার ইসলামপুর এলাকায় ওই হলের সামনে বিক্ষোভ শুরু করলে তাদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। পুলিশের রাবার বুলেট ও টিয়ার শেলে এক শিক্ষকসহ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
Jagannath University Students Network নামক ফেসবুকের পেজে আহত শিক্ষকের ছবিসহ নিচের লেখাটি প্রকাশ করেছে:
'আমি ড. শামসোজ্জুহা কে দেখনি। তিনি পাকিস্তানি পেটোয়া পুলিশ বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন,"কোন ছাত্রের বুকে গুলি লাগার আগে সে গুলি যেন আমার বুক ভেদ করে যায়।" তিনি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন। আমি প্রায়ই ভাবতাম এমন শিক্ষক এই দেশে আর নেই ।
কিন্তু আমি আজ ড. শামসোজ্জুহা'র প্রতিমূর্তি দেখছি। আমি ইংরেজি ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান স্যার এর কথা বলছি। তিনি আন্দোলনরত ছাত্রদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে নেমে আসার পর পুলিশের ছোড়া "ছুড়রা" গুলিতে তার পিঠ রিতিমত ঝাঁজরা হয়ে যায়। প্রায় ৩০ টির মত স্প্লিনটার বিদ্ধ হয় তাঁর মাথায়, পিঠে।কয়েক মিনিটেই রক্তে রঞ্জিত হয়ে যায় উনার সারা শরীর। তিনি স্পিল্টারের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন। আশেপাশের ছাত্ররা উনাকে নিয়ে হাঁসপাতালে নিয়ে যেতে ছোটাছুটি করতে থাকে । তিনি তখন অজ্ঞান প্রায়। ভাল করে কথা আসছিলনা মুখ দিয়ে। তারপরও তিনি বলতে থাকেন, "আমাকে নিয়ে কেউ ব্যস্ত হয়না,তোমরা আমাকে ফেলে সামনে এগিয়ে যাও। আমার কথা ভেবেও না, তোমরা কোনভাবেই পিছু হটনা।আমাকে নিয়ে ছুটাছুটি করলে তোমাদের লক্ষ্য পূরণ হবেনা, আমাকে ফেলে তোমরা স্যামনে এগিয়ে যাও"
আমি অবাক হয়ে অবাক হয়ে ভাবছিলাম, অনেক শিক্ষক যখন ডিপার্টমেন্টের গেটে তালা লাগিয়ে ভিতরে নিরাপদ আশ্রয়ে বসে ছিলেন, তখন তিনিও তো পারতেন তাদের মত নিরাপদে বসে থাকতে। ছাত্রদের হলের ব্যবস্থা হলে উনার তো কন লাভ হবেনা। কি দরকার ছিল ছাত্রদের হলের দাবি আদায়ের জন্য রক্ত দেয়ার ??? কিন্তু তিনি ঠিকই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাত্রদের কাঁধে কাধ মিলয়ে মিছিলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, পুলিশের "ছুড়রা" গুলিতে ঝাঁঝরা হয়েছে উনার দেহ।
স্যালুট স্যার আপনাকে। আপনার মত আরও কয়েকজন শিক্ষক যদি আমাদের থাকতো, তাহলে আমাদের আবাসন সহ সকল সমস্যা আরও অনেক আগেই দূর হত।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের হল দখলকারী এক রাজনৈতিক সন্ত্রাসীর হাত থেকে শিক্ষাঙ্গনকে রক্ষা করার জোরালো দাবী জানাই।
তিব্বত হল মুভমেন্টের প্রেক্ষিত জানার জন্য পড়ুন -
১. আম্মানসুরার ব্লগ 'তিব্বত হলের সাত কাহন '।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ও ছবির ফেসবুক এ্যালবাম ।
৩. আম্মানসুরার আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্লগ
'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলো বেদখল হবার পেছনের কিছু ঘটনা '।
৪. সংবাদ সূত্র: জগন্নাথের হল ‘ফিরিয়ে দেয়ার’ আহ্বান নাহিদের
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫
আমিনুর রহমান বলেছেন:
হাজি সেলিম তো মাত্র একটা হল দখল করেছে। আরো অনেকগুলো দখল হয়েছে বিভিন্নভাবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো একটা রিপোর্ট
Click This Link
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১২
নিশাত তাসনিম বলেছেন: আমার মনে হয় হয় এখানে সরকারের মদদ রয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালানোর ঘটনা এই প্রথম নয়। সরকারের নির্দেশ ছাড়া পুলিশ গুলি লালায় কি করে? কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে বি সি এস ফল-প্রার্থীদের দের উপর পুলিশ ছাত্রলীগের যৌথ হামলা গণ গ্রেপ্তার এবং কিছুদিন আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যায্য দাবিতে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের নির্মম ভাবে পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলার পর প্রধানমন্ত্রী সংসদে ছাত্রলীগকে প্রটেক্ট করেছেন।
তারই ফলশ্রুতিতে এখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
কখনো বুয়েট কখনো কুয়েট কখনো রাবি কখনো জঃবিঃ এভাবে আর কতদিন ?
৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৯
আম্মানসুরা বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: পুরান ঢাকার ঐ এমপি একটি রাজনৈতিক দলের নোমিনেশন না পেয়ে সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয় লাভ করেছিলেন এবং সাম্প্রতিক সময়ে একটি বিশেষ ছাত্র সংগঠনের সমালোচনা করেছিলেন। যার ফলে যে টনক পুলিশের দীর্ঘদিন নড়েনি, তা ঐ ছাত্র সংগঠনের নড়েছিল।
সহমত আপনার সাথে। ছাত্রলীগ বর্তমানে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে। তবে যেভাবেই শুরু হোক, আন্দোলন টা যৌক্তিক।
৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৭
জানা বলেছেন:
বিষয়টি কোনভাবেই মেনে নেবার নয়। ব্লগাররা সোচ্চার হোন, ঠিক অতীতেও যেভাবে ন্যায়ের জন্যে সবসময়ই সোচ্চার থেকেছেন এবং আজও রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ব্লগ এবং অন্যান্য নানান সামাজিক মধ্যমে জোরেসোরে কথা বলুন। যে কোন মঙ্গলে যূথবদ্ধ থাকুন।
৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৪
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ব্রো: এই পোষ্টটা মূল লেখায় যুক্ত করে দাও। Click This Link
৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আদিম একটা জমানায় বাস করছি মনে হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে এমন অসভ্যতা। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া উচিৎ। যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসা উচিৎ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে এ ধরণের হঠকারিতা অসহনীয়। সচেতন নাগরিকসমাজ একত্রিত হয়ে এর প্রতিবাদ করা দরকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা আবশ্যক ।
৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫২
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: ইংরেজীর প্রধান কি মন্ত্রী নাহিদের সাথে দেখা করে ব্যবস্হা নিতে পারতো না?
ছাত্ররা কি মন্ত্রীকে জগন্নাথে আমত্রণ করে এনে এ বিষয়ে আলাপ করতে পারতো না?
ছাত্রদের বুদ্ধিমান হতে হবে।
৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৩
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: উপরের লিংকটা কাজ করছে না: ফলে আবার লিংক দিলাম: তিব্বত হলের সাত কাহন
আরেকটি ফেইসবুক লিংক: Click This Link
১০| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৫
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আর এটাও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলো বেদখল হবার পেছনের কিছু ঘটনা
১১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০২
আছিফুর রহমান বলেছেন: আইছে পাঠক ১৯৭১। উনারে ধইরা পাবনা পাঠানো দরকার। আরে আন্দোলন করতে হবে কেন? আমাদের হল আমাদের বুঝিয়ে দিলেই তো হয়। এখন প্রশ্ন দেয় নাই, কারন হাজি সেলিম। উনি ২০০৮ এম.পি হইতে না পারলেও যা কামাইছেন। তাতে উনার ২০ পুরুস চলে যাবে। আর হল আন্দোলন কি গত এক সপ্তাহের ঘটনা। এটি ২ বছরের আন্দোলন।
১২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৮
ইমরান-উল-ইসলাম বলেছেন: সব জেনেশুনেও সরকারের এই বেহায়াপনা । পুরো বিষয়টাইতো স্পষ্ট । তার পরও কেন সাধারণ ছাত্রছাত্রী, এমনকি বিশ্বসিদ্যালয়ের শিক্ষকও মার খাবে সরকারি গুণ্ডাদের হাতে ।
১৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯
মামুন রশিদ বলেছেন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে এ দখল বানিজ্য মেনে নেয়া যায় না ।
১৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৮
হালি্ বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের হল দখলকারী এক রাজনৈতিক সন্ত্রাসীর হাত থেকে শিক্ষাঙ্গনকে রক্ষা করার জোরালো দাবী জানাই।
১৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৫
রণজিত্ কুমার মহন্ত বলেছেন: আমার কাছে এটাই খারাপ লাগে যখন শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতির প্রভাব থাকে। রাজনীতিটা কি শিক্ষাক্ষেত্রে না হলে হয়না??
১৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৮
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আর পরিবর্তন কবে হবে
১৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৮
অপু তানভীর বলেছেন: আমি যখন প্রথম ওখানে ভর্তি হই তখন থেকেই এই আন্দোলন শুরু হয় । সেটা সেই ২০০৯ সালের কথা ! কিন্তু তখন এর ভিতরের অনেকেই এর আন্দোলনের বিরোধীতা করেছে । এমন ঢাবির অনেকেই এখনও এটার বিরোধিতা করে । কেন করে কে জানে ?
এবার যদি কিছু হয় !!
আসল কথা হল প্রশাসন আর সরকারের যদি সৎইচ্ছা থাকে তাহলে হল গুলো এক নিমিশেই উদ্ধার হয়ে যায় ! কিন্তু তারা আরও কত কাজে ব্যস্ত । আমাদের এই হল উদ্ধারের দিকে তাকানোর সময় কোথায় তাদের ?
১৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৪
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একই চিত্র। কোথাও স্থায়ী ভাবে দখল হয়েছে আবার কোথাও অস্থায়ী ভাবে দখল হয়েছে। প্রতিবার সরকার বদলের সাথে সাথে শিক্ষাঙ্গনের শিরোনাম হয় হল দখল। সরকারি দলের সমর্থক ছাত্র সংগঠন এবং স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা কর্মীরা এর সাথে জড়িত থাকে। আর এদের মদদ দিয়ে থাকে প্রশাসন।
শিক্ষাঙ্গনের এ করুণদশা আর কত দিন!! রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের হাত থেকে শিক্ষাঙ্গন মুক্তি পাক , ফিরে আসুক শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ।
১৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫২
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কি দরকার হল উদ্ধার করার। তার চাইতে কিছু লোক ব্যবসা করছে, স্কুল হয়েছে ভালো তো। হল করে সেখানে সিট বাণিজ্য, রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্র সংগঠনের আরো কিছু হল শাখা বানিয়ে দলীয় ক্যাডার বর্ধনের নতুন আর কিছু জায়গা করার কোন মানেই হয়না।
২০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৬
ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন: ভাবনার বিষয় হল ১টি হল ও আন্দোলনের সময়টি। কাল্পনিক_ভালোবাসা ও আমিনুর রহমান এর মন্তব্য চিন্তাযুক্ত করেছে।
২১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১৬
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: প্রশাসন কই ?
২২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:৪০
টি-ভাইরাস বলেছেন: এই হল গুলা ফিরে আবার আন্দলন তাদের অনেক দিনের কিন্তু কেন হটাত করে এই ভাবে আন্দলন ... কিছু দিন আগেয় যদি হাজি সেলিম যদি না বলত " শিবির রগ কাটে আর ছাত্রলীগ কাটে মাথা " তা হলে আমার মনে হয় না এই আন্দলন এই ভাবে শুরু হত ... সে যাই হক, আমি পুরান ঢাকাতে আসি অনেক বছর ধরে এই খান কার কোন মানুষ চায় না এই খানে কোন হল হক ... তা চায় হল হক কিন্তু এই দিকে না ... কারন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র সংগঠনের যে দাপট এই জাগাতে হল হলে চাঁদা বাজির কারনে টিকা কঠিন হয়ে যাবে ... বছর খানিক আগেয় আমার বাসার সামনে ছাত্র লিগের পোলারা যে ভাবে পুলিশ দের মারল যদি হল এই দিকে হয় তাইলে সবার কপালে কি আছে বলা কঠিন ... আর সবাই হাজি সেলিম হাজি সেলিম করতেছে কে এই হাজি সেলিম সে লীগ এর একজন বর নেতা ... তা হলে কেন সবাই হাজি সেলিম এর নেতা শেখ হাছিনার কাছে যাচ্ছে না ??? কার উপরে বেক্তিগত ভাবে রেগে আন্দলন করলে সেটা সফল হয় খুব কম
২৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: @ টি-ভাইরাস বলেছেন: এই হল গুলা ফিরে আবার আন্দলন তাদের অনেক দিনের কিন্তু কেন হটাত করে এই ভাবে আন্দলন ... কিছু দিন আগেয় যদি হাজি সেলিম যদি না বলত " শিবির রগ কাটে আর ছাত্রলীগ কাটে মাথা " তা হলে আমার মনে হয় না এই আন্দলন এই ভাবে শুরু হত ... সে যাই হক, আমি পুরান ঢাকাতে আসি অনেক বছর ধরে এই খান কার কোন মানুষ চায় না এই খানে কোন হল হক ... তা চায় হল হক কিন্তু এই দিকে না ... কারন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র সংগঠনের যে দাপট এই জাগাতে হল হলে চাঁদা বাজির কারনে টিকা কঠিন হয়ে যাবে ... বছর খানিক আগেয় আমার বাসার সামনে ছাত্র লিগের পোলারা যে ভাবে পুলিশ দের মারল যদি হল এই দিকে হয় তাইলে সবার কপালে কি আছে বলা কঠিন ... আর সবাই হাজি সেলিম হাজি সেলিম করতেছে কে এই হাজি সেলিম সে লীগ এর একজন বর নেতা ... তা হলে কেন সবাই হাজি সেলিম এর নেতা শেখ হাছিনার কাছে যাচ্ছে না ??? কার উপরে বেক্তিগত ভাবে রেগে আন্দলন করলে সেটা সফল হয় খুব কম
২৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫
এনামুল হাসান নোমান বলেছেন: যা হচ্ছে আমার মনে হয় তা "পরাক্রমশালী সরকার" এর বিশেষ আশীর্বাদেই হচ্ছে।তো এখানে নাটক না করে সরাসরি একটা ঘোষণা দিয়ে দিলেই হয় যে,ভার্সিটি এ হল পাবে অথবা পাবেনা।
২৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯
মধু নদীর জোলা বলেছেন: শাসনের টনক নড়বে কবে?
২৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: পুরান ঢাকার ঐ এমপি একটি রাজনৈতিক দলের নোমিনেশন না পেয়ে সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয় লাভ করেছিলেন এবং সাম্প্রতিক সময়ে একটি বিশেষ ছাত্র সংগঠনের সমালোচনা করেছিলেন। যার ফলে যে টনক পুলিশের দীর্ঘদিন নড়েনি, তা ঐ ছাত্র সংগঠনের নড়েছিল।
আমাদের নিয়ে কেউ খেলছে, বুঝলেন। আমাদের আবেগ অনুভূতি নিয়েও খেলছে। আমরা তা জানি, বুঝি কিন্তু কিছুই করতে পারি না।
২৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১০
ইসকে পাল বলেছেন: কি কৈতাম সবৈ রাজনৈতিক খেলা।
২৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৭
জগ বলেছেন: সুশীল সুশীল গন্ধ আসতেছে এই লেখাটা থেকে। গরু মেরে জুতা দান টাইপ সুশীল গন্ধ। ভন্ডদের লেখা থেকে এরকম গন্ধই পাওয়া যায়.........
২৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪০
জগ বলেছেন: গরু মেরে জুতা দান টাইপ সুশীল গন্ধ = let us create an issue and then let us sacrifice our BAL through that issue.
৩০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৯
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: একটা ইস্যু ক্রিয়েট করা হইছে আরেকটা ডাইভারশন গেইম খেলার জন্য। হল কারা দখল করেছে সেটা দিনের আলোর মত পরিস্কার। এখানে সাধারন ছাত্ররা কি করতে পারবেন।
আর হাজী সেলিমের কর্মকান্ডের ব্যাপারে ঢাকার একটা কুত্তাও জানে। এখানে লুকোচুরির কিছু নাই। ওয়ান অফ দ্যা ক্রেজিয়েস্ট পারসন ইন বাংলাদেশ।
৩১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৪
রাবার বলেছেন: স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: প্রশাসন কই ?
৩২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫১
নিরীহ বালক বলেছেন: ওরা হয়তো জানে না , ছাত্ররা খেপলে কি হতে পারে ।
হয়তো এইরকম ছোট ছোট ক্ষোভ থেকেই বড় কোন পরিবর্তন আসবে ।
সূত্রঃ ইতিহাস
৩৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৩
আমি তুমি আমরা বলেছেন: এতগুলা হল কিভাবে বেদখল হয়ে যায়? আজব।
৩৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৩৫
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: আমি উপারে কমেন্ট করেচিলাম যে, সঠিক পথা হলো নাহিদের সাথে বলা ও বসা; ইডিয়ট ছাত্রগুলোর মগজ নেই, তারা সঠিক কারণে মার খায়: এদের পা ভেংগে দিলে খুশী হবো।
এখন নাহিদ ঠিকই ব্যবস্হা নিয়ে!
৩৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৩৬
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: টাইপো---->এখন নাহিদ ঠিকই ব্যবস্হা নিয়ে!
হবে------এখন নাহিদ ঠিকই ব্যবস্হা নিচ্ছে!
৩৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৪
আরজু পনি বলেছেন:
রাজনৈতিক লেজুর বৃত্তি নয় তবে এইসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্যই সাধারণ ছাত্র রাজনীতির দরকার ।
শক্তের ভক্ত নরমের যম বলে একটা কথাতো আছে... ।
৩৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭
রূপা কর বলেছেন: আরজুপনি আপার সাথে একমত ++++্
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: পুরান ঢাকার ঐ এমপি একটি রাজনৈতিক দলের নোমিনেশন না পেয়ে সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয় লাভ করেছিলেন এবং সাম্প্রতিক সময়ে একটি বিশেষ ছাত্র সংগঠনের সমালোচনা করেছিলেন। যার ফলে যে টনক পুলিশের দীর্ঘদিন নড়েনি, তা ঐ ছাত্র সংগঠনের নড়েছিল।