নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গণজাগরণ মঞ্চকে আমরা নানান উপদেশ, পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি অহরহ, যার জন্য আমাদের কোনো চাপ শিকার করতে হয় না। আমরা সেই জনতা - যারা উপলব্ধি করেছি গণজাগরণ মঞ্চের কি বিপুল জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা, যারা প্রত্যাশা করছি গণজাগরণ মঞ্চ আমাদের উপহার দেবে নতুন প্রজন্মের অভাবনীয় দুরদর্শিতা আর এক সুস্থ্য রাজনৈতিক চর্চা। যারা আমাদের উপহার দেবে যুদ্ধাপরাধ মুক্ত বাংলাদেশ।
গণজাগরণ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সংগঠকরা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে, অনিরাপদ করে, মাথার উপর মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে এই আন্দোলনের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে চলছে। এটা প্রজন্মের চেতনাকে সমুন্নত রাখার লড়াই - এটা রাজনৈতিক আপোষের বিরুদ্ধে দুর্দমনীয় সংগ্রামের লড়াই। একে সরকারী দলের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত আন্দোলন ভাবার কোনই সুযোগ নাই, কারণ লাখো লাখো সক্রিয় আন্দোলনকারী কোনো রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মী নয় - তাদের সম্পৃক্ততা কেবলই যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি নিশ্চিত করার জন্য।
জনতার মুখপত্র হয়ে ওঠা এই মঞ্চকে আমাদের প্রতিনিয়ত চেতনা বিচ্ছুরণের সাহস ও মনোবল দিতে হবে। যারা মাঠে থেকে লড়াই করে যাচ্ছে, সংগঠকের দায়িত্ব পালন করছে তারাই এই আন্দোলনে আমাদের প্রতিনিধি। ৫-ই ফেব্রুয়ারী যেদিন আন্দোলন শুরু হয় সেদিন রাত থেকেই এ আন্দোলন জনতার। কয়েকজন ব্লগার এর মুখপত্র হয়ে উঠলেও এখানে রাতদিন যারা ত্যাগ শিকার করে গেছেন, রাজপথ আগলে বসে ছিলেন, তাদের বেশীরভাগই ব্লগার বা অনলাইন এ্যাক্টিভিস্ট নন।
ব্লগার ও অনলাইন এ্যাক্টিভিস্টদের বৃহৎ অংশ মূলত অনলাইনে বসে এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছেন। শাহবাগে, সড়কে - শারিরীক উপস্থিতির মাধ্যমে সক্রিয় অংশগ্রহণ এই ব্লগার ও অনলাইন এ্যাক্টিভিস্টদের পক্ষে নানা কারণে সম্ভব নয়। প্রথমত, তাদের বেশীরভাগই ভার্চুয়াল দুনিয়ায় অনেক তেজস্বীতা দেখাতে পারলেও মিছিলের অগ্রভাগে সাহসের সাথে দাঁড়াতে পারবে এটা প্রমাণিত নয়। আমরা অনেক দেখেছি, তাদের মধ্যে গুটিকয়েকদের শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম সম্মুখে। লাখো ব্লগারদের মধ্যে এই গুটিকয়েকজনই মাত্র পরীক্ষিত হলেন। দ্বিতীয়ত, এই লক্ষ লক্ষ ব্লগার/ফেসবুকারদের বেশীরভাগ নানা পেশায়, নানা জায়গায়, নানান দেশে, নানান বয়সের, নানান মতবাদের অনুসারী এবং তারা মুক্ত এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতেই অভ্যস্ত। তাদের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক কাঠামোতে থাকা কোনভাবেই সম্ভব নয়।
মিডিয়া শাহবাগের জনতাকে ব্লগার/অনলাইন এ্যাক্টিভিস্ট হিসাবে চিহ্নিত করেছে মিডিয়া-দর্শকদের আকর্ষণ করার জন্য। কিন্তু শাহবাগে ফিজিক্যালী উপস্থিত হওয়া জনতা মূলত অরাজনৈতিক জনতা - মূলত যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে সোচ্চার জনতা, বাংলাদেশের প্রগতিশীলতার পক্ষের জনতা। তাদের মাঝে আছে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের পরীক্ষিত নেতা-কর্মী - যারা রাজপথে আন্দোলন পরিচালনার দক্ষতা রাখেন, কঠিনতম ত্যাগ শিকার করতে পারেন। আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে এর অসংখ্য দৃষ্টান্ত ভাস্বর হয়ে আছে।
ফলে গণজাগরণ মঞ্চকে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সড়কে থেকে, রাজপথে থেকে, আমাদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে - তাদের তুলনায় অনলাইনের সেফটি জোনে থেকে লেখালেখি করে বেড়ানো ব্লগারদের নিজেদের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে বেশী বিচলিত হওয়া কদর্য দেখায়। এতে যারা রাজপথে সরাসরি যুদ্ধের অগ্রভাগে - তাদেরকে আরো বেশি নিরাপত্তাহীন করে ফেলে।
ব্লগার/অনলাইন এ্যাক্টিভিস্টদের প্রিয়ভূমি ভার্চুয়াল দুনিয়ায় আপনি খুব সহজেই নিজের আইডেনটিটি হাইড করে ফেলতে পারেন, নিজেকে আস্তিক হিসাবে উপস্থাপন করতে পারেন, এই রিভার্স সুইং দেখে দেখে ব্লগাররা অভ্যস্ত। নাস্তিক ব্লগারদের ধরবে বলে ইঁদুরের গর্তে গিয়ে বসে থাকারও কোনো কারণ নাই। যারা ভয় পেয়েছে তারা অনেক আগেই গর্তে লুকিয়েছে। কিন্তু ইমরান ও তার সাথের সংগঠকরা কোথায় লুকাবে? তাদের সবকিছুই উন্মোচিত, তারা প্রকাশ্যে - যুদ্ধাপরাধী চক্রের সরাসরি হুমকি সামলাতে হচ্ছে তাদের - আপনার আমার ঝুঁকির সাথে তা কোনোভাবেই তুল্য নয়।
সুতরাং ভার্চুয়াল অঙ্গনের মানুষেরা নিজেদের অনিরাপদ ভাবার বিলাসিতার মধ্যে না গিয়ে একটু সাহসের পরিচয় দিন। জোরসে আওয়াজ তুলুন গণজাগরণ মঞ্চের জন্য - যারা সম্মুখ কাতারে দাঁড়িয়ে আছে তারা আমাদের জন্যই দাঁড়িয়েছে, সরকারী-বেসরকারী সকল আঘাত তাদের সহ্য করতে হচ্ছে। তাদের জন্য আপনার অনলাইন পরিমন্ডলেই আওয়াজ তুলুন। আপনার নিরাপত্তা বলয়ে থেকে গণজাগরণ মঞ্চের জন্য আপনার দক্ষ ব্লগিং ও লেখালেখি দিয়ে গণজাগরণ মঞ্চকে উজ্জীবিত রাখুন, ঐক্যবদ্ধ থাকুন।
গণজাগরণ মঞ্চ পরাজিত হলে বাংলাদেশে হেরে যাবে। হেরে যাবে সবাই। কিন্তু সবার জীবন বিপন্ন হবে না। জীবন বিপন্ন হবে ঐ রাজপথের সাহসী ভাইটির, বোনটির - তাদের জন্য অনলাইনে বসে এইটুকু ঝুঁকি কি আপনি নিতে পারবেন না?
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
কৌশিক বলেছেন: কোনো অসুবিধা নাই। বাতাসও আপনি নির্ধারণ করতে পারেন। আপনি শাহবাগে দাঁড়ালে শাহবাদ নিশ্চয়ই আপনার হবে।
২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪০
গারো হিল বলেছেন: দারুন পোস্ট।
কিন্তু ব্লগাররা আপনার ভিআইপি ভাবের জন্য আপনাকে দেখতে পারে না। অন্য কোন নিক দিয়ে পোস্টটা দেওয়া উচিত ছিল। আপনার নাম দেখেই পোস্টের ভিতরে কি আছে দেখার আগ্রহ অনেকেই হারিয়ে ফেলবে।
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৬
কৌশিক বলেছেন: ভাই, কে আমাকে দেখতে পারে না সেটার চেয়ে কে আমাকে দেখতে পারে সেটা নিয়ে আনন্দিত।
আপনি যে পোস্টটা পড়েছেন সেজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। 'ভিআইপি ভাব' আমার নাই, আমার একটা ব্লগার ভাব আছে, মানে যা ইচ্ছা তাই করার ভাব - ব্লগাররা তো এমনই হবে।
৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৩
জেমস বন্ড ২০১২ বলেছেন: ভাই আজকা শাহবাগ দিয়া আসার সময় খুব কষ্ট লাগলো .....ভাঙ্গা হাট এর মত.......
৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৬
আমি শুধুই পাঠক বলেছেন: এই আন্দোলন নিয়ে অনেক আশা।
৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১০
রাতপাখি বলেছেন: Click This Link
৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫৩
নিষিদ্ধ আমি বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++
৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৫৫
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
অনেক ভাল লেগেছে। জয় বাংলা।
৮| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৫৮
এস বাসার বলেছেন: গন জাগরন মন্চের লড়াই চলবেই এন্ড দ্যাটস ফাইনাল । শত হাজার মিথ্যে প্রচারনা আর বিভ্রান্তির বেড়াজাল ছিড়ে সত্য আর সুন্দর আগামীর আলো জ্বলবেই।
৯| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:০২
রাফা বলেছেন: গণজাগরন মঞ্চের সাথে ছিলাম, আছি এবং থাকবো।
একচুল নড়বো-না আমাদের দাবী থেকে।
জয় বাংলা।
১০| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩
দৃঢ় মানুষ বলেছেন: জেমস বন্ড ২০১২ বলেছেন: ভাই আজকা শাহবাগ দিয়া আসার সময় খুব কষ্ট লাগলো .....ভাঙ্গা হাট এর মত.......
১১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১৫
ক্লিকবাজ বলেছেন: বেশ কয়েকদিন আগেই শাহবাগ গিয়েছিলাম, ভালই লাগলো .....ভাঙ্গা হাট এর মত.......
(অঃটঃ বেশ কয়েকজনকেই বলতে শুনলাম কিছু দিনের মধ্যেই গণজাগরন মঞ্চের ব্যানারে আওয়ামী নির্বাচনী ক্যামপেইন নাকি শুরু হতে যাচ্ছে, দালালীরও এক্টা সীমা থাকা উচিৎ। )
১২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২২
যোগী বলেছেন: অবশ্যই আমরা আছি শাহবাগের সাথে সব সময়।
১৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: দারুণ পোস্ট। একমত। শাহবাগের সাথে ছিলাম আছি থাকবো।
১৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২২
ইখতামিন বলেছেন:
আমাদের একতাবদ্ধ থাকতে হবে
১৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
বাংলার হাসান বলেছেন: ”ভুল“ শব্দটা আদি অনন্ত থেকেই মিশে আছে মানব সন্তানদের সাথে, প্রাচীনকাল থেকে একবিংশ শতাব্দীতে এসেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। মানুষ কাজ করতে পছন্দ করে, এটা মানুষের সৃষ্টি গুন, হোক তা ভাল বা মন্দ। আর কাজের মাধ্যমেই সৃষ্টি হয় ভুলের, ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়। যুগে যুগে এর প্রতিফলন লক্ষ করা যায়। আমরা সভ্যতার ধারক-বাহক নিজেদের মনে করি, সেই আমরা কি একবারও নিজের মতের বা দলের ভুল গুলো স্বীকার করে তা থেকে উত্তরনের পথ বের করার চেষ্টা করি?
খুব বেশী দূরে যাবার প্রয়োজন নেই, গত ৫ই ফেব্রুয়ারী শাহবাগে শুরু হওয়া আন্দোলন আজ কেন প্রশ্নবিদ্ধ তা কি একবারও ভেবে দেখেছি? একথা নিন্দুকেও স্বীকার করে নিবে যে, এই আন্দোলন সকল রাজনৈতিক দলকে একটি প্রচন্ড আকারে ঝাঁকি দিয়ছে। এই আন্দোলন ছিল দেশে চলমান সকল রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি নতুন প্রজন্মের অনাস্থার বিস্ফোরন। তবে কেন আজ তা গতি হারালো?
ভুলটা কোথায় তা কি স্বীকার করার মত মানসিকতা আছে নতুন প্রজন্মের?
১৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪১
ফাজলামো বলেছেন: শাহবাগ আন্দোলন এখন আর গণজাগরণ নয় গৌণজাগরণ। প্রতিরোধের মুখে মঞ্চের নেতারা ফেনি থেকে পুশব্যাক। আফসোস!
১৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২১
ফারহান ফারদিন বলেছেন: জেমস বন্ড ২০১২ বলেছেন: ভাই আজকা শাহবাগ দিয়া আসার সময় খুব কষ্ট লাগলো .....ভাঙ্গা হাট এর মত......
আমার ও একই অনুভূতি। শাহবেগের এই দশা দেখে মন খারাপ করে বাড়ি ফিরলাম।
ইচ্ছে ছিল গন স্বাক্ষরতা কর্মসূচীতে গিয়ে নিজের সাইন টা দেব। কিন্তু নিজেকে তখন সংখ্যা লঘু মনে হওয়ায় আর আগ্রহী হইনি।
১৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫৬
মহাবিরক্ত বলেছেন: আপনার মূল্যবান মতামত আশা করছি। সংঘাত নয় সম্প্রিতি হোক আমাদের আন্দোলনের মূল চালিকা শক্তি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩৬
গেস্টাপো বলেছেন: ব্লগামু
তবে পক্ষেও লিখুম না বিপক্ষেও লিখুম না
বাতাস যে দিকে যায় আমিও সেদিকেই লিখুম